মদীনার ফযিলত, মহামারী ও দাজ্জাল হতে সুরক্ষিত

মদীনার ফযিলত, মহামারী ও দাজ্জাল হতে সুরক্ষিত

মদীনার ফযিলত এ শহরে বারাকাত দানের জন্য নবী [স]এর দুআ >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

৮৫. অধ্যায়ঃ মাদীনার ফযিলত, এ শহরে বারাকাত দানের জন্য নবী [স.]-এর দুআ, মাদীনাহ্ ও হারামের মর্যাদা এবং এখানে শিকার ও এখানকার গাছপালা কর্তন নিষিদ্ধ ও মাদীনার হারামের সীমা
৮৬. অধ্যায়ঃ মাদীনাতে বসবাস করার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও এর বিপদে ধৈর্য ধারণ করা
৮৭. অধ্যায়ঃ মহামারী ও দাজ্জালের প্রবেশ থেকে মাদীনাহ্ সুরক্ষিত
৮৮. অধ্যায়ঃ মাদীনাহ্ নিজের মধ্য থেকে নিকৃষ্ট জিনিস বের করে দিবে
৮৯. অধ্যায়ঃ মাদীনাবাসীদের যে ক্ষতি করিতে চায় আল্লাহ্ তাকে গলিয়ে দিবেন
৯০. অধ্যায়ঃ শহর ও জনপদের বিজয় সত্ত্বেও মাদীনায় বসবাসে উৎসাহিত করা
৯১. অধ্যায়ঃ মাদীনাবাসীরা যখন তা [মাদীনাহ্] ত্যাগ করিবে

৮৫. অধ্যায়ঃ মদীনার ফযিলত , এ শহরে বারাকাত দানের জন্য নবী [স.]-এর দুআ, মাদীনাহ্ ও হারামের মর্যাদা এবং এখানে শিকার ও এখানকার গাছপালা কর্তন নিষিদ্ধ ও মদীনার হারামের সীমা

৩২০৪. আবদুল্লাহ ইবনি যায়দ ইবনি আসিম হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ ইব্রাহীম [আঃ] মাক্কাকে হারাম বানিয়েছেন এবং এখানকার বাসিন্দাদের জন্য দুআ করিয়াছেন। আর আমি নিশ্চয়ই মাদীনাকে হারামে পরিণত করলাম ঠিক যেভাবে ইবরাহীম [আঃ] মাক্কাকে হারামে পরিণত করিয়াছেন। আমি এখানকার মুদ্দ ও সা [ওজন পরিমাপের দুটি একক] এর জন্য দুআ করলাম যেরূপ ইব্রাহীম [আঃ] মক্কার অধিবাসীদের জন্য দুআ করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৭৬]

৩২০৫. আমর ইবনি ইয়াহ্ইয়া আল মাযিনী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সূত্রে উক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৮০, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৭৭]

৩২০৬. রাফি ইবনি খাদীজ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ইব্রাহীম [আঃ] মাক্কাকে হারামে পরিণত করিয়াছেন, আর আমি দুটি কৃষ্ণ প্রস্তরময় ভূমির মধ্যবর্তী স্থানকে হারাম ঘোষণা করছি। তিনি মাদীনাকে বুঝিয়েছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৮১, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৭৮]

৩২০৭. নাফি ইবনি জুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

মারওয়ান ইবনি হাকাম লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি মাক্কাহ্ ও তার বাসিন্দা এবং এর হারামের মর্যাদা সম্পর্কে উল্লেখ করিলেন। তখন রাফি ইবনি খাদীজ [রাদি.] তাকে ডাক দিয়ে বলিলেন, কী ব্যাপার! আমি আপনাকে মাক্কাহ্, তার অধিবাসী এবং তার হারামের মর্যাদা সম্পর্কে উল্লেখ করিতে শুনছি, অথচ মাদীনাহ্, তার অধিবাসী এবং তার হারামের মর্যাদা সম্পর্কে আপনি কিছুই বলেননি; অথচ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মদীনার দুপ্রান্তের কঙ্করময় মাঠের মধ্যবর্তী স্থানকে হারাম বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তাহাঁর এ হাদীস আমাদের নিকট একটি খাওলানী চামড়ায় লিপিবদ্ধ আছে। আপনি চাইলে আমি তা আপনার সামনে পড়ে শোনাতে পারি। রাবী বলেন, মারওয়ান চুপ হয়ে গেলেন, অতঃপর বলিলেন, অবশ্য আমিও এ রকম কিছু শুনেছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৮২, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৭৯]

৩২০৮. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ নিশ্চয় ইব্রাহীম [আঃ] মক্কার হারাম নির্ধারণ করিয়াছেন, আর আমি মাদীনাকে হারাম বলে ঘোষণা করছি- এর দুপ্রান্তের কঙ্করময় মাঠের মধ্যবর্তী অংশকে। অতএবং এখানকার কোন কাঁটাযুক্ত গাছও কাটা যাবে না এবং এখানকার জীবজন্তুও শিকার করা যাবে না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৮০]

৩২০৯. আমির ইবনি সাঈদ [রাদি.] তাহাঁর পিতা হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি মদীনার দু পার্শ্বের কঙ্করময় মাঠের মধ্যবর্তী অংশকে হারাম বলে ঘোষণা দিচ্ছি। এখানকার কাঁটাযুক্ত গাছও কাটা যাবে না এবং এখানকার জীবজন্তুও শিকার করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, মাদীনাহ্ তার অধিবাসীদের জন্য কল্যাণকর স্থান, যদি তারা বুঝে। যে ব্যক্তি অনাগ্রহবশতঃ মাদীনাহ্ ত্যাগ করে, আল্লাহ তার চাইতে উত্তম ব্যক্তিকে তার স্থলবর্তী করেন। আর যে ব্যক্তি এখানে ক্ষুধা ও কষ্টের সময় ধৈর্যধারণ করে, আমি তার জন্য ক্বিয়ামাতের দিন শাফাআতকারী অথবা বলেছেন, সাক্ষী হব।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৮১]

৩২১০. সাদ ইবনি আবু ওয়াক্কাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তৎপরবর্তী অংশ উপরোক্ত ইবনি নুমায়রের অনুরূপ। তবে এ হাদীসে অতিরিক্ত আছে যে, {রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন} যে ব্যক্তিই মাদীনাবাসীদের ক্ষতি সাধনের ইচ্ছা করিবে আল্লাহ তাআলা তাকে জাহান্নামের আগুনে এমনভাবে বিগলিত করবেন, যেভাবে আগুনের তাপে সীসা গলে যায় অথবা লবণ পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যায়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৮২]

৩২১১. আমির ইবনি সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

সাদ [রাদি.] আল-আক্বীক্বে তার আবাসে রওনা হলেন। পথিমধ্যে তিনি একটি ক্রীতদাসকে একটি গাছ কাটতে অথবা [লাঠি দিয়ে] এর পাতা ঝরাতে দেখলেন। অতএব তিনি তার অস্ত্র কেড়ে নিলেন। তিনি ফিরে এলে ঐ গোলামের মনিব এসে তার সাথে আলাপ করিলেন এবং তাদের গোলামের নিকট থেকে তিনি যা কেড়ে নিয়েছেন তা তাদের কাছে অথবা তাদের গোলামের কাছে ফেরত দিতে অনুরোধ করিলেন। তিনি বলিলেন, যে জিনিস রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে উপহার স্বরূপ দিয়েছেন তা ফেরত দেয়ার ব্যাপারে আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করি। অতএবং তিনি তা ফেরত দিতে অস্বীকার করিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৮৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৮৩]

৩২১২. আম্‌র ইবনি আবু আম্‌র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি আনাস ইবনি মালিক [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আবু ত্বল্হাহ্ [রাদি.] কে বললেনঃ তোমাদের বালকদের মধ্য থেকে একজন বালক আমার খিদমাতের জন্য খুজে আন। অতএব আবু ত্বল্হাহ্ [রাদি.] আমাকে বাহনে তাহাঁর পিছনে বসিয়ে রওনা হলেন। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখনই [বাহন থেকে] নামতেন, আমি তাহাঁর প্রয়োজনীয় সেবা করতাম। এ হাদীসে তিনি আরও বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অগ্রসর হইতে থাকলেন এবং উহুদ পাহাড় তাহাঁর দৃষ্টিগোচর হল- তিনি বললেনঃ “এ পাহাড় আমাদের ভালোবাসে এবং আমরাও তাকে ভালবাসি”। তিনি যখন মদীনার নিকটবর্তী হলেন তখন বললেনঃ

 اللَّهُمَّ إِنِّي أُحَرِّمُ مَا بَيْنَ جَبَلَيْهَا مِثْلَ مَا حَرَّمَ بِهِ إِبْرَاهِيمُ مَكَّةَ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِي مُدِّهِمْ وَصَاعِهِمْ

“হে আল্লাহ! তাদের [মদীনার অধিবাসীদের] মুদ্দ ও সা-এ বারাকাত দান করুন”।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৮৪]

৩২১৩. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এ সূ্ত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে অতিরিক্ত এই যে, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ “আমি মদীনার দু প্রান্তের কংকরময় মাঠের মধ্যবর্তী স্থানকে হারাম করছি।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৮৫]

৩২১৪. আসিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আমি আনাস ইবনি মালিক [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি মাদীনাকে হারাম করিয়াছেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, এখান থেকে ওখানের মধ্যবর্তী স্থান। অতএব যে ব্যক্তি এখানে কোন পাপ করে, তিনি পুণরায় আমাকে বলিলেন, তা খুবই ভয়ংকর ব্যাপার যে, এখানে কোন পাপ করে তার উপর আল্লাহ, তাহাঁর মালাক্ব এবং সমগ্র মানব জাতির লানাত। ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাআলা তাহাঁর ফরয অথবা নফল কোন ইবাদাতই কবুল করবেন না। {৩৮} রাবী বলেন, আনাস [রাদি.]-এর পুত্র বলিলেন, “অথবা যে কোন পাপীকে আশ্রয় দিল”।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৮৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৮৬]

{৩৮} অন্য ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, তাওবাহ্ এবং ফিদ্য়্যাহ গ্রহণ করা হইবে না।

৩২১৫. আসিম আল আহওয়ার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আমি আনাস [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি মাদীনাকে হারাম করিয়াছেন? তিনি বলিলেন হ্যাঁ, তা হারাম। অতএব এখানকার উদ্ভিদ উপড়ানো যাবে না। যে বক্তি তা করিবে তার উপর আল্লাহ, তাহাঁর মালাক্ব এবং সমগ্র মানব জাতির লানাত।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৯০, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৮৭]

৩২১৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন: হে আল্লাহ! তাদের বারাকাত দান করুন দাঁড়িপাল্লায়, তাদের সা-এ এবং তাদের মুদ্দ-এ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৯১, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৮৮]

৩২১৭. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুআ করিলেন :

اللَّهُمَّ اجْعَلْ بِالْمَدِينَةِ ضِعْفَىْ مَا بِمَكَّةَ مِنَ الْبَرَكَةِ

“হে আল্লাহ! আপনি মাক্কাতে বারাকাত দান করিয়াছেন, মাদীনায় তার দ্বিগুণ বারাকাত দান করুন”।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৯২, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৮৯]

৩২১৮. ইব্রাহীম আত্ তায়মী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে তাহাঁর পিতার সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আলী ইবনি আবু ত্বালিব [রাদি.] আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বলিলেন, যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, আমাদের [আহলে বায়ত] কাছে আল্লাহ্‌র কিতাব ছাড়া যা আমরা পাঠ করি এবং এ সহীফাহ্ রাবী বলেন, অর্থাৎ ঐ সহীফাহ্ যা তাহাঁর তরবারির খাপে ঝুলন্ত ছিল তা ছাড়া কিছু আছে, সে মিথ্যা বলে। এ সহীফায় উটের বয়স {৩৯} এবং কিছু যখমের বর্ণনা ছিল। এর মধ্যে আরও ছিল, নবী [সাঃআঃ] বলেন, মদীনার আয়র ও সাওর এর মধ্যবর্তী স্থান হারাম। এখানে যে ব্যক্তি কোন বিদআতী কর্মে লিপ্ত হয় অথবা কোন বিদ্আতীতে আশ্রয় দেয়, তার উপর আল্লাহ, তাহাঁর মালায়িকার ও সমগ্র মানব জাতির লানাত। ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তার কোন ফারয ও নফল ইবাদাত কবূল করবেন না। মুসলিমদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রদানে সকলে সমান। তাদের নিম্নস্তরের একজনের প্রদত্ত নিরাপত্তাও কার্যকর। যে অন্য পিতার সাথে নিজ বংশ দাবী করে অথবা নিজ মুনীবের পরিবর্তে অন্য মুনীবের সাথে নিজেকে সম্পর্কিত করে তার উপর আল্লাহ, তাহাঁর ফেরেশতাদের ও সমগ্র মানব জাতির লানাত। আল্লাহ তাআলা ক্বিয়ামাতরে দিন তার ফরয বা নফল কোন ইবাদাতই গ্রহণ করবেন না।

রাবী বলেন, আবু বকর ও যুহায়রের হাদীস শেষ হয়ে গেছে “তাদের নিন্মস্তরের একজনের প্রদত্ত নিরাপত্তাও কার্যকরী” এ কথা পর্যন্ত। তারা এর পরবর্তী অংশ উল্লেখ করেননি। তাদের উভয়ের বর্ণনায় “তাহাঁর তরবারির খাপে ঝুলন্ত” কথাটুকু উল্লেখিত হয়নি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৯৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৯০]

{৩৯} যাকাত, ক্বিসাস ও দিয়াত সম্পর্কে।

৩২১৯. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এতে উল্লেখ আছে “যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের সাথে [নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর] বিশ্বাসঘাতকতা করে তার উপর আল্লাহ, তাহাঁর মালায়িকার ও সমগ্র মানব জাতির লানাত। ক্বিয়ামাতের দিন তার ফারয বা নাফল কোন ইবাদাতই কবূল করা হইবে না। তাদের [আলী ও ওয়াকী] উভয়ের বর্ণনায় “যে ব্যক্তি নিজ পিতৃ পরিচয়ের পরিবর্তে অন্য পিতৃ পরিচয়ের দাবী করে” কথাটুকুর উল্লেখ এবং ওয়াকীর বর্ণনায় “ক্বিয়ামাতের দিন” কথাটুকুর উল্লেখ নেই।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৯৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৯১]

৩২২০. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সূ্ত্রে ইবনি মুসহির ও ওয়াকীর হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এদের বর্ণনায় “গোলাম নিজের মুনীবের পরিবর্তে অন্যকে নিজের মুনীব বলে পরিচয় দেয়” কথাটুকু নেই। আর তার প্রতি লানাতের কথা উল্লেখিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৯৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৯২]

৩২২১. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেন, মাদীনাহ্ হারাম। অতএব, যে এখানে কোন পাপে লিপ্ত হয় অথবা কোন পাপীকে আশ্রয় দেয়, তার উপর আল্লাহ, তাহাঁর মালায়িকাহ্ এবং সমগ্র মানব জাতির লানাত। ক্বিয়ামাতের দিন তার ফারয বা নফল [কিছুই] কবূল করা হইবে না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৯৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৯৩]

৩২২২. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে তিনি ক্বিয়ামাতের দিন কথাটুকু বলেননি। তিনি বাড়িয়ে বর্ণনা করিয়াছেন, “মুসলিমদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রদানে সকলে সমান। তাদের নিম্নস্তরের একজনের প্রদত্ত নিরাপত্তা ও কার্যকর। কেউ যদি মুসলিম প্রদত্ত নিরাপত্তার মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে তবে তার উপর আল্লাহ, তাহাঁর মালায়িকাহ্ এবং সমগ্র মানব জাতির লানাত। ক্বিয়ামাতের দিন তার ফারয বা নফল কিছুই কবূল হইবে না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৯৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৯৪]

৩২২৩. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি যদি মাদীনায় হরিণ বিচরণ করিতে দেখি তবে তাকে ভয় দেখাব না। [কেননা] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মদীনার দু পার্শ্বের কঙ্করময় মাঠের মধ্যবর্তী অংশ হারাম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৯৫]

৩২২৪. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মদীনার দুপার্শ্বের কঙ্করময় মাঠের মধ্যবর্তী অংশ হারাম ঘোষণা করিয়াছেন। আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] বলেন, আমি যদি মদীনার দুপার্শ্বের কঙ্করময় মাঠের মধ্যবর্তী অংশে হরিণ বিচরণ করিতে দেখি, তবে আমি তাকে উত্যক্ত করব না এবং তিনি মদীনার চারপাশের বারো মাইল পর্যন্ত চরণভূমি ঘোষণা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৯৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৯৬]

৩২২৫. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, লোকেরা যখন প্রথম [পাকা] ফল দেখিতে পেত, তা নিয়ে নবী [সাঃআঃ]-এর নিকট আসত এবং রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন তা গ্রহণ করিতেন তখন তিনি নিম্নোক্ত দুআ পড়তেন :

اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي ثَمَرِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي مُدِّنَا اللَّهُمَّ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ عَبْدُكَ وَخَلِيلُكَ وَنَبِيُّكَ وَإِنِّي عَبْدُكَ وَنَبِيُّكَ وَإِنَّهُ دَعَاكَ لِمَكَّةَ وَإِنِّي أَدْعُوكَ لِلْمَدِينَةِ بِمِثْلِ مَا دَعَاكَ لِمَكَّةَ وَمِثْلِهِ مَعَهُ

“হে আল্লাহ! আপনি আমাদের ফলে [বা উৎপন্ন ফসলে] বারাকাত দান করুন, আমাদের মাদীনায় বারাকাত দান করুন, আমাদের সা-এ বারাকাত দান করুন এবং আমাদের মুদ্দ-এ বারাকাত দান করুন। হে আল্লাহ! নিশ্চয় ইব্রাহীম [আঃ] আপনার বান্দা, প্রিয় বন্ধু ও নবী। আর আমিও আপনার বান্দা ও নবী। তিনি মক্কার জন্য আপনার নিকট দুআ করিয়াছেন। আমিও আপনার নিকট মদীনার জন্য দুআ করছি- যেমন তিনি মক্কার জন্য আপনার নিকট দুআ করেছিলেন এবং তার সাথে অনুরূপ আরও কিছু”। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি কোন শিশুকে ডাকতেন এবং তাকে এ ফল দিয়ে দিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২০০, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৯৭]

৩২২৬. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

মৌসুমের প্রথম ফল রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দেয়া হত। তিনি তখন বলিতেন :

اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا وَفِي ثِمَارِنَا وَفِي مُدِّنَا وَفِي صَاعِنَا بَرَكَةً مَعَ بَرَكَةٍ 

“হে আল্লাহ! আমাদের মাদীনায়, আমাদের ফলে [বা উৎপন্ন ফসলে], আমাদের মুদ্দ-এ ও আমাদের সা-এ বারাকাত দান করুন, বারাকাতের উপর বারাকাত দান করুন”। অতঃপর তিনি ফলটি তাহাঁর নিকট উপস্থিত সবচেয়ে শিশুকে দিয়ে দিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২০১, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৯৮]

৮৬. অধ্যায়ঃ মাদীনাতে বসবাস করার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও এর বিপদে ধৈর্য ধারণ করা

৩২২৭. আবু সাঈদ মাওলা আল মাহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তাঁরা মাদীনায় কষ্ট ও দুঃখে পতিত হন। তিনি আবু সাঈদ আল খুদ্রী [রাদি.]-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে বলিলেন, আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনেক এবং আমরা দুঃখ দুর্দশার সম্মুখীন হয়েছি। তাই আমি আমার পরিবারকে কোন শস্য শ্যামল এলাকায় স্থানান্তরের মনস্থ করেছি। আবু সাঈদ [রাদি.] বলিলেন, তা করো না বরং মাদীনাকে আঁকড়ে থাক। কারণ, একদা আমরা নবী [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে বের হলাম, আমার মনে হয়, তিনি এও বলেছেন যে, এবং উস্ফান পর্যন্ত পৌঁছলেন। এখানে তিনি কয়েক রাত অবস্থান করিলেন। লোকেরা বলিল, আল্লাহর কসম! আমরা এখানে অযথা সময় নষ্ট করছি। অথচ আমাদের পরিবার পরিজন আমাদের পশ্চাতে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছে এবং আমরা তাদের [নিরাপত্তার] ব্যাপারে নিশ্চিত হইতে পারছি না।

এ কথা নবী [সাঃআঃ]-এর কাছে পৌঁছলে তিনি বলেনঃ কী ব্যাপার, তোমাদের এ কথা আমার নিকটে পৌঁছেছে। রাবী বলেন, আবু সাঈদ [রাদি.] কথাটা কিভাবে পুনর্ব্যক্ত করিয়াছেন তা আমার হুবহু মনে নেই। সে সত্তার নামে শপথ অথবা সে সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! অবশ্য আমি মনস্থ করেছি, অথবা যদি তোমরা চাও- রাবী বলেন, আবু সাঈদ [রাদি.] কোন্টি বলেছেন তা আমার সঠিক মনে নেই। তবে আমি নিশ্চত আমার উষ্ট্রীকে অগ্রসর হবার নির্দেশ দিব এবং মাদীনায় পৌঁছা পর্যন্ত তার একটি গিটও খুলব না। [যাত্রা বিরতি করব না]। অতঃপর তিনি বলিলেন, “হে আল্লাহ! নিশ্চয় ইব্রাহীম [আঃ] মাক্কাকে হারাম ঘোষণা করিয়াছেন এবং তা পবিত্র ও সম্মানিত হয়েছে। আর আমি মাদীনাকে হারাম ঘোষনা করলাম- যা দুপাহাড়ের [আয়র ও উহুদ] মধ্যস্থলে অবস্থিত। অতএবং এখানে রক্তপাত করা যাবে না, এখানে যুদ্ধের উদ্দেশে অস্ত্রবহন করা যাবে না এবং পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্য ব্যতীত গাছপালার পাতাও পাড়া যাবে না। হে আল্লাহ! আমাদের এ শহরে বারাকাত দান করুন, হে আল্লাহ! আমাদের সা-এ বারাকাত দান করুন, হে আল্লাহ! আমাদের মুদ্দ-এ বারাকাত দান করুন, হে আল্লাহ! বারাকাতের সাথে আমাদের আরো দুটি বারাকাত দান করুন।

সে সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! মদীনার এমন কোন প্রবেশ পথ বা গিরি পথ, বা পাহাড়ের পথ নেই যেখানে তোমাদের মাদীনায় ফিরে আসা পর্যন্ত দুজন করে মালাক পাহারায় নিযুক্ত নেই। পুনরায় তিনি লোকদের উদ্দেশে বলিলেন, “তোমরা রওনা হও”। অতএব আমরা রওনা হলাম এবং মাদীনাহ্ এসে পৌঁছলাম। সে সত্তার শপথ যাঁর নামে আমরা শপথ করি অথবা যাঁর নামে শপথ করা হয়- হাম্মাদ তাহাঁর ঊর্দ্ধতন রাবী কোন্টি বলেছেন সে সম্বন্ধে সন্দেহে পড়েছেন। আমরা মাদীনাহ্ প্রবেশ করে বাহনের পিঠের হাওদা তখনও খুলিনি- ইত্যবসরে আবদুল্লাহ ইবনি গাত্বফান গোত্রের লোকেরা আমাদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ করে, অথচ ইতোপূর্বে এরূপ কিছু করার দুঃসাহস তাদের হয়নি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২০২, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৯৯]

৩২২৮. আবু সাঈদ আল খুদ্রী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, হে আল্লাহ! আমাদের মুদ্দ ও সা-এ বারাকাত দিন এবং বারাকাতের সাথে আরও দুটি বারাকাত দান করুন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২০৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩২০০]

৩২২৯. ইয়াহ্ইয়া ইবনি আবু কাসীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সূ্ত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২০৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩২০১]

৩২৩০. আবু সাঈদ মাওলা আল মাহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি আল হাররার রাতগুলোতে আবু সাঈদ আল খুদ্রী [রাদি.]-এর নিকট এলেন এবং মাদীনাহ্ থেকে [কোথাও] চলে যাওয়ার পরামর্শ করিলেন। তিনি তাহাঁর কাছে এখানকার দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও নিজের বৃহৎ পরিবারের অভিযোগ করিলেন। তিনি তাঁকে আরও জানালেন যে, তিনি এখানকার ক্লেশ ও রুক্ষ আবহাওয়া বরদাশ্ত করিতে পারছেন না। আবু সাঈদ [রাদি.] তাঁকে বলিলেন, তোমার জন্য দুঃখ হয়, আমি তোমাকে মাদীনাহ্ ত্যাগের পরামর্শ দিতে পারি না। কারণ, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি, যে ব্যক্তি এখানকার কষ্ট সহ্য করে মৃত্যুবরণ করিবে, ক্বিয়ামাতের দিন অবশ্যই আমি তার জন্য শাফাআত করব অথবা সাক্ষী হব, যদি সে মুসলিম হয়ে থাকে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২০৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩২০১-৩২০২]

৩২৩১. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন : মদীনার দুপ্রান্তের প্রস্তরময় ভূমির মধ্যবর্তী স্থানকে আমি হারাম ঘোষণা করছি, যেমন ইব্রাহীম [আঃ] মাক্কাকে হারাম ঘোষণা করিয়াছেন। [অধঃস্তন রাবী] আবদুর রহমান বলেন, অতঃপর আবু সাঈদ [রাদি.] যদি আমাদের কারও হাতে পাখি দেখিতে পেতেন তবে তিনি তার হাত থেকে পাখিকে মুক্ত করে ছেড়ে দিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২০৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩২০৩]

৩২৩২. সাহ্‌ল ইবনি হুনায়ফ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর হাত দিয়ে মদীনার দিকে ইঙ্গিত করে বললেনঃ ঐ স্থান হারাম ও নিরাপদ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২০৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩২০৪]

৩২৩৩. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা মাদীনায় এলাম এবং তা ছিল অস্বাস্থ্যকর স্থান। আবু বকর [রাদি.] ও বিলাল [রাদি.] অসুস্থ হয়ে পড়লেন। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সাহাবীগণের অসুস্থতা লক্ষ্য করে দুআ করিলেন :

اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَمَا حَبَّبْتَ مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ وَصَحِّحْهَا وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِهَا وَمُدِّهَا وَحَوِّلْ حُمَّاهَا إِلَى الْجُحْفَةِ

“হে আল্লাহ! মাদীনাকে আমাদের জন্য প্রিয় স্থান করুন যেমন মাক্কাকে প্রিয় স্থান করিয়াছেন অথবা আরও অধিক, তাকে স্বাস্থ্যকর স্থানে পরিণত করুন, আমাদের জন্য এখানকার সা ও মুদ্দ-এ বারাকাত দান করুন এবং জ্বর জুহফায় সরিয়ে দিন”।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২০৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩২০৫]

৩২৩৪. হিশাম ইবনি উরওয়াহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২০৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩২০৬].

৩২৩৫. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি : যে ব্যক্তি এখানকার দুঃখ কষ্ট সহ্য করে আমি ক্বিয়ামাতের দিন অবশ্যই তার জন্য শাফাআত করব অথবা তার পক্ষে সাক্ষী হব।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২১০, ইসলামিক সেন্টার- ৩২০৭]

৩২৩৬. যুবায়রের আযাদকৃত গোলাম ইউহান্নিস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি ফিৎনার সময় আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.]-এর নিকট বসা ছিলেন। তার নিকট তার এক আযাদকৃত বাঁদী সালাম দিয়ে বলিল, হে আবু আবদুর রহমান! আমি [মাদীনাহ্ থেকে] বের হয়ে যাওয়ার ইচ্ছা করছি। আমাদের উপর দিয়ে কঠিন সময় অতিবাহিত হচ্ছে। আবদুল্লাহ [রাদি.] তাকে বলিলেন, বোকা মেয়ে, থেকে যাও। আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি : “যে ব্যক্তি মদীনার দুঃখ কষ্ট ও বিপদাপদে ধৈর্যধারণ করিবে আমি ক্বিয়ামাতের দিন তার পক্ষে সাক্ষী হব অথবা তার শাফাআতকারী হব।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২১১, ইসলামিক সেন্টার- ৩২০৮]

৩২৩৭. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি : যে ব্যক্তি এখানকার দুঃখকষ্ঠ ও বিপদাপদে ধৈর্যধারণ করে আমি ক্বিয়ামাতের দিন তার পক্ষে সাক্ষী হব অথবা তার শাফাআতকারী হব। এখানকার বলিতে মাদীনাকে বুঝানো হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২১২, ইসলামিক সেন্টার- ৩২০৯]

৩২৩৮. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ আমার উম্মতের যে ব্যক্তি মদীনার দুঃখকষ্ট ও বিপদাপদে ধৈর্যধারণ করিবে, তার জন্যই আমি ক্বিয়ামাতের দিন শাফাআতকারী হব অথবা তার পক্ষে সাক্ষী হব।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২১৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩২১০]

৩২৩৯. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে এ সুত্র হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর আগের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২১৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩২১১]

৩২৪০. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মদীনার দুঃখকষ্টের উপর ধৈর্যধারণ করিবে …। অবশিষ্টাংশ আগের হাদীসের অনুরূপ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২১৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩২১২]

৮৭. অধ্যায়ঃ মহামারী ও দাজ্জালের প্রবেশ থেকে মাদীনাহ্ সুরক্ষিত

৩২৪১. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মদীনার প্রবেশ পথে মালায়িকাহ্ প্রহরারত। তথায় মহামারী ও দাজ্জাল প্রবেশ করিতে পারবে না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২১৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩২১৩]

৩২৪২. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মাসীহ্ [দাজ্জাল] মাদীনাহ্ আক্রমণের উদ্দেশে এসে উহুদ পাহাড়ের পশ্চাতে অবতরণ করিবে এবং মালায়িকাহ্ তার মুখ [গতি] সিরিয়ার দিকে ফিরিয়ে দিবে আর তথায় সে ধ্বংস হইবে।{৪০}

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২১৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩২১৪]

{৪০} মাসীহ্ শব্দটি ঈসা [আঃ] এবং দাজ্জাল সম্পর্কে ব্যবহৃত হয়েছে। এর দুটি অর্থ বিদ্যমান। [ক] স্পর্শকারী- এ অর্থ গ্রহণ করার কারণ হল ঈসা [আঃ] কোন রোগীকে স্পর্শ করিতেন সে ভাল হয়ে যেতো। [খ] মামসূহ- তথা মিলানো বা লেপটানা- এটা দাজ্জাল সম্পর্কে ব্যবহার করা হয়েছে কেননা তার একচোখ টেরা। এজন্য তাকে মাসীহ্ বলা হয়। অথবা সে নিজেকে মাসীহ্ দাবী করিবে ফলে লোকে তার ধোঁকায় পড়ে ধ্বংস হইবে। কিন্তু তারা নয় যাদেরকে আল্লাহ হিদায়াত দিয়েছেন।

৮৮. অধ্যায়ঃ মাদীনাহ নিজের মধ্য থেকে নিকৃষ্ট জিনিস বের করে দিবে

৩২৪৩. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ [মদীনার] লোকদের উপর এমন এক সময় আসবে যখন কোন ব্যক্তি তার চাচাত ভাইকে এবং নিকটাত্মীয়কে ডেকে বলবে, আসো, কোন উর্বর এলাকায় গিয়ে বসতি স্থাপন করি, আসো, কোন শস্য-শ্যামল এলাকায় গিয়ে বাস করি। কিন্তু মাদীনাই তাদের জন্য উত্তম যদি তারা জানত! সে সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! যদি কোন ব্যক্তি মদীনার উপর বিরক্ত হয়ে চলে যায় তবে আল্লাহ্ তাআলা তার চাইতে উত্তম ব্যক্তি তার স্থলবর্তী করবেন। সাবধান! মাদীনাহ হচ্ছে হাপর তুল্য, যা নিজের মধ্য হইতে নিকৃষ্ট জিনিস [ময়লা] বের করে দেয়। ক্বিয়ামত সংঘটিত হইবে না, যতক্ষন মাদীনাহ তার বুক থেকে নিকৃষ্ট লোকদের বের করে না দিবে যেমন হাপর লোহার ময়লা দূর করে দেয়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২১৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩২১৫]

৩২৪৪. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি এমন একটি জনপদে [হিজরাতের] জন্য আদিষ্ট যা সমস্ত জনপদ খেয়ে ফেলবে [আধিপত্য বিস্তার করিবে]। লোকেরা তাকে ইয়াস্রিব নামে অভিহিত করেছে। অথচ তা হল মাদীনাহ। তা লোকদের এমনভাবে বের করিবে যেমনিভাবে হাপর লোহার ময়লা বের করে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২১৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩২১৬]

৩২৪৫. ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এরা দুজন বলেছেন: “যেমন হাপর ময়লা দূর করে” এবং “লোহা” শব্দের উল্লেখ করেননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২২০, ইসলামিক সেন্টার- ৩২১৭]

৩২৪৬. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক বেদুঈন [গ্রাম্য লোক] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট [ইসলামে দীক্ষিত হবার] বায়আত হল। অতঃপর বেদুঈন মাদীনায় প্রবল জ্বরে আক্রান্ত হল। সে নবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বলিল, হে মুহাম্মাদ! আমার বায়আত প্রত্যাহার করুন। তিনি তার কথা প্রত্যাখান করিলেন। সে পুনরায় তাহাঁর নিকট এসে বলিল, আমার বায়আত ফিরিয়ে নিন। তিনি তা অস্বীকার করিলেন। সে পুনরায় এসে বলিল, ইয়া মুহাম্মাদ! আমার বায়আত প্রত্যাহার করুন। তিনি এবারও অস্বীকার করিলেন। সে পুনরায় এসে বলিল, ইয়া মুহাম্মাদ! আমার বায়য়াত প্রত্যাহার করুন। তিনি এবারও অস্বীকার করিলেন। অতঃপর বেদুঈন [মাদীনাহ থেকে] চলে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ “মাদীনাহ হচ্ছে হাপর স্বরুপ, সে নিজের বুক থেকে ময়লা বহিস্কার করে দেয় এবং পবিত্র জিনিস ধুয়ে মুছে সাফ করে”।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২২১, ইসলামিক সেন্টার- ৩২১৮]

৩২৪৭. যায়দ ইবনি সাবিত [রাদি.]-এর সূত্রে নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এ হল ত্বয়বাহ্ [পবিত্র] অর্থাৎ মাদীনাহ, তা ময়লা দূর করে দেয় যেমন আগুন রুপার ময়লা দূর করে দেয়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২২২, ইসলামিক সেন্টার- ৩২১৯]

৩২৪৮. জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ আল্লাহ্ তাআলা মদীনার নাম রেখেছেন ত্বাবাহ্।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২২৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩২২০]

৮৯. অধ্যায়ঃ মাদীনাবাসী দের যে ক্ষতি করিতে চায় আল্লাহ্ তাকে গলিয়ে দিবেন

৩২৪৯. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আবুল ক্বাসিম রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি শহরের অর্থাৎ মদীনার অধিবাসীদের ক্ষতি করিতে চাইবে আল্লাহ্ তাকে এমনভাবে গলিয়ে দিবেন যেমন লবণ পানিতে গলে যায়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২২৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩২২১]

৩২৫০. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এখানকার [মদীনার] অধিবাসীদের ক্ষতি সাধনের ইচ্ছা করিবে, আল্লাহ্ তাকে গলিয়ে ফেলবেন যেমন লবণ পানিতে গলে যায়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২২৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩২২২]

৩২৫১. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.]–এর সুত্র হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ]-এর অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২২৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩২২৩]

৩২৫২. সাদ ইবনি আবু ওয়াক্কাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মাদীনাবাসীদের ক্ষতি করিতে চাইবে, আল্লাহ্ তাকে এমনভাবে গলিয়ে দিবেন যেমন লবণ পানিতে গলে যায়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২২৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩২২৪]

৩২৫৩. সাদ ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ …. উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে এ সূত্রে আকস্মিক আক্রমণ অথবা ক্ষতিসাধন এর কথা উল্লেখ আছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২২৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩২২৫]

৩২৫৪. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] ও সাদ ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ

اللَّهُمَّ بَارِكْ لأَهْلِ الْمَدِينَةِ فِي مُدِّهِمْ 

“হে আল্লাহ্! মাদীনাবাসীদের মুদ্দ-এ বারাকাত দান করুন” … অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্ববৎ। তবে এতে আরো আছে : “যে ব্যক্তি এখানকার অধিবাসীদের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করিবে, আল্লাহ্ তাকে এমনভাবে গলিয়ে দিবেন যেমন পানিতে লবণ গলে যায়”।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২২৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩২২৬]

৯০. অধ্যায়ঃ শহর ও জনপদের বিজয় সত্ত্বেও মাদীনায় বসবাসে উৎসাহিত করা

৩২৫৫. সুফ্ইয়ান ইবনি যুহায়র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ শাম [সিরিয়া] বিজিত হইবে। ফলে একদল লোক সপরিবারে মাদীনাহ থেকে চলে যাবে উট হাঁকাতে হাঁকাতে। অথচ মাদীনাহ তাদের জন্য কল্যাণকর ছিল যদি তারা বুঝতে পারত। এরপর ইয়ামান বিজিত হইবে। ফলে একদল লোক উট হাঁকিয়ে সপরিবারে চলে যাবে [মাদীনাহ থেকে]। অথচ মাদীনাই ছিল তাদের জন্য কল্যাণকর যদি তারা তা বুঝতে পারত। এরপর ইরাক বিজিত হইবে। ফলে একদল লোক উট হাঁকিয়ে সপরিবারে মাদীনাহ থেকে বের হয়ে যাবে অথচ মাদীনাই ছিল তাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তারা বুঝতে পারত।।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৩০, ইসলামিক সেন্টার- ৩২২৭]

৩২৫৬. সুফ্ইয়ান ইবনি যুহায়র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ ইয়ামান বিজিত হইবে। ফলে একদল লোক নিজেদের পরিবারবর্গ ও অনুসারীদের নিয়ে উট হাঁকিয়ে তথায় চলে যাবে। অথচ মাদীনাই ছিল তাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তারা বুঝতে পারত। অতঃপর শাম [সিরিয়া] বিজিত হইবে। ফলে একদল লোক নিজেদের পরিবার-পরিজন ও অনুসারীদের নিয়ে উট হাঁকিয়ে তথায় চলে যাবে। অথচ মাদীনাই ছিল তাদের জন্য কল্যাণকর যদি তারা বুঝতে পারত। অতঃপর ইরাক বিজিত হইবে। ফলে একদল লোক নিজেদের পরিবার ও অনুসারীদের নিয়ে উট হাঁকিয়ে তথায় চলে যাবে। অথচ মাদীনাই ছিল কল্যাণকর, যদি তারা বুঝতে পারত। {৪১}

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৩১, ইসলামিক সেন্টার- ৩২২৮]

{৪১} এ সকল হাদীসে রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর কতক মুজিযাপুর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী প্রকাশ পায় যা তাহাঁর ওফাতের ১৪ বছরের মধ্যে বাস্তবে রূপ লাভ করে। প্রথম রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] সিরিয়া, ইরাক ও ইয়ামান বিজয়ের খবর দেন। আর এটা খুলাফায়ি রাশিদার হাতে বাস্তবায়িত হয়। দ্বিতীয়তঃ লোকেরা ঐ সকল স্থানে বসতি স্থাপন করিবে এবং তথায় তাদের পরিবার-পরিজনকে নিয়ে যাবে এটাও বাস্তবায়িত হয়। তৃতীয়তঃ আল্লাহ্‌র রসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] যে ক্রমানুসারে বর্ণনা করিয়াছেন সে ক্রমানুসারেই একটির পর আরেকটির বিজয় সংঘটিত হয়েছে।

৯১. অধ্যায়ঃ মাদীনাবাসীরা যখন তা [মাদীনাহ] ত্যাগ করিবে

৩২৫৭. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাদীনাহ সম্পর্কে বলেছেনঃ “এখানকার লোকেরা মাদীনাহ ত্যাগ করিবে, সে স্থান তাদের জন্য কল্যাণকর হওয়া সত্ত্বেও। আর তা এমনভাবে জনশূন্য হয়ে যাবে যে, তা হিংস্র জন্তু ও পাখির আবাসে পরিণত হইবে।” ঈমাম মুসলিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আবু সফ্ওয়ান- আবদুল্লাহ ইবনি আবদুল মালিক ছিলেন ইয়াতীম। তিনি ইবনি জুরায়জের তত্ত্বাবধানে দশ বছর প্রতিপালিত হন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৩২, ইসলামিক সেন্টার- ৩২২৯]

৩২৫৮. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ লোকেরা মাদীনাহ ত্যাগ করিবে তাদের জন্য তা [মাদীনায় বসবাস] কল্যাণকর হওয়া সত্ত্বেও এবং কেবল হিংস্র জন্তু ও পাখিরাই সেখানে বসবাস করিবে। অতঃপর মুযায়নাহ্ গোত্রের দুটি রাখাল মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা হইবে উচ্চস্বরে নিজেদের মেষপাল হাঁকিয়ে। তারা সে স্থান হিংস্র প্রাণীতে ভর্তি দেখিতে পাবে। তারা সানিয়্যাতুল বিদা উপত্যকা পর্যন্ত পৌছে উপুড় হয়ে পড়ে যাবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৩৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৩০]


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply