ভরণপোষণের বিধান। স্বামীর উপর স্ত্রীর খরচাদি বহন ওয়াজিব
ভরণপোষণের বিধান। স্বামীর উপর স্ত্রীর খরচাদি বহন ওয়াজিব >> বুলুগুল মারাম এর মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায় – ১৩ঃ ভরণপোষণের বিধান
পরিচ্ছেদ ০১. স্বামীকে না জানিয়ে তার মাল স্ত্রীর খরচ করা জায়েয যখন যথেষ্ট পরিমাণে খরচ দিবে না
পরিচ্ছেদ ০২. খরচকারীর ফযীলতের বর্ণনা এবং খরচ করার সময় তার যে সমস্ত বিষয় লক্ষ্য করা উচিত
পরিচ্ছেদ ০৩. দাসের যাবতীয় ভরণপোষণের জন্য মনিবের ব্যয় করা আবশ্যক
পরিচ্ছেদ ০৪. স্বামীর উপর স্ত্রীর খরচাদি বহন ওয়াজিব
পরিচ্ছেদ ০৫. দায়িত্বশীলদের গুরু দায়িত্ব হচ্ছে অধীনস্তদের ব্য্যভার বহন করা
পরিচ্ছেদ ০৬. গর্ভবতী বিধবার ব্যয়ভার প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ ০৭. সন্তান, দাস এবং স্ত্রীর উপর খরচ করার আবশ্যকীয়তা
পরিচ্ছেদ ০৮. ভরণ-পোষণে অক্ষম ব্যক্তির বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে
পরিচ্ছেদ ০৯. যে স্বামী স্ত্রী থেকে দূরে থাকে এবং তাকে ভরণ-পোষন দেয় না
পরিচ্ছেদ ১০. ভরণপোষণের স্তর এবং কে প্রথম পাওয়ার উপযুক্ত?
পরিচ্ছেদ ১১. মাতা-পিতার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়ার গুরুত্বারোপ
পরিচ্ছেদ ০১. স্বামীকে না জানিয়ে তার মাল স্ত্রীর খরচ করা জায়েয যখন যথেষ্ট পরিমাণে খরচ দিবে না
১১৩৮ – আয়িশা[রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ উতবার কন্যা আবু সুফইয়ানের স্ত্রী হিন্দ্ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকটে উপস্থিত হয়ে বলেনঃ আবূ সুফ্ইয়ান একজন কৃপণ লোক। আমাকে এত পরিমাণ খরচ দেন না, যা আমার ও আমার সন্তানদের জন্য যথেষ্ট হইতে পারে যতক্ষণ না আমি তার অজান্তে মাল থেকে কিছু নিই। এমতাবস্থায় তাকে না জানিয়েই আমি তার মাল হইতে যা নিয়ে থাকি তাতে কি আমার কোন গুনাহ্ হয়? তখন তিনি বললেনঃ তোমার ও তোমার সন্তানের জন্য ন্যায়সঙ্গতভাবে যা যথেষ্ট হয় তা তুমি নিতে পার। {১২৪১}
{১২৪১} বুখারি ২২১১, ২৪৬০, ৫৩৫৯, ৫৩৭০, ৬৬:৪১, মুসলিম ১৭১৪, নাসায়ী ৫৪২০, ৩৫৩২, ৩৫৩৩, ইবনু মাযাহ ২২৯৩, আহমাদ ২৩৫৯৭, ২৩৭১৭, দারেমী ২২৫৯। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০২. খরচকারীর ফযীলতের বর্ণনা এবং খরচ করার সময় তার যে সমস্ত বিষয় লক্ষ্য করা উচিত
১১৩৯ – তারিক্ব মুহারিবী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা মাদীনায় আগমন করলাম, আর তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন, তিনি তাতে বলছিলেনঃ দাতার হাত উঁচু [মর্যাদাসম্পন্ন]। তোমার পোষ্যদের মধ্যে দানের কাজ আরম্ভ কর। [যেমন] তোমার মা, তোমার বাবা, তোমার বোন, ভাই; এভাবে যে যত তোমার নিকটাত্মীয় [তাকে পর্যায়ক্রমে দানের ব্যাপারে অগ্রাধিকার দাও]। {১১৪২}
{১২৪২} নাসায়ী ২৫৩২। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৩. দাসের যাবতীয় ভরণপোষণের জন্য মনিবের ব্যয় করা আবশ্যক
১১৪০ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ বলেছেনঃ দাস আহার ও পরিধেয় বস্ত্রের হকদার, আর তাকে তার সামর্থের বেশি কাজের বোঝা দেয়া যাবে না। {১২৪৩}
{১২৪৩} মুসলিম ১৬৬২, আহমাদ ৭৩১৭, ৮৩০৫ । হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৪. স্বামীর উপর স্ত্রীর খরচাদি বহন ওয়াজিব
১১৪১ – হাকীম ইবনু মু`আবিয়া আল্ কুশাইরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো স্ত্রীর হক তার উপর কতটুকু? তিনি বললেনঃ তুমি যখন আহার করিবে তখন তাকেও আহার করাবে; আর যখন তুমি বস্ত্র পরবে, তখন তাকেও বস্ত্র পরাবে। মুখমণ্ডলে প্রহার করিবে না। আর অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করিবে না। হাদিসটি ইতিপূর্বে ১০১৮ নং বর্ণিত হয়েছে। {১২৪৪}
{১২৪৪} আবূ দাউদ ২১৪২-২১৪৪, ইবনু মাযাহ ১৮৫০। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১১৪২ – জাবির ইবনু আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] হইতে হাজ্জ সংক্রান্ত দীর্ঘ হাদীসে মেয়েদের সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, তোমাদের উপর তাঁদের আহার ও পোশাক ন্যায্যভাবে বহন করা ন্যস্ত রহিয়াছে। {১২৪৫}
{১২৪৫} মুসলিম ১২১৬, বুখারি ১৫১৬, ১৫৬৮, ১৬৫১, ১৭৮৫, তিরমিজি ৮৫৬, ৮৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, নাসায়ী ২৯১, ৪২৯, ৬০৪, আবূ দাউদ ১৭৮৭, ১৭৮৮, ১৭৮৯, ইবনু মাযাহ ২৯১৩, ২৯১৯, ২৯৫১, আহমাদ ১৩৮০৬, ১৩৮২৬, ১৩৮৬৭, মালিক ৮১৬, ৮৩৫, ৮৩৬, দারেমী ১৮৫০, ১৮৯৯। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৫. দায়িত্বশীলদের গুরু দায়িত্ব হচ্ছে অধীনস্তদের ব্য্যভার বহন করা
১১৪৩ – আবদুল্লাহ ইবনু আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মানুষ পাপী হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে তার পোষ্যকে ভরণ-পোষণ না দিয়ে তাকে নষ্ট করে। {১২৪৬}
{১২৪৬} আহমাদ ৬৪৫৯, ৬৭৮০, আবূ দাউদ ১৬৯২। এ শব্দে হাদিসটি দুর্বল। ইমাম নাসায়ী তাহাঁর আশরাতুন নিসা [২৯৪, ২৯৫] গ্রন্থে উল্লেখ করিয়াছেন। আবূ দাউদও [১৬৯২] এটি বর্ণনা করিয়াছেন। যার পূর্ণ সনদ হচ্ছে। আবূ ইসহাক ওয়াহব বিন জাবির থেকে, তিনি আবদুল্লাহ বিন আমর থেকে বর্ণনা করিয়াছেন। নাসায়ীর বর্ণনায় [আরবি] এর স্থলে [আরবি] রহিয়াছে। শাইখ সুমাইর আয যুহাইর বলেন, ওয়াহব থেকে আবূ ইসহাক ছাড়া অন্য কেউ বর্ণনা করেননি। ইমাম নাসায়ী বলেন, আবূ ইসহাক মাজহুল। তবে ইবনু হিব্বান তার সিকাত [৫/৪৮৯] গ্রন্থে তাকে বিশ্বস্ত রাবীদের অন্তর্ভুক্ত করিয়াছেন। ইমাম যাহাবী তার মীযানুল ই`তিদাল [৪/৩৫০] গ্রন্থে বলেন, ইবনুল মাদীনী তাকে মাজহুল বলেছেন। তার অবস্থা জানা যায় না। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৬. গর্ভবতী বিধবার ব্যয়ভার প্রসঙ্গ
১১৪৪ – জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
[মারফু সূত্রে] গর্ভবতী বিধবা মেয়েদের প্রসঙ্গে বলেনঃ তাহাদের জন্য কোন খোর-পোষ হইবে না। [কেননা এরূপ ক্ষেত্রে স্বামীর মালের ওয়ারিস হওয়ার সুযোগ বিধবা মেয়েদের জন্য রহিয়াছে]। {১২৪৭}
{১২৪৭} ইমাম যাহাবী তাহাঁর আল মুহাযযিব ৬/৩০৩১ গ্রন্থে একে মারফু ও এর বর্ণনারকারীগণকে বিশ্বস্ত বলেছেন। ইবনু উসাইমীন তাহাঁর বুলুগুল মারামের শরাহ ৫/১৮৮ গ্রন্থে বলেন, হাদিসটি মারফু হিসেবে বিশুদ্ধ নয়, তবে মাওকুফ হিসেবে নিরাপদ আর মারফু হিসেবে শায। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১১৪৫ – বর্ণনাকারী হইতে বর্ণিতঃ
খরচ না পাওয়ার ব্যবস্থা ফাতিমাহ বিনতু ক্বাইস এর হাদিস মূলে আগে সাব্যস্ত হয়েছে।{১২৪৮}
{১২৪৮} মুসলিম ১৪৮০, তিরমিয়ী ১১৩৫, ১১৮০, নাসায়ী ৩২২২, ৩২৩৭, ৩২৪৪, আর দাউদ ২২৮৪, ২২২৮, ২২৮৯, ইবনু মাযাহ ১৮৬৯, ২০২৪, ২০৩৫, আহমাদ ২৬৫৬০, ২৬৫৭৫, মালেক ১২৩৪, দারেমী ২১৭৭, ২২৭৪, ২২৭৫। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৭. সন্তান, দাস এবং স্ত্রীর উপর খরচ করার আবশ্যকীয়তা
১১৪৬ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ উপরের হাত [দাতার হাত] নিচের [গ্রহীতার] হাত হইতে উত্তম, তোমাদের প্রত্যেকেই তার দান কার্য তার পোষ্যদের মধ্যে আরম্ভ করিবে। এমন যেন না হয় যে, বিবি বলিতে বাধ্য হইবে আমাকে খেতে তাও, না হয় তালাক দাও`। {১২৪৯}
{১২৪৯} ইমাম সুয়ূত্বী তাহাঁর আল জামেউস সগীর ৬২৫৩ গ্রন্থে একে জঈফ বলেছেন, আহমাদ শাকের মুসনাদ আহমাদ ১১/৭২ গ্রন্থে এর সনদকে সহিহ বলেছেন। শাইখ আলবানী তার ইরওয়াউল গালীল ৯৮৯ ও৮৯৪ গ্রন্থে সহিহ বলেছেন, সহীহুল জামে ৪৪৮১ একে হাসান বলেছেন, গায়াতুল মারাম ২৪৫ গ্রন্থে বলেন, এই শব্দে দুর্বল, একই গ্রন্থে ২৭০ নং হাদীসে একে দুর্বল বলেছেন। সহিহ তারগীব ১৯৬৫ গ্রন্থে একে হাসান লিগাইরিহী বলেছেন, সহিহ আবূ দাউদ ১৬৯২ গ্রন্থে একে হাসান বলেছেন। হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদ ০৮. ভরণ-পোষণে অক্ষম ব্যক্তির বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে
১১৪৭ – সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব হইতে বর্ণিতঃ
যে তার বিবিকে খেতে-পরতে দেয়ার সঙ্গতি রাখে না, তিনি বলেনঃ তাহাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানো যাবে। সাঈদ ইবনু মানসুর সুফইয়ান হইতে, তিনি আবূ যিনাদ হইতে, তিনি বলেনঃ সাঈদকে বললাম [এ ব্যবস্থা কি রাসূলের] সুন্নত মূলে। তিনি বলেলেনঃ সুন্নত মূলে। {১২৫০}
{১২৫০} ইমাম সনআনী তাহাঁর সুবুলুস সালাম ৩/৩৪৮ গ্রন্থে বলেন, সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব এর মুরসাল হাদিস আমলযোগ্য। ইমাম শওকানী তাহাঁর নাইলুল আওত্বার ৭/১৩২ গ্রন্থে একে শক্তিশালী মুরসাল বলেছেন। ইমাম যাহাবী তাহাঁর তানকীহুত তাহকীক ২/২২৫ গ্রন্থে একে মুনকার বলেছেন। শাইখ আলবানী তার আত্তালীকাত আর রযীয়্যাহ ২/২৫৮ গ্রন্থে বলেনঃ এর সনদ সহিহ, তবে মারফু হিসেবে বর্ণনা করলে মুরসাল হইবে। আর ইরওয়াউল গালীল ২১৬১ গ্রন্থে একে দুর্বল বলেছেন। হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদ ০৯. যে স্বামী স্ত্রী থেকে দূরে থাকে এবং তাকে ভরণ-পোষন দেয় না
১১৪৮ – উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি সৈন্যবাহিনীর পরিচালকবৃন্দের নিকট লিখেছিলেন, যেসব পুরুষ তাহাদের স্ত্রীদের থেকে দূরে থাকছে, তাহাদের ব্যাপারে যেন এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় যে, তারা তাহাদের স্ত্রীদের খোরপোষ আদায় করুক অথবা তালাক দিয়ে দিক যদি তালাকই দিয়ে দেয় তবে তাহাদের আবদ্ধ রাখাকালীন খরচ বিবিদের নিকটে তারা পাঠিয়ে দিক। {১২৫১}
{১২৫১} মুসনাদ শাফিঈ ২য় খণ্ড ৬৫ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ২১৩, বাইহাকি [৭/৪৬৯], এ হাদীসের একজন বর্ণনাকারী মুসলিম বিন খালিদ যানজী যিনি অধিক বিভ্রাটে পতিত হয়েছেন। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ১০. ভরণপোষণের স্তর এবং কে প্রথম পাওয়ার উপযুক্ত?
১১৪৯ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ কোন লোক নবী [সাঃআঃ] এর কাছে এসে বললোঃ আমার কাছে একটা দিনার [স্বর্ণমুদ্রা] রয়েছে । তিনি বললেনঃ তুমি ওটা তোমার জন্য ব্যবহার কর, লোকটা বললোঃ আরো একটা আছে, তিনি বললেনঃ তুমি ওটা তোমার সন্তানের জন্য খরচ কর। লোকটি বললোঃ আমার কাছে আরো একটা আছে, তিনি বললেনঃ তুমি ওটা তোমার স্ত্রীর জন্য খরচ কর। লোকটি বললোঃ আমার নিকট আরো একটা আছে, তিনি বললেনঃ তুমি সেটা তোমাদের খাদিমের জন্য খরচ কর। লোকটি বললোঃ আমার নিকট আরো আছে, তিনি বলিলেন, সে প্রসঙ্গে তুমি বেশি জানো। {১২৫২}
{১২৫২} আবূ দাউদ ১৬৯১, নাসায়ী ২৫৩৫, ৭৩৭১, আহমাদ ৭৩৭১, ৯৭৩৬। হাকিম [১ম খণ্ড ৪১৫ পৃষ্ঠা] তবে নাসায়ী এবং হাকিমে সন্তানের পূর্বে স্ত্রীর খরচের কথাও আছে । হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ১১. মাতা-পিতার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়ার গুরুত্বারোপ
১১৫০ – দাদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! কল্যাণ সাধন করার ক্ষেত্রে কে উত্তম? তিনি বললেনঃ তোমার মা। তারপর কে? তিনি বললেনঃ তোমার মা। তারপর কে? বললেনঃ তোমার মা। তারপরে কে? বললেনঃ তোমার পিতা। তারপর যে তোমার যত নিকটাত্মীয় সে তত তোমার কল্যাণের বেশি হক্বদার । {১২৫৩}
{১২৫৩} আবূ দাউদ ৫১৩৯, তিরমিজি ১৮৯৭, আহমাদ ১৯৫২৪, ১৯৫৪৪। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply