ভয়ের নামাজ পড়ার নিয়ম । নাসাঈ শরীফ এর হাদীস

ভয়ের নামাজ

ভয়ের নামাজ পড়ার নিয়ম । নাসাঈ শরীফ এর হাদীস >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ১৮, ভয়কালীন সালাত, হাদীস (১৫২৯ – ১৫৫৫)

পরিচ্ছেদ: ভয়কালীন সালাত

১৫২৯. ছালাবা ইবনি যাহ্‌দাম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমরা তাবারিস্থানে সাঈদ ইবনি আসী [রাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম। আর আমাদের সাথে হুযায়ফা ইব্‌নুল ইয়ামান [রাঃআঃ]-ও ছিলেন। তিনি বলিলেন, তোমাদের কে রাসূলূল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর সাথে ভয়কালীন নামাজ আদায় করেছে? তখন হুযায়ফা [রাঃআঃ] বলিলেন, আমি। আর তিনি সেই নামাজের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলিলেন, রাসূ্লুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এক গ্রুপের সাথে ভয়কালীন এক রাকআত নামাজ আদায় করিলেন। ঐ গ্রুপ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। আর দ্বিতীয় গ্রুপ তাহাঁর এবং শত্রুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিল। আর যে গ্রুপ তাহাঁর পিছনে ছিল তাহাদের সাথে এক রাকআত নামাজ আদায় করিলেন। তারপর এরা তাহাদের {যারা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ও শত্রুর মাঝে দাঁড়িয়েছিল} কাতারবন্দী হওয়ার স্থানে ফিরে গেল। এবং তারা [যারা নামাজ আদায় করেনি] আসলো। তখন তিনি তাহাদের নিয়ে এক রাকআত নামাজ আদায় করিলেন।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৩০. ছালাবা ইবনি যাহ্‌দাম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমরা সাঈদ ইবনি আসী [রাঃআঃ]-এর সাথে তাবারিস্থানে ছিলাম, তখন তিনি বলেন, তোমাদের কে রাসূলূল্লাহ্‌ [সাঃআঃ]-এর সাথে ভয়কালীন নামাজ আদায় করেছ? তখন হুযায়ফা [রাঃআঃ] বলিলেন, আমি। তারপর তিনি দাঁড়ালেন ও মানুষ তাহাঁর পিছনে দু কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। এক কাতার তাহাঁর পেছনে ও অন্য কাতার শত্রুর মুখোমুখি। তখন তিনি যারা তাহাঁর পেছনে ছিল তাহাদের নিয়ে এক রাকআত নামাজ আদায় করিলেন। তারপর এরা[শত্রুর মুখোমুখি] জায়গায় চলে গেল এবং ওরা আসলো। তখন তিনি তাঁদের নিয়ে এক রাকআত নামাজ আদায় করিলেন এবং তারা [ইমামের সাথে দ্বিতীয় রাকআত] আদায় করেনি।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৩১. যায়দ ইবনি সাবিত [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে হুযায়ফা [রাঃআঃ]-এর নামাজের অনুরুপ বর্ণনা করিয়াছেন।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

১৫৩২. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-এর ভাষ্য মতে আল্লাহ তাআলা নামাজ আবাসে অবস্থানকালে চার রাকআত এবং সফরে দুরাকআত আর ভয়কালীন সময়ে [ইমামের সাথে] এক রাকআত ফরয করিয়াছেন।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৩৩. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যিক্‌রদ্‌ নামক স্থানে নামাজে দাঁড়ালেন এবং অন্যান্য লোকেরাও তাহাঁর পেছনে দুকাতারে দাঁড়িয়ে গেল, এক কাতার তাহাঁর পেছনে ও অন্য কাতার শত্রুর মুখোমুখী, তখন তিনি যে কাতার তাহাঁর পেছনে তাহাদের নিয়ে এক রাকআত নামাজ আদায় করিলেন। তারপর এরা ওদের স্থানে ফিরে গেল এবং ওরা এসে গেল। তখন তিনি তাহাদের নিয়ে এক রাকআত নামাজ আদায় করিলেন এবং তারা [ইমামের সাথে দ্বিতীয় রাকআত] আদায় করেনি।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৩৪. আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, [একবার] রাসূলূল্লাহ্‌ [সাঃআঃ] নামাজে দাঁড়ালেন এবং অন্যান্য মানুষেরাও তাহাঁর সাথে দাঁড়িয়ে গেল, তিনি তাকবীর বলিলেন আর তারাও তাকবীর বলিল, তারপর তিনি রুকূ করলে তাঁদের কিছু লোকও রুকূ করিল, তারপর তিনি সিজদা করলে তারাও সিজদা করলো, এরপর তিনি দ্বিতীয় রাকআতে দাঁড়লেন। যারা তাহাঁর সাথে সিজদা করেছিল তারা সরে গেল এবং তাহাদের ভাইদেরকে পাহারা দিতে লাগল। তারপর দ্বিতীয় গ্রুপ এসে গেল ও নাবী [সাঃআঃ]-এর সাথে রুকূ করিল এবং সিজদা করিল। আর সমস্ত মানুষ নামাজে তাকবীর বলছিল কিন্তু তারা কতক কতককে পাহারা দিচ্ছিল।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৩৫. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, ভয়কালীন নামাজ দুটি সিজদা ভিন্ন কিছুই ছিল না। তোমাদের এই ঈমামদের পেছনে তোমাদের এই পাহারাদারদের আজ়কের নামাজের ন্যায়। হ্যাঁ; তা এক দলের পর আর এক দল পালাক্রমে আদায় করত। তাহাদের এক দল শত্রুর মুখোমুখী দাঁড়াত এবং এরা সকলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে থাকত। তাঁদের একদল রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে সিজদা করত। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দাঁড়ালে তারাও সকলে তাহাঁর সাথে দাঁড়াত। তারপর তিনি রুকূ করলে তারাও সকলে তাহাঁর সাথে রুকূ করত। তারপর তিনি সিজদা করলে যারা প্রথমে দাঁড়িয়ে ছিল, তাঁরা তাহাঁর সাথে সিজদা করত। তারপর যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বসতেন এবং যারা তাহাঁর সাথে তাঁদের নামাজের শেষে সিজদা করেছিল, তাঁরা সিজদা করত যারা [নামাজের শেষে] তাঁদের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল, অতঃপর তাঁরা বসে যেত, তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁদের সালাম দ্বারা একত্রিত করে ফেলতেন।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

১৫৩৬. সহ্‌ল ইবনি আবু হাছমা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [একবার] তাঁদের নিয়ে ভয়কালীন নামাজ আদায় করছিলেন। তাহাঁর পেছনে একদল কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল এবং অন্যদল শত্রুর মুখোমুখী কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। তিনি তাঁদের নিয়ে এক রাকআত নামাজ আদায় করিলেন। তারপর এরা চলে এবং [যারা শত্রুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল] তারা আসল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাদের নিয়ে এক রাকআত নামাজ আদায় করিলেন। তারপর এক দলের পর আর এক দল দাঁড়িয়ে গেল এবং এক রাকআত এক রাকআত নামাজ আদায় করে নিল।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৩৭. ইবনি মুহাম্মাদ [রহঃ] হইতে বর্ণীত

ঐ সাহাবী যিনি যাতুর রিকার জিহাদের দিন রাসুলূল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর সাথে ভয়কালীন নামাজ আদায় করেছিলেন, তার থেকে বর্ণিত যে, একদল রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। আর একদল শত্রুর মুখোমুখী [দাঁড়িয়ে গেল] যারা তাহাঁর সাথে ছিল তিনি তাঁদের নিয়ে এক রাকআত নামাজ আদায় করিলেন। তারপর তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন এবং তাঁরা নিজ়েদের নামাজ পূর্ণ করে নিল। তারপর তারা ফিরে গিয়ে শত্রুর মুখোমুখী কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল আর দ্বিতীয় দল এসে গেলে তিনি তাঁদের নিয়ে ঐ রাকআত আদায় করে নিলেন, যে রাকআত তাহাঁর নামাজ থেকে অবশিষ্ট রয়ে গিয়েছিল। তারপর তিনি ঠায় বসে রইলেন এবং তাঁরা নিজেদের অবশিষ্ট নামাজ পূর্ণ করে নিল। তারপর তিনি তাঁদের নিয়ে সালাম ফিরালেন।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৩৮. ইসমাঈল ইবনি মাসঊদ [রহঃ] হইতে বর্ণীত

সালিমের পিতা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুই দলের একটির সাথে এক রাকআত নামাজ আদায় করিলেন, আর একদল শত্রুর মুখোমুখী। তারপর এরা চলে গেল এবং ওদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল, এবং ওরা এসে গেল, তখন তিনি তাঁদের নিয়ে দ্বিতীয় এক রাকআত নামাজ আদায় করিলেন, তারপর তাহাদের নিয়ে সালাম ফিরালেন, তারপর এরা দাঁড়িয়ে গেল এবং নিজেদের রাকআত পূর্ণ করে নিল, তারপর [যারা শত্রুর মুখোমুখি ছিল] তারা এসে নিজেদের রাকআত পূর্ণ করে নিল।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৩৯. আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমি নজ্‌দের দিকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে এক জিহাদে গিয়েছিলাম। যখন আমরা শত্রুর মুখোমুখী হলাম এবং তাহাদের সামনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম, তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের নিয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেন। তাহাঁর সাথে আমাদের একদলও দাঁড়িয়ে গেল এবং অন্য দল শত্রুর সামনে চলে গেল। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এবং তাহাঁর সাথে যারা ছিল তাঁরা একটি তাঁরা একটি রূকূ এবং দুটি সিজদা করিল। তারপর এরা চলে গেল, তাহাদের স্থানে যারা নামাজ আদায় করেনি। আর ঐ গ্রুপ আসলো যারা নামাজ আদায় করেছিলেন। তখন তিনি তাঁদের নিয়ে একটি রূকূ এবং দুটি সিজদা আদায় করিলেন। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সালাম ফিরালেন। তখন প্রত্যেক মুসলমান দাঁড়িয়ে গেল এবং নিজেদের একটি রূকূ ও দুটি সিজদা আদায় করে নিল।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৪০. যুহুরী [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ] বর্ণনা করিতেন যে, তিনি [একবার] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে ভয়কালীন নামাজ আদায় করেছিলেন। তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] তাকবীর বলিলেন এবং তাহাঁর পেছনে আমাদের একটি দল কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। আর একদল শত্রুর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে গেল। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁদের নিয়ে একটি রূকূ এবং দুটি সিজদা করিলেন। তারপর এরা ফিরে গেল এবং শত্রুর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে গেল। আর দ্বিতীয় দল এসে গেল এবং নাবী [সাঃআঃ]-এর সাথে নামাজ আদায় করিল ও তিনি অনুরূপ করিলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। তারপর উভয় গ্রুপের প্রত্যেকে দাঁড়িয়ে গেল এবং নিজেদের এ্কটি রূকূ এবং দুটি সিজদা আদায় করে নিল।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

১৫৪১. আব্দুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ্‌ [সাঃআঃ]-[একবার] ভয়কালীন নামাজ আদায় করিলেন, তিনি দাঁড়ালেন ও তাকবীর বলিলেন তখন তাহাঁর পেছনে আমাদের একদল নামাজ আদায় করিল। আর অন্যদল শত্রুর মুখোমুখী। তখন রাসূলূল্লাহ্‌ [সাঃআঃ]-তাঁদের নিয়ে একটি রূকূ এবং দুটি সিজদা করিলেন। তারপর এরা ফিরে গেল এবং সালাম ফিরাল না ও শত্রুর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে গেল। আর তাহাদের স্থানে কাতারবন্দী হয়ে গেল। আর দ্বিতীয় দল এসে গেল এবং রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর পেছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। তখন রাসূলূল্লাহ্‌ [সাঃআঃ] তাঁদের নিয়ে একটি রূকূ এবং দুটি সিজদা আদায় করিলেন। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সালাম ফিরালেন ইত্যবসরে তিনি দুটি রূকূ এবং চারটি সিজদা পূর্ণ করে ফেলেছিলেন। তারপর উভয় দল দাঁড়িয়ে গেল এবং তাঁদের প্রত্যেকে নিজেদের একটি একটি রূকূ এবং দুটি সিজদা আদায় করে নিল।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

১৫৪২. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কোন একদিন ভয়কালীন নামাজ আদায় করেন। তখন তাহাঁর সাথে একদল দাঁড়িয়ে গেল এবং অন্য আর একদল শত্রুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেল। তখন তিনি যারা তাহাঁর সাথে ছিল তাঁদের নিয়ে এক রাকআত নামাজ আদায় করিলেন। তারপর তাঁরা চলে গেল এবং অন্য দল এসে গেল। তখন তিনি তাঁদের নিয়ে এক রাকআত নামাজ আদায় করিলেন, তারপর উভয় দল এক এক রাকআত নামাজ পূর্ণ করে নিল।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৪৩. মারওয়ান ইবনি হাকাম [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি আবু হুরাইরা [রাঃআঃ]-কে প্রশ্ন করিলেন যে, আপনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে ভয়কালীন নামাজ আদায় করেছিলেন? তখন আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] বলিলেন, হ্যাঁ; তিনি প্রশ্ন করিলেন, কখন? তিনি বলিলেন, নজ্‌দের জিহাদের বৎসর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আসরের নামাজে দাঁড়ালেন এবং তাহাঁর সাথে একটি দল দাঁড়িয়ে গেল। আর অন্য দল শত্রুর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে গেল। আর তাহাদের পিঠ কিবলামুখে ছিল। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকবীর বলিলেন। যারা তাহাঁর সাথে ছিল তারাও সকলে তাকবীর বলিল। আর যারা শত্রুর মুখোমুখী ছিল তারাও। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি রূকূ আদায় করিলেন এবং যাঁরা তাহাঁর সাথে ছিল তারাও তাহাঁর সাথে একটি রূকূ আদায় করিল। তারপর তিনি সিজদা করিলেন এবং যে দল তাহাঁর সাথে ছিল তাঁরাও সিজদা করিল। আর দ্বিতীয় দল শত্রুর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে রইল। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দাঁড়িয়ে গেলেন এবং যে দল তাহাঁর সাথে ছিল তাঁরাও দাঁড়িয়ে গেল এবং শত্রুর অভিমুখে চলে গেল এবং তাহাদের মুখোমুখী হল। আর যে দল শত্রুর মুখোমুখী ছিল তাঁরা এসে গেল এবং রূকূ ও সিজদা করিল। আর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যেরূপ ছিলেন সেরুপ দাঁড়িয়ে রইলেন। তারপর তারাও দাঁড়িয়ে গেল তো রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দ্বিতীয় আরও একটি রূকূ আদায় করিলেন, আর তারাও তাহাঁর সাথে একটি রূকূ আদায় করিলেন এবং তিনি সিজদা করলে্ন তো তারাও তাহাঁর সাথে সিজদা করিল। তারপর ঐ গ্রুপ আসল যারা শত্রুর মুখোমুখী ছিল। তাঁরা রূকূ করিল ও সিজদা করিল, আর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এবং যারা তাহাঁর সাথে ছিল তারা বসে রইল। তারপর সালাম ফিরানো বাকী থাকলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সালাম ফিরালেন এবং সকলে সালাম ফিরালেন। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর দুরাকআত আদায় হয়েছিল আর উভয় দলের প্রত্যেকেরও দু দুরাকআত আদায় হয়েছিল।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৪৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মুশরিকদের অবরোধ করে দাজনান পর্বত এবং উসফান নামক স্থানের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করছিলেন। তখন মুশরিকরা বলিল যে, এদের জন্য এমন একটি নামাজ [আসর] রয়েছে, যা তাঁদের কাছে তাঁদের সন্তান-সন্ততি এবং কুমারী স্ত্রী হইতেও বেশী প্রিয়। তোমরা দৃঢ় সিদ্ধান্ত নাও। তারপর তাহাদের উপর একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়। তখন জিবরাঈল [আঃ] এসে তাঁকে বলিলেন যেন তিনি তাহাঁর সাহাবাদের দুদলে বিভক্ত করে দেন এবং তাঁদের একদলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন ও আর একদল যেন তাঁদের শত্রুর মুখোমুখি থাকে। তাঁরা সতর্ক ও সশস্ত্র থাকিবে আর তিনি তাঁদের নিয়ে এক রাকআত নামাজ আদায় করবেন। তারপর এরা পিছে সরে যাবে এবং তাঁরা [অন্যদল] সামনে আসবে এবং তাহাদের নিয়ে তিনি এক রাকআত নামাজ আদায় করবেন। তাঁদের জন্য হইবে এক এক রাকআত করে আর নাবী [সাঃআঃ]-এর হইবে দুরাকআত।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৪৫. জাবির ইবনি আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [একবার] তাঁদের সাথে ভয়কালীন নামাজ আদায় করিলেন। তখন তাহাঁর সামনে এক কাতার এবং তাহাঁর পেছনে অন্য আর এক কাতার দাঁড়িয়ে গেল। তিনি যারা তাহাঁর পেছনে ছিল তাঁদের নিয়ে একটি রুকূ এবং দুটি সিজদা আদায় করিলেন। তারপর এরা সামনে এসে গেল এবং তাঁদের সাথীদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল। আর তারা এসে গেল এবং এদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁদের নিয়েও একটি রুকূ এবং দুটো সিজদা আদায় করিলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। এভাবে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর হল দুরাকআত এবং তাঁদের হল এক এক রাকআত।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৪৬. জাবির ইবনি আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমরা একবার রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম, তখন নামাজের ইকামত দেওয়া হলো। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দাঁড়িয়ে গেলেন এবং তাহাঁর পেছনে একটি দল দাঁড়িয়ে গেল। আর একটি দল শত্রুর মুখোমুখী। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যারা তাহাঁর পেছনে ছিল তাঁদের নিয়ে একটি রুকূ এবং দুটা সিজদা করিলেন। তারপর এরা চলে গেল এবং যারা শত্রুর মুখোমুখী ছিল, তাঁদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল। আর ঐ দল যারা শত্রুর মুখোমুখী ছিল, তারা এসে গেল। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁদের নিয়ে একটি রুকূ এবং দুটি সিজদা করিলেন। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সালাম ফিরিয়ে ফেললেন, যারা তাহাঁর পেছনে ছিল তাঁরাও সালাম ফিরিয়ে ফেলল এবং অন্য দলও সালাম ফিরিয়ে ফেলল।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৪৭. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমরা একবার রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে ভয়কালীন নামাজে উপস্থিত ছিলাম। আমরা তাহাঁর পেছনে দু কাতারে দাঁড়িয়ে গেলাম, আর শত্রু বাহিনী আমাদের এবং কিবলার মধ্যবর্তী স্থানে ছিল। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকবীর বলিলেন আর আমরাও তাকবীর বললাম। তিনি রুকূ করিলেন আর আমরাও রুকূ করলাম। তিনি মাথা উঠালেন আর আমরাও মাথা উঠালাম। যখন তিনি সিজদায় যাওয়ার জন্য মাথা নত করিলেন তখন তিনি {রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]}-ও সিজদা করিলেন এবং তাহাঁর কাছে যারা ছিল তারাও। আর দ্বিতীয় কাতার দাঁড়িয়ে থাকলো। যখন তিনি এবং ঐ কাতার যা তাহাঁর কাছে ছিল মাথা উঠালেন। তখন দ্বিতীয় কাতার দাঁড়িয়ে গেল। তারপর দ্বিতীয় কাতার সিজদা করিল নিজেদের স্থানেই যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাথা উঠালেন। তারপর ঐ কাতার পেছনে সরে গেল, যা নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে ছিল। আর অন্য কাতার আগে বেড়ে গেল এবং তাঁরা তাঁদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল। এরা অন্য গ্রুপের স্থানে যথাযথভাবে দাঁড়িয়ে গেল। আর নাবী [সাঃআঃ] রুকূ করিলেন তো আমরাও রুকূ করলাম। অতঃপর তিনি যখন মাথা উঠালেন তো আমরাও মাথা উঠালাম। আর যখন তিনি সিজদার জন্য আনত মস্তক হলেন, যারা তাহাঁর কাছে ছিল তাঁরাও সিজদা করিল এবং অন্যরা দাঁড়িয়ে রইল। আর যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাথা উঠালেন এবং তাহাঁর সাথে যারা ছিল তাঁরাও মাথা উঠালেন, অন্য গ্রুপ সিজদা করিল। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৪৮. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমরা একবার নাবী [সাঃআঃ]-এর সাথে নাখ্ল নামক স্থানে ছিলাম। আর শত্রু বাহিনী আমাদের এবং কিবলার মধ্যবর্তী স্থানে ছিল। ছিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকবীর বলিলেন আর সকলে তাকবীর বলিল। তারপর তিনি রুকূ করিলেন এবং সকলে রুকূ করিল। তারপর নাবী [সাঃআঃ] সিজদা করিলেন এবং তাহাঁর কাছে যারা ছিল তাহাঁরও, আর অন্যদল দাঁড়িয়ে তাঁদের পাহারা দিচ্ছিল। যখন তাঁরা দাঁড়িয়ে গেল অন্য দল তাঁদের ঐ স্থানেই সিজদা করিল যেখানে তাঁরা ছিল। তারপর এরা তাঁদের কাতার বন্দী স্থানে সম্মুখে অগ্রসর হলো। আর তিনি রুকূ করিলেন এবং সবাই রুকূ করিল। তিনি মাথা উঠালেন তো সবাই মাথা উঠাল। তারপর নাবী [সাঃআঃ] সিজদা করিলেন এবং ঐ কাতারও যারা তাহাঁর কাছে ছিল। আর অন্য দল তাঁদের পাহারা দিচ্ছিল। যখন এরা সিজদা করিলও বসে গেল তখন অন্য দল তাঁদের স্থানেই সিজদা করে নিল। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন। জাবির বলেন, যেরূপ তোমাদের আমীরগণ করে থাকে।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৪৯. ইবনি বাশ্‌শার [রহঃ] হইতে বর্ণীত

আমার কিতাব থেকে মুখস্থ রয়েছে যে, নাবী [সাঃআঃ] শত্রুর মুখোমুখী উসফান নামক স্থানে কাতারবন্দী অবস্থায় ছিলেন। আর মুশরিকদের মধ্যে খালিদ ইবনি ওয়ালীদও ছিল, তখন নাবী [সাঃআঃ] তাঁদের নিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করিলেন। মুশরিকরা বলিল, নিশ্চয় তাহাদের জন্য অত্র নামাজের পরে এমন একটি নামাজ [আসর] রয়েছে, যা তাহাদের কাছে তাহাদের সহায়-সম্পদ এবং তাহাদের সন্তান-সন্ততি থেকেও অধিক প্রিয়। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁদের নিয়ে আসরের নামাজ আদায় করিলেন। আর তাহাঁর পেছনে তাহাদের দুটি কাতার করিলেন এবং তাহাদের সবাইকে নিয়ে রুকূ করিলেন, যখন তাঁরা তাহাদের মাথা উঠালেন, তখন নাবী করীম [সাঃআঃ] ঐ কাতার নিয়ে সিজদা করিলেন যা তাহাঁর কাছে ছিল এবং অন্যরা দাড়িয়ে রইল। আর যখন তারা তাহাদের সিজদা থেকে অবসর হয়ে গেল, তখন পেছনে সারির লোকেরা তাহাঁর সাথে সিজদা করিল। তারপর নাবী করীম [সাঃআঃ] সালাম ফিরিয়ে ফেললেন।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৫০. আবু আয়্যাশ যুরাকী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমরা [একবার] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে উসফান নামক স্থানে ছিলাম, তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের নিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করিলেন, আর সে দিন মুশরিকদের মধ্যে খালিদ ইবনি ওয়ালীদও ছিল। তখন মুশরিকরা বলিল, আমরা [জোহরের নামাজের সময়] তাহাদের ব্যাপারে অন্য মনস্কতা প্রদর্শন করে ফেলেছি, আমরা তাহাদের ব্যাপারে উদাসীনতা প্রদর্শন করে ফেলেছি, তখনই জোহর এবং আসরের নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে ভয়কালীন নামাজের বিধান অবতীর্ণ হল। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের নিয়ে আসরের নামাজ আদায়কালে আমাদের দুদলে ভাগ করে দিলেন, এক দল নাবী [সাঃআঃ]-এর সাথে নামাজ আদায় করছিল এবং অন্য দল তাঁদের পাহারা দিচ্ছিল, আর তিনি যারা তাহাঁর কাছে ছিল এবং যারা তাঁদের পাহারা দিচ্ছিল উভয় দলকে নিয়ে তাকবীর বলিলেন, তারপর রুকূ করিলেন। এবং সকলে তাহাঁর সাথে রুকূ করিলেন। তারপর যারা তাহাঁর কাছে ছিল তাঁরা সিজদা করিল। এরা যারা তাঁরা কাছে ছিল পিছু হটে গেল। অন্যরা আগে বেড়ে গেল এবং তাঁরা সিজদা করিল, তারপর তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন ও যারা তাহাঁর কাছে ছিল এবং যারা তাঁদের পাহারা দিচ্ছিল তাঁদের সবাইকে নিয়ে দ্বিতীয় রুকূ করিলেন। তারপর তিনি সিজদা করিলেন তাহাদের নিয়ে যারা তাহাঁর কাছে ছিল। তারপর তারা পিছু হটে গেল এবং সাথীদের কাতারের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল ও অন্যরা আগে বেড়ে গেল ও সিজদা করিল। তারপর তিনি তাঁদের নিয়ে সালাম ফিরালেন। অতএব তাঁদের প্রত্যেকের জন্য নামাজ হল দু দু রাকআত ইমামের সাথে। আর তিনি একবার বনী সুলাইমের ভূমিতেও নামাজ আদায় করেছিলেন।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৫১. আবু বাকরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি দল নিয়ে ভয়কালীন দুরাকআত নামাজ আদায় করিলেন। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন। অন্য আর একটি দল নিয়েও দুরাকআত নামাজ আদায় করিলেন। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন। অতএব, নাবী [সাঃআঃ] চার রাকআত নামাজ আদায় করিলেন।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৫২. জাবির ইবনি আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] তাহাঁর সাহাবীদের একটি দল নিয়ে দুরাকআত নামাজ আদায় করেন। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন তারপর অন্যদের নিয়েও দুরাকআত নামাজ আদায় করেন ও সালাম ফিরাল।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৫৩. সহ্ল ইবনি আবু হাছমা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, ঈমাম কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াবে এবং তাহাদের এক দল ইমামের সাথে দাঁড়াবে, আর এক দল শত্রু মুখোমুখী দাঁড়াবে এবং তাহাদের চেহারা থাকিবে শত্রুর দিকে। ঈমাম তাহাদের নিয়ে একটি রুকূ করবেন এবং তাঁরা তাহাদের জন্য একটি রুকূ করিবে ও তারা দুটা সিজদা করিবে তাহাদের স্থানে। তারপর এরা তাহাদের স্থানে চলে যাবে ও ওরা এসে যাবে। ঈমাম তাহাদের নিয়ে রুকূ করিবে ও দুটা সিজদা করিবে। অতএব নামাজ ইমামের জন্য হইবে দুরাকআত আর তাহাদের জন্য হইবে এক রাকআত। অতঃপর তারা একটি রুকূ আদায় করিবে ও দুটা সিজদা করিবে।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৫৪. জাবির ইবনি আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সাথীদের নিয়ে ভয়কালীন নামাজ আদায় করিলেন। একটি দল তাহাঁর সাথে নামাজ আদায় করিল এবং অন্য আর এক দল, তাঁদের চেহারা ছিল শত্রুর অভিমুখে। তিনি তাঁদের নিয়ে দুরাকআত নামাজ আদায় করিলেন। তারপর তাঁরা অন্যদের স্থানে দাঁড়িয়ে গেল এবং অন্যরা এসে গেল। তিনি তাঁদের নিয়ে দুরাকআত নামাজ আদায় করিলেন, তারপর তিনি সালাম ফিরালেন।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৫৫. আবু বাকরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত যে, তিনি একবার যারা তাহাঁর পেছনে ছিল তাঁদের নিয়ে এবং যারা পরে এসেছিল তাঁদের নিয়ে দুরাকআত ভয়কালীন নামাজ আদায় করেন। অতএব, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর জন্য হয়েছিল চার রাকআত এবং এদের জন্য হয়েছিল দুরাকআত।

ভয়ের নামাজ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

One response to “ভয়ের নামাজ পড়ার নিয়ম । নাসাঈ শরীফ এর হাদীস”

Leave a Reply