বৃষ্টি বর্ষণের মতো বিপদাপদ পতিত হওয়া
বৃষ্টি বর্ষণের মতো বিপদাপদ পতিত হওয়া >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৩. অধ্যায়ঃ বৃষ্টি বর্ষণের মতো বিপদাপদ পতিত হওয়া
৭১৩৭. উসামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একদিন নবী [সাঃআঃ] মাদীনার সুউচ্চ এক অট্টালিকার উপর আরোহী হয়ে বলিলেন, আমি যা কিছু দেখি তোমরা কি তা দেখছ? আমি তোমাদের ঘরের ভিতরে বৃষ্টিপাতের মতো দুর্যোগ নিপতিত হবার স্থানসমূহ দেখিতে পাচ্ছি। {১১}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৮১, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৩৮]
{১১} এটা নবী [সাঃ]-এর বিশেষ মুজিযা। তিনি [সাঃ] অদূর ভবিষ্যতে কিয়ামাতের নিকটবর্তী সময়ে এ পৃথিবীতে কি ধরনের, কত প্রকারের ফিত্নাহ্ আসবে তা প্রত্যক্ষ করে সে কথা বলেছেন।
৭১৩৮. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
অবিকল হাদীস বর্ণিতে আছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৮২, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৩৯]
৭১৩৯. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: অচিরেই এমন ফিতনার আত্মপ্রকাশ হইবে, যা উপবিষ্ট ব্যক্তি দণ্ডায়মান ব্যক্তি হইতে উত্তম থাকিবে। আর দণ্ডায়মান ব্যক্তি তখন চলমান ব্যক্তি হইতে উত্তম থাকিবে। আর চলমান ব্যক্তি তখন দ্রুতগামী ব্যক্তি হইতে ভাল থাকিবে। যে ব্যক্তি সে ফিতনায় যখন জড়িয়ে পড়বে তাকে সে ফিতনা ধ্বংস করে দিবে। আর যে ব্যক্তি কোন আশ্রয়স্থল পাবে, তার সেটা দ্বারা আশ্রয় নেয়া বাঞ্ছনীয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৪০]
৭১৪০. নাওফাল ইবনি মুআবিয়াহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবু হুরায়রা্ [রাদি.]-এর এ হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু আবু বকর [রাদি.] এতে নামাজের কথা বর্ধিত উল্লেখ করিয়াছেন। তিনি বলেছেন, নামাজসমূহের মধ্যে এমন একটি নামাজ আছে যার সে নামাজ ছুটে গেল তার যেন পরিবার-পরিজন ও সমুদয় ধন-সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেল। {১২}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৪১]
৭১৪১. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] বলেছেন, অচিরেই ফিতনা দেখা দিবে। তখন ঘুমন্ত লোক জাগ্রত লোক থেকে ভাল থাকিবে। আর জাগ্রত ব্যক্তি তখন দাঁড়ানো ব্যক্তি থেকে ভাল থাকিবে এবং দণ্ডায়মান লোক দ্রুতগামী লোক হইতে ভাল থাকিবে। তখন যদি কোন লোক আশ্রয়স্থল অথবা মুক্তস্থান পায় তবে তাতে তার আশ্রয় গ্রহণ করা উচিত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৪২]
৭১৪২. উসমান আশ্ শাহ্হাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, মুসলিম ইবনি আবু বকরাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার স্বীয় ভূমিতে ছিলেন। এমতাবস্থায় আমি ও ফারকাদ সাবাখী তার নিকট গেলাম এবং তাকে প্রশ্ন করলাম, আপনি কি আপনার আব্বাকে বিপদাপদ সম্পর্কে কোন হাদীস বর্ণনা করিতে শুনেছেন? জবাবে তিনি বলিলেন, হ্যাঁ! আমি আবু বকরাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে এ কথা বর্ণনা করিতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ অচিরেই দুর্যোগ দেখা দিবে। সাবধান, সেখানে ফিতনা দেখা দিবে। তখন বসে থাকা লোক চলমান লোক থেকে নিরাপদ থাকিবে। আর চলমান লোক তখন দ্রুতগামী লোক হইতে ভাল থাকিবে। সাবধান যখন ফিতনা আপতিত হইবে অথবা সংঘটিত হইবে, এমতাবস্থায় যে ব্যক্তি উটের মালিক সে তার উট নিয়ে ব্যস্ত থাকুক। আর যার বকরী আছে সে তার বকরী নিয়ে ব্যস্ত থাকুক এবং যার জমিন আছে সে তার জমিন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকুক। এ কথা শুনে তখন জনৈক লোক বলিল, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! যার উট, বকরী ও জমিন কিছুই নেই, সে কি করিবে? জবাবে তিনি বলিলেন, সে তার তরবারি হাতে ধারণ করতঃ প্রস্তরাঘাতে সেটার ধারালো তীক্ষ্ন অংশ চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলবে। অতঃপর সে নিরাপদে থাকা সম্ভব হলে নিরাপদে থাকুক। অতঃপর তিনি বলিলেন, হে আল্লাহ! আমি কি পৌঁছিয়ে দিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি কি পৌঁছিয়ে দিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি কি পৌঁছিয়ে দিয়েছি? এ সময় জনৈক লোক বলিল, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! যদি চাপ সৃষ্টি করে দুসারির কোন একটিতে অথবা দুদলের কোন এক দলে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়, আর কোন এক লোক তার তরবারি দিয়ে আমাকে আঘাত করে বা তীর এসে আমার গায়ে লাগে এবং আমাকে সে মেরে ফেলে, তবে আমার অবস্থা কি হইবে? উত্তরে তিনি বলিলেন, তবে সে তার এবং তোমার পাপের বোঝা বহন করিবে এবং চিরস্থায়ী জাহান্নামে পতিত হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৮৬, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৪৩]
৭১৪৩. উসমান আশ্ শাহ্হাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি আবু আদী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসটি হাম্মাদ-এর হাদীসের অবিকল শেষ পর্যন্ত বর্ণিত আছে। কিন্তু ……………….. অর্থাৎ “নিরাপদে থাকা সম্ভব হলে নিরাপদে থাকুক” পর্যন্ত ওয়াকী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসটি সমাপ্ত হয়েছে। এর পরবর্তী অংশটি তিনি আর বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৪৪]
Leave a Reply