বিলাপ করা হারাম, কাফির বললে তাকে হত্যা করা হারাম

বিলাপ করা হারাম, কাফির বললে তাকে হত্যা করা হারাম

জাহিলী যুগের ন্যায় উচ্চৈঃস্বরে বিলাপ করা হারাম >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

৪১. অধ্যায়ঃ যে কাফির ব্যক্তি বলিল, তাকে হত্যা করা হারাম
৪২ অধ্যায়ঃ নবি [সাঃআ:]-এর উক্তিঃ “যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করিবে সে আমাদের দলভুক্ত নয়”

৪৩. অধ্যায়ঃ নবি [সাঃআ:]-এর উক্তিঃ “যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দেয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়”
৪৪. অধ্যায়ঃ [মৃতের শোকে] গাল থাপড়ানো, জামা ছিঁড়ে ফেলা এবং জাহিলী যুগের ন্যায় উচ্চৈঃস্বরে বিলাপ করা হারাম

৪১. অধ্যায়ঃ যে কাফির ব্যক্তি বলিল, তাকে হত্যা করা হারাম

১৭৫. মিকদাদ ইবনিল আসওয়াদ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনার মত কি? যদি আমি কোন কাফিরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হই, আর সে আমার উপর আক্রমণ করে তরবারি দ্বারা আমার এক হাত কেটে ফেলে, অতঃপর সে এক বৃক্ষের আড়ালে গিয়ে আমার আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা করে এবং এ কথা বলে যে, আমি আল্লাহর জন্য ইসলাম গ্রহণ করেছি। হে আল্লাহর রসূল, সে এ কথা বলে যে, আমি আল্লাহর জন্য ইসলাম গ্রহণ করেছি। হে আল্লাহর রসূল! তার এ কথা বলার পর আমি কি তাকে হত্যা করবো? রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বললেনঃ না, তাকে হত্যা করো না। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! সে তো আমার একটি হাত কেটে ফেলেছে আর এটা কাটার পরই সে ঐ কথা বলেছে? এমতাবস্থায় আমি কি তাকে হত্যা করবো? এবারও রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বললেনঃ তাকে হত্যা করো না। কেননা যদি তুমি তাকে হত্যা করো তাহলে তাকে হত্যা করার পূর্বে তুমি যে অবস্থায় ছিলে, সে তোমার সে অবস্থায় এসে যাবে। আর ঐ কালিমা বলার পূর্বে সে যে অবস্থায় ছিল, তুমি সে অবস্থায় এসে যাবে। {৪২}

[ই.ফা. ১৭৬; ই.সে. ১৮২]

{৪২} যদি তাকে হত্যা কর, তাহলে তুমি ক্যাফের হয়ে যাবে, আর সে মুসলিম হয়ে যাবে [অন্তরের মালিক আল্লাহ] । [নাবাবী]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৭৬. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

এ সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। তবে আওযাঈ ও ইবনি জুরায়জ তাহাদের হাদীসে বলেন, সে লোকটি বলেছিল, আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে ইসলাম গ্রহণ করলাম, যেমন পূর্বোক্ত হাদীসে লায়স বর্ণনা করিয়াছেন। আর মামার বর্ণিত হাদীসে যখন আমি তাকে হত্যা করার জন্য উদ্যত হলাম তখন সে বলিল, কথাটির উল্লেখ আছে।

[ই.ফা. ১৭৭; ই.সে. ১৮৩]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৭৭. মিকদাদ ইবনি আমর ইবনি আসওয়াদ আল কিন্দী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

যুহরী গোত্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন এবং বদরের যুদ্ধ রসুলুল্লাহ [সাঃআ:]-এর সাথে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরয করিলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] ! যদি আমি যুদ্ধের ময়দানে কোন কাফেরের সম্মুখীন হই। বাকী আংশ লায়স বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ

[ই.ফা. ১৭৮; ই.সে. ১৮৪]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৭৮. উসামাহ ইবনি যায়দ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] আমাদেরকে এক জিহাদ অভিযানে পাঠালে আমরা প্রত্যুষে জুহাইনার [একটি শাখা গোত্র] আলহুরাকায় গিয়ে পৌঁছলাম। এ সময়ে আমি এক ব্যক্তির পশ্চাদ্ধাবন করে তাকে ধরে ফেলি। অবস্হা বেগতিক দেখে সে বলিল, লা-ইলা-হা ইল্লাল-হ কিন্তু তাকে বর্শা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে ফেললাম। কালিমা পড়ার পর আমি তাকে হত্যা করেছি বিধায়, আমার মন সংশয়ের ঊদ্রেক হলো। তাই ঘটনাটি নবি [সাঃআ:]-এর নিকট উল্লেখ করলাম। তিনি বলিলেন, তুমি কি তাকে লা-ইলা-হা ইল্লাল-হ বলার পর হত্যা করেছো। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! সে অস্ত্রের ভয়ে জান বাঁচানোর জন্য এরূপ বলেছে। তিনি রাগান্বিত হয়ে বলিলেন, তুমি তার অন্তর ছিঁড়ে দেখেছো, যাতে তুমি জানতে পারলে যে, সে এ কথাটি ভয়ে বলেছিল? [রাবী বলেন], তিনি এ কথাটি বার বার আবৃতি করিতে থাকলেন। আর আমি মনে মনে আনুশোচনা করিতে থাকলাম, হায়! যদি আমি আজই ইসলাম গ্রহন করতাম! বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় সাদ ইবনি আবু ওয়াক্কাস [রাঃআ:] বলেন, আল্লাহর কসম! আমি কখনো কোন মুসলিমকে হত্যা করব না, যেভাবে এ ভুঁড়ি ওয়ালা [উসামাহ] মুসলিমকে হত্যা করেছে। রাবী বলেন, তখন জনৈক ব্যক্তি বলিল, আল্লাহ তায়ালা কি এ কথা বলেননি যে, “তোমরা তাহাদের [কাফিরদের] বিরুদ্ধে জিহাদ করো, যে পর্যন্ত ফিৎনা দূরীভুত না হয়, আর আল্লাহর দ্বীন পরিপূর্ণ না হয়ে যায়? এর জবাবে সাদ [রাঃআ:] বলিলেন, আমরা জিহাদ করি, যাতে ফিৎনা না থাকে, কিন্তু তুমি আর তোমার সঙ্গীগণ এ ঊদ্দেশ্যে যুদ্ধ কর, যাতে ফেৎনা সৃষ্টি হয়।

[ই.ফা. ১৭৯; ই.সে. ১৮৫]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৭৯. উসামাহ ইবনি যায়দ ইবনি হারিসাহ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআ:]-জুহাইনাহ গোত্রের হুরাকাহ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আমাদের পাঠালেন। আমরা খুব ভোরে সে সম্প্রদায়ের ঊপর আক্রমণ করলাম এবং তাহাদের পরাজিত করলাম। আমি এবং একজন আনসার এক ব্যক্তির পিছু নিলাম আমরা যখন তাকে ঘিরে ফেললাম তখন সে বলিল, আনসার তার মুখে

 لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ

“লা-ইলা-হা ইল্লাল-হ” কালিমা শুনে নিবৃত্ত হলেন। কিন্তু আমি তাকে বল্লম দ্বারা এমন আঘাত করলাম যে, তাকে মেরেই ফেললাম। আমরা যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ফিরে এলে নবি [সাঃআ:] -এর নিকট এ খবরটি পৌছলো। তিনি আমাকে ডেকে বলিলেন, হে উসামাহ! তুমি কি তাকে

 لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ

“লা-ইলা-হা ইল্লাল-হ” বলার পরেও হত্যা করে ফেলেছো? আমি আরয করলাম হে আল্লাহর রসূল! সে ব্যক্তিতো আত্নরক্ষার জন্য এ কথা বলেছিল। রসূল [সাঃআ:] আবার বলিলেন, তুমি কি তাকে ““লা-ইলা-হা ইল্লাল-হ” বলার পর ও হত্যা করে করেছো? এভাবে রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] বার বার আমার প্রতি এ কথা বলিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত আমার মনে এ আকাঙ্ক্ষা ঊদয় হলো যে, হায়! আজকে এ দিনের আগে আমি ইসলাম গ্রহণ না করতাম।

[ই.ফা. ১৮০; ই.সে. ১৮৬]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৮০. জুনদাব ইবনি আবদুল্লাহ আল বাজালী [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি আবদুল্লাহ ইবনি যুবায়রের ফিতনার যুগে আসআস ইবনি সালামাহকে বলে পাঠালেন যে, তুমি তোমার কিছু বন্ধুকে আমার জন্য একত্র করিবে, আমি তাহাদের সঙ্গে কথা বলব। আসআস তাহাদের কাছে লোক পাঠালেন। তারা যখন সমবেত হলো, জুনদাব তখন হলুদ বর্ণের বুরনুস [এক ধরনের টুপি] পরে উপস্থিত হলেন এবং বলিলেন, তোমরা আগের মত কথা বার্তা বলিতে থাক। এক পর্যায়ে যখন জুনদাব বলিলেন, তখন তিনি তাহাঁর মাথার বুরনুসটি নামিয়ে ফেললেন। বলিলেন আমি তোমাদের নিকট এসেছি। আমি তোমাদের কাছে নবি [সাঃআ:]-এর কিছু হাদীস বর্ণনা করিতে চাই। তা হলো, রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] মুসলিমদের একটি বাহিনী মুশরিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পাঠালেন। উভয় দল পরস্পর সম্মুখীন হলো এবং মুশরিক বাহিনীতে এক ব্যক্তি ছিল। সে যখন কোন মুসলিমকে হামলা করিতে ইচ্ছা করত, সে তাকে লক্ষ্য করে ঝাপিয়ে পড়ত এবং শাহীদ করে ফেলত। একজন মুসলিম তার অসতর্ক মুহূর্তের অপেক্ষা করিতে লাগলেন। জুনদাব বলেন আমাদের বলা হলো যে, সে ব্যক্তি ছিল উসামাহ ইবনি যায়দ। তিনি যখন তার উপর তলোয়ার উত্তোলন করিলেন তখন সে বলিল,

 لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ

লা-ইলা-হা ইল্লাল-হ। তবুও উসামাহ [রাঃআ:] তাকে হত্যা করিলেন। দূত যুদ্ধে জয়লাভের সুসংবাদ নিয়ে নবি [সাঃআ:]-এর খিদমাতে উপস্থিত হলো। তিনি তার যুদ্ধের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করিলেন। সে সব ঘটনাই বর্ণনা করে, এমন কি সে ব্যক্তির ঘটনাটিও বলিল যে, তিনি কি করেছিলেন। নবি [সাঃআ:] উসামাকে ডেকে পাঠালেন এবং প্রশ্ন করিলেন, তুমি সে ব্যক্তিকে হত্যা করলে কেন? উসামাহ বলিলেন হে আল্লাহর রসূল! সে অনেক মুসলিমকে আঘাত করেছে এবং অমুক অমুককে শাহীদ করে দিয়েছে। এ বলে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করিলেন। আমি যখন তাকে আক্রমণ করলাম এবং সে তলোয়ার দেখল অমনি বলে উঠল। রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] বলিলেন, তুমি তাকে মেরে ফেললে? তিনি বললেনঃ জি–হ্যাঁ। রসূল [সাঃআ:] বলিলেন কিয়ামাত দিবসে যখন সে [কালিমা] নিয়ে আসবে তখন তুমি কি করিবে? তিনি আরয করলেনঃ ইয়া রসুলুল্লাহ! আমার মাগফিরাতের জন্য দুআ করুন। রসূল [সাঃআ:] বলিলেন, কিয়ামাত দিবসে যখন সে [কালিমা] নিয়ে আসবে তখন তুমি কি করিবে? তারপর তিনি কেবল এ কথাই বলছিলেন, কিয়ামাতের দিন যখন [কালিমা] নিয়ে আসবে তখন তুমি কি করিবে? তিনি এর অতিরিক্ত কিছু বলেন নি।

[ই.ফা. ১৮১; ই.সে. ১৮৭]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪২ অধ্যায়ঃ নবি [সাঃআ:]-এর উক্তিঃ “যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করিবে সে আমাদের দলভুক্ত নয়”

১৮১. আবদুল্লাহ ইব্‌নু উমার [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

নবি [সাঃআ:] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করিবে সে আমাদের [মুসলিমের] দলভুক্ত নয়”

[ই.ফা. ১৮২; ই.সে. ১৮৮]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৮২. সালামাহ ইবনি আকওয়া [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

নবি [সাঃআ:] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে তলোয়ার উত্তোলন করিবে সে আমাদের [মুসলিমের] দলভুক্ত নয়”

[ই.ফা. ১৮৩; ই.সে. ১৮৯]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৮৩. আবু মূসা [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

নবি [সাঃআ:] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র উত্তোলন করিবে সে আমাদের [মুসলিমের] দল ভুক্তনয়”

[ই.ফা. ১৮৪; ই.সে. ১৯০]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৩. অধ্যায়ঃ নবি [সাঃআ:]-এর উক্তিঃ “যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দেয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়”

১৮৪. আবু হুরাইরাহ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করিবে সে আমাদের দলভুক্ত নয় আর যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দিবে সেও আমাদের দলভুক্ত নয়”

[ই.ফা. ১৮৫; ই.সে. ১৯১]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৮৫. আবু হুরাইরাহ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

একদা রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] খাদ্য শস্যের একটি স্তুপের পাশ দিয়ে অতিক্রম করিলেন। তিনি স্তুপের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দিলেন ফলে হাতের আঙল গুলো ভিজে গেল। তিনি বলিলেন হে স্তুপের মালিক! এ কি ব্যাপার? লোকটি বলিল, হে আল্লাহর রসূল! এতে বৃষ্টির পানি লেগেছে। তিনি বলিলেন, সেগুলো তুমি স্তুপের ওপরে রাখলে না কেন? তাহলে লোকেরা দেখে নিতে পারতো। জেনে রাখো, যে ব্যক্তি ধোঁকাবাজি করে, আমার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।

[ই.ফা. ১৮৬; ই.সে. ১৯২]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৪. অধ্যায়ঃ [মৃতের শোকে] গাল থাপড়ানো, জামা ছিঁড়ে ফেলা এবং জাহিলী যুগের ন্যায় উচ্চৈঃস্বরে বিলাপ করা হারাম

১৮৬. আবদুল্লাহ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] বলেছেন যে, যে ব্যক্তি গাল থাপড়াবে, জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলবে অথবা জাহিলী যুগের ন্যায় বিলাপ করিবে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। ইবনি নুমায়র ও আবু বাক্‌র বলেছেন, “আলিফ” ছাড়াই হইবে। অর্থাৎ [আরবী] পরিবর্তে [আরবী] বলেছেন। {৪৩}

[ই.ফা. ১৮৭; ই.সে. ১৯৩]

{৪৩} কোন মৃতের জন্য বিলাপ করে কাঁদা অবৈধ, আর যদি শুধু অন্তর ফেটে চক্ষু দিয়ে অশ্রু নির্গত হয় তা বৈধ। প্রতিটি ব্যক্তির ওয়াসিয়াত করা উচিত যে, আমার মৃত্যের পরে তোমরা উচ্চস্বরে কাঁদবে না।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৮৭. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]- এর সূত্রে হইতে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। তাঁরা [আরবী] বলেছেন।

[ই.ফা. ১৮৮; ই.সে. ১৯৪]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৮৮. আবু বুরদাহ্‌ ইবনি আবু মূসা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

আবু মূসা [রাঃআ:] কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাহাঁর মাথা তাহাঁর পরিবারের এক মহিলার কোলে ছিল। সে মহিলা চিৎকার করে উঠলো। তিনি তাকে তা থেকে বাধা দিতে পারেননি। যখন তাহাঁর জ্ঞান ফিরলো তখন বলিলেন, আমি তার থেকে সম্পর্কহীন, যার থেকে রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] সম্পর্কচ্ছেদ করিয়াছেন। যে ব্যক্তি [মৃতের শোকে] উচ্চৈঃস্বরে কান্নাকাটি করে, মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলে, রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] তার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করিয়াছেন।

[ই.ফা. ১৮৯; ই.সে. ১৯৫]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৮৯. আবদুর রহমান ইবনি ইয়াযীদ ও আবু বুরদাহ্‌ ইবনি আবু মূসা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

আবু মূসা আশআরী [রাঃআ:] বেহুশ হয়ে পড়েন। তাহাঁর স্ত্রী উম্মু আবদুল্লাহ চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে তাহাঁর নিকট আসলেন। তারা বলেন, অতঃপর তিনি জ্ঞান ফিরে পেলেন এবং বলিলেন, তুমি কি জান না? তারপর তিনি তাঁকে এ হাদীস শোনান যে, রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলেছেন, আমি সে ব্যক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন যে ব্যক্তি মাথার কেশ মুণ্ডন করে, চিৎকার করে কান্নাকাটি করে এবং জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে

[ই.ফা. ১৯০; ই.সে. ১৯৬]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৯০. আবু মূসা আশআরী [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

এ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে রাবী ইয়ায আল আশ্‌আরীর হাদীসে [আরবী] [সে আমার দলভূক্ত নয়] কথাটি রয়েছে। তিনি [আরবী] [বিচ্ছিন্ন] শব্দ বলেননি।

[ই.ফা. ১৯১; ই.সে. ১৯৭]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply