বিবাহের ব্যাপারে সমতা ও বিচ্ছেদের স্বাধীনতা
বিবাহের ব্যাপারে সমতা ও বিচ্ছেদের স্বাধীনতা >> বুলুগুল মারাম এর মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায় – ১ঃ বিবাহের ব্যাপারে সমতা ও বিচ্ছেদের স্বাধীনতা
পরিচ্ছেদ ০১. বিবাহে বংশের সমতা রক্ষা প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদ ০২. বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে বংশ কোন বিবেচ্য বিষয় নয়
পরিচ্ছেদ ০৩. বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে পেশা বিবেচ্য বিষয় নয়
পরিচ্ছেদ ০৪. দাসীকে আযাদ করার পর তার [দাস] স্বামীর সাথে বিয়ের সম্পর্ক স্থায়ী রাখা বা না রাখার অধিকার দেয়া
পরিচ্ছেদ ০৫. যে ব্যক্তি ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে এমতাবস্থায় তার কাছে আপন দু`বোন স্ত্রী হিসেবে রয়েছে –এর বিধান
পরিচ্ছেদ ০৬. চারের অধিক স্ত্রী থাকা অবস্থায় ইসলাম গ্রহণকারীর বিধান
পরিচ্ছেদ ০৭. স্বামী-স্ত্রীর কোন একজন অপরজনের পূর্বে ইসলাম গ্রহণকরার বিধান
পরিচ্ছেদ ০৮. বিবাহের মধ্যে ত্রুটিসমুহ
পরিচ্ছেদ ০১. বিবাহে বংশের সমতা রক্ষা প্রসঙ্গ
১০০২ – ইবনু উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, আরবগণ একে অপরের সমপর্যায়ের, মুক্ত কৃতদাস মুক্ত কৃতদাসের সমতুল্য, তবে জোলা বা তাঁতী ও হাজ্জাম ব্যতীত। – এর সানাদে একজন রাবীর নাম অজ্ঞাত। আবু হাতিম একে মুনকার বলেছেন। {১০৯৬}
{১০৯৬} হাদিসটি নিতান্ত যইফ, তাওযিহুল আহকাম ৫/৩১১ পৃঃ/ হাদিসের তাহকিকঃ খুবই দুর্বল
১০০৩ – মুআয বিন জাবাল হইতে বর্ণিতঃ
মুনকাতে [বিচ্ছিন্ন] সানাদে রহিয়াছে।
হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছেদ ০২. বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে বংশ কোন বিবেচ্য বিষয় নয়
১০০৪ – ফাতিমাহ বিনতু কায়স [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] তাকে বলেছেন, উসামাহ বিন যায়দকে বিবাহ কর। {১০৯৭}
{১০৯৭} মুসলিম ১৪৮০, তিরমিয়ী ১১৩৫, ১১৮০, নাসায়ী ৩২২২,৩২৩৭.৩২৪৪, আর দাউদ ২২৮৪, ২২৮৮,২২৮৯, ইবনু মাযাহ ১৮৬৯,২০২৪,২০৩৫, আহমাদ ২৬৫৬০,২৬৭৭৫, মালেক ১২৩৪, দারেমী ২১৭৭,২২৭৪। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৩. বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে পেশা বিবেচ্য বিষয় নয়
১০০৫ – আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেন, হে বনি বায়াযাহ, তোমরা আবু হিন্দের বিবাহ দিয়ে দাও আর তার সঙ্গে বিবাহের সম্পর্ক কায়িম কর। আবু হিন্দ পেশায় হাজ্জাম ছিলেন- আবু দাউদ ও হাকিম হাসান সানাদে। {১০৯৮}
{১০৯৮} আবু দাউদ ২১০২,৩৮৫৭, ইবন মাজাহ ৩৪৭৬. আহমাদ ৮৩০৮। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৪. দাসীকে আযাদ করার পর তার [দাস] স্বামীর সাথে বিয়ের সম্পর্ক স্থায়ী রাখা বা না রাখার অধিকার দেয়া
১০০৬ – আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বারীরাকে তার দাসত্ব মোচনের পর তার [দাস] স্বামীর সাথে বিবাহ সম্পর্ক বহাল রাখা না রাখার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছিল। [এটা একটা দীর্ঘ হাদীসের অংশ বিশেষ]।
মুসলিমে `আয়িশা বর্ণিত আছে যে, তার স্বামী দাস ছিলেন {১০৯৯} এবং অন্য বর্ণনায় আছে তার স্বামী স্বাধীন ছিলেন। তবে [অর্থাৎ দাস ছিলেন] প্রথম এ বর্ণনাটি সর্বাপেক্ষা ঠিক।
বুখারিতে ইবনু আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে সহিহ সূত্রে বর্ণিত হাদীসে আছে, তিনি দাস ছিলেন। {১১০০}
{১০৯৯} মুসলিমের এক বর্ণনায় রহিয়াছে, আর যদি সে স্বাধীন থাকতো তাহলে তিনি তাকে ইখতিয়ার দিতেন না। {১১০০} বুখারি ৪৫৬, ১৪৯৩,২১৫৫, ৫০৯৭, মুসলিম ১৫০৪,তিরমিয়ী ১২৫৬, আর দাউদ ৩৯২৯, ইবন মাজাহ ৩৮৩৫, মালেক ১৫১৯। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৫. যে ব্যক্তি ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে এমতাবস্থায় তার কাছে আপন দু`বোন স্ত্রী হিসেবে রয়েছে –এর বিধান
১০০৭ -যাহ্হাক্ বিন ফাইরুয দায়লামী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি তার পিতা হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি ইসলাম গ্রহন করেছি এবং আমার বিবাহে দু` [সহোদর] বোন রয়েছে। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলেনঃ তোমার ইচ্ছামত এদের মধ্যে একজনকে তালাক দিয়ে পৃথক করে দাও। -ইবনু হিব্বান, দারাকুতনী ও বাইহাকি একে সহিহ বলেছেন; আর বুখারি সানাদের ত্রুটি বর্ণনা করিয়াছেন। {১১০১}
{১১০১} তিরমিয়ী ১১২০, নাসায়ী ৩৪১৬, আহমাদ ৪২৭১, ৪২৯৬, মালেক ২২৫৮। মুহাম্মাদ বিন আবদুল হাদী তাহাঁর তানকীহ তাহকীক আত তালীক ৩/১৮৩ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেনঃ ইমাম বুখারি বলেন, [আরবী]। ইমাম বুখারি বলেন, যাহহাক বিন ফাইরোজ তাহাঁর পিতা থেকে, তাহাঁর পিতা ওয়াহ জাইশানী থেকে শুনেছেন, এ বিষয়ে আমরা জানি না। আলবানী সহিহ আবু দাউদ ২২৪৩, সহিহ ইবনু মাযাহ ১৬০০ গ্রন্থে একে হাসান বলেছেন, তাখরীজ মিশকাত ৩১১৩ গ্রন্থে এর সনদকে মাওকুফ ও অত্যন্ত দুর্বল বলা হয়েছে। ইমাম বুখারি আত তারীখুল কাবীর ৩/২৪৮ গ্রন্থে বলেন, এর সনদটি বিতর্কিত। আবদুর রহমান মুবারকপুরী তুহফাতুল আহওয়ামী ৩/৫৯৯ গ্রন্থে বলেন, এর সনদে ইবনু লাহিআহ রহিয়াছে। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৬. চারের অধিক স্ত্রী থাকা অবস্থায় ইসলাম গ্রহণকারীর বিধান
১০০৮ -সালিম হইতে বর্ণিতঃ
`আবদুল্লাহ থেকে বর্ণনা করিয়াছেন যে, গাইলান বিন সালামাহ [রাঃআঃ] ইসলাম গ্রহন করেন, সে সময় তার দশটি স্ত্রী ছিল- তারা সকলেই তার সাথে ইসলাম গ্রহন করেন। অতঃপর নবী [সাঃআঃ] তাহাদের মধ্যে চারজনকে পছন্দ করে রাখতে হুকুম দিলেন।– ইবনু হিব্বান ও হাকিম একে সহিহ বলেছেন আর বুখারি, আবূ যুর`আহ ও আবূ হাতিম এর ইল্লত বর্ণনা করিয়াছেন। {১১০২}
{১১০২} তিরমিজি ১১২৮, হাদিসটি সহিহ লিগাইরিহি, তাওযিহুল আহকাম ৫/৩২৬,হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ লিগাইরিহি
পরিচ্ছেদ ০৭. স্বামী-স্ত্রীর কোন একজন অপরজনের পূর্বে ইসলাম গ্রহণকরার বিধান
১০০৯ – ইবনু `আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] তার কন্যা `যায়নাব` [রাঃআঃ] কে প্রথম বিবাহের সুবাদে ছয় বছর পর আবূল আস ইবনুর রবী [রাঃআঃ] এর নিকট ফেরত পাঠান। নতুনভাবে তার বিবাহ পড়াননি। -আর আহমাদ ও হাকিম একে সহীহ্ বলেছেন। {১১০৩}
{১১০৩} আবূ দাউদ ২২০৪, তিরমিজি ১১৪৩, ইবনু মাযাহ ২০০৯। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০১০ – আমর ইবনু শু`আইব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি তার পিতা হইতে, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করিয়াছেন যে, নবী [সাঃআঃ] স্বীয় কন্যা যায়নাব [রাঃআঃ] কে তার স্বামী আবুল `আসের নিকটে নতুনভাবে বিবাহ পড়িয়ে ফেরত দিয়েছিলেন।
তিরমিজি বলেছেন, ইবনু `আব্বাস কর্তিক বর্ণিত হাদিসটি সানাদের দিক দিয়ে জাইয়িদ [উত্তম], তাতে `আমর বিন শু`আইবের হাদিসের উপর আমল রয়েছে [কার্যকর করা হচ্ছে]। {১১০৪}
{১১০৪} তিরমিজি ১১৪২, ইবনু মাযাহ ২০১০। ইমাম সনআনী সুবুলুস সালাম ৩/২১১ গ্রন্থে একে দুর্বল বলেছেন। ইবনু উসাইমীন তার বুলুগুল মারামের শরাহ ৪/৫২৭ গ্রন্থে বলেন, ইমাম দারাকুতনী তার সুনান ৩/১৮৩ গ্রন্থে বলেন, [আরবী] আমর বিন শুআইব তাহাঁর পিতা থেকে, তিনি তাহাঁর দাদা থেকে- এ সনদের বিশুদ্ধতার ব্যপারে মুহাদ্দিসগণ মতানৈক্য করিয়াছেন। তবে সঠিক কথা হল এটি মুত্তাসিল সনদ। শাইখ আলবানী ইরওয়াউল গালীল ৬/৩৪১ এ জঈফ আর ১৯২২ নং হাদীসে মুনকার বলেছেন। ইবনুল কাইয়িম তাহাঁর আহকামু আহলিয যিম্মাহ ২/৬৬৬ গ্রন্থে বলেন, হাদীসের ইমামগণ বলেছেন এ হাদিসটি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয়। ইমাম বুখারি আল ইলালুল কাবীর ১৬৬ গ্রন্থে বলেন, [আরবী] এ ব্যপারে আমর ইবনু শুআইব এর হাদিস থেকে ইবনু আব্বাসের হাদিসটি অধিক বিশুদ্ধ।। আব্দুর রহমান মুবারকপুরবী তুহফাতুল আওয়াযী ৩/৬১৩ গ্রন্থে বলেন, এর সনদে হাজ্জাজ বিন আরত্বআ রয়েছে সে আমর ইবনু শুআইব থেকে এটি শুনেনি। আর তিনি দুর্বল বর্ণনাকারী আরযুমী থেকে হাদিস গ্রহণ করিয়াছেন। ইমাম শওকানী নাইলুল আওত্বার ৬/৩০৪ গ্রন্থে বলেন, এর সনদে হাজ্জাজ বিন আরত্বআ রয়েছে যে হাদীসে তাদলীস করার ব্যাপারে অত্যন্ত সুপরিচিত ব্যক্তি, তাছাড়া তিনি আমর ইবনু শুআইব থেকে হাদিসটি শুনেনওনি। ইমাম শওকানী তাহাঁর আস সাইলুল জারারার গ্রন্থেও উক্ত রাবীকে দুর্বল বলেছেন। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১০১১ – ইবনু `আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন এক মহিলা ইসলাম গ্রহণ করে [দ্বিতীয়] বিবাহ করে নিলেন। তারপর তার পূর্ব স্বামী এসে বলিল, হে আল্লাহ্র রসূল! আমিও ইসলাম গ্রহণ করেছি আর আমার ইসলাম গ্রহনের কথা আমার স্ত্রী জেনেছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঐ স্ত্রী লোকটিকে তার ২য় স্বামীর নিকট থেকে বিচ্ছেদ করে দিয়ে তার প্রথম স্বামীকে ফিরিয়ে দিলেন। -ইবনু হিব্বান ও হাকিম একে সহিহ বলেছেন। {১১০৫}
{১১০৫} আবূ দাউদ ২২৩৮,২২৩৯, তিরমিজি ১১৪৪, ইবনু মাযাহ ২০০৮, আহমাদ ২০৬০। ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ মাজমুআ ফাতাওয়া ৩২/৩৩৭ গ্রন্থে বলেন, এর সনদে সাম্মাক রয়েছে। শাইখ আলবানী জঈফ আবূ দাউদ ২২৩৯, জঈফ ইবনু মাযাহ ৩৮৯, তাখরীজ মিশকাতুল মাসাবীহ ৩১১৪, ইরওয়াউল গালীল ৬/৩৩৬ গ্রন্থে হাদিসটিকে সনদের দিক দিয়ে দুর্বল বলেছেন। কিন্তু আহমাদ শাকের মুসনাদ আহমাদ ৪/৩৫০ গ্রন্থে এর সনদকে সহিহ বলেছেন। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৮. বিবাহের মধ্যে ত্রুটিসমুহ
১০১২ – যায়দ বিন কা`ব বিন উজরাহ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বানু গিফার গোত্রের `আলিয়াহ নামক এক মহিলাকে বিবাহ করেন। তারপর ঐ মহিলা নবী [সাঃআঃ]-এর নিকটে প্রবেশ করেন ও তার দেহাবরণ উন্মোচন করেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার কোমরের কাছাকাছি অঙ্গে সাদা দাগ দেখিতে পান এবং তাকে বলেন- কাপড় পড়ে তুমি তোমার পরিবারের নিকটে চলে যাও। তিনি তাকে তার মোহর দিয়ে দেয়ার জন্য আদেশ করেন। [যইফ]
হাকিম এটি বর্ণনা করিয়াছেন। এ হাদিসের সুত্রে জামিল বিন যায়দ একজন অজ্ঞাত রাবী বা বর্ণনাকারী। তার ওস্তাদ কে ছিলেন এ নিয়ে বিরাট মতভেদ ঘটেছে।
সা`ঈদ বিন মুসাইয়িআব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিত যে, `উমার বিন খাত্তাব [রাঃআঃ] বলেছেন- যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করে, অতঃপর তার সাথে মিলন করিতে গিয়ে দেখে যে, ঐ নারী শ্বেত কুষ্ঠরোগী বা পাগলী বা কুষ্ঠ রোগগ্রস্তা তাহলে ঐ মহিলার জন্য তার স্বামীর উপর স্পর্শ করা [মিলন] হেতু মোহর আদায় যোগ্য হইবে। তবে ঐ ব্যাপারে যদি কেউ ধোঁকা দিয়ে থাকে তাহলে তাকেই মোহরের জন্য দায়ী করা হইবে। হাদিসটি সা`ঈদ বিন মানসুর, মালিক, ইবনু আবী শাইবাহ বর্ণনা করিয়াছেন। হাদিসটির রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।
উক্ত সাহাবী সা`ঈদ আলী [রাঃআঃ] থেকে অনুরুপ আরো অতিরিক্ত বর্ণনা করিয়াছেন- তাতে আছে আর যে মহিলার গুপ্তাঙ্গে ক্কার্ণ অর্থাৎ গুপ্তাঙ্গে দাঁতের অনুরূপ শক্ত বস্তু উদ্গত হয়ে থাকে তাহলে স্বামী বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার পাবে। আর ঐ স্ত্রীর সাথে মিলনে গুপ্তাঙ্গ ব্যাবহার হয়ে থাকলে স্ত্রী মোহর প্রাপ্য হইবে যা দ্বারা তার গুপ্তাঙ্গ হালাল হইবে।
এবং সা`ঈদ বিন মুসায়্যিবের সুত্রে আরও আছে তিনি [সা`ঈদ] বলেছেন- উমার [রাঃআঃ] তার খেলাফতকালে ইন্নীন বা পুরুষত্বহীনকে এক বছর অবসর দেয়ার ফয়সালা প্রদান করেছিলেন। -এর বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য। {১১০৬}
{১১০৬} ইবনু হযম তাহাঁর আল মাহাল্লী ১০/১১৫ গ্রন্থে বলেন, [আরবী] এটি যামীল যায়দ হইতে বর্ণিত, তিনি মাতরুক হিসেবে পরিত্যক্ত। এটা বর্ণিত হয়েছে যায়দ ইবনু কাব থেকে, তিনিও মাজহুল [অপরিচিত] মুরসাল [সনদ ছেড়ে] বর্ণনাকারী। ইমাম সনআনী সুবুলুস সালাম ৩/২১৩ গ্রন্থে বলেন, জামীল হইতে বর্ণিত হাদিসটির ব্যপারে মতানৈক্য করা হয়েছে। ইবনু উসাইমীন বুলুগুল মারামের শরাহ ৪/৫২৯ গ্রন্থে বলেন, এর সনদে জামীল বিন যায়দ নামক দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছে। ইমাম হাইসামীও মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৪/৩০৩ গ্রন্থে একই অভিমত পোষণ করিয়াছেন। ইমাম বুখারি তানকীহ তাহকীকুত তালীক ৩/১৮৭ গ্রন্থে বলেন, এ হাদিসটি বিশুদ্ধ নয় বলেছেন। হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
Leave a Reply