স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব
স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৯. অধ্যায়ঃ স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দাতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম
৩৬১৭. হুমায়দ ইবনি নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যায়নাব বিনতু আৰূ সালামাহ্ [রাদি.] তাকে এ তিনটি হাদীস রর্ণনা করিয়াছেন৷ তিনি [হুমায়দ ইবনি নাফি] বলেন, যায়নাব [রাদি.] বলেছেন, যখন নবী [সাঃআঃ]–এর সহধর্মিণী উম্মু হাৰীবাহ্ [রাদি.]-এর পিতা আবু সুফ্ইয়ান ইন্তিকাল করেন তখন আমি তাহাঁর কাছে গেলাম৷ আমি দেখিতে পেলাম যে, উম্মু হাৰীবাহ্ [রাদি.] হলদে বর্ণের মিশ্রিত সুগন্ধি আনলেন অথবা অন্য কোন প্রসাধনী চেয়ে পাঠালেন৷ এরপর তা থেকে একটি বালিকাকে নিজ হাতে লাগিয়ে দিলেন৷ এরপর তিনি তার দু কপালে হাত মুছে নিলেন৷ এরপর তিনি বলিলেন, আল্লাহর কসম! আমার সুগন্ধি ব্যবহারের কোন প্রয়োজন ছিল না৷ তবে আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলিতে শুনেছি যে, যে মহিলা আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখে সে মহিলার জন্য তার কোন আত্মীয়ের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হালাল নয়I তবে বিধবা তার স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশদিন শোক পালন করিতে পারবে৷
[ই.ফা ৩৫৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৮৭]
৩৬১৮. যায়নাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এরপর আমি [রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সহ্ধর্মিণী] যায়নাব বিনতু জাহ্শ [রাযীঃ]-এর কাছে গেলাম। সে সময় তার ভাই ইনতিকাল করেছিলেন। আমি দেখলাম, তিনিও সুগন্ধি চেয়ে পাঠালেন এবং তার থেকে স্পর্শ করিলেন। এরপর তিনি বলিলেন, আল্লাহ্র কসম! আমার সুগন্ধি ব্যবহারের কোন প্রয়োজন ছিল না। তবে আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলিতে শুনেছি যে, যে মহিলা আল্লাহ ও আখিরাতে ঈমান রাখে তার জন্য মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের অধিক শোক পালন করা হালাল নয়৷ তবে স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশদিন শোক পালন করা যাবে৷
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৮৭]
৩৬১৯. যায়নাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
অতঃপর যায়নাব [রাদি.] বলেন, আমি আমার মা উম্মু সালামাহ্ [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছি যে, একবার এক মহিলা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]- এর কাছে এসে বলিল, হে আল্লাহ্র রসূল! আমার কন্যাকে রেখে তার স্বামী ইন্তিকাল করিয়াছেন৷ তার [শোক পালন করিতে গিয়ে] চোখে অসুখ হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা কি তার চোখে সুরমা ব্যবহার করিতে পারি? তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ না৷ এরপর সে দুই কি তিন বার জিজ্ঞেস করিল। প্রতিবারই তিনি বলিলেন, না। এরপর তিনি বলিলেন, তার ইদ্দাত তো চারমাস দশদিন। অথচ জাহিলিইয়্যাহ যুগে তোমাদের একজন মহিলা বছরাস্তে উটের বিষ্ঠা নিক্ষেপ করত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৮৭]
৩৬২০. হুমায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি যায়নাবকে বললাম, এ যাবৎ উটের বিষ্ঠা নিক্ষেপ করার তাৎপর্য কী ছিল? তখন যায়নাব [রাদি.] বলিলেন, সে কালে কোন স্বামী ইন্তিকাল করলে স্ত্রীকে একটি সংকীর্ণ কক্ষে [কুঠরীতে] প্রবেশ করিতে হত। ছিঁড়ে-ফাড়া কাপড়-চোপড় পরিধান করিতে হত। সে কোন প্রসাধনী দ্রব্য স্পর্শ করিতে পারত না কিংবা অন্য কোন সুগন্ধি ইত্যাদি ব্যবহার করত না। এমনিভাবে দীর্ঘ একটি বছর কেটে যেত। এরপর তার সামনে আনা হত গাধা, বকরী কিংবা পাখী জাতীয় কোন প্রাণী এবং সে ঐ প্রাণীকে স্পর্শ করে ইদ্দাত পূর্ণ করত। সে যে প্রাণীকে স্পর্শ করত তা খুব কমই বাঁচত। এরপর সে ঐ সংকীর্ণ কুঠরী থেকে বের হয়ে আসত। তখন তার হাতে উটের বিষ্ঠা দেয়া হত এবং সে তা ছুঁড়ে মারত। এরপর সে তার পছন্দসই প্রসাধনী সুগন্ধি ইত্যাদি ব্যাবহারের প্রতি মনোযোগী হত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৮৭]
৩৬২১. হুমায়দ ইবনি নাফ়ি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি যায়নাব বিনত উম্মু সালামাকে বলিতে শুনেছি যে, উম্মু হাবীবাহ্ [রাদি.]-এর একজন নিকট আত্মীয় ইনতিক়াল করেন৷ এরপর তিনি হলুদ বর্ণের সুগন্ধি চেয়ে পাঠান এবং তার দু বাহুতে মেখে নিলেন৷ এরপর তিনি বলিলেন, আমি তা এজন্য করলাম যে, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি, যে মহিলা আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে তার পক্ষে কারো মৃত্যুতে তিনদিনের বেশি শোক পালন করা হালাল নয়৷ তৰে স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন শোক পালন করা যাবে ৷
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৮৮]
৩৬২২. যায়নাব [রাযি:] হইতে বর্ণীতঃ
এ হাদীসখানা তার মা {উম্মু সালামাহ্ [রাযি:]} এবং নবী [সাঃআঃ]-এর সহধর্মিণী যায়নাব [রাযি:] থেকে বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৮৮]
৩৬২৩. হুমায়দ ইবনি নাফ়ি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি যায়নাব বিনতু উম্মু সালামাকে তাহাঁর মায়ের সূত্রে বলিতে শুনেছি যে, এক মহিলার স্বামী মারা গেল৷ লোকেরা তার চোখের ব্যাপারে আশংকাবোধ করিল৷ তখন তারা নবী [সাঃআঃ]-এর কাছে এলেন৷ তারা তাহাঁর কাছে মহিলার চোখে সুরমা ব্যবহারের অনুমতি চাইল। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ জাহিলিয়্যাত যুগে স্বামীর মৃত্যুতে তোমাদের কেউ কেউ সাদা-মাটা কাপড়-চোপড় কিংবা ছিঁড়ে-ফাড়া বস্ত্র পরিধান করে একটি সংকীর্ণ কক্ষে পুরো এক বছর [ইদ্দাত পালনের জন্য] অতিবাহিত করত৷ এরপর কোন কুকুর তার নিকট দিয়ে অতিক্রম করলে সে ঊটেব বিষ্ঠা নিক্ষেপ করে বাইরে বের হযে পড়ত৷ এ কুসংস্কারের পরিবর্তে চারমাস দশদিন পর্যন্ত প্রতীক্ষা করিতে তোমরা কি সক্ষম হইবে না?
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৮৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৮৯]
৩৬২৪. হুমায়দ ইবনি নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি চোখে সুরমা ব্যবহার সংক্রান্ত উম্মু সালামাহ্ [রাযি:] বর্ণিত হাদীস এবং নবী [সাঃআঃ]-এর সহধর্মিণীগণের মধ্যে থেকে কোন একজনের বর্ণিত হাদীস উল্লেখ করিয়াছেন। তবে তিনি তার বর্ণনায় এতটুকু বেশি উল্লেখ করিয়াছেন- “মুহাম্মাদ ইবনি জাফার [রহ:] বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। যায়নাব তার নাম উল্লেখ করেননি।”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৯০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৯০]
৩৬২৫. হুমায়দ ইবনি নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি যায়নাব বিনতু আবু সালামাকে উম্মু সালামাহ্ ও উম্মু হাবীবাহ্ [রাদি.] থেকে বর্ণনা করিতে শুনেছেন। তাঁরা উল্লেখ করেন যে, জনৈকা মহিলা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে এলো। তিনি তাহাঁর [রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর] কাছে উত্থাপন করিলেন যে, আমার মেয়ের স্বামী মারা গিয়েছে। [তার শোক পালন করিতে গিয়ে] তার চোখে অসুখ হয়েছে। সে এখন তার চোখে সুরমা ব্যাবহার করিতে চায়। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ [জাহিলিয়্যাত যুগে স্বামীর মৃত্যুতে] তোমাদের কেউ এক বছর পূর্তি পর্যন্ত উটের বিষ্ঠা নিক্ষেপ করত। আর এখন তো মাত্র চারমাস দশদিন।
[ই.ফা ৩৫৯১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৯১]
৩৬২৬. যায়নাব বিনতু আবু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যখন নবী [সা]-এর সহধর্মিণী হাবীবাহ্ [রাদি.]-এর কাছে তার পিতা আবু সুফ্ইয়ানের ইনতিকালের খবর পৌঁছল তখন তৃতীয় দিনে তিত্নি হলুদ বর্ণের সুগন্ধি চেয়ে পাঠালেন এবং তার দুহাতে গায়ে ভাল করে তা মেখে নিলেন। আর বলিলেন, আমার এর কোন প্রয়োজন ছিল না। তবে আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি যে, যে মহিলা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখে তার পক্ষে কারো মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হালাল নয়। তবে স্বামীর মৃত্যুর ব্যাপারটি স্বতন্ত্র। কেননা সে তার স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন শোক পালন করিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৯২, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৯২]
৩৬২৭. হাফসাহ্ [রাদি.] কিংবা আয়িশাহ্ [রাদি.] থেকে পৃথকভাবে অথবা তাদের দুজন থেকে যৌথভাবে হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে মহিলা আল্লাহ ও শেষ বিচার দিবসের প্রতি ঈমান রাখে কিংবা যে মহিলা আল্লাহ ও তাহাঁর রসূলের প্রতি ঈমান রাখে তার পক্ষে কোন মৃতের জন্য তিন দিনের অধিক শোক পালন করা হালাল নয়। তবে তার স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৯৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৯৩]
৩৬২৮. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
লায়স বর্ণিত হাদীসে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৯৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৯৪]
৩৬২৯. সফিয়্যাহ্ বর্ণিত আবু উবায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি নবী [সাঃআঃ]-এর সহধার্মিণী উমারের কন্যা হাফ্সাহ্ [রাদি.] সূত্রে নবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করেন। রাবী কর্তৃক বর্ণিত এ বর্ণনাটি লায়স ও ইবনি দীনার বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। তবে তার বর্ণনায় এতটুকু বেশি উল্লেখ আছে “কারণ সে তার [স্বামীর] জন্য চার মাস দশদিন শোক পালন করিবে।”
[ই.ফা ৩৫৯৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৯৫]
৩৬৩০. সফিয়্যাহ্ বিনতু আবু উবায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] নবী [সাঃআঃ]-এর জনৈক সহধার্মিণী সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তাদের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৯৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৯৬]
৩৬৩১. আয়েশাহ [রাদি.]-এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেন, যে মহিলা আল্লাহ্ ও শেষ বিচার দিবসের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন তার কোন মৃতের জন্য তিন দিনের অধিক শোক পালন না করে। তবে স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৯৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৯৭]
৩৬৩২. উম্মু আতিয়্যাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন মহিলা তার কোন মৃতের জন্য তিন দিনের বেশি শোক পালন করিবে না। তবে তার স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন পর্যন্ত শোক পালন করিবে। এ সময় সীমায় [ইদ্দাতের মেয়াদকালে] সে রঙিন কাপড় চোপড় পরিধান করিবে না। তবে কালো রঙে রঞ্জিত চাদর পরিধান করিতে পারবে। সে চোখে সুরমা লাগাবে না এবং কোন সুগন্ধি ব্যাবহার করিবে না এবং সে হায়য থেকে পবিত্র হলে [পবিত্রতার নিদর্শন স্বরূপ] কুস্ত ও আয্ফার নামক সুগন্ধি ব্যাবহার করিতে পারবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৯৮]
৩৬৩৩. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। তবে এ হাদীসে আম্র আন্ নাক্বিদ ও ইয়াযীদ ইবনি হারূন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উভয়ে বর্ণনা করিয়াছেন যে, সে তার হায়য থেকে পবিত্র হওয়ার পর কুস্ত্ব ও আয্ফার নামক সুগন্ধি ব্যাবহার করিতে পারবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৯৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৯৯]
৩৬৩৪. উম্মু আতিয়্যাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমাদের কোন মৃতের জন্য তিন দিনের বেশী শোক পালন করিতে নিষেধ করা হয়েছিল। তবে স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন পর্যন্ত শোক পালনের নিয়ম ছিল। আমরা চোখে [ইদ্দাতকালীন] সময়ে সুরমা লাগাতাম না, কোন প্রকার সুগন্ধি দ্রব্য ব্যাবহার করতাম না এবং রঙিন কাপড়-চোপড় পরতাম না। তবে আমাদের মধ্য থেকে কোন মহিলা যখন হায়য থেকে পবিত্র হয়ে গোসল করত তখন দুর্গন্ধ দূর করার জন্য তাকে কুস্ত ও আয্ফার নামক সুগন্ধি ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬০০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬০০]
Leave a Reply