বিতরের সালাত

বিতরের সালাত

বিতরের সালাত >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

এ বিষয়ে আরও পড়ুন >> মুয়াত্তা মালিক >> সহীহ বুখারী >> সহীহ মুসলিম >> আবু দাউদ >> ইবনে মাজাহ >> তিরমিজি >> নাসাঈ >> বুলুগুল মারাম হাদীস শরীফ হতে

পর্বঃ ৪, অধ্যায়ঃ ৩৫

  • অধ্যায়ঃ ৩৫. প্রথম অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৩৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৩৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

অধ্যায়ঃ ৩৫. প্রথম অনুচ্ছেদ

১২৫৪. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইরশাদ করিয়াছেন : রাত্রের [নাফ্ল] সলাত দু রাক্আত দু রাক্আত করে [আদায় করিতে হয়]। কারো ভোর হয়ে যাওয়ার আশংকাবোধ হলে সে যেন [দুরাক্আতের] সাথে সাথে আরো এক রাক্আত আদায় করে নেয়। তাহলে এ রাক্আত পূর্বে আদায় করা সলাতকে বেজোড় করে দেবে। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৪৭৩, মুসলিম ৭৪৯। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৫৫. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইরশাদ করিয়াছেন, আর বিত্র এক রাক্আত শেষ রাতে। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৭৫২। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৫৬. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাত্রে [তাহাজ্জুদের সময়] তের রাক্আত সলাত আদায় করিতেন। তের রাক্আতের মাঝে পাঁচ রাক্আত বিত্র। আর এর মাঝে [পাঁচ রাক্আতের] শেষ রাক্আত ব্যতীত কোন রাক্আতে তাশাহ্হুদ পড়ার জন্যে বসতেন না। ] {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৭৪৭। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৫৭. সাদ ইবনি হিশাম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি উম্মুল মুমিনীন আয়িশাহ [রাদি.] -এর কাছে গেলাম। তাহাঁর কাছে বললাম, উম্মুল মুমিনীন! আমাকে রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর খুলুক [স্বভাব-চরিত্র] ব্যাপারে কিছু বলুন। আয়িশাহ [রাদি.] বললেন, তুমি কি কুরআন পড়ো না? আমি বললাম, হ্যাঁ পড়ি। এবার তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর নৈতিকতা ছিল আল-কুরআন। আমি বললাম, হে উম্মুল মুমিনীন! আমাকে রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর বিতর ব্যাপারে বলুন। তিনি বললেন, [রাতের বিতর সলাতের জন্যে] আমি পূর্বে থেকেই রাসূলুল্লাহর মিসওয়াক ও উযূর পানির ব্যবস্থা করে রাখতাম। আল্লাহ তাআলা যখন তাঁকে ঘুম হইতে সজাগ করিতে চাইতেন, উঠাতেন। তিনি [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] প্রথমে মিসওয়াক করিতেন, তারপর উযূ করিতেন ও নয় রাকআত সলাত আদায় করিতেন। অষ্টম রাকআত ব্যতীত কোন রাকআতে তিনি বসতেন না। আট রাকআত পড়া শেষ হলে [তাশাহহুদে] বসতেন। আল্লাহর যিকর করিতেন। তাহাঁর প্রশংসা করিতেন। তাহাঁর নিকট দুআ করিতেন অর্থাৎ আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করিতেন। তারপর সালাম ফিরানো ব্যতীত নবম রাকআতের জন্যে দাঁড়িয়ে যেতেন। নবম রাকআত শেষ করে তাশাহহুদ পাঠ করার জন্যে বসতেন। আল্লাহর যিকর করিতেন। তার প্রশংসা করিতেন। তাহাঁর নিকট দুআ করিতেন [অর্থাৎ তাশাহহুদ পড়তেন]। এরপর আমাদেরকে শুনিয়ে সশব্দে সালাম ফিরাতেন। তারপর বসে বসে দু রাকআত আদায় করিতেন। হে বৎস! এ মোট এগার রাকআত হলো। এরপর যখন তিনি বার্ধক্যে পৌছে গেলেন এবং তাহাঁর শরীর ভারী হয়ে গেল, তখন বিতরসহ সাত রাকআত সলাত আদায় করিতেন। আর পূর্বের মতোই দু রাকআত বসে বসে আদায় করিতেন। প্রিয় বৎস! এ মোট নয় রাকআত হলো। আল্লাহর নবী [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কোন সলাত আদায় করলে, তা নিয়মিত আদায় করিতে পছন্দ করিতেন। কোন দিন যদি ঘুম বেশী হয়ে যেত অথবা অন্য কোন সমস্যা দেখা দিত, যাতে তাহাঁর জন্যে রাত্রে দাঁড়ানো সম্ভব হত না, তখন তিনি দুপুরে বারো রাকআত সলাত আদায় করে নিতেন। আমার জানা মতে, আল্লাহর নবী [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কখনো এক রাতে সম্পুর্ণ কুরআন পড়েননি। অথবা ভোর পর্যন্ত সারা রাত্র ধরে সলাত আদায় করেননি এবং রমাযান মাস ব্যতীত অন্য কোন মাসে গোটা মাস সওম পালন করেননি।{১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৭৪৬। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৫৮. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ইরশাদ করিয়াছেন : তোমরা বিতরকে তোমাদের রাতের শেষ সলাত করো। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৯৯৮। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৫৯. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ইরশাদ করিয়াছেন : তোমরা [ভোরের লক্ষণ ফুটে উঠার আগে] বিতরের সলাত আদায় করিতে দ্রুত করো। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৭৫০। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৬০. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ইরশাদ করিয়াছেন : যে লোক আশংকা করে যে, শেষ রাতে উঠতে পারবে না সে যেন প্রথম রাতেই বিতরের সলাত আদায় করে নেয়। আর যে লোক শেষ রাত্রে উঠতে পারবে বলে মনে করে, সে যেন শেষ রাতেই বিতরের সলাত আদায় করে। এজন্য যে, শেষ রাতের সলাতে ফেরেশতাগণ উপস্থিত হন। আর এটা অনেক ভাল। {১}

1] সহীহ : মুসলিম ৭৫৫।বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৬১. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] রাত্রের প্রতি অংশেই বিতরের সলাত আদায় করিয়াছেন- প্রথম রাতেও [ইশার সলাতের পরপর], মধ্যরাতেও এবং শেষ রাতেও। কিন্তু শেষ জীবনে তিনি [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বিতরের সলাতের জন্যে রাতের সাহরীর সময় [শেষভাগ] নির্ধারিত করে নিয়েছিলেন।{১}

{১} সহীহ : বোখারী ৯৯৬, মুসলিম ৭৪৫; শব্দবিন্যাস মুসলিমের। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৬২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমার বন্ধু [রাসূলুল্লাহ] আমাকে তিনটি বিষয়ে ওয়াসিয়্যাত করিয়াছেন : প্রতি মাসে তিনটি সওম পালন করিতে, যুহার দু রাকআত সলাত [ইশরাক অথবা চাশত] পড়তে এবং ঘুমাবার পূর্বে বিতরের সলাত আদায় করিতে। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৯৮১, মুসলিম ৭২১। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ৩৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

১২৬৩. গুযায়ফ ইবনি হারিস [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ [রাদি.] -কে প্রশ্ন করলাম। রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ফারয গোসল রাতে প্রথম অংশে না শেষ অংশে করিতেন? আয়িশাহ [রাদি.] বললেন, কোন কোন সময় রাতের প্রথম প্রহরে কোন কোন সময় রাতের শেষ প্রহরে গোসল করিতেন। আমি বললাম, আল্লাহ তাআলা অনেক বড়। সব প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্যে। যিনি দ্বীনের আমালের ব্যাপারে সহজ [ব্যবস্থা] করে দিয়েছেন। আবার তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কি বিতরের সলাত রাতের প্রথম ভাগে আদায় করে নিতেন না রাতের শেষ ভাগে আদায় করিতেন? আয়িশাহ [রাদি.] বললেন, তিনি কখনো রাতের প্রথম ভাগেই আদায় করিতেন, আবার কখনো শেষ রাতে আদায় করিতেন। আমি বললাম, আল্লাহ তাআলা অনেক বড়। সব প্রশংসা তাহাঁর যিনি দ্বীনের কাজ সহজ [ব্যবস্থা] করে দিয়েছেন। তিনি আবার জিজ্ঞেস করিলেন, তিনি [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কি তাহাজ্জুদের সলাতে অথবা অন্য কোন সলাতে শব্দ করে ক্বিরাআত পড়তেন, না আস্তে আস্তে? তিনি বললেন, কখনো তো শব্দ করে ক্বিরাআত পড়তেন, আবার কখনো নিচু স্বরে। আমি বললাম, আল্লাহ তাআলা অনেক বড় ও সব প্রশংসা তাহাঁরই প্রাপ্য, যিনি দ্বীনের কাজ সহজ ও প্রশস্ত করে দিয়েছেন। [আবু দাউদ, ইবনি মাজাহ! ইবনি মাজাহ এ সূত্রে শুধু শেষ অংশ {যাতে ক্বিরাআতের উল্লেখ হয়েছে] নকল করিয়াছেন] {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ২২৬, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৬৭৯, আহমাদ ২৪২০২, সুনান আল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৯৬৩। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৬৪. আবদুল্লাহ ইবনি ক্বায়স [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ [রাদি.] -কে প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কত রাকআত বিতরের সলাত আদায় করিতেন। আয়িশাহ [রাদি.] বললেন, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কখনো চার ও তিন [অর্থাৎ সাত], আবার কখনো ছয় ও তিন [অর্থাৎ নয়], কখনো আট ও তিন [অর্থাৎ এগার] আবার কখনো দশ ও তিন [অর্থাৎ তের] রাকআত বিতরের সলাত আদায় করিতেন। তিনি সাত-এর কম ও তের-এর বেশী বিতরের সলাত আদায় করিতেন না। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৩৬২, সুনান আল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৪৮০৪। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৬৫. আবু আইয়ূব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ইরশাদ করিয়াছেন : বিতরের সলাত প্রত্যেক মুসলিমের আদায় করা কর্তব্য। তাই যে লোক বিতরের সলাত পাঁচ রাকআত আদায় করিতে চায় সে যেন পাঁচ রাকআত আদায় করে। যে লোক তিন রাকআত আদায় করিতে চায় সে যেন তিন রাকআত আদায় করে। যে লোক এক রাকআত আদায় করিতে চায় সে যেন এক রাকআত আদায় করে। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৪২২, নাসায়ী ১৭১০, ইবনি মাজাহ ১১৯০, সহীহ আল জামি ৭১৪৭, সুনান আল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৪৭৭৩। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৬৬. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ইরশাদ করিয়াছেন : আল্লাহ তাআলা বিতর [বিজোড়]। তিনি বিজোড়কে ভালোবাসেন। অতএব হে কুরআনের বাহকগণ! তোমরা বিতর সলাত আদায় কর।{১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৪১৬, আত তিরমিজি ৪৫৩, নাসায়ী ১৬৭৫, আহমাদ ১২২৫, সহীহ আত তারগীব ৫৯২। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৬৭. খারিজাহ্ ইবনি হুযাফাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ইরশাদ করিয়াছেন : আল্লাহ তাআলা এমন এক সলাত দিয়ে তোমাদের সহযোগিতা করিয়াছেন [পাঞ্জেগানা সলাত ছাড়া] যা তোমাদের জন্যে লাল উটের চেয়েও অনেক উত্তম। তা হলো বিতরের সলাত। আল্লাহ তাআলা এ সলাত তোমাদের জন্য ইশার সলাতের পর থেকে ফাজরের সলাতের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মাঝে আদায়ের জন্যে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।{১}

{১} সহীহ : তবে هِيَ خَيْرٌ لَّكُمْ مِنْ حُمْرِ النِّعَمِ অংশটুকু ব্যতীত। আবু দাউদ ১৪১৮, আত তিরমিজি ৪৫২, ইবনি মাজাহ ১১৬৮, দারাকুত্বনী ১৬৫৬। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৬৮. যায়দ ইবনি আসলাম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ইরশাদ করিয়াছেন : যে লোক বিতরের সলাত আদায় না করে শুয়ে পড়েছে [আর উঠতে পারেনি], সে যেন [ফাজরের সলাতের পূর্বে] ভোর হয়ে গেলেও তা পড়ে নেয়। {১}

{১} সহীহ : আত তিরমিজি ৪৬৬, সহীহ আল জামি ৬৫৬৩। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৬৯. আবদুল আযীয ইবনি জুরায়জ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা আয়িশাহ [রাদি.] -কে প্রশ্ন করেছিলাম, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বিতরের সলাতে কোন কোন সূরাহ পড়তেন? আয়িশাহ [রাদি.] বললেন, তিনি প্রথম রাকাআতে সাবিহিস্মা রব্বিকাল আলা- দ্বিতীয় রাকাআতে কুল ইয়া- আইয়াহাল কা-ফিরুন এবং তৃতীয় রাকাআতে কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ, কুল আউয়ু বিরব্বিল ফালাক্ব ও কুল আউয়ু বিরব্বিন না-স পড়তেন। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৪২৪, আত তিরমিজি ৪৬৩, ইবনি মাজাহ ১১৭৩, আহমাদ ২৫৯০৬। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৭০. আবদুর রহমান ইবনি আবযা হইতে বর্ণীতঃ

এ বর্ণনাটিকে ঈমাম নাসায়ী আবদুর রহমান ইবনি আবযা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। {১}

{১} সহীহ : নাসায়ী ১৬৯৯। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৭১. উবাই ইবনি কাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আর ঈমাম আহমাদ উবাই ইবনি কাব [রাদি.] থেকে বর্ণনা করিয়াছেন।

এই হাদিসটির তাহকীকঃ নির্ণীত নয়

১২৭২. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আর দারিমী ইবনি আব্বাস [রাদি.] থেকে নকল করিয়াছেন। কিন্তু ঈমাম আহমাদ ও দারিমী নিজেদের বর্ণনায় “মুআব্বিযাতায়ন” উল্লেখ করেননি]। {১}

{১} দারিমী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ নির্ণীত নয়

১২৭৩. সান ইবনি আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বিতরের দুআ কুনুত পাঠ করার জন্য আমাকে কিছু কালিমাহ্ শিক্ষা দিয়েছেন। সে কালিমাগুলো হলো,

اَللّهُمَّ اهدنىْ فِيْمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِىْ فِيْمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِىْ فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِىْ فِيْمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِىْ شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِىْ وَلَا يُقْضى عَلَيْك وَإِنَّه لَا يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ

“আল্ল-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদায়তা ওয়া আ-ফিনী ফীমান আ-ফায়তা, ওয়াতা ওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লায়তা, ওয়াবা-রিক লী ফীমা- আ-ত্বায়তা, ওয়াক্বিনী শাররা মা- ক্বযায়তা, ফাইন্নাকা তাক্বযী ওয়ালা- ইউক্বযা- আলায়কা, ওয়া ইন্নাহূ লা- ইয়াযিল্লু মাওঁ ওয়ালায়তা, তাবা-রাক্তা রব্বানা- ওয়াতাআ-লায়তা” অর্থাৎ “হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হিদায়াত দান করে সে সব মানুষের সঙ্গে যাদের তুমি হিদায়াত দান করেছ [নবী রসূলগণ]। তুমি আমাকে দুনিয়ার বিপদাপদ থেকে হিফাযাত করো ওসব লোকের সঙ্গে যাদেরকে তুমি হিফাযাত করেছ। যাদের তুমি অভিভাবক হয়েছো, তাদের মাঝে আমারও অভিভাবক হও। তুমি আমাকে যা দান করেছ [জীবন, জ্ঞান সম্পদ, ধন, নেক আমাল], এতে বারাকাত দান করো। আর আমাকে তুমি রক্ষা করো ওসব অনিষ্ট হইতে যা আমার তাকদীরে লিখা হয়ে গেছে। নিশ্চয় তুমি যা চাও তাই আদেশ করো। তোমাকে কেউ আদেশ করিতে পারে না। তুমি যাকে ভালোবাসো তাকে কেউ অপমানিত করিতে পারে না। হে আমার রব! তুমি বারাকাতে পরিপূর্ণ। তুমি খুব উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন”।

[তিরমিয়ী, আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনি মাজাহ, দারিমী] {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৪২৫, আত তিরমিজি ৪৬৪, নাসায়ী ১৭৪৫, ইবনি মাজাহ ১১৭৮, আহমাদ ১৭১৮, দারিমী ১৬৩৪, ইবনি খুযায়মাহ্ ১০৯৫, ইরওয়া ৪২৯। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৭৪. উবাই ইবনি কাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বিতরের সলাতের সালাম ফিরাবার পর বলিতেন,

سُبْحَانَكَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ

উচ্চারণঃ সুবহা-নাকাল মালিকিল কুদূস, অর্থঃ পাক-পবিত্র বাদশাহ খুবই পবিত্র।

[আৰু দাউদ, নাসায়ী; তিনি {নাসায়ী] বৃদ্ধি করিয়াছেন যে, তিনবার দুআটি পড়তেন, শেষের বারে দীর্ঘায়িত করিতেন] {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৪৩০, নাসায়ী ১৬৯৯, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৪৩৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৪৮৭০। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৭৫. আবদুর রহমান ইবনি আবযা হইতে বর্ণীতঃ

নাসায়ীর একটি বর্ণনা আবদুর রহমান ইবনি আবৃযা তার পিতা হইতে নকল করিয়াছেন : তিনি [সাঃআঃ] যখন সালাম ফিরাতেন, তিনবার বলিতেন

سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوْسِ

উচ্চারণঃ সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস , অর্থঃ পাক-পবিত্র বাদশাহ খুবই পবিত্র।

তৃতীয়বার উচ্চৈঃস্বরে বলিতেন। {১}

{১} সহীহ : নাসায়ী ১৭৩২। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৭৬. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তার বিতরের সলাত শেষে এ দুআ পড়তেন :

اللّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوْبَتِكَ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْكَ لَا أُحْصِىْ ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلى نَفْسِكَ

“আল্ল-হুম্মা ইনী আঊযু বিরিযা-কা মিন সাখাতিকা ওয়া বিমুআ-ফা-তিকা মিন উকুবাতিকা ওয়া আঊযু বিকা মিনকা, লা- উহসী সানা-য়ান আলায়কা, আনতা কামা- আস্নায়তা আলা- নাফসিকা” [অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি পানাহ চাই তোমার সন্তুষ্টির মাধ্যমে তোমার গজব থেকে, তোমার নিরাপত্তার মাধ্যমে তোমার আযাব থেকে। আমি পানাহ চাই তোমার নিকট তোমার অসন্তোষ থেকে। তোমার প্রশংসা বর্ণনা করে আমি শেষ করিতে পারবো না। তুমি তেমন, যেমন তুমি তোমার বিবরণ দিয়েছ ]। [আবু দাউদ, তিরমিয়ী, নাসায়ী, ইবনি মাজাহ] {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৪২৭, আত তিরমিজি ৩৫৬৬, নাসায়ী ১৭৪৭, ইবনি মাজাহ ১১৭৯, আহমাদ ৭৫১, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১১৫০, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৪৩৭, সুনান আল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৪৮৭১। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ৩৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

১২৭৭. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তাহাঁর নিকট প্রশ্ন করা হলো যে, আমীরুল মুমিনীন মুআবিয়াহ্ [রাদি.] -এর ব্যাপারে আপনার কিছু বলার আছে? তিনি বিতরের সলাত এক রাক্আত আদায় করেন। [এ কথা শুনে] ইবনি আব্বাস [রাদি.] বললেন, তিনি একজন ফকীহ, যা করেন ঠিক করেন।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ইবনি আবু মুলায়কাহ্ বলেন, মুআবিয়াহ্ ইশার সলাতের পর বিতরের সলাত এক রাক্আত আদায় করিয়াছেন। তার কাছে ছিলেন ইবনি আব্বাস-এর আযাদ করা গোলাম। তিনি তা দেখে ইবনি আব্বাসকে ব্যাপারটি জানিয়ে দিলেন। ইবনি আব্বাস বললেন, তার সম্পর্কে কিছু বলো না। তিনি নবী [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর সাহচর্যের মর্যাদা লাভ করিয়াছেন।{১}

{১} সহীহ : বোখারী ৩৭৬৪, ৩৭৬৫। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৭৮. বুরায়দাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে বলিতে শুনিয়াছি : বিতরের সলাত আবশ্যক [অর্থাৎ ওয়াজিব]। তাই যে লোক বিতরের সলাত আদায় করিল না, সে আমার উম্মাতের মাঝে গণ্য নয়। বিতরের সলাত সত্য, যে বিতরের সলাত আদায় করিল না সে আমার উম্মাতের মাঝে গণ্য হবে না। বিতরের সলাত সত্য, যে লোক বিতরের সলাত আদায় করিল না সে আমার উম্মাতের মাঝে গণ্য হবে না। বিতরের সলাত সত্য, যে ব্যক্তি বিতরের সলাত আদায় করিল না সে আমার উম্মাতের মাঝে গণ্য হবে না। ] {১}

{১} জইফ : আবু দাউদ ১৪১৯, জইফ আত তারগীব ৩৪০, জইফ আল জামি ৬১৫০। কারণ এর সানাদে আতাকী একজন দুর্বল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

১২৭৯. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ইরশাদ করিয়াছেন : যে লোক বিতরের সলাত আদায় না করে ঘমিয়ে পড়লো অথবা আদায় করিতে ভুলে গেল সে যেন যখনই স্মরণ হয় বা ঘুম হইতে সজাগ হয়ে আদায় করে নেয়।{১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৪৩১, আত তিরমিজি ৪৬৫, ইবনি মাজাহ ১১৮৮, আহমাদ ১১২৬৪। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৮০. ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি জানতে পারলেন যে, এক লোক আব্দুল্লাহ্ ইবনি উমার-এর নিকট বিতরের সলাত ওয়াজিব কি-না তা প্রশ্ন করিল। আবদুল্লাহ ইবনি উমার বললেন, বিতরের সলাত রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আদায় করিয়াছেন এবং মুসলিমরাও [সহাবীগণ] আদায় করিয়াছেন। ঐ লোক বারবার একই বিষয় জিজ্ঞেস করিতে থাকেন। ইবনি উমারও একই উত্তর দিতে থাকেন যে, বিতরের সলাত রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আদায় করিয়াছেন এবং মুসলিমরাও আদায় করিয়াছেন। {১}

{১} জইফ : মালিক ৪০৪, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৬৮৫০, আহমাদ ৪৮৩৪। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

১২৮১. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বিতরের সলাত তিন রাক্আত আদায় করিতেন এবং তাতে মুফাসসালের নয়টি সূরাহ্ পাঠ করিতেন। প্রতি রাক্আতে তিনটি সূরাহ্ এবং এগুলোর শেষ সূরাহ্ ছিল “কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ” [সূরাহ্ আল ইখলা-স]। {১}

{১} খুবই দুর্বল : আত তিরমিজি ৪৬০। এই হাদিসটির তাহকীকঃ খুবই দুর্বল

১২৮২. নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনি উমার-এর সঙ্গে মাক্কায় ছিলাম। আসমান মেঘাচ্ছন্ন ছিল। ইবনি উমার সকাল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করিলেন। তখন তিনি এক রাক্আত বিতরের সলাত আদায় করে নিলেন। তারপর আসমান পরিষ্কার হয়ে গেলে দেখলেন, এখনো অনেক রাত অবশিষ্ট আছে। তাই তিনি আরো এক রাক্আত আদায় করে জোড়া করে নিলেন। এরপর দু দু রাক্আত করে [নাফল] আদায় করিলেন। তারপর যখন আবার সকাল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করিলেন তিনি বিতরের এক রাক্আত আদায় করিলেন। {১}

{১} সহীহ : মালিক ৪০৫। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৮৩. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] [শেষ বয়সে] বসে বসে ক্বিরাআত পড়তেন। ত্রিশ কি চল্লিশ আয়াত অবশিষ্ট থাকতে তিনি [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] দাঁড়িয়ে যেতেন। বাকী [আয়াত] দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়তেন। তারপর রুকূ করিতেন ও সাজদায় যেতেন। এভাবে তিনি [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] দ্বিতীয় রাক্আতও আদায় করিতেন। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ১১১৯, মুসলিম ৭৩১। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৮৪. উম্মুল মুমিনীন উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বিতরের পরে দু রাক্আত [সলাত] আদায় করিতেন। {তিরমিজি; কিন্তু ইবনি মাজাহ আরো বলেছেন, সংক্ষেপে ও বসে বসে। {১}

{১} সহীহ : আত তিরমিজি ৪৭১, ইবনি মাজাহ ১১৯৫, সুনান আল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৪৮২২।বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৮৫. উম্মুল মুমিনীন আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বিতরের এক রাক্আত আদায় করিতেন। তারপর দু রাক্আত [নাফল] আদায় করিতেন। এতে তিনি বসে বসে ক্বিরাআত পড়তেন। রুকূ করার সময় হলে তিনি [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] দাঁড়িয়ে যেতেন ও রুকূ করিতেন। {১}

{১} সহীহ : ইবনি মাজাহ ১১৯৬। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৮৬. সাওবান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ইরশাদ করিয়াছেন : তাহাজ্জুদের সলাতের জন্যে রাত্রে জেগে উঠা কষ্টকর ও কঠিন কাজ। তাই তোমাদের যে লোক রাতের শেষাংশে জাগরিত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়, সে ঘুমাবার পূর্বে ইশার সলাতের পর বিতর আদায় করিতে চাইলে যেন দু রাক্আত আদায় করে নেয়। যদি তাহাজ্জুদের সলাতের জন্যে রাত্রে উঠে যায় তবে তো ভাল, উঠতে না পারলে ঐ দু রাক্আত যথেষ্ট। {১}

{১} সহীহ : দারিমী ১৬৩৫। বিতরের সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৮৭. আবু উমামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বিতরের পর দু রাক্আত সলাত বসে আদায় করিতেন। আর এ দু রাক্আতে ইযা- যুল্‌যিলাতি এবং কুল ইয়া- আইয়্যুহাল কা-ফিরূন পড়তেন। [{১}

1] হাসান : আহমাদ ২২২৪৭, আওসাতুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৮০৬৫। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply