বিচার ফায়সালা । বিচারকের প্রকার সমূহ

বিচার ফায়সালা

বিচার ফায়সালা ১৩৮৩ -১৪১৭ >> বুলুগুল মারাম এর মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায়ঃ বিচার ফায়সালা । বিচারকের প্রকার সমূহ

পরিচ্ছেদ ০১. বিচারকের প্রকার সমূহ
পরিচ্ছেদ ০২. বিচারকের পদের মহত্ত
পরিচ্ছেদ ০৩. বিচারকের পদ প্রত্যাশা করার প্রতি সতর্কীকরণ
পরিচ্ছেদ ০৪. চিন্তা-গবেষণা করে ফায়সালায় বিচারকের প্রতিদান রয়েছে তা সঠিক হোক বা ভুল হোক
পরিচ্ছেদ ০৫. রাগান্বিত অবস্থায় বিচারকার্য করা নিষেধ
পরিচ্ছেদ ০৬. বিচারকার্যের পদ্ধতি
পরিচ্ছেদ ০৭. বিচারক বাহ্যিক অবস্থা দেখে বিচার করিবে আভ্যন্তরীন অবস্থা দেখে নয়
পরিচ্ছেদ ০৮. ন্যায্য অধিকার আদায়ে দুর্বলকে সহায়তা করা
পরিচ্ছেদ ০৯. বিচারকার্যের গুরুত্ব
পরিচ্ছেদ ১০. মহিলাদের বিচারকার্যের দায়িত্ব না নেওয়া
পরিচ্ছেদ ১১. লোকদের বাধা প্রদান করার জন্য বিচারকের দারোয়ান রাখা নিষেধ
পরিচ্ছেদ ১২. বিচারকার্যে ঘুষ নেওয়া হারাম
পরিচ্ছেদ ১৩. বিচারকের সামনে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত উভয়পক্ষের বসা

পরিচ্ছেদ ০১. বিচারকের প্রকার সমূহ

১৩৮৩। বুরাইদাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, ক্বাযী [বিচারক] তিন প্রকারের, তার মধ্যে দু প্রকার ক্বাযী জাহান্নামী আর এক প্রকার জান্নাতী। যে ক্বাযী সত্য উপলব্ধি করিবে এবং তদনুযায়ী ফায়সালাহ করিবে সে জান্নাতবাসী হইবে, আর এক ক্বাযী সে সত্য উপলব্ধি করিবে কিন্তু তদনুযায়ী ফায়সালাহ করিবে না, অন্যায়ের ভিত্তিতে ফায়সালাহ করিবে সে জাহান্নামী হইবে।আর এক ক্বাযী সত্য উপলব্ধি করিতে পারবে না, অথচ অজ্ঞতার ভিত্তিতে লোকের জন্য ফায়সালাহ প্রদান করিবে সে জাহান্নামী হইবে।[তার নীতিভ্রষ্টতা তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে]। {১৪৯১}

{১৪৯১} আবু দাউদ ৩৫৭৩, তিরমিজি ১৩২২, ইবনি মাজাহ ২৩১৫। বিচার ফায়সালা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ০২. বিচারকের পদের মহত্ত

১৩৮৪। আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যাকে কায্বীর পদ দেয়া হলো তাকে যেন বিনা ছুরিতেই যবাহ করা হলো। {১৪৯২}

{১৪৯২} তিরমিজি ১৩২৫, আবু দাউদ ৩৫৭১, ৩৫৭২, ইবনি মাজাহ ২৩০৮, আহম্মদ ৭১০৫, ৮৫৫৯ । বিচার ফায়সালা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ০৩. বিচারকের পদ প্রত্যাশা করার প্রতি সতর্কীকরণ

১৩৮৫। আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা নিশ্চয়ই নেতৃত্বের লোভ কর, অথচ ক্বিয়ামাতের দিন তা লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কত উত্তম দুগ্ধদায়িনী ও কত মন্দ দুগ্ধ পানে বাধা দানকারিনী [এটা][অর্থাৎ এর প্রথম দিক দুগ্ধদানের মত তৃপ্তিকর ও পরিণাম দুধ ছাড়ানোর মত যন্ত্রনাদায়ক]। {১৪৯৩}

{১৪৯৩} বোখারী ৭১৪৮, নাসাঈ ৪২১১, ৫৩৮৫, আহম্মদ ৯৪৯৯, ৯৮০৬। বিচার ফায়সালা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ০৪. চিন্তা-গবেষণা করে ফায়সালায় বিচারকের প্রতিদান রয়েছে তা সঠিক হোক বা ভুল হোক

১৩৮৬। আমর ইব্‌নু আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে এ কথা বলিতে শুনেছেন, কোন বিচারক ইজ্‌তিহাদে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছলে তার জন্য রয়েছে দুটি পুরস্কার। আর বিচারক ইজ্‌তিহাদে ভুল করলে তার জন্যও রয়েছে একটি পুরস্কার। {১৪৯৪}

{১৪৯৪} বোখারী ৭৩৫২, মুসলিম ১৭১৬, আবু দাউদ ৩৫৭৪, ইবনি মাজাহ ২৩১৪, আহম্মদ ৬৭১৬, ১৭৩২০। বিচার ফায়সালা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ০৫. রাগান্বিত 5অবস্থায় বিচারকার্য করা নিষেধ

১৩৮৭। আবু বাক্‌রাহ[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, কোন বিচারক রাগের অবস্থায় দুজনের মধ্যে বিচার করিবে না। {১৪৯৫}

{১৪৯৫} আবদুর রাহমান ইবনি আবু বাকরাহ [রাদি.] হতে বর্ণিত।তিনি বলেন যে [আরবি] আবু বাকরাহ [রাদি.] তাহাঁর ছেলেকে লিখে পাঠালেন- যে তুমি রাগের অবস্থায় বিবাদমান দুলোকের মাঝে ফায়সালা করো না; সে সময় তিনি সিজিস্তানের বিচারক ছিলেন। কেননা, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু [আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে- এ বলে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেন। বোখারী ৭১৫৮, মুসলিম ১৭১৭, তিরমিজি ১৩৩৪, নাসাঈ ৫৪০৬, আবু দাউদ ৩৫৮৯, ইবনি মাজাহ ২৩১৬, আহম্মদ ১৯৮৬৬, ১৯৯৫৪। বিচার ফায়সালা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ০৬. বিচারকার্যের পদ্ধতি

১৩৮৮। আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যখন দুজন লোক [দুটো পক্ষ] কোন মোকদ্দমা তোমার কাছে আনবে তখন দ্বিতীয় ব্যক্তির [অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য] না শোনা পর্যন্ত প্রথম ব্যক্তির [অভিযোগকারীর] অনূকূলে কোন ফায়সালাহ দেবে না। এ নীতি ধরে ফায়সালাহ করলে তুমি ফায়সালা কিভাবে করিতে হয় তার সঠিক ধারা জানতে পারবে।

আলী [রাদি.]বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর উপদেশ দানের পর হতে আমি বরাবর ক্বাযীর দায়িত্ব সম্পাদন করেছি। {১৪৯৬}

{১৪৯৬} আবু দাউদ ৩৫৮২, তিরমিজি ১৩৩১, আহম্মদ ৬৬৮, ১১৫৯, ১৩৪৪। শাইখ আলবানী ইরওয়াউল গালীল ৮/২২৬ গ্রন্থে বলেন, এর সনদ দুর্বল আবার সহিহ তিরমিজিতে ১৩৩১ হাসান বলেছেন। আহম্মদ শাকের মুসনাদ আহম্মদ ২/২৮৯ গ্রন্থে এর সনদকে সহিহ বলেছেন, ইবনি উসাইমীন তাহাঁর শারহুল মুমতি ১৫/৩৫৩ গ্রন্থে বলেন,এ হাদিস সম্পর্কে কিছু মন্তব্য রয়েছে কেউ কেউ একে হাসান বলেছেন। বিচার ফায়সালা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১৩৮৯। ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এই হাদিসের সহ সহযোগী একটা হাদিস হাকিমে রয়েছে সহিহ সনদে। {১৪৯৭}

{১৪৯৭} হাকিম ৪র্থ খন্ড ৮৯-৯৯ পৃষ্ঠা। হাদিসটি দুর্বল। বিচার ফায়সালা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

পরিচ্ছেদ ০৭. বিচারক বাহ্যিক অবস্থা দেখে বিচার করিবে আভ্যন্তরীন অবস্থা দেখে নয়

১৩৯০। উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা আমার কাছে ঝগড়া বিবাদ নিয়ে আসো। হয়তো তোমাদের কেউ অন্যজনের অপেক্ষা প্রমাণ পেশের ব্যাপারে অধিক বাকপটু। আর আমি তো যেমন শুনি তার ভিত্তিতেই বিচার করে থাকি। কাজেই আমি যদি কারো জন্য তার অন্য ভাইয়ের সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত দেই, ফলে আমি তার ভাইয়ের যে অংশ নির্ধারণ করলাম তা তো কেবল এক টুকরা আগুন। {১৪৯৮}

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা আমার কাছে ঝগড়া বিবাদ নিয়ে আসো। হয়তো তোমাদের কেউ অন্যজনের অপেক্ষা প্রমাণ পেশের ব্যাপারে অধিক বাকপটু। আর আমি তো যেমন শুনি তার ভিত্তিতেই বিচার করে থাকি। কাজেই আমি যদি কারো জন্য তার অন্য ভাইয়ের সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত দেই, ফলে আমি তার ভাইয়ের যে অংশ নির্ধারণ করলাম তা তো কেবল এক টুকরা আগুন। {১৪৯৮}

বিচার ফায়সালা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ০৮. ন্যায্য অধিকার আদায়ে দুর্বলকে সহায়তা করা

১৩৯১। জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনিয়াছি, কি করে পবিত্র করা যাবে ঐ জাতিকে, যাদের দুর্বলদের হাক্ব সবলদের কাছ থেকে [বিচার মূলে] আদায় করা না যাবে। {১৪৯৯}

{১৪৯৯} ইবনি হিব্বান ১৫৫৪, কাশফুল আসতার ১৫৯৬। বিচার ফায়সালা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৩৯২। বুরাইদাহ কর্তৃক বায্‌যার হইতে বর্ণীতঃ

হাদিসগ্রন্থে একটা হাদিস এ হাদিসের সহায়করূপে বর্ণিত হয়েছে। {১৫০০}

{১৫০০} কাশফুল আসতার ১৫৯৬। বিচার ফায়সালা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১৩৯৩। আবু সাঈদ হইতে বর্ণীতঃ

ইবনি মাজায় অনুরূপ একটি সমর্থক হাদিস রয়েছে। {১৫০১}

{১৫০১} বোখারী ৮০৯, ৮১০, ৮১২, মুসলিম ৪৯০, তিরমিজি ২৭৩, নাসাঈ ১০৯৩, ১০৯৬, আবু দাউদ ৮৮৯, ৮৯০, আহম্মদ ২৫২৩, ২৯৭৬, দারিমী ১৩১৮, ১৩১৯। বিচার ফায়সালা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

পরিচ্ছেদ ০৯. বিচারকার্যের গুরুত্ব

১৩৯৪। আয়িশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনিয়াছি, ন্যায় বিচারক ক্বাযীকে কিয়ামাতের দিবসে ডাকা হইবে এবং সে ঐ দিন হিসাবের কঠোরতার সম্মুখীন হয়ে আকাংক্ষা করিবে, হায় সে যদি জীবনে দুজন লোকের মধ্যে ফায়সালাহ না করতো [তাই মঙ্গল ছিল]।

হাদিসটি ঈমাম বায়হাক্বী বর্ণনা করিয়াছেন তাতে আছে-যদি এ কটি খেজুরের ব্যাপারেও ফায়সালা না করতো। {১৫০২}

{১৫০২} ইবনি হিব্বান ১৫৬৩। ঈমাম যাহাবী তাহাঁর সিয়ার আলামুন নুবালা [১৮/১৭০] গ্রন্থে হাদিসটিকে অত্যন্ত গরীব বলেছেন। আল মুনযিরী তাহাঁর তারগীব ওয়াত তারহীব [৩/১৭৯] গ্রন্থে বলেন, হাদিসটি সহিহ অথবা হাসান কিংবা এতদুয়ের কাছাকাছি। শাইখ আলবানী হাদিসটিকে জঈফ তারগীব [১৩১০] গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন। ইবনি উসাইমীন তাহাঁর শরহে বুলুগুল মারাম [৬/১৬৭] গ্রন্থে বলেন, হাদিসটি বাতিল অথবা বিরল। বিচার ফায়সালা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

পরিচ্ছেদ ১০. মহিলাদের বিচারকার্যের দায়িত্ব না নেওয়া

১৩৯৫। আবু বাকরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেন, ঐ জাতি কক্ষনো মুক্তি লাভ করিবে না যে জাতি নিজেদের নেতৃত্ব স্ত্রীলোকের উপর অর্পণ করিবে। {১৫০৩}

{১৫০৩} আবু বাক্‌রাহ [রাদি.] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন-[আরবি] রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] থেকে শ্রুত একটি বাণীর দ্বারা আল্লাহ্‌ জঙ্গে জামালের [উষ্ট্রের যুদ্ধ] দিন আমার মহা উপকার করিয়াছেন, যে সময় আমি সাহাবায়ে কিরামের সঙ্গে মিলিত হয়ে জামাল যুদ্ধে শারীক হতে প্রায় প্রস্তুত হয়েছিলাম। আবু বাক্‌রাহ [রাদি.] বলেন, সে বানীটি হল, যখন নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে এ খবর পৌছল যে, পারস্যবাসী কিসরা কন্যাকে তাহাদের বাদশাহ মনোনীত করিয়াছেন। তারপর তিনি উপরোক্ত হাদিসটি বর্ণনা করিলেন। বোখারী ৪৪১৫, ৭০৯৯, মুসলিম ২২৬২, নাসাঈ ৫৩৮৮, আহম্মদ ১৯৮৮৯, ২৭৭৪৫। বিচার ফায়সালা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ১১. লোকদের বাধা প্রদান করার জন্য বিচারকের দারোয়ান রাখা নিষেধ

১৩৯৬। আবু মারইয়াম আযদী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেন, আল্লাহ্‌ যাকে মুসলিমদের কোন কিছুর অলী বানিয়ে দেন [পরিচালনা দায়িত্ব অর্পণ করে]। সে যদি মুসলিম জনসাধারণের প্রয়োজন ও অভাবের প্রতি-বন্ধকতা সৃষ্টিকারী দারোয়ান রাখে তবে আল্লাহ্‌ও তার প্রয়োজনের সময় প্রতি-বন্ধকতা সৃষ্টি করবেন। {১৫০৪}

{১৫০৪} আবু দাউদ ২৯৪, মুসলিম ১৩৩৩, আহম্মদ ১৭৫৭২। হাদিসটি সানাদ জাইয়্যিদ, তাওযিহুল আহকাম ৭/১৮৬ [সহিহ]। বিচার ফায়সালা হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

পরিচ্ছেদ ১২. বিচারকার্যে ঘুষ নেওয়া হারাম

১৩৯৭। আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফায়সালার ক্ষেত্রে ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতাকে লানাত করিয়াছেন।

এ হাদিসের অনুরূপ অর্থের একটা সহযোগী হাদিস আব্দুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হতে আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনি মাজায় বর্ণিত হয়েছে। {১৫০৫}

{১৫০৫} আবু দাউদ, তিরমিজি এবং ইবনি মাযাহ-এ রয়েছে, রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ঘুষদাতা এবং ঘুষগ্রহিতাকে অভিসম্পাত করিয়াছেন। ইবনি মাজাহর এক বর্ণনায় আল্লাহর মানতের কথা বর্ণিত হয়েছে। ঈমাম তিরমিজি বলেছেন, হাদিসটি হাসান সহিহ। তিরমিজি ১৩৩৫। বিচার ফায়সালা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ১৩. বিচারকের সামনে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত উভয়পক্ষের বসা

১৩৯৮। আব্দুল্লাহ ইবনি যুবাইর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফায়সলাহ দিয়েছেন যে, বাদী ও বিবাদী বিচারকের সামনে বসে থাকিবে। {১৫০৬}

{১৫০৬} আবু দাউদ ৩৫৮৮, আহম্মদ ১৫৬৭২। ইবনিল মুলকিন তাহাঁর তুহফাতুল মুহতাজ [২/৫৭৪] গ্রন্থে বলেন, হাদিসটি মুসআব বিন সাবিতের কারণে মাওকূফ। ঈমাম শওকানি তাহাঁর আদ্দারারী আল মুযীয়া [৩৭৪] গ্রন্থে বলেন, এর সনদে মুসআব বিন সাবিত বিন আবদুল্লাহ ইবনিয যুবাইর নামক দুর্বল রাবি রয়েছে। তিনি সাইলুল জাররার [৪/২৮০] গ্রন্থেও অনুরূপ মন্তব্য করিয়াছেন। শাইখ আলবানী তাখরীজ মিশকাতুল মাসাবীহ [৩৭১১] গ্রন্থে বলেন, মুসাআব বিন সাবিত হাদিসের ক্ষেত্রে লীন [দুর্বল]। জঈফ আবু দাউদ [৩৫৮৮] গ্রন্থেও একে দুর্বল বলা হয়েছে। বিচার ফায়সালা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস


by

Comments

One response to “বিচার ফায়সালা । বিচারকের প্রকার সমূহ”

Leave a Reply