সাক্ষাতের ফযীলাত, বড়দের সম্মান করা ও প্রবীণদের নেতৃপদ
সাক্ষাতের ফযীলাত, বড়দের সম্মান করা ও প্রবীণদের নেতৃপদে সমাসীন করা << আদাবুল মুফরাদ হাদীস কিতাবের মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায়ঃ৬, দান্যতা, কৃপণতা ও দোষ
১৫৯. অনুচ্ছেদঃ দেখা-সাক্ষাত করিতে যাওয়া।
১৬০. অনুচ্ছেদঃ কেউ কোন সম্প্রদায়ের সাথে সাক্ষাত করিতে গিয়ে তাহাদের সাথে তার আহার গ্রহণ।
১৬১. অনুচ্ছেদঃ পারস্পরিক সাক্ষাতের ফযীলাত।
১৬২. অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়কে ভালোবাসে কিন্তু তাহাদের সাথে মিলিত হইতে পারছে না।
১৬৩. অনুচ্ছেদঃ প্রবীণদের মর্যাদা।
১৬৪. অনুচ্ছেদঃ বড়দের সম্মান করা।
১৬৫. অনুচ্ছেদঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বক্তব্য পেশ ও জিজ্ঞাসার সূচনা করিবে।
১৬৬. অনুচ্ছেদঃ প্রবীণ ব্যক্তি কথা না বললে কনিষ্ঠজন কি কথা বলিতে পারে?
১৬৭. অনুচ্ছেদঃ প্রবীণদের নেতৃপদে সমাসীন করা।
১৫৯. অনুচ্ছেদঃ দেখা-সাক্ষাত করিতে যাওয়া।
৩৪৫
আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ কোন ব্যক্তি তার [রুগ্ন] ভাইকে দেখিতে গেলে বা তার সাথে সাক্ষাত করিতে গেলে আল্লাহ তাকে বলেন, তুমি উত্তম, তোমার পদচারণা কল্যাণময় হোক এবং তুমি তোমার স্থান জান্নাতে নির্ধারিত করে নিয়েছে [তিরমিজী, ইবনি মাজাহ, আহমাদ, ইবনি হিব্বান]।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৩৪৬
উম্মু দারদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
সালমান [রাঃআঃ] মাদায়েন থেকে পদব্রজে সিরিয়া এসে আমাদের সাথে সাক্ষাত করেন। তখন তার পরনে ছিল পাজামা। ইবনি শাওযাব [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, সালমান [রাঃআঃ]-কে দেখা গেলো যে, তার গায়ে চাদর জড়ানো, তার মাথা মুণ্ডিত এবং কান প্রশস্ত। তাকে বলা হলো, আপনি নিজেকে কদাকার করে ফেলেছেন। তিনি বলেনঃ নিশ্চয় আখেরাতের কল্যাণই প্রকৃত কল্যাণ।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
১৬০. অনুচ্ছেদঃ কেউ কোন সম্প্রদায়ের সাথে সাক্ষাত করিতে গিয়ে তাহাদের সাথে তার আহার গ্রহণ।
৩৪৭
আনাস ইবনি মালেক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক আনসারীর বাড়িতে দেখা-সাক্ষাত করিতে গেলেন এবং সেখানে তাহাদের সাথে আহার করিলেন। তিনি রওয়ানা হওয়ার সময় আদেশ করলে ঘরের একটি স্থানে পানি ছিটিয়ে বিছানা পেতে দেয়া হলো। তিনি সেখানে নামায পড়লেন এবং তাহাদের জন্য দোয়া করিলেন [বোখারী হা/৫৬৪২] ।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৪৮
আবু খালদা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত
আবু উমাইয়্যা আবদুল করীম [রাহিমাহুল্লাহ] মোটা পশমী কাপড় পরিহিত অবস্থায় আবুল আলিয়ার সাথে সাক্ষাত করিতে আসেন। আবুল আলিয়া [রাহিমাহুল্লাহ] তাকে বলেন, এটা তো খৃস্টান সন্যাসীদের পোশাক। মুসলমানগণ পরস্পরের সাথে দেখা-সাক্ষাত করিতে গেলে উত্তম পোশাক পরতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৩৪৯
আসমা [রাঃআঃ]-এর মুক্তদাস আবদুল্লাহ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত
আসমা [রাঃআঃ] আমার সামনে একটি তায়ালিসী জুব্বা বের করিলেন। তাতে এক বিঘৎ পরিমাণ এক টুকরা রেশমী কাপড় লাগানো ছিল, যা দ্বারা জুব্বার দুইটি কিনারা মোড়ানো ছিল । তিনি বলেন, এটা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর জুব্বা। তিনি প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাতকালে এবং জুমুআর দিন তা পরতেন [মুসলিম, আবু দাউদ, তাহাবী]।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৩৫০
আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
উমার [রাঃআঃ] একটি রেশমী চাদর পেলেন। তিনি তা নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট নিয়ে গিয়ে বলেন, আপনি এটি ক্রয় করুন এবং তা জুমুআর দিন অথবা যখন বিভিন্ন প্রতিনিধি দল আপনার সাথে সাক্ষাত করিতে আসবে তখন পরবেন। নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যার আখেরাতে কোন প্রাপ্য নাই কেবল সে এটা পরতে পারে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট অনুরূপ কয়েকটি রেশমী চাদর আসলো। তিনি তার একটি চাদর উমার [রাঃআঃ]-এর জন্য, একটি চাদর উসামা [রাঃআঃ]-এর জন্য এবং একটি চাদর আলী [রাঃআঃ]-এর জন্য পাঠান। উমার [রাঃআঃ] বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! আপনি এটা আমার জন্য পাঠিয়েছেন। অথচ আপনি এ সম্পর্কে যা বলেছেন তা তো আমি শুনিয়াছি। নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তুমি এটা বিক্রি করো অথবা এটা দ্বারা তোমার কোন প্রয়োজন
পূরণ করো [বোখারী, মুসলিম]।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬১. অনুচ্ছেদঃ পারস্পরিক সাক্ষাতের ফযীলাত।
৩৫১
আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ এক ব্যক্তি তার এক ভাইয়ের সাথে সাক্ষাত করার জন্য তার গ্রামে গেলো। আল্লাহ তার পথে একজন ফেরেশতাকে মোতায়েন করেন। ফেরেশতা তাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কোথায় যেতে চান? সে বললো, এই গ্রামে আমার এক ভাইয়ের সাথে দেখা করিতে। ফেরেশতা বলেন, আপনার উপর কি তার কোন অনুগ্রহ আছে, যার কারণে আপনি যাচ্ছেন? সে বললো, নাসায়ী, আমি তাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। ফেরেশতা বলেন, আমি আল্লাহর দূতরূপে আপনার নিকট এসেছি। আপনি যেমন ঐ ব্যক্তিকে ভালোবাসেন, আল্লাহও তদ্রুপ আপনাকে ভালোবাসেন [মুসলিম, আহমাদ, ইবনি হিব্বান]।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬২. অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়কে ভালোবাসে কিন্তু তাহাদের সাথে মিলিত হইতে পারছে না।
৩৫২
আবু যার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! এক ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়কে ভালোবাসে, কিন্তু কার্যত তাহাদের সাথে মিলিত হইতে পারছে না। তিনি বলেনঃ হে আবু যার! তুমি যাকে ভালোবাসো তারই সাথে হইবে। আমি বললাম, আমি আল্লাহ ও তাহাঁর রাসূলকে ভালোবাসি। তিনি বলেনঃ হে আবু যার! তুমি যাকে ভালোবাসো তার সাথেই থাকিবে [আবু দাউদ, আহমাদ, দারিমি, ইবনি হিব্বান]।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৩
আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞেস করে বললো, হে আল্লাহর নাবী! কিয়ামত কখন হইবে? তিনি বলেনঃ তুমি তার জন্য কি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছো? সে বললো, আমি ব্যাপক কিছু প্রস্তুতি নিতে পারিনি, তবে আমি আল্লাহ ও তাহাঁর রাসূলকে ভালোবাসি। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি যাকে ভালোবাসে, সে তার সাথেই থাকিবে। আনাস [রাঃআঃ] বলেন, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে সেদিন মুসলমানরা যতো অধিক খুশি হয়েছে, আর কোন দিন আমি তাহাদেরকে এতো খুশি হইতে দেখিনি [আবু দাউদ, তিরমিজী, নাসায়ী]।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৩. অনুচ্ছেদঃ প্রবীণদের মর্যাদা।
৩৫৪
আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যে লোক আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না এবং আমাদের বড়দের অধিকারের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৫
আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনুল আস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না এবং আমাদের বড়দের অধিকারের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় [দারিমি, তিরমিজী, আবু দাউদ, হাকিম]।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৬
আমর ইবনি শোয়াইব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের বড়দের অধিকার মানে না এবং আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৭
আবু উমামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের দয়া করে না এবং বড়দের সম্মান করে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
১৬৪. অনুচ্ছেদঃ বড়দের সম্মান করা।
৩৫৮
আবু মূসা আশআরী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত
প্রবীণ মুসলমানদের প্রতি সমান প্রদর্শন, কুরআনের ভারসাম্যপূর্ণ ভাষ্যকারের প্রতি, অযৌক্তিক ব্যাখ্যাকার ও রূঢ় আচরণকারীর প্রতি নয়, এবং ন্যায়পরায়ণ শাসকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অন্তর্ভুক্ত [আবু দাউদ]।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৩৫৯
আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনুল আস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান করে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় [দারিমি, তিরমিজী, আবু দাউদ, হাকিম]।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৫. অনুচ্ছেদঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বক্তব্য পেশ ও জিজ্ঞাসার সূচনা করিবে।
৩৬০
রাফে ইবনি খাদীজ ও সাহল ইবনি আবু হাসমা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত
আবদুল্লাহ ইবনি সাহল ও মুহাইয়্যাসা ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ] খায়বারে পৌছে এক খেজুর বাগানে তারা পরস্পর পৃথক হয়ে যান। সেখানে আবদুল্লাহ ইবনি সাহল [গুপ্ত ঘাতক দ্বারা] নিহত হন। [এ খবর মদীনায় পৌছলে] সাহলের পুত্র আবদুর রহমান এবং মাসউদের দুই পুত্ৰ হুআইয়্যাসা ও মুহাইয়্যাসা এ বিষয়ে কথা বলার জন্য নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট আসেন। আবদুর রহমান কথা শুরু করিলেন। তিনি ছিলেন দলের সর্বকনিষ্ঠ। নাবী [সাঃআঃ] তাকে বলেনঃ বড়কে অগ্রাধিকার দাও। রাবী ইয়াহইয়া [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, অর্থাৎ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরই প্রথম কথা বলা উচিত। অতএব তারা তাহাদের সাথীর ব্যাপারে আলাপ করিলেন। নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা কি তোমাদের পঞ্চাশ ব্যক্তির শপথের দ্বারা তোমাদের নিহত ব্যক্তির দিয়াতের দাবিদার হইবে? তারা বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! এমন একটি বিষয় যা আমরা স্বচক্ষে দেখিনি। তিনি বলেনঃ তাহলে ইহুদীরা তাহাদের পঞ্চাশ ব্যক্তির শপথের দ্বারা এই খুনের দায় থেকে অব্যাহতি লাভ করিবে। তারা বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! তারা তো কাফের সম্প্রদায়। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিজের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তির দিয়াত পরিশোধের ব্যবস্থা করেন। সাহল [রাঃআঃ] বলেন, দিয়াতের উটগুলোর মধ্যকার একটি উষ্ট্রী আমার ভাগে পড়ে। আমি এদের খোয়াড়ে গেলে সেই উষ্ট্রী আমাকে লাথি মারে [বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজী, নাসায়ী, ইবনি মাজাহ]।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৬. অনুচ্ছেদঃ প্রবীণ ব্যক্তি কথা না বললে কনিষ্ঠজন কি কথা বলিতে পারে?
৩৬১
ইবনি উমার [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমরা আমাকে এমন একটি গাছ সম্পর্কে অবহিত করে যা মুসলমানের সহিত সাদৃশ্যপূর্ণ, যা তার প্রভুর নির্দেশে অনবরত ফল দান করে এবং যার পাতাও ঝরে না। তখন আমার মনে খেজুর গাছ স্মরণ হলো। কিন্তু আবু বাকর ও উমার [রাঃআঃ] উপস্থিত থাকাতে আমি কথা বলা অসঙ্গত মনে করলাম। তারাও কোন উত্তর দিলেন না। তখন নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তা খেজুর গাছ। আমি আমার পিতার সাথে মজলিস ত্যাগ করে বললাম, পিতা! আমার মনেও খেজুর গাছের কথা উদয় হয়েছিল। তিনি বলেন, তোমাকে তা বলিতে কিসে বাধা দিলো? তুমি তা বললে আমার নিকট তা এই জিনিস হইতেও আনন্দদায়ক হতো। আমি বললাম, আমার বলিতে কোন বাধা ছিলো না। তবে আমি দেখলাম, আপনি বা আবু বাকর [রাঃআঃ] কেউ কথা বলছেন না। তাই আমি তা বলা অসঙ্গত মনে করলাম [বোখারী, মুসলিম]।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৬৭. অনুচ্ছেদঃ প্রবীণদের নেতৃপদে সমাসীন করা।
৩৬২
হাকীম ইবনি কায়েস ইবনি আসেম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত
তার পিতা তার মৃত্যুকালে তার সন্তানদের ওসিয়াত করে বলেন, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং তোমাদের মধ্যকার প্রবীণ ব্যক্তিকে নেতৃত্ব দান করো। কেননা কোন সম্প্রদায় তাহাদের প্রবীণদের উপর নেতৃত্ব অর্পণ করলে তারা তাহাদের পূর্বপুরুষের অনুসরণ করে এবং তাহাদের বয়কনিষ্ঠদের নেতৃপদে দিলে তারা তাহাদের সমকক্ষদের দৃষ্টিতে তাহাদেরকে হেয় করে দেয়। তোমরা অবশ্যই সম্পদ সংরক্ষণ করো এবং তা উৎপাদনমুখী কাজে বিনিয়োগ করো। কেননা তা সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিকে স্মরণীয় করে এবং তা দ্বারা ইতর লোকের মুখাপেক্ষী হওয়া থেকে বাঁচা যায়। সাবধান! মানুষের কাছে যাঞ্চা করা থেকে বিরত থাকিবে। কারণ তা হচ্ছে মানুষের উপার্জনের সর্বশেষ উপায়। আমি মারা গেলে তোমরা আমার জন্য বিলাপ করিবে না। কেননা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর জন্য বিলাপ করা হয়নি। আমি মারা গেলে আমাকে এমন স্থানে দাফন করিবে যেন বাকর ইবনি ওয়াইল গোত্র তা টের না পায়। কেননা জাহিলী যুগে আমি তাহাদের সাথে বহু অন্যায় করেছি [নাসায়ী, আহমাদ, বোখারী]।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
Leave a Reply