ফিতরা ওয়াজিব হওয়ার শর্ত – সা এর পরিমাণ কত?
ফিতরা ওয়াজিব হওয়ার শর্ত – সা এর পরিমাণ কত? >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ২৩, যাকাত, হাদীস (২৫০০-২৫২৩)
১.পরিচ্ছেদঃ রমাযানের যাকাত [সাদকায় ফিতরা] ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গে
২.পরিচ্ছেদঃ গোলামদের উপর রমাযানের ফিতরা ওয়াজিব হওয়া
৩.পরিচ্ছেদঃ অপ্রাপ্ত বয়স্কদের উপর রমাযানের ফিতরা ওয়াজিব হওয়া।
৪.পরিচ্ছেদঃ রমাযানের ফিতরা শুধুমাত্র মুসলমানদের উপর ওয়াজিব, জিম্মিদের উপর নয়
৫.পরিচ্ছেদঃ সাদকায়ে ফিতর কি পরিমান ওয়াজিব?
৬.পরিচ্ছেদঃ যাকাতের বিধান নাযিল হওয়ার পূর্বেই সাদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গে
৭.পরিচ্ছেদঃ সাদকায়ে ফিতরের পরিমান
৮.পরিচ্ছেদঃ সাদকায়ে ফিতরে খেজুর প্রদান প্রসঙ্গে
৯.পরিচ্ছেদঃ শুষ্ক আঙ্গুর [কিশমিশ]
১০.পরিচ্ছেদঃ আটা দ্বারা সাদকায়ে ফিতর আদায় করা প্রসঙ্গে
১১.পরিচ্ছেদঃ গম দ্বারা সাদকায়ে ফিতর আদায় করা প্রসঙ্গে
১২.পরিচ্ছেদঃ সুল্ত দ্বারা সাদকায়ে ফিতর আদায় করা প্রসঙ্গে
১৩.পরিচ্ছেদঃ যব দ্বারা সাদকায়ে ফিতর আদায় করা প্রসঙ্গে
১৪.পরিচ্ছেদঃ পনির দ্বারা সাদকায়ে ফিতর আদায় করা প্রসঙ্গে
১৫.পরিচ্ছেদঃ “সা”- এর পরিমাণ কত?
১৬.পরিচ্ছেদঃ সাদকায়ে ফিতর আদায় করার উত্তম [মুস্তাহাব] সময় প্রসঙ্গে
১৭.পরিচ্ছেদঃ এক এলাকার যাকাত [ও সাদকায়ে ফিতর] অন্য এলাকায় নিয়ে যাওয়া
১৮.পরিচ্ছেদঃ অজ্ঞাতসারে কোন স্বচ্ছল ব্যক্তিকে যাকাত [ও সাদকায়ে ফিতর] দিয়ে দিলে
১.পরিচ্ছেদঃ রমাযানের যাকাত [সাদকায় ফিতরা] ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গে
২৫০০. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [প্রত্যেক] স্বাধীন, গোলাম, পুরুষ এবং নারীর উপর রমাযানের যাকাত [ফিতরা] ওয়াজিব করিয়াছেন। এক “সা” করে খেজুর এবং এক “সা” করে যব। ১ পরে লোকজন অর্ধ “সা” গমকে তার সমতুল্য সাব্যস্ত করেছে। ২
১. দুশত সত্তর তোলা বা প্রায় সাড়ে তিন কে.জি।
২. গম, যব ও খেজুরের মূল্য বিবেচনা করে ফকীহগন গমের ক্ষেত্রে অর্ধেক সা নির্ধারণ করিয়াছেন।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২.পরিচ্ছেদঃ গোলামদের উপর রমাযানের ফিতরা ওয়াজিব হওয়া
২৫০১. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [প্রত্যেক] পুরুষ, নারী, স্বাধীন এবং গোলাম ব্যক্তির উপর এক “সা” করে খেজুর বা এক “সা” করে যব সাদকায় ফিতরা স্বরূপ ওয়াজিব করিয়াছেন। রাবী বলেন, তারপর লোকেরা অর্ধ “সা” গমকে তার সমান সাব্যস্ত করেছে।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩.পরিচ্ছেদঃ অপ্রাপ্ত বয়স্কদের উপর রমাযানের ফিতরা ওয়াজিব হওয়া।
২৫০২. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [প্রত্যেক] অপ্রাপ্ত বয়স্ক, প্রাপ্ত বয়স্ক, স্বাধীন, গোলাম, পুরুষ এবং নারীর উপর এক “সা” করে খেজুর অথবা এক “সা” করে যব রমাযানের ফিতরা স্বরূপ ওয়াজিব করিয়াছেন।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪.পরিচ্ছেদঃ রমাযানের ফিতরা শুধুমাত্র মুসলমানদের উপর ওয়াজিব, জিম্মিদের উপর নয়
২৫০৩. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] লোকদের উপর রমাযান মাসের সাদকায়ে ফিতর ওয়াজিব করিয়াছেন। এক এক “সা” করে খেজুর অথবা এক এক “সা” করে যব, প্রত্যেক মুসলমান স্বাধীন, গোলাম, পুরুষ এবং নারীর উপর।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৫০৪. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] প্রত্যেক মুসলমান স্বাধীন, গোলাম, পুরুষ, নারী, অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির উপর এক “সা” করে খেজুর অথবা এক “সা” করে যব সাদকায়ে ফিতর রূপে ওয়াজিব করিয়াছেন এবং এও আদেশ করিয়াছেন যে, তা যেন লোকজন সালাতের জন্য বের হওয়ার পূর্বেই আদায় করে দেওয়া হয়।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫.পরিচ্ছেদঃ সাদকায়ে ফিতর কি পরিমান ওয়াজিব?
২৫০৫. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [প্রত্যেক] অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ, নারী, স্বাধীন এবং গোলামের উপর [গোলামের মালিকের উপর] এক “সা” করে খেজুর অথবা এক “সা” করে যব সাদকায়ে ফিতর রূপে ওয়াজিব করিয়াছেন।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬.পরিচ্ছেদঃ যাকাতের বিধান নাযিল হওয়ার পূর্বেই সাদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গে
২৫০৬. কায়স ইবনি সাদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা আশুরার দিন [মুহাররাম মাসের ১০ তারিখে] সাওম পালন করতাম এবং সাদকায়ে ফিতর আদায় করতাম। এরপর রমাযান [এর সাওম পালন করার] এবং যাকাত [আদায় করার] বিধান অবতীর্ণ হলে আমাদেরকে আর তা আদায় করার নির্দেশও দেওয়া হত না এবং বারণও করা হত না। তবুও আমরা তা পালন করতাম।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৫০৭. কায়স ইবনি সাদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে যাকাতের বিধান অবতীর্ন হওয়ার পূর্বে সাদকায়ে ফিতর আদায় করার আদেশ দিয়েছিলেন। এরপর যাকাত [এর বিধান] অবতীর্ন হওয়ার পর আমাদেরকে তা পালন করার নির্দেশও দিতেন না আর বারণও করিতেন না। তবুও আমরা তা পালন করতাম।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭.পরিচ্ছেদঃ সাদকায়ে ফিতরের পরিমান
২৫০৮. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তোমরা নিজ নিজ সাদকায়ে ফিতর আদায় করে দাও। তখন তারা একে অপরের দিকে তাকাতে লাগলেন। তিনি বলিলেন, এখানে মদীনার অধিবাসী কারা কারা আছ? তোমরা দাঁড়াও এবং তোমাদের সাথীদেরকে শিক্ষা দাও। যেহেতু তারা জানে না যে, এ সাদকায়ে ফিতর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] প্রত্যেক পুরুষ, নারী, স্বাধীন এবং গোলাম ব্যক্তির উপর এক “সা” করে যব অথবা খেজুর অথবা অর্ধ “সা” করে গম ওয়াজিব করে দিয়েছেন। তখনি তারা দৌড়ালেন এবং লোকদের তালীম করলে তারা তা আদায় করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হইয়া গেলেন]।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
২৫০৯. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, [একবার] সাদকায়ে ফিতর এর পরিমান সম্পর্কে আলোচনা হইতে থাকলে তিনি বলিলেন যে, তার পরিমান হল, এক “সা” গম, এক “সা” খেজুর, এক “সা” যব অথবা এক “সা” সুল্ত [এক প্রকার যব]।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ শায
২৫১০. আবু রাজা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]–কে তোমাদের মিম্বার অর্থাৎ বসবার মিম্বারে দাঁড়িয়ে খুৎবা দানরত অবস্থায় বলিতে শুনিয়াছি যে, সাদকায়ে ফিতরের পরিমান হল এক “সা” করে খাদ্য দ্রব্য।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৮.পরিচ্ছেদঃ সাদকায়ে ফিতরে খেজুর প্রদান প্রসঙ্গে
২৫১১. আবু সাইদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক “সা” যব এক “সা” খেজুর অথবা এক “সা” পনির সাদকায়ে ফিতর রূপে ওয়াজিব করিয়াছেন।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৯.পরিচ্ছেদঃ শুষ্ক আঙ্গুর [কিশমিশ]
২৫১২. আবু সাইদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের মাঝে অবস্থানকালে আমরা এক “সা” খাদ্য, এক “সা” যব, এক “সা” খেজুর, এক “সা” শুষ্ক আঙ্গুর [কিশমিশ] অথবা এক “সা” পনির সাদকায়ে ফিতর রূপে আদায় করতাম।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৫১৩. আবু সাইদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের মাঝে অবস্থানকালে আমরা এক “সা” করে খাদ্য, এক “সা” খেজুর, এক “সা” যব অথবা এক “সা” পনির সাদকায়ে ফিতররূপে আদায় করতাম। মুআবিয়া [রাঃআঃ] সিরিয়া থেকে আগমন করা পর্যন্ত [আমরা এ পরিমানেই আদায় করতাম]। এরপর তিনি লোকদেরকে শিক্ষা দিতে গিয়ে বলিতে লাগলেন যে , সিরিয়ার দু মুদ্দ [সের] গম আমাদের [দেশীয় এক “সা”] যব, খেজুর ইত্যাদি] এর সমপরিমান হইবে বলেই আমার মনে হয়। রাবী বলেন, এরপর লোকজন এর উপরেই আমল করিতে শুরু করে দিল।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
১০.পরিচ্ছেদঃ আটা দ্বারা সাদকায়ে ফিতর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৫১৪. আবু সাইদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর যুগে এক “সা” খজুর, এক “সা” যব, এক “সা” শুষ্ক আঙ্গুর, এক “সা” আটা , এক “সা” পনির অথবা সূল্ত সাদকায়ে ফিতর রূপে আদায় করতাম।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
১১.পরিচ্ছেদঃ গম দ্বারা সাদকায়ে ফিতর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৫১৫. হাসান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] বসরায় খুৎবা দানকালে বলিলেন যে, তোমরা নিজ নিজ সাদকায়ে ফিতর আদায় কর। তখন লোকজন এক অপরের দিকে তাকাতে লাগল। ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] বলিলেন, এখানে মদীনার অধিবাসী কে কে আছ? তোমরা উঠে তোমাদের সাথীদেরকে কাছে গিয়ে তাহাদেরকে শিক্ষা দাও। কেননা তারা জানে না যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] প্রত্যেক অপ্রাপ্ত বয়স্ক, প্রাপ্ত বয়স্ক, স্বাধীন, গোলাম, পুরুষ এবং নারীর উপর অর্ধ “সা” গম অথবা এক “সা” খেজুর বা যব সাদকায়ে ফিতর রূপে ওয়াজিব করিয়াছেন। হাসান [রাঃআঃ] বলেন, আলী [রাঃআঃ] বলেছেন যে, আল্লাহ তাআলা যখন তোমাদেরকে সচ্ছলতা দান করিয়াছেন তাহলে তোমরাও সচ্ছলভাবে [হাত খুলে] দান কর এবং এক “সা” করে গম অথবা অন্যান্য বস্তু আদায় করিতে থাক।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
১২.পরিচ্ছেদঃ সুল্ত দ্বারা সাদকায়ে ফিতর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৫১৬. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যুগে লোকজন এক “সা” করে যব ,খেজুর, সুল্ত ১ অথবা কিশমিশ সাদকায়ে ফিতর রুপে আদায় করত।
{১} সুল্তঃ গমের সাথে সাদৃশ্য যুক্ত এক প্রকার যব।যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৩.পরিচ্ছেদঃ যব দ্বারা সাদকায়ে ফিতর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৫১৭. আবু সাইদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যুগে আমরা এক “সা” যব, খেজুর, কিশমিশ অথবা পনির [সাদকায়ে ফিতর] রুপে আদায় করতাম। আমরা এই [রুপেই] আদায় করেছিলাম। মুআবিয়া [রাঃআঃ] এর যুগ আসলে তিনি বলিলেন যে, সিরিয়ার দু-মুদ্দ [সামায়া] গম এক “সা” যবের সম পরিমাণ হইবে বলেই আমার মনে হয়।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৪.পরিচ্ছেদঃ পনির দ্বারা সাদকায়ে ফিতর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৫১৮. আবু সাইদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যুগে আমরা এক “সা” করে খেজুর, যব অথবা পনির [সাদকায়ে ফিতর] রুপে আদায় করতাম। অন্য কিছু আদায় করতাম না।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস
১৫.পরিচ্ছেদঃ “সা”- এর পরিমাণ কত?
২৫১৯. সাইব ইবনি ইয়াযীদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যুগে এক “সা”-এর পরিমাণ ছিল বর্তমান কালের [তোমাদের] এক মুদ্দ এবং এক মুদ্দের এক-তৃতীয় অংশ। [অর্থাৎ] পরে তাতে বৃদ্ধি করা হইয়াছে।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৫২০. ইবনি উমার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, [গ্রহণযোগ্য] মাপ হল মদীনাবাসীদের মাপ এবং [গ্রহণযোগ্য] ওজন হল মক্কাবাসীদের ওজন।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৬.পরিচ্ছেদঃ সাদকায়ে ফিতর আদায় করার উত্তম [মুস্তাহাব] সময় প্রসঙ্গে
২৫২১. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সাদকায়ে ফিতরের ব্যাপারে আদেশ দিয়েছেন যে, লোকজন ঈদগাহের দিকে বের হইয়া যাওয়ার পূর্বেই যেন তা আদায় করে দেওয়া হয়। ইবনি বাযী এর বর্ণনায় ফিতরে যাকাত শব্দ রয়েছে।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৭.পরিচ্ছেদঃ এক এলাকার যাকাত [ও সাদকায়ে ফিতর] অন্য এলাকায় নিয়ে যাওয়া
২৫২২. ইবনি আব্বাস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] মুআয ইবনি জাবাল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]- কে ইয়ামানে পাঠালেন এবং বলিলেন যে, তুমি আহলে কিতাব [আসমানী কিতাবধারী ইয়াহুদী ও খৃস্টান] সম্প্রদায়ের কাছে যাচ্ছ। “আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবূদ নাই এবং আমি আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত রাসূল”-এর সাক্ষ্য প্রধানের জন্য তুমি তাহাদেরকে আহবান জানাবে। যদি তারা তোমার আনুগত্য করে [এ আহবানে সাড়া দেয়] তাহলে তাহাদের জানিয়ে দেবে যে, মহান মহিয়ান আল্লাহ তায়ালা তাহাদের উপর প্রত্যেক দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরয করিয়াছেন। এতে যদি তারা তোমার আনুগত্য করে তাহলে তাহাদের জানিয়ে দেবে যে, মহান মহিয়ান আল্লাহ তায়ালা তাহাদের উপর তাহাদের মালে তাহাদের উপর যাকাত ফরয করিয়াছেন যা [তাহাদের] স্বচ্ছল ব্যক্তিদের থেকে নিয়ে অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হইবে। এতে যদি তারা তোমার আনুগত্য করে তাহলে তুমি তাহাদের উৎকৃষ্ট মাল নেওয়া থেকে বিরত থাকিবে। আর অত্যাচারিতের বদ দুয়াকে ভয় করিবে। কেননা, মহান মহিয়ান আল্লাহ তায়ালা এবং তার তাহাদের [দুয়ার] মধ্যে কোন পর্দা নেই।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৮.পরিচ্ছেদঃ অজ্ঞাতসারে কোন স্বচ্ছল ব্যক্তিকে যাকাত [ও সাদকায়ে ফিতর] দিয়ে দিলে
২৫২৩. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, [একবার] এক ব্যক্তি [বনী ইসরাইল-এর এক ব্যক্তি] [মনে মনে] বলিল যে, আমি অবশ্যই কিছু সাদকা করব। সে সাদকা নিয়া বের হইয়া সেগুলো একজন চোরের হাতে দিয়ে দিল। সকালে লোকজন বলাবলি করিতে লাগলো যে, একজন চোরকে সাদকা দেওয়া হইয়াছে। সে [সাদকাদাতা] বলিল, ইয়া আল্লাহ! তোমার প্রশংসা একজন চোরের ব্যাপারে …..[আমি একজন চোরকে সাদকা দিতে পেরেছি]। [সে বলিল,] আমি অবশ্যই [আবারও] সাদকা করব। সাদকা নিয়ে বের হইয়া তা একজন ব্যভিচারিণীর হাতে দিয়া দিল। সকালে লোকজন বলাবলি করিতে লাগলো যে, গত রাতে একজন ব্যভিচারিণীকে সাদকা দেওয়া হইয়াছে। সে [সাদকাদাতা] বলিল যে, ইয়া আল্লাহ! তোমার প্রশংসা একজন ব্যভিচারিণীর জন্য …..[যে, একজন ব্যভিচারিণীকে সাদকা দিতে পেরেছি]। আমি অবশ্যই [আবারও] সাদকা করব। সে সাদকা নিয়ে বের হইয়া তা একজন স্বচ্ছল ব্যক্তির হাতে দিয়ে দিল। সকালে লোকজন বলাবলি করিতে লাগলো যে, একজন স্বচ্ছল ব্যক্তিকে সাদকা দেওয়া হইয়াছে। সে [সাদকাদাতা] বলিল, ইয়া আল্লাহ! তোমার প্রশংসা যে, একজন চোর, একজন ব্যভিচারিণী এবং একজন স্বচ্ছল ব্যক্তি জন্য [তাহাদের সাদকা দিতে পেরেছি]। তাকে স্বপ্নে দেখানো হল যে, তোমার সাদকা কবুল করে নেয়া হইয়াছে। ব্যভিচারিণী! সে হয়ত প্রাপ্ত সাদকা দ্বারা ব্যভিচার থেকে বেঁচে থাকিবে। চোর! সে হয়ত প্রাপ্ত সাদকা দ্বারা চুরি করা হইতে নিবৃত্ত থাকিবে। আর স্বচ্ছল ব্যক্তি! সে হয়ত উপদেশ গ্রহন করিবে এবং তাকে মহান মহিয়ান আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত সম্পত্তি থেকে দান করিবে।
যাকাত দেয়ার নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply