ফিতরা । সাদাকাতুল ফিতর। অর্থ ও ফলের যাকাতের নেসাব
ফিতরা । সাদাকাতুল ফিতর। অর্থ ও ফলের যাকাতের নেসাব >> বুলুগুল মারাম এর মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায় ১ঃ সাদাকাতুল ফিতর
পরিচ্ছেদ ১২. শস্য ও ফলের যাকাতের নেসাব
পরিচ্ছেদ ১৩. শস্য ও ফলে যাকাতের পরিমাণ
পরিচ্ছেদ ১৪. যে পরিমাণ শস্য ও ফলে যাকাত ওয়াজিব
পরিচ্ছেদ ১৫. ফলের অনুমান করা ও চাষির জন্য যা ছেড়ে দেয়া হইবে
পরিচ্ছেদ ১৬. অলংকারে যাকাতের বিধান
পরিচ্ছেদ ১৭. ব্যবসা সামগ্রীর যাকাত
পরিচ্ছেদ ১৮. পুঁতে রাখা মালের যাকাত
পরিচ্ছেদ ১৯. খনিজ সম্পদের যাকাত
পরিচ্ছেদ ২০. সাদাকাতুল ফিতরের পরিমান ও বিধান
পরিচ্ছেদ ২১. যাকাতুল ফিতরা রহস্য বর্ণনা ও তার আদায়ের সময়
পরিচ্ছেদ ১২. শস্য ও ফলের যাকাতের নেসাব
৬১৩ – জাবির বিন`আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন- চাঁদিতে ৫ উকিয়ার কমে সদাকাহ [যাকাত] ওয়াজিব নয়। এবং উটে পাঁচ যাওদের কমে যাকাত নেই। এবং খেজুরে ৫ অসাকের কমে যাকাত নেই। [৫ উকিয়া ৭৩৫ গ্রাম, ৫ যাওদ = ৩ থেকে ১০ টি উটের একটি পাল, ৫ ওয়াসাক = সাড়ে ১২ কেজি] {৬৫৭}
{৬৫৭} মুসলিম ৯৮০, ইবনু মাজাহ ১৭৯৪, আহমাদ ১৩৭৪৮। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৬১৪ – বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
মুসলিমে আবূ সা’ঈদের রিওয়ায়াতকৃত হাদীসে রয়েছেঃ খেজুর ও শস্যে ৫ অসাকের কমে যাকাত [ফরয] নেই। {৬৫৮} আবূ সা’ঈদের মূল হাদিসটি বুখারী, মুসলিমে রয়েছে। {৬৫৯}
{৬৫৮} মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে, পাঁচ ওয়াসাক না হওয়া পর্যন্ত শস্যদানা এবং খেজুরে সদাকাহ নেই।{৬৫৯} মুসলিম ৯৭৯, বুখারী ১৪০৫, ১৪৪৭, ১৪৫৯, তিরমিজি ৬২৬, নাসায়ি হাদিস ২৪৪৮, ২৪৪৬, , আবূ দাউদ ১৫৫৮, ১৫৫৯, ইবনু মাজাহ ১৭৯৯, ১৭৯৩, আহমাদ ১১০১২, ১১১৭০, ১১৫২০, মুওয়াত্তা মালেক ৫৭৫, ৫৭৬, দারেমী ১৬২৩, ১৬২৪। বুখারীতে রয়েছে, পাঁচের কম সংখ্যক উটের উপর যাকাত নেই, পাঁচ উকিয়া-এর কম পরিমাণ রূপার উপর যাকাত নেই এবং পাঁচ ওয়াসক-এর কম পরিমাণ উৎপন্ন দ্রব্যের উপর সদাকাহ [উশর] নেই। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৩. শস্য ও ফলে যাকাতের পরিমাণ
৬১৫ – সালিম বিন`আবদুল্লাহ্ তাহাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন- বৃষ্টি ও প্রবাহিত পানি দ্বারা সিক্ত ভূমিতে উৎপাদিত ফসল বা সেচ ব্যতীত উর্বরতার ফলে উৎপন্ন ফসলের উপর [দশমাংশ]`উশর ওয়াজিব হয়। আর সেচ দ্বারা উৎপাদিত ফসলের উপর অর্ধ [বিশ ভাগের এক ভাগ]`উশর। বুখারী; আর আবূ দাঊদে আছে, যদি মাটি সিক্ত হয় তাহলে দশমাংশ`উশর। আর পশু বা সেচযন্ত্রের সাহায্যে সেচকৃত উৎপাদিত ফসলে বিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত দিতে হইবে। {৬৬০}
{৬৬০} বুখারী ১৪৮৩, তিরমিজি ৬৪০, নাসায়ি হাদিস ২৪৮৮, আবূ দাউদ ১৫৮৬, ইবনু মাজাহ ১৮১৭। ফিতরা ফিতরা হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৪. যে পরিমাণ শস্য ও ফলে যাকাত ওয়াজিব
৬১৬ – আবূ মূসা আল আশ’আরী ও মু’আয [রাযিয়াল্লাহু আনহুমা] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] তাঁদের বলেছিলেন, শুধুমাত্র চার প্রকার জিনিস হতে সদাকাহ গ্রহণ করবেঃ বার্লি, গম, কিশমিশ ও খেজুর। {৬৬১}
{৬৬১} বুখারী ১৪৮৩, আবূ দাউদ ১৫৯৬, তিরমিজি ৬৫০, নাসায়ি হাদিস ২৪৮৮, ইবনু মাজাহ ১৮১৭। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৬১৭ – দারাকুৎসীতে মুআয থেকে বর্ণিতঃ
শশা-খিরা, তরমুজ, আনার ও আখ জাতীয় জিনিসের যাকাত [উশর] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাফ করে দিয়েছেন। এর সানাদটি দুর্বল। {৬৬২}
{৬৬২} মুহাম্মাদ বিন আবদুল হাদী আল মুহাররার [২১৫] গ্রন্থে বলেন, এর সানাদে ইসহাক বিন ইয়াহইয়া আছে তাকে আহমাদ নাসায়ী ও অন্যরা পরিত্যাগ করিয়াছেন। আর সে হচ্ছে মুরসাল। যাহাবী তানকীহিত তাহকীক [১/৩৩৭] গ্রন্থে একে দুর্বল বলেছেন। যাহাবী মুহাযযাব ৩/১৪৮৫] গ্রন্থে বলেন তাতে সমালোচনা রহিয়াছে। শওকানী আল ফাতহুর রব্বানী [৭/৩২৯৫] গ্রন্থে হাদিসটিকে মুরসাল হিসেবে আখ্যায়িত করিয়াছেন। ইবনুল কাইয়িম আল মানারুল মুনীফ [৯৯] গ্রন্থে হাদিসটি বাতিল বলে উল্লেখ করিয়াছেন। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৫. ফলের অনুমান করা ও চাষির জন্য যা ছেড়ে দেয়া হইবে
৬১৮ – সাহল বিন আবু হাসমা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে নির্দেশ করিয়াছেন, যখন তোমরা হিসাব করিবে [খেজুর জাতীয় ফলের যাকাত] তখন তা হতে এক তৃতীয়াংশ বাদ দিয়ে হিসেব করিবে। যদি এক তৃতীয়াংশ ছাড়তে না পার তাহলে এক চতুর্থাংশ ছাড়বে। -ইবনু হিব্বান ও হাকিম একে সহিহ বলেছেন।”
{৬৬৩} আবু দাউদ ১৬০৫, তিরমিয়ী ৬৪৩, নাসায়ী ২৪৯১. আবু দাউদ ১৫২৮৬, ১৫৬৬২ বিন বায বুলুগুল মারামের শারাহ [৩৮১] গ্রন্থে এর সানাদকে হাসান বলেছেন। শাইখ আলবানী সিলসিলা যঈফা [২৫৫৬], যঈফুল জামে [৪৭৬], আবূ দাউদ [১৬০৫], তিরমিয়ী [৬৪৩] গ্রন্থসমূহে হাদিসটিকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বাযযার আল বাহরুষ যিখার [৬/২৭৯] গ্রন্থে বলেন, এ হাদিসের রাবী আবদুর রহমান বিন নাইয়্যার পরিচিত। ইবনুল কাইয়্যিম আলামুল মুআক্কিয়ীন [২/২৬৬] গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন। ইবনু হাজার আত-তালখীসুল হাবীর [২/৭৫৫] গ্রন্থে বলেন, যদিও এর সনদে আবদুর রহমান বিন মাসউদ রহিয়াছে তার পরও এর শাহেদ হাদিস রহিয়াছে। সানআনী সুবুলুস সালাম [২/২২১] গ্রন্থে বলেন, এর সনদ হচ্ছে মাজহুল হাল। ইমাম শওকানী নাইলুল আওত্বার [৪/২০৫] গ্রন্থে বলেন, আব্দুর রহমান বিন মাসউদ বিন নাইয়্যার সম্পর্কে ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা জানা যায় না। এর শাহেদ রহিয়াছে আর তাতে রহিয়াছে ইবনু লাহীআহ। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৬১৯ – আত্তাব বিন আসীদ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেভাবে খেজুরের হিসাব করা হয় সেভাবেই আঙ্গুরেরও হিসাব করিতে হইবে। আঙ্গুরের যাকাতে কিশমিশ নিতে হইবে। -এর সানাদে রাবীদের মধ্যে যোগসূত্রে বিচ্ছিন্নতা রহিয়াছে। {৬৬৪}
{৬৬৪} আবু দাউদ ১৬০৩, তিরমিয়ী ৬৪৪, নাসায়ী ২৩১৮, ইবনু মাজাহ ১৮১৯। – ইবনু হাজার আত-তালখীসুল হাবীর [২/৭৫৩] গ্রন্থে বলেন, হাদিসটির উৎস হচ্ছে সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যিৰ থেকে বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু ইমাম আবূ দাউদ বলেন, ইবনুল মুসাইয়্যিবন তার [আত্তাব] থেকে শুনেন নি। ইবনু কানে বলেন, তিনি তার যুগ পাননি। আলবানী আবূ দাউদ [১৬০৩] গ্রন্থে হাদিসটিকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম সানআনী সুবুলুস সালাম [২/২১] গ্রন্থে ও ইমাম শওকানী নাইলুল আওত্বার [৪/২০৫] গ্রন্থে ইবনু হাজারের অনুরূপ উদ্ধৃতিই পেশ করিয়াছেন। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৬. অলংকারে যাকাতের বিধান
৬২০ – আমর বিন শু’আইব থেকে বর্ণিতঃ
জনৈকা নারী তার মেয়েকে নিয়ে নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এলেন। তার কন্যার হাতে দুখানা সোনার বালা ছিল। তিনি তাকে বলিলেন, তুমি কি এগুলোর যাকাত আদায় কর? সে বলিল, না। তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, কিয়ামতের দিনে আল্লাহ ঐগুলো দিয়ে আগুনের বালা বানিয়ে তোমাকে পরতে দিলে তুমি কি খুশী হইবে? [এটা শুনে] সে দুটোকে ছুড়ে ফেলে দিল। -এর সানাদ শক্তিশালী। {৬৬৫}
{৬৬৫} আবূ দাউদ ১৫৬৩, তিরমিয়ী ৬৩৭, নাসায়ী ২৪৭৯, আহমাদ ৬৬২৯, ৬৮৬২, ৬৯০০। ফিতরা হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৬২১ – বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
এবং আয়িশা কর্তৃক বর্ণিত [অনুরূপ] হাদিসটিকে হাকিম সহিহ বলেছেন। {৬৬৬}
{৬৬৬} আবূ দাউদ ১৫৬৫, হাকিম ১/৩৮৯-৩৯০। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৬২২ – উম্মু সালামাহ [রাযিয়াল্লাহু আনহা] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি স্বর্ণের বালা পরতেন। তারপর তিনি বলিলেন, -হে আল্লাহর রসূল! এগুলো কি [কুরআনে উল্লেখিত] গচ্ছিত সম্পদ [কানয] ? নাবী [সাঃআঃ] উত্তরে বলিলেন, যদি এর যাকাত আদায় কর তবে তা কান্য হইবে না। -হাকিম একে সহিহ বলেছেন।” {৬৬৭}
{৬৬৭} আবূ দাউদ ১৫৬৪, দারাকুতনী ২/১০৫/১, হাকিম ১/৩৯০। ফিতরা হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৭. ব্যবসা সামগ্রীর যাকাত
৬২৩ – সামুরাহ বিন জুনদূৰ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের নির্দেশ দিতেন ঐসকল সম্পদ হতে সদাকাহ বের করিতে যেগুলো আমরা বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করতাম। -এর সানাদে সামান্য দুর্বলতা রহিয়াছে। {৬৬৮}
{৬৬৮} আবু দাউদ হাঃ ১৫৬২। ইমাম সনআনী সুবুলুস সালাম [২/২১৪] গ্রছে বলেন, এর সনদে সুলায়মান বিন সামরাহ নামক মাজহুল রাবী রহিয়াছে। ইমাম শওকানী আস-সাইলুল জাররার [২/২৭] গ্রন্থে বলেন, এর সনদে একাধিক মাজহুল রাবী রহিয়াছে। ইবনুল কাত্তান আল ওয়াহম ওয়াল ইহাম [৫/১৩৯] গ্রন্থে বলেন, এর সনদের রাবী খুৰাইৰ বিন সুলাইমান বিন সামরাহ ও তার পিতাকে তার সমসাময়িক কেউ চিনতেন না। ইমাম যাহাৰী মিযানুল ইতিদাল [১/৪০৭] গ্রন্থে বলেন, হাদিসটি অস্পষ্ট। ইমাম যাহাবী তানকীহুত তাহকীক [১/৩৪৬] গ্রন্থে এর সনদকে লীন উল্লেখ করিয়াছেন। হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৮. পুঁতে রাখা মালের যাকাত
৬২৪ – আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন-রিকাযের [ভূগর্ভস্থ পুতে রাখা সম্পদের] জন্য পাঁচ ভাগের এক ভাগ যাকাত দিতে হইবে। {৬৬৯}
{৬৬৯} বুখারী ২৩৫৬, ৬৯১২, ৬৯১৩, মুসলিম ১৭১০, তিরমিজি ৬৪২, ১৩৭৭, নাসায়ী ২৪৯৫, আবূ দাউদ ২০৮৫, ৪৫৯৩, ইবনু মাজাহ ২৬৭৩, ইবনু মাজহ ২০৮০, ৭২১৩। বুখারী এবং মুসলিমে পূর্ণাঙ্গ হাদিসটি হচ্ছে , চতুস্পদ জন্তুর আঘাত দায়মুক্ত, কৃপ [খননে শ্রমিকের মৃত্যুতে মালিক] দায়মুক্ত, খণি [খননে কেউ মারা গেলে মালিক] দায়মুক্ত। রিকাযে এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব।ফিতরা হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৬২৫ – আমর বিন শু’আইব থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ কোন লোক কোন বিরান জায়গায় কোন সম্পদ পেলে সে সম্বন্ধে রাসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, যদি তা কোন লোকবসতিস্থানে পাও তবে তা প্রচার করে লোকেদের জানিয়ে দাও আর যদি কোন বিরান জায়গায় পাও তবে তাতে ও রিকাযে পাঁচ ভাগের এক ভাগ যাকাত দিবে। ইবনু মাজাহ হাসান সানাদে।” {৬৭০}
{৬৭০} হাসান। শাফিয়ী ১/২৪৮/৬৭৩, ইবনু হাজার হাদিসটিকে ইবনু মাজাহর সাথে সম্পূক্ত করে ভুল করিয়াছেন। বরং এ হাদিসটিকে হাফেজ ইবনু হাজার আসকালানীর আত-তালখীসুল হাবীর নামক গ্রন্থে পাওয়া যায়। হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৯. খনিজ সম্পদের যাকাত
৬২৬ – বিলাল বিন হারিস থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কাবলিয়াহ অঞ্চলের খনিজ সম্পদের সদাকাহ গ্রহণ করিয়াছেন। {৬৭১}
{৬৭১} আবু দাউদ ৩০৬১, মুওয়াত্তা মালেক ৫৮২ আলবানী ইরওয়াউল গালীল [৮৩০] গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন। তিনি উক্ত গ্রন্থে [৩/৩১] বলেন এটি রাসূল [সাঃআঃ] পর্যন্ত পৌছার দিক থেকে সঠিক নয়। আলবানী সহিহ ইবনু খুযাইমাহ [২৩২৩] গ্ৰছেও একে দুর্বল বলেছেন। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ২০. সাদাকাতুল ফিতরের পরিমান ও বিধান
৬২৭ – ইবনু`উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, প্রত্যেক গলাম, আযাদ, পুরুষ, নারী, প্রাপ্ত বয়স্ক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর আল্লাহ্র রসূল [সাঃআঃ] সদাকাতুল ফিতরা হিসেবে খেজুর হোক অথবা যব হোক এক সা’ পরিমান আদায় করা ফরয করিয়াছেন এবং লোকজনের ঈদের সালাতের বের হবার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। {৬৭২}
{৬৭২} বুখারী ১৫০৩, ১৫০৪, ১৫০৭, ১৫০৯, মুসলিম ৯৮8, তিরমিজি ৬৭৫, ৬৭৬, নাসায়ি হাদিস ২৫০২, ২৫০৩, আবু দাউদ ১৬১১, ১৬১৩, ১৬১৪, ইবনু মাজাহ ১৮২৬, আহমাদ ৪৪৭২, ৫১৫২, মুওয়াত্তা মালেক ৬২৭, দারিমী ১৬৬১, ২৫২০। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৬২৮ – ইবনু`আদী ও দারাকুৎনী থেকে বর্ণিতঃ
দুর্বল সানাদে বর্ণনা করিয়াছেন ঃ তাদের নিকট সাদাকাতুল ফিতরা পৌঁছে দিয়ে তাদের এ দিনে রুযীর খোজে বের হওয়ার প্রয়োজন মিটিয়ে দাও। {৬৭৩}
{৬৭৩} ইমাম সানআনী সুবুলুস সালাম [২/২১৮] গ্রন্থে বলেন, এর সনদে মুহাম্মাদ বিন উমার আল ওয়াকিদী রয়েছে। সে দুর্বল। ইমাম নববী আল মাজমূ [৬/১২৬] গ্রন্থে এর সনদকে দুর্বল বলেছেন, আলবানী ইরওয়াউল গালীল [৮৪৪] গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন, উসাইমিন শারহুল মুমতে [৬/১৭১] গ্রন্থেও একে দুর্বল বলেছেন। হাদিসের তাহকীকঃ মুনকার
৬২৯ – আবূ সা’ঈদ খুদরী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নাবী [সাঃআঃ] এর যুগে এক সা’ খাদ্যদ্রব্য বা এক সা’ খেজুর বা এক সা’ যব বা এক সা’ কিসমিস সাদাকাতুল ফিতরা আদায় করতাম। উক্ত কেতাবদ্বয়ে আরও আছে ঃ “অথবা এক সা’ পনির দিতাম।“ আবূ সা’ঈদ বলেনঃ আজও তাই বের করবো [দিব] নাবী [সাঃআঃ] এর যামানায় যেমনভাবে পূর্ণ এক সা’ [বের] করতাম। আবূ দাউদে আবূ সা’ঈদের কথাটি এভাবে আছে- “এক সা’ ব্যতিত আমি বের করব [দেবই] না। {৬৭৪}
{৬৭৪} বুখারী ১৫০৫, ১৫০৬, ১৫০৮, ১৫১০, মুসলিম ৯৮৫, তিরমিজি ৬৭৩, নাসায়ি হাদিস ২৫১১, ২৫১২, ২৫১৩, আবূ দাউদ ১৬১৬, ১৬১৮, ইবনু মাজাহ ১৮২৯, আহমাদ ১০৭৯৮, ১১৩০১, মুওয়াত্তা মালেক ৬২৮, দারেমী ১৬৬৪। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২১. যাকাতুল ফিতরা রহস্য বর্ণনা ও তার আদায়ের সময়
৬৩০ – ইবনু`আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] রোজাদারদের অনর্থক কথাবার্তা ও অশালীন আচরণের কাফফারাস্বরূপ এবং গরীব-মিসকীনদের আহারের সংস্থান করার জন্য সাদাকাতুল ফিতরা [ফিতরা] নির্ধারণ করিয়াছেন। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের পূর্বে তা পরিশোধ করে [আল্লাহ্র নিকট]- তা গ্রহণীয় দান। আর যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের পর তা পরিশোধ করে তাও দানসমূহের অন্তর্ভুক্ত একটা দান। আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ আর হাকিম একে সহিহ বলেছেন। {৬৭৫}
{৬৭৫} আবু দাউদ ১৬০৯, ইবনু মাজাহ ১৮২৭। ফিতরা হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস
Leave a Reply