ফিতনাহ প্রকাশ, বাতাস প্রবাহিত হওয়া আমল ও ইসলাম গ্রহন

৫০. অধ্যায়ঃ কিয়ামাতের পূর্বে এক বাতাস প্রবাহিত হইবে, সামান্য ঈমানও যার অন্তরে আছে তার রূহ্‌ সে বাতাস কবয করে নিবে।
৫১. অধ্যায়ঃ ফিতনাহ প্রকাশ এর পূর্বেই নেক আমালের প্রতি অগ্রসর হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা
৫২. অধ্যায়ঃ আমল বিনষ্ট হওয়া সম্পর্কে মুমিনের আশঙ্কা
৫৩. অধ্যায়ঃ জাহিলী যুগ এর আমালের ব্যাপারেও কি পাকড়াও হইবে?
৫৪. অধ্যায়ঃ ইসলাম গ্রহণ এবং হিজরত ও হাজ্জ পালনের দ্বারা পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ হয়ে যায়
৫৫. অধ্যায়ঃ ইসলাম গ্রহণের পূর্বের কুফরি জীবনের নেক কাজসমূহের প্রতিদান প্রসঙ্গ

৫০. অধ্যায়ঃ কিয়ামাতের পূর্বে এক বাতাস প্রবাহিত হইবে, সামান্য ঈমানও যার অন্তরে আছে তার রূহ্‌ সে বাতাস কবয করে নিবে।

২১২

আবু হুরাইরাহ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা কিয়ামাতের আগে ইয়ামান থেকে এক বাতাস প্রবাহিত করবেন যা হইবে রেশম অপেক্ষাও নরম। যার অন্তরে দানা পরিমাণ ঈমান থাকিবে তার রূহ্‌ ঐ বাতাস কবয করে নিয়ে যাবে। রাবী আবু আলকামাহ্‌ [আরবী] বর্ণনায় আছে। আর রাবী আবদুল আযীয [আরবী] উল্লেখ করিয়াছেন। [ই.ফা. ২১৩; ই.সে. ২২০]

৫১. অধ্যায়ঃ ফিতনাহ প্রকাশ এর পূর্বেই নেক আমালের প্রতি অগ্রসর হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা

২১৩

আবু হুরাইরাহ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলেছেনঃ আঁধার রাতের মতো ফিত্‌নাহ্‌ আসার পূর্বেই তোমরা সৎ আমালের দিকে ধাবিত হও। সে সময় সকালে একজন মুমিন হলে বিকালে কাফির হয়ে যাবে। বিকেলে মুমিন হলে সকালে কাফির হয়ে যাবে। দুনিয়ার সামগ্রীর বিনিময়ে সে তার দ্বীন বিক্রি করে বসবে। [ই.ফা. ২১৪; ই.সে. ২২১]

৫২. অধ্যায়ঃ আমল বিনষ্ট হওয়া সম্পর্কে মুমিনের আশঙ্কা

২১৪

আনাস ইবনি মালিক [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন এ আয়াত নাযিল হলো,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ

“হে মুমিনগণ! তোমরা নবির কণ্ঠের উপর নিজেদের কণ্ঠ উঁচু করিবে না এবং নিজেদের মধ্যে যেভাবে উচ্চৈঃস্বরে কথা বল তাহাঁর সাথে সেরূপ উচ্চৈঃস্বরে কথা বলবে না; এতে তোমাদের আমাল বিনষ্ট হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে অথচ তোমরা টেরও পাবে না”- [সূরাহ আল হুজুরাত ৪৯ : ২]। তখন সাবিত [রাঃআ:] নিজের ঘরে বসে গেলেন এবং বলিতে লাগলেন, আমি একজন জাহান্নামী। এরপর থেকে তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআ:]-এর কাছে যাওয়া বন্ধ করে দিলেন। একদিন রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] সহাবা সাদ ইবনি মুআযকে সাবিত [রাঃআ:] সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে বলিলেন, হে আবু আম্‌র! সাবিতের কি হলো? সাদ [রাঃআ:] বলিলেন, সে আমার প্রতিবেশী, তার কোন অসুখ হয়েছে বলে তো জানি না। আনাস [রাঃআ:] বলেন, পরে সাদ [রাঃআ:] সাবিতের কাছে গেলেন এবং তাহাঁর সম্পর্কে রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-এর বক্তব্য উল্লেখ করিলেন। সাবিত [রাঃআ:] বলেন, এ আয়াত নাযিল হয়েছে। আর তোমরা জান রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] এর উপর আমার কষ্ঠস্বরই সবচেয়ে উঁচু হয়ে যায়। সুতরাং আমি তো জাহান্নামী। সাদ [রাঃআ:] রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-এর কাছে এসে সাবিতের কথা বলিলেন। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] তখন বলিলেন, না, বরং সে তো জান্নাতী। [ই.ফা. ২১৫; ই.সে. ২২২]

২১৫

আনাস ইবনি মালিক [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

সাবিত ইবনি কায়স ইবনি শাম্মাস ছিলেন আনসারদের খতীব। যখন এ আয়াত নাযিল হলো : “তোমরা নবির কণ্ঠের উপর নিজেদের কণ্ঠ উঁচু করো না”। বাকী অংশ হাম্মাদ বর্ণিত উল্লেখিত রিওয়ায়াতের অনুরূপ। তবে এ রিওয়ায়াতে সাদ ইবনি মুআয এর উল্লেখ নেই।

আহমদ ইবনি সাঈদ ইবনি সাখ্‌র আদ্‌ দারিমী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআ:] হইতে বর্ণিত যে, যখন এ আয়াত নাযিল হলো : অর্থাৎ “তোমরা নবির কণ্ঠের উপর নিজেদের কণ্ঠ উঁচু করো না”। এ বর্ণনায় সাদ ইবনি মুআয-এর উল্লেখ নেই। [ই.ফা. ২১৬; ই.সে. ২২৩-২২৪]

২১৬

আনাস [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

যখন এ আয়াত নাযিল হলো…। এতেও সাদ ইবনি মুআয-এর উল্লেখ নেই। তবে শেষে আছে, আমরা তাঁকে ভাবতাম, একজন জান্নাতী লোক আমাদের মাঝে বিচরণ করছেন। [ই.ফা. ২১৭; ই.সে. ২২৫]

৫৩. অধ্যায়ঃ জাহিলী যুগ এর আমালের ব্যাপারেও কি পাকড়াও হইবে?

২১৭

আবদুল্লাহ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

কিছু সংখ্যক লোক রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-এর কাছে এসে বলিলেন, জাহিলী যুগে আমরা যা করেছি এর জন্যও কি আমাদের পাকড়াও করা হইবে? তিনি বলিলেন, ইসলাম গ্রহণের পর যে ব্যক্তি ভাল কাজ করিবে তাকে জাহিলী যুগের আমালের জন্য পাকড়াও করা হইবে না। কিন্তু যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণের পরও মন্দ করিবে তাকে জাহিলী ও ইসলাম উভয় যুগের [মন্দ] কাজের জন্য পাকড়াও করা হইবে। [ই.ফা. ২১৮; ই.সে. ২২৬]

২১৮

মুহাম্মাদ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি নুমায়র ও আবু বাক্‌র ইবনি আবু শাইবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আবদুল্লাহ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

আমরা রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-এর নিকট প্রশ্ন করলাম- হে আল্লাহর রসূল! আমরা জাহিলী যুগে যা করেছি এর জন্যও কি আমাদের পাকড়াও করা হইবে? তিনি বলিলেন, যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করে ভাল কাজ করিবে জাহিলী যুগে সে কি করেছে তার জন্য পাকড়াও করা হইবে না। আর যে ব্যক্তি ইসলাম গহণের পর মন্দ কাজ করে তাকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পাকড়াও করা হইবে। [ই.ফা. ২১৯; ই.সে. ২২৭]

২১৯

আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে উক্ত সানাদে হইতে বর্ণিতঃ

অনুরূপ বর্ণিত আছে। [ই.ফা. ২২০; ই.সে. ২২৮]

৫৪. অধ্যায়ঃ ইসলাম গ্রহণ এবং হিজরত ও হাজ্জ পালনের দ্বারা পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ হয়ে যায়

২২০

ইবনি শামাসাহ্‌ আল মাহ্‌রী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

আমরা আমর ইবনি আস [রাঃআ:]-কে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে দেখিতে উপস্থিত হলাম। তখন তিনি দেয়ালের দিকে মুখ করে অনেকক্ষণ কাঁদছিলেন। তাহাঁর পুত্র তাঁকে তাহাঁর সম্পর্কে রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] প্রদত্ত বিভিন্ন সুসংবাদের উল্লেখ পূর্বক সান্ত্বনা দিচ্ছে যে, আব্বা! রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] কি আপনাকে অমুক সুসংবাদ দেননি? রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] কি আপনাকে অমুক সুসংবাদ দেননি? রাবী বলেন, তখন তিনি পুত্রের দিকে মুখ ফিরালেন এবং বলিলেন, আমার সর্বোৎকৃষ্ট পাথেয় হচ্ছে “লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু মুহাম্মাদুর রসূলুল্ল-হ” এ কালিমার সাক্ষ্য দেয়া। আর আমি অতিক্রম করেছি আমার জীবনের তিনটি পর্যায়। এক সময় তো আমি এমন ছিলাম যে, রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]–এর বিরুদ্ধাচরণে আমার চেয়ে কঠোরতর আর কেউই ছিল না। সে সময়ে রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-কে কব্জায় পেয়ে হত্যা করা ছিল আমার সবচাইতে প্রিয় ভাবনা। যদি সে অবস্থায় আমার মৃত্যু হত তবে নিশ্চিত আমাকে জাহান্নামে যেতে হত। এরপর আল্লাহ যখন আমার অন্তরে ইসলামের অনুরাগ সৃষ্টি করে দিলেন, তখন আমি রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে অনুরোধ জানালাম যে, আপনার ডান হাত বাড়িয়ে দিন, আমি বাইআত করিতে চাই। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] তাহাঁর ডান হাত বাড়িয়ে দিলেন, তখন আমি আমার হাত টেনে নিলাম। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলিলেন, আমর, কী ব্যাপার? বললাম, পূর্বে আমি শর্ত করে নিতে চাই। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] জিজ্ঞেস করিলেন, কী শর্ত করিবে? আমি উত্তর করলাম, আল্লাহ যেন আমার সব গুনাহ মাফ করে দেন। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলিলেন, আম্‌র! তুমি কি জান না যে, ইসলাম পূর্ববর্তী সকল অন্যায় মিটিয়ে দেয়। আর হিজরত পূর্ববর্তী সকল অন্যায় মিটিয়ে দেয়? আর হাজ্জ পূর্ববর্তী সকল অন্যায় মিটিয়ে দেয়? আমর বলেন, এ পর্যায়ে আমার অন্তরে রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] অপেক্ষা বেশি প্রিয় আর কেউ ছিল না। আমার চোখে তিনি অপেক্ষা মহান আর কেউ নেই। অপরিসীম শ্রদ্ধার কারণে আমি তাহাঁর প্রতি চোখভরে তাকাতেও পারতাম না। আজ যদি আমাকে তাহাঁর দৈহিক আকৃতির বর্ণনা করিতে বলা হয় তবে আমার পক্ষে তা সম্ভব নয়। কারণ চোখ ভরে আমি কখনই তাহাঁর প্রতি তাকাতে পারিনি। ঐ অবস্থায় যদি আমার মৃত্যু হত তবে অবশ্যই আমি জান্নাতী হওয়ার আশাবাদী থাকতাম। পরবর্তীকালে আমরা নানা বিষয়ের সাথে জড়িয়ে পড়েছি, তাই জানি না, এতে আমার অবস্থান কোথায়? সুতরাং আমি যখন মারা যাব, তখন যেন কোন বিলাপকারিণী অথবা আগুন সে জানাযার সাথে না থাকে। আমাকে যখন দাফন করিবে তখন আমার উপর আস্তে আস্তে মাটি ফেলবে এবং দাফন সেরে একটি উট যাবাহ করে তার গোশ্‌ত বণ্টন করিতে যে সময় লাগে ততক্ষণ আমার ক্ববরের পাশে অবস্থান করিবে। যেন তোমাদের উপস্থিতির কারণে আমি আতঙ্ক মুক্ত অবস্থায় থাকি ও চিন্তা করিতে পারি যে, আমার প্রতিপালকের দূতের কি জবাব দিব। [ই.ফা. ২২১; ই.সে. ২২৯]

২২১

ইবনি আব্বাস হইতে বর্ণিতঃ

মুশরিকদের কিছু লোক যারা ব্যাপকভাবে হত্যা ও ব্যভিচারে লিপ্ত ছিল, তারা মুহাম্মাদ [সাঃআ:]-এর দরবারে এসে জিজ্ঞেস করিল, আপনি যে দ্বীনের প্রতি মানুষদের আহ্বান জানাচ্ছেন, এতো অনেক উত্তম বিষয়। তবে আমাদের পূর্বকৃত গুনাহসমূহের প্রায়শ্চিত্ত সম্পর্কে আপনি যদি আমাদের নিশ্চিতভাবে কিছু অবহিত করিতেন। তখন এ আয়াত নাযিল হয় : “এবং যারা আল্লাহর সঙ্গে কোন ইলাহকে ডাকে না, আল্লাহ যার হত্যা নিষেধ করিয়াছেন যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না; যে এগুলো করে সে শাস্তি ভোগ করিবে”-[সূরাহ আল ফুরকান ২৫ : ৬৮]। আরো নাযিল করেন : “হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ আল্লাহর রহমাত হতে নিরাশ হয়ো না”-[সূরাহ আয্‌ যুমার : ৫৩]। [ই.ফা. ২২২; ই.সে. ২৩০]

৫৫. অধ্যায়ঃ ইসলাম গ্রহণের পূর্বের কুফরি জীবনের নেক কাজসমূহের প্রতিদান প্রসঙ্গ

২২২

হাকিম ইবনি হিযাম [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, জাহিলী যুগে আমি যে সব নেক কাজ করতাম, আমি কি তার কোন প্রতিদান পাব? রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] উত্তর করিলেন : তোমার পূর্বকৃত সৎকর্মের বিনিময়ে তুমি ইসলাম গ্রহণের সৌভাগ্য লাভ করেছ। রাবী বলেন, হাদীসে উক্ত [আরবী] শব্দটির [আরবী] নির্জনে ইবাদত করা। [ই.ফা. ২২৩; ই.সে. ২৩১]

২২৩

হাকিম ইবনি হিযাম [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-কে জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! সদাকাহ্‌, দাসমুক্তি ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক রাখা ইত্যাদি যে সব নেক কাজ জাহিলী যুগে আমি করতাম তার কি কোন প্রতিদান পাব? রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] উত্তরে বলিলেন, তোমার পূর্বকৃত সৎকর্মের বিনিময়ে তুমি ইসলাম গ্রহণের সৌভাগ্য লাভ করেছ। [ই.ফা. ২২৪; ই.সে. ২৩২]

২২৪

হাকীম ইবনি হিযাম [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-কে বললাম ইয়া রসূলাল্লাহ! জাহিলী যুগে যে সকল নেক কাজ করতাম আমি কি তার কোন প্রতিদান পাবো? রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলেন, তোমার সে সব নেক কাজের বিনিময়ে তুমি ইসলাম গ্রহণের সৌভাগ্য লাভ করেছ। আমি বললাম, আল্লাহর কসম! জাহিলী যুগে যে সব নেক কাজ আমি করেছি ইসলামী জিন্দেগীতেও আমি তা করে যাব। [ই.ফা. ২২৫; ই.সে. ২৩৩]

২২৫

উরওয়াহ্‌ ইব্‌নু যুবায়র [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

হাকীম ইবনি হিযাম [রাঃআ:] জাহিলী যুগে একশ ক্রীতদাসকে মুক্তি দিয়ে দিলেন, মাল বোঝাই একশ উট দান করেছিলেন, ইসলাম গহণ করার পরেও তিনি একশ ক্রীতদাস আযাদ করেন এবং মালামাল বোঝাই একশ উট সদাকাহ্‌ করেন। পরে তিনি রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-এর দরবারে এসে প্রশ্ন করেন। এরপর বর্ণনাকারী উল্লেখিত হাদীসে অনুরূপ বর্ণনা করেন। [ই.ফা. ২২৬; ই.সে. ২৩৪]


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply