ফিতনাহ, কবর, ঋণ, কৃপণতা, অলসতা, হতে আশ্রয়

ফিতনাহ, কবর, ঋণ, কৃপণতা, অলসতা, হতে আশ্রয়

ফিতনাহ, কবর, ঋণ, কৃপণতা, অলসতা, হতে আশ্রয়  >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

ফিতনাহ, কবর, ঋণ, কৃপণতা, অলসতা, হতে আশ্রয়

৮০/৩৫. অধ্যায় : ফিতনা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা ।
৮০/৩৬. অধ্যায় : মানুষের প্রভাবাধীন হওয়া থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা ।
৮০/৩৭. অধ্যায় : ক্ববরের আযাব হইতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা ।
৮০/৩৮. অধ্যায় : জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা ।
৮০/৩৯. অধ্যায় : গুনাহ এবং ঋণ হইতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা ।
৮০/৪০. অধ্যায় : কাপুরুষতা ও অলসতা হইতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা ।
৮০/৪১. অধ্যায় : কৃপণতা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা ।
৮০/৪২. অধ্যায় : বার্ধক্যের আতিশয্য থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা ।
৮০/৪৩. অধ্যায় : মহামারি ও রোগ যন্ত্রণা বিদূরিত হবার জন্য দুআ ।
৮০/৪৪. অধ্যায়ঃ বার্ধ্যকের আতিশয্য এবং দুনিয়ার ফিতনা আর জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় প্রার্থনা।
৮০/৪৫. অধ্যায় : প্রাচুর্যের ফিতনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা ।
৮০/৪৬. অধ্যায়ঃ দারিদ্র্যের সংকট হইতে আশ্রয় প্রার্থনা।

৮০/৩৫. অধ্যায় : ফিতনা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা ।

৬৩৬২. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

একবার লোকেরা রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে বিভিন্ন প্রশ্ন করিতে লাগল, এমনকি প্রশ্ন করে তাঁকে বিরক্ত করে ফেললো। এতে তিনি রাগান্বিত হলেন এবং মিম্বারে আরোহণ করে বললেনঃ আজ তোমরা যত প্রশ্ন করিবে আমি তোমাদের সকল প্রশ্নেরই ব্যাখ্যা সহকারে জবাব দিব। এ সময় আমি ডানে ও বামে তাকাতে লাগলাম এবং দেখলাম যে, প্রতিটি লোকই নিজের কাপড় দিয়ে মাথা পেচিয়ে কাঁদছেন। এমন সময় একজন লোক, যাকে লোকের সঙ্গে বিবাদের সময় তার বাপের নাম নিয়ে ডাকা হতো না, সে প্রশ্ন করলো : হে আল্লাহর রাসুল! আমার পিতা কে? তিনি বললেনঃ হুযাইফাহ। তখন উমার (রাদি.) বলিতে লাগলেন : আমরা আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ (সাঃআঃ) কে রাসুল হিসেবে গ্রহণ করেই সন্তুষ্ট। আমরা ফিতনা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তখন রাসুলুল্লাহ বললেনঃ আমি ভাল মন্দের যে দৃশ্য আজ দেখলাম, তা আর কখনও দেখিনি। জান্নাত ও জাহান্নামের দৃশ্য আমাকে এত পরিষ্কারভাবে দেখানো হয়েছে যে, যেন এ দুটি এ দেয়ালের পশ্চাতেই অবস্থিত।

রাবী ক্বাতাদাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এ হাদীস উল্লেখ করার সময় এ আয়াতটি পড়তেন- (অর্থ) : হে মুমিনগণ! তোমরা সে সব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হইবে।

[৯৩; মুসলিম ৪৩/৩৭, হাদীস ২৩৫৯] আঃপ্রঃ- ৫৯১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৯)

৮০/৩৬. অধ্যায় : মানুষের প্রভাবাধীন হওয়া থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা ।

৬৩৬৩. আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আবু ত্বলহা (রাদি.) কে বললেনঃ তুমি তোমাদের ছেলেদের ভিতর থেকে আমার খিদমাত করার উদ্দেশে একটি ছেলে খুঁজে নিয়ে এসো। আবু ত্বলহা (রাদি.) গিয়ে আমাকে তাহাঁর সাওয়ারীর পিছনে বসিয়ে নিয়ে এলেন। তখন থেকে আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর খিদমাত করে আসছি। যখনই কোন বিপদ দেখা দিত, তখন আমি তাঁকে অধিক করে এ দুআ পড়তে শুনতাম :

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি, ওয়াল আজজি, ওয়াল কাসালি, ওয়াল বুখলি, ওয়াল জুবনি, ওয়া দ্দালায়েদ্দাইন, ওয়া গালাবাতির রিজাল। হে আল্লাহ! আমি দুশ্চিন্তা, পেরেশানী, অপারগতা, অলসতা, কৃপণতা, কাপুরুষতা, ঋণের বোঝা এবং মানুষের আধিপত্য থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

আমি সর্বদা তাহাঁর খিদমাত করে আসছি, এমনকি যখন আমরা খাইবার থেকে প্রত্যাবর্তন করছিলাম, তখন তিনি সফীয়্যাহ বিনতু হুয়াইকে সঙ্গে নিয়ে আসলেন। তিনি তাঁকে গনীমতের সম্পদ থেকে নিজের জন্য বেছে নিয়েছিলেন। তখন আমি তাঁকে দেখছিলাম যে, তিনি তাঁকে একখানা চাদর অথবা একখানা কম্বল দিয়ে ঢেকে নিজের পেছনে বসিয়েছিলেন। যখন আমরা সবাই সাহবা নামক স্থানে পৌঁছলাম, তখন আমরা হাইস নামীয় খাবার তৈরী করে একটি চর্মের দস্তরখানে রাখলাম। তিনি আমাকে পাঠালে আমি গিয়ে কয়েকজনকে দাওয়াত করলাম। তাঁরা এসে আহার করে গেলেন। এটি ছিল সফীয়্যাহর সঙ্গে তাহাঁর বাসর যাপন। অতঃপর তিনি রওয়ানা হলে উহুদ পর্বত তাহাঁর সামনে দেখা গেল। তখন তিনি বললেনঃ এ এমন একটি পর্বত যা আমাদের ভালবাসে এবং আমরাও তাকে ভালবাসি। তারপর যখন মাদীনাহর কাছে পৌঁছলেন, তখন তিনি বললেনঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أُحَرِّمُ مَا بَيْنَ جَبَلَيْهَا مِثْلَ مَا حَرَّمَ بِهِ إِبْرَاهِيمُ مَكَّةَ، اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِي مُدِّهِمْ وَصَاعِهِمْ

আল্লাহুম্মা উহাররেমু মা বাইনা জাবালাইহা মিনকা মা হাররামা বিহি ইবরাহিমু মাক্কাতা, আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফি মুদ্দিহিম ওয়া সায়েহিম,

হে আল্লাহ! আমি মাদীনাহর দুটি পর্বতের মধ্যবর্তী জায়গাকে হারাম (ঘোষণা) করছি, যে রকম ইবরাহীম (আঃ) মক্কাকে হারাম (ঘোষণা) করেছিলেন। হে আল্লাহ! আপনি তাদের মুদ্দ ও সাতে বারাকাত দান করুন।

(আঃপ্রঃ- ৫৯১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১০)

৮০/৩৭. অধ্যায় : ক্ববরের আযাব হইতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা ।

৬৩৬৪. মূসা ইবনু উকবাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

মূসা ইবনু উকবাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বর্ণনা করিয়াছেন। উম্মু খালিদ বিনতু খালিদ (রাদি.) বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ) কে ক্ববরের আযাব হইতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করিতে শুনিয়াছি। রাবী বলেন যে, এ হাদীস আমি উম্মু খালিদ ছাড়া নাবী (সাঃআঃ) থেকে আর কাউকে বলিতে শুনিনি।

(আঃপ্রঃ- ৫৯১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১১)

৬৩৬৫. মুসআব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

মুসআব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বর্ণনা করেন, সাদ পাঁচটি জিনিস হইতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করার নির্দেশ দিতেন এবং তিনি এগুলো নাবী (সাঃআঃ) হইতে উল্লেখ করিতেন। তিনি এগুলো থেকে আল্লাহর আশ্রয় চেয়ে এ দুআ পড়তে নির্দেশ দিতেন :

 اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ، وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا يَعْنِي فِتْنَةَ الدَّجَّالِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ

আল্লা-হুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়া আউজুবিকা মিনাল জুবনি ওয়া আউজুবিকা মিন্ আন্ উরাদ্দা ইলা আরযালিল ও’মুরি ওয়া আউজুবিকা মিং ফিতনাতিদ দুনইয়া ওয়া ‘আউজুবিকা মিন ‘আজাবিল ক্বাবরি। হে আল্লাহ! আমি কৃপণতা থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি। আমি কাপুরুষতা হইতে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আমি অবহেলিত বার্ধ্যক্যে উপনীত হওয়া থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আর আমি দুনিয়ার ফিতনা অর্থাৎ দাজ্জালের ফিতনা থেকেও আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং আমি ক্ববরের আযাব হইতেও আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

(আঃপ্রঃ- ৫৯১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১২)

৬৩৬৬. আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমার কাছে মাদীনাহর দুজন ইয়াহূদী বৃদ্ধা মহিলা আসলেন। তাঁরা আমাকে বলিলেন যে, ক্ববরবাসীদের তাদের ক্ববরে আযাব দেয়া হয়ে থাকে। তখন আমি তাদের এ কথা মিথ্যা বলে জানালাম। আমার বিবেক তাদের কথাটিকে সত্য বলে সায় দিল না। তাঁরা দুজন বেরিয়ে গেলেন। আর নাবী (সাঃআঃ) আমার নিকটে এলেন। আমি তাঁকে বললাম : হে আল্লাহর রাসুল! আমার নিকট দুজন বৃদ্ধা এসেছিলেন। অতঃপর আমি তাঁকে তাদের কথা জানালাম। তখন তিনি বললেনঃ তারা দুজন ঠিকই বলেছে। নিশ্চয়য়ই ক্ববরবাসীদেরকে এমন আযাব দেয়া হয়, যা সকল চতুষ্পদ জীবজন্তু শুনে থাকে। এরপর থেকে আমি তাঁকে সব সময় প্রতি সালাতে ক্ববরের আযাব হইতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করিতে দেখেছি।

[১০৪৯; মুসলিম ৫/২৪, হাদীস ৫৮৬] আঃপ্রঃ- ৫৯২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১৩)

৮০/৩৮. অধ্যায় : জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা ।

৬৩৬৭. আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, নাবী (সাঃআঃ) প্রায়ই বলিতেন :

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْجُبْنِ وَالْهَرَمِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ 

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল আজরি ওয়াল কাসালি, ওয়াল জুবনি, ওয়াল হারামি, ওয়া আউজুবিকা মিন আজাবিল কাবরি, ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া, ওয়াল মামাতি, হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা এবং অত্যধিক বার্ধক্য থেকে। আরও আশ্রয় প্রার্থনা করছি, ক্ববরের আযাব হইতে। আর আশ্রয় প্রার্থনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা হইতে।

(আঃপ্রঃ- ৫৯২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১৪)

৮০/৩৯. অধ্যায় : গুনাহ এবং ঋণ হইতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা ।

৬৩৬৮. আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলিতেন :

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْهَرَمِ، وَالْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ فِتْنَةِ النَّارِ وَعَذَابِ النَّارِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْغِنَى، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْفَقْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْ عَنِّي خَطَايَاىَ بِمَاءِ الثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّ قَلْبِي مِنَ الْخَطَايَا، كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ، وَبَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَاىَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিনাল কাসালি, ওয়াল হারামি, ওয়াল মা,সামি ওয়াল মাগরামি, ওয়া মিন ফিতনাতিল কবর, ওয়া আজাবিন নার, ওয়া মিন ফিতনাতিন নার, ওয়া আজাবিন নার, ওয়া মিন সাররি ফিতনাতিল গিনা, ওয়া আউযু বিকা মিন ফিতনাতিল ফকর, ওয়া আউযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাসিহিজ দাজ্জাল, আল্লাহুম্মাগ সিল আন্নি খতাইয়াইয়া বিমায়িস সালজি ওয়াল বারাদ, ওয়া নাক্কি কল্বি মিনাল খতাইয়া কামা নাক্কাইতাশ সাওবাল আবইয়াদা মিনাদ দানাস ওয়া বায়িদ বাইনি ওয়া বাইনা খতাইয়াইয়া কামা বায়াদতা বাইনাল মাসরিকি ওয়া মাগরিবি, হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় চাচ্ছি অলসতা, অতিশয় বার্ধক্য, গুনাহ আর ঋণ থেকে, আর ক্ববরের ফিতনা এবং ক্ববরের শাস্তি হইতে। আর জাহান্নামের ফিতনা এবং এর শাস্তি থেকে, আর ধনশালী হবার পরীক্ষার খারাপ পরিণতি থেকে। আমি আরও আশ্রয় চাচ্ছি দারিদ্র্যের অভিশাপ হইতে। আমি আরও আশ্রয় চাচ্ছি মসীহ দাজ্জালের ফিতনা হইতে। হে আল্লাহ! আমার গুনাহ-এর দাগগুলো থেকে আমার অন্তরকে বরফ ও শীতল পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে দিন এবং আমার অন্তরকে সমস্ত গুনাহ এর ময়লা থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করে দিন, যেভাবে আপনি শুভ্র বস্ত্রকে ময়লা থেকে পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করে থাকেন। আর আমার ও আমার গুনাহগুলোর মধ্যে এতটা দূরত্ব সৃষ্টি করে দিন, যতটা দূরত্ব আপনি দুনিয়ার পূর্ব ও পশ্চিম দিকের মধ্যে সৃষ্টি করিয়াছেন।

[৯৩২; মুসলিম ৫/২৫, হাদীস ৫৮৯, আহমাদ ২৪৬৩২] আঃপ্রঃ- ৫৯২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১৫)

৮০/৪০. অধ্যায় : কাপুরুষতা ও অলসতা হইতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা ।

৬৩৬৯. আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলিতেন :

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়াল আজরি, ওয়াল কাসালি, ওয়াল জুবনি, ওয়াল বুখলি, ওয়া দ্বালা’য়িদ্দাইনি, ওয়া গালাবাতির রিজাল, হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই- দুশ্চিন্তা, পেরেশানী, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, ঋণভার ও মানুষের প্রভাবাধীন হওয়া থেকে।

(আঃপ্রঃ-৫৯২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১৬)

৮০/৪১. অধ্যায় : কৃপণতা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা ।

৬৩৭০. সাদ ইবনু আবু ওয়াক্কাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি পাঁচটি কার্য থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করার নির্দেশ দিতেন এবং তিনি তা নাবী (সাঃআঃ) থেকেই বর্ণনা করিতেন। তিনি দুআ করিতেন :

 اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ، وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ

আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল বুখলি, ওয়া আউযুবিকা মিনাল জুবজুনি, ওয়া আউযুবিকা আন উরাদ্দা ইলা আরযালিল্ উমুরি, ওয়া আঊযুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনইয়া ও ওয়া আঊযুবিকা মিন আযাবিল ক্বাবরি

হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কৃপণতা থেকে, আমি আশ্রয় চাচ্ছি কাপুরুষতা থেকে, আমি আশ্রয় চাচ্ছি অবহেলিত বার্ধক্যে উপনীত হওয়া থেকে, আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি দুনিয়ার বড় ফিতনা (দাজ্জালের ফিতনা) থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কবরের শাস্তি হইতে।

(আঃপ্রঃ- ৫৯২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১৭)

৮০/৪২. অধ্যায় : বার্ধক্যের আতিশয্য থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা ।

৬৩৭১. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলিতেন :

‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَرَمِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ 

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল জুবনি, আউজুবিকা মিনাল হারামি, আউজুবিকা মিনাল বুখলি, হে আল্লাহ! আমি অলসতা থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি এবং আমি আপনার কাছে কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। আমি আপনার কাছে আরও আশ্রয় চাচ্ছি বার্ধক্যের আতিশয্য থেকে এবং আমি কৃপণতা থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি।

(আঃপ্রঃ- ৫৯২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১৮)

৮০/৪৩. অধ্যায় : মহামারি ও রোগ যন্ত্রণা বিদূরিত হবার জন্য দুআ ।

৬৩৭২. আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) দুআ করিতেন : হে আল্লাহ! আপনি যেভাবে মক্কাকে আমাদের জন্য প্রিয় করে দিয়েছেন, মাদীনাহকেও সেভাবে অথবা এর চেয়েও অধিক আমাদের কাছে প্রিয় করে দিন। আর মাদীনাহর জ্বর জুহফার দিকে সরিয়ে দিন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মাপের ও ওযনের পাত্রে বারাকাত দান করুন।

(আঃপ্রঃ- ৫৯২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১৯)

৬৩৭৩. সাদ ইবনু আবু ওয়াক্কাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

বিদায় হাজ্জের সময় আমি রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুপথযাত্রী হয়ে পড়ছিলাম। নাবী (সাঃআঃ) সে সময় আমাকে দেখিতে এলেন। তখন আমি বললাম : আমি যে রোগাক্রান্ত, তাতো আপনি দেখছেন। আমি একজন বিত্তবান লোক। আমার এক মেয়ে ব্যতীত কোন ওয়ারিস নেই। তাই আমি কি আমার দু তৃতীয়াংশ মাল সদাকাহ করে দিতে পারি? তিনি বললেনঃনা। আমি বললাম: তবে অর্ধেক মাল? তিনি বললেনঃনা। এক তৃতীয়াংশ অনেক। তোমার ওয়ারিশদের মানুষের কাছে ভিক্ষার হাত বাড়ানোর মত অভাবী রেখে যাবার চেয়ে তাদের বিত্তবান রেখে যাওয়া তোমার জন্য অনেক উত্তম। আর তুমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যা কিছুই ব্যয় করিবে নিশ্চয়ই তার প্রতিদান দেয়া হইবে। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে লুক্‌মাটি তুলে দিয়ে থাকো, তোমাকে এর প্রতিদান দেয়া হইবে। আমি বললাম: তা হলে আমার সঙ্গীগণের পরেও কি আমি বেঁচে থাকবো? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই তুমি এঁদের পরে বেঁচে থাকলে তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যা কিছু নেক আমাল করো না কেন, এর বদলে তোমার মর্যাদা ও সম্মান আরও বেড়ে যাবে। আশা করা যায় যে, তুমি আরও কিছু দিন বেঁচে থাকবে। এমনকি তোমার দ্বারা অনেক কাওম উপকৃত হইবে। আর অনেক সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হইবে। তারপর তিনি দুআ করিলেন :

اللَّهُمَّ أَمْضِ لأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ، وَلاَ تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ، لَكِنِ الْبَائِسُ سَعْدُ ابْنُ خَوْلَةَ

আল্লাহুম্মা আমদি আসহাবি হিজরাতাহুম, ওয়া লা তারুদ্দাহুম আলা আ,কাবিহিম, লাকিনিল বাদিসু সা,দুবনু খও লাহা

হে আল্লাহ! আপনি আমার সাহাবীগণের হিজরাতকে বহাল রাখুন। আর তাদের পেছনে ফিরে যেতে দেবেন না। কিন্তু সাদ ইবনু খাওলাহ (রাদি.) এর দুর্ভাগ্য (কারণ তিনি বিদায় হাজ্জের সময় মক্কায় মারা যান) সাদ (রাদি.) বলেনঃ মক্কায় তাহাঁর মৃত্যু হওয়ায় রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাহাঁর জন্য শোক প্রকাশ করিয়াছেন।

(আঃপ্রঃ- ৫৯২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮২০)

৮০/৪৪. অধ্যায়ঃ বার্ধ্যকের আতিশয্য এবং দুনিয়ার ফিতনা আর জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় প্রার্থনা।

৬৩৭৪. সাদ ইবনু আবু ওয়াক্কাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) যে সব বাক্য দিয়ে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করিতেন, সে সব দ্বারা তোমরাও আশ্রয় প্রার্থনা কর। তিনি বলিতেন :

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا، وَعَذَابِ الْقَبْرِ

আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল জুবনি ওয়া আঊযু বিকা মিনাল বুখলি ওয়া আঊযু বিকা মিন্ আন্ উরাদ্দা ইলা আরযালিল ও’মুরি ওয়া আউজুবিকা মিং ফিতনাতিদ দুনইয়া ওয়া ‘আউজুবিকা মিন ‘আজাবিল ক্বাবরি।

হে আল্লাহ! আমি কাপুরুষতা থেকে, আমি কৃপণতা থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি। আমি বার্ধক্যের অসহায়ত্ব থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি। আর আমি দুনিয়ার ফিতনা ও ক্ববরের আযাব থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

(আঃপ্রঃ- ৫৯২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮২১)

৬৩৭৫. আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) দুআ করিতেন :

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْهَرَمِ وَالْمَغْرَمِ وَالْمَأْثَمِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ النَّارِ وَفِتْنَةِ النَّارِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ، وَشَرِّ فِتْنَةِ الْغِنَى، وَشَرِّ فِتْنَةِ الْفَقْرِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَاىَ بِمَاءِ الثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّ قَلْبِي مِنَ الْخَطَايَا، كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، وَبَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَاىَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ 

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিনাল কাসালি, ওয়াল হারামি ওয়াল মাগরামি ওয়াল মা,সামি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিন আজাবিন নার, ওয়া ফিত্নাতিন নার ওয়া আজাবিল কাবরি, ওয়া সাররি ফিতনাতিল গিনা, ওয়া সাররি ফিতনাতিল ফাকর, ওয়া মিন সাররি ফিতনাতিল মাসিহিজ দাজ্জাল, আল্লাহুম্মাগ সিল খতাইয়াইয়া বিমায়িস সালজি ওয়াল বারাদ, ওয়া নাক্কি কল্বি মিনাল খতাইয়া , কামা ইউ নাক্কাল সাউবুল আবইয়াদু
মিনাদ দানাস, ওয়া বায়িদ বাইনি ওয়া বাইনা খতাইয়াইয়া কামা বায়াদতা বাইনাল মাসরিকি ওয়া মাগরিবি, হে আল্লাহ! আমি আলস্য, অতি বার্ধক্য, ঋণ আর পাপ থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় চাচ্ছি জাহান্নামের শাস্তি, জাহান্নামের ফিতনা, ক্ববরের শাস্তি, প্রাচুর্যের ফিতনার কুফল, দারিদ্রের ফিতনার কুফল এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে। হে আল্লাহ! আপনি আমার যাবতীয় গুনাহ বরফ ও শীতল পানি দিয়ে ধুয়ে দিন। আমার অন্তর যাবতীয় পাপ থেকে পরিচ্ছন্ন করুন, যেভাবে শুভ্র বস্ত্র ময়লা থেকে পরিচ্ছন্ন করা হয়। আমার ও আমার গুনাহসমূহের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে দিন যতটা দূরত্ব আপনি পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মধ্যে করিয়াছেন।

(আঃপ্রঃ- ৫৯২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮২২)

৮০/৪৫. অধ্যায় : প্রাচুর্যের ফিতনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা ।

৬৩৭৬. আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) আল্লাহর আশ্রয় চেয়ে বলিতেন :

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ النَّارِ وَمِنْ عَذَابِ النَّارِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْغِنَى، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْفَقْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিন ফিতনাতিন নার, ওয়া মিন আজাবিন নার, ওয়া আউযু বিকা মিন ফিতনাতিল গিনা, ওয়া আউযু বিকা মিন ফিতনাতিল ফকর, ওয়া আউযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাসিহিজ দাজ্জাল, হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় চাচ্ছি জাহান্নামের ফিতনা, জাহান্নামের শাস্তি হইতে। আমি আরও আশ্রয় চাচ্ছি ক্ববরের ফিতনা হইতে এবং আপনার আশ্রয় চাচ্ছি ক্ববরের আযাব হইতে। আমি আরও আশ্রয় চাচ্ছি প্রাচুর্যের ফিতনা হইতে, আর আমি আশ্রয় চাচ্ছি অভাবের ফিতনা হইতে। আমি আরও আশ্রয় চাচ্ছি মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে।

(আঃপ্রঃ- ৫৯৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮২৩)

৮০/৪৬. অধ্যায়ঃ দারিদ্র্যের সংকট হইতে আশ্রয় প্রার্থনা।

৬৩৭৭. আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) এ দুআ পাঠ করিতেনঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ النَّارِ وَعَذَابِ النَّارِ، وَفِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ، وَشَرِّ فِتْنَةِ الْغِنَى، وَشَرِّ فِتْنَةِ الْفَقْرِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْ قَلْبِي بِمَاءِ الثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّ قَلْبِي مِنَ الْخَطَايَا، كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ، وَبَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَاىَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফিত্নাতিন নার ওয়া আজাবিন নার ওয়া ফিতনাতিল কাবরি, ওয়া আজাবিল কাবরি, ওয়া সাররি ফিতনাতিল গিনা, ওয়া সাররি ফিতনাতিল ফাকর, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন সাররি ফিতনাতিল মাসিহিদ দাজ্জাল, আল্লাহুম্মাগছিল কালবি বিমাইস সালজি ওয়াল বারাদ, ওয়া নাক্কি কালবি মিনাল খাতায়া, কামা নাক্কাইতাস সাওবিল আবয়াদা মিনাদ্দানাস, ওয়া বাঈদ বাইনি ওয়া বাইনা খাতায়ায়া কামা বাআদতা বাইনাল মাশরিকি ওয়াল মাগরিব, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কাসলি ওয়াল মাছামে ওয়াল মাগরাম, হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে জাহান্নামের সংকট, জাহান্নামের শাস্তি, ক্ববরের সংকট, ক্ববরের শাস্তি, প্রাচুর্যের ফিতনা ও অভাবের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। হে আল্লাহ! আমার অন্তরকে বরফ ও শীতল পানি দিয়ে ধৌত করুন। আর আমার অন্তর গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করে দিন, যেভাবে আপনি শুভ্র বস্ত্রের ময়লা পরিষ্কার করে থাকেন এবং আমাকে আমার গুনাহ থেকে এতটা দূরে সরিয়ে রাখুন, পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তকে পশ্চিম প্রান্ত থেকে যত দূরে রেখেছেন। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি অলসতা, গুনাহ এবং ঋণ হইতে।

(আঃপ্রঃ- ৫৯৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮২৪)


Posted

in

by

Comments

3 responses to “ফিতনাহ, কবর, ঋণ, কৃপণতা, অলসতা, হতে আশ্রয়”

Leave a Reply