ফারায়িজ বা মৃতের পরিত্যক্ত সম্পত্তির বণ্টন বিধি
ফারায়িজ বা মৃতের পরিত্যক্ত সম্পত্তির বণ্টন বিধি >> বুলুগুল মারাম এর মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায়-২০ঃ ফারায়িজ বা মৃতের পরিত্যক্ত সম্পত্তির বণ্টন বিধি
পরিচ্ছেদ ০১. আসাবাদের পূর্বে আসহাবুল ফারায়েয মীরাস পাবে {১০১৯}
পরিচ্ছেদ ০২. মুসলমান এবং কাফেরের মাঝে উত্তরাধিকার সূত্র নেই
পরিচ্ছেদ ০৩. বোনেরা মেয়ের সাথে আসাবাহ হয়
পরিচ্ছেদ ০৪. দুই ভিন্ন ধর্মের লোকদের মাঝে উত্তরাধিকার সূত্র নেই
পরিচ্ছেদ ০৫. দাদার মীরাছ [উত্তারধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ]
পরিচ্ছেদ ০৬. দাদীর মীরাছ
পরিচ্ছেদ ০৭. রক্ত সম্পর্কীয়দের মীরাছ
পরিচ্ছেদ ০৮. বাচ্চার মীরাস
পরিচ্ছেদ ০৯. হত্যাকারীকে উত্তরাধিকারী করার বিধান
পরিচ্ছেদ ১০. ওয়ালা সূত্রে উত্তরাধিকারী
পরিচ্ছেদ ১১. ওয়ালার বিধানাবলী
পরিচ্ছেদ ১২. ফারায়েযের ক্ষেত্রে যায়েদ বিন হারেছ [রাঃআঃ] সাহাবীদের মাঝে সবচেয়ে বিজ্ঞ
পরিচ্ছেদ ০১. আসাবাদের পূর্বে আসহাবুল ফারায়েয মীরাস পাবে {১০১৯}
৯৪৫ – ইবনু আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, সুনির্দিষ্ট অংশের হকদারদের মীরাসে পৌঁছে দাও । অতঃপর যা বাকী থাকিবে তা [মৃতের] নিকটতম পুরুষের জন্য । {১০২০}
{১০২০} বুখারি ৬৭৩২, ৬৭৩৫, ৬৭৩৭, ৬৭৪৫, মুসলিম ১৬১৫, তিরমিজি ২০৯৪, আবূ দাউদ ২৮৯৮, ইবনু মাযাহ ২৭৪০, ২৬৫২, ২৬৫৭, দারেমী ২৯৮৬- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০২. মুসলমান এবং কাফেরের মাঝে উত্তরাধিকার সূত্র নেই
৯৪৬ – উসামাহ বিন যায়দ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেন, মুসলিম কাফেরের উত্তরাধিকারী হয় না, আর কাফিরও মুসলিমের উত্তরাধিকারী হয় না । {১০২১}
{১০২১} বুখারিতে [আরবী] শব্দের স্থলে [আরবী] শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে; দু স্থানেই। বুখারি ১৫৮৮, ৩০৫৮, ৪২৮৩, ৬৭৬৩, মুসলিম ১৬১৪, তিরমিজি ২১০৭, আবূ দাউদ ২৯০৯, ইবনু মাযাহ ২৭২৯, ২৭৩০, আহমাদ ২১৩০১, ২১৩১৩, মুয়াত্তা মালেক ১১০৪, ১১০৫, দারেমী ২৯৯৮, ৩০০০ । হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৩. বোনেরা মেয়ের সাথে আসাবাহ হয়
৯৪৭ – ইবনু মাস`ঊদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] ফয়সলা করিয়াছেন, কন্যা পাবে অর্ধাংশ আর পৌত্রী পাবে ষষ্ঠাংশ । এভাবে দু`তৃতীয়াংশ পূর্ণ হইবে । বাকী তৃতীয়াংশ পাবে বোন । {১০২২}
{১০২২} বুখারির বর্ণনায় রয়েছে, [আরবী] হুযায়ল ইব্নু শূরাহ্বীল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আবূ মূসা [রাঃআঃ]-কে কন্যা, পুত্রের কন্যা এবং ভগ্নির [মীরাস] সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল । তখন তিনি বলিলেন, কন্যার জন্য অর্ধেক আর ভগ্নির জন্য অর্ধেক । [তিনি বলিলেন] তোমরা ইব্নু মাস`ঊদ [রাঃআঃ]-এর কাছে যাও, তিনিও হয়ত আমার মতই বলবেন । অতঃপর ইব্নু মাস`ঊদ [রাঃআঃ]-কে জিজ্ঞেস করা হল এবং আবূ মূসা [রাঃআঃ] যা বলেছেন সে সম্পর্কে তাঁকে জানানো হল । তিনি বলিলেন, [ও রকম সিদ্ধান্ত দিলে] আমি তো পথভ্রষ্ট হয়ে যাব, হেদায়েতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত থাকব না । আমি এ ব্যাপারে ঐ ফায়সালাই দিচ্ছি, যে ফায়সালা নবী [সাঃ] প্রদান করেছিলেন । কন্যা পাবে অর্ধাংশ আর পৌত্রী পাবে ষষ্ঠাংশ । এভাবে দু`তৃতীয়াংশ পূর্ণ হইবে । বাকী এক তৃতীয়াংশ পাবে বোন । এরপর আমরা আবূ মূসা [রাঃআঃ]-এর কাছে আসলাম এবং ইব্নু মাস`ঊদ [রাঃআঃ] যা বলিলেন, তা তাকে জানালাম । তখন তিনি বললেনঃ এ অভিজ্ঞ মনীষী যতদিন তোমাদের মাঝে থাকিবে ততদিন আমার কাছে কিছু জিজ্ঞেস করো না । বুখারি ৬৭৩৬, ৬৭৪২, তিরমিজি ২০৯৩, আবূ দাউদ ২৮৯০, ইবনু মাযাহ ২৭২১, আহমাদ ৩৬৮৪,৪০৬২ – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৪. দুই ভিন্ন ধর্মের লোকদের মাঝে উত্তরাধিকার সূত্র নেই
৯৪৮ – আবদুল্লাহ বিন `আম্র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, দু`টি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিরা একে অপরের ওয়ারিস হইবে না । -ইমাম হাকিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উসমাহ [রাঃআঃ]-এর বর্ণিত শব্দ বিন্যাসে এবং নাসায়ী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উসমাহ [রাঃআঃ]-এর হাদিসকে অত্র [`আবদুল্লাহ্-এর] হাদীসের শব্দে বর্ণনা করিয়াছেন । {১০২৩}
{১০২৩} আবূ দাউদ ২৯১১, ইবনু মাযাহ ২৭৩১, আহমাদ ৬৬২৬, ৬৮০৫ । সনদ জাইয়িদ, তাওযিহুল আহকাম ৫/১৬০ পৃঃ- হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদ ০৫. দাদার মীরাছ [উত্তারধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ]
৯৪৯ – ইমরান বিন হুসাইন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন লোক নবী [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বললো, আমার ছেলের ছেলে নাতির মৃত্যু হয়েছে, তার মিরাস থেকে আমার জন্য কি হক রয়েছে? তিনি বলিলেন- এক ষষ্ঠাংশ । লোকটি ফিরে গেলে আবার তাকে নবী [সাঃআঃ] ডেকে বলিলেন, তোমরা জন্য আর এক ষষ্ঠাংশ । লোকটি ফিরলে পুনরায় তাকে ডেকে নবী [সাঃআঃ] বলে দিলেন এর পরবর্তী ষষ্ঠাংশ তোমার খাদ্যের জন্য [আসবাবরূপে] প্রাপ্ত । -তিরমিজি একে সহিহ বলেছেন, এটা `ইমরান থেকে হাসান বাসরীর বর্ণনায় রয়েছে । এ সম্বন্ধে বলা হয়েছে-হাসান বাসরী `ইমরান [রা] থেকে শ্রবণ করেননি । {১০২৪}
{১০২৪} তিরমিজি ২০৯৯, আবূ দাউদ ২৮৯৬। ইবনু উসাইমীন শরহে বুলগুল মারাম ৪/৩৬৯ গ্রন্থে একে মুনকাতি বলেছেন । আবদুর রহমান মুবারকপুরী তুহফাতুল আহওয়াযী ৫/৫১৮ গ্রন্থে বলেন, [আরবী] এর সনদ রয়েছে হাসান, ইবনু আবূ হাতিম ইমামগণ থেকে এটি বর্ণনা করেন যে, হাসান ইমরান বিন হুসাইন থেকে কোন কিছুই শুনেনি । শাইখ আলবানী তাখরীজ মিশকাতুল মাসাবীহ ২৯৯৬ ও জঈফ আবূ দাউদে [২৮৯৬] গ্রন্থে একে দুর্বল বলেছেন । হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৬. দাদীর মীরাছ
৯৫০ – ইবনু বুরাইদাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] মৃতের মাতা না থাকার অবস্থায় সম্পত্তি থেকে দাদীর জন্য এক ষষ্ঠাংশ দিয়েছেন । -ইবনু হিব্বান, ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু জারূদ সহিহ, বলেছেন আর ইবনু আদী হাদিসটিকে শক্তিশালী বলেছেন । {১০২৫}
{১০২৫} আবূ দাউদ ২৮৯৫ । হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৭. রক্ত সম্পর্কীয়দের মীরাছ
৯৫১ – মিকদাদ্ ইবনু মা`দীকারিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন- যার কোন ওয়ারিস নেই, তার মামা তার ওয়ারিস হইবে । -আবু যুর`আতার্ রাযী হাসান বলেছেন এবং হাকিম ও ইবনু হিব্বান একে সহিহ বলেছেন । {১০২৬}
{১০২৬} ইবনু মাযাহ ২৭৩৮, আবূ দাউদ ২৮৯৯, ২৯০০, ২৯০১, আহমাদ ১৬৭২৩, ১৬৭৪৮ । হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৯৫২ – আবূ উমামাহ ইবনু সহ্ল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, `উমার [রাঃআঃ] আবূ উবায়দাহ [রাঃআঃ]-কে লিখে জানিয়েছিলেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যার কোন অভিভাবক নেই আল্লাহ ও তাহাঁর রাসূলই তার অভিভাবক এবং যার কোন ওয়ারিস নেই মামাই তার ওয়ারিস । -তিরমিজি একে হাসান বলেছেন এবং ইবনু হিব্বান সহীহ্ বলেছেন । {১০২৭}
{১০২৭} তিরমিজি ২১০৩, ইবনু মাযাহ ২৭৩৭ । হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৮. বাচ্চার মীরাস
৯৫৩ – জাবির [রা] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি বলেছেন, ভূমিষ্ঠ সন্তান যদি শব্দ করে চীৎকার দেয় তাহলে তাকে ওয়ারিস বলে গণ্য করিতে হইবে । -ইবনু হিব্বান সহীহ্ বলেছেন । {১০২৮}
{১০২৮} তিরমিজি ১০৩২, ইবনু মাযাহ ১৫০৮, ২৭৫০, ২৭৫১, দারেমী ৩১২৫ । হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৯. হত্যাকারীকে উত্তরাধিকারী করার বিধান
৯৫৪ – আম্র বিন শু`আইব হইতে বর্ণিতঃ
তিনি তাহাঁর পিতা হইতে, তিনি তাহাঁর দাদা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, হত্যাকারীর জন্য নিহিত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে কোন অধিকার নেই । -হাদিসটিকে ইবনু `আবদিল বার্ শক্তিশালী বলেছেন, নাসায়ী ইল্লাত বা ত্রুটিযুক্ত হাদিস বলেছেন, কিন্তু হাদিসটির `আম্র এর উপর মাওকূফ হওয়াটাই সঠিক । {১০২৯}
{১০২৯} ইমাম সনআনী তাহাঁর সুবুল সালাম [৩/১৫৯] গ্রন্থে বলেন, এর অনেক শাহেদ থাকার কারণে সামগ্রিকভাবে এর আমল রহিত হয় না । শাইখ আলবানী সহীহুল জামে [৫৪২২] গ্রন্থে আবদুল্লাহ ইবনু উমার হইতে বর্ণিত একই হাদিসকে সহিহ বলেছেন। পক্ষান্তরে ইবনু হাজার আসকালানী তাহাঁর মাওয়াফিকাতুল খবরিল খবর [২/১০৫] গ্রন্থে বলেন, হাদিসটি ত্রুটিযুক্ত । ইমাম ইবনু কাসীর তাহাঁর মুসনাদ আল ফারুক [১/৩৭৭] গ্রন্থে বলেন, এটি ইসমাঈল বিন আইয়্যাশ হেজাযীদের থেকে বর্ণনা করিয়াছেন যে কিনা ইসলামের প্রসিদ্ধ ইমামগণের নিকট অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি । ইবনু উসাইমীন তাহাঁর শরহে বুলগুল মারাম [৪/৩৮১] গ্রন্থে বলেন, এ হাদিসটি রাসূলুল্লাহ [সাঃ] থেকে বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয়নি। আর তিনি তাহাঁর শরহুল মুমতি` [১১/৩১৯] গ্রন্থে বলেছেন, এটি বিশুদ্ধ নয় । ইমাম যাহাবী তাহাঁর তানকীহুত তাহকীক [২৫/১৫৯] গ্রন্থে বলেন, হেজাযীদের থেকে ইসমাইলের বর্ণনাসূত্রটি জঈফ। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১০. ওয়ালা সূত্রে উত্তরাধিকারী
৯৫৫ – উমার বিন খাত্তাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনিয়াছি, মৃতের পিতা ও পুত্র যা অধিকার করিবে তা আসাবা সূত্রেই পাবে, সে যেই হোন না কেন ।–ইবনুল মাদানী ও ইবনু `আবদিল বার্ সহীহ্ বলেছেন । {১০৩০}
{১০৩০} আবূ দাউদ ২৯১৭, ইবনু মাযাহ ২৭৩২- হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ১১. ওয়ালার বিধানাবলী
৯৫৬ – আবদুল্লাহ ইবনু `উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, দাসমুক্ত করার দ্বারা `ওয়ালা` {১০৩১} নামে যে সম্পর্ক মুক্তকারী মুনিব ও দাসের মধ্যে স্থাপিত হয় তা বংশীয় সম্পর্কের ন্যায় [স্থায়ী] । সেটি বিক্রয় হয় না ও দানও করা যায় না । হাকিম শাফি`ঈ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্রে তিনি মুহাম্মদ বিন হাসান বিন থেকে, তিনি আবূ ইউসুফ হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। হাদিসটিকে ইবনু হিব্বান সহিহ বলেছেন; ইমাম বাইহাকি ত্রুটিযুক্ত বা দুর্বল বলেছেন । {১০৩২}
{১০৩১} ওয়ালা হচ্ছে সেই মুক্ত দাস, যাকে মুক্ত করে দেয়া হলেও শুধুমাত্র সুসম্পর্কের কারণে মুনিব কর্তৃক সম্পত্তি থেকে কিছু প্রদান করা হয় । {১০৩২} ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ তাহাঁর নাযরিয়াতুল আকদ [৮০] গ্রন্থে বলেন, এটি হাসান থেকে মুরসাল রূপে উত্তম সনদে বর্ণিত । বিন বায হাশিয়া বুলগুল মারাম ৫৬২ গ্রন্থে বলেন, এর শাহেদ থাকার কারনে হাসান । ইবনু উসাইমীনও ৪/৩৮৪ গ্রন্থে একই কথা বলেছেন । শাইখ আলবানী ইরওয়াল গালীল ১৭৩৮ ও ১৬৬৮ গ্রন্থে একে সহিহ বলেছেন । ইমাম সুয়ূত্বীও আল জামেউস সগীর ৯৬৮৭ গ্রন্থেও একে সহিহ বলেছেন । হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১২. ফারায়েযের ক্ষেত্রে যায়েদ বিন হারেছ [রাঃআঃ] সাহাবীদের মাঝে সবচেয়ে বিজ্ঞ
৯৫৭ আবূ কিলাবাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যায়েদ বিন সবিত [রাঃআঃ] তোমাদের মধ্যে ফারায়িয বা মৃতের পরিত্যক্ত সম্পত্তি বন্টন বিষয়ে অধিক পারদর্শী । -তিরমিজি, ইবনু হিব্বান ও হাকিম সহিহ বলেছেন কিন্তু এর উপর মুরসাল হবার ত্রুটি আরোপ হয়েছে । {১০৩৩}
{১০৩৩} ইমাম সনআনী তাহাঁর সুবুলুস সালাম [৩/১৬১] গ্রন্থে বলেন, হাদিসটি ত্রুটিযুক্ত কেননা, আবূ কিলাবা আনাস থেকে হাদিসটি শ্রবণ করেননি । বিন বায [তাহাঁর] হাশিয়া বুলুলুগুল মারাম [৫৬৩] গ্রন্থে বলেন, মুরসালের কারেণে হাদিসটি ত্রুটিযু্ক্ত । ইবনু উসাইমীন তাহাঁর বুলুলুগুল মারামের শরাহ [৪/৩৮৬] গ্রন্থে একে দুর্বল বলেছেন । হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
Leave a Reply