ফলজ বৃক্ষ রোপন ও ফসল ফলানোর ফযিলত

ফলজ বৃক্ষ রোপন ও ফসল ফলানোর ফযিলত

ফলজ বৃক্ষ রোপন ও ফসল ফলানোর ফযিলত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

১. অধ্যায়ঃ ফল এবং শস্যের একটি অংশের বিনিময়ে মুসাকাহ্ ও মুআমালাহ্
২. অধ্যায়ঃ ফলজ বৃক্ষ রোপন ও ফসল ফলানোর ফযিলত
৩. অধ্যায়ঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফলের মূল্য ছেড়ে দেয়া

১. অধ্যায়ঃ ফল এবং শস্যের একটি অংশের বিনিময়ে মুসাকাহ ও মুআমালাহ্

৩৮৫৪. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] খাইবারবাসীদের উৎপন্ন ফল-ফসলের আধাআধি শর্তে খাইবারের জমি বর্গা দিয়েছিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮১৮, ইসলামিক সেন্টার-৩৮১৭]

৩৮৫৫. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] খাইবারের জমি উৎপন্ন ফল ও ফসলের আধাআধির শর্তে দিয়েছিলেন। তিনি নিজ স্ত্রীদেরকে বছর প্রতি একশ ওসাক প্রদান করিতেন। তম্মধ্যে আশি ওসাক খুরমা আর বিশ ওসাক যব। উমর [রাদি.] যখন খলীফা হন তখন খাইবারের জমি তিন ভাগে ভাগ করে দেন। তিনি নবী সহধর্মিণীদেরকে ইখ্‌তিয়ার দেন যে, তাঁরা ভূমি ও পানি নিবেন। [অর্থাৎ- নিজেদের দায়িত্বে চাষাবাদের ব্যবস্থা করবেন] অথবা বার্ষিক হারে ওসাক গ্রহণ করবেন। তাঁরা এ ব্যাপারে ভিন্নভিন্ন মত গ্রহণ করেন। তাঁদের মধ্যে কেউ ভূমি ও পানি নিলেন আর কেউ বার্ষিক হারে ওসাক গ্রহণ করিলেন। আয়িশাহ্ ও হাফ্সাহ্ [রাদি.] ভূমি ও পানি নিয়েছিলেন।

[ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮১৯, ইসলামিক সেন্টার-৩৮১৮]

৩৮৫৬. আবদুল্লাহ্‌ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] খাইবারের জমি খাইবারবাসীদের উৎপন্ন শস্য ও ফলের অর্ধেকের শর্তে ব্যবস্থা দিয়েছিলেন এরপর হাদীসটি আলী ইবনি মুসহিরের বর্ণিত হাদীসের ন্যায় বর্ণনা করেন। তবে এ কথাটি তিনি উল্লেখ করেননি যে, আয়িশাহ্ ও হাফ্সাহ [রাদি.] জমি ও পানি নিয়েছিলেন। তিনি এ কথা বলেছেন যে, উমর [রাদি.] নবী সহধর্মিণীদের ইখতিয়ার দেন জমি নিতে, তবে সেখানে পানির উল্লেখ করেননি।

[ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮২০, ইসলামিক সেন্টার-৩৮১৯ ]

৩৮৫৭. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, খাইবার বিজয়ের পর ইয়াহূদীরা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট নিবেদন করে তাদের শ্রমের বিনিময়ে তাদেরকে তথায় থাকতে দেয়ার জন্যে এই শর্তে যে, উৎপন্ন ফসল ও ফলের অর্ধেক তারা পাবে। তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ উপরোক্ত শর্তে যতদিন আমরা চাই ততদিনের জন্যে থাকার অনুমতি দিলাম। এরপরে আবদুল্লাহ থেকে ইবনি নুমায়র ও ইবনি মুসহিরের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তাতে এতটুকু বাড়তি আছে যে, খাইবারের প্রাপ্ত ফলকে কয়েক ভাগে ভাগ করা হত। আর তা থেকে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পাঁচ ভাগের এক ভাগ গ্রহণ করিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮২১, ইসলামিক সেন্টার-৩৮২০]

৩৮৫৮. আবদুল্লাহ্ ইবনি উমর [রাদি.] সুত্রে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ

খাইবারের বাগান ও যমীন খাইবারের ইয়াহূদীদেরকে এ শর্তে প্রদান করেন যে, তারা নিজেদের মাল খরচ করে তাতে কাজ করিবে, আর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার ফলের অর্ধেক প্রাপ্ত হইবেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮২২, ইসলামিক সেন্টার-৩৮২১]

৩৮৫৯. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

উমর ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] ইয়াহূদী ও নাসারাদেরকে হিজাজের মাটি থেকে বিতাড়িত করে দেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন খাইবার জয় করেন তখন তিনি তাদের তথা হইতে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। খাইবার যখন বিজিত হলো তখন তা আল্লাহ্‌, তাহাঁর রসূল ও মুসলিমদের সম্পত্তি হিসেবে পরিণত হয়। তাই তিনি [সাঃআঃ] ইয়াহূদীদের বিতাড়িত করার ইচ্ছা পোষণ করেন। পরে ইয়াহূদীরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট এসে তথায় তাদের থাকার অনুমতি প্রার্থনা করে এই শর্তে যে, তারা শ্রম বিনিয়োগ করিবে এবং উৎপাদিত ফলের অর্ধেক নিবে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যতদিন এ শর্তের উপর আমাদের ইচ্ছা, থাকার অনুমতি দিলাম। এরপর তারা তথায় রয়ে গেল। পরে উমর [রাদি.]তাদের তায়মা ও আরীহায় বিতাড়িত করেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮২৩, ইসলামিক সেন্টার-৩৮২২]

২. অধ্যায়ঃ ফলজ বৃক্ষ রোপন ও ফসল ফলানোর ফযিলত

৩৮৬০. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে কোন মুসলিম ফলজ বৃক্ষ রোপন করিবে তা থেকে যা কিছু খাওয়া হয় তা তার জন্য দান স্বরূপ, যা কিছু চুরি হয় তাও দান স্বরূপ, বন্য জন্তু যা খেয়ে নেয় তাও দান স্বরূপ। পাখী যা খেয়ে নেয় তাও দান স্বরূপ। আর কেউ কিছু নিয়ে গেলে তাও তার জন্য দান স্বরূপ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮২৪, ইসলামিক সেন্টার-৩৮২৩]

৩৮৬১. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদা নবী [সাঃআঃ] উম্মু মুবাশ্‌শির নাখীয়া নাম্নী এক আনসারী মহিলার খেজুর বাগানে প্রবেশ করেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে জিজ্ঞেস করিলেন, এই খেজুর গাছ কি কোন মুসলিম ব্যক্তি লাগিয়েছে, না কোন কাফির ব্যক্তি? মহিলা উত্তর দিল মুসলিম। তিনি বলিলেন, “যে কোন মুসলিম গাছ লাগায় বা ক্ষেত করে, আর তা থেকে মানুষ কিংবা জীব জন্তু অথবা অন্য কিছুতে ভক্ষণ করে, তবে তা তার পক্ষে দান স্বরূপ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮২৫, ইসলামিক সেন্টার-৩৮২৪]

৩৮৬২. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছি যে, কোন মুসলিম যদি বৃক্ষ রোপণ করে বা ক্ষেত করে, আর তা থেকে কোন হিংস্র জন্তু কিংবা পাখী অথবা অন্য কিছুতে খেয়ে নেয় তবে এর জন্যে সে সাওয়াব পাবে। ইবনি আবু খালাফ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেছেন – পাখী বা এমন কিছু।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮২৬, ইসলামিক সেন্টার-৩৮২৫]

৩৮৬৩. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] একদা উম্মু মাবাদ- এর বাগানে ঢুকলেন। তখন তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, হে উম্মু মাবাদ! এ গাছ কে লাগিয়েছে? কোন মুসলিম ব্যক্তি না কোন কাফির? সে জানাল, মুসলিম। তিনি বলিলেন, কোন মুসলিম যদি কোন গাছ লাগায়, আর তা থেকে মানুষ কিংবা চতুষ্পদ জন্তু অথবা পাখী খেয়ে নেয়, তবে কিয়ামাতের দিন পর্যন্ত তা তার জন্য সদাকাহ হিসাবে থাকিবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮২৭, ইসলামিক সেন্টার-৩৮২৬]

৩৮৬৪. আবু বাক্র ইবনি আবু শাইবাহ্, আবু কুরায়ব, ইসহাক্ ইবনি ইব্রাহীম ও আম্‌র আন্ নাকিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হাফস্ ইবনি গিয়াস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে, আবু কুরায়ব ও ইসহাক্ ইবনি ইবরাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] একসাথে আবু মুআবিয়াহ্ [রাদি.] থেকে, আমর আন্ নাকিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আম্মার ইবনি মুহাম্মাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে এবং আবু বাক্র ইবনি আবু শাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ইবনি ফুযায়ল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে এবং এরা প্রত্যেকেই আমাশ-এর সূত্রে জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তবে আম্মার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে আমরের বর্ণনায় ও মুআবিয়াহ থেকে আবু বাকরের বর্ণনায় উম্মু মুবাশ্শির [রাদি.]- এর নাম বাড়তি এসেছে। আর ইবনি ফুযায়লের বর্ণনায় যায়িদ ইবনি হারিসার স্ত্রীর নাম যোগ করা হয়েছে। আর মুআবিয়ার থেকে ইসহাকের যে বর্ণনা তাতে তিনি কখনও বা তার নাম বাদ দিয়েই বর্ণনা করেন। আর তাঁরা সকলেই নবী [সাঃআঃ] থেকে ঐ রূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন, যেরূপ বর্ণনা করিয়াছেন আতা[রহমাতুল্লাহি আলাইহি], আবু যুবায়র ও আমর ইবনি দীনার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮২৮, ইসলামিক সেন্টার-৩৮২৭]

৩৮৬৫. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন মুসলিম যদি বৃক্ষ রোপন কিংবা ফসল উৎপাদন করে আর তা থেকে পাখী কিংবা মানুষ অথবা চতুষ্পদ জন্তু অথবা পাখী কিছু খায় তবে তা তার পক্ষ থেকে সাদাকাহ্‌ স্বরূপ হইবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮২৯, ইসলামিক সেন্টার-৩৮২৮]

৩৮৬৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একদা উম্মু মুবাশ্‌শির নাম্নী এক আনসারী মহিলার খেজুর বাগানে গমন করেন। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জিজ্ঞেস করেন, এ খেজুর গাছ কে লাগিয়েছে, কোন মুসলিম ব্যক্তি না কোন কাফির ব্যক্তি? তারা বলিল, একজন মুসলিম। এরপর উপরে উল্লিখিত রাবীদের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৩০, ইসলামিক সেন্টার-৩৮২৯]

৩. অধ্যায়ঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফলের মূল্য ছেড়ে দেয়া

৩৮৬৭. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তুমি যদি তোমার কোন এক ভাইয়ের নিকট ফল বিক্রি করো, তারপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা বিনষ্ট হয়ে যায়, তবে তার থেকে কিছু আদায় করা তোমার জন্যে হালাল নয়। তোমার ভাইয়ের অর্থ না-হকভাবে কিরূপে গ্রহণ করিবে?

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৩১, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৩০]

৩৮৬৮. ইবনি জুরায়জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

ইবনি জুরায়জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৩২, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৩১]

৩৮৬৯. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

খেজুরের রং পরিবর্তন হয়ে পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে তা বিক্রি করিতে নবী [সাঃআঃ] নিষেধ করিয়াছেন। আমরা আনাস [রাদি.]- কে জিজ্ঞেস করলাম, রং পরিবর্তন হওয়া বলিতে কী বুঝায়? তিনি বলিলেন, লাল রং বা হলদে রং ধারণ করা। বল তো দেখি, আল্লাহ যদি ফল নষ্ট করে দেন তবে কোন অধিকারে তোমার ভাইয়ের কাছ থেকে অর্থ কিরূপে হালাল করিতে পার?

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৩৩, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৩২]

৩৮৭০. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিষেধ করিয়াছেন ফলের রং পরিবর্তন হওয়ার আগে বিক্রি করিতে। তারা বলিল, রং পরিবর্তন হওয়ার মানে কী? তিনি বলিলেন, লাল রং ধারণ করা। এরপর তিনি বলিলেন, আল্লাহ যদি ফল ক্ষতিগ্রস্ত করে দেন তাহলে কিসের বিনিময়ে তুমি তোমার ভাইয়ের অর্থ গ্রহণ করিবে?

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৩৪, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৩৩]

৩৮৭১. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ যদি ফলের মধ্যে পূর্ণতা দান না করেন তাহলে কিভাবে তোমাদের একজন অপর ভাইয়ের অর্থ বৈধ করিবে?

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৩৫, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৩৪]

৩৮৭২. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ফলের মূল্য গ্রহণ না করিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

ইব্‌রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সুফ্‌ইয়ানের সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৩৬, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৩৫]


Posted

in

by

Comments

One response to “ফলজ বৃক্ষ রোপন ও ফসল ফলানোর ফযিলত”

Leave a Reply