প্রয়োজনীয় দোয়া – নতুন চাঁদ, বায়ু, বৃষ্টি, মোরগ ও আশ্রয় প্রার্থনা

প্রয়োজনীয় দোয়া – নতুন চাঁদ, বায়ু, বৃষ্টি, মোরগ ও আশ্রয় প্রার্থনা

প্রয়োজনীয় দোয়া – নতুন চাঁদ, বায়ু, বৃষ্টি, মোরগ ও আশ্রয় প্রার্থনা >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

অধ্যায়ঃ ৪৩, অনুচ্ছেদঃ ১১১-১১৮=৮টি

অনুচ্ছেদ-১১১ঃ নতুন চাঁদ দেখে যে দুআ পড়তে হয়
অনুচ্ছেদ-১১২ঃ ঘর হইতে বের হওয়ার সময় যা বলবে
অনুচ্ছেদ-১১৩ঃ কেউ নিজ ঘরে প্রবেশকালে কি বলবে?
অনুচ্ছেদ-১১৪ঃ প্রবলবেগে বায়ু প্রবাহের সময় যা বলবে
অনুচ্ছেদ-১১৫ঃ বৃষ্টি প্রসঙ্গে
অনুচ্ছেদ-১১৬ঃ মোরগ ও চতুস্পদ প্রাণী সম্বন্ধে
অনুচ্ছেদ-১১৭ঃ সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার কানে আযান দেয়া
অনুচ্ছেদ-১১৮ঃ কেউ কারোর [অনিষ্ট] হইতে আশ্রয় প্রার্থনা।

অনুচ্ছেদ-১১১ঃ নতুন চাঁদ দেখে যে দুআ পড়তে হয়

৫০৯২. ক্বাতাদাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ]-নতুন চাঁদ দেখে বলিতেনঃ

هِلاَلُ خَيْرٍ وَرُشْدٍ هِلاَلُ خَيْرٍ وَرُشْدٍ هِلاَلُ خَيْرٍ وَرُشْدٍ آمَنْتُ بِالَّذِي خَلَقَكَ

হিলালু খয়রিন ওয়া রুসদিন, হিলালু খয়রিন ওয়া রুসদিন, হিলালু খয়রিন ওয়া রুসদিন, আমানতু বিল্লাজি খলাকাকা, “কল্যাণ ও হেদায়াতের চাঁদ, কল্যাণ ও হেদায়াতের চাঁদ, কল্যাণ ও হেদায়াতের চাঁদ। যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন আমি তাহাঁর উপর ঈমান আনলাম”-একথা তিনবার বলিতেন, অতঃপর বলিতেনঃ

 الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي ذَهَبَ بِشَهْرِ كَذَا وَجَاءَ بِشَهْرِ كَذَا

আল্লাহর প্রশংসা যিনি অমুক মাস শেষ করিলেন এবং এ মাস এনে দিলেন। {৫০৯০}

{৫০৯০} আবদুর রাযযাক। এর সনদ মুনকাতি । এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫০৯৩. ক্বাতাদাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-নতুন চাঁদ দেখে তাহাঁর মুখমন্ডল [চাঁদ] হইতে অন্যত্র ঘুরাতেন। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, চাঁদের উদয় সংক্রান্ত অনুচ্ছেদে নাবী [সাঃআঃ]-এর কোন বিশুদ্ধ হাদিস নেই।

{৫০৯১} আবু দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন । এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-১১২ঃ ঘর হইতে বের হওয়ার সময় যা বলবে

৫০৯৪. উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখনই আমার ঘর হইতে বের হইতেন, তখন আকাশের দিকে মাথা তুলে বলিতেনঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ أَوْ أُضَلَّ أَوْ أَزِلَّ أَوْ أُزَلَّ أَوْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ أَوْ أَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَىَّ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন আদিল্লা আও উদাল্লা আও আযিল্লা আও উযাল্লা আও আজলিমা আও আজলামা আও আঝহালা আও ইউঝহালা আলাইয়্যা, “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট পথভ্রষ্ট হওয়া বা পথভ্রষ্ট করা, গুনাহ করা বা গুনাহের দিকে ধাবিত করা, উৎপীড়ন করা বা উৎপীড়িত হওয়া, অজ্ঞতা প্রকাশ করা বা অজ্ঞতা প্রকাশের পাত্র হওয়া হইতে আশ্রয় চাইছি।

প্রয়োজনীয় দোয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫০৯৫. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি তার ঘর হইতে বের হওয়ার সময় বলবেঃ

بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ

“বিসমিল্লাহি তাওয়াক্‌কালতু আলাল্লাহ, ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”, -তখন তাহাকে বলা হয়, তুমি হেদায়েত প্রাপ্ত হয়েছো, রক্ষা পেয়েছো ও নিরাপত্তা লাভ করেছো। সুতরাং শয়তানরা তার থেকে দূর হয়ে যায় এবং অন্য এক শয়তান বলে, তুমি ঐ ব্যক্তিকে কি করিতে পারবে যাকে পথ দেখানো হয়েছে, নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে এবং রক্ষা করা হয়েছে!

প্রয়োজনীয় দোয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১১৩ঃ কেউ নিজ ঘরে প্রবেশকালে কি বলবে?

৫০৯৬. আবু মালিক আল-আশআরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যখন কেউ নিজ ঘরে প্রবেশ করিবে তখন সে যেন বলেঃ

حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، – قَالَ ابْنُ عَوْفٍ وَرَأَيْتُ فِي أَصْلِ إِسْمَاعِيلَ – قَالَ حَدَّثَنِي ضَمْضَمٌ، عَنْ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ إِذَا وَلَجَ الرَّجُلُ فِي بَيْتِهِ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ إِjنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلِجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا ثُمَّ لْيُسَلِّمْ عَلَى أَهْلِهِ ‏”‏ ‏.

[অর্থ] “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আগমন ও প্রস্থানের কল্যাণ চাই। আপনার নামে আমি প্রবেশ করি ও বের হই এবং আমাদের রব আল্লাহর উপর ভরসা করি”। অতঃপর সে যেন তার পরিবারের লোকদের সালাম দেয়।

{৫০৯৪} আবু দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন । এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-১১৪ঃ প্রবলবেগে বায়ু প্রবাহের সময় যা বলবে

৫০৯৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছিঃ বায়ু আল্লাহর অন্যতম রহমাত। তা কখনো শান্তি বয়ে আনে আবার কখনো আযাব নিয়ে আসে। সুতরাং বাতাস প্রবাহিত হইতে দেখলে তোমরা তাহাকে গালাগালি দিবে না, বরং আল্লাহর নিকট এর কল্যাণ চাইবে এবং তার খারাবী হইতে আল্লাহর নিকট মুক্তি প্রার্থনা করিবে।

প্রয়োজনীয় দোয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫০৯৮. নাবী [সাঃআঃ]-এর স্ত্রী আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে কোন দিন এরূপ মুখ খুলে হাসতে দেখিনি যাতে তাহাঁর আলজিভ্ দেখা যায়, বরং তিনি সর্বদাই মুচকি হাসতেন। আর তিনি যখন আকাশে মেঘ বা প্রবল বেগে বায়ু প্রবাহিত হইতে দেখিতেন তখন তাহাঁর চেহারায় এর ভীতি পরিলক্ষিত হতো। আমি বলিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! মানুষ সাধারণত আকাশে মেঘ দেখলে বৃষ্টির আশায় আনন্দিত হয়। আর আপনি যখন মেঘ দেখেন তখন আপনার চেহারায় আমার নিকট আপনার অসন্তুষ্টির ভাব ধরা পড়ে; এর কারণ কী? তিনি বলিলেনঃ হে আয়িশাহ! তা শাস্তি বয়ে আনছে কিনা এর নিরাপত্তা আমাকে কে দিবে? এক কওমকে বায়ুর মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়েছে [যেমন আদ ও হূদ] আরেক কওম মেঘ দেখে বলেছিল, “এটা তো মেঘ, আমাদেরকে বৃষ্টি দিবে” [সূরাহ আহ্কাফঃ ২৪]। {৫০৯৬}

প্রয়োজনীয় দোয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫১৯৯. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] আকাশের প্রান্তে মেঘ উঠতে দেখলে যাবতীয় [নাফল] ইবাদত ছেড়ে দিতেন, এমনকি তিনি সলাতে থাকলেও। অতঃপর তিনি বলিতেনঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا

“হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর খারাবী থেকে আশ্রয় চাইছি”। যদি বর্ষা হতো তাহলে বলিতেনঃ

اللَّهُمَّ صَيِّبًا هَنِيئًا

“হে আল্লাহ! বরকতপূর্ণ ও সুমিষ্ট পানি দান করো।

প্রয়োজনীয় দোয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১১৫ঃ বৃষ্টি প্রসঙ্গে

৫১০০. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ্‌র [সাঃআঃ] সঙ্গে ছিলাম। আমাদের উপর বৃষ্টি আরম্ভ হলো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বৃষ্টির মধ্যে বেরিয়ে পড়লেন এবং শরীর থেকে জামা খুলে ফেললেন, যাতে তাহাঁর শরীরে বৃষ্টি পৌঁছে। আমরা বলিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এটা করিলেন কেনো? তিনি বলিলেনঃ এ বৃষ্টি তার রবের পক্ষ হইতে বর্ষিত হচ্ছে।

প্রয়োজনীয় দোয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১১৬ঃ মোরগ ও চতুস্পদ প্রাণী সম্বন্ধে

৫১০১. যায়িদ ইবনি খালিদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমরা মোরগকে গালি দিও না। কারণ সে সলাতের জন্য জাগায়।

প্রয়োজনীয় দোয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫১০২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনতে পাবে তখন আল্লাহর নিকট তাহাঁর অনুগ্রহ চাইবে, কেননা মোরগ একজন ফেরেশতাহাকে দেখেছে। আর যখন তোমরা গাধার চিৎকার শুনবে তখন শয়তান হইতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইবে। কেননা সে একটা শয়তানকে দেখেছে।

প্রয়োজনীয় দোয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫১০৩. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমরা রাতে কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দ ও গাধার ডাক শুনতে পেলে

“আউযুবিল্লাহ” বলবে। কেননা তারা [কুকুর ও গাধা] যা দেখিতে পায় তোমরা তা দেখিতে পাও না।

প্রয়োজনীয় দোয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫১০৪. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] ও আলী ইবনি উমার ইবনি হুসাইন ইবনি আলী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তারা বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ লোক চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে তোমরা বাইরে কম যাবে। কেননা মহান আল্লাহর এমন কিছু জীবজন্তু আছে, যাদেরকে এ সময়ে তিনি বিক্ষিপ্তভাবে যমীনে ছেড়ে দেন। তাতে আরো আছেঃ কারণ আল্লাহ্‌র কিছু সৃষ্টি আছে। অতঃপর তিনি গাধা ও কুকুরের শব্দের অনুরুপ উল্লেখ করেন।

প্রয়োজনীয় দোয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১১৭ঃ সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার কানে আযান দেয়া

৫১০৫. উবাইদুল্লাহ ইবনি আবু রাফি [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, ফাত্বিমাহ [রাদি.] যখন আলী [রাদি.]-এর পুত্র হাসান [রাদি.]-কে প্রসব করিলেন, তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার কানে সলাতের আযানের ন্যায় আযান দিয়েছিলেন।

এই হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৫১০৬. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট বাচ্চাদেরকে আনা হলে তিনি তাহাদের জন্য বরকতের দুআ করিতেন। ইউসুফের বর্ণনায় রয়েছেঃ তিনি [সাঃআঃ] খেজুর চিবিয়ে তাহাদের মুখে দিতেন। এতে বরকতের জন্য কথাটি উল্লেখ নেই।

প্রয়োজনীয় দোয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫১০৭. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে প্রশ্ন করিলেন ঃ তোমাদের মধ্যে মুগাররিবূন দেখা গেছে কি? আমি বলিলাম মুগাররিবূন কারা? তিনি বলিলেন যাদের মধ্যে জিনের একটি অংশ আছে।

{৫১০৫} সনদের উম্মু হুমাইদ সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ তার অবস্থা জানা যায়নি। এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-১১৮ঃ কেউ কারোর [অনিষ্ট] হইতে আশ্রয় প্রার্থনা।

৫১০৮. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি তোমাদের নিকট মহান আল্লাহর নামে আশ্রয় চায় তোমরা তাহাকে আশ্রয় দাও। আর যে তোমাদের নিকট আল্লাহর নামে কিছু চায় তোমরা তাহাকে তা দান করো।

এই হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

৫১০৯. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ কেউ তোমাদের নিকট আল্লাহর নামে আশ্রয় চাইলে তোমরা তাহাকে আশ্রয় দিবে। কেউ আল্লাহর নামে তোমাদের নিকট কিছু চাইলে তোমরা তাহাকে দাও। বর্ণনাকারী সাহল ও উসমান আরো বলেন, যে তোমাদেরকে দাওয়াত দেয় তোমরা তাতে সাড়া দাও। অতঃপর বর্ণনাকারীগণ বলেন, আর যে ব্যক্তি তোমাদের প্রতি উত্তম আচরণ করিবে তোমরা তার প্রতিদান দাও। যদি তাহাকে দেয়ার মতো কিছু না পাও তবে তার জন্য দুআ করিতে থাকো-যখন বুঝতে পারো তোমরা তার প্রতিদান দিয়েছো।

প্রয়োজনীয় দোয়া -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply