পোশাক নিয়ে হাদিস – ইযার, চাদর, জামা, ফার্‌রূজ ইত্যাদি

পোশাক নিয়ে হাদিস – ইযার, চাদর, জামা, ফার্‌রূজ ইত্যাদি

পোশাক নিয়ে হাদিস – ইযার, চাদর, জামা, ফার্‌রূজ ইত্যাদি >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৭৭, পোশাক-পরিচ্ছদ, অধ্যায়ঃ (১-১২)=১৩টি

৭৭/১. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “বল, যে সব সৌন্দর্য- শোভামন্ডিত বস্তু ও পবিত্র জীবিকা তিনি তাহাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করিয়াছেন কে তা হারাম করিল?” (সুরা আল-আরাফ ৭: ৩২)
৭৭/২. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি অহঙ্কার ব্যতীত তার লুঙ্গি ঝুলিয়ে চলাফেরা করে।
৭৭/৩. অধ্যায়ঃ কাপড়ে আবৃত থাকা।
৭৭/৪. অধ্যায়ঃ পায়ের গোড়ালির নিচে যা থাকবে তা যাবে জাহান্নামে।
৭৭/৫. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি অহংকারের সাথে কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করে।
৭৭/৬. অধ্যায়ঃ ঝালরযুক্ত ইযার।
৭৭/৭. অধ্যায়ঃ চাদর পরিধান করা।
৭৭/৮. অধ্যায়ঃ জামা পরিধান করা।
৭৭/৯. অধ্যায়ঃ মাথা বের করার জন্য জামা ও অন্য পোশাকে বুকের অংশ ফাঁক রাখা প্রসঙ্গে।
৭৭/১০. অধ্যায়ঃ যিনি সফরে সরু হাতওয়ালা জুববা পরেন।
৭৭/১১. অধ্যায়ঃ যুদ্ধকালে পশমী জামা পরিধান প্রসঙ্গে।
৭৭/১২. অধ্যায়ঃ কাবা ও রেশমী ফার্‌রূজ, আর তাকেও এক প্রকার কাবাই বলা হয়, যে জামার পশ্চাতে ফাঁক থাকে।

৭৭/১. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “বল, যে সব সৌন্দর্য- শোভামন্ডিত বস্তু ও পবিত্র জীবিকা তিনি তাহাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করিয়াছেন কে তা হারাম করিল?” (সুরা আল-আরাফ ৭: ৩২)

নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা খাও, পান কর, পরিধান কর এবং দান কর, কোন অপচয় ও অহঙ্কার না করে।

ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেছেন, যা খাও, যা পরিধান কর, যতক্ষণ না দুটো জিনিস তোমাকে বিভ্রান্ত করে- অপচয় ও অহঙ্কার।

৫৭৮৩

ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ সে লোকের দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) দেখবেন না, যে অহঙ্কারের সাথে তার (পরিধেয়) পোশাক টেনে চলে। [৩৬৬৫; মুসলিম ৩৭/৮, হাদীস ২০৮৫, আহমাদ ৫৩৭৭] আঃপ্রঃ- ৫৩৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৪)

সুরা আরাফের ২৬নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করিয়াছেন-

يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنْزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِي سَوْآتِكُمْ وَرِيشًا ۖ وَلِبَاسُ التَّقْوَىٰ ذَٰلِكَ خَيْرٌ ۚ ذَٰلِكَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ

হে বানী আদম! আমি তোমাদের জন্য পোশাক অবতীর্ণ করেছি যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবতীর্ণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং তাকওয়ার পোশাক, এটি সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন যাতে তারা চিন্তা ভাবনা করে।

এ আয়াতে শুধু মুসলমানদেরকে সম্বোধন করা হয়নি, সমগ্র বানী- আদমকে সম্বোধন করা হয়েছে। এতে ইঙ্গিত রয়েছে যে, গুপ্তাঙ্গ আচ্ছাদন ও পোশাক মানব জাতির একটি সহজাত প্রবৃত্তি ও প্রয়োজন। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই এ নিয়ম পালন করে। অতঃপর এর বিশদ বিবরণে তিন প্রকার পোশাকের উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রথম لِبَاسًا يُوَارِي سَوْآتِكُمْ – এখানে يُوَارِي শব্দটি مواراة থেকে উদ্ভুত। এর অর্থ আবৃত করা سوات শব্দটি سوءة এর বহুবচন। এর অর্থ মানুষের ঐসব অঙ্গ, যেগুলো খোলা রাখাকে মানুষ স্বভাবতই খারাপ ও লজ্জাকর মনে করে। উদ্দেশ্য এই যে, আমি তোমাদের মঙ্গলার্থে এমন পোশাক সৃষ্টি করেছি, যদ্দ্বারা তোমরা গুপ্তাঙ্গ আবৃত করিতে পার।

এরপর বলা হয়েছেঃ وَرِيشًا সাজ-সজ্জার জন্যে মানুষ যে পোশক পরিধান করে, তাকে ريش বলা হয়। অর্থ এই যে, গুপ্তাঙ্গ আবৃত করার জন্যে তো সংক্ষিপ্ত পোশাকই যথেষ্ট হয়; কিন্তু আমি তোমাদেরকে আরও পোশাক দিয়েছি, যাতে তোমরা তদ্দ্বারা সাজ-সজ্জা করে বাহ্যিক দেহাবয়বকে সুশোভিত করিতে পার।

পোশাকের বিবিধ উপকারিতাঃ আয়াতে পোশাকের দুটি উপকারিতা বর্ণিত হয়েছে। এক)- গুপ্তাঙ্গ আচ্ছাদিত করা এবং, দুই) শীত-গ্রীষ্ম থেকে আত্মরক্ষা এবং অঙ্গ-সজ্জা। প্রথম উপকারিতাটি অগ্রে বর্ণনা করে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, গুপ্তাঙ্গ আবৃত করা পোশাকের আসল লক্ষ্য। এটাই সাধারণ জন্তু-জানোয়ার থেকে মানুষের স্বতন্ত্রতা। জন্তু-জানোয়ারের পোশাক সৃষ্টিগতভাবে তাদের দেহের অঙ্গ। আর তাদের গুপ্তাঙ্গ আচ্ছাদনেও পোশাকের তেমন কোন ভূমিকা নেই। তবে তাদের দেহে গুপ্তাঙ্গ এমনভাবে স্থাপিত হয়েছে, যাতে সম্পূর্ণ খোলা না থাকে। কোথাও লেজ দ্বারা আবৃত করা হয়েছে এবং কোথাও অন্যভাবে।

আদম, হাওয়া এবং তাঁদের সাথে শয়তানী প্ররোচনার ঘটনা বর্ণনা করার পর পোশাকের কথা উল্লেখ করায় এদিকে ইঙ্গিত রয়েছে যে, উলঙ্গ হওয়া এবং গুপ্তাঙ্গ অপরের সামনে খোলা চূড়ান্ত হীনতা ও নির্লজ্জতার লক্ষণ এবং নানা প্রকার অনিষ্টের ভূমিকা বিশেষ।

মানুষের উপর শয়তানের প্রথম হামলাঃ মানুষের বিরুদ্ধে শয়তানের সর্বপ্রথম আক্রমণের [কুমন্ত্রণার] ফলে তার পোশাক খসে পড়েছিল। আজও শয়তান তার শিষ্যবর্গের মাধ্যমে মানুষকে পথভ্রষ্ট করার ইচ্ছায় সভ্যতার নামে সর্বপ্রথম তাকে উলঙ্গ বা অর্ধ-উলঙ্গ করে পথে নামিয়ে দেয়ার চেষ্টায় রত। শয়তানের তথাকথিত প্রগতি নারীকে লজ্জা-শরম থেকে বঞ্চিত করে সাধারণ্যে অর্ধ-উলঙ্গ অবস্থায় নিয়ে আসা ছাড়া অর্জিতই হয় না।

ঈমানের পর সর্বপ্রথম ফরয গুপ্তাঙ্গ আবৃত করাঃ শয়তান মানুষের এ দুর্বলতা আঁচ করে সর্বপ্রথম হামলা গুপ্তাঙ্গ আচ্ছাদনের উপর করেছে। তাই মানুষের সর্বপ্রকার মঙ্গল বিধানকারী শারীয়াত গুপ্তাঙ্গ আচ্ছাদনের প্রতি এত গুরুত্ব আরোপ করছে যে, ঈমানের পর সর্বপ্রথম ফরয গুপ্তাঙ্গ আবৃত করাকেই স্থির করেছে। সলাত, সওম ইত্যাদি সবই এরপর।

তৃতীয় প্রকার পোশাকঃ গুপ্ত-অঙ্গ আবৃতকরণ এবং আরাম ও সাজ-সজ্জার জন্যে দুপ্রকার পোশাক বর্ণনা করার পর কুরআন তৃতীয় এক প্রকার পোশাকের কথা উল্লেখ করে বলেছেঃ وَلِبَاسُ التَّقْوى ذلِكَ خَيْرٌ কোন কোন কিরাআতে যবর দিয়ে وَلِبَاسُ التَّقْوى পড়া হয়েছে। এমতাবস্থায় انزلنا এর مفعول হয়ে অর্থ হইবে এই যে, আমি একটি তৃতীয় পোশাক অর্থাৎ, তাকওয়ার পোশাক অবতীর্ণ করেছি। প্রসিদ্ধ কিরাআত অনুযায়ী অর্থ এই যে, দুপ্রকার পোশাক তো সবাই জানে। তৃতীয় একটি পোশাক হচ্ছে তাকওয়ার পোশাক। এটি সর্বোত্তম পোশাক। ইবনে আববাস ও ওরওয়া ইবনে যুবায়র এর তাফসীর অনুযায়ী তাকওয়ার পোশাক বলে সৎকর্ম ও খোদাভীতিকে বোঝানো হয়েছে। রুহুল-মাআনী)

উদ্দেশ্য এই যে, বাহ্যিক পোশাক যেমন মানুষের গুপ্ত অঙ্গের জন্যে আবরণ এবং শীত-গ্রীষ্ম থেকে আত্মরক্ষা ও সাজ-সজ্জার উপায় হয়, তেমনি সৎকর্ম ও আল্লাহভীতিও একটি আধ্যাত্মিক পোশাক। এটি মানুষের চারিত্রিক দোষ ও দুর্বলতার আবরণ এবং স্থায়ী কষ্ট ও বিপদাপদ থেকে মুক্তিলাভের উপায়। এ কারণেই এটি সর্বোত্তম পোশাক।

বাহ্যিক পোশাকের আসল উদ্দেশ্য তাকওয়াঅর্জন করাঃ

وَلِبَاسُ التَّقْوىশব্দ থেকে এদিকেও ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, বাহ্যিক পোশাক দ্বারা গুপ্ত-অঙ্গ আবৃত করা ও সাজ-সজ্জা করার আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত যেন গুপ্তাঙ্গসমূহ পুরোপুরি আবৃত হয়। পোশাক শরীরে এমন অাঁটসাটও না হওয়া চাই, যাতে এসব অঙ্গ উলঙ্গের মত দৃষ্টিগোচর হয়। পোশাকে অহঙ্কার ও গর্বের ভঙ্গিও না থাকা চাই, বরং নম্রতার চি‎হ্ন পরিদৃষ্ট হওয়া চাই। প্রয়োজনাতিরিক্ত অপব্যয় না হওয়া চাই, মহিলাদের জন্যে পুরুষদের এবং পুরুষদের জন্যে মহিলাদের পোশাক না হওয়া চাই, যা আল্লাহ তাআলার অপছন্দনীয়। অধিকন্তু পোশাকে বিজাতির অনুকরণও না হওয়া চাই, যা স্বজাতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার পরিচায়ক।

এতদসঙ্গে পোশাকের আসল উদ্দেশ্য চরিত্র ও কর্মের সংশোধনও হওয়া চাই। আয়াতের শেষে বলা হয়েছেঃ ذَٰلِكَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَঅর্থাৎ, মানুষকে এ তিন প্রকার পোশাক দান করা আল্লাহ তাআলার শক্তির নিদর্শনসমূহের অন্যতম-যাতে মানুষ এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে।

৭৭/২. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি অহঙ্কার ব্যতীত তার লুঙ্গি ঝুলিয়ে চলাফেরা করে।

৫৭৮৪

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অহঙ্কার বশতঃ নিজের পোশাক ঝুলিয়ে চলবে, আল্লাহ তার প্রতি কিয়ামাতের দিন (দয়ার) দৃষ্টি দিবেন না। তখন আবু বকর (রাদি.) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! আমার লুঙ্গির এক পাশ ঝুলে থাকে, আমি তাতে গিরা না দিলে। নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ যারা অহঙ্কার বশতঃ এমন করে তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত নও।(আঃপ্রঃ- ৫৩৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৫)

৫৭৮৫

আবু বাক্‌রাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা নাবী (সাঃআঃ) -এর নিকট ছিলাম, এমন সময় সূর্যগ্রহণ শুরু হল। তখন তিনি ব্যস্ত হয়ে দাঁড়ালেন এবং কাপড় টেনে টেনে মাসজিদে পৌঁছলেন। লোকজন একত্রিত হল। তিনি দুরাকআত সলাত আদায় করিলেন। তখন সূর্য আলোকিত হয়ে গেল। এরপর আমাদের দিকে ফিরে বললেনঃ চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহর নিদর্শনগুলোর দুটি নিদর্শন, যখন তোমরা তাতে কোন কিছু হইতে দেখবে, তখন সলাত আদায় করিবে এবং আল্লাহর নিকট দুআ করিতে থাকবে, যতক্ষণ না তা উজ্জ্বল হয়ে যায়।(আঃপ্রঃ- ৫৩৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৬)

৭৭/৩. অধ্যায়ঃ কাপড়ে আবৃত থাকা।

৫৭৮৬

আবু জুহাইফাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বিলাল (রাদি.) -কে দেখলাম, তিনি একটি বর্শা নিয়ে এলেন এবং তা মাটিতে পুঁতে দিলেন। তারপর সলাতের ইকামাত দিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে দেখলাম, একটি (হুল্লার) দুটি চাদরে নিজেকে আবৃত করে বেরিয়ে আসলেন এবং বর্শার দিকে ফিরে দুরাকআত সলাত আদায় করিলেন। আর লোকজন ও পশুকে দেখলাম, তারা তাহাঁর সম্মুখ দিয়ে এবং বর্শার পিছন দিয়ে চলাফেরা করছে।(আঃপ্রঃ- ৫৩৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৭)

৭৭/৪. অধ্যায়ঃ পায়ের গোড়ালির নিচে যা থাকবে তা যাবে জাহান্নামে।

৫৭৮৭

আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ ইযারের বা পরিধেয় বস্ত্রের যে অংশ পায়ের গোড়ালির নীচে থাকবে, সে অংশ জাহান্নামে যাবে।(আঃপ্রঃ- ৫৩৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৮)

৭৭/৫. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি অহংকারের সাথে কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করে।

৫৭৮৮

আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ ক্বিয়ামাত দিবসে সে ব্যক্তির দিকে (দয়ার) দৃষ্টি দিবেন না, যে ব্যক্তি অহংকার বশতঃ ইযার বা পরিধেয় বস্ত্র ঝুলিয়ে পরিধান করে। [মুসলিম ৩৭/৩৯, হাদীস ২০৮৭, আহমাদ ৯০১৪] আঃপ্রঃ- ৫৩৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৯)

৫৭৮৯

আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ অথবা আবুল কাসিম বলেছেনঃ এক ব্যক্তি আকর্ষণীয় জোড়া কাপড় পরিধান করতঃ চুল আচঁড়াতে আচঁড়াতে পথ চলছিল; হঠাৎ আল্লাহ তাকে মাটির নীচে ধ্বসিয়ে দেন। ক্বিয়ামত অবধি সে এভাবে ধ্বসে যেতে থাকবে। [মুসলিম ৩৭/১০, হাদীস ২০৮৮, আহমাদ ১০০৪০] আঃপ্রঃ- ৫৩৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬০)

৫৭৯০

আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ এক লোক তার লুঙ্গি পায়ের গোড়ালির নীচে ঝুলিয়ে পথ অতিক্রম করছিল। এমন সময় তাকে মাটির নীচে ধ্বসিয়ে দেওয়া হল। ক্বিয়ামত অবধি সে মাটির নীচে ধ্বসে যেতে থাকবে। ইউনুস, যুহরী থেকে এ হাদীস এভাবেই বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু শুআয়ব একে মারফূ হিসাবে যুহরী থেকে বর্ণনা করেননি। (আ.প্র. ৫৩৬৫, ই.ফা. ৫২৬১)

জাবীর ইবনু যায়দ (রাহ.) হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সালিম ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উমারের সঙ্গে তাহাঁর ঘরের দরজায় ছিলাম, তখন তিনি বলেন, আমি আবু হুরাইরা (রাদি.) -কে বলিতে শুনিয়াছি যে, তিনি নাবী (সাঃআঃ) -কে এ রকমই বলিতে শুনেছেন।(আঃপ্রঃ- ৫৩৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬২)

৫৭৯১

শুবাহ (রহ:) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মুহারিব ইবনু দিসারের সাথে ঘোড়ার পিঠে থাকা অবস্থায় দেখা করলাম। তখন তিনি বিচারালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন, আমি তাঁকে এ হাদীসটির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে বলিলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু উমার রাঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অহঙ্কারবশতঃ কাপড় ঝুলিয়ে পরবে, তার দিকে আল্লাহ ক্বিয়ামাত দিবসে তাকাবেন না। আমি বললামঃ আবদুল্লাহ ইবনু উমার কি ইযারের উল্লেখ করিয়াছেন? তিনি বললেনঃ তিনি ইযার বা কামিস কোনটিই নির্দিষ্টভাবে বলেননি।

জাবালাহ ইবনু সুহায়ম, যায়দ ইবনু আসলাম ও যায়দ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উমারের সূত্রে নাবী সাঃআঃ থেকে এ রকমই বর্ণনা করিয়াছেন।

আর লায়স, মূসা ইবনু উকবাহ ও উমার ইবনু মুহাম্মাদ, নাফি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন এবং কুদামাহ ইবনু মূসা সালিম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর সূত্রে ইবনু উমার থেকে এবং তিনি নাবী সাঃআঃ থেকে جَرَّ ثَوْبَه” বর্ণনা করিয়াছেন। আঃপ্রঃ- ৫৩৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৩)

৭৭/৬. অধ্যায়ঃ ঝালরযুক্ত ইযার।

যুহরী, আবু বক্‌র ইবনু মুহাম্মাদ, হামযাহ ইবনু আবু উসায়দ ও মুআবিয়াহ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু জাফর (রাদি.) হইতে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা ঝালরযুক্ত পোশাক পরেছেন।

৫৭৯২

আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) -এর স্ত্রী আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রিফাআ কুরাযির স্ত্রী রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর নিকট আসলো। এ সময় আমি উপবিষ্ট ছিলাম এবং আবু বাকর (রাদি.) তাহাঁর কাছে ছিলেন। স্ত্রীলোকটি বললঃ হে আল্লাহর রাসুল! আমি রিফাআর অধীনে (বিবাহিতা) ছিলাম। তিনি আমাকে ত্বালাক দেন এবং ত্বালাক চূড়ান্তভাবে দেন, এরপর আমি আব্দুর রহমান ইবনু যুবায়রকে বিয়ে করি। কিন্তু আল্লাহর কসম, হে আল্লাহর রাসুল! তার সাথে কাপড়ের ঝালরের মত ব্যতীত কিছুই নেই। এ কথা বলার সময় স্ত্রী লোকটি তার চাদরের আঁচল ধরে দেখায়। খালিদ ইবন সাঈদ যাকে (ভিতরে যেতে) অনুমতি দেয়া হয়নি, দরজার কাছে থেকে স্ত্রী লোকটির কথা শোনেন। আয়েশা (রাদি.) বলেন, তখন খালিদ বললঃ হে আবু বাকর! এ মহিলাটি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর সামনে জোরে জোরে যে কথা বলছে, তাথেকে কেন আপনি তাকে বাঁধা দিচ্ছেন না? আল্লাহর কসম! রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) কেবল মুচকি হাসলেন। এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) স্ত্রী লোকটিকে বললেনঃ মনে হয় তুমি রিফাআর কাছে ফিরে যেতে চাও। তা হইবে না, যতক্ষণ না সে তোমার মধুর স্বাদ গ্রহণ করিবে এবং তুমি তার মধুর স্বাদ গ্রহণ করিবে। অতঃপর এটাই বিধান হয়ে যায়।(আঃপ্রঃ- ৫৩৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৪)

৭৭/৭. অধ্যায়ঃ চাদর পরিধান করা।

আনাস (রাদি.) বলেন, এক বেদুঈন নাবী (সাঃআঃ) -এর চাদর ধরে টেনেছিল।

৫৭৯৩

আলী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আলী (রাদি.) বলেন, নাবী (সাঃআঃ) তাহাঁর চাদর আনতে বলিলেন। তিনি তা পরলেন, অতঃপর হেঁটে চললেন। আমি ও যায়দ ইবনু হারিসা তাহাঁর পশ্চাতে চললাম। শেষ পর্যন্ত তিনি একটি ঘরের কাছে আসেন, যে ঘরে হামযাহ (রাদি.) ছিলেন। তিনি অনুমতি চাইলেন তাঁরা তাঁদের অনুমতি প্রদান করিলেন।(আঃপ্রঃ- ৫৩৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৫)

৭৭/৮. অধ্যায়ঃ জামা পরিধান করা।

মহান আল্লাহর বাণীঃ ইউসুফ (আঃ) -এর ঘটনাঃ “তোমরা আমার এ জামাটি নিয়ে যাও আর তা আমার পিতার মুখমন্ডলে রাখ, তিনি দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন হয়ে উঠবেন।” (সুরা ইউসুফ ১২ : ৯৩)

৫৭৯৪

ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলোঃ হে আল্লাহর রাসুল! মুহরিম কি কাপড় পরবে? নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ মুহরিম জামা, পায়জামা, টুপি এবং মোজা পরবে না। তবে যদি সে জুতা না পায়, তা হলে পায়ের গোড়ালির নীচে পর্যন্ত (মোজা) পরতে পারবে। (আঃপ্রঃ- ৫৩৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৬)

৫৭৯৫

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু উবাইকে কবরে রাখার পর নাবী (সাঃআঃ) সেখানে এলেন। তিনি তার লাশ কবর থেকে উঠানোর নির্দেশ দিলেন। তখন লাশ কবর থেকে উঠান হল এবং তাহাঁর দুহাঁটুর উপর রাখা হল। তিনি তার উপর থুথু প্রদান করিলেন এবং তাকে নিজের জামা পরিয়ে দিলেন। আল্লাহই বেশী জানেন।(আঃপ্রঃ- ৫৩৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৭)

৫৭৯৬

আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ যখন আবদুল্লাহ ইবনু উবাই মারা গেল, তখন তার ছেলে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর নিকট আসল। সে বললঃ হে আল্লাহর রাসুল! আপনার জামাটি আমাকে দিন। আমি এটা দিয়ে তাকে কাফন দিব। আর তার জানাযাহর সলাত আপনি আদায় করবেন এবং তার জন্য ইস্তিগফার করবেন। তিনি নিজের জামাটি তাকে দিয়ে দেন এবং বলেন যে, তুমি (কাফন পরানো) শেষ করে আমাকে খবর দিবে। তারপর নাবী (সাঃআঃ) তার জানাযাহর সলাত আদায় করিতে এলেন। উমার (রাদি.) তাঁকে টেনে ধরে বললেনঃ আল্লাহ কি আপনাকে মুনাফিকদের (জানাযাহর) সলাত আদায় করিতে নিষেধ করেননি? তিনি এ আয়াতটি পড়লেনঃ “তুমি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর বা না কর (উভয়ই সমান), তুমি তাদের জন্য সত্তর বার ক্ষমা প্রার্থনা করলেও আল্লাহ কক্ষনো তাদেরকে ক্ষমা করবেন না।” – (সুরা আত-তাওবাহ ৯/৮০)। তখন অবতীর্ণ হয়ঃ “তাদের কেউ মারা গেলে তুমি কক্ষনো তাদের জন্য (জানাযার) সলাত পড়বে না, আর তাদের কবরের পাশে দণ্ডায়মান হইবে না।” – (সুরা আত-তাওবাহ ৯/৮৪)। এরপর থেকে তিনি তাদের জানাযার সলাত আদায় করা বর্জন করেন।(আঃপ্রঃ- ৫৩৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৮)

৭৭/৯. অধ্যায়ঃ মাথা বের করার জন্য জামা ও অন্য পোশাকে বুকের অংশ ফাঁক রাখা প্রসঙ্গে।

৫৭৯৭

আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ একবার কৃপণ ও দানশীল ব্যক্তিকে এমন দুব্যক্তির সাথে তুলনা করেন, যাদের পরনে লোহার দুটি বর্ম আছে। তাদের দু হাতই বুক ও ঘাড় পর্যন্ত পৌঁছে আছে। দানশীল ব্যক্তি যখন দান করে তখন তার বর্মটি এমনভাবে প্রশস্ত হয় যে, তার পায়ের আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত ঢেকে ফেলে এবং প্রলম্বিত বর্মটি) পদচিহ্ন মুছে ফেলে। আর কৃপণ লোক যখন দান করিতে ইচ্ছে করে, তখন তার বর্মটি শক্ত হয়ে যায় ও এক অংশ অন্য অংশের সাথে মিশে থাকে এবং প্রতিটি অংশ আপন স্থানে থেকে যায়। আবু হুরাইরাহ বলেনঃ আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ -কেতাহাঁর আঙ্গুল এভাবে বুকের দিক দিয়ে খোলা অংশের মধ্যে রেখে বলিতে দেখেছি, তুমি যদি তা দেখিতে যে, তিনি তা প্রশস্ত করিতে চাইলেন কিন্তু প্রশস্ত হল না। [১৪৪৩]

ইবনু তাউস তার পিতা থেকে এবং আবু যিনাদ, আরাজ থেকে এভাবে جُبَّتَيْنِ বর্ণনা করেন। আর জাফর আরাজ এর সূত্রে جُبَّتَانِ বর্ণনা করিয়াছেন। হানযালা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেনঃ আমি তাউসকে আবু হুরাইরাহ থেকে جُبَّتَانِ বলিতে শুনিয়াছি। আঃপ্রঃ- ৫৩৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৬৯)

৭৭/১০. অধ্যায়ঃ যিনি সফরে সরু হাতওয়ালা জুববা পরেন।

৫৭৯৮

মুগীরাহ ইবনু শুবাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে যান এবং তারপর ফিরে আসেন। আমি তাহাঁর নিকট পানি নিয়ে পৌঁছি। তিনি অযূ করেন। তখন তাহাঁর পরনে শাম দেশীয় জুব্বা ছিল। তিনি কুলি করেন, নাক পরিষ্কার করেন এবং তাহাঁর মুখমণ্ডল ধৌত করেন। এরপর তিনি আস্তিন থেকে দুহাত বের করিতে থাকেন, কিন্তু আস্তিন দুটি ছিল সরু, তাই তিনি হাত দুটি জামার নিচ দিয়ে বের করে দু হাত ধৌত করেন। এরপর মাথা মাসেহ করেন এবং মোজার উপর মাসেহ করেন।(আঃপ্রঃ- ৫৩৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭০)

৭৭/১১. অধ্যায়ঃ যুদ্ধকালে পশমী জামা পরিধান প্রসঙ্গে।

৫৭৯৯

মুগীরাহ ইবনু শুবাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি সফরে এক রাত্রে নাবী (সাঃআঃ) -এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি বললেনঃ তোমার সঙ্গে পানি আছে কি? আমি বললামঃ হাঁ। তখন তিনি বাহন থেকে নামলেন এবং হেঁটে যেতে লাগলেন। তিনি এতদূর গেলেন যে, রাতের অন্ধকারে আমার নিকট থেকে অদৃশ্য হয়ে পড়লেন। তারপর তিনি ফিরে এলেন। আমি পাত্র থেকে তাহাঁর (উযূর) পানি ঢালতে লাগলাম। তিনি মুখমণ্ডল ও দুহাত ধুলেন। তিনি পশমের জামা পরিহিত অবস্থায় ছিলন। তিনি তাথেকে হাত বের করিতে পারলেন না, তাই জামার নীচ দিয়ে বের করে দুহাত ধুলেন। তারপর মাথা মাস্‌হ করিলেন। তারপর আমি তাহাঁর মোজা দুটি খুলতে ইচ্ছে করলাম। তিনি বললেনঃ ছেড়ে দাও। কেননা, আমি পবিত্র অবস্থায় ও দুটি পরেছি। তারপর ও দুটির উপর মাসহ করিলেন।(আঃপ্রঃ- ৫৩৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭১)

৭৭/১২. অধ্যায়ঃ কাবা ও রেশমী ফার্‌রূজ, আর তাকেও এক প্রকার কাবাই বলা হয়, যে জামার পশ্চাতে ফাঁক থাকে।

৫৮০০

মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) কয়েকটি কাবা বন্টন করেন, কিন্তু মাখরামাহকে কিছুই দিলেন না। মাখরামাহ বললঃ হে আমার প্রিয় পুত্র! আমার সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর কাছে চল। আমি তাহাঁর সঙ্গে গেলাম। তিনি বললেনঃ ভিতরে যাও এবং আমার জন্যে নাবী (সাঃআঃ) -এর কাছে আবেদন জানাও। মিসওয়ার বলেনঃ আমি তাহাঁর জন্য আবেদন জানালে তিনি মাখরামাহর উদ্দেশ্যে বের হয়ে আসলেন। তখন তাহাঁর পরনে ছিল রেশমী কাবা। তিনি বললেনঃ তোমার জন্য এটি আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম। মিসওয়ার বলেনঃ এরপর নাবী (সাঃআঃ) তার দিকে থাকালেন এবং বললেনঃ মাখরামাহ খুশি হয়ে গেছে।(আঃপ্রঃ- ৫৩৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭২)

৫৮০১

উকবা ইবনু আমির (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে একটি রেশমী কাবা হাদিয়া দেয়া হল। তিনি তা পরেন এবং তা পরে সালাত আদায় করেন। সালাত শেষে তিনি তা খুব জোরে খুলে ফেললেন, যেন এটি তিনি অপছন্দ করছেন। এরপর বললেনঃ মুত্তাকীদের জন্য এটা সাজে না।

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ, লায়স থেকে এ রকমই বর্ণনা করিয়াছেন। অন্যেরা বলেছেনঃ ফাররূজ হারীর হল রেশমী কাপড়। [৩৭৫; মুসলিম ১/৯৪, হাদীস ২১৬, আহমাদ ৮০২২, ৮৬২২] আঃপ্রঃ- ৫৩৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৭৩)

Comments

Leave a Reply