পারিশ্রমিক হাদিস ও ধোঁকাপূর্ণ দালালী নিষেধ
পারিশ্রমিক হাদিস ও ধোঁকাপূর্ণ দালালী নিষেধ >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
অধ্যায়ঃ ২৪, অনুচ্ছেদঃ ৩৭-৪৬=১০টি
অনুচ্ছেদ-৩৭ঃ শিক্ষকের পারিশ্রমিক সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ–৩৮ঃ চিকিৎসকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-৩৯ঃ রক্তমোক্ষণকারীর উপার্জন
অনুচ্ছেদ-৪০ঃ দাসীর উপার্জন
অনুচ্ছেদ-৪১ঃ গণকের ভেট
অনুচ্ছেদ- ৪২ঃ ষাঁড় দ্বারা পাল দিয়ে তার মজুরি গ্রহণ
অনুচ্ছেদ-৪৩ঃ স্বর্ণকার সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-৪৪ঃ মালদার গোলাম বিক্রি করলে তার বিধান
অনুচ্ছেদ-৪৫ঃ [বাজারে পৌঁছার আগেই] অগ্রগামী হয়ে ব্যবসায়ী কাফেলার সাথে মিলিত হওয়া
অনুচ্ছেদ-৪৬ঃ ধোঁকাপূর্ণ দালালী নিষেধ
অনুচ্ছেদ–৩৭ঃ শিক্ষকের পারিশ্রমিক সম্পর্কে
৩৪১৬. উবাদাহ ইবনিস সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আহলে সুফফার কতিপয় ব্যক্তিকে কুরআন পড়া ও লিখা শিখাতাম। তাহাদের একজন আমাকে উপহার হিসেবে একটি ধনুক পাঠালো। আমি বলিলাম, এটা কোন সম্পদ নয়। আমি এটা দিয়ে আল্লাহর পথে তীর ছুঁড়বো। কিন্তু আমি অবশ্যই রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট গিয়ে তাঁকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবো। অতঃপর আমি তাহাঁর নিকট এসে বলিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! এক লোক আমাকে একটি ধনুক উপহার দিয়েছে। আমি লোকদের সঙ্গে তাহাকেও লিখা এবং কুরআন শিখাতাম। ধনুকটা [মূল্যবান] সম্পদ নয়। আমি এটা দিয়ে আল্লাহর পথে [জিহাদে] তীর ছুঁড়বো। তিনি বলেনঃ তুমি যদি গলায় জাহান্নামের শিকল পরতে ভালোবাস, তাহলে তা গ্রহণ করো।
সহীহঃ ইবনি মাজাহ[২১৫৭] পারিশ্রমিক হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৪১৭. উবাদাহ ইবনিস সামিত [রাদি.] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
অনুরূপ হাদিস বর্ণিত। তবে প্রথম হাদিসটি পূর্ণাঙ্গ। এ বর্ণনায় রয়েছেঃ আমি জিজ্ঞেস করি, হে আল্লাহর রাসূল! এ বিষয়ে আপনি কী বলেন? তিনি বলিলেনঃ এটাতো জ্বলন্ত অংগার, যা তুমি তোমার দুই কাঁধে ঝুলিয়েছ।
সহীহঃ পূর্বেরটি দ্বারা। পারিশ্রমিক হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৩৮ঃ চিকিৎসকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে
৩৪১৮. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] এর একদল সাহাবী কোন এক সফরে বের হলেন। তারা এক আরবের একটি জনপদে যাত্রাবিরতি করে সেখানকার লোকদের নিকট মেহমান হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু তারা তাহাদের মেহমানদারী করিতে অস্বীকৃতি জানালো। বর্ণনাকারী বলেন, ঘটনাক্রমে এই জনপদের সর্দারকে [বিষাক্ত প্রাণী] দংশন করলো। তারা তাহাকে আরোগ্য করিতে অনেক কিছুই করলো, কিন্তু কোনই কাজ হলো না। তাহাদের মধ্যে কেউ বললো, তোমরা যদি এখানে যাত্রাবিরতিকারী দলের কাছে যেতে! হয়ত তাহাদের কারো কাছে এমন কিছু থাকতে পারে যা তোমাদের সর্দারের উপকারে আসতে পারে। তাহাদের কতিপয় লোক এসে বললো, আমাদের সর্দারকে [বিষাক্ত প্রাণী] দংশন করেছে। তার আরোগ্যের জন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা করেও কোন ফল পাইনি। তোমাদের কেউ কি ঝাড়ফুঁক জানে? দলের একজন বলিলেন, আমি ঝাড়ফুঁক জানি। কিন্তু আমরা তোমাদের নিকট মেহমানদারী চেয়েছিলাম, তোমরা আমাদের মেহমানদারী করিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলে। কাজেই তোমরা আমাকে পারিশ্রমিক দিতে রাজী না হলে আমি ঝাড়ফুঁক করবো না। তারা তাহাকে কিছু বকরী পারিশ্রমিক দেয়ার চুক্তি করলো। তিনি রোগীর নিকট উপস্থিত হয়ে উম্মূল কিতাব [সূরাহ ফাতিহা] পড়লেন এবং [দংশিত স্থানে] থুথু লাগিয়ে দিলেন। এতেই সে রোগমুক্ত হলো এমনভাবে যে, সে যেন বন্ধনমুক্ত হয়ে গেলো। বর্ণনাকারী বলেন, তারা তাহাদের চুক্তির শর্ত পূরণার্থে তাহাকে তার প্রাপ্য প্রদান করলো। সাহাবীগণ বলিলেন, এগুলো আমাদের মধ্যে বন্টন করো। ঝাড়ফুঁককারী বলিলেন, এরূপ করো না, বরং আমরা আগে রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করে নেই। পরদিন সকালে তারা রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] নিকট পৌছলেন এবং তাঁকে ঘটনাটি জানালেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ তোমরা কিভাবে জানলে যে, এটা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা যায়? তোমরা ভালো কাজই করেছো। তোমাদের সাথে আমারও একটা ভাগ নির্ধারন করো।
সহীহঃ ইবনি মাজাহ[২১৫৬]। পারিশ্রমিক হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৪১৯. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে নাবী [সাঃআঃ] এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
আমি এটি সহিহ এবং যঈফেও পাইনি। হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৩৪২০. খারিজাহ ইবনিস সাল্ত [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার চাচার সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
তিনি একটি জনপদ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় সেখানকার কিছু লোক তার কাছে এসে বললো, আপনি এই ব্যক্তির {রাসূলুল্লাহ্র [সাঃআঃ]} কাছ থেকে কল্যাণ নিয়ে এসেছেন। কাজেই আমাদের এই ব্যক্তিকে একটু ঝাড়ফুঁক করে দিন। এ বলে তারা একটি পাগলকে বাঁধা অবস্থায় তার কাছে আনলো। তিনি তিন দিন সকাল-বিকাল সূরাহ ফাতিহা পড়ে তাহাকে ঝাড়ফুঁক করিলেন। তিনি যখনই পাঠ শেষ করিতেন তখন থুথু জমা করে তার শরীরে নিক্ষেপ করিতেন। অতঃপর লোকটি যেন বন্ধনমুক্ত হয়ে গেলো। তারা তাহাকে কিছু বিনিময় দিলো। তিনি নাবী [সাঃআঃ] এর নিকট এসে ঘটনাটি জানালেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ যা পেয়েছো তা খাও। আমার জীবনের শপথ! কিছু লোক তো বাতিল মন্ত্র দ্বারা উপার্জন করে খায়। আর তুমি উপার্জন করেছো সত্য মন্ত্র দ্বারা।
সহীহঃ সহীহাহ্ [২০২৭] পারিশ্রমিক হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩৯ঃ রক্তমোক্ষণকারীর উপার্জন
৩৪২১. রাফি ইবনি খাদীজ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ রক্তমোক্ষণের উপার্জন নিকৃষ্ট, কুকুর বিক্রয়মূল্য নিকৃষ্ট এবং যেনাকারিনীর উপার্জনও নিকৃষ্ট।
সহীহঃ তিরমিজি [১২৯৭] পারিশ্রমিক হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৪২২. ইবনি মুহাইয়াদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতার সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
একদা তিনি রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] কাছে রক্তমোক্ষণের পারিশ্রমিক গ্রহণ করার অনুমতি চাইলে তিনি তাহাকে এরূপ করিতে নিষেধ করিলেন। কিন্তু তিনি বারবার তাহাঁর কাছে আবেদন করিতে থাকলেন এবং অনুমতি চাইতে থাকলেন। পরে তিনি [সাঃআঃ] তাহাকে এ নির্দেশ দিলেনঃ ঐ উপার্জন দিয়ে তোমার উটের খাদ্য কিনবে এবং তোমার গোলামকে দিবে।
সহীহঃ ইবনি মাজাহ[২১৬৬] পারিশ্রমিক হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৪২৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রক্তমোক্ষণ করালেন। তিনি রক্তমোক্ষণকারীকে পারিশ্রমিক দিলেন। তিনি একে নিকৃষ্ট মনে করলে তাহাকে দান করিতেন না।
সহীহঃ ইবনি মাজাহ[২১৬২] পারিশ্রমিক হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৪২৪. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবু ত্বাইবাহ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর দেহে শিংগা লাগান। তিনি তাহাকে এক সা খেজুর দেয়ার নির্দেশ দিলেন এবং তিনি তার মুনিবদের নির্দেশ দিলেন, তারা যেন তার উপর ধার্যকৃত মুক্তিপণ সহজ করে দেয়।
সহীহঃ তিরমিজি [২৩০১] পারিশ্রমিক হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪০ঃ দাসীর উপার্জন
৩৪২৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দাসীর উপার্জন গ্রহণ করিতে নিষেধ করেছেন।
সহীহঃ আহাদীসুল বুয়ূ। পারিশ্রমিক হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৪২৬. তারিক ইবনি আবদুর রহমান আল-কুরাশী [রাদি.] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাফি ইবনি রিফাআহ [রাদি.] আনসারদের এক সমাবেশে গিয়ে বলিলেন, আল্লাহর নাবী [সাঃআঃ] আজ আমাদেরকে [কিছু] নিষেধ করেছেন। এই বলে তিনি কিছু বিষয়ের উল্লেখ করিলেন। তিনি দাসীর [গর্হিত] উপার্জন গ্রহণ করিতে নিষেধ করেছেন, তবে তাহাদের নিজ হাতের উপার্জন গ্রহনের অনুমতি দিয়েছেন। তিনি তাহাঁর আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করে দেখালেন, [হাতের কাজ হলো] যেমন রুটি তৈরি করা, সূতা কাটা অথবা তুলা ধুনা করা ইত্যাদি।
হাসানঃ আহাদীসুল বুয়ূ। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৩৪২৭. রাফি ইবনি খাদীজ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দাসীর উপার্জনের উৎস না জানা পর্যন্ত তার আয় ভোগ করিতে নিষেধ করেছেন।
হাসান ঃ পূর্বেরটি দ্বারা। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪১ঃ গণকের ভেট
৩৪২৮. আবু মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] কুকুরের বিক্রয়মূল্য, যেনাকারিনীর আয় ও গণকের ভেট গ্রহণ করিতে নিষেধ করেছেন।
সহিহ ঃ ইবনি মাজাহ [২১৫৯]।পারিশ্রমিক হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ- ৪২ঃ ষাঁড় দ্বারা পাল দিয়ে তার মজুরি গ্রহণ
৩৪২৯. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পুরুষ পশুর দ্বারা মাদী পশুকে সঙ্গম করিয়ে তার মজুরী গ্রহণ করিতে নিষেধ করেছেন।
সহিহ ঃ তিরমিজি [১২৯৬]। পারিশ্রমিক হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৩ঃ স্বর্ণকার সম্পর্কে
৩৪৩০. আল-আলা ইবনি আবদুর রহমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে আবু মাজিদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি এক যুবকের কান কেটে ফেলেছিলাম অথবা কেউ আমার কান কেটে ফেলেছিল। হাজ্জ উপলক্ষে আবু বকর [রাদি.] আমাদের এখানে এলে আমরা তার নিকট একত্র হলাম। তিনি আমাদেরকে উমার ইবনিল খাত্তাবের [রাদি.] কাছে পাঠালেন। উমার [রাদি.] বলেন, এ অপরাধের জন্য ক্বিসাস নেয়া যাবে। হাজ্জামকে ডেকে আনো, যাতে ক্বিসাস গ্রহণ করিতে পারে। অতঃপর আমার নিকট একজন হাজ্জামকে ডেকে আনা হলে তিনি বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি ঃ আমি আমার খালাকে একটি গোলাম দান করেছিলাম। আমার আশা ছিল, এতে তাহাঁর বরকত হইবে। আমি তাহাকে বলেছিলাম, একে রক্তমোক্ষণকারী, স্বর্ণকার অথবা কসাইয়ের কাছে সোপর্দ করবেন না।
দুর্বল ঃ আহাদীসুল বুয়ূ, যয়ীফ আল-জামিউস সাগীর [২০৯৮]। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৪৩১. উমার ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] হইতে নাবী [সাঃআঃ] এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
পুর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ বর্ণিত।
হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৪৩২. উমার ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] নাবী [সাঃআঃ] এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত হাদিসের অনুরূপ হাদিস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৪ঃ মালদার গোলাম বিক্রি করলে তার বিধান
৩৪৩৩. সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার পিতা হইতে নাবী [সাঃআঃ] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ কেউ গোলাম বিক্রি করলে ঐ গোলামের যদি কোন মাল থাকে তাহলে উক্ত মাল বিক্রেতাই পাবে। তবে ক্রেতা [মালের] শর্ত করলে সে তা পাবে। আর কেউ খেজুর গাছ তাবীর করার পর বিক্রি করলে ঐ বাগানের বর্তমান ফল বিক্রেতা পাবে, তবে ক্রেতা নিজের জন্য শর্ত করলে ভিন্ন কথা।
সহিহ ঃ ইবনি মাজাহ [২২১১]। পারিশ্রমিক হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৪৩৪. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ইবনি উমার [রাদি.] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে শুধু গোলামের ক্রয়-বিক্রয়ের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ইবনি উমার [রাদি.] সূত্রে নাবী [সাঃআঃ] থেকে শুধু খেজুর বাগান সম্পর্কিত ঘটনা বর্ণনা করেছেন। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, যুহ্রী ও নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] চারটি হাদিস বর্ণনায় পরস্পর মতভেদ করেছেন। উপরের হাদিসটি সেগুলোর একটি।
আমি এটি সহিহ এবং যঈফেও পাইনি। হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৩৪৩৫. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি এমন গোলাম বিক্রয় করে যার কিছু মাল আছে, তাহলে ঐ মাল বিক্রেতা পাবে। কিন্তু ক্রেতা যদি নিজের জন্য শর্ত করে তাহলে ভিন্ন কথা।
সহিহ ঃ ইরওয়া [৫/১৫৮]। পারিশ্রমিক হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৫ঃ [বাজারে পৌঁছার আগেই] অগ্রগামী হয়ে ব্যবসায়ী কাফেলার সাথে মিলিত হওয়া
৩৪৩৬. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমাদের কেউ যেন অন্যের ক্রয়-বিক্রয়ের সময় নিজের ক্রয়-বিক্রয়ের কথা না বলে। পণ্যদ্রব্য বাজারে উপস্থিত করার আগে তোমরা অগ্রগামী হয়ে তা কিনতে যাবে না।
সহিহ ঃ ইবনি মাজাহ [২১৭১]। পারিশ্রমিক হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৪৩৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] সামনে অগ্রসর হয়ে বাজারে পণ্যদ্রব্য নিয়ে আসা ব্যক্তিদের সাথে মিলিত হইতে নিষেধ করেছেন। কোন ক্রেতা যদি এগিয়ে গিয়ে তার সাথে মিলিত হয়ে কিছু কিনে তাহলে বিক্রেতা বাজারে পৌঁছার পর [বিক্রয় প্রত্যাখ্যানের] সুযোগ পাবে।
সহিহঃ ইবনি মাজাহ [২১৭৮]। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, সুফিয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলিয়াছেন, তোমাদের কেউ যেন এই বলে অপরের বিক্রয়ের ওপর বিক্রয় না করে যে, আমার কাছে এর চেয়ে ভাল পণ্য মাত্র দশ টাকায় [অর্থাৎ কম দামে] পাবে। পারিশ্রমিক হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৪৬ঃ ধোঁকাপূর্ণ দালালী নিষেধ
৩৪৩৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমরা ধোঁকাপূর্ণ দালালী করো না।
সহিহঃ ইবনি মাজাহ [২১৭৪]। পারিশ্রমিক হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply