কুরবানীর দিন জামরাতুল আক্বাবায় পাথর নিক্ষেপ শুরু
কুরবানীর দিন জামরাতুল আক্বাবায় পাথর নিক্ষেপ শুরু >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৪৫. অধ্যায়ঃ কুরবানীর দিন জামরাতুল আক্বাবায় পাথর নিক্ষেপ শুরু করার পূর্ব পর্যন্ত হজ্জ পালনকারীর তালবিয়াহ পাঠ করা মুস্তাহাব
২৯৭৭. উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আরাফার ময়দান থেকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর পিছনে তাহাঁর বাহনে আরোহণ করলাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মুযদালিফার নিকটবর্তী পাহাড়ের বামপাশে পৌঁছে উটকে হাঁটু গেড়ে বসালেন, এরপর [নেমে গিয়ে] পেশাব করিলেন এবং ফিরে এলেন। আমি তাঁকে ওযূর পানি ঢেলে দিলাম এবং তিনি সংক্ষেপে [অল্প পানি ব্যবহার করে] ওযূ সেরে নিলেন। এরপর আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! নামাজের সময় হয়েছে। তিনি বলিলেন, আরও সামনে গিয়ে নামাজ আদায় করব। অতএব রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বাহনে আরোহণ করিলেন এবং মুযদালিফায় পৌঁছে নামাজ আদায় করিলেন। এরপর তিনি সকালবেলা ফাযল [রাদি.]–কে তাহাঁর [বাহনে] পিছন দিকে বসিয়ে রওনা হলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৫১]
২৯৭৮. কুরায়ব হইতে বর্ণীতঃ
আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] ফাযল –এর সূত্রে আমাকে অবহিত করিয়াছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জামরায় {২৩} পৌছার পূর্ব পর্যন্ত অনবরত তালবিয়াহ্ পাঠ করছিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৫১]
{২৩} হাজীগণ আরাফাহ্ দিবসের পর মিনায় এসে যে সকল স্থানে কঙ্কর নিক্ষেপ করে সেগুলোকে জামরাহ্ বলে।
২৯৭৯. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] মুযদালিফায় ফায্লকে বাহনে তাহাঁর পিছনে বসালেন। রাবী বলেন, এরপর ইবনি আব্বাস [রাদি.] আমাকে অবহিত করিলেন যে, নবী [সাঃআঃ] জামরাতুল আক্বাবায় পাথর নিক্ষেপের পূর্ব পর্যন্ত অনবরত তালবিয়াহ পাঠ করিতে থাকেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৫২]
২৯৮০. ইবনি আব্বাস [রাদি.] থেকে তার ভাই ফায্ল ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর বাহনে তাহাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আরাফাতে সন্ধ্যাবেলা এবং মুযদালিফায় ভোরবেলা লোকদের উদ্দেশে বলিলেন, যখন তারা অগ্রসর হচ্ছিল- “তোমরা ধীরে-সুস্থে অগ্রসর হও।” তিনিও নিজে উষ্ট্রীর গতি ধীর করে অগ্রসর হচ্ছিলেন এবং এভাবে মুহাস্সির পৌঁছলেন- যা মিনার অন্তর্গত। তিনি [এখানে] বলিলেন, তোমরা নুড়ি পাথর তুলে নাও যা জামরায় নিক্ষেপ করা হয়।
রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জামরায় পাথর নিক্ষেপ পর্যন্ত অনবরত তালবিয়াহ্ পাঠ করিতে থাকলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৫৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৫৩]
২৯৮১. আবু যুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
এ সানাদে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে রাবী এ কথাটি উল্লেখ করেননি –“রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জামরায় পাথর নিক্ষেপ পর্যন্ত অনবরত তালবিয়াহ্ পাঠ করিতে থাকলেন।” কিন্তু এতে উল্লেখ আছে: “নবী [সাঃআঃ] হাতের ইশারায় দেখিয়ে দিলেন [নিক্ষেপের জন্য] নুড়ি কিভাবে ধরবে।”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৫৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৫৪]
২৯৮২. আবদুর রহমান ইবনি ইয়াযীদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ [রাদি.] বলেন, আমরা মুযদালিফায় [সমবেত] ছিলাম। এ সময় যাঁর উপর সূরাহ বাক্বারাহ নাযিল হয়েছে, তাঁকে এ স্থানে বলিতে শুনলাম:
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ
“লাব্বায়কা আল্ল-হুম্মা লাব্বায়কা।”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৫৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৫৫]
২৯৮৩. আবদুর রহমান ইবনি ইয়াযীদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] মুযদালিফাহ্ রওনার প্রাক্কালে তালবিয়াহ পাঠ করিলেন। বলা হল, এ সম্ভবত বেদুঈন [হজ্জের অনুষ্ঠানাদি সঠিকভাবে জানে না]। আবদুল্লাহ [রাদি.] বলিলেন, লোকেরা কি [রসূলের সুন্নাত] ভুলে গেছে, না পথভ্রষ্ট হয়েছে! যাঁর উপর সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ নাযিল হয়েছে, তাঁকে আমি এ স্থানে বলিতে শুনেছি:
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ
“লাব্বায়কা আল্ল-হুম্মা লাব্বায়কা।”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৫৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৫৬]
২৯৮৪. হুসায়ন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
এ সানাদে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৫৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৫৭]
২৯৮৫. আবদুর রহমান ইবনি ইয়াযীদ ও আসওয়াদ ইবনি ইয়াযীদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তারা বলেন, আমরা আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.]–কে মুযদালিফায় বলিতে শুনেছি যে, যাঁর উপর সূরাহ্ বাক্বারাহ্ নাযিল হয়েছে, তাঁকে আমি বলিতে শুনেছি:
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ
“লাব্বায়কা আল্ল-হুম্মা লাব্বায়কা।” এরপর তিনি [ইবনি মাসঊদ] তালবিয়াহ পাঠ করিলেন এবং আমরাও তাহাঁর সঙ্গে তালবিয়াহ পাঠ করলাম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৬০, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৫৮]
Leave a Reply