পাত্র ঢেকে রাখা , মশকের মুখ বেঁধে রাখা, দরজা বন্ধ করা …

পাত্র ঢেকে রাখা , মশকের মুখ বেঁধে রাখা, দরজা বন্ধ করা ও এ সময়ে আল্লাহ্‌র নাম নেয়া

পাত্র ঢেকে রাখা , মশকের মুখ বেঁধে রাখা, দরজা বন্ধ করা ও এ সময়ে আল্লাহ্‌র নাম নেয়া >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

১২. অধ্যায়ঃ পাত্র ঢেকে রাখা , মশকের মুখ বেঁধে রাখা, দরজা বন্ধ করা ও এ সময়ে আল্লাহ্‌র নাম নেয়া, রাতে শোয়ার সময় বাতি বা আগুন নিভানো এবং মাগরিবের পর ছেলেমেয়ে ও গৃহপালিত পশুগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখার আদেশ

৫১৪১. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা [রাতে] বাসনগুলো ঢেকে রাখবে, মশ্‌কগুলোর প্রবেশদ্বার আটকিয়ে রাখবে, ফটকগুলো বন্ধ করিবে এবং বাতিগুলো নিভিয়ে দিবে। কারণ, শাইতান মশ্‌কের মুখ ও দরজা খুলতে পারে না এবং বাসনও অনাবৃত করিতে পারে না। যদি তোমাদের কেউ তার বাসনের উপর রাখার জন্য কাঠি ছাড়া অন্য কিছু না পায়, তবে সে যেন তাই রেখে দেয় এবং আল্লাহ্‌র নাম উচ্চারণ করে। কেননা ইঁদুর ঘরের মালিকদের ঘর তাড়াতাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। কুতাইবাহ্‌ তাহাঁর হাদীসে দরজা আটকাও কথাটি উল্লেখ করেননি।

[ই.ফা.৫০৭৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫০৮৬]

৫১৪২. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তবে তিনি বলেছেন- তোমরা বাসনগুলো উল্টিয়ে বা কাত করে রাখবে অথবা ঢেকে রাখবে।

আর তিনি বাসনগুলোর উপর কাঠি দেয়ার কথা উল্লেখ করেননি।

[ই.ফা.৫০৭৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫০৮৭]

৫১৪৩. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা দরজা আটকিয়ে রাখবে। তারপর রাবী লায়স [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর হাদীসের মত হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তিনি বলেছেন, তোমরা বাসনগুলো আবৃত রাখবে। তিনি আরও বলেন, ইঁদুর ঘরের অধিবাসীদের পোশাক পুড়িয়ে ফেলে।

[ই.ফা.৫০৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫০৮৮]

৫১৪৪. জাবির [রাদি.] এর সনদ হইতে বর্ণীতঃ

নবী[সাঃআঃ] হইতে তাঁদের হাদীসের হুবহু বর্ণিত আছে। তিনি বলেছেন, ইঁদুর গৃহবাসীদের ঘর জ্বালিয়ে দেয়।

[ই.ফা.৫০৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫০৮৯]

৫১৪৫. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ রাত্রি যখন ঘনিভূত হইবে অথবা বলেছেন, তোমরা সন্ধ্যায় উপনীত হইবে তখন তোমরা তোমাদের সন্তানদের দেখে রাখবে। কেননা শাইতান তখন ঘুরাফেরা করে। রাত্রি ঘন্টাখানিক পার হলে তাদের ছেড়ে দাও। আর দরজাগুলো আটকিয়ে রাখবে এবং আল্লাহ্‌র নাম উচ্চারণ করিবে। কেননা শাইতান কোন বন্ধ দরজা খুলতে পারে না। আর তোমরা তোমাদের মশকসমূহের মুখ বেঁধে রাখবে এবং আল্লাহ্‌র নাম মনে করিবে। আর তোমাদের বাসনগুলো আবৃত রাখবে, যদি তার উপর একটি কাঠিও রেখে হয় এবং আল্লাহ্‌র নাম উচ্চারণ করিবে। আর তোমাদের বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে।

[ই.ফা.৫০৮০, ইসলামিক সেন্টার- ৫০৯০]

৫১৪৬. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি আতা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসের মতই বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তিনি আল্লাহ্‌র নাম স্মরণ করার কথা বর্ণনা করেননি।

[ই.ফা.৫০৮১, ইসলামিক সেন্টার- ৫০৯১]

৫১৪৭. ইবনি জুরায়জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আতা ও আমর ইবনি দীনার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

রাওহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সনদের হুবহু হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

[ই.ফা.৫০৮২, ইসলামিক সেন্টার- ৫০৯২]

৫১৪৮. জাবির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের গৃহপালিত জন্তু এবং সন্তানদেরকে সূর্য ডোবার সময় বের হইতে দিবে না যতক্ষণ না ইশার কালোর অন্ধকার অতিবাহিত হয়। কারণ সূর্য ডোবার পর থেকে ইশার কালোর অন্ধকার পার হওয়া পর্যন্ত শাইতান ঘুরাফেরা করিতে থাকে।

[ই.ফা.৫০৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫০৯৩]

৫১৪৯. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] হইতে যুহায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসের অনুরুপ বর্ণিত আছে।

[ই.ফা.৫০৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫০৯৪]

৫১৫০. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি, তোমরা বাসনগুলো আবৃত রাখবে এবং মশ্‌কসমূহের মুখ বেঁধে রাখবে। কারণ বছরে একটি এমন রাত আছে, যে রাতে মহামারী অবতীর্ণ হয়। যে কোন খোলা পাত্র এবং বন্ধকহীন মশ্‌কের উপর দিয়ে তা অতিবাহিত হয়, তাতেই সে মহামারী নেমে আসে। ]

[ই.ফা.৫০৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫০৯৫]

৫১৫১. লায়স ইবনি সাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোক্ত সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

হুবহু বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু তিনি বলেছেন, কেননা বছরে একটি এমন দিন রয়েছে, যে দিনে মহামারী ধেয়ে আসে। বর্ণনাকারী হাদীসের শেষলগ্নে বাড়তি বলেছেন যে, লায়স বলেছেন, আমাদের মাঝে অনারবরা “প্রথম কানুন” {১}মাসে তা থেকে বাঁচার চেষ্টা করে।

[ই.ফা.৫০৮৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫০৯৬]

{১}রোমানদের বর্ষ গণনার দ্বিতীয় মাস, যা শুরু হয় খ্রীষ্টীয় ডিসেম্বর মাসের ছয় কিংবা তের তারিখ থেকে।

৫১৫২. সালিম সূত্রে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা ঘরে অগ্নি প্রজ্জ্বলন অবস্থায় শায়িত হইবে না।

[ই.ফা.৫০৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫০৯৭]

৫১৫৩. আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একবার রাতে মাদীনায় ঘরের অধিবাসীসহ একটি বাড়ি পুড়ে গেল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে তাদের অবস্থা সম্পর্কে জানানো হলে তিনি বললেনঃ এ আগুন তোমাদের শত্রু। অতএব তোমরা রাতে শোয়ার সময় তা নিভিয়ে ফেলবে।

[ই.ফা.৫০৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫০৯৮]


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply