পরনিন্দা নিয়ে হাদিস – চোগলখোর

পরনিন্দা নিয়ে হাদিস – চোগলখোর

পরনিন্দা নিয়ে হাদিস – চোগলখোর << আদাবুল মুফরাদ হাদীস কিতাবের মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায়ঃ৬, দান্যতা, কৃপণতা ও দোষ

১৫০. অনুচ্ছেদঃ চোগলখোর।
১৫১. অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি অশ্লীলতা শোনে এবং তা ছড়ায়।
১৫২. অনুচ্ছেদঃ লোকের দোষ অনুসন্ধানকারী।
১৫৩. অনুচ্ছেদঃ মুখের উপর প্রশংসা করা।
১৫৪. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি তার সহযোগীর প্রশংসা করলে তাতে তার ক্ষতির আশংকা না থাকলে।
১৫৫. অনুচ্ছেদঃ চাটুকারদের মুখে ধূলি নিক্ষেপ করা।
১৫৬. অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি কবিতার মাধ্যমে প্রশংসা করলো।
১৫৭. নুচ্ছেদঃ কবির অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাকে বখশিশ দেয়া।
১৫৮. অনুচ্ছেদঃ বন্ধুকে এমনভাবে সম্মান দেখাবে না যাতে সে অস্বস্তি বোধ করে।

১৫০. অনুচ্ছেদঃ চোগলখোর।

৩২২

হাম্মাম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আমরা হুযায়ফা [রাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম। তাকে বলা হলো, এক ব্যক্তি জনগণের কথা উসমান [রাঃআঃ]-র কানে পৌঁছায়। হুযায়ফা [রাঃআঃ] বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ চোগলখোর বেহেশতে প্রবেশ করিবে না [বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজী, নাসায়ী]।

পরনিন্দা নিয়ে হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৩

আসমা বিনতে ইয়াযীদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ আমি কি তোমাদেরকে তোমাদের মধ্যকার উৎকৃষ্ট লোকদের সম্পর্কে অবহিত করবো না? সাহাবীগণ বলেন, হা। তিনি বলেনঃ যাদের দেখলে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়। তিনি আরো বলেনঃ আমি কি তোমাদেরকে তোমাদের মধ্যকার নিকৃষ্ট লোকদের সম্পর্কে অবহিত করবো না? তারা বলেন, হাঁ। তিনি বলেনঃ যারা চোগলখেরি করে বেড়ায়, বন্ধুদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করে এবং পুণ্যবান লোকদের দোষত্রুটি খুঁজে বেড়ায় [ইবনি মাজাহ, আহমাদ, নাসায়ী, বাযযার]।

পরনিন্দা নিয়ে হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১৫১. অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি অশ্লীলতা শোনে এবং তা ছড়ায়।

৩২৪

আলী ইবনি আবু তালিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

যে ব্যক্তি অশ্লীল কথা বলে এবং তা প্রচার করে তাহাদের উভয়ে সমান পাপী [বাযযার]।

পরনিন্দা নিয়ে হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩২৫

শুবাইল ইবনি আওফ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

কথিত আছে যে, কোন ব্যক্তি অশ্লীল কথা শুনলে এবং তা ছড়ালে সে অশ্লীলতার উদ্ভাবকের সমতুল্য পাপী।- [তাহযীবুল কামাল]

পরনিন্দা নিয়ে হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৬

আতা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

তার মতে, যে ব্যক্তি অশ্লীলতা ছাড়ায় তার শাস্তি হওয়া উচিত।

পরনিন্দা নিয়ে হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫২. অনুচ্ছেদঃ লোকের দোষ অনুসন্ধানকারী।

৩২৭

আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, ব্যতিব্যস্ত হয়ো না এবং করে গোপন তথ্য ফাঁস করো না। কেননা তোমাদের পশ্চাতে রহিয়াছে কিয়ামতের ভীষণ কষ্টদায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী বিপদসমূহ [কানযুল উম্মাল]।

পরনিন্দা নিয়ে হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৮

ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তুমি যখন তোমার সঙ্গীর দোষচর্চা করিতে ইচ্ছা করে তখন তোমার নিজের দোষ স্মরণ করো।

পরনিন্দা নিয়ে হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩২৯

ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি মহামহিম আল্লাহর বাণীঃ “তোমরা পরস্পরের প্রতি দোষারোপ করো না” [৪৯:১১]-এর ব্যাখ্যায় বলেন, তোমরা একে অপরকে তিরস্কার করো না।

পরনিন্দা নিয়ে হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩৩০

আবু জুবায়রা ইবনুদ দাহহাক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমাদের অর্থাৎ বনূ সালামার লোকদের ব্যাপারেই নাযিল হয়ঃ “তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে অভিহিত করো না” [সূরা হুজুরাত ১২]। তিনি বলেন, যখন নাবী [সাঃআঃ] আমাদের এখানে আসলেন, আমাদের প্রত্যেকের দুইটি করে নাম ছিল। নাবী [সাঃআঃ] বলিতেনঃ হে অমুক। সাহাবীগণ বলিতেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! এই নামে ডাকলে সে অসন্তুষ্ট হয় [আবু দাউদ, তিরমিজী, নাসায়ী, আহমাদ, ইবনি মাজাহ, হাকিম]।

পরনিন্দা নিয়ে হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৩১

ইকরিম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আমার মনে নেই, হয় ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] অথবা তার চাচাতো ভাই একে অপরকে আহারের দাওয়াত দিলেন। এক বাঁদী তাহাদের সামনে [আহার পরিবেশনের] কাজ করছিল। তাহাদের একজন তাকে বলেন, হে যেনাকারিনী। তখন অপরজন বলেন, থামো। সে যদি দুনিয়াতে তোমাকে [এই অপবাদের] শাস্তি না দিতে পারে, তবে আখেরাতে অবশ্যই তার শাস্তি দিবে। তিনি বলেন, আপনি কি মনে করেন, ব্যাপারটি যদি তাই হয়? অপরজন বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ অশ্লীল কথক ও অশ্লীলতার বাহককে পছন্দ করেন না। ইনি ছিলেন ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] যিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ অশ্লীল কথক ও অশ্লীলতার বাহককে পছন্দ করেন না।

পরনিন্দা নিয়ে হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩৩২

আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ মুমিন ব্যক্তি খোঁটাদাতা, অভিশাপকারী, অশ্লীলভাষী ও বাচাল হইতে পারে না [তিরমিজী, আহমাদ, ইবনি হিব্বান, হাকিম]।

পরনিন্দা নিয়ে হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৩. অনুচ্ছেদঃ মুখের উপর প্রশংসা করা।

৩৩৩

আবদুর রহমান ইবনি আবু বাকরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ]-এর সামনে এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ উঠলে এক ব্যক্তি তার প্রশংসা করলো। নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমার সর্বনাশ! তুমি তো তোমার ভাইয়ের গলা কাটলে! এ কথা তিনি কয়েকবার উচ্চারণ করিলেন। তোমাদের কেউ যদি একান্তই কারো প্রশংসা করিতে চায় তবে সে যেন বলে, আমি তাকে এরূপ মনে করি, যদি তার ধারণামতে সে তদ্রূপ হয়ে থাকে। তার হিসাব গ্রহণকারী তো আল্লাহ। আর আল্লাহর সামনে কাউকে নির্দোষ মনে করো না [বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজী,আহমাদ, ইবনি হিব্বান]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৩৪

আবু মূসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে অপর এক ব্যক্তির সজীব প্রশংসা করিতে শুনলেন। নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা তো তাকে হত্যা করলে অথবা তার মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিলে [বোখারী, মুসলিম]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৩৫

ইবরাহীম আত-তায়মী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমরা উমার [রাঃআঃ]-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির উপস্থিত প্রশংসা করলে উমার [রাঃআঃ] বলেন, তুমি তো লোকটিকে হত্যা করলে। আল্লাহ তোমার সর্বনাশ করুন।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩৩৬

যায়েদ ইবনি আসলাম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমি উমার [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, [কারো] প্রশংসা করা [তাকে] যেন হত্যা করা। মুহাম্মাদ [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, যখন প্রশংসিত ব্যক্তি তা গ্রহণ করে [বাযযার, ইবনি মাজাহ]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫৪. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি তার সহযোগীর প্রশংসা করলে তাতে তার ক্ষতির আশংকা না থাকলে।

৩৩৭

আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ কতো উত্তম লোক আবু বাকর, কতো উত্তম লোক উমার, কতো উত্তম লোক আবু উবায়দা, কতো উত্তম লোক উসাইদ ইবনি হুদাইর, কতো উত্তম লোক মুয়ায ইবনি আমর ইবনুল জামূহ, কতো উত্তম লোক মুআয ইবনি জাবাল। তিনি পুনরায় বলেনঃ কতো মন্দ লোক অমুক, কতো মন্দ লোক অমুক। এভাবে তিনি একে একে সাতজন সম্পর্কে মন্তব্য করেন [তিরমিজী, নাসায়ী, হাকিম, ইবনি হিব্বান]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৩৮

আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাক্ষাত প্রার্থনা করলো। তিনি বলেনঃ বংশের কু-সন্তান। সে তার সাক্ষাতে উপস্থিত হলে তিনি তার সাথে হাসিমুখে প্রশস্ত হৃদয়ে মিলিত হন। সে বের হয়ে যাওয়ার পর আর এক ব্যক্তি তাহাঁর সাক্ষাত প্রার্থনা করে। তিনি বলেনঃ বংশের সু-সন্তান। কিন্তু তিনি তার সাথে আগের ব্যক্তির মতো হাসিমুখে মিলিত হননি। এ ব্যক্তিও বের হয়ে চলে গেলে আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! আপনি অমুকের সম্পর্কে ঐরুপ মন্তব্য করিলেন অথচ তার সাথে হাসিমুখে মিলিত হলেন এবং এই ব্যক্তি সম্পর্কে এরূপ মন্তব্য করিলেন অথচ প্রথম ব্যক্তির মতো তার সাথে সাক্ষাত করেননি। তিনি বলেনঃ হে আয়েশা! যার অশ্লীল বাক্য ও দুর্ব্যবহারের জন্য লোকে তাকে ত্যাগ করে, সে হলো সর্বনিকৃষ্ট [বোখারী, মুসলিম]।

হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

১৫৫. অনুচ্ছেদঃ চাটুকারদের মুখে ধূলি নিক্ষেপ করা।

৩৩৯

আবু মামার [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে জনৈক প্রশাসকের চাটুকারিতা করছিল। মিকদাদ [রাঃআঃ] তার মুখে ধূলি নিক্ষেপ করে বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে চাটুকারদের মুখে ধূলি নিক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন [মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজী, ইবনি মাজাহ]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৪০

আতা ইবনি আবু রাবাহ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

এক ব্যক্তি ইবনি উমার [রাহিমাহুল্লাহ]-এর সামনে অপর ব্যক্তির প্রশংসা করছিল। ইবনি উমার [রাঃআঃ] তার মুখের দিকে ধূলি নিক্ষেপ করিতে করিতে বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলছেনঃ তোমরা চাটুকারদের দেখলে তাহাদের মুখে ধূলি নিক্ষেপ করিবে [ইবনি হিব্বান]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৪১

রাজা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আমি একদিন মিহজান আল-আসলামী [রাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম। শেষে আমরা বসরাবাসীদের এক মসজিদে গিয়ে পৌছলাম। তখন মসজিদের এক দরজায় বুরাইদা আল-আসলামী [রাঃআঃ] বসা ছিলেন। রাবী বলেন, মসজিদে সুকবা নামক এক ব্যক্তিও ছিলেন। তিনি নামায দীর্ঘ করে পড়তেন। আমরা যখন মসজিদের দরজায় পৌছলাম তখন বুরাইদা [রাঃআঃ]-র গায়ে জড়ানো ছিল একটি চাদর। বুরাইদা [রাঃআঃ] ছিলেন রসিক প্রকৃতির। তিনি বলেন, হে মিহজান! তুমি কি সুকবার মতো নামায পড়ো? মিহুজান [রাঃআঃ] এর প্রতিউত্তর না করেই প্রত্যাবর্তন করেন। রাবী বলেন, মিহজান [রাঃআঃ] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার হাত ধরলেন। আমরা পদব্রজে অগ্রসর হলাম। শেষে আমরা গিয়ে উহুদ পাহাড়ে উঠলাম। তিনি মদীনার দিকে তাকিয়ে বলেনঃ এই জনপদের জন্য দুঃখ হয় যখন তা বসতিপূর্ণ থাকিবে, এমন অবস্থায় তার অধিবাসীরা তা ত্যাগ করিবে। এখানে দাজ্জাল আসবে এবং মদীনার প্রতিটি প্রবেশদ্বারে একজন করে ফেরেশতা দেখিতে পাবে। অতএব সে তাতে প্রবেশ করিতে পারবে না। তিনি ফিরে এলেন। আমরা মসজিদে পৌছলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে নামায ও রুকূ-সিজদায় মশগুল দেখলেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলেনঃ লোকটি কে? আমি তার অতিরিক্ত প্রশংসা করে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! সে অমুক লোক যার এই গুণ আছে। তিনি বলেনঃ ক্ষান্ত হও, তাকে শুনাবে নাসায়ী, অন্যথায় তুমি তার সর্বনাশ করিবে। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি চলতে থাকলেন, শেষে যখন তাহাঁর হুজরার নিকট এলেন তখন তার দুই হাত জড়িয়ে ধরে বলেনঃ তোমাদের উত্তম দ্বীন হলো তার সহজতা, তোমাদের উত্তম দ্বীন হলো তার সহজতা। তিনি একথা তিনবার বলেন [আবু দাউদ, নাসায়ী, আহমাদ ১৯১৮৫]।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১৫৬. অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি কবিতার মাধ্যমে প্রশংসা করলো।

৩৪২

আল-আসওয়াদ ইবনুস সারী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! আমি আল্লাহর পর্যাপ্ত প্রশংসা করেছি এবং আপনারও। তিনি বলেনঃ তোমার প্রতিপালক তো তাহাঁর প্রশংসা পছন্দ করেন। আমি তাহাঁকে কবিতা আবৃত্তি করে শুনাতে লাগলাম। তখন দীর্ঘকায় ও টাকমাথার এক ব্যক্তি তার সাক্ষাত প্রার্থনা করিলেন। নাবী [সাঃআঃ] আমাকে বলেনঃ থামো। সেই ব্যক্তি প্রবেশ করে ক্ষণিক তাহাঁর সাথে আলাপ করে বের হয়ে চলে গেলেন। আমি পুনরায় আবৃত্তি করিতে লাগলাম। লোকটি পুনরায় এলে তিনি আমাকে থামিয়ে দিলেন, অতঃপর বের হয়ে চলে গেলেন। তিনি দুই কি তিনবার এরূপ করিলেন। আমি বললাম, এ লোকটি কে, যার জন্য আপনি আমাকে থামিয়ে দিলেন? তিনি বলেনঃ ইনি এমন ব্যক্তি [উমার] যিনি বাতিলকে পছন্দ করেন না [আহমাদ, হাকিম, ইবনি হিব্বান]।

হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

১৫৭. নুচ্ছেদঃ কবির অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাকে বখশিশ দেয়া।

৩৪৩

নুজাইদ ইবনি ইমরান [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

এক কবি ইমরান ইবনি হুসাইন [রাঃআঃ]-এর নিকট এলে তিনি তাকে কিছু বখশিশ দেন। তাকে বলা হলো, আপনিও কবিকে বখশিশ দিলেন। তিনি বলেন, নিজের ইজ্জত রক্ষার্থে।

হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১৫৮. অনুচ্ছেদঃ বন্ধুকে এমনভাবে সম্মান দেখাবে না যাতে সে অস্বস্তি বোধ করে।

৩৪৪

মুহাম্মাদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

প্রবীণগণ বলিতেন, তুমি তোমার বন্ধুকে এমনভাবে সম্মান দেখাবে না যা তার জন্য কষ্টকর বা অস্বস্তিকর হইতে পারে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ

Comments

Leave a Reply