ন্যায়পরায়ণ শাসক, বিচারক, প্রজা ও সরকারী পদ
ন্যায়পরায়ণ শাসক, বিচারক, প্রজা ও সরকারী পদ >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর কয়েকটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
ন্যায়পরায়ণ শাসক, বিচারক, প্রজা ও সরকারী পদ
পরিচ্ছেদ ৭৮ঃ প্রজাদের সাথে শাসকদের কোমল ব্যবহার করা- রিয়াদুস সা.
পরিচ্ছেদ -৭৯ঃ ন্যায়পরায়ণ শাসক এর মাহাত্ম্য – রিয়াদুস সালেহীন হাদিস
পরিচ্ছেদ -৮০ঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব- রি.সা.
পরিচ্ছেদ -৮১ঃ পদ চাওয়া নিষেধ এবং রাষ্ট্রীয় পদ পরিহার করাই উত্তম- রি.সা.
পরিচ্ছেদ -৮২ঃ বিচারক এবং নেতৃবৃন্দকে উপদেষ্টা নিযুক্ত করার প্রতি উৎসাহ
পরিচ্ছেদ -৮৩ঃ যে ব্যক্তি সরকারী পদ পাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করিবে – রি.সা.
পরিচ্ছদঃ ৭৮ -প্রজাদের সাথে শাসকদের কোমল ব্যবহার করা, তাদের মঙ্গল কামনা করা, তাদের প্রতি স্নেহপরবশ হওয়ার আদেশ এবং প্রজাদেরকে ধোঁকা দেওয়া, তাদের প্রতি কঠোর হওয়া, তাদের সবার্থ উপেক্ষা করা, তাদের ও তাদের প্রয়োজন সম্বন্ধে উদাসীন হওয়া নিষিদ্ধ
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অর্থাৎ “তোমার অনুসারী বিশ্বাসীদের প্রতি তুমি সদয় হও।” (সূরা শুআরা ২১৫ আয়াত)
তিনি অন্য জায়গায় বলেন,
অর্থাৎ “নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসৎকার্য ও সীমালংঘন করা হইতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন; যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।” (সূরা নাহ্ল ৯০ আয়াত)
৬৫৮. ইবনে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃকে বলতে শুনেছি, ‘‘প্রতিটি মানুষই দায়িত্বশীল, সুতরাং প্রত্যেকে অবশ্যই তার অধীনস্থদের দায়িত্বশীলতা বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। দেশের শাসক জনগণের দায়িত্বশীল, সে তার দায়িত্বশীলতা ব্যাপারে জবাবদিহী করিবে। পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্বশীল, অতএব সে তার দায়িত্বশীলতা বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। স্ত্রী তার স্বামীগৃহের দায়িত্বশীলা, কাজেই সে তার দায়িত্বশীলতা বিষয়ে জিজ্ঞাসিতা হবে। দাস তার প্রভুর সম্পদের দায়িত্বশীল, সে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ অধীনস্থের দায়িত্বশীলতা ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে।’’
[সহীহুল বুখারী শরীফ ২৫৫৮, ৮৯৩, ২৪০৯, ২৫৫৪, ২৭৫১, ৫১৮৮, ৫২০০, ৭১৩৮, মুসলিম ১৮২৯, তিরমিজী ১৭০৫, আবু দাঊদ ২৯২৮, আহমাদ ৪৪৮১, ৫১৪৮, ৫৮৩৫, ৫৮৬৭, ৫৯৯০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৫৯. আবু য়্যা’লা মা‘ক্বিল ইবনে য়্যাসার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃকে বলতে শুনেছি, ‘‘কোনো বান্দাকে আল্লাহ কোন প্রজার উপর শাসক বানালে, যেদিন সে মরবে সেদিন যদি সে প্রজার প্রতি ধোঁকাবাজি করে মরে, তাহলে আল্লাহ তার প্রতি জান্নাত হারাম করে দেবেন।’’
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘অতঃপর সে (শাসক) তার হিতাকাঙ্ক্ষিতার সাথে তাদের অধিকারসমূহ রক্ষা করল না, সে জান্নাতের সুগন্ধটুকুও পাবে না।’’
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘যে কোনো আমীর মুসলিমদের দেখাশুনার দায়িত্ব নিল, অতঃপর সে তাদের (সমস্যা দূর করার) চেষ্টা করল না এবং তাদের হিতাকাঙ্ক্ষী হল না, সে তাদের সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করিবে না।’’
[সহীহুল বুখারী শরীফ ৭১৫০, ৭১৫১, মুসলিম ১৪২, আহমাদ ১৯৭৭৮, ১৯৮০৪, দারেমী ২৭৯৬). হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৬০. আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহা হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃকে আমার এই ঘরে বলতে শুনেছি, ‘‘হে আল্লাহ! যে কেউ আমার উম্মতের কোন কাজের কিছু দায়িত্ব নিয়ে তাদেরকে কষ্টে ফেলবে, তুমি তাকে কষ্টে ফেলো। আর যে কেউ আমার উম্মতের কোন কাজের কিছু দায়িত্ব নিয়ে তাদের সাথে নম্রতা করিবে, তুমি তার সাথে নম্রতা করো।’’
[মুসলিম ১৮২৮, আহমাদ ২৩৮১৬, ২৪১০১, ২৫৬৬৭, ২৫৬৮০, ২৫৭০৫) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৬১. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘বানী ইস্রাঈলদের (দ্বীন ও দুনিয়া উভয়ের কাজ) পরিচালনা করতেন নবীগণ। যখনই কোন নবী মারা যেতেন, তখনই অন্য আর এক নবী তাঁর প্রতিনিধি হইতেন। (জেনে রাখ) আমার পর কোন নবী নেই, বরং আমার পর অধিক সংখ্যায় খলীফা হবে।’’ সাহাবীগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমাদেরকে কী নির্দেশ দিচ্ছেন?’ তিনি বললেন, ‘‘যার নিকট প্রথমে বায়‘আত করিবে, তা পালন করিবে। তারপর যার নিকট বায়‘আত করিবে, তা পালন করিবে। অতঃপর তাদের অধিকার আদায় করিবে এবং তোমাদের অধিকার আল্লাহর কাছে চেয়ে নেবে। কারণ, মহান আল্লাহ তাদেরকে প্রজাপালনের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিবেন।’’
[সহীহুল বুখারী শরীফ ৩৪৫৫, মুসলিম ১৮৪২, ইবনু মাজাহ ২৮৭১, আহমাদ ৭৯০০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৬২. ‘আয়েয ইবনে ‘আমর রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদের নিকট গেলেন। অতঃপর তিনি তাকে বললেন, ‘হে বৎস! আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃকে বলতে শুনেছি, ‘‘নিশ্চয় নিকৃষ্টতম শাসক সে, যে প্রজাদের ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করে।’’ সুতরাং তুমি তাদের দলভুক্ত হওয়া থেকে দূরে থাকো।’
[মুসলিম ১৮৩০, আহমাদ ২০১১৪ ) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৬৩. আবু মারয়্যাম আযদী রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু মু‘আবিয়াহ রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃকে বলতে শুনেছি, ‘‘যে ব্যক্তিকে আল্লাহ মুসলিমদের কোনো (রাজ) কার্যে নিযুক্ত করলেন, অতঃপর সে তাদের অভাব-অভিযোগ, প্রয়োজন ও অনটন থেকে অদৃশ্য থাকল, কিয়ামতের দিন আল্লাহ সে ব্যক্তির অভাব-অভিযোগ, প্রয়োজন ও অনটন থেকে অদৃশ্য থাকবেন।“ (তা পূরণ করিবেন না।)
[তিরমিজী ১৩৩২, আহমাদ ১৭৫৭২, আবু দাঊদ ২৯৪৮) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছদঃ ৭৯ -ন্যায়পরায়ণ শাসকের মাহাত্ম্য
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অর্থাৎ “নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা ও সদাচরণের নির্দেশ দেন—।” (সূরা নাহ্ল ৯০ আয়াত)
তিনি অন্য জায়গায় বলেন,
অর্থাৎ “সুবিচার কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন।” (সূরা হুজুরাত ৩৮১ আয়াত)
৬৬৪. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘আল্লাহ তা‘আলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করিবেন যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না; (তারা হল,) ন্যায় পরায়ণ বাদশাহ (রাষ্ট্রনেতা), সেই যুবক যার যৌবন আল্লাহ আয্যা অজাল্লার ইবাদতে অতিবাহিত হয়, সেই ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদসমূহের সাথে লটকে থাকে (মসজিদের প্রতি তার মন সদা আকৃষ্ট থাকে।) সেই দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা স্থাপন করে; যারা এই ভালোবাসার উপর মিলিত হয় এবং এই ভালোবাসার উপরেই চিরবিচ্ছিন্ন (তাদের মৃত্যু) হয়। সেই ব্যক্তি যাকে কোন কুলকামিনী সুন্দরী (অবৈধ যৌন-মিলনের উদ্দেশ্যে) আহবান করে, কিন্তু সে বলে, ‘আমি আল্লাহকে ভয় করি।’ সেই ব্যক্তি যে দান করে গোপন করে; এমনকি তার ডান হাত যা প্রদান করে, তা তার বাম হাত পর্যন্তও জানতে পারে না। আর সেই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে; ফলে তার উভয় চোখে পানি বয়ে যায়।’’
[সহীহুল বুখারী শরীফ ৬৬০, ১৪২৩, ৬৪৭৯, ৬৮০৬, মুসলিম ১০৩১, তিরমিজী ২৩৯১, নাসাঈ ৫৩৮০, আহমাদ ৯৩৭৩, মুওয়াত্তা মালিক ১৭৭৭) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৬৫. ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেনঃ নিশ্চয় ন্যায় বিচারকরা আল্লাহর নিকট জ্যোতির মিম্বরের উপর অবস্থান করিবে। যারা তাদের বিচারে এবং তাদের গৃহবাসীদের মধ্যে ও যে সমস্ত কাজে তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছে, তাতে তারা ইনসাফ করে’’
[মুসলিম ১৮২৭, নাসাঈ ৫৩৭৯, আহমাদ ৬৪৪৯, ৬৪৫৬, ৬৮৫৮) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৬৬. আওফ ইবনে মালেক রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃকে বলতে শুনেছি, ‘‘তোমাদের সর্বোৎকৃষ্ট শাসকবৃন্দ তারা, যাদেরকে তোমরা ভালবাস এবং তারাও তোমাদেরকে ভালবাসে, তোমরা তাদের জন্য দো‘আ কর এবং তারাও তোমাদের জন্য দো‘আ করে। আর তোমাদের নিকৃষ্টতম শাসকবৃন্দ তারা, যাদেরকে তোমরা ঘৃণা কর এবং তারাও তোমাদেরকে ঘৃণা করে, তোমরা তাদেরকে অভিশাপ কর এবং তারাও তোমাদেরকে অভিশাপ করে।’’ (বর্ণনাকারী) বলেন, আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করব না?’ তিনি বললেন, ‘‘না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে নামায প্রতিষ্ঠা করিবে। না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে নামায প্রতিষ্ঠা করিবে।’’
[মুসলিম ১৮৫৫, আহমাদ ২৩৪৬১, ২৩৪৭৯, দারেমী ২৭৯৭) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৬৭. ‘ইয়ায ইবনে হিমার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃকে বলতে শুনেছি, ‘‘জান্নাতী তিন প্রকার। (১) ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ, যাকে ভাল কাজ করার তওফীক দেওয়া হয়েছে। (২) ঐ ব্যক্তি যে প্রত্যেক আত্মীয়-স্বজন ও মুসলিমের প্রতি দয়ালু ও নম্র-হৃদয় এবং (৩) সেই ব্যক্তি যে বহু সন্তানের (গরীব) পিতা হওয়া সত্ত্বেও হারাম ও ভিক্ষাবৃত্তি থেকে দূরে থাকে।
[মুসলিম ২৮৬৫, আবু দাঊদ ৪৮৯৫, ইবনু মাজাহ ৪১৭৯, আহমাদ ১৭০৩০, ১৭৮৭৪) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছদঃ ৮০ -বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
মহান আল্লাহ বলেন,
অর্থাৎ “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহর অনুগত হও, রসূলের অনুগত হও ও তোমাদের নেতৃবর্গের।” (সূরা নিসা ৫৯ আয়াত)
৬৬৮. ইবনে ‘উমার রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘মুসলিমের জন্য (তার শাসকদের) কথা শোনা ও মানা ফরয, তাকে সে কথা পছন্দ লাগুক অথবা অপছন্দ লাগুক; যতক্ষণ না তাকে পাপকাজের নির্দেশ দেওয়া হয়। অতঃপর যখন তাকে পাপকাজের আদেশ দেওয়া হবে তখন তার কথা শোনাও মানাও ফরয নয়।’’
[সহীহুল বুখারী শরীফ ২৯৫৫, ৭১৪৪, মুসলিম ১৮৩৯, ২৭৩৫, তিরমিজী ১৭০৭, আবু দাঊদ ২৬২৬, ইবনু মাজাহ ২৮৬৪, আহমাদ ৪৬৫৪, ৬২৪২) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৬৯. উক্ত রাবী হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা যখন রসুলুল্লাহ সাঃআঃ এর নিকট তাঁর কথা শোনার ও আনুগত্য করার উপর বায়‘আত করছিলাম, তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘যাতে তোমাদের সাধ্য রয়েছে।’’
[সহীহুল বুখারী শরীফ ৭২০২, মুসলিম ১৮৬৭, তিরমিজী ১৫৯৩, নাসাঈ ৪১৮৭, ৪১৮৮, আবু দাঊদ ২৯৪০, আহমাদ ৪৫৫১, ৫২৬০, ৫৫০৬, ৫৭৩৭, ৬২০৭, মুওয়াত্তা মালিক ১৮৪১) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৭০. উক্ত রাবী হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃকে বলতে শুনেছি, ‘‘যে ব্যক্তি (বৈধ কাজে শাসকের) আনুগত্য করা থেকে হাত গুটিয়ে নিল, সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে এ অবস্থায় সাক্ষাৎ করিবে যে, তার জন্য কোন প্রমাণ থাকবে না। আর যে ব্যক্তি (রাষ্ট্রনেতার হাতে) বায়‘আত না করে মৃত্যুবরণ করল, সে জাহেলিয়াতের মরা মরল।’’
এর অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছে, ‘‘যে (রাষ্ট্রীয়) জামাআত ত্যাগ করে মারা গেল, সে জাহেলিয়াতের মৃত্যুবরণ করল। ’’
[মুসলিম ১৮৫১, আহমাদ ৫৩৬৩, ৫৫২৬, ৫৬৪৩, ৫৬৮৫, ৫৮৬৩, ৬০১২, ৬১৩১, ৬৩৮৭) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৭১. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘(শাসকদের) কথা শোনো এবং (তাদের) আনুগত্য কর; যদিও তোমাদের উপর কোন নিগ্রো ক্রীতদাসকে (নেতা) নিযুক্ত করা হয়; যেন তার মাথাটা কিশমিশ। (অর্থাৎ কিশমিশের ন্যায় ক্ষুদ্র ও বিশ্রী তবুও)!’’
[সহীহুল বুখারী শরীফ ৬৯৩, ৬৯৬, ৭১৪২, ইবনু মাজাহ ২৮৬০, আহমাদ ১১৭২৬, ১২৩৪১) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৭২. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘তোমার প্রতি দুঃখে-সুখে, হর্ষে-বিষাদে এবং তোমার উপর অন্যদেরকে প্রাধান্য দেওয়ার সময়ে (শাসকের) কথা শোনা ও (তার) আনুগত্য করা ফরয।’’
[সহীহুল বুখারী শরীফ ১৮৩৬, নাসাঈ ৪১৫৫, আহমাদ ৮৭৩০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৭৩. ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আমর রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
আমরা আল্লাহর রসূলের সাথে এক সফরে ছিলাম। অতঃপর (বিশ্রামের জন্য) এক স্থানে অবতরণ করলাম। তারপর আমাদের কিছু লোক তাঁবু ঠিক করছিল এবং কতক লোক তীরন্দাজিতে প্রতিযোগিতা করছিল ও কতক লোক জন্তুদের ব্যবস্থাপনায় ব্যস্ত ছিল। হঠাৎ আল্লাহর রসূল সাঃআঃ এর ঘোষণাকারী ঘোষণা করল যে, ‘‘নামাযের জন্য জমায়েত হও।’’ সুতরাং আমরা আল্লাহর রসূল সাঃআঃ এর নিকট একত্রিত হলাম। তারপর তিনি বললেন, ‘‘আমার পূর্বে প্রত্যেক নবীর জন্য জরুরী ছিল, তাঁর উম্মতকে এমন কর্মসমূহের নির্দেশ দেওয়া, যা তিনি তাদের জন্য ভালো মনে করেন এবং এমন কর্মসমূহ থেকে ভীতি-প্রদর্শন করা, যা তিনি তাদের জন্য মন্দ মনে করেন। আর তোমাদের এই উম্মত এমন, যাদের প্রথমাংশে নিরাপত্তা রাখা হয়েছে এবং তাদের শেষাংশে রয়েছে পরীক্ষা (ফিতনা-ফাসাদ) এবং এমন ব্যাপার সকল, যা তোমরা পছন্দ করিবে না। এমন ফিতনা প্রকাশ পাবে যে, একটি অন্যটি হাল্কা করে দেবে (অর্থাৎ পরের ফিতনাটি আগের ফিতনা অপেক্ষা গুরুতর হবে)। ফিতনা এসে গেলে মু’মিন ব্যক্তি বলবে, এটাই আমার ধ্বংসের কারণ হবে। অতঃপর তা দূরীভূত হবে। পুনরায় অন্য ফিতনা প্রকাশ পাবে, তখন মু’মিন বলবে, ‘এটাই এটাই (আমার সবচেয়ে বড় ফিতনা)।’ অতএব যে ব্যক্তি জাহান্নামের আগুন থেকে দূরে থাকতে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে ভালবাসে, তার নিকট এই অবস্থায় মৃত্যু আসুক যে, সে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং লোকদের সাথে সেই ব্যবহার প্রদর্শন করে, যা সে নিজের সাথে প্রদর্শন পছন্দ করে। আর যে ব্যক্তি রাষ্ট্রনেতার সাথে বায়‘আত করে, সে নিজের হাত এবং নিজ অন্তরের ফল (নিষ্ঠা) তাকে দিয়ে দেয়, সে সাধ্যমত তার আনুগত্য করুক। অতঃপর অন্য কেউ যদি তার (প্রথম ইমামের) সাথে (ক্ষমতা কাড়ার) ঝগড়া করে, তাহলে দ্বিতীয়জনের গর্দান উড়িয়ে দাও।’’
[মুসলিম ১৮৪৪, নাসাঈ ৪১৯১, আবু দাঊদ ৪২৪৮, ইবনু মাজাহ ৩৯৫৬, আহমাদ ৬৪৬৫, ৬৭৫৪, ৬৭৭৬) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৭৪. আবু হুনাইদা ওয়াইল ইবনে হুজর রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
সালামাহ ইবনে য়্যাযীদ জু‘ফী আল্লাহর রসূল সাঃআঃকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর নবী! আপনি বলুন, যদি আমাদের উপর (অসৎ) শাসক নিযুক্ত হয় এবং আমাদের কাছে তাদের অধিকার চায় ও আমাদেরকে আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখে। অতএব এ ব্যাপারে আপনি কী নির্দেশ দেন?’ তিনি তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। পুনরায় তিনি জিজ্ঞাসা করলে আল্লাহর রসূল সাঃআঃ বললেন, ‘‘তোমরা (তাদের) কথা শুনো এবং (তাদের) আনুগত্য করো। কারণ তাদের দায়িত্বে তা রয়েছে, যা তাদের উপর চাপানো হয়েছে (অর্থাৎ সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতা) এবং তোমাদের দায়িত্বে তা রয়েছে, যা তোমাদের উপর অর্পণ করা হয়েছে (অর্থাৎ নেতা ও শাসকের আনুগত্য)।’’
[মুসলিম ১৮৪৬, তিরমিজী ২১৯৯) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৭৫. . ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘আমার পর স্বেচ্ছাচারী শাসন হবে এবং অন্যান্য (আপত্তিকর) ব্যাপার সকল প্রকাশ পাবে, যা তোমরা অপছন্দ করিবে।’’ সাহাবীরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মধ্যে যে এ যুগ পাবে, তাকে আপনি কী আদেশ দিচ্ছেন।’ তিনি বললেন, ‘‘তোমাদের প্রতি যে হক রয়েছে, তা তোমরা আদায় করিবে এবং তোমাদের যে হক (শাসকের উপর রয়েছে), তা আল্লাহর কাছে চেয়ে নেবে।’’
[সহীহুল বুখারী শরীফ ৩৬০৩, মুসলিম ১৮৪৩, তিরমিজী ২১৯০, আহমাদ ৩৬৩৩, ২৭২০৭, ৪০৫৬, ৪১১৬) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৭৬. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে (প্রকৃতপক্ষে) আল্লাহর আনুগত্য করল এবং যে আমার অবাধ্যতা করল, সে (আসলে) আল্লাহর অবাধ্যতা করল। আর যে ব্যক্তি নেতার আনুগত্য করল, সে (আসলে) আমার আনুগত্য করল এবং যে নেতার অবাধ্যতা করল, সে (আসলে) আমার অবাধ্যতা করল।’’
[সহীহুল বুখারী শরীফ ২৯৫৭, নাসাঈ ৪১৯৩, ৫৫১০, ইবনু মাজাহ ৩, ২৮৫৯, আহমাদ ৭২৯০, ৭৩৮৬, ৭৬০০, ২৭৩৫০, ৮৩০০, ৮৫১১, ৮৭৮৮, ৯১২১, ৯৬৯৬, ৯৭৩৯, ১০২৫৯) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৭৭. ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি তার নেতার কোন কাজ অপছন্দ করিবে, তার উচিত হবে (তার উপর) ধৈর্য ধারণ করা। কারণ যে ব্যক্তি এক বিঘত পরিমাণও শাসকের আনুগত্য থেকে বেরিয়ে যাবে, তার মৃত্যু জাহেলিয়াতের মৃত্যু হবে।’’
[সহীহুল বুখারী শরীফ ৭০৫৩, ৭০৫৪, ৭১৪৩, মুসলিম ১৮৪৯, আহমাদ ২৪৮৩, ২৬৯৭, ২৫১৯, দারেমী ২৫১৯)হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৭৮. আবু বাক্রাহ রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃকে বলতে শুনেছি, ‘‘যে ব্যক্তি বাদশাহকে অপমান করিবে, আল্লাহ তাকে অপমানিত করিবেন।’’
[তিরমিজী ২২২৪, আহমাদ ১৯৯২০, ১৯৯৮২) হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
পরিচ্ছদঃ ৮১ -পদ চাওয়া নিষেধ এবং রাষ্ট্রীয় পদ পরিহার করাই উত্তম; যদি সেই একমাত্র তার যোগ্য অথবা তার নিযুক্ত হওয়া জরুরী না হয়
মহান আল্লাহ বলেন,
অর্থাৎ “এ আখেরাতের আবাস; যা আমি নির্ধারিত করি তাদেরই জন্য যারা এ পৃথিবীতে উদ্ধত হইতে ও বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায় না। সাবধানীদের জন্য শুভ পরিণাম।” (সূরা ক্বাসাস ৮৩ আয়াত)
৬৭৯. আবু সা‘ঈদ আব্দুর রহমান ইবনে সামুরাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল সাঃআঃ আমাকে বললেন, ‘‘হে আব্দুর রহমান বিন সামুরাহ! তুমি সরকারী পদ চেয়ো না। কারণ তুমি যদি তা না চেয়ে পাও, তাহলে তাতে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর যদি তুমি তা চাওয়ার কারণে পাও, তাহলে তা তোমাকে সঁপে দেওয়া হবে। (এবং তাতে আল্লাহর সাহায্য পাবে না।) আর যখন তুমি কোন কথার উপর কসম খাবে, অতঃপর তা থেকে অন্য কাজ উত্তম মনে করিবে, তখন উত্তম কাজটা কর এবং তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দাও।’’
[সহীহুল বুখারী শরীফ ৭১৪৬, ৬৬২২, ৬৭২২, ৭১৪৭, মুসলিম ১৬৫২, তিরমিজী ১৫২৯, নাসাঈ ৩৭৮২, ৩৭৮৩, ৩৭৮৪, ৫৩৮৫, আবু দাঊদ ২৯২৯, ৩২৭৭, আহমাদ ২০০৯৩, ২০০৯৫, ২০০১৫, দারেমী ২৩৪৬) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৮০. আবু যার্র রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
একদা আল্লাহর রসূল সাঃআঃ আমাকে বললেন, ‘‘হে আবু যার্র! আমি তোমাকে দুর্বল দেখছি এবং আমি তোমার জন্য তাই ভালবাসি, যা আমি নিজের জন্য ভালবাসি। (সুতরাং) তুমি অবশ্যই দু’জনের নেতা হয়ো না এবং এতীমের মালের তত্ত্বাবধায়ক হয়ো না।’’
[মুসলিম ১৮২৬, ১৮২৫, আহমাদ ২১০০২) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৮১. উক্ত রাবী হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহ রসূল! আপনি আমাকে (কোন স্থানের সরকারী) কর্মচারী কেন নিযুক্ত করছেন না?’ তিনি নিজ হাত আমার কাঁধের উপর মেরে বললেন, ‘‘হে আবু যার্র! তুমি দুর্বল এবং (এ পদ) আমানত ও এটা কিয়ামতের দিন অপমান ও অনুতাপের কারণ হবে। কিন্তু যে ব্যক্তি তা হকের সাথে (যোগ্যতার ভিত্তিতে) গ্রহণ করল এবং নিজ দায়িত্ব (যথাযথভাবে) পালন করল (তার জন্য এ পদ লজ্জা ও অনুতাপের কারণ নয়)।’’
[মুসলিম ১৮২৫, ১৮২৬, আহমাদ ২১০০২) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৮২. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল সাঃআঃ বলেছেন, তোমরা অতি সত্বর নেতৃত্বের লোভ করিবে। (কিন্তু স্মরণ রাখো) এটি কিয়ামতের দিন অনুতাপের কারণ হবে।
[সহীহুল বুখারী শরীফ ৭১৪৮, নাসাঈ ৪২১১, ৫৩৮৫, আহমাদ ৯৪৯৯, ৯৮০৬) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছদঃ ৮২ -বাদশাহ, বিচারক এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে সৎ মন্ত্রী ও উপদেষ্টা নিযুক্ত করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং তাদেরকে খারাপ সঙ্গী থেকে ও তাদের পরামর্শ গ্রহণ করা থেকে ভীতি-প্রদর্শন
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
[আরবী)
অর্থাৎ “বন্ধুরা সেদিন একে অপরের শত্রু হয়ে পড়বে, তবে সাবধানীরা নয়।” (সূরা যুখরুফ ৬৭ আয়াত)
৬৮৩. আবু সাঈদ ও আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘আল্লাহ যখনই কোন নবী প্রেরণ করেন এবং কোন খলীফা নির্বাচিত করেন, তখনই তাঁর জন্য দু’জন সঙ্গী নিযুক্ত করে দেন। একজন সঙ্গী তাঁকে ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং তার প্রতি উৎসাহিত করে। আর দ্বিতীয়জন সঙ্গী তাঁকে মন্দ কাজের নির্দেশ দেয় এবং তার প্রতি উৎসাহিত করে। আর রক্ষা পান কেবলমাত্র তিনিই, যাকে আল্লাহ রক্ষা করেন।’’
[সহীহুল বুখারী শরীফ ৭১৯৮, নাসাঈ ৪২১১, ৫৩৮৫, আহমাদ ৯৪৯৯, ৯৮০৬) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৬৮৪. আয়েশা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যখন আল্লাহ কোন শাসকের মঙ্গল চান, তখন তিনি তার জন্য সত্যনিষ্ঠ (শুভাকাঙ্ক্ষী) মন্ত্রী নিযুক্ত করে দেন। শাসক (কোন কথা) ভুলে গেলে সে তাকে তা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং স্মরণ থাকলে তার সাহায্য করে। আর যখন আল্লাহ তার অন্য কিছু (অমঙ্গল) চান, তখন তার জন্য মন্দ মন্ত্রী নিযুক্ত করে দেন। শাসক বিস্মৃত হলে সে তাকে স্মরণ করিয়ে দেয় না এবং স্মরণ থাকলে তার সাহায্য করে না।’’
[আবু দাঊদ ২৯৩২, নাসাঈ ৪২০২) হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
পরিচ্ছদঃ ৮৩ -যে ব্যক্তি নেতা, বিচারক অথবা অন্যান্য সরকারী পদ চাইবে অথবা পাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করিবে অথবা তার জন্য ইঙ্গিত করিবে তাকে পদ দেওয়া নিষেধ
৬৮৫. আবু মূসা আশ‘আরী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
আমি এবং আমার চাচাতো দু’ভাই নবী সাঃআঃ এর নিকট গেলাম। সে দু’জনের মধ্যে একজন বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! মহান আল্লাহ আপনাকে যে সব শাসন-ক্ষমতা দান করিয়াছেন, তার মধ্যে কিছু (এলাকার) শাসনভার আমাকে প্রদান করুন।’ দ্বিতীয়জনও একই কথা বলল। উত্তরে তিনি বললেন, ‘‘আল্লাহর কসম! যে সরকারী পদ চেয়ে নেয় অথবা তার প্রতি লোভ রাখে, তাকে অবশ্যই আমরা এ কাজ দিই না।’’
[সহীহুল বুখারী শরীফ ৭১৪৯, ২২৬১, ৬৯২৩, ৭১৫৬, ৭১৫৭, নাসাঈ ৪, ৫৩৮২, আবু দাঊদ ২৯৩০, ৩০৭৯, ৪৩৫৪, আহমাদ ১৯০১৪, ১৯১৬৭, ১৯১৮৮, ১৯২৩৮) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply