মূর্তি খোদাই, ঘন্টা, কুকর ও নোংরা ভোজী পশু নিষেধ
নোংরা ভোজী পশু কে সওয়ারী বানানো মকরুহ >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর কয়েকটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
মূর্তি খোদাই, ঘন্টা, কুকর ও নোংরা ভোজী পশু নিষেধ
পরিচ্ছেদ – ৩০৫ঃ পাথর, দেওয়াল, ছাদ, মুদ্রা ইত্যাদিতে প্রাণীর মূর্তি খোদাই করা হারাম। অনুরূপভাবে দেওয়াল, ছাদ, বিছানা, বালিশ, পর্দা, পাগড়ী, কাপড় ইত্যাদিতে প্রাণীর চিত্র অঙ্কন করা হারাম এবং মূর্তি ছবি নষ্ট করার নির্দেশ
পরিচ্ছেদ – ৩০৬ঃ শিকার করা, পশু রক্ষা বা ক্ষেত খামার, ঘরবাড়ি পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কুকর পোষা হারাম
পরিচ্ছেদ – ৩০৭ঃ উট বা অন্যান্য পশুর গলায় ঘবটা বাঁধা বা সফরে কুকুর এবং ঘুঙুর সঙ্গে রাখা মকরূহ
পরিচ্ছেদ – ৩০৮ঃ নোংরাভোজী পশুকে সওয়ারী বানানো মকরূহ, যে হালাল পশু সাধারণতঃ মানুষের পায়খানা খায়, তার উপর সওয়ার হওয়া মকরূহ। এরূপ নোংরাভোজী উঁট যদি ঘাস খেতে লাগে তাহলে তার মাংস পবিত্র হইবে বিধায় মকরূহ থাকিবে না।
পরিচ্ছেদ – ৩০৫: পাথর, দেওয়াল, ছাদ, মুদ্রা ইত্যাদিতে প্রাণীর মূর্তি খোদাই করা হারাম। অনুরূপভাবে দেওয়াল, ছাদ, বিছানা, বালিশ, পর্দা, পাগড়ী, কাপড় ইত্যাদিতে প্রাণীর চিত্র অঙ্কন করা হারাম এবং মূর্তি ছবি নষ্ট করার নির্দেশ
১৬৮৭. ইবনে উমার রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যারা এ জাতীয় (প্রাণীর) মূর্তি বা ছবি তৈরি করে, কিয়ামতের দিন তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হবে। তাদেরকে বলা হবে, তোমরা যা বানিয়েছিলে তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা কর।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৯৫১, ৭৫৫৮, মুসলিম ২১০৮, নাসাঈ ৫৩৬১, আহমাদ ৪৪৬১, ৪৬৯৩, ৪৭৭৭, ৫১৪৬, ৫৭৩৩, ৬০৪৮, ৬২০৫, ৬২২৬, ৬২৯০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৬৮৮. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী সাঃআঃ (তাবূক যুদ্ধের) সফর থেকে ফিরে এলেন। আমি আমার কক্ষের তাক বা জানালায় পাতলা কাপড়ের পর্দা টাঙ্গিয়ে ছিলাম; তাতে ছিল (প্রাণীর) অনেকগুলি চিত্র। রসুলুল্লাহ সাঃআঃ যখন ওটা দেখলেন, তখন তাঁর চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেল। তিনি বললেন, ‘‘হে আয়েশা! কিয়ামতের দিন সেসব মানুষের সবচেয়ে বেশি শাস্তি হবে, যারা আল্লাহর সৃষ্টির অনুরূপ তৈরি করিবে।’’ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ‘সুতরাং আমরা তা ছিঁড়ে ফেললাম এবং তা দিয়ে একটি বা দু’টি হেলান-বালিশ তৈরি করলাম।’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৯৫৪, মুসলিম ২১০৭) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৬৮৯. ইবনে আব্বাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘প্রত্যেক ছবি (বা মূর্তি) নির্মাতা জাহান্নামে যাবে, তার নির্মিত প্রতিটি ছবি বা মূর্তির পরিবর্তে একটি ক’রে প্রাণ সৃষ্টি করা হবে, যা তাকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে।’’ ইবনে আব্বাস রাঃআঃ বলেন, ‘যদি তুমি করতেই চাও, তাহলে গাছপালা ও নিষ্প্রাণ বস্তুর ছবি বা মূর্তি তৈরি করতে পার।’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ২২২৫, ৫৯৬৩, ৭০৪২, মুসলিম ২১১০, তিরমিজী ১৭৫১, ২২৮৩, নাসাঈ ৫৩৫৮, ৫৩৫৯, আবু দাঊদ ৫০২৪, ইবনু মাজাহ ৩৯১৬, আহমাদ ১৮৬৯, ২১৬৩, ২২১৪, ২৮০৬, ৩২৬২, ৩৩৭৩, ৩৩৮৪) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৬৯০. উক্ত রাবী হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী সাঃআঃ-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন (প্রাণীর) চিত্র বানিয়েছে তাকে কিয়ামতের দিনে তাতে রূহ ফুঁকার জন্য বাধ্য করা হবে, অথচ সে রূহ ফুঁকতে পারবে না।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ২২২৫, ৫৯৬৩, ৭০৪২, মুসলিম ২১১০, তিরমিজী ১৭৫১, ২২৮৩, নাসাঈ ৫৩৫৮, ৫৩৫৯, আবু দাঊদ ৫০২৪, ইবনু মাজাহ ৩৯১৬, আহমাদ ১৮৬৯, ২১৬৩, ২২১৪, ২৮০৬, ৩২৬২, ৩৩৭৩, ৩৩৮৪)হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৬৯১. ইবনে মাসঊদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘কিয়ামতের দিনে ছবি বা মূর্তি নির্মাতাদের সর্বাধিক কঠিন শাস্তি হবে।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৯৫০, মুসলিম ২১০৯, নাসাঈ ৫৩৬৪, আহমাদ ৩৫৪৮, ৪০৪০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৬৯২. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘তার চাইতে বড় জালেম কে আছে, যে আমার সৃষ্টির অনুরূপ সৃষ্টি তৈরি করতে চায়? সুতরাং তারা একটি ধূলিকণা বা পিঁপড়ে সৃষ্টি করুক অথবা একটি শস্যদানা সৃষ্টি করুক অথবা একটি যবদানা সৃষ্টি করুক।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৯৫৩, ৭৫৫৯, মুসলিম ২১১১, আহমাদ ৭১২৬, ৭৪৬৯, ৮৮৩৪, ১০৪৩৮, ২৭৭৯৪) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৬৯৩. আবু ত্বালহা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘সে ঘরে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না যে ঘরে কুকুর থাকে এবং সে ঘরেও নয় যে ঘরে ছবি বা মূর্তি থাকে।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৩২২৫, ৩২২৬, ৩৩২২, ৪৩০২, ৪০০২, ৫৯৪৯, ৫৯৫৮, মুসলিম ২১০৬, তিরমিজী ২৮০৪, নাসাঈ ৪২৮২, ৫৩৪৭-৫৩৫০, আবু দাঊদ ৪১৫৩, ৪১৫৫, ইবনু মাজাহ ৩৬৪৯, আহমাদ ১৫৯১০, ১৫৯১৮, ১৫৯৩৪, মুওয়াত্তা মালিক ১৮০২) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৬৯৪. ইবনে উমার রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (একবার) জিব্রীল রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-এর নিকট আসার ওয়াদা দিলেন। কিন্তু তিনি আসতে বিলম্ব করলেন, এমনকি শেষ পর্যন্ত (এ বিলম্ব) নবী সাঃআঃ-এর পক্ষে অত্যন্ত ভারী বোধ হইতে লাগল। অবশেষে তিনি বাইরে বের হয়ে গেলেন। তখন জিব্রীল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। তিনি বিলম্ব হওয়ার অভিযোগ করলে জিব্রীল বললেন, ‘আমরা সেই ঘরে প্রবেশ করি না যে ঘরে কুকুর কিম্বা ছবি থাকে।’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৯৬৬০, ৩২২৭) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৬৯৫. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা জিব্রীল আল্লাহর রসূল সাঃআঃ-এর সঙ্গে কোন এক সময়ে সাক্ষাৎ করার জন্য ওয়াদা করেন। সুতরাং সে নির্ধারিত সময়টি এসে পৌঁছল; কিন্তু জিব্রীল আসলেন না। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, নবী সাঃআঃ-এর হাতে একটি লাঠি ছিল। তিনি তা ফেলে দিলেন এবং বললেন, ‘‘আল্লাহ নিজ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না এবং তাঁর দূতগণও না।’’ তারপর তিনি ফিরে দৃষ্টি নিক্ষেপ ক’রে দেখতে পেলেন যে, তাঁর খাটের নীচে একটি কুকুর ছানা বসে আছে। তখন তিনি বললেন, ‘‘এ কুকুরটি কখন এখানে ঢুকে পড়েছে?’’ (আয়েশা বলেন) আমি বললাম, ‘আল্লাহর কসম! আমি ওর ব্যাপারে জানতেই পারিনি।’ সুতরাং তিনি আদেশ দিলে ওটাকে বাইরে বের করা হল। তারপর জিব্রীল -এর আগমন ঘটল। তখন আল্লাহর রসূল সাঃআঃ (অভিযোগ ক’রে) বললেন, ‘‘আপনি আমার সঙ্গে ওয়াদা করেছিলেন, আর আমি আপনার প্রতীক্ষায় বসেছিলাম, অথচ আপনি আসলেন না?’’ জিব্রীল বললেন, ‘আমাকে ঐ কুকুর ছানাটি (ঘরে ঢুকতে) বাধা দিয়েছিল; যেটা আপনার ঘরের মধ্যে ছিল। নিশ্চয় আমরা সে ঘরে প্রবেশ করি না, যে ঘরে কুকুর কিম্বা কোন ছবি বা মূর্তি থাকে।’
(মুসলিম ২১০৪, আহমাদ ২৪৫৭৬) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৬৯৬. আবুল হাইয়াজ হাইয়ান ইবনে হুসাইন হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আলী ইবনে আবী তালেব রাঃআঃ আমাকে বললেন, ‘তোমাকে সে কাজের জন্য পাঠাব না কি, যে কাজের জন্য আল্লাহর রসূল সাঃআঃ আমাকে পাঠিয়েছিলেন? (তা হচ্ছে এই যে,) কোন (প্রাণীর) ছবি বা মূর্তি দেখলেই তা নিশ্চিহ্ন ক’রে দেবে এবং কোন উঁচু কবর দেখলে তা সমান করে দেবে।’
(মুসলিম ৯৬৯, তিরমিজী ১০৪৯, নাসাঈ ২০৩১, আবু দাঊদ ৩১১৮, আহমাদ ৬৮৫, ৭৪৩, ৮৯১, ১০৬৭, ১১৭৪, ১১৭৯, ১২৪৩, ১২৮৬) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ৩০৬: শিকার করা, পশু রক্ষা বা ক্ষেত খামার, ঘরবাড়ি পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া কুকর পোষা হারাম
১৬৯৭. ইবনে উমার রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘যে ব্যক্তি শিকারি অথবা পশু-রক্ষক কুকুর ছাড়া অন্য কুকুর পোষে, তার নেকী থেকে প্রত্যেক দিন দুই কীরাত পরিমাণ সওয়াব কমে যায়।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৪৮০, ৫৪৮১, ৫৪৮২, মুসলিম ১৫৭৪, তিরমিজী ১৪৮৭, নাসাঈ ৪২৮৪, ৪২৮৬, ৪২৮৭, ৪২৯১, আহমাদ ৪৪৬৫, ৪৫৩৫, ৪৭৯৮, ৪৯২৫, ৫০৫৩, ৫১৪৯, ৫২৩১, ৫৩৭০, ৫৪৮১, ৫৭৪১, ৫৮৮৯, ৬৩০৬, ৬৪০৭, মুওয়াত্তা মালিক ১৮০৮) অন্য বর্ণনায় আছে, ‘‘এক কীরাত সওয়াব কমে যায়।’’ হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৬৯৮. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি কুকুর বাঁধে (পালে), তার আমল (নেকী) থেকে প্রত্যহ এক কীরাত পরিমাণ কমে যায়।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ২৩২২, ৩৩২৪, মুসলিম ১৫৭৫, তিরমিজী ১৪৯০, নাসাঈ ৪২৮১, ৪২৯০, আবু দাঊদ ২৮৪৪, ইবনু মাজাহ ৩২০৪, আহমাদ ৭৫৬৬, ৮৩৪২, ৯২০৯, ৯৭৬৫) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ৩০৭: উট বা অন্যান্য পশুর গলায় ঘণ্টা বাঁধা বা সফরে কুকুর এবং ঘুঙুর সঙ্গে রাখা মকরুহ
১৬৯৯. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘সেই কাফেলার সঙ্গে (রহমতের) ফিরিশতা থাকেন না, যাতে কুকুর কিম্বা ঘুঙুর থাকে।’’
(মুসলিম ২১১৩, তিরমিজী ১৭০৩, আবু দাঊদ ২৫৫৫, আহমাদ ৭৫১২, ৮০৩৬, ৮২৩৭, ৮৩২৩, ৮৭৭২, ৮৮৪৫, ৯০৯৮, ৯৪৪৫, ৯৮০৫, ১০৫৫৮, দারেমী ২৫৭৬) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৭০০. উক্ত রাবী হইতে বর্ণিতঃ
নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘ঘণ্টা বা ঘুঙুর শয়তানের বাঁশি।’’
(মুসলিম ২১১৪, আবু দাঊদ ২৫৫৬, আহমাদ ৮৫৬৫, ৮৬৩৪) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ৩০৮: নোংরাভোজী পশুকে সওয়ারী বানানো মকরুহ
১৭০১. ইবনে উমার রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘নবী সাঃআঃ নোংরা-ভোজী উঁটনীর উপর চড়তে বারণ করিয়াছেন।’
[আবু দাঊদ-বিশুদ্ধ সূত্রে] (আবু দাঊদ ২৫৫৭, ২৫৫৮, ১৭০২, সহীহুল বুখারী শরীফ ৪১৫, মুসলিম ৫৫২, তিরমিজী ৫৭২, নাসাঈ ৭২৩, আবু দাঊদ ২৭৪, ৪৭৪, ৪৭৫, আহমাদ ১১৬৫১, ১২৩৬৪, ১২৪৭৯, ১২৭৭০, ১২৮০৪, ১৩০২১, ১৩০৩৮, ১৩০৮৮, ১৩২৩৫, ১৩৪৯৪, ১৩৫৩৬, ১৩৬৬১, দারেমী ১৩৯৫)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply