নেকী ও সংযমশীলতার কাজে সহযোগিতার গুরুত্ব।রিয়াদুস সালেহীন

নেকী ও সংযমশীলতার কাজে সহযোগিতার গুরুত্ব।রিয়াদুস সালেহীন

নেকী ও সংযমশীলতার কাজে সহযোগিতার গুরুত্ব।রিয়াদুস সালেহীন >> রিয়াদুস সালেহীন  হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন

পরিচ্ছেদ -২১ : নেকী ও সংযমশীলতার কাজে পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ وَتَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ ﴾ [المائ‍دة: ٢] 

অর্থাৎ “সৎকাজ ও আত্মসংযমে তোমরা পরস্পর সহযোগিতা কর।” [সূরা মায়েদাহ ২ আয়াত]

তিনি আরো বলেন,

﴿ وَٱلۡعَصۡرِ ١ إِنَّ ٱلۡإِنسَٰنَ لَفِي خُسۡرٍ ٢ إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلۡحَقِّ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلصَّبۡرِ ٣ ﴾ [العصر: ١،  ٣]  

অর্থাৎ “সময়ের শপথ!। মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয়। আর উপদেশ দেয় ধৈর্য ধারণের।” [সূরা আসর]

ইমাম শাফেয়ী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, লোকেরা অথবা তাহাদের অধিকাংশই এই সূরা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার ব্যাপারে উদাসীন। [তফসীর ইবনি কাসীর]

1/182 وَعَنْ أَبِي عَبدِ الرَّحمَانِ زَيدِ بنِ خَالِدٍ الجُهَنِي رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسولُ الله ﷺ: «مَنْ جَهَّزَ غَازِياً في سَبيلِ اللهِ فَقَدْ غَزَا، وَمَنْ خَلَفَ غَازياً في أهْلِهِ بِخَيرٍ فَقَدْ غَزَا». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

১/১৮২। আবূ আব্দুর রাহমান যায়দ ইবনি খালিদ জুহানী রাঃআঃ বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি সরঞ্জাম দিয়ে আল্লাহর পথে কোন মুজাহিদ প্রস্তুত করে দিল, নিঃসন্দেহে সে ব্যক্তি স্বয়ং জিহাদ করল। আর যে ব্যক্তি কোন মুজাহিদের পরিবারে উত্তমরূপে প্রতিনিধিত্ব করল, নিঃসন্দেহে সেও জিহাদ করল।’’ [অর্থাৎ সেও জিহাদের নেকী পাবে।][1]

2/183 وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدرِيْ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ الله ﷺ بَعَثَ بَعثاً إِلَى بَني لِحْيَان مِنْ هُذَيْلٍ، فَقَالَ: «لِيَنْبَعِثْ مِنْ كُلِّ رَجُلَيْنِ أَحَدُهُمَا وَالأجْرُ بَيْنَهُمَا». رواه مسلم

২/১৮৩। আবূ সাইদ খুদরী রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ হুযাইল গোত্রের একটি শাখা বনু লিহ্ইয়ানের দিকে এক সেনাবাহিনী প্রেরণ [করার ইচ্ছা] করিলেন। সুতরাং তিনি বলিলেন, ‘‘প্রত্যেক দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন যাবে; আর সওয়াব দুজনেই পাবে।’’[2]

3/184 وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنهُمَا : أنَّ رَسُولَ الله ﷺ لَقِيَ رَكْباً بالرَّوْحَاءِ، فَقَالَ: «مَنِ القَوْمُ؟» قَالُوا : اَلْمُسلِمُونَ، فَقَالُوا : مَن أنتَ ؟ قَالَ: «رَسُولُ الله»، فَرَفَعَت إِلَيْهِ امرأةٌ صَبياً، فَقَالَتْ: ألِهَذَا حَجٌّ ؟ قَالَ: «نَعَمْ، وَلَكِ أجْرٌ». رواه مسلم

৩/১৮৪। ইবনি আব্বাস রাঃআঃমা হইতে বর্ণিত, রওহা নামক স্থানে এক কাফেলার সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-এর সাক্ষাৎ হল। তিনি বলিলেন, ‘‘তোমরা কারা?’’ তারা বলিল, ‘[আমরা] মুসলিম।’ অতঃপর তারা বলিল, ‘আপনি কে?’ তিনি বলিলেন, ‘‘[আমি] আল্লাহর রাসূল।’’ অতঃপর একজন মহিলা তার এক বাচ্চাকে তাহাঁর দিকে তুলে বলিল, ‘এর কি হজ্জ আছে?’ তিনি বলিলেন, ‘‘হ্যাঁ, আর তুমিও নেকী পাবে।’’[3]

4/185 وَعَنْ أَبِي مُوسَى الأشعَرِي رضي الله عنه، عَنِ النَّبيّ ﷺ، أنَّه قَالَ: «الخَازِنُ المُسْلِمُ الأمِينُ الَّذِي يُنفِذُ مَا أُمِرَ بِهِ فيُعْطيهِ كَامِلاً مُوَفَّراً طَيِّبَةً بِهِ نَفْسُهُ فَيَدْفَعُهُ إِلَى الَّذِي أُمِرَ لَهُ بِهِ، أحَدُ المُتَصَدِّقين». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

৪/১৮৫। আবূ মূসা আশ‘আরী রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, নবী সাঃআঃ বলেন, ‘‘যে মুসলিম আমানাতদার কোষাধ্যক্ষ মালিকের আদেশ অনুযায়ী কাজ করে এবং সে ভালো মনে তাকে পূর্ণ মাল দেয়, যাকে মালিক দেওয়ার আদেশ করে, সেও সাদকাহকারীদের মধ্যে একজন গণ্য হয়।’’[4]


[1] সহীহুল বুখারী ২৮৪৩, মুসলিম ১৮৯৫, তিরমিযী ১৬২৮, ১৬২৯, ১৬৩১, আবূ দাউদ ২৫০৯, ইবনু মাজাহ ২৭৫৯, আহমাদ ১৬৫৮২, ১৬৫৯১, ১৬৫৯৬, ১৬৬০৮. ২১১৬৮, ২১১৭৩, নাসায়ী ৩১৮০. ৩১৮১, দারেমী ২৪১৯

[2] মুসলিম ১৮৯৬, আবূ দাউদ ২৫১০, আহমাদ ১০৭২৬, ১০৯০৮, ১১০৬৯, ১১১৩৩, ১১৪৫৭,

[3] মুসলিম ১৩৩৬, আবূ দাউদ ১৭৩৫, আহমাদ ১৯০১, ২১৮৮, ২৬০৫, ৩১৮৫, ৩১৯২, মুওয়াত্তা মালেক -৯৬১, নাসায়ী ২৬৪৫, ২৬৪৬, ২৬৪৭, ২৬৪৮, ২৫৪৯

[4] মুসলিম ১৪৩৮, ২২৬০, ২৩১৯, মুসলিম ১০২৩, ১৬৯৯, আবূ দাউদ ১৬৮৪, আহমাদ ১৯০১৮, ১৯১২৭, ১৯১২৮, ১৯১৫৩, ১৯২০৭, নাসায়ী ২৫৬০


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply