নবী সাঃ এর নুবুওয়াতের প্রমাণ, বয়স ও বার্ধক্য
নবী সাঃ এর নুবুওয়াতের প্রমাণ, বয়স ও বার্ধক্য >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
২৯. অধ্যায়ঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর বার্ধক্য
৩০. অধ্যায়ঃ মোহরে নুবুওয়াতের প্রমাণ, গুণাবলী এবং নবী [সাঃআঃ] -এর শরীরে তার অবস্থান
৩১. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] -এর গুণাবলী, নুবূওয়াত প্রাপ্তি ও বয়স প্রসঙ্গ
৩২. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] -এর ওফাতকালে বয়স কত ছিল
৩৩. অধ্যায়ঃ মাক্কায় ও মাদীনায় নবী [সাঃআঃ] -এর অবস্থানকাল কত ছিল
২৯. অধ্যায়ঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর বার্ধক্য
৫৯৬৭. আবু বাকর ইবনি আবু শাইবাহ্, ইবনি নুমায়র ও আমর আন্ নাকিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আনাস [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করা হলো, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি খিযাব [কলপ] লাগাতেন? তিনি বললেনঃ এতটুকু বার্ধক্য তাহাঁর মধ্যে লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু ইবনি ইদ্রীস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, তিনি যেন সামান্য করছিলেন। তবে আবু বকর ও উমর [রাদি.] মেহেদী এবং কাতাম দ্বারা কলপ লাগিয়েছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৬৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯০০]
৫৯৬৮. ইবনি সীরীন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনি মালিক [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি খিযাব লাগিয়েছিলেন? উত্তরে আনাস [রাদি.] বললেনঃ তিনি [সাঃআঃ] খিযাব লাগানোর বয়সে পৌঁছাননি। এরপর তিনি বলিলেন, তাহাঁর [সাঃআঃ-এর] দাড়িতে কিছু সাদা লোম ছিল মাত্র। ইবনি সীরীন [রাদি.] বলেন, আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আবু বকর [রাদি.] লাগাতেন কি? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। মেহেদী ও কাতাম দ্বারা খিযাব লাগাতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৬৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯০১]
৫৯৬৯. ইবনি সীরীন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আনাস ইবনি মালিক [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি কলপ দিতেন? তিনি বলিলেন, তাহাঁর মধ্যে কিছু মাত্র বার্ধক্য দেখা দিয়েছিল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৬৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯০২]
৫৯৭০. আবু রাবী আতাকী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আনাস ইবনি মালিক [রাদি.]-কে নবী [সাঃআঃ]-এর কলপ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বলেন, আমি যদি ইচ্ছা করতাম তাহলে তাহাঁর মাথার শুভ্র চুল গুনে ফেলতে পারতাম। তিনি বলেন, তিনি কলপ দেননি। তবে আবু বকর [রাদি.] মেহেদী এবং কাতাম [ঘাস জাতীয় এক ধরনের উদ্ভিদ] দ্বারা কলপ মেখেছেন এবং উমর [রাদি.] কেবল মেহেদী দ্বারা কলপ লাগিয়েছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৬৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯০৩]
৫৯৭১. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, কারো চুল ও দাড়ির সাদা চুল উঠিয়ে ফেলা মাকরূহ এবং রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কক্ষনো কলপ দেননি। কিছু সাদা তাহাঁর অধরের৩৬ নীচের ছোট দাড়িতে ছিল, তাহাঁর কানপট্টিতে কিছু আর মাথায় কিছু ছিল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯০৪]
৩৬নিচের ঠোঁট ও চিবুকের মধ্যবর্তী ক্ষুদ্র কেশগুচ্ছকে [আরবি] [অধর] বলা হয়।
৫৯৭২. মুহাম্মাদ ইবনিল মুসান্না [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
এ সূত্রেই হাদীসটি রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯০৫]
৫৯৭৩. মুহাম্মাদ ইবনিল মুসান্না, ইবনি বাশ্শার, আহ্মাদ ইবনি ইব্রাহীম দাওরাকী ও হারূন ইবনি আবদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
এঁরা সবাই রিওয়ায়াত করেন যে, নবী [সাঃআঃ]-এর বার্ধক্যের ব্যাপারে আনাস [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলিলেন, আল্লাহ তাঁকে বার্ধক্য দিয়ে সৌন্দর্যহীন করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৬৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯০৫]
৫৯৭৪. আবু জুহাইফাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে এতটুকু সাদা হইতে দেখেছি। আর যুহায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এ কথা বলার সময় তাহাঁর কতক অঙ্গুলি ছোট দাড়ির উপর রাখলেন। পরে লোকেরা আবু জুহাইফাহ্কে বলিল, আপনি তখন কেমন বয়সের ছিলেন? তিনি বলিলেন, আমি তীর তৈরী করা ও তাতে পাখা লাগানোর বয়সে উপনীত হয়েছি
। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৭০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯০৬]
৫৯৭৫.আবু জুহাইফাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দেখেছি, তাহাঁর রং ছিল শুভ্র, তিনি প্রায় বার্ধক্যেই উপনীত হয়েছিলেন, হাসান ইবনি আলী [রাদি.] দেখিতে তাহাঁর মতোই ছিল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৭১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯০৭]
৫৯৭৬. আবু জুহাইফাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করিয়াছেন; তবে এর বর্ণনাকারীরা “ফর্সা এবং প্রায় বৃদ্ধি হয়ে গিয়েছিলেন” এ কথাগুলো বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৭২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯০৮]
৫৯৭৭. সিমাক ইবনি হার্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে শুনেছি, তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ]-এর বার্ধক্যের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলিলেন, যখন তিনি মাথায় তেল মাখতেন তখন সাদা বর্ণ দেখা যেত না। কিন্তু যখন তেল মাখতেন না তখন দেখা যেত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯০৯]
৫৯৭৮. জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর চুল এবং দাড়ির সামনের অংশ সাদা হয়ে গিয়েছিল। তিনি যখন তেল দিতেন [সাদা] চুল তখন দেখা যেত না, আর যখন চুল অগোছালো হত তখন [সাদা] দেখা যেত। তাহাঁর দাড়ি প্রচুর ঘন ছিল। জনৈক লোক বলিল, তাহাঁর চেহারা ছিল তরবারির ন্যায়। জাবির [রাদি.] বলিলেন, না, তাহাঁর চেহারা ছিল সূর্য ও চন্দ্রের ন্যায় [উজ্জ্বল] গোলাকার। আমি তাহাঁর পিঠের উপরিভাগে কবুতরের ডিম সদৃশ নুবূওয়াতের মোহর দেখেছি। এটির রং ছিল তাহাঁর গায়ের রংয়ের মতো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৭৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯১০]
৩০. অধ্যায়ঃ মোহরে নুবুওয়াতের প্রমাণ , গুণাবলী এবং নবী [সাঃআঃ] -এর শরীরে তার অবস্থান
৫৯৭৯. জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর পিঠে মোহরে নুবূওয়াত দেখেছি- যেন তা দেখিতে কবুতরের ডিমের ন্যায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৭৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯১১]
৫৯৮০. সিমাক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এ সূত্রে অনুরূপ হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৭৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯১২]
৫৯৮১.সায়িব ইবনি ইয়াযীদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমার খালা আমাকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট নিয়ে গেলেন। তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! এটি আমার বোনের পুত্র। সে রোগগ্রস্ত। তখন তিনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন এবং আমার জন্য বারাকাতের দুআ করিলেন। তারপর তিনি ওযূ করিলেন। আমি তাহাঁর ওযূর পানি হইতে পান করলাম। অতঃপর তাহাঁর পশ্চাতে দাঁড়ালাম এবং তাহাঁর দুকাঁধের মাঝে মোহরে নুবূওয়াত প্রত্যক্ষ করলাম হাজালার ডিমের ন্যায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৭৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯১৩]
৫৯৮২.আবদুল্লাহ ইবনি সারজিস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে দেখেছি এবং তাহাঁর সাথে গোশ্ত ও রুটি খেয়েছি কিংবা বলেছেন সারীদ খেয়েছি। তিনি বলেন যে, আমি তাঁকে বললাম, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিয়াছেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ! তোমার জন্যও। অতঃপর এ আয়াতটি তিলওয়াত করিলেন,
وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ
“তোমরা পাপের জন্য মার্জনা চাও এবং ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদের জন্য”- [সুরা মুহাম্মাদ ৪৭:১৯]।আবদুল্লাহ বলেন, এরপর আমি ঘুরে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর পিছনে গেলাম। আর মোহরে নুবূওয়াত দেখলাম, যা দুকাঁধের মধ্যবর্তী বাম দিকের বাহুর হাড়ের নিকট অঙ্গুলির ন্যায়, যাতে তিলক ছিল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯১৪]
৩১. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] -এর গুণাবলী, নুবূওয়াত প্রাপ্তি ও বয়স প্রসঙ্গ
৫৯৮৩. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বেশি লম্বাও ছিলেন না এবং বেশি খাটোও ছিলেন না। আবার একেবারে সাদাও ছিলেন না এবং অতিরঞ্জিত সাদা কালো মিশ্রিত ও ছিলেন না। তাহাঁর চুল বেশি কোঁকড়ানো ও ছিল না এবং একেবারে সোজা ও ছিল না। চল্লিশ বছর বয়সে আল্লাহ তাআলা তাঁকে নুবূওয়াত দান করেন। অতঃপর তিনি মাক্কায় দশ বছর অবস্থান করেন এবং মাদীনায় দশ বছর। ষাঁট বছরের মাথায় আল্লাহ তাআলা তাঁকে ওফাত দান করেন। এ সময় তাহাঁর মাথায় ও দাড়িতে বিশটি কেশও সাদা ছিল না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯১৫]
৫৯৮৪. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
মালিক ইবনি আনাস বর্ণিত হাদীসের অবিকল রিওয়ায়াত করিয়াছেন। তাঁরা তাঁদের হাদীসে “উজ্জ্বল সাদা বর্ণের ছিলেন” বর্ধিত বলেছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৮০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯১৬]
৩২. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] -এর ওফাতকালে বয়স কত ছিল
৫৯৮৫. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ওফাত হয়েছে তেষট্টি বছর বয়সে, আবু বাক্র সিদ্দীক [রাদি.]-এরও তেষট্টি বছর বয়সে, উমর [রাদি.]-এরও তেষট্টি বছর বয়সে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৮১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯১৭]
৫৯৮৬. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ওফাত হলো, তখন তাহাঁর বয়স তেষট্টি বছর হয়েছিল।
ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, সাঈদ ইবনি মুসাইয়্যিব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-ও আমাকে অনুরূপ জানিয়েছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৮২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯১৮]
৫৯৮৭.ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
দুটো সূত্রের মাধ্যমে উকায়ল-এর হাদীসের হুবহু রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯১৯]
৩৩. অধ্যায়ঃ মাক্কায় ও মাদীনায় নবী [সাঃআঃ] -এর অবস্থানকাল কত ছিল
৫৯৮৮. আম্র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি উরওয়াহ্কে প্রশ্ন করলাম, নবী [সাঃআঃ] মাক্কায় কতদিন ছিলেন? তিনি বলিলেন, দশ বছর। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, ইবনি আব্বাস [রাদি.] তো বলেন, তেরো বছর।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯২০]
৫৯৮৯.আম্র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি উরওয়াহ্কে প্রশ্ন করলাম, নবী [সাঃআঃ] মাক্কায় কত দিন অবস্থান করেছিলেন? তিনি বলিলেন, দশ বছর। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, ইবনি আব্বাস তো বলেন, দশ বছরের বেশি। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি ইবনি আব্বাসের জন্য দুআ করে বলিলেন, তিনি এ তত্ত্ব কবিদের থেকে গ্রহণ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯২১]
৫৯৯০.ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
মাক্কায় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তের বছর ছিলেন এবং তেষট্টি বছর বয়সে তিনি ইন্তিকাল করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৮৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯২২]
৫৯৯১. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাক্কায় তের বছর অবস্থান করেছিলেন, সে সময় তাহাঁর উপর ওয়াহী অবতীর্ণ হয় এবং মাদীনায় দশ বছর ছিলেন। আর তাহাঁর যখন ওফাত হয়, তখন তাহাঁর বয়স ছিল তেষট্টি বছর।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯২৩]
৫৯৯২. আবু ইসহাক্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনি উত্বাহ্ [রাদি.]-এর সাথে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন মানুষেরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর বয়স নিয়ে আলোচনায় লিপ্ত হল। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বলিল, আবু বকর [রাদি.] [বয়সে] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর তুলনায় বড় ছিলেন। আবদুল্লাহ [রাদি.] বলিলেন, যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ইন্তিকাল হয় তখন তাহাঁর বয়স হয়েছিল তেষট্টি বছর। আর আবু বকর [রাদি.]-এর যখন ওফাত হয়, তখন তাহাঁর বয়সও তেষট্টি বছর হয়েছিল। আর উমর [রাদি.] শাহাদাত বরণ করেন তখন তাহাঁর বয়স হয়েছিল তেষট্টি বছর।
বর্ণনাকারী বলেন, লোকদের মাঝে আম্র ইবনি সাদ নামধারী একজন বলিল, জারীর আমাকে বলেছেন যে, আমরা মুআবিয়াহ্ [রাদি.]-এর নিকট বসা ছিলাম। মানুষেরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর বয়সের বর্ণনা করিল। সে সময় মুআবিয়াহ্ [রাদি.] বলিলেন, যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ইন্তিকাল হয় তখন তাহাঁর বয়স ছিল তেষট্টি বছর। আর যখন আবু বকর [রাদি.] ইন্তিকাল করেন তখন তাহাঁর বয়স ছিল তেষট্টি বছর এবং উমর [রাদি.] শাহাদাতপ্রাপ্ত হন তখন তাহাঁর বয়সও তেষট্টি বছর ছিল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯২৪]
৫৯৯৩. জারীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি মুআবিয়াহ্ [রাদি.]-কে খুতবাহ্ দিতে শুনেছেন। মুআবিয়াহ্ [রাদি.] বলিলেন, যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ওফাত হয়, তখন তাহাঁর বয়স ছিল তেষট্টি বছর। আবু বকর [রাদি.], উমর [রাদি.]-ও তেষট্টি বছর [বয়সে ইন্তিকাল করেন] এবং আমি তেষট্টি বছর [বয়সের]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৮৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯২৫]
৫৯৯৪. বানূ হাশিমের মুক্তদাস আম্মার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনি আব্বাস [রাদি.]-কে প্রশ্ন করলাম, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যখন ওফাত হয় তখন তাহাঁর [বয়স] কত ছিল? ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলিলেন, আমি চিন্তা করিনি যে, তুমি তাহাঁর গোত্রের ব্যক্তি হয়েও এ কথাটা অজানা রইবে। আমি বললাম, আমি লোকদের প্রশ্ন করেছি, তারা ভিন্ন মতাবলম্বন করিয়াছেন। তাই এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য জানা আমি বেশি ভাল মনে করলাম। ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলিলেন, তুমি কি হিসাব করিতে জানো? তিনি বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলিলেন, আচ্ছা চল্লিশ স্মরণ রেখ। এ সময় তিনি রসূল হন। এর সাথে পনের বছর যোগ করো, মাক্কায় যখন অবস্থান করেন ভয় এবং নিরাপত্তায়। আরো দশ হিজরাতের পর হইতে মাদীনায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৯০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯২৬]
৫৯৯৫. ইউনুস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত সূত্রে ইয়াযীদ ইবনি যুরাই-এর হাদীসের অবিকল রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৯১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯২৭]
৫৯৯৬. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]৩৭ পঁয়ষট্টি বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৯২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯২৮]
৩৭ উল্লেখ্য যে, যাঁরা ভাঙ্গা বছরকেও গণনায় ধরেছেন তারা ৬৫ কিংবা ৬৪ বছর বলেছেন। আর যারা বাদ দিয়েছেন তাদের নিকট ৬৩ বছর গণনায় আসছে। আর এটাই প্রসিদ্ধ মত।
৫৯৯৭. আবু বাকর ইবনি আবু শাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
এ সূত্রে খালিদ হইতে রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৯২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯২৯]
৫৯৯৮. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাক্কায় পনের বছর থাকেন, সাত বছর শব্দ শুনতেন এবং আলো দেখিতে পেতেন, কিন্তু ভিন্ন কিছু দেখিতেন না। আর আট বছর তাহাঁর নিকট ওয়াহী আসত। অতঃপর মাদীনায় দশ বছর থাকেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৯৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৩০]
Leave a Reply