নিরর্থক কসম, চাঁদ ও গায়রুল্লাহর নামে শপথ করা নিষেধ

নিরর্থক কসম, চাঁদ ও গায়রুল্লাহর নামে শপথ করা নিষেধ

নিরর্থক কসম, চাঁদ ও গায়রুল্লাহর নামে শপথ করা নিষেধ >> রিয়াদুস সালেহীন  হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন

নিরর্থক কসম, চাঁদ ও গায়রুল্লাহর নামে শপথ করা নিষেধ

পরিচ্ছেদ – ৩১৩ঃ যুলহিজ্জার চাঁদ উঠার পর কুরবানী হওয়া পর্যন্ত কুরবানী করিতে ইচ্ছুক ব্যক্তির নিজ নখ, চুল-গোঁফ ইত্যাদি কাটা নিষিদ্ধ
পরিচ্ছেদ – ৩১৪ঃ গায়রুল্লাহর নামে শপথ করা নিষেধ, আল্লাহ ছাড়া কোন সৃষ্টি; যেমন পয়গম্বর, কা’বা, ফিরিশ্তা, আসমান, বাপ-দাদা, জীবন, আত্মা, মাথা, রাজার জীবন, রাজার অনুগ্রহ, অমুকের কবর, আমানত প্রভৃতির কসম খাওয়া নিষেধ। আমানতের কসম অধিকতর কঠিনভাবে নিষিদ্ধ।
পরিচ্ছেদ – ৩১৫ঃ ইচ্ছাকৃত মিথ্যা কসম খাওয়া কঠোর নিষিদ্ধ
পরিচ্ছেদ – ৩১৬ঃ নির্দিষ্ট বিষয়ে কসম খাওয়ার পর যদি তার বিপরীতে ভালাই প্রকাশ পায়, তাহলে কসমের কাফ্ফারা দিয়ে ভালো কাজটাই করা উত্তম
পরিচ্ছেদ – ৩১৭ঃ নিরর্থক কসম, অহেতুক কথায় কথায় নিরর্থক কসম খাওয়ার ব্যাপারে কোন পাকড়াও হইবে না এবং তাতে কাফ্ফারাও দিতে হইবে না। যেমন অকারণে অনিচ্ছাপূর্বক অভ্যাসগতভাবে ‘আল্লাহর কসম! এটা বটে। আল্লাহর কসম! এটা নয়।’ ইত্যাদি শব্দাবলী মুখ থেকে বের হয়।
পরিচ্ছেদ – ৩১৮ঃ ক্রয়-বিক্রয়ের সময় কসম খাওয়া মকরূহ; যদিও তা সত্য হয়
পরিচ্ছেদ – ৩১৯ঃ আল্লাহর সত্তার দোহাই দিয়ে জান্নাত ছাড়া অন্য কিছু প্রার্থনা করা মকরূহ। অনুরূপ আল্লাহর নামে কেউ কিছু চাইলে না দেওয়া বা সুপারিশ করলে তা অগ্রাহ্য করা মাকরূহ।

পরিচ্ছেদ – ৩১৩: যুলহিজ্জার চাঁদ উঠার পর কুরবানী হওয়া পর্যন্ত কুরবানী করতে ইচ্ছুক ব্যক্তির নিজ নখ, চুল-গোঁফ ইত্যাদি কাটা নিষিদ্ধ

১৭১৫. উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যার কাছে এমন কুরবানীর পশু আছে যাকে যবেহ করার ইচ্ছা রাখে, সে যেন যুলহিজ্জার চন্দ্রোদয়ের পর থেকে কুরবানী যবেহ না করা পর্যন্ত নিজ চুল, নখ কিছু অবশ্যই না কাটে।’’

(মুসলিম ১৯৭৭, তিরমিজী ১৫২৩, আবু দাঊদ ২৭৯১, নাসাঈ ৪৩৬১, ৪৩৬২, ৪৩৬৪, ইবনু মাজাহ ৩১৪৯, ৩১৫০, আহমাদ ২৫৯৩৫, দারেমী ১৯৪৭, ১৯৪৮) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩১৪: গায়রুল্লাহর নামে শপথ করা নিষেধ

১৭১৬. ইবনে উমার রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে তোমাদের বাপ-দাদার নামে শপথ করতে নিষেধ করিয়াছেন। সুতরাং যে শপথ করতে চায়, সে যেন আল্লাহর নামে শপথ করে; নচেৎ চুপ থাকে।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ২৬৭৯, ৩৮৩৬, ৬১০৮, ৬৬৪৬, ৬৬৪৭, ৬৬৪৮, ৭৪০১, মুসলিম ১৬৪৬, তিরমিজী ১৫৩৩, ১৫৩৪, ১৫৩৫, নাসাঈ ৩৭৬৬-৩৭৬৮, আবু দাঊদ ৩২৪৯, ইবনু মাজাহ ২০৯৪, আহমাদ ৪৫০৯, ৪৫৩৪, ৪৫৭৯, ৪৬৫৩, ৪৬৮৯, ১৮৮৬, ৫৩৫২, ৫৪৩৯, ৫৫৬৮, ৫৭০২, ৬০৩৬, ৬২৫২, মুওয়াত্তা মালিক ১০৩৭, দারেমী ২৩৪১) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭১৭. আব্দুর রহমান ইবনে সামুরাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘তোমরা তাগূত (শয়তান ও মূর্তি)র নামে শপথ করো না এবং তোমাদের বাপ-দাদার নামেও না।’’

(মুসলিম ১৬৪৮, নাসাঈ ৩৭৭৪, ইবনু মাজাহ ২০৯৫, আহমাদ ২০১০১) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭১৮. বুরাইদাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি আমানতের কসম খাবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’’

(আবু দাঊদ ৩২৫৩, আহমাদ ২২৪৭১ ) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭১৯. উক্ত রাবী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি কসম খেয়ে বলল যে, ‘আমি ইসলাম হইতে (দায়) মুক্ত।’ অতঃপর যদি (তাতে) সে মিথ্যাবাদী হয়, তাহলে তেমনি হবে, যেমন সে বলেছে। আর যদি সে (তাতে) সত্যবাদী হয়, তাহলে নিখুঁতভাবে ইসলামে কখনোই ফিরতে পারবে না।’’

(আবু দাঊদ ৩২৫৮, নাসাঈ ৩৭৭২, ইবনু মাজাহ ২১০০, আহমাদ ২২৪৯৭) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭২০. ইবনে উমার রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি একটি লোককে বলতে শুনলেন ‘না, কা’বার কসম!’ ইবনে উমার বললেন, ‘আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কসম খেয়ো না। কেননা, আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘যে ব্যক্তি গায়রুল্লাহর নামে কসম করে, সে কুফরী অথবা শির্ক করে।’’

(হাদীসটি সহীহ্। আমি [আলবানী] বলছিঃ মুসান্নিফ [রাহি] ‘‘রুবিয়া’’ শব্দ দ্বারা ইঙ্গিত করিয়াছেন যে, হাদীসটির সনদ দুর্বল। আসলে তিনি যেরূপ বলেছেন সেরূপই। আমি ‘‘য‘ঈফা’’ গ্রন্থে [১৮৫০] এটির তাখরীজ করেছি এবং এর সমস্যা বর্ণনা করেছি [এ সব কথাগুলো পূর্বের]। কিন্তু তিনি পরবর্তীতে হাদীসটিকে সহীহ্ আখ্যা দিয়েছেন। দেখুন ‘‘সহীহ্ তারগীব অততারহীব’’ [২৯৫২], ‘‘সিলসিলাহ্ সহীহাহ্’’ [২০৪২], ‘‘সহীহ্ জামে‘উস সাগীর’’ [১৫৩৫], ‘‘ইরওয়াউল গালীল’’ [২৫৬১]। সহীহুল বুখারী শরীফ ২৬৭৯, ৩৮৩৬, ৬১০৮, ৬৬৪৬, ৬৬৪৭, ৬৬৪৮, ৭৪০১, মুসলিম ১৬৪৬, তিরমিজী ১৫৩৩, ১৫৩৪, ১৫৩৫, নাসাঈ ৩৭৬৬-৩৭৬৮, আবু দাঊদ ৩২৪৯, ইবনু মাজাহ ২০৯৪, আহমাদ ৪৫০৯, ৪৫৩৪, ৪৫৭৯, ৪৬৫৩, ৪৬৮৯, ১৮৮৬, ৫৩৫২, ৫৪৩৯, ৫৫৬৮, ৫৭০২, ৬০৩৬, ৬২৫২, মুওয়াত্তা মালিক ১০৩৭, দারেমী ২৩৪১) কোন কোন আলেমের ব্যাখ্যানুসারে শেষোক্ত বাক্যটি কঠোরতা ও কঠিন তাকীদ প্রদর্শনার্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন বর্ণনা করা হয় যে, নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘রিয়া শির্ক।’’ (যার অর্থ ছোট শির্ক।) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩১৫: ইচ্ছাকৃত মিথ্যা কসম খাওয়া কঠোর নিষিদ্ধ

১৭২১.ইবনে মাসঊদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি কোন মুসলিম ব্যক্তির মাল নাহক আত্মসাৎ করার জন্য মিথ্যা কসম খাবে, সে আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করিবে, যখন তিনি তার উপর ক্রোধান্বিত থাকবেন। অতঃপর এর সমর্থনে আল্লাহ আযযা অজাল্লার কিতাব থেকে রসুলুল্লাহ সাঃআঃ এই আয়াত পড়ে শোনালেন, যার অর্থ, ‘যারা আল্লাহর প্রতিশ্রুতি ও নিজেদের শপথ স্বল্প মূল্যে বিক্রয় করে, পরকালে তাদের কোন অংশ নেই। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদের দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) চেয়ে দেখবেন না, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করিবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ২৩৫৭, ২৪১৭, ২৫১৬, ২৬৬৭, ২৬৭০, ২৬৭৩, ২৬৭৭, ৪৫৫০, ৬৬৫৯, ৬৬৭৬, ৭১৮৩, ৭৪৪৫, মুসলিম ১৩৮, তিরমিজী ১২৫৯, ২৯৯৬, আবু দাঊদ ৩২৪৩, ইবনু মাজাহ ২৩২৩, আহমাদ ৩৫৬৬, ৩৫৮৬, ৩৯৩৬, ৪০৩৯, ৪২০০, ৪৩৮১) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭২২. আবু উমামাহ ইয়াস ইবন সা’লাবাহ হারেসী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি কোন মুসলিম ব্যক্তির অধিকার নিজ কসম দ্বারা আত্মসাৎ করিবে, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নামের আগুন ওয়াজেব ক’রে দেবেন এবং তার উপর জান্নাত হারাম ক’রে দেবেন।’’ এ কথা শুনে তাঁকে এক ব্যক্তি বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! যদি তা সামান্য জিনিস হয় তবুও?’ তিনি বললেন, ‘‘যদিও পিল্লু গাছের একটি ডালও হয়।’’

(মুসলিম ১৩৭, নাসাঈ ৫৪১৯, ইবনু মাজাহ ২৩২৪, আহমাদ ২১৩৬, মুওয়াত্তা মালিক ১৪৩৫, দারেমী ২৬০৩) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭২৩. আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘কাবীরাহ গোনাহ হচ্ছে আল্লাহর সাথে শির্ক করা। মাতা-পিতার অবাধ্যাচরণ করা, (অন্যায় ভাবে) কোন প্রাণ হত্যা করা, মিথ্যা কসম খাওয়া।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬৬৭৫, ৬৮৭০, ৬৯২০, তিরমিজী ৩০২১, নাসাঈ ৪০১১, আহমাদ ৬৮৪৫, ৬৯৬৫, দারেমী ২৩৬০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩১৬: নির্দিষ্ট বিষয়ে কসম খাওয়ার পর যদি তার বিপরীতে ভালাই প্রকাশ পায়, তাহলে কসমের কাফফারা দিয়ে ভালো কাজটাই করা উত্তম

১৭২৪. আব্দুর রহমান ইবনে সামুরাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাঃআঃ আমাকে বললেন, ‘‘যখন তুমি কোন কিছুর ব্যাপারে কসম খাবে এবং তা ব্যতীত অন্য কিছুর মধ্যে কল্যাণ দেখতে পাবে, তবে নিজ কসমের কাফফারা দিয়ে (যাতে কল্যাণ নিহিত আছে) সেই উত্তমটি গ্রহণ করো।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬৬২২, ৬৭২২, ৭১৪৬, ৭১৪৭, মুসলিম ১৬৫২, তিরমিজী ১৫২৯, নাসাঈ ৩৭৮২, ৩৭৮৩, ৩৭৮৪, ৫৩৮৪, আবু দাঊদ ২৯২৯, ৩২৭৭, আহমাদ ২০০৯৩, ২০০৯৫, ২০১০৫, দারেমী ২৩৪৬) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭২৫. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি কোন কিছুর ব্যাপারে কসম খায় এবং তা ব্যতীত অন্য কিছুর মধ্যে কল্যাণ দেখতে পায়, তাহলে সে যেন তার কসমের কাফফারা দিয়ে যেটি উত্তম সেটি গ্রহণ করে।’’

(মুসলিম ১৬৫০, তিরমিজী ১৫৩০, মুওয়াত্তা মালিক ১০৩৪) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭২৬. আবু মুসা আশআরী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘আল্লাহর শপথ! ইন শাআল্লাহ, আমি যখনই কিছুর ব্যাপারে হলফ করব, তারপর তার চেয়ে উত্তম কিছু দেখতে পাব, তখন আমার কসম ভঙ্গের কাফফারা দিয়ে যেটি উত্তম সেটিই করব।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৩১৩৩, ৪৩৮৫, ৪৪১৫, ৫৫১৭, ৫৫১৮, ৬৬২৩, ৬৬৪৯, ৬৬৭৮, ৬৬৮০, ৬৭১৮, ৬৭২১, ৭৫৫৫, মুসলিম ১৬৪৯, তিরমিজী ১৮২৬, ১৮২৭, নাসাঈ ৪৩৪৬, ৪৩৪৭, ইবনু মাজাহ ২১০৭, আহমাদ ১৯০২৫, ১৯০৬০, ১৯০৯৪, ১৯১২৫, ১৯১৪৩, ১৯২৫০, দারেমী ২০৫৫) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭২৭. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি আপন পরিবার পরিজনের ব্যাপারে কসম খায় ও (তার চেয়ে উত্তম অন্য কিছুতে জেনেও) তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে, সে ব্যক্তির জন্য আল্লাহর নিকট এই কর্মটি বেশি গোনাহর কারণ হবে এই কর্ম থেকে যে, সে (কসম ভেঙ্গে) সেই কাফফারা আদায় করিবে, যা আল্লাহ তার উপর ফরয করিয়াছেন।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬৬২৫, ৬৬২৬, মুসলিম ১৬৫৫, ইবনু মাজাহ ২১৪৪, আহমাদ ৭৬৮৫, ২৭৪২৭) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩১৭: নিরর্থক কসম

১৭২৮. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘এই আয়াত (যার অর্থ) ‘‘আল্লাহ তোমাদের অর্থহীন কসমের জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করিবেন না।’’ (সূরা মায়েদা ৮৯ আয়াত) এমন লোকের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে, যে (অজ্ঞাতসারে অভ্যাসগতভাবে কথায় কথায় কসম ক’রে) বলে, আল্লাহর কসম! এটা নয়। আল্লাহর কসম! এটা বটে।’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৪৬১৩, ৬৬৬৩, আবু দাঊদ ৩২৫৪, মুওয়াত্তা মালিক ১০৩২) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩১৮: ক্রয়-বিক্রয়ের সময় কসম খাওয়া মকরুহ ; যদিও তা সত্য হয়

১৭২৯. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘কসম পণ্যদ্রব্য বিক্রয় বৃদ্ধি করে বটে; (কিন্তু) তা লাভ (বরকত) বিনষ্ট করে।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ২০৮৭, মুসলিম ১৬০৬, নাসাঈ ৪৪৬১, আবু দাঊদ ৩৩৩৫, আহমাদ ৭১৬৬, ৭২৫১, ৯০৮৫) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭৩০. আবু ক্বাতাদাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে বলতে শুনেছেন যে, ‘‘তোমরা কেনা-বেচার সময় অধিকাধিক কসম খাওয়া থেকে দূরে থাক। কেননা, তা বিক্রয় বৃদ্ধি করে; (কিন্তু) বরকত মুছে দেয়।’’

(মুসলিম ১৬০৭, নাসাঈ ৪৪৬০, ইবনু মাজাহ ২২০৯, আহমাদ ২২০৩৮, ২২০৬৫) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩১৯: আল্লাহর সত্তার দোহাই দিয়ে জান্নাত ছাড়া অন্য কিছু প্রার্থনা করা মকরুহ। অনুরূপ আল্লাহর নামে কেউ কিছু চাইলে না দেওয়া বা সুপারিশ করলে তা অগ্রাহ্য করা মকরূহ।

১৭৩১. জাবির রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, আল্লাহর সত্ত্বার দ্বারা জান্নাত ব্যতীত অন্য কিছু চাওয়া ঠিক নয়।

[আবু দাউদ] (আমি [আলবানী] বলছিঃ এর সনদটি দুর্বল। যেমনটি মুনযেরী প্রমুখ বলেছেন। দেখুন ‘‘মাজমূ‘ ফাতাওয়াল আলবানী’’ [১/২৩৪]। উল্লেখ্য আল্লাহর সত্বার দ্বারা কিছু চাইলে তাকে প্রদান করার জন্য রসূল [স] নির্দেশ দিয়েছেন মর্মে সহীহ্ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। অথচ এ দুর্বল হাদীসে আল্লাহর সত্বার দ্বারা শুধুমাত্র জান্নাত চাওয়াকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। দেখুন ‘‘সহীহ্ আবী দাঊদ’’ [৫১০৮] ও ‘‘সিলসিলাহ্ সহীহাহ্’’ [২৫৩]।)

হাদীসটির মানঃ দুর্বল হাদীস

১৭৩২. ইবনে উমার রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘কেউ আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করলে, তাকে আশ্রয় দাও। আর যে আল্লাহর নামে যাচ্ঞা করিবে, তাকে দান কর। যে তোমাদেরকে নিমন্ত্রণ দেবে, তোমরা তার নিমন্ত্রণ গ্রহণ কর। যে তোমাদের উপকার করিবে, তোমরা তার (যথোচিত) প্রতিদান দাও। আর যদি তোমরা তার (যথার্থ) প্রতিদানযোগ্য কিছু না পাও, তাহলে তার জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত দুআ করতে থাক, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের এ ধারণা বদ্ধমূল হবে যে, তোমরা তার (সঠিক) প্রতিদান আদায় করে দিয়েছ।

[সহীহ হাদীস, আবু দাঊদ, নাসাঈ বুখারী-মুসলিমের সানাদযোগে] (নাসাঈ ২৫৬৭, আবু দাঊদ ১৬৭২, আহমাদ ৫৭০৯, ৬০৭১ ) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

Comments

Leave a Reply