নাসায়ী শরীফ – মদ ও আঙুরের রস বিক্রি করা মাকরুহ
নাসায়ী শরীফ – মদ ও আঙুরের রস বিক্রি করা মাকরুহ >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ৫২, বিভিন্ন প্রকার পানীয়, হাদীস (৫৬৫৯-৫৭৫৮)
১.পরিচ্ছেদঃ মদপান কি গুরুতর পাপ তার নির্দেশক হাদীসসমূহ
২.পরিচ্ছেদঃ মদ্যপায়ীর সালাতের অবস্থা নির্দেশক হাদীস
৩.পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান থেকে যে সকল পাপ জন্ম নেয়
৪.পরিচ্ছেদঃ মদ্যপায়ীর তাওবা
৫.পরিচ্ছেদঃ মাদকাসক্তদের পরিণাম
৬.পরিচ্ছেদঃ মদ্যপায়ীকে নির্বাসনে দেওয়া
৭.পরিচ্ছেদঃ যারা মাদকদ্রব্যকে বৈধ বলেছেন, তাহাদের দলীল
৮.পরিচ্ছেদঃ মদ বৈধ হওয়ার ব্যাপারে আবদুল মালিক ইবনি নাফি কর্তৃক আবদুল্লাহ ইবনি উপর [রাঃআঃ] বর্ণিত হাদিসের দ্বারা অজুহাত পেশ করা
৯.পরিচ্ছেদঃ মদ বৈধ হওয়ার ব্যাপারে আবদুল মালিক ইবনি নাফি কর্তৃক আবদুল্লাহ ইবনি উপর [রাঃআঃ] বর্ণিত হাদিসের দ্বারা অজুহাত পেশ করা
১০.পরিচ্ছেদঃ মদ্যপায়ীদের লাঞ্চনা ও কঠিন শাস্তি
১১.পরিচ্ছেদঃ সন্দেহযুক্ত বস্তু ত্যাগের প্রতি উৎসাহ দান
১২.পরিচ্ছেদঃ শরাব প্রস্তুতকারীর নিকট কিশমিশ বিক্রি করা অনুচিত
১৩.পরিচ্ছেদঃ আঙুরের রস বিক্রি করা মাকরুহ
১৪.পরিচ্ছেদঃ কোন্ প্রকার দ্রাক্ষারস পান করা জায়েয এবং কোন্ প্রকার তিলা পান করা নাজায়িয
১৫.পরিচ্ছেদঃ কোন্ রস পান করা যায় এবং কোন্ রস পান করা যায় ন।
১৬.পরিচ্ছেদঃ যে সব নাবীয পান করা জায়েয আর যেসব নাবীয পান করা নাজায়েয, সে সম্পর্কে
১৭.পরিচ্ছেদঃ নাবীযের ব্যাপারে ইবরাহীমের থেকে বর্ণনাকারীদের মতপার্থক্য
১৮.পরিচ্ছেদঃ বৈধ পানীয় সম্পর্কে
১.পরিচ্ছেদঃ মদপান কি গুরুতর পাপ তার নির্দেশক হাদীসসমূহ
৫৬৫৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ব্যভিচারী যখন ব্যভিচার করে, তখন সে মুমিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না। মদখোর যখন মদ পান করে, তখন সে মুমিন অবস্থায় মদ পান করে না। চোর যখন চুরি করে, তখন সে মুমিন অবস্থায় চুরি করে না। আর যখন কোন ডাকাত ডাকাতিতে লিপ্ত হয়, আর লোক চোখ তুলে দেখিতে থাকে, তখন সেও মুমিন অবস্থায় ডাকাতি করে না।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৬০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন ব্যভিচারী ব্যভিচার করে, তখন সে মুমিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না। চোর যখন চুরি করে, তখন সে মুমিন অবস্থায় চুরি করে না। আর কেউ যখন মদ পান করে তখন সে মুমিন অবস্থায় মদ পান করে না এবং যখন কেউ কোন মূল্যবান সম্পদ লুণ্ঠন করে আর মুসলিমগণ তার দিকে তাহাদের চোখ তুলে তাকিয়ে থাকে, তখন সে মুমিন অবস্থায় লুণ্ঠন করে না।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৬১. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
ইবনি উমার [রাঃআঃ] সহ একদল সাহাবী বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে মদ পান করে, তাকে বেত্রাঘাত কর। পুনরায় পান করলে আবার বেত্রাঘাত কর; তারপর আবার পান করলে তাকে হত্যা করো।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৬২. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে মদ পান করে, তাকে কশাঘাত কর, পুনরায় মদ পান করলে তাকে আবার কশাঘাত কর, আবার মদপান করলে আবার কশাঘাত কর, চতুর্থবারে বললেনঃ তাকে হত্যা কর।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৬৩. আবু মূসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলিতেনঃ আমার নিকট মদ্যপান করা অথবা আল্লাহ ব্যতীত এই খুঁটিকে পূজা করা সমান।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২.পরিচ্ছেদঃ মদ্যপায়ীর সালাতের অবস্থা নির্দেশক হাদীস
৫৬৬৪. উরওয়া ইবনি রুওয়ায়ম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
একদা ইবনি দায়লামী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনি আস [রাঃআঃ]-এর খোঁজে সওয়ার হলেন। তিনি বলেনঃ আমি আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হলাম। জিজ্ঞাসা করলামঃ হে আবদুল্লাহ ইবনি আমর! আপনি কি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে মদ সম্বন্ধে কিছু বলিতে শুনেছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ আমার উম্মতের কেউ শরাব পান করলে আল্লাহ তাআলা তার চল্লিশ দিনের নামায কবূল করবেন না।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৬৫. মাসরূক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন বিচারক যখন কোন উপঢৌকন গ্রহণ করে, তখন সে যেন হারাম খায়, আর যখন সে ঘুষ গ্রহণ করে, তখন সে কুফরী পর্যন্ত পৌছায়। মাসরূক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি শরাব পান করে, সে কাফির হইয়া যায়। তার কুফরী এই যে, তার নামায কবূল হয় না।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল মাকতু
৩.পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান থেকে যে সকল পাপ জন্ম নেয়
৫৬৬৬. উসমান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তোমরা মাদকদ্রব্য পরিত্যাগ কর, কেননা তা নানা প্রকার অপকর্মের প্রসূতী। তোমাদের পূর্ববর্তী যুগে এক আবেদ ব্যক্তি ছিল। এক কুলটা রমণী তাকে নিজের ধোঁকাবাজির জালে আবদ্ধ করিতে মনস্থ করে। এজন্য সে তার এক দাসীকে তার নিকট প্রেরণ করে তাকে সাক্ষ্যদানের জন্য ডেকে পাঠায়। তখন ঐ আবেদ ব্যক্তি ঐ দাসীর সাথে গমন করলো। সে যখনই কোন দরজা অতিক্রম করত, দাসী পিছন থেকে সেটি বন্ধ করে দিত। এভাবে সেই আবেদ ব্যক্তি এক অতি সুন্দরী নারীর সামনে উপস্থিত হলো আর তার সামনে ছিল একটি ছেলে এবং এক পেয়ালা মদ। সেই নারী আবেদকে বললোঃ আল্লাহর শপথ! আমি আপনাকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠাইনি বরং এজন্য ডেকে পাঠিয়েছি যে, আপনি আমার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হইবেন, অথবা এই মদ পান করবেন, অথবা এই ছেলেকে হত্যা করবেন। সেই আবেদ বললোঃ আমাকে এই মদের একটি মাত্র পেয়ালা দাও। ঐ নারী তাকে এক পেয়ালা মদ পান করালো। তখন সে বললোঃ আরও দাও। মোটকথা ঐ আবেদ আর থামল না, যাবত না সে তার সাথে ব্যভিচার করলো এবং ঐ ছেলেকেও হত্যা করলো। অতএব তোমরা মদ পরিত্যাগ কর। কেননা, আল্লাহর শপথ! মদ ও ঈমান কখন সহবস্থান করে না। এর একটি অন্যটিকে বের করে দেয়।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৬৬৭. উসমান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তোমরা মদ পরিত্যাগ কর। কেননা, এটাই সকল অনিষ্টের মূল। তোমাদের পূর্ব যুগে এক ব্যক্তি ছিল। সে সর্বদা ইবাদত-বন্দেগীতে লিপ্ত থাকতো। এরপর পূর্বোক্ত ঘটনা বর্ণনা করে বললেনঃ তোমরা মদ পরিত্যাগ কর; কেননা, আল্লাহর শপথ! মদ এবং ঈমান কখনো সহবস্থান করে না; বরং একটি অপরটিকে বের করে দেয়।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৬৮. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মদ পান করলো, অথচ নেশাগ্রস্থ হলো না, তার নামায কবূল হইবে না, যতক্ষণ ঐ মদ তার পেটে অথবা শিরায় অবস্থান করিবে। যদি ঐ ব্যক্তি সে অবস্থায় মারা যায়, তবে তার চল্লিশ দিনের নামায কবূল হইবে না। যদি সে এ অবস্থায় মারা যায় তবে সে কাফির অবস্থায় মারা যাবে।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৬৯. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, আর মুহাম্মদ ইবনি আদম [রাঃআঃ] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মদ পান করে আর তা তার পেটে পৌঁছে, আল্লাহ তাআলা তার সাত দিনের নামায কবূল করেন না। যদি সে এ অবস্থায় মারা যায় তবে সে কাফির অবস্থায় মরবে। যদি সে জ্ঞান হারা হইয়া যায় আর তার কোন ফরয কাজ ছুটে যায়, তা হলে তার চল্লিশ দিনের নামায কবূল হইবে না। যদি সে এ অবস্থায় মারা যায়, তবে সে কাফির হইয়া মারা যাবে।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৪.পরিচ্ছেদঃ মদ্যপায়ীর তাওবা
৫৬৭০. আবদুল্লাহ ইবনি দায়লামী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনি আস [রাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হলাম, তখন তিনি তাহাঁর তায়েফস্থিত ওহাত নামক বাগানে ছিলেন। তিনি কুরায়শের এক যুবকের হাত ধরে চলছিলেন। লোকের ধারণা ছিল যে, ঐ যুবক মদ পান করতো। তিনি বললেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]- কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এক ঢোক শরাব পান করিবে, আল্লাহ পাক চল্লিশ দিনের মধ্যে তার তাওবা কবূল করবেন না। অতঃপর যদি সে তাওবা করে, তবে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। যদি সে পুনরায় পান করে, তবে তার তাওবা চল্লিশ দিন পর্যন্ত কবূল করবেন না; পুনরায় তাওবা করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। এরপরও যদি সে শরাব পান করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা নিশ্চিতরূপে তাকে কিয়ামতের দিন দোযখীদের পুঁজ পান করাবেন।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৭১. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পৃথিবীতে মদ পান করে এবং পরে তাওবা না করে, আখিরাতে সে পবিত্র পানীয় হইতে বঞ্চিত থাকিবে।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫.পরিচ্ছেদঃ মাদকাসক্তদের পরিণাম
৫৬৭২. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ উপকার করে খোঁটা দানকারী আর মাতাপিতার অবাধ্যতাকারী এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করিবে না।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৭৩. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পৃথিবীতে শরাব পান করে মারা যাবে এবং সে সর্বদা পান করতো এবং তা থেকে তাওবা করে নি, আখিরাতে সে পবিত্র পানীয় পান করিতে পাবে না।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৭৪. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পৃথিবীতে সদা-সর্বদা শরাব পান করে মারা যায়, সে আখিরাতে তা অর্থাৎ পবিত্র পান করিতে পাবে না।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৭৫. যাহ্হাক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি সব সময় মদ পান করা অবস্থায় মারা যায়, দুনিয়া ত্যাগ কালে তার চেহারায় গরম পানির ছিঁটা দেয়া হয়।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান মাকতু
৬.পরিচ্ছেদঃ মদ্যপায়ীকে নির্বাসনে দেওয়া
৫৬৭৬. সাঈদ ইবনি মুসায়্যিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
উমার [রাঃআঃ] রবীআ ইবনি উমাইয়্যাকে শরাব পান করার দরুন খায়বরে নির্বাসনে দিয়েছিলেন। পরে সে রোমের বাদশাহ হিরকলের নিকট চলে যায় এবং খৃষ্টধর্ম গ্রহণ করে। তখন উমার [রাঃআঃ] বললেনঃ এরপর আমি আর কোন মুসলমানকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করবো না।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৭.পরিচ্ছেদঃ যারা মাদকদ্রব্যকে বৈধ বলেছেন, তাহাদের দলীল
৫৬৭৭. আবু বুরদা ইবনি নিয়ার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমরা যে কোন পাত্রে পান করিতে পার কিন্তু মাতাল হয়ো না। আবু আবদুর রহমান [ঈমাম নাসাঈ] বলেন, এ হাদীস আপত্তিকর। আবুল আহওয়াস সাল্লাম ইবনি সুলায়ম এতে ভুল করিয়াছেন। সিমাকের অপর কোন ছাত্র তার মত বৰ্ণনা করেন নি, তদুপরি সিমাক শক্তিশালী রাবী নন। সিমাক থেকে শারীক আবুল আহওয়াসের বিপরীত বর্ণনা করিয়াছেন। নিম্নের বর্ণনা দ্রষ্টব্যঃ –
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৫৬৭৮. শারীক সিমাক ইবনি হারব থেকে, তিনি ইবনি বুরায়দা থেকে, তিনি তার পিতা বুরায়দা [রাঃআঃ] থেকে হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কদুর খোল, সবুজ মাটির পাত্র, কাঠের তৈরি পাত্র এবং আলকাতরা মাখা পাত্র থেকে নিষেধ করিয়াছেন। সিমাক থেকে আবু আওয়ানা শারীকের বিপরীত বর্ণনা করিয়াছেন। নিচের বর্ণনা দ্রষ্টব্যঃ
[আরবি]
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫৬৭৯. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমরা পান কর, কিন্তু মাতাল হয়ো না। আবু আব্দুর রহমান বলেন এটাও সঠিক নয়। এই কারসাফা কে আমি জানি না। আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে প্রসিদ্ধ বর্ণনা এর বিপরীত। নিচের বর্ণনা দ্রষ্টব্য ঃ-
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
৫৬৮০. জাসরা বিনত দিজাজা হইতে বর্ণিতঃ
আয়েশা [রাঃআঃ] এর নিকট কিছু লোক নাবীযের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেনঃ আমরা ভোরে খেজুর ভেজাই, সন্ধ্যায় পান করি আবার সন্ধ্যায় ভেজাই এবং ভোরে পান করি। তিনি বলেনঃ আমি কোন মাদকদ্রব্যকে হালাল বলছি না, যদিও তা রুটি হয় বা পানি হয়। একথা তিনি তিনবার বলেন।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫৬৮১. কারীমা বিনত হাম্মাম হইতে বর্ণিতঃ
আমি উন্মুল মুমিনীন আয়েশা [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, তোমাদেরকে কদুর খোল, মাটির পাত্র এবং তৈলাক্ত পাত্র হইতে নিষেধ করা হইয়াছে। এরপর তিনি নারীদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেনঃ যদি সবুজ মাটির পাত্র হইতেও মাদকতা আসতে দেখ, তবে তাতেও পান করিবে না।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস
৫৬৮২. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তাহাঁর নিকট কোন ব্যক্তি শরাবের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সকল মাদকদ্রব্য থেকে নিষেধ করিয়াছেন।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৮৩. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, শরাব বা মদ অল্প হোক অথবা বেশী হোক তা হারাম করা হইয়াছে। অন্যান্য পানীয় ততটুকু হারাম, যখন তাতে মাদকতা সৃষ্টি হয়।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৬৮৪. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
যে, তিনি বলেনঃ মদতো প্রকৃতপক্ষে হারাম বস্তু, তা কম হোক বা বেশী। অন্যান্য পানীয় তখন হারাম, যখন তাতে মাদকতা সৃষ্টি হয়।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৮৫. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
যে, মদ অল্প হোক বা অধিক তা হারাম। আর অন্যান্য পানীয়ের মধ্যে যা মাদকতা সৃষ্টি করে তা-ও হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৮৬. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মদ হারাম বস্তু অল্প হোক বা অধিক। আর অন্যান্য পানীয় যাতে মাদকতা সৃষ্টি হয়, তা হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৮৭. আবু জুওয়ায়রিয়া জারমী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]-এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলাম, তখন তিনি কাবার দিকে পিঠ দিয়ে বসেছিলেন, আমি তাঁকে বাযাক {১} সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ বাযাক বের হওয়ার পুর্বেই রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইন্তিকাল করিয়াছেন। জেনে রাখ! প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম? আরবদের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম এ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছি
{১} বাযাক হচ্ছে আঙ্গুরের রস দিয়ে তৈরি মদ।মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৮৮. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাহাঁর রাসূলের হারাম করা বস্তু হারাম মনে করে, সে যেন নাবীয২ কে হারাম মনে করে।
{২} খেজুর বা কিশমিশের তৈরি পানীয়।মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৬৮৯. আব্দুর রহমান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
যে, এক ব্যক্তি ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]-কে বললোঃ আমি খুরাসানের বাসিন্দা। আমার এলাকা শীত প্রধান। আমরা শুষ্ক এবং ভেজা ফল দ্বারা এক প্রকার পানীয় প্রস্তুত করি, তা হালাল-হারাম হওয়ার ব্যপারে ফয়সালা করা আমাদের জন্য মুশকিল। এরপরসে কয়েক প্রকার পানীয় সম্মন্ধে উল্লেখ করলো। আমি মনে করলাম, হয়তো ইবনি আব্বাস তা চিনতে পারবেন না। ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] বললেনঃ তুমি তো অনেক শরাবের কথাই বললে। মনে রেখ! মাদকদ্রব্য পরিত্যাগ করিবে, তা খেজুর দ্বারা অথবা কিশমিশ দ্বারা অথবা অন্য কিছু দ্বারা তৈরি করা হোক না কেন।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৬৯০. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ কেবল কাঁচা খেজুরের নাবীযও হালাল নয়।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৬৯১. আবু জাম্রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] এবং অন্যান্য লোকের মধ্যে দোভাষীর কাজ করতাম। একবার এক নারী তাহাঁর নিকট উপস্থিত হইয়া কলসে নাবীয প্রস্তুত করা সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে তিনি তাকে তা থেকে নিষেধ করিলেন। আমি বললামঃ হে ইবনি আব্বাস! আমি সবুজ কলসে নাবীয প্রস্তুত করি, মিষ্টি নাবীয, আমি তা পান করলে আমার পেট ভুড়ভুড় করে। তিনি বললেনঃ তা মধু থেকে মিষ্টি হলে [হলেও?] পান করিবে না।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৬৯২. আবু জামরা নসর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]-কে বললামঃ আমার দাদী এক কলসিতে নাবীয প্রস্তুত করেন, যা আমি পান করে থাকি, তা মিষ্টি হয়। অধিকমাত্রায় তা পান করে লোকের মধ্যে যেতে আমার ভয় হয় পাছে লজ্জিত হইয়া পড়ি। তিনি বললেনঃ আবদে কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দল রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বললেনঃ যারা লজ্জিত ও অপদস্থ হয়নি তাহাদেরকে স্বাগত। তারা বললো, ইয়া রসূলুল্লাহ! আমাদের ও আপনার মধ্যে এক মুশরিক দল রয়েছে। তাই আমরা হারাম মাস ব্যতীত আপনার নিকট উপস্থিত হইতে পারি না। অতএব আপনি আমাদেরকে এমন কিছু শিক্ষা দিন, যা দ্বারা আমরা জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারি। আর আমরা অন্যান্য লোকদেরকেও তা শিক্ষা দিতে পারি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ আমি তোমাদেরকে তিনটি কাজ করার আদেশ দিচ্ছি, এবং চারটি কাজ থেকে নিষেধ করছি। আমি তোমাদেরকে এক আল্লাহর উপর ঈমান আনতে আদেশ করছি। তোমরা জানি কি, আল্লাহর উপর ঈমান কী বস্তু? তারা বললেনঃ আল্লাহ ও তাহাঁর রাসূল অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেনঃ একথা সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, নামাজ আদায় করা, যাকাত দেওয়া এবং যুদ্ধলব্ধ মালের এক পঞ্চমাংশ বায়তুল মালে দান করা। আর আমি চারটি বস্তু থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করছি। কদুর খোল, সবুজ মাটির পাত্র, কাঠের পাত্র এবং আলকাতরা মাখানো পাত্রে প্রস্তুত করা নাবীয পান করা হইতে।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৯৩. কায়স ইবনি ওহ্বান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করলামঃ আমার একটি কলস আছে, আমি তাতে নাবীয প্রস্তুত করি। যখন গাঁজিয়ে উঠে, তারপর ঠান্ডা হইয়া যায়, তখন আমি তা পান করি। তিনি বললেনঃ আপনি কতদিন থেকে এভাবে নাবীয পান করছেন? আমি বললামঃ বিশ বছর যাবৎ অথবা চল্লিশ বছর যাবৎ। তিনি বললেনঃ আপনার শিরা বহুদিন থেকে অপবিত্র বস্তু দ্বারা সিঞ্চিত হচ্ছে।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৮.পরিচ্ছেদঃ মদ বৈধ হওয়ার ব্যাপারে আবদুল মালিক ইবনি নাফি কর্তৃক আবদুল্লাহ ইবনি উপর [রাঃআঃ] বর্ণিত হাদিসের দ্বারা অজুহাত পেশ করা
৫৬৯৪. আবদুল মালিক ইবনি নাফি [র] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনি উমার [রা] বলেছেন ঃ আমি এক ব্যক্তিকে নাবীযের পাত্র নিয়ে রসূলুল্লাহ [সাঃ]-এর নিকট হাযির হইতে দেখেছি, তখন তিনি রুকনের নিকট দাঁড়ান অবস্থায় ছিলেন। ঐ ব্যক্তি ঐ পাত্র তাহাঁর সামনে পেশ করলে, তিনি তা নিজের মুখের নিকট নিতেই তা খুব ঝাঁঝালো মনে হলো। তখন তিনি ঐ ব্যক্তিকে তা ফিরিয়ে দিলেন। এই সময় অন্য এক ব্যক্তি বললো ঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! তা কি হারাম ? তিনি বলিলেন ঃ যে ব্যক্তি ঐ পাত্ৰ এনেছিল তাকে ডাক। ঐ ব্যক্তি উপস্থিত হলে রসূলুল্লাহ [সাঃ] তার হাত থেকে ঐ পাত্র নিয়ে নেন এবং পানি আনিয়ে তাতে মিশ্রিত করেন। পরে তিনি বলেনঃ যখন ঐ সকল পাত্রে নাবীয ঝাঁঝাল হয়ে যায়, তখন পানি দ্বারা তার তীব্ৰতা দূর করিবে।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫৬৯৫. আবদুল মালিক ইবনি নাফি [র] হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল মালিক ইবনি নাফি [র] সূত্রে নাবী [সাঃ] থেকে বর্ণনা করিয়াছেন। আবু আবদুর রহমান বলেন, আবদুল মালিক ইবনি নাফি [র] প্রসিদ্ধ নন। তাহাঁর হাদীস দ্বারা প্রমাণ দেওয়া যায় না। ইবনি উমার [রা] থেকে প্রসিদ্ধ বর্ণনা এর বিপরীত, যা নিম্নরূপ ঃ
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫৬৯৬. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
ইবনি উমার [রা] থেকে বর্ণিত যে, তাঁকে কেউ পানীয় সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন ঃ নেশা আনে এমন প্রতিটি বস্তু বর্জন করিবে।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৬৯৭. যায়দ ইবনি জুবায়র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআঃ]-কে পানীয় সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেনঃ প্রত্যেক নেশার বস্তু বর্জন করিবে।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৬৯৮. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নি বলেন, প্রত্যেক নেশাযুক্ত দ্রব্য, অল্প হোক বা অধিক, হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৬৯৯. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
প্রত্যেক নেশাদায়ক দ্রব্য মদ, আর প্রত্যেক নেশাদায়ক দ্রব্য হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৭০০. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা মদ হারাম করিয়াছেন। আর প্রত্যেক নেশাদায়ক দ্রব্য হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৭০১. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রত্যকে মাদকদ্রব্যই হারাম। আর প্রত্যেক নেশাদায়ক দ্রব্যই মদ।
আবু আবদুর রহমান নাসাঈ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেনঃ এ হাদিসের রাবীগণ নির্ভরযোগ, বিশুদ্ধ বর্ণনার ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধ। আবদুল মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]- এর বর্ণিত হাদীস, তাহাদের বর্ণিত হাদিসের মুকাবিলায় গ্রহণযোগ্য হইতে পারে না, যদিও তার মত একদল রাবী তার সমর্থন করে।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৫৭০২. রুকাইয়া বিন্তে আমর ইবনি সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআঃ]- এর নিকট প্রতিপালিত হই। তাহাঁর জন্য কিশমিশ ভেজানো হতো। তিনি তা পরবর্তী দিন পান করিতেন। পরে কিশমিশ শুকিয়ে নেয়া হত এবং তার সাথে অন্য কিশমিশ মিশিয়ে তাতে পানি ঢালা হতো। পরের দিন তিনি তা পান করিতেন। তারপরের দিন তা ফেলে দিতেন। তারা আবু মাসঊদ উকবা ইবনি আমর [রাঃআঃ]-এর বর্ণিত হাদীস দ্বারাও দলীল দিয়ে থাকেন, যা নিম্নরূপঃ
[আরবী]
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল মাওকুফ
৫৭০৩. আবু মাসঊদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার কাবার নিকট রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পিপাসার্ত হন। তিনি পানি চাইলে লোক মশক হইতে নাবীয দিল। তিনি তার গন্ধ শুঁকে তা অপছন্দ করিলেন এবং বললেনঃ আমার নিকট যমযমের পানির পাত্র আনা হোক। তিনি তাতে যমযমের পানি মিশিয়ে তা পান করিলেন। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলোঃ ইয়া রসূলুল্লাহ! তা কি হারাম? তিনি বললেনঃ না।
“এই বর্ণনাটি দুর্বল। ইয়াহ্ইয়া ইবনি ইয়ামান রাবীর বর্ণনা গ্রহনযোগ্য নয়। তাহাঁর স্মরণশক্তি দুর্বল হইয়া গিয়েছিল। তিনি প্রায়ই ভুল করিতেন।মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫৭০৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার জানা ছিল যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কোন কোন বিশেষ দিনে রোজা রাখতেন। একবার আমি তাহাঁর ইফ্তারের জন্য কদুর খোলে নাবীয তৈরি করলাম। সন্ধায় আমি ঐ নাবীয নিয়ে তাহাঁর নিকট উপস্থিত হইয়া বললামঃ ইয়া রসূলুল্লাহ! আমি জানতাম, আপনি এ দিনে রোজা রাখেন। আমি এই নাবীয আপনার ইফ্তারের জন্য এনেছি। তিনি বললেনঃ হে আবু হুরাইরা! তুমি তা আমার কাছে নিয়ে এসো। আমি তা তাহাঁর নিকট নিয়ে গেলে দেখা গেল যে, তা গাঁজাচ্ছে। তিনি বললেনঃ এটা নিয়ে দেয়ালে নিক্ষেপ কর। কেননা এটা ঐ ব্যক্তির পানীয়, যে আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ঈমান রাখে না।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৭০৫. আবু রাফে [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনি খাত্তাব [রাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন তোমরা নাবীয ঝাঁঝবিশিষ্ট হইয়াছে বলে ভয় করিবে, তখন তোমরা এর সাথে পানি মিশিয়ে ঠান্ডা করিবে। আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] বলেন, ঝাঁঝযুক্ত হওয়ার পূর্বেই এরূপ করিতে হইবে।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫৭০৬. সাঈদ ইবনি মুসায়্যিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
সাকীফ গোত্রের লোকজন উমার [রাঃআঃ]-এর সঙ্গে এক প্রকারের পানীয় নিয়ে সাক্ষাত করিল। তিনি তার কাছে নিতে বলিলেন। তারপর তিনি যখন তা মুখের কাছে নিলেন, তখন তাহাঁর কাছে তা খারাপ লাগল। তারপর তিনি পানি মিশিয়ে তার ঝাঁঝ কমিয়ে দিলেন। পরে তিনি বললেনঃ তোমরাও এরূপ করিবে।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫৭০৭. উত্বা ইবনি ফারকাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
উমার [রাঃআঃ] যে নাবীয পান করিতেন তা সির্কা বানিয়ে দেওয়া হত। সায়িবের বর্ণিত হাদীস দ্বারা এর বিশুদ্ধতা প্রমানিত হয়, যা নিম্নরুপঃ
[আরবী]
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৭০৮. সাইব ইবনি ইয়াযীদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
একদা উমার ইবনি খাত্তাব [রাঃআঃ] লোকদের নিকট বের হইয়া বললেনঃ আমি অমুক ব্যক্তির মুখে শরাবের গন্ধ পাচ্ছি। তিনি মনে করিলেন, আঙুরের জ্বালানো রস। তবুও আমি তাকে জিজ্ঞাসা করবো, সে কি পান করেছে? যদি তা মাদকদ্রব্য হয়, তবে আমি তাকে [শরীআতের হদ লাগাব]। পরে উমার ইবনি খাত্তাব [রাঃআঃ] তাকে বেত্রাঘাত করেছিলেন।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৯.পরিচ্ছেদঃ মদ্যপায়ীদের লাঞ্চনা ও কঠিন শাস্তি
৫৭০৯. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
ইয়ামানের জায়শান গোত্রের এক ব্যক্তি এসে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট মিযর নামক এক প্রকার পানীয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলো, যা তারা তাহাদের দেশে পান করে থাকে। তা ভুট্টা হইতে প্রস্তুত হয়। তিনি বললেনঃ তা কি মাদকতা সৃষ্টি করে? সে ব্যক্তি বললোঃ হ্যাঁ। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম। আল্লাহ তাআলা নির্ধারিত করে রেখেছেনঃ যে ব্যক্তি মদ পান করে, তাকে তীনাতুল খাবাল থেকে পান করাবেন। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রসূলুল্লাহ! তীনাতুল খাবাল কি? তিনি বললেনঃ তা হলো দোযখীদের ঘাম অথবা পুঁজ।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১০.পরিচ্ছেদঃ সন্দেহযুক্ত বস্তু ত্যাগের প্রতি উৎসাহ দান
৫৭১০. নুমান ইবনি বশীর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট আর এ দুয়ের মধ্যে রয়েছে বহু সন্দেহযুক্ত বস্তু – আমি তা একটি উদাহরণ দ্বারা বুঝাচ্ছি। আল্লাহ তাআলা একটি নিষিদ্ধ স্থান প্রস্তুত করিয়াছেন, আর আল্লাহর নিষিদ্ধ এলাকা হল তিনি যা হারাম করিয়াছেন তাই। যে ব্যক্তি স্বীয় পশুপালকে নিষিদ্ধ এলাকার আশে-পাশে চরায়, সে যে কোন সময় এতে ঢুকে পড়তে পারে। অনুরূপ যে ব্যক্তি সন্দেহযুক্ত কাজে লিপ্ত হয়, সে হারামে লিপ্ত হওয়ারও দুঃসাহস করিতে পারে।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৭১১. আবুল হাওরা সাদী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হাসান ইবনি আলী [রাঃআঃ]-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে কোন্ কথা স্মরণ রেখেছেন? তিনি বললেনঃ আমি তাহাঁর থেকে স্মরণ রেখেছিঃ যা তোমাকে সন্দেহে নিপতিত করে, তা পরিত্যাগ করিবে। আর যাতে কোন সন্দেহ নেই তা-ই করিবে।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১১.পরিচ্ছেদঃ শরাব প্রস্তুতকারীর নিকট কিশমিশ বিক্রি করা অনুচিত
৫৭১২. তাউস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি মদ প্রস্তুতকারীর নিকট কিশমিশ বিক্রি করাকে মাকরূহ মনে করিতেন।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
১২.পরিচ্ছেদঃ আঙুরের রস বিক্রি করা মাকরুহ
৫৭১৩. মুসআব ইবনি সাদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাদের বাগানে বহু আঙুর হতো। তার পক্ষ হইতে বাগানে এক প্রহরী ছিল। একবার যখন বহু আঙুর ধরলো তখন ঐ প্রহরী ব্যক্তি সাদ [রাঃআঃ] কে লিখলো, আঙুর বিনষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। আপনি অনুমতি দিলে আমি এর রস বের করিতে পারি। সাদ [রাঃআঃ] তাকে লিখলেনঃ আমার এই পত্র পাওয়ামাত্র তুমি আমার বাগান ত্যাগ কর। আল্লাহর কসম! এরপরে তোমার কোন কথা আমি বিশ্বাস করবো না। তিনি তাকে বাগানের দায়িত্ব হইতে বরখাস্ত করিলেন।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৭১৪. ইবনি সীরীন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ ঐ ব্যক্তির নিকট রস বিক্রি কর, যে তা জ্বালিয়ে তিলা [জেলি] বানাবে; মদ বানাবে না।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
১৩.পরিচ্ছেদঃ কোন্ প্রকার দ্রাক্ষারস পান করা জায়েয এবং কোন্ প্রকার তিলা পান করা নাজায়িয
৫৭১৫. সুওয়ায়দ ইবনি গাফালা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উমার ইব্নুল খাত্তাব [রাঃআঃ] তাহাঁর কোন কর্মচারির নিকট লিখলেনঃ মুসলমানদেরকে এমন দ্রাক্ষারস পান করিতে দিবে, যাহার দুই- তৃতীয়াংশ জ্বলে নিঃশেষ হইয়া গেছে, আর এক অংশ অবশিষ্ট রয়েছে।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫৭১৬. আমির ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনি খাত্তাব উমার [রাঃআঃ] যে চিঠি আবু মূসা আশআরীকে লিখেছিলেন, তা আমি পাঠ করেছি। তাতে ছিল, আমার নিকট শামদেশ হইতে একদল লোক এসেছে, তাহাদের নিকট রয়েছে কাল এবং গাঢ় এক প্রকার পানীয়, যা উটের গায়ে লাগানো মালিশের মত। আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ তোমরা এর কত অংশ জ্বালাও? তারা বললেনঃ দুই অংশ পর্যন্ত, যখন এর মন্দ দুই-তৃতীয়াংশ চলে যায়, এক তৃতীয়াংশ মন্দ-ক্ষতিকর হওয়ার কারণে আরেক তৃতীয়াংশ মন্দ গন্ধের কারণে। আপনি আপনার দেশে বসবাসকারীদের এরূপ রস পান করিতে অনুমতি দিন।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৫৭১৭. আব্দুল্লাহ ইবনি ইয়াজীদ খাতমী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন উমার ইবনি খাত্তাব [রাঃআঃ] আমাদের লিখলেন, প্রকাশ থাকে যে, তোমরা তোমাদের পানীয় ততক্ষণ জ্বালাবে যতক্ষণ না তা থেকে শয়তানের অংশ দূর হইয়া যায়। কেননা তার জন্য দুই ভাগ, আর তোমাদের জন্য এক ভাগ।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৭১৮. শাবী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আলী [রাঃআঃ] লোকদেরকে দ্রাক্ষারস পান করাতেন, আর তার এতে গাড় হতো যে, যদি তাতে মাছি পতিত হতো, তবে সে বের হইতে পারতো না।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৭১৯. দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
বলেন, আমি সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]- কে জিজ্ঞাসা করলামঃ উমার [রাঃআঃ] কোন্ প্রকার শরাব পান হালাল করিয়াছেন? তিনি বললেনঃ যে শরাবের দুই অংশ জ্বালিয়ে নিঃশেষ করা হয় এবং এক অংশ অবশিষ্ট থাকে।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৫৭২০. সাঈদ ইবনি মুসাইয়্যাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আবুদ্দারদা [রাঃআঃ] ঐ শরাব পান করিতেন, যাহার দুই অংশ জ্বালানো হয়, আর এক অংশ অবশিষ্ট থাকে।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৭২১. আবু মূসা আশ্আরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি এমন দ্রাক্ষারস পান করিতেন, যাহার দুই অংশ জ্বালিয়ে ফেলা হতো, আর এক অংশ অবশিষ্ট থাকতো।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৭২২. সাঈদ ইবনি মুসাইয়্যিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
যে দ্রাক্ষারস জ্বালানোর পর এক- তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে তা পান করাতে পাপ নেই।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫৭২৩. সাঈদ ইবনি মুসায়্যিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ যখন দ্রাক্ষারসের এক- তৃতীয়াংশ জ্বালানো হয়, তা পানে কোন দোষ নেই।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫৭২৪. আবু রাজা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি হাসান [রাঃআঃ]-এর নিকট ঐ দ্রাক্ষারস সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম, যা জ্বালার পর অর্ধেক অবশিষ্ট রয়েছে, তা পান করা সম্পর্কে তিনি বললেনঃ না, তা পান করো না।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫৭২৫. বশীর ইবনি মুহাজির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি হাসান [রাঃআঃ]- এর নিকট যে দ্রাক্ষারস জ্বালানো হয় সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ তুমি জ্বালাতে থাকিবে, যাবৎ না বরং দুই-তৃতীয়াংশ জ্বলে যায় এবং এক-তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে, তা পান করিতে পারবে।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান মাকতু
৫৭২৬. আনাস ইবনি সিরীন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ শয়তান নূহ [আঃ]-এর সাথে একটি খেজুর গাছের ব্যাপারে ঝগড়া করিল। সে বললোঃ এটা আমার আর নূহ [আঃ] বললেনঃ এটা আমার। তখন সাব্যস্ত হলো যে, এর দুই অংশ শয়তানের এবং এক অংশ নূহ [আঃ]- এর।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান মাওকুফ
৫৭২৭. আবদুল মালিক ইবনি তুফায়ল জাযারী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উমার ইবনি আবদুল আযীয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আমাদেরকে লিখলেনঃ দ্রাক্ষারস দুই অংশ জ্বলে গিয়ে এক অংশ অবশিষ্ট না থাকলে তা পান করো না। আর জেনে রাখ, প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫৭২৮. মাক্হুল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
১৪.পরিচ্ছেদঃ কোন্ রস পান করা যায় এবং কোন্ রস পান করা যায় ন।
৫৭২৯. আবু ছাবিত ছালাবী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]- এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় তাহাঁর নিকট এক ব্যক্তি এসে রস সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করিল। তিনি বললেনঃ যতক্ষণ তা তাজা থাকে, ততক্ষণ তা পান কর। সে বললোঃ আমি তা জ্বাল দিয়েছি। কিন্তু এখনও আমার মনে সন্দেহ রয়েছে। ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি জ্বাল দেয়ার আগে তা পান করিতে পারতে? সে বললোঃ না। তিনি বললেনঃ আগুন হারাম বস্তুকে হালাল করিতে পারে না।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৭৩০. আতা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ আল্লাহর শপথ! আগুন কোন বস্তুকে হালালও করিতে পারে না, আর হারামও করিতে পারে না। “হালাল করিতে পারে না,” তিনি এর ব্যাখ্যায় আমাকে বললেনঃ লোকে বলেঃ দ্রাক্ষারস হালাল। অথচ তা জ্বালানোর পূর্বে হারাম ছিল। আর “হারাম করিতে পারে না”- এর ব্যাখ্যায় তিনি বলিলেন, লোকে বলেঃ আগুন পাকান বস্তু খাওয়ার পর ওযু করিবে।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৭৩১. সাঈদ ইবনি মুসাইয়্যিব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ তুমি রস না গাঁজানো পর্যন্ত পান করিবে।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫৭৩২. হিশাম ইবনি আয়িয আল-আসাদী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইব্রাহীমকে দ্রাক্ষারস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ তা উথলে না ওঠা এবং পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত পান করিতে পার।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫৭৩৩. আতা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
আতা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] রস সম্পর্কে বলেনঃ যতক্ষণ না গাঁজিয়ে ওঠে, ততক্ষণ তা পান করিতে পার।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫৭৩৪. শাবী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রস তিন দিন [গত হওয়া] পর্যন্ত পান করিতে পার, যতক্ষণ না তা উথলে ওঠে।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
১৫.পরিচ্ছেদঃ যে সব নাবীয পান করা জায়েয আর যেসব নাবীয পান করা নাজায়েয, সে সম্পর্কে
৫৭৩৫. ফায়রুয দায়লামী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–কে জিজ্ঞাসা করলামঃ ইয়া রসূলুল্লাহ! আমরা আঙ্গুরওয়ালা। আর আল্লাহ্ তাআলা মদ হারাম করার ঘোষণা দিয়ে আয়াত নাযিল করিয়াছেন। আমরা এখন কি করবো? তিনি বললেনঃ তোমরা তা কিশমিশ বানিয়ে ফেলবে। আমি বললাম, কিশমিশ দিয়ে কি করব? তা ভোরে ভিজিয়ে বৈকালিক আহারের পর পান করিবে। আর সন্ধ্যায় ভিজিয়ে সকালের খাবারের পর পান করিবে। আমি বললামঃ তা উথলানো পর্যন্ত কি রেখে দেব না? তিনি বললেনঃ তা মাটির পাত্রে না রেখে মশকে রাখবে; আর যদি অনেকক্ষণ এভাবে থাকে, তবে তা সিরকা হইয়া যাবে।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৭৩৬
ফায়রুয দায়লামী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের অনেক আঙুর আছে। আমরা তা কি করবো? তিনি বললেনঃ তোমরা তা কিশমিশ বানিয়ে ফেলবে। আমি বললাম, কিশমিশ দিয়ে কি করব? তিনি বলিলেন, তোমরা তা দিয়ে নাবীয তৈরি করিবে। তা ভোরে ভিজিয়ে বৈকালিক আহারের পর পান করিবে এবং সন্ধ্যায় ভিজিয়ে সকালের খাবারের পর পান করিবে, আর তা মাটির পাত্রে না রেখে মশকে রাখবে। বেশী দেরী হলে তা সিরকা হইয়া যাবে।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৫৭৩৭. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]- এর জন্য নাবীয তৈরি করা হতো। তিনি তা দ্বিতীয়, তৃতীয় দিনেও পান করিতেন। আর যদি তৃতীয় দিনেও পাত্রে কিছু অবশিষ্ট থাকতো, তবে তিনি তা ফেলে দিতেন এবং পান করিতেন না।
নাসায়ী শরীফ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৭৩৮. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]- এর জন্য কিশমিশ ভিজিয়ে রাখা হতো আর তিনি তা সেই দিন, দ্বিতীয় দিন এবং তৃতীয় দিন পান করিতেন।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৫৭৩৯. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]- এর জন্য রাতে মুনাক্কা ভিজিয়ে রাখা হতো। পরে তিনি তা একটি মশকে ভরে রাখতেন এবং দ্বিতীয় দিন তা পান করিতেন, পরে তৃতীয় দিনেও পান করিতেন। তৃতীয় দিন শেষ সময়ে তিনি তা অন্যদেরকে পান করিয়ে দিতেন এবং নিজেও পান করিতেন। যদি তারপরেও ভোর পযন্ত কিছু থাকতো, তবে তিনি তা ঢেলে ফেলে দিতেন।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৭৪০. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তার জন্য ভোরে মশকে আঙুর ভেজানো হতো, তিনি তা রাত্রে পান করিতেন, যদি রাতে ভেজানো হতো, তিনি তা ভোরে পান করিতেন। আর মশক ধুয়ে ফেলতেন এবং তা তীব্র করার জন্য তাতে তলানী বা অন্য কোন বস্তু মিশাতেন না। নাফে [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেনঃ আমরা তা মধুর পান করেছি।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৭৪১. বাসসাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবু জাফর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে নাবীয সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ আলী ইবনি হুসায়ন [রাঃআঃ]-এর জন্য রাত্রে নাবীয ভেজানো হতো, তিনি তা ভোরে পান করিতেন। আর ভোরে ভেজানো হতো, তিনি তা সন্ধ্যায় পান করিতেন।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫৭৪২. আবদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি শুনিয়াছি, সুফয়ানের নিকট নাবীয সম্পকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেনঃ তা সন্ধ্যায় ভিজিয়ে রেখে ভোরে পান করিবে।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫৭৪৩. আবু উছমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
ইনি আবু উসমান নাহদী নন, বলেন, উম্মুল ফযল আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ]-এর নিকট লোক পাঠিয়ে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, মাটির কলসের নাবীয পান করা কেমন? তিনি তার পুত্র নাযর সম্পর্কে বর্ণনা করিলেন যে, সে মাটির পাত্রে নাবীয বানাত। ভোরে নাবীয ভেজাত আর সন্ধায় পান করত [অর্থাৎ তা হালাল অন্যথায় এটা করা হত না]।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫৭৪৪. সাঈদ ইবনি মুসাইয়্যিব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
সাঈদ ইবনি মুসাইয়্যিব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] নাবীযকে শক্তিশালী করার জন্য [পুরনো] নাবীযের তলানী নতুন নাবীযে মেশানো মাকরূহ মনে করিতেন।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫৭৪৫. সাঈদ ইবনি মুসাইয়্যিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি নাবীয সম্পর্কে বলেন, এর তলানী মদ।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫৭৪৬. সাঈদ ইবনি মুসাইয়্যিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, খামর [মদ] কে খামর এজন্য বলা হয় যে, একে রেখে দেয়া হয়, ফলে এর স্বচ্ছতা দূর হইয়া যায় এবং এর ময়লা অবশিষ্ট থাকে। আর তিনি এরূপ নাবীযকে মকরূহ মনে করিতেন যাতে তলানী মিশানো হয়।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৬.পরিচ্ছেদঃ নাবীযের ব্যাপারে ইবরাহীমের থেকে বর্ণনাকারীদের মতপার্থক্য
৫৭৪৭. ফুযায়ল ইবনি আমর ইবরাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকে মনে করত, যে ব্যক্তি কোনও প্রকার পানীয় পান করার ফলে নেশাগ্রস্থ হইয়া পড়ে, সে যেন আবার তা পান না করে।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫৭৪৮. আবু মাশার ইবরাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, পাকানো নাবীযে কোন ক্ষতি নেই।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৭৪৯. আবু মিসকীন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবরাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে জিজ্ঞাসা করলামঃ আমরা মদ অথবা দ্রাক্ষারসের তলানী পরিস্কার করি, তারপর তিনদিন পর্যন্ত তাতে মনাক্কা ভিজিয়ে রাখি। তিনদিন পর তা পরিষ্কার করে রেখে দেই, যেন তা তীব্র হইয়া যায়। ইবরাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেনঃ এটা মাকরূহ।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান মাকতু
৫৭৫০. ইবনি শুবরুমা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্ তাআলা ইবরাহীমের উপর রহম করুন। লোক নাবীযের ব্যাপারে কঠোরতা আরোপ করতো অথচ তিনি তা সহজ করে দিয়েছেন।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫৭৫১. আবু উছমান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনি মুবারকা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে বলিতে শুনেছিঃ আমি ইবরাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ব্যতীত অন্য কাউকে মাদকদ্রব্যের অনুমতি দিতে শুনিনি।
মদনাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫৭৫২. উবায়দুল্লাহ ইবনি সাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবু উসামা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে বলিতে শুনেছিঃ আমি আবদুল্লাহ ইবনি মুবারক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর চাইতে জ্ঞান-পিপাসু আর কাউকে দেখিনি।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
১৭.পরিচ্ছেদঃ বৈধ পানীয় সম্পর্কে
৫৭৫৩. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মে সুলায়ম [রাঃআঃ]-এর নিকট একটি কাঠের পেয়ালা ছিল। তিনি বলিতেনঃ আমি এই পাত্রে আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে পানীয় পান করাতাম, যা ছিল পানি, দুধ, মধু ও নাবীয।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৭৫৪. আব্দুর রহমান ইবনি আবযা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর পিতা সূত্রে হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনি কাব [রাঃআঃ]-কে নাবীযের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে, তিনি বললেনঃ পানি পান কর, মধু, ছাতু এবং দুধ পান কর, যা পান করে তুমি ছোট থেকে বড় হইয়াছ-আমি আবার জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বললেনঃ তুমি মদ পান করিতে চাও? তুমি মদ পান করিতে চাও?
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৭৫৫. ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোক নানা প্রকার পানীয় আবিষ্কার করেছে, আমি জানিনা, তা কি? অথচ আমি বিশ অথবা চল্লিশ বছর যাবৎ পানি এবং ছাতু ব্যতীত আর কিছুই পান করিনি। উল্লেখ্য যে, তিনি নাবীযের কথা বলেননি।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৭৫৬. আবীদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোক নানা প্রকার পানীয় বানাচ্ছে। আমি জানি না, তা কি, অথচ বিশ বছর যাবত আমার পানীয় হলো পানি, দুধ এবং মধু।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫৭৫৭. ইবনি শুবরুমা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তালহা [রাঃআঃ] কূফাবাসীদের সম্পর্কে বলেন যে, তারা নাবীযের ব্যাপারে এক পরীক্ষার সম্মুখীন হইয়াছে। ছোট তাতে বড় হচ্ছে আর বৃদ্ধ তাতে আরও বার্ধক্যে উপনীত হচ্ছে। ইবনি শুবরুমা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেনঃ যখন কোন বিবাহ হতো, তখন তালহা এবং যুবায়র [রাঃআঃ] লোকদেরকে দুধ এবং মধু পান করাতেন। কেউ তালহা [রাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করলো, আপনি নাবীয পান করান না কেন? তিনি বললেনঃ আমি এটা পছন্দ করি না যে, আমার কারণে কোন মুসলমান নেশাগ্রস্থ হোক।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫৭৫৮. ইসহাক ইবনি ইবরাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জারীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আমাদের বলেছেনঃ ইবনি শুবরুমা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] শুধু পানি এবং দুধ পান করিতেন।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
Leave a Reply