নাসাঈ pdf -ফারা মূর্তির নামে যবেহ করা এবং আতীরা

নাসাঈ pdf

ফারা – মূর্তির নামে যবেহ করা এবং আতীরা – রজব মাসে যবেহ >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ৪২, ফারা এবং আতীরা, হাদীস (৪২২২ – ৪২৬২)

১.পরিছেদঃ ফারা এবং আতীরা
২.পরিছেদঃ আতীরার ব্যাখ্যা
৩.পরিছেদঃ ফারা -এর ব্যাখ্যা
৪.পরিছেদঃ মৃত জন্তুর চামড়া
৫.পরিছেদঃ মৃত জন্তুর চামড়া কি দিয়ে দাবাগত করা হইবে
৬.পরিছেদঃ দাবাগতকৃত মৃত জন্তুর চামড়া ব্যবহারের অনুমতি
৭.পরিছেদঃ হিংস্র জন্তুর চামড়া ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা
৮.পরিছেদঃ মৃত জন্তুর চর্বি ব্যবহার না করা প্রসঙ্গে

১.পরিছেদঃ ফারা এবং আতীরা

৪২২২. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এখন ফারা এবং আতীরা নেই।

উষ্ট্রী প্রথমবার যেই বাচ্চা প্রসব করে তা মূর্তির নামে যবেহ করা হতো, একে ফারা বলা হয়।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২২৩. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তাহাদের একজন বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফারা এবং আতীরা করিতে নিষেধ করিয়াছেন। অন্যজন বললেনঃ এখন আর ফারা ও আতীরা {২} নেই।

{২} রজব মাসে যে বকরী যবেহ করা হয়। তাকে আতীরা বলা হতো।নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২২৪. মিখনাফ ইব্ন সুলায়ম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা আরাফায় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে অবস্থানরত ছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ হে লোক সকল! প্রতি বছর প্রত্যেক পরিবারে একটি কুরবানী করা ওয়াজিব এবং একটি আতীরা।৩ মুআয [রাঃআঃ] বলেনঃ ইবনি আউন রজবে আতীরা করিতেন, আমি স্বচক্ষে তা দেখেছি।

প্রথমদিকে আতীরা ওয়াজিব ছিল। পরে তা রহিত হইয়া গেছে। এখন চাইলে কেউ আল্লাহর উদ্দেশ্যে এরূপ যবেহ করিতে পারে কিন্তু করা অপরিহার্য নয়।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৪২২৫. শুআয়ব ইব্ন মুহাম্মদ এবং যায়দ ইব্ন আসলাম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

লোকেরা জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রসূলুল্লাহ! ফারা কী? তিনি বললেনঃ তা যথার্থ। যদি তোমরা ফারার জন্তু যবেহ না করে জওয়ান হওয়া পর্যন্ত রেখে দাও, তারপর তাকে আল্লাহর রাস্তায় দিয়ে দাও অথবা মিসকীন, বিধবাকে দান কর, তবে সেটাই উত্তম তাকে যবেহ করার চাইতে, যদ্দরুন তার মা এমন কৃশকায় হইয়া পড়বে যে, তার গোশত পশমের সাথে লেগে যাবে আর সেক্ষেত্রে যেন তুমি তার সবটা দুধ তোমার পাত্রে ঢেলে নিলে [অর্থাৎ তার দুধ শুকিয়ে যাবে] এবং তাকে শোকাহত করলে। লোকেরা জিজ্ঞাসা করলোঃ ইয়া রসূলুল্লাহ! আতীরার কি হুকুম? তিনি বললেনঃ আতীরাও যথার্থ।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৪২২৬. হারিস ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সঙ্গে বিদায় হজ্জের সময় সাক্ষাত করেন, তখন তিনি তাহাঁর আযবা নামক উটনীর উপর সওয়ার ছিলেন। আমি তাহাঁর এক দিকে এসে বললাম ঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্‌! আমার মাতাপিতা আপনার উপর কুরবান হোক। আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করুন। এরপর আমি বিশেষভাবে আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার উদ্দেশ্যে অন্য দিক দিয়ে তাহাঁর কাছে এসে বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্‌! আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তখন তিনি তাহাঁর হাত দ্বারা ইশারা করে বলেছেনঃ আল্লাহ তোমাদের সকলকে ক্ষমা করুন। তখন উপস্থিত লোকদের এক ব্যাক্তি বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্‌! আতীরা এবং ফারার ব্যাপারে আপনি কি বলেন? তিনি বললেনঃ যাহার ইচ্ছা আতীরা কর, আর যাহার ইচ্ছা করিবে না। আর যাহার ইচ্ছা ফারা করিবে, যাহার ইচ্ছা করিবে না, কিন্তু বকরীর কুরবানী ওয়াজিব। তখন তিনি তাহাঁর একটি আঙ্গুল ব্যতিত সবগুলো আঙ্গুল গুটিয়ে নেন।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস

৪২২৭. হারিস ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি বিদায় হজ্জে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সঙ্গে মিলিত হই, তখন আমি বলিঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্‌! আমার মাতাপিতা আপনার উপর কুরবান হোক, আপনি আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা তোমাদের সকলকে ক্ষমা করুন। তখন তিনি তাহাঁর আযবা নামক উটনীর উপর উপবিষ্ট ছিলেন। এরপর আমি অন্যদিকে ঘুরে গেলাম ……… হাদিসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস

২.পরিছেদঃ আতীরার ব্যাখ্যা

৪২২৮. নুবায়শা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ লোকে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! আমরা জাহেলী যুগে আতীরা করতাম। তিনি বললেনঃ যে কোন মাসে আল্লাহর জন্য যবেহ করো, নেকী করো, অভাবগ্রস্তকে আল্লাহর ওয়াস্তে খাওয়াও।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২২৯. নুবায়শা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি মিনায় উচ্চস্বরে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! আমরা জাহিলী যুগে রজব মাসে আতীরা করতাম, এখন আপনি আমাদেরকে কী আদেশ করেন? তিনি বললেনঃ যে কোন মাসে আল্লাহর নামে যবেহ করিতে পার, আল্লাহর জন্য নেক কাজ কর এবং খাদ্য দান করো। সে ব্যক্তি বললোঃ আমরা তো ফারাও করতামঃ এখন আপনি আমাদেরকে কি আদেশ করেন? তিনি বললেনঃ প্রত্যেক জন্তুতে, যারা চরে বেড়ায়, ফারা [শাবক] রয়েছে। তার মা তাকে খাওয়াতে থাকুক। যখন তা বড় হইবে, তখন তাকে যবেহ করে গোশত সাদকা করে দিও।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৩০. হুযাইল গোত্রের এক ব্যক্তি নুবায়শা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ [সঃ] থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ আমি তিন দিনের বেশি কুরবানীর গোশত রাখতে নিষেধ করেছিলাম যাতে তোমাদের সকলে তা খেতে পায়। কিন্তু এখন আল্লাহ সচ্ছলতা দান করিয়াছেন। অতএব এখন তোমারা খাও, দান কর এবং জমা করে রাখতে পার। আর এ সকল দিন হলো খাওয়া, পান করা এবং আল্লাহকে স্মরণ করার দিন। এক ব্যক্তি বললোঃ আমরা জাহিলী যুগে রজব মাসে আতীরা করতাম। এখন আপনি কি আদেশ করেন? তিনি বললেনঃ আল্লাহর জন্য যবেহ কর, তা যে মাসেই হোক। আল্লাহর জন্য নেকী কর এবং অভাবগ্রস্তদেরকে খাদ্য দান কর। আর এক ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! আমরা জাহিলী যুগে ফারা করতাম। এখন আপনি আমাদেরকে কি বলেন? তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ বকরীতে ফারা রয়েছে। কিন্তু তোমরা তার মাকে খাওয়াতে দাও। যখন তা উপযুক্ত হয়, তখন তাকে যবেহ করিবে এবং পথিকজনকে তার গোশত দান করিবে। তা-ই উত্তম।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩.পরিছেদঃ ফারা -এর ব্যাখ্যা

৪২৩১. নুবায়শা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে উচ্চস্বরে ডেকে বললোঃ আমরা জাহিলী যুগে আতীরা করতাম। এখন আপনি আমাদের কি আদেশ করেন? তিনি বললেনঃ তা যবেহ কর, যে মাসেই হোক না কেন। আর আল্লাহর জন্য নেক কাজ কর, লোকদেরকে খাওয়াও। সে বললোঃ আমরা জাহিলী যুগে ফারা করতাম। তিনি বললেনঃ প্রত্যেক জন্তুতে যা চরে বেড়ায়, তাতে ফারা [শাবক] রয়েছে। যখন তা উপযুক্ত হয়, তখন তাকে যবেহ করিবে এবং গোশত সাদকা করিবে, এটাই উত্তম।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৩২. নুবায়শা হুযালী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্‌! আমরা জাহিলী যুগে আতীরা করতাম, এখন আপনি আমাদেরকে কি আদেশ করেন? তিনি বললেনঃ যে মাসেই হোক, আল্লাহর জন্য যবেহ কর এবং আল্লাহর জন্য নেককাজ করো এবং লোকদেরকে খাদ্য দান করো।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৩৩. আবু রাযীন লাকীত ইবনি আমির উকায়লী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! আমরা জাহিলী যুগে রজব মাসে পশু যবেহ করতাম এবং আমরা খেতাম এবং যে আমদের নিকট আসতো তাকে খাওয়াতাম। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ এতে কোন ক্ষতি নেই। ওকী ইবনি উদুস বলেনঃ আমি তা পরিত্যাগ করবো না।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

৪.পরিছেদঃ মৃত জন্তুর চামড়া

৪২৩৪. মায়মূনা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] একটি মৃত পড়ে থাকা বকরীর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেনঃ এটি কার? লোকেরা বললোঃ এটি মায়মূনা [রাঃআঃ]-এর বকরী। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ যদি সে এর চামড়া কাজে লাগাত তবে কোন পাপ ছিল না। লোকেরা বললো, এটি তো মৃত। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা একে খাওয়া হারাম করিয়াছেন।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৩৫. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি মৃত বকরীর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, যা তিনি মায়মূনা [রাঃআঃ]-এর আযাদকৃত দাসীকে দান করেছিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ এর চামড়া দ্বারা উপকৃত হলে না কেন? উপস্থিত লোকেরা বললোঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্‌! এটি তো মৃত। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ এর কেবল খাওয়াকেই হারাম করা হইয়াছে।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৩৬. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] মায়মূনা [রাঃআঃ]-এর আযাদকৃত দাসীর একটি মৃত বকরী দেখিতে পান আর তা ছিল সাদকার বকরী। তিনি বললেনঃ যদি সে এর চামড়া খুলে নিয়ে তা কাজে লাগাতো তবে ভাল হতো। লোকজন বললোঃ এটি তো মৃত। তিনি বললেনঃ হারাম করা হইয়াছে তো কেবল এর গোশত খাওয়া।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৩৭. মায়মূনা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

একটি বকরী মারা গেলে নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ যদি তোমরা এর চামড়া দাবাগত {১} করে তা কাজে লাগাতে।

লবণ ইত্যাদি দিয়ে চামড়াকে পরিচ্ছন্ন করা ও শুকানো।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৩৮. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নাবী [সাঃআঃ] মায়মূনা [রাঃআঃ]-এর একটি মৃত বকরীর নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় বললেনঃ তোমরা এর চামড়া ছাড়িয়ে নিলে না কেন, যা তোমরা দাবাগত করে তা কাজে লাগাতে পারতে?

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৩৯. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] একটি মৃত বকরীর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন বলেনঃ তোমরা এর চামড়া দ্বারা কেন উপকৃত হলে না?

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৪০. নাবী [সাঃআঃ]-এর সহধর্মিণী সাওদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদের একটি বকরী মারা গেলে আমরা তার চামড়া দাবাগত করে রং করে তাতে নাবীয তৈরী করতাম। পরে তা পুরাতন মশকে পরিণত হয়।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৪১. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন চামড়া দাবাগত করা হলে, তা পাক হইয়া যায়।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৪২. ইবনি ওয়ালা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করেনঃ আমরা পশ্চিম আফ্রিকায় জিহাদে গমন করি এবং সেখানকার লোক প্রতিমাপূজক। তাহাদের নিকট পানি এবং দুধের মশক থাকে। ইবনি আব্বাস বললেনঃ কোন চামড়া দাবাগত করলে তা পাক হইয়া যায়। ইবনি ওয়ালা [রাঃআঃ] বললেনঃ এটি কি আপনি নিজের পক্ষ থেকে বলেছেন, না রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে শুনেছেন? তিনি বললেনঃ বরং রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট শুনিয়াছি।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৪৩. সালামা ইবনি মুহাব্বিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাবুক যুদ্ধে এক মহিলার নিকট পানি চেয়ে পাঠান। সেই মইলা বলে পাঠালো যে, আমার নিকট পানি তো আছে, কিন্তু তা মৃত জন্তুর মশকে ভরা রয়েছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি তা দাবাগত করছিলে? সেই মহিলা বললোঃ হ্যাঁ। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন ঃ দাবাগতকরণই তার পবিত্রকরণ।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৪৪. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট মৃত জন্তুর চামড়া সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ দাবাগতকরণই তার পবিত্রতা সাধক।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৪৫. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-কে মৃত জন্তুর চামড়া সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ দাবাগতকরণই তার পবিত্রকরণ।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৪৬. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মৃত পশুর চামড়া পবিত্র হয় দাবাগত দ্বারা।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৪৭. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মৃত পশুর চামড়া পাক করার উপায় হল দাবাগত করা।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৫.পরিছেদঃ মৃত জন্তুর চামড়া কি দিয়ে দাবাগত করা হইবে

৪২৪৮. নাবী [সাঃআঃ]-এর সহধর্মিণী মায়মূনা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর সামনে দিয়ে কুরায়শ গোত্রের কয়েকজন লোক বের হলো। তারা একটি মরা বকরীকে গাধার ন্যায় হেঁচড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। তা দেখে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ যদি তোমরা তার চামড়া খুলে নিতে তবে ভাল হতো। তারা বললোঃ এটা তো মৃত। তখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ তাকে পানি এবং কারায পবিত্র করে দেয়।

কারায এক প্রকারের পাতা।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৪৯. আবদুল্লাহ ইবনি উকায়ম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর চিঠি আমাদের সামনে পাঠ করা হয় আর তখন আমি ছিলাম যুবক। তাতে লেখা ছিল, “তোমরা মৃত জন্তুর চামড়া এবং হাড় দ্বারা উপকার গ্রহণ করিবে না।”

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৫০. আবদুল্লাহ ইবনি উকায়ম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমাদেরকে লিখে জানলেন যে, তোমরা মৃত জন্তুর চামড়া ও হাড় কাজে লাগাবে না।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৫১. আবদুল্লাহ ইবনি উকায়ম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] জুহায়না গোত্রের লোকদেরকে লিখেন যে, তোমরা মৃত জন্তুর চামড়া ও হাড় দ্বারা উপকৃত হইবে না। আবু আবদুর রহমান নাসাঈ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেনঃ মৃত পশুর চামড়া দাবাগত করা সম্পর্কে হযরত মায়মূনা [রাঃআঃ] থেকে ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] যে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন, সেটাই বিশুদ্ধতম।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৬.পরিছেদঃ দাবাগতকৃত মৃত জন্তুর চামড়া ব্যবহারের অনুমতি

৪২৫২. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] মৃত জন্তুর দাবাগতকৃত চামড়া ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করিয়াছেন।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস

৭.পরিছেদঃ হিংস্র জন্তুর চামড়া ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা

৪২৫৩. আবুল মালীহ তাহাঁর পিতার সূত্রে নাবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] হিংস্র জন্তুর চামড়া ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৫৪. মিকদাম ইবনি মাদী কারিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] রেশম বস্ত্র, স্বর্ণ এবং চিতাবাঘের চামড়া ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৫৫. খালিদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

মিকদাম ইবনি মাদী কারিব [রাঃআঃ] মুআবিয়া [রাঃআঃ]-এর নিকট এসে বললেনঃ আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, আপনি কি জানেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] হিংস্র জন্তুর চামড়া পরিধান করিতে এবং তার উপর বসতে নিষেধ করিয়াছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৮.পরিছেদঃ মৃত জন্তুর চর্বি ব্যবহার না করা প্রসঙ্গে

৪২৫৬. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ্‌ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে মক্কা বিজয়ের বছর মক্কাতে বলিতে শোনেনঃ আল্লাহ তাআলা, মদ, মৃত জন্তু, শূকর এবং মূর্তি বিক্রি করিতে নিষেধ করিয়াছেন। তখন প্রশ্ন করা হলোঃ ইয়া রসূলুল্লাহ্! আপনি মৃত জন্তুর চর্বি সম্বন্ধে কি বলেন? তা তো নৌকায় লাগানো হয়, চামড়ায় লাগানো হয়, লোকেরা তা দিয়ে আলো জ্বালায়। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ না, তা হারাম। এরপর রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ আল্লাহ ইয়াহূদীদেরকে ধ্বংস করুন। আল্লাহ তাআলা যখন তাহাদের উপর চর্বি হারাম করেন, তখন তারা তা গলিয়ে বিক্রি করে এবং এর মূল্য ভক্ষণ করে।

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৬১. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] একটি মৃত বকরীর নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় বললেনঃ এই বকরীর মালিক যদি এর চামড়া ছাড়িয়ে তা কাজে লাগাতো তবে তা কত উত্তম হতো!

নাসাঈ pdf হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৫৮, ৪২৫৯, ৪২৬০, ৪২৬২ এই চারটি প্লেগ কুষ্ঠ ধবল মহামারি জিবানু ভাইরাস কি ছোঁয়াচে রোগ ? অধ্যায়ে উল্লেখ করা আছে।


Posted

in

by

Comments

One response to “নাসাঈ pdf -ফারা মূর্তির নামে যবেহ করা এবং আতীরা”

Leave a Reply