অর্থপূর্ণ নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এবং কদর্য নাম পরিবর্তন

অর্থপূর্ণ নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এবং কদর্য নাম পরিবর্তন

নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস , এই অধ্যায়ে মোট= ৪৩ টি হাদীস (৮২১ – ৮৬৩) << আদাবুল মুফরাদ হাদীস কিতাবের মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায় – ১২ঃ অর্থপূর্ণ নাম রাখা এবং কদর্য নাম পরিবর্তন

৩৫৬. অনুচ্ছেদঃ মহামহিম আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় নামসমূহ।
৩৫৭. অনুচ্ছেদঃ নাম পরিবর্তন করা।
৩৫৮. অনুচ্ছেদঃ মহামহিম আল্লাহর নিকট অপছন্দনীয় নামসমূহ।
৩৫৯. অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি অপরকে তার ক্ষুদ্রত্ববাচক নামে ডাকে।
৩৬০. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তিকে তার প্রিয় নামে ডাকা।
৩৬১. অনুচ্ছেদঃ আছিয়া নাম পরিবর্তন করা।
৩৬২. অনুচ্ছেদঃ সারম নাম পরিবর্তন করা।
৩৬৩. অনুচ্ছেদঃ গুরাব [কাক] নামের পরিবর্তন।
৩৬৪. অনুচ্ছেদঃ শিহাব নামের পরিবর্তন।
৩৬৫. অনুচ্ছেদঃ আস [অবাধ্য] নাম পরিবর্তন করা।
৩৬৬. অনুচ্ছেদঃ কেউ নিজ সংগীকে তার নাম সংক্ষিপ্ত করে ডাকতে পারে।
৩৬৭. অনুচ্ছেদঃ জাহম নাম রাখা।
৩৬৮. অনুচ্ছেদঃ “বাররা” নাম।
৩৬৯. অনুচ্ছেদঃ আফলাহ নাম।
৩৭০. অনুচ্ছেদঃ রাবাহ নাম।
৩৭১. অনুচ্ছেদঃ নাবীগণের নাম।
৩৭২. অনুচ্ছেদঃ হুযন [দুঃখ] নাম।
৩৭৩. অনুচ্ছেদঃ নাবী [সাঃআঃ]-এর নাম ও উপনাম।
৩৭৪. অনুচ্ছেদঃ মুশরিক [পৌত্তলিক] কি উপনাম গ্রহণ করিতে পারে।
৩৭৫. অনুচ্ছেদঃ বালকের উপনাম।
৩৭৬. অনুচ্ছেদঃ শিশুর জন্মের পূর্বেই কারো উপনাম গ্রহণ।
৩৭৭. অনুচ্ছেদঃ নারীদের উপনাম।
৩৭৮. অনুচ্ছেদঃ কেউ কারো এমন কিছু দ্বারা উপনাম রাখলো যা তার বা তাহাদের কারো মধ্যে আছে।
৩৭৯. অনুচ্ছেদঃ প্রবীণ ও মর্যাদাশালী লোকদের সাথে কিভাবে হাঁটবে?
৩৮০. অনুচ্ছেদঃ [শিরোনাম বিহীন]।

৩৫৬. অনুচ্ছেদঃ মহামহিম আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় নামসমূহ।

৮২১. আবু ওয়াহব আল-জুশামী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি ছিলেন সাহাবী। নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা নাবীগণের নামানুসারে নাম রাখো। নামসমূহের মধ্যে আল্লাহর নিকট প্রিয়তর হচ্ছে

عَبْدُ اللَّهِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ

আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান। যথার্থ নাম হচ্ছে হারিস [চাষী] ও হাম্মাম [দাতাবারানি] এবং সবচেয়ে নিকৃষ্ট নাম হচ্ছে

حَارِثٌ، وَهَمَّامٌ

হারব ও মুররা।

-[নাসায়ী, আবু দাউদ, আহমাদ] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ অন্যান্য

৮২২. জাবের [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমাদের মধ্যকার এক ব্যক্তির একটি পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হলো। সে তার নাম রাখলো الْقَاسِمَ কাসেম। আমরা বললাম, আমরা তোমাকে আবুল কাসেম [কাসেমের পিতাবারানি] ডাকনাম দিয়ে গৌরবান্বিত করবো না। নাবী [সাঃআঃ]-কে অবহিত করা হলে তিনি বলেনঃ তোমার ছেলের নাম রাখো عَبْدَ الرَّحْمَنِ আবদুর রহমান

[বোখারী, মুসলিম] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৫৭. অনুচ্ছেদঃ নাম পরিবর্তন করা।

৮২৩. সাহল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

মুনযির ইবনি আবু উসাইদ জন্মগ্রহণ করলে তাকে নাবী [সাঃআঃ]-এর খেদমতে আনা হলো। তিনি তাকে তার উরুর উপর রাখলেন। আর আবু উসাইদ [রাঃআঃ] তাহাঁর পাশে উপবিষ্ট ছিলেন। নাবী [সাঃআঃ] তার সামনের কোন একটি জিনিসে মনোযোগী হয়ে রইলেন। তখন আবু উসাইদ [রাঃআঃ] তার পুত্রকে নাবী [সাঃআঃ]-এর উরু থেকে তুলে নিতে বললে তাকে তুলে নেয়া হলো। উক্ত বিষয়ের প্রতি মনোযোগ শেষ হলে নাবী [সাঃআঃ] জিজ্ঞেস করলেনঃ বাচ্চাটি কোথায়? আবু উসাইদ [রাঃআঃ] বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তাকে বাড়ী পাঠিয়ে দিয়েছি। নাবী [সাঃআঃ] জিজ্ঞেস করলেনঃ তার নাম কি? তিনি বলেন, অমুক। নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ নাসায়ী, বরং তার নাম মুনযির। ঐ দিন থেকে তার নাম হলো الْمُنْذِرُ মুনযির।

-[বোখারী, মুসলিম, ইবনি মাজাহ] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৫৮. অনুচ্ছেদঃ মহামহিম আল্লাহর নিকট অপছন্দনীয় নামসমূহ।

৮২৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে লোকের নাম مَلِكَ الْأَمْلَاكِ মালিকুল আমলাক [রাজাধিরাজ] রাখা হয়েছে, আল্লাহর কাছে সেটি সর্বনিকৃষ্ট নাম।

[বোখারী, মুসলিম, দারিমি, তিরমিজী] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৫৯. অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি অপরকে তার ক্ষুদ্রত্ববাচক নামে ডাকে।

৮২৫. তলক ইবনি হাবীব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আমি শাফাআতের বিষয়টিকে কঠোরভাবে অস্বীকার করতাম। আমি জাবের [রাঃআঃ]-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, হে তুলায়ক! আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ একদল লোক দোযখে যাওয়ার পর [শাফাআতধন্য হয়ে] সেখান থেকে বের হয়ে আসবে। তুমি যা পড়ো আমরাও তাই পড়ি।

[বোখারী, মুসলিম, মুসনাদ আহমাদ] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৬০. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তিকে তার প্রিয় নামে ডাকা।

৮২৬. হানবাল ইবনি হিয়াম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] কোন ব্যক্তিকে তার নামসমূহের মধ্যে তাহাঁর নিকট অপেক্ষাকৃত প্রিয় নামে বা উপনামে ডাকতেই পছন্দ করিতেন।

[তাহযীবুল কামাল] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩৬১. অনুচ্ছেদঃ আছিয়া নাম পরিবর্তন করা।

৮২৭. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] “আসিয়া” [পপিষ্ঠা] নাম পরিবর্তন করেন এবং বলেনঃ তুমি جَمِيلَةُ জামীলা [সুন্দরী]।

-[মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজী, মুসনাদ আবু আওয়ানা, নাসায়ী, ইবনি হিব্বান] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮২৮. মুহাম্মাদ ইবনি আমর ইবনি আতা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

তিনি যয়নব বিনতে আবু সালামার নিকট প্রবেশ করিলেন। যয়নব তাকে তার সংগী বোনটির নাম জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেন, আমি বললাম, তার নাম বাররা [পুণ্যবতী]। তিনি বলেন, তার নাম পরিবর্তন করো। কেননা নাবী [সাঃআঃ] যয়নব বিনতে জাহশকে বিবাহ করেন এবং তার নাম ছিল বাররা। তিনি তা পরিবর্তন করে তার নাম রাখেন যয়নব। বিবাহ করার পর তিনি তার ঘরে গেলেন। তখন আমার নাম ছিল বাররা। তিনি উম্মু সালামা [রাঃআঃ]-কে আমাকে এই নামে ডাকতে শুনলেন। তখন তিনি বলেনঃ তোমরা নিজেদেরকে পবিত্রতায় আখ্যায়িত করো না। কেননা কে পুণ্যবতী আর কে পাপিষ্ঠা তা আল্লাহই অধিক জ্ঞাত। তুমি তার নাম রাখো যয়নব। তিনি বলেন, সে যয়নবই। আমি তাকে বললাম, আমার নাম? তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যে নামে পরিবর্তন করিয়াছেন সেই নাম রেখে দাও। অতএব তিনি তার নাম রাখলেন زَيْنَبَ যয়নব।

-[মুসলিম, দারিমি, মুসনাদ আবু আওয়ানা, নাসায়ী, আহমাদ, ইবনি হিব্বান] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৬২. অনুচ্ছেদঃ সারম নাম পরিবর্তন করা।

৮২৯.সাঈদ আল-মাখযূমী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তাহাঁর পূর্বনাম ছিল সারম [কর্তনকার, ছিন্নকারী]। নাবী [সাঃআঃ] তার নাম রাখেন সাঈদ [ভাগ্যবান]। [অধস্তন রাবী আবদুর রহমান [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন] আমি উসমান [রাঃআঃ]-কে মসজিদে হেলান দিয়ে বসা অবস্থায় দেখেছি।

[হাকিম] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৮৩০. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

হাসান ভূমিষ্ঠ হলে আমি তার নাম রাখলাম হারব [যুদ্ধ]। নাবী [সাঃআঃ] এসে বলেনঃ আমার নাতি আমাকে দেখাও, তোমরা তার কি নাম রেখেছে? আমরা বললাম, হারব। তিনি বলেনঃ বরং তার নাম হাসান। পরে হুসাইন ভূমিষ্ঠ হলে আমি তার নাম রাখলাম হারব। নাবী [সাঃআঃ] এসে বলেনঃ আমার নাতি আমাকে দেখাও, তোমরা তার কি নাম রেখেছো? আমরা বললাম, হারব। তিনি বলেনঃ বরং তার নাম হুসাইন। অতঃপর তৃতীয় সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে আমি তার নামও রাখলাম হারব। অতঃপর নাবী [সাঃআঃ] এসে বলেনঃ আমার নাতি আমাকে দেখাও, তোমারা তার কি নাম রেখেছে? আমরা বললাম, হারব। তিনি বলেনঃ বরং তার নাম মুহসিন। অতঃপর তিনি বলেনঃ আমি হারূন [আঃ]-এর সন্তান  شِبْرٌ، وَشَبِيرٌ، وَمُشَبِّرٌ শিবর, শুবায়র ও মুশাব্বির-এর নাম অনুসারে এদের নাম রাখলাম।

[ইসতীআব, আহমাদ, হাকিম] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩৬৩. অনুচ্ছেদঃ গুরাব [কাক] নামের পরিবর্তন।

৮৩১. রায়েতা বিনতে মুসলিম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর সাথে হুনায়ন যুদ্ধে শরীক ছিলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেনঃ তোমার নাম কি? আমি বললাম, غُرَابٌ গুরাব [কাক]। তিনি বলেনঃ নাসায়ী, বরং তোমার নাম مُسْلِمٌ মুসলিম।

[আবু দাউদ, তারীখুল কাবীর] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩৬৪. অনুচ্ছেদঃ শিহাব নামের পরিবর্তন।

৮৩২. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সামনে শিহাব নামক এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ উঠলো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ বরং তুমি هِشَامٍ হিশাম [দানশীল]।

[আবু দাউদ] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩৬৫. অনুচ্ছেদঃ আস [অবাধ্য] নাম পরিবর্তন করা।

৮৩৩. আবদুল্লাহ ইবনি মুতী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আমি মুতী [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, আমি মক্কা বিজয়ের দিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ আজকের পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত কোন কুরাইশ বংশীয় লোককে [চাঁদমারির] লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হত্যা করা যাবে না। কুরাইশের ‘আস’ নামীয়দের মধ্যে মুতী ছাড়া আর কেউ ইসলাম গ্রহণ করেনি। তার নামও ছিল আস [অবাধ্য]। নাবী [সাঃআঃ] তার নাম রাখেন مُطِيعًا মুতী [বাধ্য]। –

[মুসলিম, দারিমি, তাহাবী] নাম রাখা হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৬৬. অনুচ্ছেদঃ কেউ নিজ সংগীকে তার নাম সংক্ষিপ্ত করে ডাকতে পারে।

৮৩৪. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বললেনঃ হে আইশ! ইনি হচ্ছেন জিবরীল [আঃ]। তিনি তোমাকে সালাম বলেছেন। তিনি বলেন, তার প্রতিও সালাম এবং আল্লাহর রহমাত বর্ষিত হোক। আয়েশা [রাঃআঃ] বলেন, তিনি দেখিতে পান যা আমি দেখি না।

[বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজী, নাসায়ী, ইবনি মাজাহ] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮৩৫. উম্মে কুলসুম বিনতে ছুমামা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

তিনি হজ্জ উপলক্ষে [বসরা থেকে মদী নাসায়ী] আসেন। তার ভাই মুখারিক ইবনি ছুমামা [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, আপনি আয়েশা [রাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে উসমান ইবনি আফফান [রাঃআঃ] সম্পর্কে জিজ্ঞেস করুন। কেননা বহু লোক তার সম্পর্কে আমাদের কাছে নানা কথা বলে। উম্মে কুলসুম [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, আমি তার নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, আপনার কোন এক সন্তান আপনাকে সালাম জানিয়েছে এবং উসমান ইবনি আফফান [রাঃআঃ] সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞেস করেছে। তিনি বলেন, ওয়া আলাইহিস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ [তার উপর শান্তি এবং আল্লাহর রহমাত বর্ষিত হোক]। তিনি বলেন, শোনো! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি উসমান [রাঃআঃ] এবং আল্লাহর নাবী [সাঃআঃ]-কে এই ঘরের মধ্যেই এই গরমের রাতে একত্রে দেখেছি। জিবরাঈল [আঃ] তখন নাবী [সাঃআঃ]-এর উপর ওহী নাযিল করেন। পরে নাবী [সাঃআঃ] উসমান [রাঃআঃ]-এর হাতে অথবা কাঁধের উপর চপেটাঘাত করে বলেনঃ লিখে নাও হে উসম! আল্লাহ তাআলা কারো প্রতি সদয় না হলে তার নাবীর পক্ষ থেকে এমন মর্যাদা তাকে দেন না। সুতরাং যে উসমান [রাঃআঃ]-কে গালি দেয় তার প্রতি আল্লাহর গযব।

[আহমাদ] নাম রাখা হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩৬৭. অনুচ্ছেদঃ জাহম নাম রাখা।

৮৩৬. বশীর ইবনি নাহীক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট নীত হলে তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ তোমার নাম কি? তিনি বলেন, জাহম। তিনি বলেনঃ বরং তোমার নাম বশীর। একদা আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর সাথে যাচ্ছিলাম। তিনি বলেনঃ হে খাসাসিয়ার পুত্ৰ! তোমার কি হলো যে, তুমি আল্লাহর কাজে দোষ খুঁজে বেড়াও? আর সেজন্যই তুমি কি আল্লাহর রাসূলের পিছনে লেগেছো? আমি বললাম, আপনার জন্য আমার পিতা-মাতা কোরবান হোক। আমি আল্লাহর কাজে দোষ খুঁজি না। আমি সর্বপ্রকার কল্যাণ লাভ করেছি। অতঃপর তিনি মুশরিকদের কবরস্থানে পৌঁছে বলেনঃ এরা প্রভূত কল্যাণ হারিয়েছে। অতঃপর তিনি মুসলমানদের কবরস্থানে পৌঁছে বলেনঃ এরা প্রভূত কল্যাণ লাভ করেছে। এই সময় চপ্পল পরিহিত এক ব্যক্তি কবরস্থানের উপর দিয়ে যাচ্ছিলো। রসূলুল্লাহ। [সাঃআঃ] বলেনঃ হে চপ্পল পরিহিত! তোমার চপ্পলজোড়া খুলে ফেলে দাও। অতএব সে তার চঞ্জলজোড়া খুলে ফেলে দিলো।

[আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনি মাজাহ, আহমাদ হা/৭৮০ নং-ও দ্র.] নাম রাখা হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮৩৭. বশীর ইবনুল খাসাসিয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তার নাম ছিল যাহম। নাবী [সাঃআঃ] তার নাম রাখেন  بَشِيرًا বশীর ।

নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৬৮. অনুচ্ছেদঃ “বাররা” নাম।

৮৩৮. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

উম্মুল মুমিনীন জুয়াইরিয়া [রাঃআঃ]-এর নাম ছিল বাররা। নাবী [সাঃআঃ] তার নাম রাখেন جُوَيْرِيَةَ জুয়াইরিয়া।

-[মুসলিম, আবু দাউদ, আহমাদ, আবু আওয়ানাসায়ী, ইবনি হিব্বান] নাম রাখা হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮৩৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

মায়মূনা [রাঃআঃ]-এর নাম ছিল বাররা। নাবী [সাঃআঃ] তার নাম রাখেন مَيْمُونَةَ মায়মূনা।

নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ শায

৩৬৯. অনুচ্ছেদঃ আফলাহ নাম।

৮৪০. জাবের [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ আমি যদি জীবিত থাকি তবে ইনশাআল্লাহ আমার উম্মাতকে নিষেধ করবো যে, তাহাদের কেউ যেন বরকত, নাফে, আফলাহ ইত্যাদি নাম না রাখে। রাবী বলেন, তিনি রাফে নামের কথাও বলেছেন কিনা তা আমার স্মরণ নাই। হয় তো বলা হইবে, এখানে বরকত আছে কি? জবাবে বলা হইবে, না, এখানে নাই। নাবী [সাঃআঃ] ইন্তিকাল করেন, কিন্তু এসব নাম রাখতে নিষেধ করেননি।

[আবু দাউদ] নাম রাখা হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮৪১. জাবের ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] ইয়ালা, বরকত, নাফে, ইয়াসার, আফলাহ প্রভৃতি নাম রাখতে নিষেধ করিতে চেয়েছিলেন। পরে তিনি এ ব্যাপারে নীরব থাকেন এবং আর কিছু বলেননি।

[মুসলিম, আবু দাউদ] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৭০. অনুচ্ছেদঃ রাবাহ নাম।

৮৪২. উমার ইবনুল খাত্তাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] যখন তাহাঁর স্ত্রীদের থেকে বিচ্ছিন্নভাবে ছিলেন, তখন আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর গোলাম রাবাহ-এর নিকট উপস্থিত হলাম। আমি ডাক দিয়ে বললাম, হে রাবাহ! রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট থেকে আমার প্রবেশানুমতি প্রার্থনা করো।

[বোখারী, মুসলিম] নাম রাখা হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩৭১. অনুচ্ছেদঃ নাবীগণের নাম।

৮৪৩./ আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা আমার নামানুসারে নাম রাখতে পারো, কিন্তু আমার উপনামে নাম রেখো না। কেননা আমিই  أَبُو الْقَاسِمِ আবুল কাসিম।

[বোখারী, মুসলিম] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮৪৪. আনাস ইবনি মালক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

এক ব্যক্তি ডাক দিলো, হে আবুল কাসেম! নাবী [সাঃআঃ] তার দিকে তাকালে সে বললো, ইয়া রসূলাল্লাহ! আমি ঐ ব্যক্তিকে ডেকেছি। তখন নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা আমার নামে নাম রাখতে পারো, কিন্তু আমার ডাকনামে নাম রেখো না।

-[বোখারী, মুসলিম, তাহাবী] নাম রাখা হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮৪৫. ইউসুফ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি সালাম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] আমার নাম রাখেন ইউসুফ। তিনি আমাকে তাহাঁর কোলে বসান এবং আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন।

[আহমাদ, শামাইল] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮৪৬. জাবের ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমাদের আনসারদের এক ব্যক্তির একটি পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হলো। সে তার নাম রাখতে চাইলো মুহাম্মাদ। আমি তাকে কাঁধে তুলে নিলাম এবং তাকে নিয়ে নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এলাম। তিনি বলেনঃ তোমরা আমার নামে নাম রাখতে পারো, তবে আমার ডাকনামে নাম রেখে না। কেননা আমাকে কাসেম [বিতরণকারী] বানানো হয়েছে। আমি তোমাদের মধ্যে বন্টন করি।

[বোখারী, মুসলিম] নাম রাখা হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮৪৭. আবু মূসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমার একটি পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হলো। আমি তাকে নিয়ে নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এলাম। তিনি তার নাম রাখেন  إِبْرَاهِيمَ ইবরাহীম। তিনি খেজুর চিবিয়ে শিশুর মুখে দেন এবং তার জন্য বরকতের দোয়া করেন। অতঃপর তাকে আমার কোলে ফিরিয়ে দেন। সে ছিলো আবু মূসা [রাঃআঃ]-এর বড়ো ছেলে।

[বোখারী, মুসলিম] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৭২. অনুচ্ছেদঃ হুযন [দুঃখ] নাম।

৮৪৮. সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

তিনি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এলেন। তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ তোমার নাম কি? তিনি বলেন, হুযন [দুঃখ]। তিনি বলেনঃ তুমি সাহল [সহজ]। তিনি বলেন, আমার পিতা আমার যে নাম রেখেছেন তা আমি পরির্বতন করবো না। ইবনুল মুসাইয়্যাব [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, ফলে সে অনবরত আমাদের মধ্যে চিন্তাযুক্ত থাকতো।

নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮৪৯. আবদুল হামীদ ইবনি জুবাইর ইবনি শায়বা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আমি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব [রাহিমাহুল্লাহ]-এর পাশে বসা ছিলাম। তিনি আমাকে বর্ণনা করিলেন যে, তার দাদা হুযন [রাঃআঃ] নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট গেলেন। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তোমার নাম কি? তিনি বলেন, আমার নাম হুযন। তিনি বলেনঃ বরং তোমার নাম সাহল। তিনি বলেন, আমার পিতা আমার যে নাম রেখেছেন তা আমি পরিবর্তন করবো না। ইবনুল মুসাইয়্যাব [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, সেই অবধি আমাদের পরিবারে দুঃখ লেগেই আছে।

[বোখারী, মুসলিম, দারিমি] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৭৩. অনুচ্ছেদঃ নাবী [সাঃআঃ]-এর নাম ও উপনাম।

৮৫০. জাবের [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমাদের মধ্যকার এক ব্যক্তির একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সে তার নাম রাখে কাসেম। আনসারগণ বলেন, আমরা তোমাকে না أَبَا الْقَاسِمِ আবুল কাসেম নামে ডাকবো আর না তোমার চোখ জুড়াবো। সে নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে আনসারগণ যা বলেছে তা তাহাঁকে জানায়। নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ আনসারগণ উত্তম কাজই করেছে। তোমরা আমার নামে নাম রাখো, কিন্তু আমার ডাকনামে নাম রেখো না। আমিই হলাম قَاسِمٌ কাসেম [বন্টনকারী]।

[বোখারী,মুসলিম,আবু দাউদ,তিরমিজী,ইবনি মাজাহ] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮৫১. ইবনুল হানাফিয়া [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আলী [রাঃআঃ]-এর জন্য [একটি ব্যাপারে] অনুমোদন ছিল। তিনি বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! আপনার পরে আমার কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করলে আমি কি আপনার নামে তার নাম এবং আপনার ডাকনামে তার ডাকনাম রাখতে পারবো? তিনি বলেনঃ হাঁ।

-[আবু দাউদ, তিরমিজী, ইবনি মাজাহ, তাহাবী, হাকিম, আহমাদ] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮৫২. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে তাহাঁর নাম ও ডাকনাম একত্রে রাখতে নিষেধ করিয়াছেন। তিনি বলেছেনঃ আমি হলাম আবুল কাসেম আল্লাহ আমাকে দান করেন এবং আমি বিতরণ করি।

-তিরমিজী, ইবনি হিব্বান, মুসনাদ আবু ইয়ালা] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৮৫৩. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বাজারে ছিলেন। এক ব্যক্তি ডেকে বললো, হে আবুল কাসেম । নাবী [সাঃআঃ] তার দিকে দৃষ্টিপাত করলে সে বললো, আমি এই ব্যক্তিকে ডেকেছি। তখন নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা আমার নামে নাম রাখো, কিন্তু আমার ডাকনামে ডাকনাম রেখো না।

-[বোখারী, মুসলিম, তিরমিজী, ইবনি মাজাহ] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৭৪. অনুচ্ছেদঃ মুশরিক [পৌত্তলিক] কি উপনাম গ্রহণ করিতে পারে।

৮৫৪. উসামা ইবনি যায়েদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক মজলিসে গিয়ে উপনীত হলেন। সেখানে [মুনাফিক নেতা] আবদুল্লাহ ইবনি উবাই ইবনি সালূলও উপস্থিত ছিল। এটা আবদুল্লাহ ইবনি উবাইর ইসলাম গ্রহণের পূর্বেকার ঘটনা। তখন সে বললো, তুমি আমাদের মজলিসে আমাদের কষ্ট দিও না। অতঃপর নাবী [সাঃআঃ] সাদ ইবনি উবাদা [রাঃআঃ]-এর নিকট গিয়ে বলেনঃ হে সাদ! তুমি কি শোনো নাই, আবু হুবাব কি বলে? এখানে আবু হুবাব [সাদের পিতা] দ্বারা তিনি আবদুল্লাহ ইবনি উবাইকে বুঝিয়েছেন।

-[বোখারী, মুসলিম, মুসনাদ আহমাদ] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৭৫. অনুচ্ছেদঃ বালকের উপনাম।

৮৫৫. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] আমাদের এখানে আসতেন। আবু উমাইর ডাকনামে আমার একটি ছোট ভাই ছিল। তার একটি বুলবুলি ছিল। সে তা নিয়ে খেলা করতো। সেটি মারা গেলো। নাবী [সাঃআঃ] আমাদের এখানে এসে তাকে দুঃখ ভারাক্রান্ত দেখলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তার কি হয়েছে? তাহাঁকে বলা হলো, তার বুলবুলিটি মারা গেছে। তিনি [কৌতুক করে] বলেনঃ ওহে আবু উমাইর! কি করলো তোমার নুগায়ের।

-[বোখারী, মুসলিম, তিরমিজী, ইবনি মাজাহ] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৭৬. অনুচ্ছেদঃ শিশুর জন্মের পূর্বেই কারো উপনাম গ্রহণ।

৮৫৬. ইবরাহীম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] আলকামা [রাহিমাহুল্লাহ]-এর ডাকনাম রাখেন أَبَا شِبْلٍ “আবু শিবল”। অথচ তখনও তার কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করেনি।

নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮৫৭. আলকামা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আমার কোন সন্তান ভূমিষ্ঠ না হইতেই আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] আমার ডাকনাম রাখেন।

নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৭৭. অনুচ্ছেদঃ নারীদের উপনাম।

৮৫৮. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ। আপনি। আপনার স্ত্রীগণের ডাকনাম রেখেছেন। অতএব আমারও একটি ডাকনাম রাখুন। তিনি বলেনঃ তুমি তোমার বোনপুত عَبْدِ اللَّهِ আবদুল্লাহর নামে ডাকনাম গ্রহণ করো।

[আবু দাউদ] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮৫৯. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

হে আল্লাহর নাবী! আপনি কি আমার ডাকনাম রাখবেন না? তিনি বলেনঃ তুমি তোমার পুত্রের অর্থাৎ যুবাইরের পুত্র عَبْدِ اللَّهِ আবদুল্লাহর নামে ডাকনাম গ্রহণ করো। অতএব তাকে আবদুল্লাহর মা নামে ডাকা হতো।

[আবু দাউদ] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৭৮. অনুচ্ছেদঃ কেউ কারো এমন কিছু দ্বারা উপনাম রাখলো যা তার বা তাহাদের কারো মধ্যে আছে।

৮৬০. সাহল ইবনি সাদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আলী [রাঃআঃ]-এর নিকট তার নামগুলোর মধ্যে “আবু তুরাব” নামটি ছিল সর্বাধিক প্রিয় এবং তাকে এই নামে ডাকা হলে তিনি বিশেষভাবে আনন্দিত হইতেন। আবু তুরাব ডাকনাম তাকে নাবী [সাঃআঃ]-ই দিয়েছেন। এক দিন তিনি ফাতেমা [রাঃআঃ]-এর উপর রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে মসজিদে গিয়ে তার দেয়াল ঘেঁষে শুয়ে পড়লেন। তাহাঁকে খুঁজতে খুঁজতে নাবী [সাঃআঃ] সেখানে আসলে এক লোক বলে যে, তিনি দেয়াল ঘেঁষে শুয়ে আছেন। নাবী [সাঃআঃ] তার কাছে যান। আলী [রাঃআঃ]-এর পিঠে ধূলাবালি লেগে ছিল। নাবী [সাঃআঃ] তার পিঠের ধূলাবালি ঝাড়তে ঝাড়তে বলেনঃ হে أَبَا تُرَابٍ আবু তুরাব! উঠে বসো।

[বোখারী, মুসলিম] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৭৯. অনুচ্ছেদঃ প্রবীণ ও মর্যাদাশালী লোকদের সাথে কিভাবে হাঁটবে?

৮৬১. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

একদা নাবী [সাঃআঃ] আমাদের খেজুর বাগানে অর্থাৎ আবু তালহা [রাঃআঃ]-এর খেজুর বাগানে ছিলেন। তিনি প্রাকৃতিক প্রয়োজন সাড়তে গেলেন এবং বিলাল [রাঃআঃ]-ও তাহাঁর পাশে পাশে গেলেন। নাবী [সাঃআঃ] একটি কবরের নিকট পৌঁছলেন এবং বিলাল [রাঃআঃ] তাহাঁর নিকট না আসা পর্যন্ত দাঁড়ালেন। তিনি বলেনঃ হে বিলাল! তোমার জন্য দুঃখ হয়। আমি যা শুনিয়াছি তুমি কি তা শুনেছো? তিনি বলেন, আমি কিছুই শুনতে পাইনি। তিনি বলেনঃ এই কবরবাসীর শাস্তি হচ্ছে। কবরটি ছিল এক ইহুদীর।

[আহমাদ হা/১২৫৫৮] নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৮০. অনুচ্ছেদঃ [শিরোনাম বিহীন]।

৮৬২. কায়েস [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আমি মুয়াবিয়া [রাঃআঃ]-কে তার ছোট ভাইকে বলিতে শুনিয়াছি, তুমি গোলামটিকে তোমার বাহনের পেছন দিকে তুলে নাও। কিন্তু সে তা অস্বীকার করলো মুয়াবিয়া [রাঃআঃ] তাকে বলেন, তুমি চরম অশিষ্ট। কায়েস [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, আমি আবু সুফিয়ান [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনলাম, তোমার ভাইকে তার অবস্থার উপর ছেড়ে দাও।

নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮৬৩. আমর ইবনুল আস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

বন্ধুর সংখ্যা যতো বাড়বে, দাবিদারের সংখ্যাও ততো বাড়বে। অধস্তন রাবী বলেন, আমি মূসা ইবনি আলী [রাহিমাহুল্লাহ]-কে বললাম, الْغُرَمَاءُ ‘গুরামা’ অর্থ কি? তিনি বলেন, প্রাপক বা দাবিদার।

নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস


by

Comments

One response to “অর্থপূর্ণ নাম রাখা সম্পর্কে হাদিস এবং কদর্য নাম পরিবর্তন”

Leave a Reply