নামাযে এদিক ওদিক তাকানো মাকরূহ ও নফল রোযা

নামাযে এদিক ওদিক তাকানো মাকরূহ ও নফল রোযা

বিনা ওযরে নামাযে এদিক ওদিক তাকানো মাকরূহ >> রিয়াদুস সালেহীন  হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর কয়েকটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন

নামাযে এদিক ওদিক তাকানো মাকরূহ ও নফল রোযা

পরিচ্ছেদ – ৩৩৪ঃ এশার নামাযের পর কথাবার্তা বলা মাকরূ
পরিচ্ছেদ – ৩৩৫ঃ যদি কোন স্ত্রীকে তার সবামী বিছানায় ডাকে, তাহলে কোন শরয়ী ওজর ছাড়া তার তা উপেক্ষা করা হারাম
পরিচ্ছেদ – ৩৩৬ঃ সবামীর উপস্থিতিতে কোন স্ত্রী তার অনুমতি ছাড়া কোন নফল রোযা রাখতে পারে না
পরিচ্ছেদ – ৩৩৭ঃ রুকূ সাজদাহ থেকে ইমামের আগে মাথা তোলা হারাম
পরিচ্ছেদ – ৩৩৮ঃ নামাযের মধ্যে কোমরে হাত রাখা মাকরূহ
পরিচ্ছেদ – ৩৩৯ঃ খাবারের চাহিদা থাকা কালে খাবার উপস্থিত রেখে এবং পেশাব-পায়খানার খুব চাপ থাকলে উভয় অবস্থায় নামায পড়া মাকরূহ
পরিচ্ছেদ – ৩৪০ঃ নামাযে আসমান বা উপরের দিকে তাকানো নিষেধ
পরিচ্ছেদ – ৩৪১ঃ বিনা ওযরে নামাযে এদিক-ওদিক তাকানো মাকরূহ
পরিচ্ছেদ – ৩৪২ঃ কবরের দিকে মুখ করে নামায পড়া নিষেধ
পরিচ্ছেদ – ৩৪৩ঃ নামাযীর সামনে দিয়ে পার হওয়া হারাম
পরিচ্ছেদ – ৩৪৪ঃ নামাযের ইকামত শুরু হবার পর নফল বা সুন্নত নামায পড়া মাকরূহ
পরিচ্ছেদ – ৩৪৫ঃ রোযার জন্য জুমআর দিন এবং নামাযের জন্য জুমআর রাত নির্দিষ্ট করা মাকরূহ
পরিচ্ছেদ – ৩৪৬ঃ সওমে বিসাল, অর্থাৎ একাদিক্রমে দুই বা ততোধিক দিন ধরে বিনা পানাহারে রোযা রাখা হারাম

পরিচ্ছেদ – ৩৩৪: এশার নামাযের পর কথাবার্তা বলা মকরূহ

১৭৫৫. আবু বারযা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল সাঃআঃ এশার নামাযের আগে ঘুমানো এবং পরে কথাবার্তা বলা অপছন্দ করতেন।

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৪১, ৫৪৭, ৫৬৮, ৫৯৯, ৭৭১, মুসলিম ৬৪৭, নাসাঈ ৪৯৫, ৫৩০, ৯৪৪, আবু দাঊদ ৩৯৮, ইবনু মাজাহ ৬৭৪, দারেমী ১৩০০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭৫৬. ইবনে উমার রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল সাঃআঃ নিজ জীবনের অন্তিম দিনগুলির কোন একদিন (লোকদেরকে নিয়ে) এশার নামায পড়লেন এবং যখন সালাম ফিরলেন, তখন বললেন, ‘‘আচ্ছা বলত। এটা তোমাদের কোন রজনী? (এ কথা) সুনিশ্চিত যে, যে ব্যক্তি আজ ধরাপৃষ্ঠে জীবিত আছে, একশত বছরের মাথায় সে ব্যক্তি অবশিষ্ট থাকবে না (অর্থাৎ মারা যাবে)।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ১১৬, ৫৬৪, ৬০১, মুসলিম ২৫৩৭, তিরমিজী ২২৫১, আবু দাঊদ ৪৩৪৮, আহমাদ ৫৫৮৫, ৫৯৯২, ৬১১৩) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭৫৭. আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

একদিন (মসজিদে) সাহাবায়ে কেরাম নবী সাঃআঃ-এর আগমনের প্রতীক্ষায় ছিলেন। অতঃপর তিনি প্রায় অর্ধ রাত্রিতে তাঁদের নিকট আগমন করলেন এবং তাঁদেরকে নিয়ে নামায অর্থাৎ এশার নামায পড়লেন। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তিনি আমাদের মাঝে বক্তব্য রাখলেন। তাতে তিনি বললেন, ‘‘শোন! লোকে নামায সমাধা ক’রে ঘুমিয়ে পড়েছে। আর তোমরা যতক্ষণ পর্যন্ত নামাযের অপেক্ষা করছিলে, ততক্ষণ পর্যন্ত অব্যাহত-ভাবে নামাযের মধ্যেই ছিলে।’’

(১৭৫৭. সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৭২, ৬০০, ৬৬১, ৮৪৮, ৫৮৬৯, মুসলিম ৬৪০, নাসাঈ ৫৩৯, ৫২০২, ৫২৮৫, ইবনু মাজাহ ৬৯২, আহমাদ ১২৪৬৯, ১২৫৫০, ১২৬৫৬, ১৩৪০৭) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩৩৫: যদি কোন স্ত্রীকে তার স্বামী বিছানায় ডাকে, তাহলে কোন শরয়ী ওজর ছাড়া তার তা উপেক্ষা করা হারাম

১৭৫৮. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেন, ‘‘যখন কেউ তার স্ত্রীকে স্বীয় বিছানার দিকে (দেহ মিলনের জন্য) ডাকে, আর সে তা প্রত্যাখ্যান করে এবং তার প্রতি (তার স্বামী) রাগান্বিত অবস্থায় রাত কাটায়, তখন ফজর পর্যন্ত ফিরিশতারা তাকে অভিশাপ করতে থাকেন।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৩২৩৭, ৫১৯৩, ৫১৯৪, মুসলিম ১৪৩৬, আবু দাঊদ ২১৪১, আহমাদ ৭৪২২, আহমাদ ৮৩৭৩, ৮৭৮৬, ৯৩৭৯, ৯৭০২, ৯৮৬৫, ১০৩৫৩, দারেমী ২২২৮) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩৩৬: স্বামীর উপস্থিতিতে কোন স্ত্রী তার অনুমতি ছাড়া কোন নফল রোযা রাখতে পারে না

১৭৫৯. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘কোন নারীর জন্য বৈধ নয় যে, তার স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ছাড়া (নফল) রোযা রাখবে। আর না তার বিনা অনুমতিতে (কোন আত্মীয় পুরুষ বা মহিলাকে) তার ঘরে ঢুকতে অনুমতি দেবে।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ২০৬৬, ৫১৯২, ৫১৯৫, মুসলিম ১০২৬, তিরমিজী ৭৮২, আবু দাঊদ ১৬৮৭, ২৪৫৮, ইবনু মাজাহ ১৭৬১, আহমাদ ৯৪৪১, ৯৮১২, ১০১১৭, ২৭৪০৫, দারেমী ১৭২০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩৩৭: রুকু সাজদাহ থেকে ইমামের আগে মাথা তোলা হারাম

১৭৬০. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘তোমাদের কেউ যখন ইমামের আগে মাথা তোলে, তখন তার মনে কি ভয় হয় না যে, মহান আল্লাহ তার মাথা, গাধার মাথায় পরিণত ক’রে দেবেন অথবা তার আকৃতি গাধার আকৃতি ক’রে দেবেন।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬৯১, মুসলিম ৪২৭, তিরমিজী ৫৮২, নাসাঈ ৮২৮, আবু দাঊদ ৬২৩, ইবনু মাজাহ ৯৬১, আহমাদ ৭৪৮১, ৭৬১২, ৯২১১, ৯৫৭৪, ৯৭৫৪, ১০১৬৮, ২৭২৭০, দারেমী ১৩১৬) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩৩৮: নামাযের মধ্যে কোমরে হাত রাখা মকরূহ

১৭৬১. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘নামাযরত অবস্থায় কোমরে হাত রাখতে আল্লাহর রসূল সাঃআঃ নিষেধ করিয়াছেন।’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ১২১৯, ১২২০, মুসলিম ৫৪৫, তিরমিজী ৩৮৩, নাসাঈ ৮৯০, আবু দাঊদ ৯৪৭, আহমাদ ৭১৩৫, ৭৮৩৭, ৭৮৭১, ৮১৭৪, ৮৯৩০, দারেমী ১৪২৮) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩৩৯: খাবারের চাহিদা থাকা কালে খাবার উপস্থিত রেখে এবং পেশাব-পায়খানার খুব চাপ থাকলে উভয় অবস্থায় নামায পড়া মকরূহ

১৭৬২. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘খাবার হাযির থাকা কালীন অবস্থায় নামায নেই, আর পেশাব পায়খানার চাপ সামাল দেওয়া অবস্থায়ও নামায নেই।’’

(মুসলিম ৫৬০, আবু দাঊদ ৮৯, আহমাদ ২৩৬৪৬, ২৩৭৪৯, ২৩৯২৮) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩৪০: নামাযে আসমান বা উপরের দিকে তাকানো নিষেধ

১৭৬৩. আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘লোকদের কী হয়েছে যে, তারা নামাযের মধ্যে আকাশের দিকে দৃষ্টি তুলছে?’’ এ ব্যাপারে তিনি কঠোর বক্তব্য রাখলেন; এমনকি তিনি বললেন, ‘‘তারা যেন অবশ্যই এ কাজ হইতে বিরত থাকে; নচেৎ অবশ্যই তাদের দৃষ্টি-শক্তি কেড়ে নেওয়া হবে।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৭৫০, নাসাঈ ১১৯৩, আবু দাঊদ ৯১৩, ইবনু মাজাহ ১০৪৪, আহমাদ ১১৬৫৪, ১১৬৯৪, ১১৭৩৬, ১২০১৮, ১৩২৯৯, দারেমী ১৩০২) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩৪১: বিনা ওযরে নামাযে এদিক-ওদিক তাকানো মকরূহ

১৭৬৪. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে নামাযের মধ্যে এদিক-ওদিক তাকানোর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ‘‘এটা এক ধরণের অপহরণ, যার মাধ্যমে শয়তান নামাযের অংশ বিশেষ অপহরণ করে।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৭৫১, ৩১৯১, তিরমিজী ৫৯০, নাসাঈ ১১৯৬, ১১৯৯, আবু দাঊদ ৯১০, আহমাদ ২৩৮৯১, ২৪২২৫) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭৬৫. আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাকে রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বললেন: সালাতরত অবস্থায় এদিক-সেদিক তাকিও না। কেননা নামাযের ভিতর এদিক-সেদিক দৃষ্টিপাত একটি বিপর্যয়। যদি ডানে-বামে তাকানো ছাড়া কোন উপায় না থাকে তবে তা নফল সালাতে কর, কিন্তু ফরয সালাতে তা করা যাবে না।

(আমি [আলবানী] বলছিঃ আসলে এরূপই আর সম্ভবত তিরমিজীর কোন কোন ছাপাতে এরূপই এসেছে। কিন্তু বূলাক ছাপায় [১/১১৬] হাদীসুন হাসানুন বলা হয়েছে আর তার টীকাতে [বাদাল ছাপায়] হাসান গারীব উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি বলুনঃ অর্থাৎ দুর্বল আর হাদীসটির সনদের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এটিই বেশী উপযোগী। কারণ এর মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে এবং সনদে বিচ্ছিন্নিতাও রয়েছে। আমি ‘‘মিশকাত’’ গ্রন্থের টীকা [১৭২, ৪৬৫, ৯৯৭] এবং ‘‘আত্তাররগীব’’ গ্রন্থে [১/১৯১] তা বর্ণনা করেছি।) হাদীসটির মানঃ দুর্বল হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩৪২: কবরের দিকে মুখ করে নামায পড়া নিষেধ

১৭৬৬. আবু মারসাদ কান্নায ইবনে হুস্বাইন রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘তোমরা কবরের দিকে মুখ ক’রে নামায পড়ো না এবং তার উপর বসো না।’’

(মুসলিম ৯৭২, তিরমিজী ১০৫০, নাসাঈ ৭৬০, আবু দাঊদ ৩২২৯, আহমাদ ১৬৭৬৪) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩৪৩: নামাযীর সামনে দিয়ে পার হওয়া হারাম

১৭৬৭. আবুল জুহাইম আব্দুল্লাহ ইবনে হারেস ইবনে স্বিম্মাহ আনসারী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যদি নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী জানত যে, তা তার জন্য কত ভয়াবহ (অপরাধ), তাহলে সে নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে চল্লিশ (দিন/মাস/বছর) দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে করত।’’ রাবী বলেন, আমি জানি না যে, তিনি চল্লিশ দিন, নাকি চল্লিশ মাস, নাকি চল্লিশ বছর বললেন।

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫১০, মুসলিম ৫৯৭, তিরমিজী ৩৩৬, নাসাঈ ৭৫৬, আবু দাঊদ ৭০১, ইবনু মাজাহ ৯৪৫, আহমাদ ১৭০৮৯, মুওয়াত্তা মালিক ৩৬৫, দারেমী ১৪১৬, ১৪১৭) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩৪৪: নামাযের ইকামত শুরু হবার পর নফল বা সুন্নত নামায পড়া মকরূহ

১৭৬৮. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ বলেন, ‘‘যখন নামাযের জন্য ইকামত দেওয়া হবে, তখন ফরয নামায ছাড়া অন্য কোন নামায নেই।’’

(মুসলিম ৭১০, তিরমিজী ৪২১, নাসাঈ ৮৬৫, ৮৬৬, আবু দাঊদ ১২৬৬, ইবনু মাজাহ ১১৫১, আহমাদ ৮৪০৯, ৯৫৬৩, ১০৩২০, ১০৪৯৩, দারেমী ১৪৪৮) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩৪৫: রোযার জন্য জুমআর দিন এবং নামাযের জন্য জুমআর রাত নির্দিষ্ট করা মকরূহ

১৭৬৯. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘রাত্রিসমূহের মধ্যে জুমআর রাতকে কিয়াম (নফল নামায) পড়ার জন্য নির্দিষ্ট করো না এবং দিনসমূহের মধ্যে জুমআর দিনকে (নফল) রোযা রাখার জন্য নির্ধারিত করো না। তবে যদি তা তোমাদের কারো রোযা রাখার তারিখ পড়ে (তাহলে সে কথা ভিন্ন) ।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ১৯৮৫, মুসলিম ১১৪৪, তিরমিজী ৭৪৩, আবু দাঊদ ২৪২০, ইবনু মাজাহ ১৭২৩, আহমাদ ৭৩৪১, ৭৭৮০, ৭৯৬৫, ৮৫৫৪, ৮৮৫৩, ৮৮৮২, ৯০৩১, ৯১৭১, ১০০৫২) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭৭০. উক্ত রাবী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে বলতে শুনেছি যে, ‘‘অবশ্যই কেউ যেন স্রেফ জুমআর দিনে রোযা না রাখে; তবে যদি তার একদিন আগে কিম্বা পরে রাখে (তাহলে তাতে ক্ষতি নেই।)’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ১৯৮৫, মুসলিম ১১৪৪, তিরমিজী ৭৪৩, আবু দাঊদ ২৪২০, ইবনু মাজাহ ১৭২৩, আহমাদ ৭৩৪১, ৭৭৮০, ৭৯৬৫, ৮৫৫৪, ৮৮৫৩, ৮৮৮২, ৯০৩১, ৯১৭১, ১০০৫২) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭৭১. মুহাম্মাদ ইবনে আববাদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জাবের রাঃআঃ-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘নবী সাঃআঃ কি জুমআর দিন রোযা রাখতে নিষেধ করিয়াছেন?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ১৯৮৪, মুসলিম ১১৪৩, ইবনু মাজাহ ১৭২৪, আহমাদ ১৩৭৫০, ১৩৯৪৩, দারেমী ১৭৪৮) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭৭২. মু’মিন জননী জুয়াইরিয়্যাহ বিন্তে হারেষ রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ জুমআর দিনে তাঁর নিকট প্রবেশ করলেন, তখন তিনি (জুয়াইরিয়্যাহ) রোযা অবস্থায় ছিলেন। রসুলুল্লাহ সাঃআঃ তাঁকে প্রশ্ন করলেন, ‘‘তুমি কি গতকাল রোযা রেখেছিলে?’’ তিনি বললেন, ‘না।’ (নবী সাঃআঃ) বললেন, ‘‘আগামীকাল রোযা রাখার ইচ্ছা আছে তো?’’ তিনি জবাব দিলেন, ‘না।’ রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বললেন, ‘‘তাহলে রোযা ভেঙ্গে ফেল।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ১৯৮৬, আবু দাঊদ ২৪২২, আহমাদ ৬৭৩২, ২৬২১৫) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৩৪৬: সওমে বিসাল, অর্থাৎ একাদিক্রমে দুই বা ততোধিক দিন ধরে বিনা পানাহারে রোযা রাখা হারাম

১৭৭৩. আবু হুরাইরা রাঃআঃ ও আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ সওমে বিসাল করতে নিষেধ করিয়াছেন।

(সহীহুল বুখারী শরীফ ১৯৬৪, ১৯৬৫, মুসলিম ১১০৫, আহমাদ ২৪০৬৫, ২৪১০৩, ২৪৪২৪, ২৫৫২৩, ২৫৬৭৯) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

১৭৭৪. ইবনে উমার রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ সওমে বিসাল রাখতে নিষেধ করলেন। লোকেরা নিবেদন করল, ‘আপনি তো সওমে বিসাল রাখেন? তিনি বললেন, ‘‘(এ বিষয়ে) আমি তোমাদের মত নই। আমাকে (আল্লাহর তরফ থেকে) পানাহার করানো হয়।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ১৯২২, ১৯৬২, মুসলিম ১১০২, আবু দাঊদ ২৩৬০, আহমাদ ৪৭০৭, ৪৭৩৮, ৫৭৬১, ৫৮৮১, ৬০৯০, ৬২৬৩, ৬৩৭৭, মুওয়াত্তা মালিক ৬৭৩) দীসটির মানঃ সহীহ হাদীস


by

Comments

Leave a Reply