নামাজ শেষে ডানে-বামে ফেরার বৈধতা

নামাজ শেষে ডানে-বামে ফেরার বৈধতা

নামাজ শেষে ডানে-বামে ফেরার বৈধতা >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

৭. অধ্যায়ঃ নামাজ শেষে ডানে-বামে ফেরার বৈধতা
৮.অধ্যায়ঃ [মুক্তাদীর] ইমামের ডানপাশে থাকা মুস্তাহাব হওয়া
৯. অধ্যায়ঃ মুয়ায্‌যিন ইক্বামাত দেয়া শুরু করলে নাফ্‌ল নামাজ শুরু করা মাকরূহ

৭. অধ্যায়ঃ নামাজ শেষে ডানে-বামে ফেরার বৈধতা

১৫২৩. আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, তোমাদের মধ্য হইতে কেউ যেন তার পক্ষ থেকে শাইত্বনের জন্য কোন অংশ নির্ধারণ না করে। অর্থাৎ সে যেন এরূপ মনে না করে যে, নামাজ শেষে ডান দিকে ছাড়া অন্য কোন দিকে মুখ ফিরানো যাবে না। কেননা আমি অধিকাংশ সময় রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বাম দিকে মুখ ফিরাতে দেখেছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫০৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৫১৭]

১৫২৪. ইসহাক্ব ইবনি ইব্রাহীম, আলী ইবনি খশ্রাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনা করিয়াছেন উভয়ে আমাশ হইতে বর্ণীতঃ

একই সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫০৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৫১৮]

১৫২৫. ইসমাঈল ইবনি আবদুর রহমান আস্‌ সুদ্দী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনি মালিক [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করলাম, আমি নামাজ শেষ করে কোন্‌ দিকে মুখ ফিরাব- ডানে না বাঁয়ে? তিনি বললেনঃ আমি অধিকাংশ সময় রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দেখেছি [নামাজ শেষ করে] ডান দিকে মুখ ফিরাতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫১০, ই.সে ১৫১৯]

১৫২৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নামাজ শেষে নবী [সাঃআঃ] ডানদিকে [মুখ] ফিরাতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫১১, ইসলামিক সেন্টার- ১৫২০]

৮.অধ্যায়ঃ [মুক্তাদীর] ইমামের ডানপাশে থাকা মুস্তাহাব হওয়া

১৫২৭. বারা ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর পিছনে নামাজ আদায় করতাম তখন পিছনে তাহাঁর ডান দিকে দাঁড়ানো পছন্দ করতাম যাতে তিনি ঘুরে বসলে আমাদের দিকে মুখ করে বসেন। বারা ইবনি আযিব বলেন, আমি তাঁকে বলিতে শুনেছি,

 رَبِّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ – أَوْ تَجْمَعُ – عِبَادَكَ

“হে আমার রব! যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে পুনরায় জীবিত করিবে; অথবা বলেছেন, একত্রিত করিবে সেদিনের আযাব থেকে আমাকে রক্ষা কর।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫১২, ইসলামিক সেন্টার- ১৫২১]

১৫২৮. মিসআর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

একই সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন- তবে এ সানাদে বর্ণিত হাদীসটিতে তিনি “আমাদের দিকে ঘুরে বসেন” কথাটি উল্লেখ করেননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫১৩,ইসলামিক সেন্টার- ১৫২২]

৯. অধ্যায়ঃ মুয়ায্‌যিন ইক্বামাত দেয়া শুরু করলে নাফ্‌ল নামাজ শুরু করা মাকরূহ

১৫২৯. আবু হুরায়রাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ নামাজের ইক্বামাত দেয়া হলে ফরয নামাজ ছাড়া অন্য নামাজের নিয়্যাত করা যাবে না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫১৪, ই.সে ১৫২৩]

১৫৩০. মুহাম্মাদ ইবনি হাতিম ও ইবনি রাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] শাবাবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে, তিনি ওয়ারক্বা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

একই সানাদে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৪১৫, ইসলামিক সেন্টার- ১৫২৩-ক]

১৫৩১. আবু হুরায়রাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ফরয নামাজের ইক্বামাত দেয়া হলে তখন উক্ত ফরয ব্যতীত অন্য কোন নামাজ আদায় করা যাবে না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫১৬, ইসলামিক সেন্টার- ১৫২৩-খ]

১৫৩২. যাকারিয়্যা ইবনি ইসহাক্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

উক্ত সানাদে অনুরূপ বিষয়বস্তু সম্বলিত হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫১৭, ইসলামিক সেন্টার- ১৫২৪]

১৫৩৩. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ

অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছে। হাম্মাদ বর্ণনা করিয়াছেন- অতঃপর আমি উমর ইবনি খাত্ত্বাবের সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করে শুনালেন। তবে তিনি হাদীসটি নবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করেননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫১৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৫২৫]

১৫৩৪. আবদুল্লাহ ইবনি মালিক বুহায়নাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদিন ফাজ্‌রের নামাজের ইক্বামাত দেয়া হলে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] নামাজরত জনৈক ব্যক্তির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে কিছু বলিলেন যা আমরা বুঝতে পারলাম না। নামাজ শেষে আমরা তাকে ঘিরে ধরলাম। আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলামঃ রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তোমাকে কী বলিলেন? সে বলিল, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বললেনঃ মনে হচ্ছে কেউ ফাজ্‌রের নামাজ চার রাকআত আদায় করছে। ক্বানবী বর্ণনা করিয়াছেন- আবদুল্লাহ ইবনি মালিক ইবনি বুহায়নাহ্‌ তার পিতা বুহায়নাহ্‌ থেকে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু ঈমাম মুসলিম বলেছেন যে, আবদুল্লাহ ইবনি মালিক তার পিতা বুহাইনাহ্‌ থেকে বর্ণনা করেন ক্বানবীর এ উক্তি ভুল।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫১৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৫২৬]

১৫৩৫. ইবনি বুহায়না [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদিন ফাজ্‌রের নামাজের ইক্বামাত দেয়া হলে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] জনৈক ব্যক্তিকে দেখলেন যে, মুয়ায্‌যিন ইক্বামাত দিচ্ছে আর সে লোকটি নামাজ আদায় করছে। তখন তিনি তাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তুমি কি ফাজ্‌রের [ফরয ] নামাজ চার রাকআত আদায় করিবে?

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫২০, ইসলামিক সেন্টার- ১৫২৭]

১৫৩৬. আবদুল্লাহ ইবনি সারজিস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি মাসজিদে আসল। রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সে সময় ফাজ্‌রের নামাজ আদায় করেছিলেন। লোকটি মাসজিদের এক পাশে গিয়ে দু রাকআত নামাজ আদায় করে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে সলাতে শামিল হল। রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সালাম ফেরার পর তাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ হে অমুক! তুমি কোন্‌ দু রাকআত নামাজকে ফরয নামাজরূপে গণ্য করলে? একাকী যে দুরাকআত আদায় করলে সে দুরাকআতকে, না আমাদের সাথে যে দু রাকআত আদায় করলে সে দু রাকআতকে? {২৮}

[ই.ফা ১৫২১, ইসলামিক সেন্টার- ১৫২৮]

{২৮} ঈমাম নাবাবী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এ হাদীস ইক্বামাতের পর কোন নামাজ আদায় না করার দলীল যদিও ইমামের সাথে সলাতে গিয়ে মিলিত হইতে পারে এবং যে ব্যক্তি বলে প্রথম বা দ্বিতীয় রাকআত ইমামের সাথে পেলে সুন্নাত আদায় করা যাবে- এ হাদীস তার বক্তব্যকে প্রত্যাখান করছে।

[সুফ্‌লিন শারহে নাবাবী-১ম খন্ড ২৪৭ পৃষ্ঠা]


Posted

in

by

Comments

One response to “নামাজ শেষে ডানে-বামে ফেরার বৈধতা”

Leave a Reply