নামাজে খুশূ বা বিনয় নম্রতার প্রতি উৎসাহ প্রদান
নামাজে খুশূ বা বিনয় নম্রতার প্রতি উৎসাহ প্রদান >> বুলুগুল মারাম এর মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায় ৫ঃ নামাজে খুশূ বা বিনয় নম্রতার প্রতি উৎসাহ প্রদান
পরিচ্ছেদ ৬২. নামাজে কোমরে হাত দেয়া নিষেধ
পরিচ্ছেদ ৬৩. রাতের খাবার উপস্থিত হলে নামাজে বিলম্ব করার বিধান
পরিচ্ছেদ ৬৪. নামাজে কংকর সরানোর বিধান
পরিচ্ছেদ ৬৫. নামাজে এদিক সেদিক দৃষ্টি নিক্ষেপ করা নিষেধ
পরিচ্ছেদ ৬৬. নামাজ অবস্থায় থুথু ফেলা নিষেধ তবে বিশেষ প্রয়োজনে বৈধ ও তার পদ্ধতি
পরিচ্ছেদ ৬৭. মুসল্লী এমন বস্ত থেকে দূরে থাকিবে যা তাকে অমনোযোগী করে দেয়
পরিচ্ছেদ ৬৮. নামাজের সময় আসমানের দিকে দৃষ্টি উঠানো নিষেধ
পরিচ্ছেদ ৬৯. খাবার উপস্থিত রেখে ও পেশাব-পায়খানার যন্ত্রনা আটকিয়ে নামাজ আদায়ের বিধান
পরিচ্ছেদ ৭০. নামাজে হাই উঠা অপছন্দনীয় কাজ
পরিচ্ছেদ ৬২. নামাজে কোমরে হাত দেয়া নিষেধ
২৩৮ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]`মুখতাসির’ বা কোমরে হাত রেখে নামাজ আদায় করিতে নিষেধ করিয়াছেন। {২৭৩} শব্দ বিন্যাস মুসলিমের এবং মুখতাসির অর্থ হলো সে তার হাতকে কোমরে রাখে।
২৭৩} বুখারী ১২১৯, ১২২০; মুসলিম ৫৪৫। নামাজে খুশূ হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
২৩৯ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
মুখতাসির বা কোমরে হাত রাখা অবস্থায় নামাজে দাঁড়ান’ হচ্ছে ইয়াহূদ জাতির কাজ। {২৭৪}
{২৭৪} মারফূ‘ হিসেবে সহিহ। বুখারী ৩৪৫৮ হাদিসটিকে মাসরূক সূত্রে আয়িশাহ্ [রাঃআঃ] হতে বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি কোন মুসল্লীর নামাজরত অবস্থায় কোমরে হাত রাখাকে অপছন্দ করিতেন। তিনি বলেন, ইহুদীরা এরকম করে থাকে। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ৬৩. রাতের খাবার উপস্থিত হলে নামাজে বিলম্ব করার বিধান
২৪০ – আনাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন-রাতের খাবার সামনে এসে গেলে মাগ্রিবের নামাজ আদায়ের পূর্বেই খানা শুরু করিবে। {২৭৫}
{২৭৫} বুখারী ৬৭২; মুসলিম ৫৫৭; মুসলিমের বর্ণনায় [আরবী] শব্দের পরিবর্তে [আরবী] শব্দ রয়েছে। আর তাদের উভয়ের বর্ণনায় রয়েছেঃ “[আরবী]” তোমরা মাগরিবের নামাজ আদায় করিবে। তাঁরা উভয়েই “[আরবী]” বাক্যাংশটি বৃদ্ধি করিয়াছেন। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ৬৪. নামাজে কংকর সরানোর বিধান
২৪১ – আবূ যার গিফারী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ নামাজে দাঁড়িয়ে কেউ যেন সামনের কঙ্কর অপসারণ না করে। কেননা, নামাজ আদায়কারী ব্যক্তির সম্মুখে আল্লাহ্র রহমত সমাগত হয়। সহীহ্ সানাদ সহকারে ৫ জনে {২৭৬} আহমাদ অতিরিক্ত শব্দ বৃদ্ধি করেছেনঃ “একবার কর নাহলে বিরত থাকিবে।” {২৭৭}
{২৭৬} জঈফ। আবূ দাউদ [৯৪৫; নাসায়ি হাদিস ৩/৬; তিরমিজি ৩৭৯; ইবনু মাজাহ ১০৯৭; আহমাদ ৫/১৫০, ১৬৩, ১৭৯ হাদিসটিকে আবিল আহওয়াস সূত্রে আবূ যার্ হতে বর্ণনা করিয়াছেন। তিরমিজি বলেন, হাদিসটি হাসান। মুহাক্কিক সুমাইর আয-যুহাইরি বুলুগুল মারামের ব্যাখ্যা গ্রন্থে বলেনঃ কক্ষনো না। কেননা, আবিল আহওয়াসের অবস্থা জানা যায় না। যেমনটি বলেছেন ইবনুল কাত্তান। হাফিয [রহঃ] এর কথা আশ্চর্যজনক। তিনি এখানে সনদ সহিহ হওয়ার দিক থেকে কোন উক্তিকে বিশুদ্ধ বলেছেন। তিনি তাহাঁর তাকরীবে কখনো আবিল আহওয়াস থেকে বর্ণিত হাদিসকে [আরবী] গ্রহণযোগ্য বলেছেন। অর্থাৎ যখন তার অনুগামী হাদিস পাওয়া যাবে। নচেৎ তা দুর্বল বলে বিবেচিত হইবে। আমি বলিঃ এ হাদিসের মধ্যে আরেকটি ত্রুটি আছে। সুতরাং হাদিসটি সর্বাবস্থায় দুর্বল। {২৭৭} আহমাদ ৫/১৬৩। হাদিসের মধ্যে ইবনু আবূ লায়লা নামক একজন রাবী আছেন, যিনি স্মরণশক্তির দিক থেকে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে এ হাদিসটি মুখস্ত রেখেছেন। পরবর্তী হাদিস এর প্রমাণ বহন করে। তুহফাতুল আওয়াযী [২/১৯৩] গ্রন্থে আব্দুর রহমান মুবারকপুরী বলেন, এই হাদিসের রাবী আবুল আহওয়াস সম্পর্কে মুনযীরী বলেন, এ নামে তিনি কাউকে চেনেন না ইয়াহইয়া বিন মুঈন তার সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করিয়াছেন। ইবনু হাজার তাকে মাকবূল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। সহিহ ইবনু খুযাইমাহ [৯১৩] গ্রন্থে আবুল আহওয়াসকে আলবানী মাজহুল বলে আখ্যায়িত করিয়াছেন। তামামুল মিন্নাহ [৩১৩] গ্রন্থেও আলবানী অনুরূপ বলেছেন। তবে আত-তামহীদ [২৪/১১৬] গ্রন্থে ইবনু আব্দুল বার হাদিসটিকে মারফূ`সহিহ মারফু হিসেবে উল্লেখ করিয়াছেন। ইমাম সুয়ূতী আল জামিউস সগীর গ্রন্থে ও ইমাম নববী আল খুলাসা [১/৪৮৫] গ্রন্থে হাদিসটিকে হাসান বলে উল্লেখ করিয়াছেন। অনুরূপভাবে বিন বায মাজমুয়া ফাতাওয়া [১১/২৬৫] গ্রন্থে, আহমাদ শাকের শরহু সুনানু তিরমিজি [২/২১৯] গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
২৪২ – মু‘আইকিব্ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
এর কারণ দর্শান বলেন, ব্যতীত পূর্বানুরূপ আরো একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। {২৭৮}
{২৭৮} বুখারী ১২০৭, মুসলিম ৫৪৬, তিরমিজি ৩৮০, নাসায়ি হাদিস ১২৯২, আবূ দাউদ ৯৪৬, মুওয়াত্তা মালেক ১০২৬, আহমাদ ১৫০৮৩, ২৩০৯৮, দারেমী ১৩৮৭ সহিহ। মুসলিমের শব্দ হচ্ছেঃ [আরবী] “যদি তুমি তা করিতেই চাও তাহলে একবার করিতে পারো। নামাজে খুশূ হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ৬৫. নামাজে এদিক সেদিক দৃষ্টি নিক্ষেপ করা নিষেধ
২৪৩ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] -কে নামাজে এদিক ওদিক তাকানো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ এটা এক ধরনের ছিনতাই, যার মাধ্যমে শয়তান বান্দার নামাজ হতে অংশ বিশেষ ছিনিয়ে নেয়। {২৭৯}
{২৭৯} বুখারী ৭৫১, ৩২৯১, তিরমিজি ৫৯০, নাসায়ি হাদিস ১১৯৬, ১১৯৯ আবূ দাউদ ৯১০, আহমাদ ২৩৮৯১, ২৪২২৫/ হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
২৪৪ – আনাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একে হহীহ্ বলেছেন। তাতে আছে-`নামাজে এদিক ওদিক দৃষ্টি দেয়া হতে অবশ্য বিরত থাকিবে; কেননা এটা একটা সর্বনাশকর কর্ম। তবে আবশ্যক হলে তা নফল নামাজে [বৈধ]। {২৮০}
{২৮০} জঈফ।তিরমিজি ৫৮৯। ইমাম তিরমিজি হাদিসটিকে সুনানুত তিরমিজি [৫৮৯] গ্রন্থে হাসান গরীব হিসেবে উল্লেখ করিয়াছেন, ইমাম ইবনুল কাইয়ূম যাদুল মায়াদ [১/২৪১] গ্রন্থে হাদিসটির দু’টি দোষের কথা উল্লেখ করছেন। ইবনু রজব ফাতহুল বারি [৪/৪০৫] গ্রন্থে বলেন, এর সনদ সহিহ নয়। দারাকুতনীও অনুরূপ বলেছেন। এর সনদে ইযতিরাব সংঘঠিত হয়েছে। নাসিরুদ্দীন আলবানী মিশকাতুল মাসাবীহ [হাঃ ৯৬৫] গ্রন্থে বলেন, এর সনদ দুর্বল ও মুনকাতে। তিরমিজি [হাঃ ৫৮৯] তারগীব ওয়াত তারহীব ২৯, তামামুল মিন্নাহ গ্রন্থত্রয়েও হাদিসটিকে দুর্বল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিন বায তার হাশিয়া বুলুগুল মারাম [১৯০] গ্রন্থে বলেন ,এর সনদে আলী বিন জাদয়ান সে হাদিস বিষয়ে দুর্বল। আবার এর সনদে আরেক জন রাবী আব্দুল্লাহ বিন মুসান্না আল আনসারী তিনি অধিক ভুল বর্ণনাকারী হিসেবে চিহ্নিত। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ৬৬. নামাজ অবস্থায় থুথু ফেলা নিষেধ তবে বিশেষ প্রয়োজনে বৈধ ও তার পদ্ধতি
২৪৫ – আনাস ইব্নু মালিক [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন নামাজে থাকে, তখন তো সে তার রবের সাথে নিবিড় আলাপে মশগুল থাকে। কাজেই সে যেন তার সামনে বা ডানে থুথু না ফেলে; তবে [প্রয়োজনে] বাঁ দিকে বা পায়ের নীচে ফেলবে। {২৮১} ভিন্ন এক বর্ণনায় রয়েছে অথবা তার পায়ের নীচে। {২৮২}
{২৮১} বুখারী ১২১৪; মুসলিম ৫৫১। {২৮২} বুখারী ২৪১, ৪০৫, ৪১২, ৪১৩, ৪১৭, ৫৩১, ৫৩২, ৪২২, ১২১৪, মুসলিম ৪৯৩ নাসায়ি হাদিস ৩০৮, ৭২৮, আবূ দাউদ ৪৬০, ইবনু মাজাহ ৭৬২, ৭৬২, ১০২৪, আহমাদ ১১৬৫১, ১২৫৪৭, দারেমী ১৩৯৬। নামাজে খুশূ হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ৬৭. মুসল্লী এমন বস্ত থেকে দূরে থাকিবে যা তাকে অমনোযোগী করে দেয়
২৪৬ – আনাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
আয়িশা [রাঃআঃ] -এর নিকট একটা বিচিত্র রঙের পাতলা পর্দার কাপড় ছিল। তিনি তা ঘরের এক দিকে পর্দা হিসেবে ব্যবহার করছিলেন। নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ আমার সামনে থেকে তোমার এই পর্দা সরিয়ে নাও। কারণ নামাজ আদায়ের সময় এর ছবিগুলো আমার সামনে ভেসে ওঠে। {২৮৩}
২৮৩.বুখারী ৩৭৪; হাদীসে [আরবী] অর্থ পশমের তৈরি পাতলা রঙিন কাপড়। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
২৪৭ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
পর্দাখানির চিত্র [ছবি] -গুলো আমাকে নামাজ হতে অমনযোগী বা উদাসীন করে দিচ্ছিল।’ {২৮৪
{২৮৪} বুখারী ৩৭৩, ৭৫২, ৫৮১৭; মুসলিম ৫৫৬। নাসায়ি হাদিস ৭৭১, আবূ দাউদ ৯১৪, ৪০৫২, মুসলিম ৩৫৫০, আহমাদ ২৩৫৬৭, ২৩৬৭০, ২৪৯১৭, মুওয়াত্তা মালেক ২২০, ২২১। মুসলিমের শব্দসমূহ হচ্ছেঃ
[আরবী]
আয়িশাহ [রাঃআঃ] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] একদা নকশাবিশিষ্ট কাপড়ে নামাজ আদায় করিলেন। নামাজের মধ্যে তার দৃষ্টি সেই নকশার উপর পড়ল। নামাজ শেষে তিনি বলিলেন, তুমি আমার এ কাপড় আবূ জাহমের নিকট নিয়ে যাও এবং তার থেকে আম্বেজানিয়া কাপড় নিয়ে আসো। কেননা এ নকশাদার কাপড় আমার মনোযোগ নষ্ট করে দিচ্ছিল।
[আরবী] হচ্ছে একপ্রকার চতুষ্কোণবিশিষ্ট পরিধেয় বস্ত্র। আর [আরবী] হচ্ছেঃ পশম থেকে তৈরি এক প্রকার কাপড়। এ কাপড়ের ঝালর রয়েছে; তবে কোন নকশা নেই। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ৬৮. নামাজের সময় আসমানের দিকে দৃষ্টি উঠানো নিষেধ
২৪৮ – জাবির বিন্ সামূরাহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসূল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ নামাজের অবস্থায় লোকেরা যেন তাদের দৃষ্টিকে আকাশের দিকে দেয়া থেকে বিরত থাকে নতুবা তাদের চক্ষু [দৃষ্টিশক্তি] তাদের পানে ফিরে না আসতেও পারে। {২৮৫}
{২৮৫} মুসলিম ৪২৮, আবূ দাউদ ৯১২, ইবনু মাজাহ ১০৪৫, আহমাদ ২০৩৬২, ২০৩৬২, ২০৪৫৭, দারেমী ১৩০১, ১৩০৬। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ৬৯. খাবার উপস্থিত রেখে ও পেশাব-পায়খানার যন্ত্রনা আটকিয়ে নামাজ আদায়ের বিধান
২৪৯ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহ্র রসূল [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনিয়াছি, খাবার উপস্থিত রেখে নামাজ আদায় করা যায় না আর প্রসাব পায়খানায় বেগ চেপে রেখেও নামাজ করা যায় না। {২৮৬}
{২৮৬} মুসলিম ৫৬০, আবূ দাউদ ৮৯, আহমাদ ২৩৬৪৬, ২৩৭৪৯, ২৩৯২৮, এ হাদিস সম্পর্কে একটি ঘটনা আছে। তা হচ্ছেঃ ইবনু আবূ আতীক বলেনঃ আমি এবং কাসিম আয়িশাহ [রাঃআঃ] এর নিকট কথাবার্তা বলছিলাম। কাশিম কিছুটা অস্পষ্টভাষী ছিলেন এবং উম্মে ওলাদ। তাকে আয়িশাহ [রাঃআঃ] বললো, তোমার কী হয়েছে যে, তোমার আমার ভাতিজা যেভাবে কথাবার্তা বলছে তুমি সেভাবে কথা বলছো না? হ্যাঁ আমি জানি তুমি কেমন লোক? এ উম্মে ওলাদকে তার মাতা আদব শিক্ষা দিয়েছে। আর তুমি তোমার মাকে আদব শিখাচ্ছ। ইবনু আবূ আতীক বলেন, এ কথায় কাসিম রাগান্বিত হলো এবং কড়া কথা শুনালেন। যখন আয়িশাহ [রাঃআঃ] কে খাবার পাত্র আনতে দেখলেন, সে দাঁড়িয়ে গেল। আয়িশাহ [রাঃআঃ] বলিলেন, কোথায় যাচ্ছ? তিনি বলিলেন, আমি নামাজ আদায় করবো। আয়িশাহ [রাঃআঃ] বলিলেন, বস। সে আবারও বললো আমি নামাজ আদায় করবো। আয়িশাহ [রাঃআঃ] এবার বলিলেন, বস হে প্রতারক। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনিয়াছি…।ম হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ৭০. নামাজে হাই উঠা অপছন্দনীয় কাজ
২৫০ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, হাইতোলা শয়তানের পক্ষ থেকে, তাই যদি কারো তা আসে তবে সে যেন সাধ্যানুসারে তা প্রতিহত করে। {২৮৭} আর তিরমিজি`নামাজের মধ্যে’ কথাটি বৃদ্ধি করে বর্ণনা করিয়াছেন। {২৮৮}
{২৮৭} বুখারী ৩২৮৯, সহিহ মুসলিম ২৯৯৪, আবূ দাউদ ৫০২৮, আহমাদ ৭৫৪৫, ২৭৫০৪, ৯২৪৬, ১০৩১৭, ১০৩২৯। {২৮৮} সহিহ তিরমিজি ৩৭০। নামাজে খুশূ হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply