নামাজের পোশাক – মহিলারা কয়টি কাপড় পরে নামায আদায় করিবে
নামাজের পোশাক – মহিলারা কয়টি কাপড় পরে নামায আদায় করিবে >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
অধ্যায়ঃ ২, অনুচ্ছেদঃ ৭৮-৯৩ =১৬টি
অনুচ্ছেদ-৭৮ নামায বৈধ হওয়ার জন্য যতটুকু কাপড় জরুরী
অনুচ্ছেদ-৭৯ যে ব্যক্তি তার ঘাড়ের পেছনে কাপড় বেঁধে নামায আদায় করে
অনুচ্ছেদ-৮০ কোন নামায আদায়কারীর কাপড়ের অংশ বিশেষ অন্যের গায়ে থাকা
অনুচ্ছেদ-৮১ যে ব্যক্তি একটি জামা পরিধান করে নামায আদায় করে
অনুচ্ছেদ-৮২ কাপড় সংকীর্ণ হলে তা লুঙ্গি হিসাবে পরিধান করিবে
অনুচ্ছেদ-৮৩ নামাজের মধ্যে কাপড় ঝুলিয়ে দেয়া
অনুচ্ছেদ-৮৪ মহিলারা কয়টি কাপড় পরে নামায আদায় করিবে
অনুচ্ছেদ-৮৫ ওড়না ছাড়া মহিলাদের নামায আদায় করা
অনুচ্ছেদ-৮৬ নামাযরত অবস্থায় কাপড় ঝুলিয়ে দেয়া
অনুচ্ছেদ-৮৭ মহিলাদের পরিধেয় বস্ত্রের (অংশ বিশেষের) উপর নামায আদায়
অনুচ্ছেদ-৮৮ চুলের ঝুটি বেঁধে পুরুষের নামায আদায় করা
অনুচ্ছেদ-৮৯ জুতা পরে নামায আদায়
অনুচ্ছেদ-৯০ মুসল্লি তার জুতা খুলে কোথায় রাখবে?
অনুচ্ছেদ-৯১ ছোট চাটাইয়ের উপর নামায আদায় করা
অনুচ্ছেদ-৯২ চাটাইয়ের উপর নামায আদায় করা
অনুচ্ছেদ-৯৩ কোন ব্যক্তি তার (পরিহিত) কাপড়ে সাজদাহ্ করলে
অনুচ্ছেদ-৭৮ নামায বৈধ হওয়ার জন্য যতটুকু কাপড় জরুরী
৬২৫.আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে এক কাপড়ে নামায আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে নাবী (সাঃআঃ) বলেন, তোমাদের প্রত্যেকের কি দুটি করে কাপড় আছে?
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম।নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬২৬. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন কাঁধ খোলা রেখে এক কাপড়ে নামায আদায় না করে।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬২৭. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ এক কাপড়ে নামায আদায় করলে সে যেন কাপড়ের ডান পাশকে বাম কাঁধের উপর এবং বাম পাশকে ডান কাঁধের উপর ঝুলিয়ে রাখে।
সহীহঃ মুসলিম। নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬২৮. উমার ইবনি আবু সালামাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে একটি কাপড়ে নামায আদায় করতে দেখেছি। তিনি কাপড়টি গায়ে জড়িয়ে নিয়ে উভয় কাঁধের উপর বিপরীতমুখী করে ঝুলিয়ে রাখতেন।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম। নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬২৯. ক্বায়িস ইবনি ত্বালক হইতে তার পিতার হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নাবী (সাঃআঃ) -এর নিকট আসলাম। এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি এসে বলিল, হে আল্লাহর নাবী! একটি কাপড়ে নামায আদায়ের ব্যাপারে আপনার মতামত কী? বর্ণনাকারী বলেন, তখন রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাহাঁর ইযারের উপর চাদর ছেড়ে দিয়ে উভয়টিকে একত্র করে গায়ে জড়িয়ে নিয়ে উঠে দাঁড়ালেন। অতঃপর আল্লাহর নাবী (সাঃআঃ) আমাদের নামায আদায় করালেন। নামায শেষে তিনি বললেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের দুটি করে কাপড় আছে কি?
নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৯ যে ব্যক্তি তার ঘাড়ের পেছনে কাপড় বেঁধে নামায আদায় করে
৬৩০. সাহল ইবনি সাদ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর পেছনে লোকদেরকে সংকীর্ণ ইযারের কারণে তা বালকদের ন্যায় ঘাড়ে বেঁধে নামায আদায় করতে দেখেছি। এমতাবস্থায় একজন বলিল, হে সমবেত নারী সমাজ! পুরুষরা মাথা না তোলা পর্যন্ত তোমরা মাথা তুল না।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮০ কোন নামায আদায়কারীর কাপড়ের অংশ বিশেষ অন্যের গায়ে থাকা
৬৩১. আয়েশা (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) একটি কাপড়ে নামায আদায় করিলেন। সেটির কিছু অংশ আমার গায়ে ছিল।
সহীহঃ মুসলিম। এটি গত হয়েছে। নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮১ যে ব্যক্তি একটি জামা পরিধান করে নামায আদায় করে
৬৩২. সালামাহ ইবনিল আকওয়া (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি শিকার করে থাকি। আমি কি একটি জামা পরে নামায আদায় করতে পারি? তিনি বলেন, হ্যাঁ। তবে একটি কাঁটা হলেও তা বেধেঁ নাও (যেন লজ্জাস্থান দেখা না যায়)।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৬৩৩. মুহাম্মদ ইবনিআবদুর রহমান আবু বাকর হইতে তার পিতার হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জাবির ইবনিআবদুল্লা (রাঃআঃ) গায়ে কোন চাদর না জড়িয়েই একটি মাত্র জামা পরে আমাদের ঈমামতি করিলেন। অতঃপর নামায শেষে তিনি বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে একটি জামা পরে নামায আদায় করতে দেখেছি। {৬৩৩}
{৬৩৩} আবু দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। সানাদের আবু হাওমালকে হাফিযআত-তাক্বরীব গ্রন্থে অজ্ঞাত বলেছেন। আল্লামা মুনযিরী বলেনঃআবদুর রহমান ইবনি রহমান আবু বাকর হচ্ছে আল-মুলায়কী। তাই তার হাদিস দ্বারা দলীল দেয়া যাবে না। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮২ কাপড় সংকীর্ণ হলে তা লুঙ্গি হিসাবে পরিধান করিবে
৬৩৪. উবাদাহ ইবনিল ওয়ালীদ ইবনিউবাদাহ ইবনিস সামিত (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা জাবির ইবনিআবদুল্লা (রাঃআঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর সাথে একটি যুদ্ধে যাই। তিনি নামায আদায় করতে দাঁড়ালেন। তখন আমার গায়ে একটি চাদর ছিল। আমি সেটির দু প্রান্ত দু কাঁধের উপর রাখার চেষ্টা করছিলাম। (চাদরটি ছোট হওয়ায়) সেটি দিয়ে আমার শরীর (বা কাঁধ) ঢাকা যাচ্ছিল না। অবশ্য চাদরটিতে আঁচল লাগানো ছিল। আমি তা উল্টে নিয়ে দু বিপরীত দিকে দু কাঁধের উপর তার দু মাথা ফেলে দিলাম। তারপর আমি কিছুটা ঝুঁকে গিয়ে তা চিবুক দিয়ে চেপে ধরলাম, যেন পড়ে না যায়। অতঃপর আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর বাম পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। তিনি আমার হাত ধরে আমাকে ঘুরিয়ে এনে তাহাঁর ডান পাশে দাঁড় করালেন। পরে ইবনি শাখরা এসে তাহাঁর পাশে দাঁড়ালো। তিনি তাহাঁর দুহাতে আমাদের উভয় হাত ধরে তাহাঁর পেছনে দাঁড় করিয়ে দিলেন। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমার প্রতি লক্ষ্য করছিলেন। অথচ আমি বুঝতেই পারিনি, অবশ্য পরে বুঝেছি। তিনি ইশারায় আমাকে বললেনঃ ওটাকেতহবন্দ বানিয়ে নাও। নামায আদায় শেষে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, হে জাবির! আমি বললামঃ আমি উপস্থিত, হে আল্লাহর রসূল! তিনি বলিলেন, চাদর প্রশস্ত হলে সেটির দু মাথা বিপরীতভাবে দু কাঁধের উপর দিবে। পক্ষান্তরে চাদর ছোট হলে সেটি কোমরে বেঁধে নিবে।
সহীহঃ মুসলিম, বোখারি সংক্ষেপে। নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৩৫. ইবনি উমার (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন অথবাউমার (রাঃআঃ) বলেছেন, তোমাদের নিকট কারো দুটি কাপড় থাকলে সে যেন ঐগুলো পরেই নামায আদায় করে। আর একটি মাত্র কাপড় থাকলে সে যেন তা কোমরে বেঁধে নেয় এবং ইয়াহূদীদের ন্যায় দু কাঁধে ঝুলিয়ে না রাখে।
নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৩৬. আবদুল্লা ইবনি বুরায়দাহ (রাঃআঃ) থেকে তার পিতার হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) নিষেধ করিয়াছেন একটি মাত্র চাদরে নামায আদায় করতে, যা দেহ আবৃত করে না। তিনি আরো নিষেধ করিয়াছেন, গায়ে চাদর না জড়িয়ে কেবল পাজামা পরে নামায আদায় করতে।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৩ নামাজের মধ্যে কাপড় ঝুলিয়ে দেয়া
৬৩৭. ইবনি মাসউদ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে বলিতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি অহংকারবশতঃ নামাজের মধ্যে স্বীয় বস্ত্র (পাজামা/লুঙ্গি/প্যান্ট ইত্যাদি পায়ের গিরার নিচে) ঝুলিয়ে রাখে, মহান আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হালাল করবেন না এবং জাহান্নামও হারাম করবেন না।
সহিহ। ঈমাম আবু দাউদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, একদল বর্ণনাকারী (যেমন হাম্মাদ ইবনি সালামাহ, হাম্মাদ ইবনি যায়িদ, আবুল আহওয়াস, আবু মুআবিয়াহ প্রমুখ)আসিম সূত্রে ইবনি মাসঊদ (রাঃআঃ)-এর বক্তব্যরূপে মাওকুফভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৩৮. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি স্বীয় লুঙ্গি (পায়ের গিরার নিচে) ঝুলিয়ে নামায আদায় করছিল। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাকে বললেনঃ যাও, উযু করে আস। সে উযু করে এলে তিনি আবার বললেনঃ যাও, উযু করে আস। সে পুনরায় উযু করে আসল। একজন বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তাকে (উযু থাকাবস্থায় পুনরায়) উযু করতে কেন বলিলেন? তিনি বলিলেন, সে তার লুঙ্গি ঝুলিয়ে নামায আদায় করছিল। মহান আল্লাহ (পায়ের গিরার নিচে) লুঙ্গি ঝুলিয়ে নামায আদায়কারীর নামায ক্ববুল করেন না। {৬৩৮}
{৬৩৮} আহমাদ (৪/৬৭)। এর সানাদে আবু জাফার ও ইয়াহইয়া ইবনি কাসীর আনসারী অজ্ঞাত। যেমন ইবনি কাত্তান বলেছেন। আর হাফিয বলেছেন, হাদিস বর্ণনায় শিথিল। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৪ মহিলারা কয়টি কাপড় পরে নামায আদায় করিবে
৬৩৯.মুহাম্মাদ ইবনি যায়িদ ইবনি কুনফুয হইতে তার মাতার সূত্র হইতে বর্ণিতঃ
তার মাতা উম্মু সালামাহ (রাঃআঃ)-কে জিজ্ঞেস করিলেন, মহিলারা কয়টি কাপড় পরে নামায আদায় করিবে? তিনি বলিলেন, একটি ওড়না এবং একটি জামা পরেই নামায আদায় করতে পারবে। তবে জামাটি এরূপ লম্বা হইবে যা দিয়ে পায়ের উপরিভাগ ঢেকে যাবে। {৬৩৯}
{৬৩৯} মালিক (অধ্যায়ঃ জামাআতে নামায, অনুঃ মেয়েদের জন্য জামা ও ওড়না পরিধান করে নামায আদায়ের অনুমতি)। ইবনিআবদুল বারআল ইসতিজকার গ্রন্থে বলেন, মুয়াত্তা গ্রন্থে বর্ণিত হাদিসটি মাওকুফ। একে মারফূ বানিয়েছেনআবদুর রহমান ইবনিআবদুল্লা ইবনি সীনার, মুহাম্মাদ ইবনি যায়িদ হইতে তার মাতার সূত্রে ইবনি সালামাহ থেকে। শায়খ আলবানী বলেন, জঈফ মাওকুফ। ঈমাম যায়লায়ী একেনাসবুর রায়াহ গ্রন্থে (১/৩০০) উল্লেখ করে বলেন, ঈমাম দারাকুতনীকে জিজ্ঞেস করা হল এ হাদিস সম্পর্কেআল ইলাল গ্রন্থে, তিনি বলিলেন, এটি বর্ণনা করিয়াছেন মুহাম্মদ ইবনি যায়িদ ইবনিল মুহাজির তার মাতার সূত্রে উম্মু সালামাহ থেকে। তার সূত্রে এটি মারফূ হওয়ার ব্যাপারে মতভেদ রহিয়াছে। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল মাওকুফ
৬৪০. মুহাম্মাদ ইবনি যায়িদ উম্মু সালামাহ (রাঃআঃ)-এর সূত্র হইতে বর্ণিতঃ
অনুরূপ হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি নাবী (সাঃআঃ) -কে জিজ্ঞেস করিলেন, মহিলারা ইযার ছাড়া কেবল একটি জামা ও একটি ওড়না পরে নামায আদায় করতে পারবে কি? তিনি বললেনঃ জামাটি যদি এরূপ লম্বা হয়, যা দিয়ে পায়ের পাতা ঢেকে যায় (তাহলে সেটা পরে নামায আদায় করতে পারবে)।
দুর্বল ঃ মিশকাত ৭৬৩ ঈমাম আবু দাউদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, হাদিসটি মালিক ইবনি আনাস, বাক্র ইবনি মুদার, হাফ্স ইবনি গিয়াস, ইসমাঈল ইবনি জাফর, ইবনি আবু যিব ও আবু ইসহাক্ব- মুহাম্মদ ইবনি যায়িদ হইতে তার মাতা থেকে উম্মু সালামাহ সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। তাহাঁদের কেউই নাবী (সাঃআঃ) -এর নাম উল্লেখ করেননি। {৬৪০}
{৬৪০} হাকিম (১/২৫০) এবং তিনি বলেন, এটি বোখারির শর্তে সহিহ। ঈমাম যাহাবী তার সাথে একমত পোষণ করিয়াছেন। ঈমাম যায়লায়ী একেনাসবুর রায়াহ গ্রন্থে (১/২৯৯, ৩০১) বর্ণনা করিয়াছেন এবং ইবনিল জাওযী এর তাহক্বীকে বলেছেন, এই হাদিসের সমালোচনা আছে। তা হচ্ছে,আবদুর রহমান ইবনিআবদুল্লা ইবনি দীনারকে ইয়াহইয়া দুর্বল বলেছেন। আর আবু হাতিম রাযী বলেছেন, তার দ্বারা দলীল দেয়া যাবে না এবং বাহ্যিকভাবেই তিনি এ হাদিসটিকে মারফূ করে ভুল করিয়াছেন।আত-তানক্বীহ গ্রন্থকার বলেন,আবদুর রহমান ইবনিআবদুল্লা ইবনি দীনার থেকে বোখারি বর্ণনা করিয়াছেন এবং কেউ কেউ তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। কিন্তু তিনি এ হাদিসকে মারফূ করতে গিয়ে ভুল করিয়াছেন। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত। হাফিযআত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেন, তিনি সত্যবাদী, কিন্তু ভুল করতেন। মিশকাতের তাহক্বীক্বে শায়খ আলবানী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, একদল একে উম্মু সালামাহ্র মাওকূফ বর্ণনা বলে উল্লেখ করিয়াছেন। আর এটাই সঠিক, অর্থাৎ মাওকূফ। কিন্তু সানাদটি মারফূ ও মাওকূফ কোনভাবেই সহিহ নয়। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৫ ওড়না ছাড়া মহিলাদের নামায আদায় করা
৬৪১. আয়েশা (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ কোন প্রাপ্তবয়স্কা মহিলা ওড়না ছাড়া নামায আদায় করলে আল্লাহ তার নামায ক্ববূল করেন না।
নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৪২. মুহাম্মাদ ইবনি সীরীন (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
আয়িশা (রাঃআঃ) ত্বালহার মা সাফিয়্যাহ্র নিকট যান। সেখানে তিনি সাফিয়্যাহ্র মেয়েদের দেখিতে পেয়ে বললেনঃ একদা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমার ঘরে প্রবেশ করেন। তখন আমার ঘরে একটি বালিকা ছিল। তিনি আমাকে তার একখানা লুঙ্গি দিয়ে বললেনঃ এটিকে দু টুকরা করে এক টুকরা এই বালিকাকে এবং আরেক টুকরা উম্মু সালামাহ্র নিকট যে বালিকা রহিয়াছে তাকে দাও। কারণ আমি তাকে অথবা তাহাঁদের উভয়কে প্রাপ্তবয়স্কা মনে করি।
দুর্বল। ঈমাম আবু দাউদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, মুহাম্মাদ ইবনি সীরীন (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে হিশাম এরূপই বর্ণনা করিয়াছেন। {৬৪২} {৬৪২} আহমাদ (৬/৯৬, ২৩৮), বায়হাক্বী (৬/৫৭) মুহাম্মাদ ইবনি সীরীন সূত্রে। মুহাম্মাদ ইবনি সীরীন হাদিসটিআয়েশা থেকে শুনেননি, যেমনতাহযীবুত তাহযীব গ্রন্থে (৯/১৯২) রহিয়াছে। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৬ নামাযরত অবস্থায় কাপড় ঝুলিয়ে দেয়া
৬৪৩. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) নামাজের সময় কাপড় উপর থেকে নিচের দিকে ঝুলিয়ে দিতে ও মুখ ঢেকে রাখতে নিষেধ করিয়াছেন।
হাসান।
ঈমাম আবু দাউদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন,ইস্লআত্বা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে আবু হুরায়রা্ (রাঃআঃ) সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন যে, নাবী (সাঃআঃ) নামাজের সময় কাপড় ঝুলিয়ে দিতে নিষেধ করিয়াছেন।
সহিহ। হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
৬৪৪.ইবনি জুরায়িজ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমিআত্বা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-কে অধিকাংশ সময় কাপড় ঝুলিয়ে নামায আদায় করতে দেখেছি। ঈমাম আবু দাউদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন,আত্বা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর এরূপ আচরণ আবু হুরায়রা্ (রাঃআঃ)-এর হাদিসকে দুর্বল করে দেয়। {644}
{644} আবু দাউদ (১/১২৬) হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৭ মহিলাদের পরিধেয় বস্ত্রের (অংশ বিশেষের) উপর নামায আদায়
৬৪৫. আয়েশা (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাদের পরিধেয় কাপড় বা লেপের উপর নামায আদায় করতেন না।
সহীহঃ এটি পূর্বেই উক্ত হয়েছে ৩৬৭ নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৮ চুলের ঝুটি বেঁধে পুরুষের নামায আদায় করা
৬৪৬. সাঈদ ইবনি আবু সাঈদ আল-মাক্ববূরী থেকে তার পিতার হইতে বর্ণিতঃ
তিনি নাবী (সাঃআঃ) -এর মুক্ত দাস আবু রাফিকে হাসান ইবনিআলী (রাঃআঃ)-এর পাশ দিয়ে যেতে দেখলেন। তখন তিনি (হাসান ইবনিআলী (রাঃআঃ)) গর্দানের পেছনে চুলের ঝুটি বেঁধে নামায আদায় করছিলেন। আবু রাফি (রাঃআঃ) বাঁধন খুলে দিলে হাসান (রাঃআঃ) তার প্রতি রাগের দৃষ্টিতে তাকালেন। আবু রাফি বলেন, আগে নামায আদায় শেষ করুন, রাগ করবেন না। কেননা আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে বলিতে শুনিয়াছি ঃ এটা (চুলের ঝুটি) হচ্ছে শাইত্বানের ঘাঁটিবিশেষ, অর্থাৎ শাইত্বানের আড্ডাখানা।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৬৪৭. আবদুল্লা ইবনি আব্বাস (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনিআবদুল্লা ইবনি হারিসকে মাথার চুল পেছন দিক থেকে বাঁধা অবস্থায় নামায আদায় করতে দেখলেন। ফলে তিনি তার পেছনে দাঁড়িয়ে তা খুলতে লাগলে তিনি চুপ করে থাকলেন। নামায শেষে তিনি ইবনি আব্বাস কে লক্ষ্য করে বলিলেন, আপনি আমার মাথা স্পর্শ করিলেন কেন? তিনি বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে বলিতে শুনেছিঃ এভাবে পেছনে চুলের ঝুটি বেঁধে নামায আদায়কারীর উপমা হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, যে তার হাত পেছনে বাঁধা অবস্থায় নামায আদায় করে।
সহীহঃ মুসলিম। নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮৯ জুতা পরে নামায আদায়
৬৪৮. আবদুল্লা ইবনিস সায়িব (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি দেখেছি মাক্কাহ বিজয়ের দিন নাবী (সাঃআঃ) তাহাঁর জুতাজোড়া তাহাঁর বাম পাশে রেখে নামায আদায় করিয়াছেন।
নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৪৯. আবদুল্লা ইবনিস সায়িব (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) মাক্কাহ বিজয়ের দিন আমাদের ফাজ্রের নামায আদায় করালেন। নামাজে তিনি সূরাহ আল-মুমিনূন হইতে তিলাওয়াত শুরু করিলেন। তিনি যখন মূসা (আঃ) ও হারূন (আঃ) অথবা মূসা (আঃ) ও ঈসা (আঃ)-এর কাহিনী পর্যন্ত পৌছলেন, তখন নাবী (সাঃআঃ) -এর কাশি আরম্ভ হয়। তিনি ক্বিরাআত ছেড়ে দিয়ে রুকু করিলেন। সে সময়আবদুল্লা ইবনিস সায়িব সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সহীহঃ মুসলিম, বোখারি মুআল্লাক্বভাবে। নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৫০. আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাহাঁর সহাবীদের নিয়ে নামায আদায়কালে তাহাঁর জুতাজোড়া খুলে তাহাঁর বাম পাশে রেখে দিলেন। এ দৃশ্য দেখে লোকেরাও তাহাঁদের জুতা খুলে রাখল। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) নামায শেষে বললেনঃ তোমরা তোমাদের জুতা খুললে কেন? তারা বলিল, আপনাকে আপনার জুতাজোড়া খুলে রাখতে দেখে আমরাও আমাদের জুতা খুলে রেখেছি। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বললেনঃ জিবরীলআলাইহিস সালাম আমার কাছে এসে আমাকে জানালেন, আপনার জুতাজোড়ায় অপবিত্র বস্তু লেগে আছে। তিনি আরো বলিলেন, তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন তার জুতাজোড়া দেখে নেয়। তাতে অপবিত্র বস্তু দেখিতে পেলে যেন জমিনে তা ঘষে নিয়ে পরিধান করে নামায আদায় করে।
হাদিস থেকে শিক্ষা ঃ
১। জুতা পরে নামায আদায় শারীআত সম্মত।
২। জুতায় লেগে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করলেই তা পাক হয়ে যায়।
৩।আমালে ইয়াসির বা হালকা কাজে নামায নষ্ট হয় না।
নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৫১. বাকর ইবনিআবদুল্লা (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদিস বর্ণিত আছে। তাতে (কাযার শব্দের পরিবর্তে) দু জায়গাতেখুবসুন শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।
নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৫২. ইয়ালা ইবনি শাদ্দাদ ইবনি আওস থেকে তার পিতার হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা ইয়াহূদীদের বিপরীত কর। তারা জুতা ও মোজা পরে নামায আদায় করে না।
নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৫৩. আমর ইবনি শুআইব (রাঃআঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে কখনো খালি পায়ে আবার কখনো জুতা পরে নামায আদায় করতে দেখেছি।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-৯০ মুসল্লি তার জুতা খুলে কোথায় রাখবে?
৬৫৪. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন নামায আদায়কালে জুতা খুলে তার ডান পাশে ও বাম পাশে না রাখে। কারণ তা অন্যের ডান পাশে হইবে। অবশ্য বাম পাশে কেউ না থাকলে (রাখতে পারবে)। তবে জুতাজোড়া উভয় পায়ের মধ্যখানে রাখাই শ্রেয়।
হাদিস থেকে শিক্ষা ঃ
১। অপর ভাইয়ের অসুবিধা হয় এমন কাজ পরিহার করা বা এড়িয়ে চলা উচিত।
২। সাধারণতঃ আদব হচ্ছে, কষ্টদায়ক কোন জিনিস মানুষের ডান দিকে না রাখা।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৬৫৫. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ নামায আদায়কালে জুতা খুলে যেন এমন জায়গায় না রাখে যাতে অন্যের কষ্ট হয়। বরং জুতাজোড়া যেন দু পায়ের মাঝখানে রেখে দেয় অথবা তা পরেই নামায আদায় করে।
নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯১ ছোট চাটাইয়ের উপর নামায আদায় করা
৬৫৬. মায়মূনাহ বিনতুল হারিস (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) নামায আদায় করতেন, তখন আমি হায়িয অবস্থায় তাহাঁর পাশে অবস্থান করতাম। তাহাঁর সাজদাহ্কালে কখনো তাহাঁর কাপড় আমার গায়ে লেগে যেত। তিনি (খেজুর পাতার ছোট) চাটাইয়ের উপরও নামায আদায় করতেন।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম।নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯২ চাটাইয়ের উপর নামায আদায় করা
৬৫৭. আনাস ইবনি মালিক (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জনৈক আনসারী বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আমি স্থুলদেহী। সেজন্য আপনার সাথে (জামাআতে) নামায আদায়ে আমি সক্ষম নই। একদা ঐ লোক রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর জন্য খানা তৈয়ার করে তাকে তার বাড়িতে যেতে আহবান করিল এবং বলিল, হে আল্লাহর রসূল! এখানে নামায আদায় করুন। যেন আমি জেনে নিতে পারি, আপনি কিভাবে নামায আদায় করেন। অতঃপর আমি সেভাবেই আপনার অনুসরণ করব। অতঃপর লোকেরা তাহাঁর জন্য একটি বড় চাটাইয়ের একাংশ ধৌত করার পর রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাতে দাঁড়িয়ে দুরাকআত নামায আদায় করিলেন। ইবনিল জারূদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আনাস ইবনি মালিক (রাঃআঃ)-কে বলিলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কি চাশ্তের নামায আদায় করতেন? তিনি বলিলেন, আমি তাকে ঐদিন ছাড়া আর কোনদিন ঐ (সময়) নামায আদায় করতে দেখিনি।
সহীহঃ বোখারিতে (………) তার কথাটি বাদে। নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৫৮. আনাস ইবনি মালিক (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) মাঝেমধ্যে উম্মু সুলাইম (রাঃআঃ)-কে দেখিতে যেতেন। সেখানে কখনো নামাজের সময় হয়ে গেলে তিনি আমাদের (খেজুর পাতার তৈরী) মাদুরের উপর নামায আদায় করে নিতেন। উম্মু সুলাইম (রাঃআঃ) সেটিকে পানি দিয়ে ধুয়ে দিতেন।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৫৯. মুগীরাহ ইবনি শুবাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) (খেজুর পাতার তৈরী) চাটাই ও প্রক্রিয়াজাত চামড়ার উপর নামায আদায় করতেন। {৬৫৯}
৬৫৯ আহমাদ (৪/২৫৪), ইবনি খুযাইমাহ(১০০৬), হাকিম (১/২৫৯)। ঈমাম হাকিম বলেন, এ হাদিসটি বোখারি ও মুসলিমের শর্তে সহিহ। তবে তাঁরা এটি (……) উল্লেখ করে বর্ণনা করেননি। ঈমাম মুসলিম আবু সাঈদ হইতে চাটাইয়ের উপর নামায আদায়ের বর্ণনা এনেছেন। ঈমাম যাহাবী তাহাঁর সাথে একমত পোষণ করে বলেন, মুসলিমের শর্ত মোতাবেক। এবং বায়হাক্বী (২/৪২০), সকলে ইউনুস ইবনিল হারিস সূত্রে। হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেন, দুর্বল। আর হাকিম এবং তার অনুসরণে যাহাবী কতৃর্ক সানাদকে বোখারি ও মুসলিমের শর্ত মোতাবেক বলাটা তাহাঁদের ধারনা মাত্র। সানাদের ইউনূস দুর্বল। তিনি সহীহাইনের রিজালাভুক্ত নন। অতএব চিন্তা করুন। আওনুল মাবুদে রয়েছেঃ আল্লামা মুনযিরী বলেন, সানাদে আবু আওন হচ্ছে মুহাম্মদ ইবনি উবাইদুল্লাহ সাক্বাফী। আবু হাতিম বলেন, তিনি অজ্ঞাত।
হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৩ কোন ব্যক্তি তার (পরিহিত) কাপড়ে সাজদাহ্ করলে
৬৬০. আনাস ইবনি মালিক (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা প্রচন্ড গরমকালে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর সাথে নামায আদায় করতাম। তখন আমাদের কেউ গরমের কারণে জমিনে সাজদাহ্ করতে না পারলে পরিধেয় বস্ত্রের উপর সাজদাহ্ করত।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম হাদিস থেকে শিক্ষাঃ মুসল্লীর জন্য স্বীয় কপালের নীচে কাপড় রেখে তার উপর সাজদাহ্ করা জায়িয। নামাজের পোশাক -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply