নাবী (সাঃ) এর জামাতাগণ ও মুক্তিপ্রাপ্ত গোলাম যায়দ ইবনু হারিসাহ (রা) এর মর্যাদা
নাবী (সাঃ) এর জামাতাগণ ও মুক্তিপ্রাপ্ত গোলাম যায়দ ইবনু হারিসাহ (রা) এর মর্যাদা >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৬২, সাহাবিগণের মর্যাদা, অধ্যায়ঃ (১৬-১৭)=২টি
নাবী (সাঃ) এর জামাতাগণের বর্ণনা।
৬২/১৬. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ)-এর জামাতাগণের বর্ণনা।
৬২/১৭. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ)-এর মুক্তিপ্রাপ্ত গোলাম যায়দ ইবনু হারিসাহ (রাদি.)-এর মর্যাদা।
৬২/১৬. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃ) এর জামাতাগণের বর্ণনা।
আবুল আস ইবনু রাবী (রাদি.) তাদের মধ্যে একজন।
৩৭২৯
মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবু জেহেলের কন্যাকে আলী (রাদি.) বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে পাঠালেন। ফাতিমা (রাদি.) এই খবর শুনতে পেয়ে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর নিকট এসে বলিলেন, আপনার গোত্রের লোকজন মনে করে যে, আপনি আপনার মেয়েদের সম্মানে রাগান্বিত হন না। আলী তো আবু জেহেলের কন্যাকে বিবাহ করিতে প্রস্তুত। আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) খুতবা দিতে প্রস্তুত হলেন। (মিসওয়ার বলেন) তিনি যখন হামদ ও সানা পাঠ করেন, তখন আমি তাঁকে বলিতে শুনিয়াছি যে, আমি আবুল আস ইবনু রাবির নিকট আমার মেয়েকে শাদী দিয়েছিলাম। সে আমার সঙ্গে যা বলেছে সত্যই বলেছে। আর ফাতিমা (রাদি.) আমার টুকরা; তাহাঁর কোন কষ্ট হোক তা আমি কখনও পছন্দ করি না। আল্লাহর কসম, আল্লাহর রসূলের মেয়ে এবং আল্লাহর দুশমনের মেয়ে একই লোকের নিকট একত্রিত হইতে পারে না। আলী (রাদি.) তাহাঁর বিবাহের প্রস্তাব উঠিয়ে নিলেন। মুহাম্মাদ ইবনু আমার ইবনু হালহালা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)……মিস্ওয়ার (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে অতিরিক্ত বর্ণনা করে বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ)-কে বনী আবদে শামস গোত্রে তাহাঁর এক জামাতার ব্যাপারে অত্যন্ত প্রশংসা করিতে শুনিয়াছি। নাবী (সাঃআঃ) বলেন, সে আমাকে যা বলেছে- সত্য বলেছে। যা ওয়াদা করেছে, তা পূর্ণ করেছে।
(আঃপ্রঃ ৩৪৫০, ইঃফাঃ ৩৪৫৮)
৬২/১৭. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ)-এর মুক্তিপ্রাপ্ত গোলাম যায়দ ইবনু হারিসাহ (রাদি.)-এর মর্যাদা।
বারাআ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন নাবী (সাঃআঃ) তাঁকে বলেছেন, তুমি আমাদের ভাই ও আমাদের সুহৃদ।
৩৭৩০
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) একটি সেনাবাহিনী পাঠানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং উসামা ইবনু যায়দ (রাদি.)-কে উক্ত বাহিনীর নেতা মনোনীত করেন। কিছু সংখ্যক লোক তাহাঁর নেতৃত্বের উপর মন্তব্য প্রকাশ করিতে লাগলো। নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, তার নেতৃত্বের প্রতি তোমরা সমালোচনা করছ। ইতোপূর্বে তার পিতার নেতৃত্বের প্রতিও তোমরা সমালোচনা করেছ। আল্লাহর কসম, নিশ্চয়ই সে নেতৃত্বের জন্য যোগ্যতম ব্যক্তি ছিল এবং আমার প্রিয় পাত্রদের একজন ছিল। অতঃপর তার পুত্র আমার প্রিয় পাত্রদের একজন।
(আঃপ্রঃ ৩৪৫১, ইঃফাঃ ৩৪৫৯)
৩৭৩১
আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার এক কায়িফ (রেখা চিহ্নে অভিজ্ঞ) ব্যক্তি আসে, সে সময় নাবী (সাঃআঃ) উপস্থিত ছিলেন। উসামা (রাদি.) ও তাহাঁর পিতা শুয়েছিলেন। কায়িফ বলে উঠল, এ পাগুলো একটি অন্যটির অংশ। রাবী বলেন, নাবী (সাঃআঃ) অত্যন্ত খুশি হলেন এবং আয়েশা (রাদি.)-কেও এ খবর জানালেন। [১]
(আঃপ্রঃ ৩৪৫২, ইঃফাঃ ৩৪৬০)
[১] উসামা (রাদি.) ছিলেন কাল বর্ণের, তাহাঁর পিতা যায়দ (রাদি.) ছিলেন গৌর বর্ণের। তাই জাহিলী যুগে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করা হত। এ ভ্রান্ত সন্দেহ দূর হওয়ায় রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আনন্দিত হন।
Leave a Reply