নাপাকী এর বর্ণনা। রক্ত ও বীর্যের হুকুম

নাপাকী এর বর্ণনা। রক্ত ও বীর্যের হুকুম

নাপাকী এর বর্ণনা। রক্ত ও বীর্যের হুকুম>> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

২৬. অধ্যায়ঃ যার হাতে নাপাকীর সন্দেহ রয়েছে তার জন্যে তিনবার হাত ধোয়ার পূর্বে পাত্রের মধ্যে হাত ডুবিয়ে দেয়া মাকরূহ্
২৭. অধ্যায়ঃ কুকুরের পানীয় পাত্র সম্পর্কে বিধান
২৮. অধ্যায়ঃ স্থির পানিতে প্রস্রাব করা নিষেধ করা
২৯. অধ্যায়ঃ [নাপাক অবস্থায়] জমা পানিতে গোসল করা নিষেধ
৩০. অধ্যায়ঃ মাসজিদে প্রস্রাব এবং অন্যান্য নাপাকী পড়লে তা ধুয়ে ফেলা জরুরী। আর পানি দ্বারাই মাটি পবিত্র হয়, কুঁড়ে ফেলার প্রয়োজন পড়ে না।
৩১. অধ্যায়ঃ দুগ্ধ পোষ্য শিশুর প্রস্রাবের হুকুম এবং তা ধোয়ার পদ্ধতি
৩২. অধ্যায়ঃ বীর্যের হুকুম
৩৩. অধ্যায়ঃ রক্ত অপবিত্র এবং তা ধোয়ার পদ্ধতি
৩৪. অধ্যায়ঃ প্রস্রাব অপবিত্র হওয়ার দলীল এবং তা থেকে বেঁচে থাকা অবশ্য জরুরী

২৬. অধ্যায়ঃ যার হাতে নাপাকী এর সন্দেহ রয়েছে তার জন্যে তিনবার হাত ধোয়ার পূর্বে পাত্রের মধ্যে হাত ডুবিয়ে দেয়া মাকরূহ্

৫৩০. আবু হুরাইরাহ্ [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেন, তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে উঠবে তখন সে যেন তিনবার হাত না ধোয়া পর্যন্ত পাত্রে না ঢুকায়। কারণ সে জানেনা যে, তার হাত রাতে কোথায় ছিল।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫০]

৫৩১. আবু হুরাইরাহ্ [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন: আর ওয়াকী কর্তৃক হাদীসটি [নবী[সাঃআঃ] পর্যন্ত} বর্ণিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫১]

৫৩২. আবু হুরাইরাহ্ [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

অবিকল বর্ণিত আছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫২]

৫৩৩. আবু হুরাইরাহ্ [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেন, যখন তোমাদের কেউ জাগ্রত হইবে তখন সে তার হাত পাত্রে ঢুকাবার পূর্বে যেন তা তিনবার ধুয়ে নেয়। কারণ সে জানে না যে, তার হাত রাতে কোথায় ছিল।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৩]

৫৩৪. আবু হুরাইরাহ্ [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

আবদুর রহমান ইবনি যায়দ-এর আযাদকৃত গোলাম সাবিত হইতে বর্ণীত। প্রত্যেকের বর্ণনাতেই … “হাত না ধোয়া পর্যন্ত” রয়েছে। এসব বর্ণনাতে কেউ-ই তিনবারের কথা উল্লেখ করেননি। তবে আমরা ইতোপূর্বে জাবির ইবনি মুসাইয়্যিব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি], আবু সালামাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]. আবদুল্লাহ্ ইবনি শাকীক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি], আবু সালিহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও আবু রাযীন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক বর্ণিত যে, হাদীস উল্লেখ করেছি, তাতে তারা সবাই তিনবারের কথা উল্লেখ করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৪]

২৭. অধ্যায়ঃ কুকুরের পানীয় পাত্র সম্পর্কে বিধান

৫৩৫. আবু হুরাইরাহ্ [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেন, তোমাদের কারো পাত্রে যখন কুকুরে মুখ দিবে তখন সে যেন পাত্রের বস্তু ফেলে দেয়। তারপর পাত্রটি সাতবার ধুয়ে ফেলে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৫]

৫৩৬. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সূত্রে অবিকল বর্ণিত আছে; তবে পাত্রের বস্তু ফেলার কথাটি উল্লেখ করেননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৬]

৫৩৭. আবু হুরাইরাহ্ [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেন, তোমাদের কারো পাত্র থেকে যখন কুকুরে পান করিবে তখন সে যেন তা সাতবার ধুয়ে ফেলে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৭]

৫৩৮. আবু হুরাইরাহ্ [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেন, তোমাদের কারো পাত্রে যখন কুকুরে মুখ লাগিয়ে পান করিবে তখন [সে পাত্র পবিত্র করার পদ্ধতি হল] সাত বার তা ধুয়ে ফেলা। তবে প্রথমবার মাটি দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করিতে হইবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৮]

৫৩৯. আবু হুরাইরাহ্ [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেন, তোমাদের কারো পাত্রে যখন কুকুরে মুখ লাগিয়ে পান করিবে, তখন [সে পাত্র পবিত্র করার নিয়ম হল], সাত বার ধুয়ে ফেলা।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৯]

৫৪০. ইবনিল মুগাফফাল [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] কুকুর হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে বলিলেন, তাদের কি হয়েছে যে, তারা কুকুরের পিছনে পড়লো? তারপর শিকারী কুকুর এবং বকরীর [পাহারা দেয়ার] কুকুর পোষার অনুমতি দেন এবং বলেন যে, যখন তোমাদের কারো পাত্রে কুকুর মুখ লাগিয়ে পান করিবে তখন সাতবার ধুয়ে ফেলবে এবং অষ্টমবার মাটি দিয়ে মেজে ফেলবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬০]

৫৪১. শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

উক্ত সানাদে অবিকল বর্ণিত আছে। তবে ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ-এর বর্ণনায় একটু অতিরিক্ত আছে। তা হল, “তিনি বকরী পাহারা দেয়ার, শিকার করার এবং চাষাবাদ করার কুকুর রাখার অনুমতি দিয়েছেন।” ইয়াহ্ইয়া ছাড়া আর কারো বর্ণনায় চাষাবাদের কথা উল্লেখ নেই।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬১]

২৮. অধ্যায়ঃ স্থির পানিতে প্রস্রাব করা নিষেধ করা

৫৪২. জাবির [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] জমা পানিতে প্রস্রাব করিতে নিষেধ করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬২]

৫৪৩. আবু হুরাইরাহ্ [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেন, তোমাদের কেউ যেন জমা পানিতে প্রস্রাব করে তা দিয়ে যেন গোসল না করে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৩]

৫৪৪. আবু হুরাইরাহ্ [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেন, তুমি এমনটি করো না যে, চলন্ত নয় এমন জমা পানিতে প্রস্রাব করিবে তারপর আবার তা থেকে গোসল করিবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৪]

২৯. অধ্যায়ঃ নাপাক অবস্থায় জমা পানিতে গোসল করা নিষেধ

৫৪৫. আবু হুরাইরাহ্ [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন: তোমাদের কেউ নাপাক অবস্থায় যেন জমা পানিতে গোসল না করে। তখন আবু সায়িব জিজ্ঞেস করিলেন, হে আবু হুরায়রা্! তাহলে সে কিভাবে গোসল করিবে? জবাবে আবু হুরায়রা্ [রাদি.] বলেন, পানি উঠিয়ে নিয়ে গোসল করিবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৫]

৩০. অধ্যায়ঃ মাসজিদে প্রস্রাব এবং অন্যান্য নাপাকী পড়লে তা ধুয়ে ফেলা জরুরী। আর পানি দ্বারাই মাটি পবিত্র হয়, কুঁড়ে ফেলার প্রয়োজন পড়ে না।

৫৪৬. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

[তিনি বলেছেন] এক বেদুঈন এসে মাসজিদের মধ্যে প্রস্রাব করিতে শুরু করিল। উপস্থিত লোকদের মধ্যে কেউ কেউ তাকে বাধা দিতে দাঁড়ালে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ থামো, তাকে প্রস্রাব করিতে বাধা দিও না। আনাস বলেন, লোকটির প্রস্রাব করা শেষ হলে নবী[সাঃআঃ] এক বালতি পানি আনিয়ে তার প্রস্রাবের উপর ঢেলে দিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৬]

৫৪৭. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা জনৈক বেদুঈন এসে মাসজিদের এক কোণে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করিতে থাকলে লোকজন চিৎকার করে তাকে বিরত রাখার চেষ্টা করিল। তা দেখে রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলিলেন, থাম, তাকে বাধা দিওনা। তার প্রস্রাব করা শেষ হলে রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এক বালতি পানি আনতে আদেশ দিলেন এবং প্রস্রাবের উপর ঢেলে দিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৭]

৫৪৮. ইসহাকের চাচা আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদিন আমরা রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর সঙ্গে মাসজিদে নববীতে বসে ছিলাম। এ সময় হঠাৎ এক বেদুঈন এসে মাসজিদের মধ্যে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করিতে লাগল, তা দেখে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর সাহাবাগণ থামো থামো  বলে তাকে প্রস্রাব করিতে বাধা দিলেন। আনাস বলেন, তখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমরা তাকে বাধা দিও না , বরং তাকে ছেড়ে দাও। লোকেরা তাকে ছেড়ে দিল, সে প্রস্রাব সেরে নিল। তখন রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাকে কাছে ডেকে বললেনঃ এটা হলো মাসজিদ। এখানে প্রস্রাব করা কিংবা ময়লা আবর্জনা ফেলা যায় না। বরং এ হল আল্লাহর যিকর করা, নামাজ আদায় করা এবং কুরআন পাঠ করার স্থান। অথবা রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] কথাটা যেভাবে বলেছেন তাই আনাস বলেন, এরপর রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] সবার মধ্য থেকে এক ব্যক্তিকে এক বালতি পানি আনতে আদেশ করিলেন। সে এক বালতি পানি আনলে তিনি তা প্রস্রাবের উপর ঢেলে দিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৮]

৩১. অধ্যায়ঃ দুগ্ধ পোষ্য শিশুর প্রস্রাবের হুকুম এবং তা ধোয়ার পদ্ধতি

৫৪৯. আয়িশাহ্ [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর কাছে শিশুদেরকে আনা হতো। তিনি তাদের জন্যে বারাকাত ও কল্যাণের দুআ করিতেন এবং তাহনীক [কিছু চিবিয়ে মুখে ঢুকিয়ে দিতেন] করিতেন। একদিন একটি শিশুকে আনা হল, [তিনি তাকে কোলে তুলে নিলেন] শিশুটি তাহাঁর কোলে প্রস্রাব করে দিল, পরে তিনি পানি চেয়ে নিলেন এবং প্রস্রাবের উপর পানির ছেটা দিলেন, আর তা ধুলেন না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৯]

৫৫০. আয়িশাহ্ [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর কাছে একবার একটি শিশুকে আনা হল। শিশুটি তাহাঁর কোলে প্রস্রাব করে দিল। তারপর তিনি পানি আনিয়ে প্রস্রাবের উপর [ছিটা] ঢেলে দিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৭০]

৫৫১. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সূত্রে ইবনি নুমায়রের হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৭১]

৫৫২. উম্মু কায়স বিনতু মিহসান [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি তার শিশু পুত্র সহ, যে তখনও খাদ্য খাওয়া শুরু করেনি, রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর কাছে গেলেন। তার শিশু পুত্রটি তখনও কঠিন খাদ্য খেতে শুরু করেনি। তিনি শিশুটিকে রসূল [সাঃআঃ] এর কোলে রেখে দিলেন। সে তাহাঁর কাপড়ে প্রস্রাব করে দিল। বর্ণনাকারী বলেন, তাতে তিনি পানি ছিটিয়ে দেয়া ছাড়া অধিক কিছুই করিলেন না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৭২]

৫৫৩. ইয়াহ্ইয়া ইবনি ইয়াহইয়া [রহমাতুল্লাহি আলাইহি], আবু বাকর ইবনি আবু শাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি], আমর আন্ নাকিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও যুহায়র ইবনি হারব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সকলেই ইবনি উয়াইনাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর মাধ্যমে যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সানাদে বর্ণনা করেন এবং তিনি বলেন, “অতঃপর তিনি [সাঃআঃ] পানি আনিয়ে তা ছিটিয়ে দিলেন।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৭৩]

৫৫৪. উবাইদুল্লাহ্ ইবনি আবদুল্লাহ্ ইবনি উতবাহ্ ইবনি মাসউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

উম্মু কায়স বিনতু মিহ্সান [রাদি.] যিনি ছিলেন রসূলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর কাছে বাইআত গ্রহণকারিনী প্রথম মুজাহির মহিলাদের অন্যতম। তিনি ছিলেন বানু আসাদ ইবনি খুযাইমাহ্ গোত্রের উক্কাশাহ্ ইবনি মিহসান [রাদি.]-এর বোন। রাবী বলেন, তিনি [উম্মু কায়স] আমাকে জানান যে, তিনি একবার তার এক পুত্রকে যে তখনো খাবার গ্রহণের বয়সে পৌছেনি- নিয়ে রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর কাছে এলেন। উবাইদুল্লাহ্ বলেন, তিনি আমাকে জানান যে, তাহাঁর সে পুত্র রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর কোলে প্রস্রাব করে দিল। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] পানি আনিয়ে তাহাঁর কাপড়ের উপর ছিটিয়ে দিলেন এবং তা মোটেই ধুলেন না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৭৪]

৩২. অধ্যায়ঃ বীর্যের হুকুম

৫৫৫. আলকামাহ্ ও আল আসওয়াদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

একদিন জনৈক ব্যক্তি আয়িশা [রাদি.]-এর ঘরে মেহমান হল। আয়েশাহ[রাদি.] দেখলেন, ভোরে সে তাহাঁর কাপড় ধৌত করছে [অর্থাৎ রাত্রে তার স্বপ্ন দোষ হয়েছিল] তা দেখে আয়েশাহ বললেনঃ মূলত তোমার পক্ষে এটুকুই যথেষ্ট হতো যে, তুমি বীর্য দেখে থাকলে কেবলমাত্র সে স্থানটি ধুয়ে নিতে। আর যদি তা না দেখে থাক, তাহলে [মনের সন্দেহ দূর করার জন্যে] জায়গাটিতে পানি ছিটিয়ে নিতে পারতে। কেননা, এমনও হয়েছে আমি নিজে রসুলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর কাপড় থেকে শুকনো বীর্য রগড়িয়ে ফেলেছি, আর তিনি সে কাপড় পরেই নামাজ আদায় করিয়াছেন। {৮১}

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৭৫]

{৮১} যা লাফিয়ে কুদে বের হয়, তাকে বলে মানী [বীর্য], তাতে গোসল করা ফারয হয়। আর যদি কারও প্রস্রাবের আগে বা পরে কিছু বের হয়, তাতে গোসল করিতে হয় না। কতলোক খুব হাস্য রসিক, সামান্য মহিলার স্পর্শ পেলেই তরল কিছু বের হয়, তাতে শুধু লজ্জাস্থান ধুয়ে নিবে ও ওযূ করে নিবে। গোসল করিতে হইবে না।

৫৫৬. আয়েশাহ [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

বীর্য সম্পর্কে বলেন, আমি তা [বীর্য] রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর কাপড় থেকে নখ দিয়ে আঁচড়ে ফেলতাম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৭৬]

৫৫৭. আয়েশাহ [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর কাপড় থেকে বীর্য রগড়িয়ে ফেলা সম্পর্কে আবু মাশার হইতে বর্ণীত খালিদের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৭৭]

৫৫৮. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

ইবনি উওয়াইনাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর সূত্রে আয়িশা [রাদি.] থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৭৮]

৫৫৯. আমর ইবনি মাইমূন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি সুলাইমান ইবনি ইয়াসারকে জিজ্ঞেস করলাম যে, বীর্য কোন লোকের কাপড়ে লেগে গেলে সে শুধু সে বীর্য ধুয়ে ফেলবে না কাপড়টাই ধুয়ে ফেলবে? তিনি বলিলেন, আয়িশাহ্ [রাদি.] আমাকে জানিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর বীর্য ধুয়ে ফেলতেন তারপর সে কাপড়েই সালাতের জন্যে বেরিয়ে যেতেন আর আমি [পিছন থেকে] সে কাপড়ে ধোয়ার চিহ্ন দেখিতে পেতাম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৭৯]

৫৬০. আবু কামিল আল জাহদারী, আবু কুরায়ব ও ইবনি আবু যায়িদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এরা সকলেই আমর ইবনি মাইমুন হইতে বর্ণীতঃ

এ সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। তবে ইবনি যায়িদার হাদীস ইবনি বিশর-এর অনুরূপ যাতে বর্ণিত হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] [নিজে] বীর্য ধুলেন। আর ইবনিল মুবারক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও আবদুল ওয়াহিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর হাদীসে রয়েছে যে, আয়েশাহ[রাদি.] বলেন: আমি তা রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর কাপড় থেকে ধুয়ে ফেলতাম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮০]

৫৬১. আবদুল্লাহ্ ইবনি শিহাব আল খাওলানী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আমি একবার আয়িশাহ্ [রাদি.] এর মেহমান ছিলাম। [রাতে] আমার কাপড়েই স্বপ্নদোষ হল। আমি সে কাপড় দুটি পানিতে ডুবিয়ে পরিষ্কার করছিলাম। আয়িশাহ্হ [রাদি.] এর এক দাসী আমাকে এ রকম করিতে দেখে তাঁকে গিয়ে জানাল। আয়িশাহ্ [রাদি.] লোক পাঠিয়ে আমাকে বলিলেন, তুমি তোমার কাপড় দুটিকে এ রকম করছ কেন? তিনি [আবদুল্লাহ্ ইবনি শিহাব] বলেন, আমি বললাম, ঘুমন্ত ব্যক্তি তার স্বপ্নে যা দেখে আমি তাই দেখেছি। তিনি বলিলেন, তুমি কি কাপড় দুটিতে কিছু দেখিতে পেয়েছ? আমি বললাম, না। তিনি বলিলেন, তুমি যদি কিছু দেখিতে, তবে তা ধুয়ে ফেলতে। আমি তো রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর কাপড় থেকে শুকনো বীর্য নখ দিয়ে আঁচড়ে ফেলতাম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮১]

৩৩. অধ্যায়ঃ রক্ত অপবিত্র এবং তা ধোয়ার পদ্ধতি

৫৬২. আসমা [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

একদিন একটি মহিলা নবী [সাঃআঃ] এর কাছে এসে বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের কারো যদি কাপড়ে হায়িযের রক্ত লেগে যায় তখন সে কী করিবে? তিনি বললেনঃরক্তের জায়গাটি খুব ভালভাবে রগড়াবে, তারপর ঘষে পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলবে, তারপর ঐ কাপড় পরে নামাজ আদায় করিতে পারবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮২]

৫৬৩. আবু কুরায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও আবু তাহির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সকলেই হিশাম ইবনি উরওয়াহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সূত্রে ইয়াহইয়া ইবনি সাঈদের হাদীসের অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৩]

৩৪. অধ্যায়ঃ প্রস্রাব অপবিত্র হওয়ার দলীল এবং তা থেকে বেঁচে থাকা অবশ্য জরুরী

৫৬৪. ইবনি আব্বাস [রা.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একবার রসূলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি বলিলেন, [জেনে রাখ] এ দু কবরবাসীকে আযাব দেয়া হচ্ছে। তবে কোন কঠিন [কাজের] দরুন তাদেরকে আযাব দেয়া হচ্ছে না। তাদের একজন চোগলখোরী করত। আর অপরজন তার প্রস্রাব থেকে সতর্কতা অবলম্বন করত না। তিনি [ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলেন: অতঃপর তিনি খেজুরের একটি কাঁচা ডাল আনিয়ে দুটুকরো করিলেন। তারপর প্রত্যেক কবরের ওপর একটি করে গেড়ে দিলেন। আর বললেনঃসম্ভাবনা আছে, আযাব কিছুটা হালকা করা হইবে যতদিন পর্যন্ত এ দুটি না শুকিয়ে যাবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৪]

৫৬৫. সুলাইমান আল আমাশ হইতে বর্ণীতঃ

এ সূত্রে বর্ণিত আছে। তবে তিনি বলেন, “আর অপরজন প্রস্রাব হইতে পবিত্রতা অর্জন করত না”।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৫]


Posted

in

by

Comments

One response to “নাপাকী এর বর্ণনা। রক্ত ও বীর্যের হুকুম”

Leave a Reply