নফল নামাজ পড়ার নিয়ম । নফল নামাজ-এর বিবরণ
নফল নামাজ পড়ার নিয়ম । নফল নামাজ-এর বিবরণ >> বুলুগুল মারাম এর মুল সুচিপত্র দেখুন
এ বিষয়ে আরও পড়ুন >> মুয়াত্তা মালিক >> সহীহ বুখারী >> সহীহ মুসলিম >> আবু দাউদ >> ইবনে মাজাহ >> তিরমিজি >> নাসাঈ >> মিশকাত হাদীস শরীফ হতে
অধ্যায় ৯ঃ নফল নামাজ-এর বিবরণ
পরিচ্ছেদ ১৪২ঃ নফল নামাজের ফযীলত
পরিচ্ছেদ ১৪৩ঃ ফরয নামাজের আগে-পরে সুন্নাতের বর্ণনা
পরিচ্ছেদ ১৪৪ঃ ফজরের সুন্নাতের বিশেষত্ব
পরিচ্ছেদ ১৪৫ঃ যে ব্যক্তি দিবা-রাতে ১২ রাকয়াত নফল নামাজ আদায় করিবে তার প্রতিদান
পরিচ্ছেদ ১৪৬ঃ যুহরের ফরয নামাজের পুর্বে ও পরে চার রাক’আত নফল নামাজের ফযীলত
পরিচ্ছেদ ১৪৭ঃ আসর নামাজের পুর্বে চার রাক’আত নফল পড়ার বিধান
পরিচ্ছেদ ১৪৮ঃ মাগরিব নামাজের পুর্বে দু’ রাক’আত নফলের বিধান
পরিচ্ছেদ ১৪৯ঃ ফজরের সুন্নাতকে হালকা করা ও তাতে যা পাঠ করা হয়
পরিচ্ছেদ ১৫০ঃ ফজরের দু রাক’আত সুন্নাতের পর শয়ন করার বিধান
পরিচ্ছেদ ১৫১ঃ রাত্রি বেলা [তাহাজ্জুদ] নামাজ আদায়ের পদ্ধতি
পরিচ্ছেদ ১৫২ঃ রাতের নামাজের ফাযীলাত
পরিচ্ছেদ ১৫৩ঃ বিতর [নামাজের] বিধান
পরিচ্ছেদ ১৫৪ঃ বিতর [নামাজের] সময়
পরিচ্ছেদ ১৫৫ঃ যে বিতর নামাজ পড়ে না তার বিধান
পরিচ্ছেদ ১৫৬ঃ রাতে নাবী [সাঃআঃ]–এর নামাজ আদায়ের পদ্ধতি
পরিচ্ছেদ ১৫৭ঃ তাহাজ্জুদে অভ্যস্ত ব্যক্তির তাহাজ্জুদ নামাজ ছেড়ে দেয়া অপছন্দনীয়
পরিচ্ছেদ ১৫৮ঃ সলাতুল বিতর মুস্তাহাব
পরিচ্ছেদ ১৫৯ঃ রাতের নামাজ বিতর দ্বারা শেষ করা মুস্তাহাব
পরিচ্ছেদ ১৬০ঃ এক রাত্রে বিতর নামাজকে বারংবার পড়া যাবেনা
পরিচ্ছেদ ১৬১ঃ বিতর নামাজে যা পড়তে হয়
পরিচ্ছেদ ১৬২ঃ ফজর নামাজের পর বিতর পড়া শরীয়তসম্মত নয়
পরিচ্ছেদ ১৬৩ঃ বিতর সালাত ক্বাযা করার বিধান
পরিচ্ছেদ ১৬৪ঃ রাতের শেষ ভাগে বিতর পড়ার ফযিলত
পরিচ্ছেদ ১৬৫ঃ বিতর [সালাতের] শেষ সময়
পরিচ্ছেদ ১৬৬ঃ দ্বিপ্রহরে চাশতের সালাত মুস্তাহাব
পরিচ্ছেদ ১৬৭ঃ চাশতের সালাতের উত্তম সময়
পরিচ্ছেদ ১৬৮ঃ রাক’আত সংখ্যা
পরিচ্ছেদ ১৪২ঃ নফল নামাজের ফযীলত
৩৫০ – রাবি’আহ বিন মালিক আসলামী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেনঃ নাবী [সাঃআঃ] বলেছিলেন, তুমি [কিছু] চাও, আমি বললাম- আমি জান্নাতে আপনার সাহচর্য চাই।” তিনি বলিলেন এছাড়া আর কিছু? আমি বললাম, এটিই। তখন তিনি বলিলেন- তবে তুমি [এর জন্য] অধিক পরিমাণে সাজদাহ দ্বারা [বেশি নফল নামাজ আদায় করে] এ ব্যাপারে আমাকে সাহায্য কর। {৩৯১}
{৩৯১} মুসলিম ৪৮৯, তিরমিজি ৩৪১৬, নাসায়ী ১১৩৮, ১৬১৮, আবূ দাউদ ১৩২০, ইবনু মাজাহ ৩৮৭৯, আহমাদ ১৬১৩৮। নফল নামাজ পড়ার নিয়ম হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৪৩ঃ ফরয নামাজের আগে-পরে সুন্নাতের বর্ণনা
৩৫১ – ইবনু`উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] হতে আমি দশ রাকা’আত নামাজ আমার স্মৃতিতে সংরক্ষণ করে রেখেছি। যুহরের পূর্বে দু’রাকা’আত পরে দু’রাকা’আত, মাগরিবের পরে দু’রাকা’আত তার ঘরে,`ইশার পরে দু’রাকা’আত তার ঘরে এবং দু’রাকা’আত সকালের [ফজরের] নামাজের পূর্বে।
উভয়েরই ভিন্ন এক বর্ণনায় আছে- আর দু’রাকা’আত জুমু’আহর পর তার বাড়িতে।{৩৯২}
{৩৯২} বুখারী ১১৮০, মুসলিম ৭২৩, তিরমিজি ৪২৫, ৪৩৩, ৫২২, নাসায়ী ৫৮৩, ১৪২৭, আবূ দাউদ ১১৩০, ইবনু মাজাহ ১১৪৫, আহমাদ ৪৪৯২। নফল নামাজ পড়ার নিয়ম হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৩৫২ – বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
মুসলিমে আছে- ফাজ্র হয়ে গেলে হালকাভাবে তিনি দু’রাকা’আত [সুন্নাত] নামাজ আদায় করিতেন। {৩৯৩}
{৩৯৩} বুখারী ৬১৮, ৯৩৭, ১১৬৯, ১১৭৩, মুসলিম ৭২৩, ৭২৯, ৮৮২, তিরমিজি ৪২৫, ৪৩৩, ৫২২, নাসায়ী ৫৮৩, ১৪২৭, ১৪২৮, ১৭৬০, ১৭৬১, ১৭৭৯, আবূ দাউদ ১১২৮, ১১৩০, ১১৩২, ইবনু মাজাহ ১১৪৫, আহমাদ ৪৪৯২, ৪৫৭৭, ৪৬৪৬, ৪৭৪২, মুওয়াত্তা মালেক ২৬১, ২৮৫, দারেমী ১৪৩৭, ১৪৪৩, ১৪৪, ১৫৭৩। ইমাম মুসলিম তা বর্ণনা করেন। বর্ণনাকারী হলেনঃ হাফসা রাঃআঃ]। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৩৫৩ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] যুহরের পূর্বে চার রাকা’আত এবং [ফাজ্রের পূর্বে] দু’রাকা’আত সুন্নাত নামাজ ছাড়তেন না। {৩৯৪}
{৩৯৪} বুখারী ১১৮২ নাসায়ী ১৭৫৭, ১৭৫৮ আবূ দাউদ ১২৫৩, ইবনু মাজাহ ১১৫৬. আহমাদ ২৩৬৪৭, দারিমি ১৪৩৯। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৪৪ঃ ফজরের সুন্নাতের বিশেষত্ব
৩৫৪ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] কোন নফল নামাজকে ফাজরের দুরাকাআত সুন্নাতের চেয়ে অধিক গুরুত্ব প্রদান করিতেন না। {৩৯৫}
{৩৯৫} বুখারী ১১৬৯, ৬১৮, ৯৩৭, ১১৭৩, ১১৮১, মুসলিম ৭২৩, ৭২৯, ৮৮২, তিরমিয়ী ৪২৫, ৪৩৩, ৫২২, নাসায়ী ৫৮৩, ১৪২৭, ১৭৬৬, ১৭৭৯, আবূ দাউদ ১১২৮, ১১৩০, ১১৩২. ইবনু মাজাহ ১১৪৫, আহমাদ ৪৪৯২, ৪৫৭৭, মুসলিম ২৬১, ২৮৫, দারেমী ১৪৩৭, ১৪৪৩, ১৪৪৪ । হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৩৫৫ – বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
মুসলিমে আছে- ফাজ্রের দু’রাকা’আত [সুন্নাত] নামাজ দুনিয়া ও তার মধ্যস্থিত সকল বস্তুর চেয়ে উত্তম। {৩৯৬
{৩৯৬} মুসলিম ৭২৫, তিরমিজি ৪১৬, নাসায়ী ১৭৫৯, আহমাদ ২৫৭৭৪। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৪৫ঃ যে ব্যক্তি দিবা-রাতে ১২ রাকয়াত নফল নামাজ আদায় করিবে তার প্রতিদান
৩৫৬ – মুসলিম জননী উম্মু হাবিবাহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] বলেছেন- যে ব্যক্তি দিন রাতে বারো রাকা’আত [সুন্নাত] নামাজ আদায় করিবে তার বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে একখানা অট্টালিকা নির্মাণ করা হইবে। অন্য বর্ণনায় ঐ বারো রাকাআতকে “নফল নামাজ” [একই অর্থ] বলা হয়েছে। {৩৯৭}
{৩৯৭} মুসলিম ৭২৮, তিরমিজি ৪১৫, নাসায়ী ১৭৯৬, ১৭৯৭, ১৮০০, ১৮০১, আবূ দাউদ ১২৫০, ইবনু মাজাহ ১১৪১, আহমাদ ২৬২২৮, ২৬২৩৫, দারেমী ১২৫০। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৩৫৭ – বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
তিরমিজিতে অনুরূপই আছে, তবে যা বৃদ্ধি করিয়াছেন [তা হলো] ঃ যুহরের পুর্বে চার রাক’আত ও পরে দু’রাক’আত, মাগরিবের পরে দু’রাক’আত,`ইশার পরে দু’রাক’আত, ফজরের পুর্বে দু’রাক’আত। {৩৯৮}
{৩৯৮} মুসলিম ৭২৮, তিরমিজি ৪১৫, নাসায়ি হাদিস ১৭৯৬, ১৭৯৭, ১৮০০, ১৮০১, আবূ দাউদ ১২৫০, ইবনু মাজাহ ১১৪১, আহমাদ ২৬২২৮, ২৬২৩৫, দারেমী ১২৫০। ইমাম তিরমিজি তা বর্ননা করেন। বর্ণনাকারী হলেনঃ উম্মু হাবীবা [রাঃআঃ] এবং তিরমিজি বলেন, হাদিসটি হাসান, সহিহ।হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৪৬ঃ যুহরের ফরয নামাজের পুর্বে ও পরে চার রাক’আত নফল নামাজের ফযীলত
৩৫৮ – উম্মু হাবীবাহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] বলেছেন- যে ব্যক্তি যুহরের ফরযের পুর্বে চার রাক’আত ও পরে চার রাক’আত [সুন্নাত নামাজ] এর প্রতি যত্নবান হইবে তার উপর জাহান্নাম হারাম হয়ে যাবে। {৩৯৯}
{৩৯৯} আবূ দাউদ ১২৬৯, তিরমিজি ৪২৭, ৪২৮, ইবনু মাজাহ ১১৬০, আহমাদ ২৬২৩২। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৪৭ঃ আসর নামাজের পুর্বে চার রাক’আত নফল পড়ার বিধান
৩৫৯ – ইবনু`উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন- আল্লাহ ঐ ব্যক্তির উপর রহম করুন যে`আসরের [ফরয] নামাজের পুর্বে চার রাক’আত [নফল] নামাজ আদায় করে থাকে। তিরমিজি একে হাসান বলেছেন, ইবনু খুযাইমাহ একে সহিহ বলেছেন। {৪০০}
{৪০০} আবু দাউদ ১২৭১, তিরমিজি ৪৩০, ইবনু হিব্বান হাঃ ১৫৮৮। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৪৮ঃ মাগরিব নামাজের পুর্বে দু’ রাক’আত নফলের বিধান
৩৬০ – আব্দুল্লাহ বিন মুগাফফাল আল মুযান্নী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নাবী [সাঃআঃ]হতে বর্ননা করিয়াছেন, তিনি বলেছেনঃ তোমরা মাগরীবের [ফরযের] পুর্বে [নফল] নামাজ আদায় করো, তোমরা মাগরীবের [ফরযের] পুর্বে [নফল] নামাজ আদায় করো। লোকেরা এ`আমলকে সুন্নাত হিসেবে গ্রহন করিতে পারে, এ কারনে তৃতীয়বারে তিনি বললেনঃ এ হুকুম তার জন্য যে ইচ্ছা করে। যেন তিনি নিয়মিত আদায় করা অপছন্দ করিলেন। ইবনু হিব্বানের একটি বর্ননায় আছে, নাবী [সাল্লাহু`আলাইহি ওয়া সাল্লাম] মাগরীবের পুর্বে দু রাক’আত নামাজ আদায় করেছিলেন। {৪০১}
{৪০১} বুখারী ১১৮৩, ৭৩৫৮, আবু দাউদ ১২৮১, আহমাদ ২০০২৯, পুর্নাঙ্গ হাদিসটি হচ্ছেঃ অতঃপর তিনি বলেন, মাগরিব নামাযের পুর্বে তোমরা দু’ রাক’আত নামাজ আদায় কর। তিনি এ কথাটি দুবার বলিলেন। {আরবী} অতঃপর তৃতীয়বারে বলিলেন, যার ইচ্ছা [অর্থাৎ যে পড়তে চায় সে পড়তে পারে] তিনি এ কথাটি এ আশংকায় বলিলেন যে, লোকেরা তা সুন্নাত মনে করা শুরু করিবে। নফল নামাজ পড়ার নিয়ম হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৩৬১ – মুসলিমে আছে`আনাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
আমরা সুর্যাস্তের পর দু’ রাক’আত নামাজ আদায় করতাম। নাবী [সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমাদের দেখিতেন এবং আমাদের সেটা করার জন্য হুকুমও করিতেন না, নিষেধ ও করিতেন না। {৪০২}
{৪০২} মুসলিম ৮৩৬, বুখারী ৫০৩, ৬২৫, ৪৩৭০, নাসায়ি হাদিস ৬৮২, আবু দাউদ ১২৮২, ইবনু মাজাহ ১১৬৩, আহমাদ ১১৯০১, ১২৬৪৫, দারেমী ১৪৪১। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৪৯ঃ ফজরের সুন্নাতকে হালকা করা ও তাতে যা পাঠ করা হয়
৩৬২ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাল্লাহু`আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ফজরের নামাজের পুর্বের দু’ রাক’আত [সুন্নাত] এত সংক্ষিপ্ত করিতেন এমন কি আমি [মনে মনে] বলতাম, তিনি কি [শুধু] উম্মুল কিতাব [সুরাহ্ ফাতিহা] তিলাওয়াত করিলেন? {৪০৩}
{৪০৩} বুখারী ৩৯৭, ৪৬৮, ৫০৪, ১৫৯৮, ১৫৯৯, ৪৪০০, ১১৮১, মুসলিম ১৩২৯, তিরমিজি ৮৭৪, নাসায়ি হাদিস ৬৯২, ৭৪৯, ২৯০৫, ২৯০৬, আবু দাউদ ২০২৩, ইবনু মাজাহ ৩০৬৩, আহমাদ ৪৮৭৩, ২৩৩৭৭, দারেমী ১৮৬৬। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৩৬৩ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাল্লাহু`আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ফজরের দু‘ রাক’আত সুন্নত নামাজে “ক্বুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন” ও “ক্বুল হু ওয়াল্লাহু আহাদ” পাঠ করিতেন। {৪০৪}
{৪০৪} মুসলিম ৭২৬, নাসায়ি হাদিস ৯৪৫, ১১৪৮। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৫০ঃ ফজরের দু রাক’আত সুন্নাতের পর শয়ন করার বিধান
৩৬৪ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাল্লাহু`আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ফজরের দু’ রাক’আত সুন্নাত নামাজ আদায় করার পর ডান কাতে শয়ন করিতেন। {৪০৫}
{৪০৫} বুখারী ৬২৬, ৯৯৪, ১১২৩, ১১৩৯, ১১৪০, ১১৬০, ১১৬৫, ৬৩১০, মুসলিম ২৪৩, ২৬৪, ৭২৪, ৭৩৬, ৭৩৮, তিরমিজি ৪৩৯, ৪৪০, নাসায়ি হাদিস ৬৮৫, ১৬৯৬, ১৭৪৯, ১৭৬২, আবু দাউদ ১২৫৪, ১২৬২, ১৩৩৪, ১৩৩৮, ইবনু মাজাহ ১১৯৮, ১৩৫৮, আহমাদ ২৩৫৩৭, ২৩৫৫৩, দারেমী ১৪৪৭, ১৪৮৩, ১৪৭৪। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৩৬৫ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল [সাল্লাহু`আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন- তোমাদের কেউ যখন ফজরের ফরয নামাজের পুর্বে দু’ রাক’আত নামাজ আদায় করিবে সে যেন ডান কাতে শয়ন করে। তিরমিজি একে সহীহ্ বলেছেন। {৪০৬}
{৪০৬} আবু দাউদ ১২৬১, তিরমিজি ৪২০, ইবনু মাজাহ ১১৯৯। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৫১ঃ রাত্রি বেলা [তাহাজ্জুদ] নামাজ আদায়ের পদ্ধতি
৩৬৬ – ইবনু`উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসূল [সাল্লাহু`আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন- রাতের নামাজ দু’ দু’ [রাক’আত] করে। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি ফজ্র হবার আশংকা করে, তাহলে সে যেন এক রাক’আত নামাজ আদায় করে নেয়। আর সে যে নামাজ আদায় করিল, তা তার জন্য বিতর হয়ে যাবে । {৪০৭}
{৪০৭}বুখারী ৪৭২, ৪৭৩, ৯৯০, ৯৯৩, ৯৯৫, ৯৯৮, মুসলিম ২৬১, ২৬৯, ২৭৫, ৭৪৯, ৭৫১, তিরমিজি ৪৩৭, ৪৬১, নাসায়ি হাদিস ১৬৬৬, ১৬৬৭, আবু দাউদ ১৪২১, ১৪৩৮, ইবনু মাজাহ ১১৭৪, ১১৭৫, আহমাদ ৪৪৭৮, ৪৫৬৫, ৪৫৪৫, ৫৫১২, দারেমী ১৪৫৮। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৩৬৭ – বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
এবং পাঁচ জনে [আহমাদ, আবূ দাউদ, নাসায়ি হাদিস, তিরমিজি, ইবনু মাজাহ] ও ইবনু হিব্বান একে সহিহ বলেছেন এ শব্দ বিন্যাস এনেঃ “ রাতের ও দিনের নামাজ নামাজ দু’ দু’ রাক’আত।” নাসায়ি হাদিস বলেছেন এর মধ্যে ত্রুটি বিদ্যমান । {৪০৮}
{৪০৮} বুখারী ৪৭২, [দিনের কথা ব্যতীত হাদিস সহিহ- তাওযীহুল আহকাম ২য়/৩৯৪ পৃষ্ঠা]। হাদিসের তাহকীকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদ ১৫২ঃ রাতের নামাজের ফাযীলাত
৩৬৮ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] বলেছেন – ফরয নামাজ ব্যতীত নফল নামাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম নামাজ হচ্ছে – রাতের নামাজ । {৪০৯}
{৪০৯} মুসলিম ১১৬৩, তিরমিজি ৪৩৮, ৭৪০, আবূ দাউদ ২৪২৯, ইবনু মাজাহ ১৭৪২, আহমাদ ৭৯৬৬, ৮১৫৮, ৮৩০২, দারেমী ১৭৫৭, ১৭৫৮, উক্ত হাদিসটির প্রথমাংশ হচ্ছে, রমাযানের পর সর্বোত্তম সাওম হচ্ছে মুহাররম মাসের সাওম । হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৫৩ঃ বিতর [নামাজের] বিধান
৩৬৯ – আবূ আইঊব আল আনসারী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ বিতর নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জরুরী । যদি কেউ পাঁচ রাক’আত বিতর নামাজ আদায় করা পছন্দ মনে করে, সে সেটাই করিবে; আর যে তিন রাক’আত বিতর পড়া পছন্দ মনে করিবে সেও সেটাই করিবে; আর যে এক রাক’আত বিতর পড়া পছন্দ মনে করিবে সেও সেটাই করিবে । আর ইবনু হিব্বান একে সহিহ বলেছেন, নাসায়ি হাদিস এর মওকুফ হওয়াকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন । {৪১০}
{৪১০} আবূ দাউদ ১৪২২, নাসায়ি হাদিস ১৭১০, ১৭১১, ১৭১২, আহমাদ ২৩০৩৩, দারেমী ১৫৮২,। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ মাওকুফ
৩৭০ – আলী বিন আবী তলিব [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন – বিতর নামাজ ফরয নামাজের ন্যায় জরুরী নয়, বরং এটা একটি সুন্নাত, যা আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] চালু করিয়াছেন । তিরমিজি একে হাসান বলেছেন আর হাকিম একে সহিহ বলেছেন । {৪১১}
{৪১১} তিরমিজি ৪৫৩, ৪৫৪, নাসায়ি হাদিস ১৬০৫, ১৬০৬, আবূ দাউদ ১৪১৬, ইবনু মাজাহ ১১৬৯, আহমাদ ৬৫৪, ৭৬৩, দারেমী ১৫৭৯। নফল নামাজ পড়ার নিয়ম হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস
৩৭১ – জাবির বিন`আব্দিল্লাহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] রমাযানে কিয়াম বা রাতের নামাজে জামা’য়াত করে [তিন দিন পর পর] সম্পাদন করিলেন । তারপর পরবর্তী রাতে লোকেরা তাহাঁর অপেক্ষায় থাকলেন; তিনি আর মাসজিদে এলেন না । তিনি বলিলেন – আমি রাতের এ [তারাবীহ সহ] বিতর নামাজ তোমাদের উপর ফরজ হয়ে যাবার আশংকা করছি । {৪১২}
{৪১২} এ শব্দে হাদিসটি জঈফ । ইবনু হিব্বান ২৪০৯। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৫৪ঃ বিতর [নামাজের] সময়
৩৭২ – খারিজাহ বিন হুযাফাহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] বলেছেন – আল্লাহ একটি নামাজ দান করে তোমাদেরকে একটি বিশেষ সুযোগ দিয়েছেন তা তোমাদের জন্য লাল রঙের উট অপেহ্মা উত্তম । আমরা বললাম – হে আল্লাহর রাসুল! সেটা কি? তিনি বলিলেন,`বিতর নামাজ’, যা পড়া হয়`ইশা নামাজের পর থেকে ফজর উদয় হবার পূর্ব পর্যন্ত । হাকিম একে সহীহ্ বলেছেন । {৪১৩}
{৪১৩} আবূ দাউদ ১৪১৮, তিরমিজি ৪৫২, ইবনু মাজাহ ১১৬৮, দারেমী ১৫৭৬। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৩৭৩ – ইমাম আহমাদ`আম্র বিন শু’আইব থেকে বর্ণনা করেছে তিনি তাহাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি তাহাঁর দাদা থেকে অনুরুপ হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন । {৪১৪}
{৪১৪} আহমাদ ২/২০৮, আহমাদের বর্ণনায় রয়েছে, নিশ্চয় আল্লাহ তা’য়ালা তোমাদের নামাজের সাথে আরেকটি নামাজ বৃদ্ধি করিয়াছেন, আর তা হছে বিতরের নামায । হাদিসটি যদিও আহমাদের বর্ণনায় দূর্বল সনাদে বর্ণিত হয়েছে, তবুও এর বিভিন্ন সূত্র এবং শাহেদ হাদিস থাকার কারণে তা সহিহ । হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৫৫ঃ যে বিতর নামাজ পড়ে না তার বিধান
৩৭৪ – ‘আব্দুল্লাহ বিন বুরাইদা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি তাহাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] বলেছেন – বিতর নামাজ জরুরী বা অবধারিত । অতএব যে তা আদায় না করিবে সে আমাদের দলভুক্ত নয় [অর্থাৎ আমাদের অনুসারী নয়]। আবূ দাউদ দূর্বল সানাদে; হাকীম একে সহিহ বলেছেন । {৪১৫}
{৪১৫} আবূ দাউদ ১৪১৯, আহমাদ ২২৫১০ । আল বানী আত তারগীব ৩৪০, তাখরিজ মিশকাত ১২৩০ গ্রন্থদ্বয়ে হাদিসটিকে দূর্বল বলেছেন । মুনযীরি বলেন, এর সনদে ওবাইদুল্লাহ বিন আব্দুল্লাহ আবুল মুনীর রয়েছে । ইমাম যাহাবী তানকিহুত তাহকীক [১/২১১] গ্রন্হে তাকে লীন হিসেবে উল্লেখ করিয়াছেন । ফাতাহুল বারী [২/৫৬৫] গ্রন্হে ইবনু হাজার উক্ত রাবীকে দূর্বল আখ্যায়িত করিয়াছেন । পক্ষান্তরে উমদাতুল কারী শারহে সহীহুল বুখারী ৭/১৬ গ্রন্হে আল্লামা আয়নী জামেউস স্বগীর [৯৬৬৩] গ্রন্হে ইমাম সুয়ুতী হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন । সুনানুল কুবরা [২/৪৭০] গ্রন্হে ইমাম বায়হাকী বলেন ইবনে মুয়ীন ওবাইদুল্লাহকে বিশ্বস্ত হিসেবে অবহিত করিয়াছেন। ইমাম বুখারী বলেন সে মুনকার হাদিস বর্ণনা কারী। ইবনু আদী বলেন তার মধ্যে কোন সমস্যা নেই।হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস
৩৭৫ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
দূর্বল হাদিসটি রয়েছে সেটি উপরোক্ত হাদিসের সমার্থক বা শাহিদ । {৪১৬}
{৪১৬} উক্ত হাদিসটিও দূর্বল । আহমাদ [২/৪৪৩] ইমাম আহমাদ তা বর্ণনা করিয়াছেন হাদিসের শব্দ হচ্ছে {আরবী} যে বিতর না পড়বে সে আমাদের দলভুক্ত নয় । [অর্থাৎ আমাদের অনুসারী নয়] হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৫৬ঃ রাতে নাবী [সাঃআঃ]–এর নামাজ আদায়ের পদ্ধতি
৩৭৬ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] রমাযান মাসে এবং অন্যান্য সময় [রাতে] এগার রাক’আতের অধিক নামাজ আদায় করিতেন না । তিনি চার রাক’আত নামাজ আদায় করিতেন । তুমি সেই নামাজের সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে আমাকে প্রশ্ন করো না । তারপর চার রাক’আত নামাজ আদায় করিতেন । এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে আমাকে প্রশ্ন করো না । অতঃপর তিনি তিন রাক’আত [বিতর] নামাজ আদায় করিতেন।`আয়িশা [রাঃআঃ] বলেন, [একদা] আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ]! আপনি কি বিতরের পূর্বে ঘুমিয়ে থাকেন ? তিনি ইরশাদ করলেনঃ আমার চোখ দুটি ঘুমায়, কিন্তু হৃদয় ঘুমায় না । {৪১৭}
{৪১৭} বুখারী ২০১৩, ৩৫৬৯, ১১৪৭, মুসলিম ৭৩৮, তিরমিজি ৪৩৯, নাসায়ি হাদিস ১৬৯৭, আবূ দাউদ ১৩৪১, আহমাদ ১৩৫৫৩, ২৩৯৪০, ২৪০৫৬, মুসলিম ২৬৫। নফল নামাজ পড়ার নিয়ম হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৩৭৭ – বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত কিতাবদ্বয়ে [বুখারী ও মুসলিমে] উক্ত রাবী বর্ণিত ভিন্ন এক হাদীসে রয়েছেঃ তিনি রাতে ১০ রাক’আত তারাবীহ বা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করিতেন, আর ১ রাক’আত বিতর আদায় করিতেন, তারপর ফজরের দু’রাক’আত সুন্নাত আদায় করিতেন, এভাবে মোট তের রাক’আত নামাজ হতো। {৪১৮}
{৪১৮} বুখারী ৬২৬, ৯৯৪, ১১২৩, ১১৪০, মুসলিম ৭২৪, ৭৩৬, ৭৩৭, তিরমিজি ৪৩৯, ৪৪০, নাসায়ি হাদিস ৬৮৫, ১৬৯৬ আবূ দাউদ ১২৫৪, ১২৫৫, ইবনু মাজাহ ১১৯৮, ১৩৫৮, আহমাদ ২৩৫৩৭, ২৩৫৫৩, মুসলিম ২৪৩ ২৬৪, দারেমী ১৪৭৩, ১৪৭৪। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৩৭৮ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাতের সালাত তের রাক’আত আদায় করিতেন। তার মধ্যে ৫ রাক’আত বিতর নামাজ আদায় করিতেন এবং তাতে শেষ রাক’আতে গিয়ে একটি মাত্র বৈঠক করিতেন। {৪১৯}
{৪১৯} বুখারী ৬২৬, ৯৯৪, ১১২৩, ১১৪০, মুসলিম ৭২৪, ৭৩৬, ৭৩৭, তিরমিজি ৪৩৯, ৪৪০, নাসায়ি হাদিস ৬৮৫, ১৬৯৬ আবূ দাউদ ১২৫৪, ১২৫৫, ইবনু মাজাহ ১১৯৮, ১৩৫৮, আহমাদ ২৩৫৩৭, ২৩৫৫৩, মুসলিম ২৪৩ ২৬৪, দামেরী ১৪৭৩, ১৪৭৪। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৩৭৯ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] রাতের সকল অংশে [অর্থাৎ বিভিন্ন রাতে বিভিন্ন সময়ে] বিতর আদায় করিতেন আর [জীবনের] শেষ দিকে সাহ্রীর সময় তিনি বিত্র আদায় করিতেন। {৪২০}
{৪২০} বুখারী ৯৯৬, মুসলিম ৭৪৫, তিরমিজি ৪৫৬, ১৬৮১ আবূ দাউদ ১৪৩৫, ইবনু মাজাহ ১১৮৫, আহমাদ ২৪৪৫৩, দারেমী ১৫৮৭। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৫৭ তাহাজ্জুদে অভ্যস্ত ব্যক্তির তাহাজ্জুদ নামাজ ছেড়ে দেয়া অপছন্দনীয়
৩৮০ – আবদুল্লাহ ইব্নু`আমর ইব্নুল আ’স [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] আমাকে বললেনঃ হে`আবদুল্লাহ্! তুমি অমুক ব্যক্তির মত হয়ো না, সে রাত জেগে`ইবাদাত করত, পরে রাত জেগে`ইবাদাত করা ছেড়ে দিয়েছে। {৪২১}
{৪২১} বুখারী ১১৩১, ১১৫৩, ১৯৭৪, মুসলিম ১১৫৯, তিরমিজি ৭৭০, নাসায়ি হাদিস ১৬৩০, ২৩৪৪, ২৩৮৮, আবূ দাউদ ১৩৮৮, ১৩৮৯, ১৩৯০, ইবনু মাজাহ ১৩৪৬, ১৭১২, ইবনু মাজাহ ৬৪৪১, ৬৫৫, দারেমী ৩৪৮৬। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৫৮ঃ সলাতুল বিতর মুস্তাহাব
৩৮১ – আলী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন- হে আহলুল কুরআন [কুরআনের অনুসারী]! তোমরা বিতর [বিজোড়] নামাজ আদায় কর। কেননা আল্লাহ বিতর আর তিনি বিজোড় [বিতর] ভালবাসেন। – ইবনু খুযাইমাহ একে সহিহ বলেছেন। {৪২২}
{৪২২} আবূ দাউদ ১৪১৬, নাসায়ি হাদিস ১৬৭৫, তিরমিজি ৪৫৩, ইবনু মাজাহ ১১৬৯, ইবনু খুযাইমা ১০৬৭। হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৫৯ঃ রাতের নামাজ বিতর দ্বারা শেষ করা মুস্তাহাব
৩৮২ – আবদুল্লাহ ইবনু`উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ বিতরকে তোমাদের রাতের শেষ নামাজ করিবে। {৪২৩}
{৪২৩} বুখারী ৪৭২, ৯৯৮ মুসলিম ৭৪৯, ৭৫০ নাসায়ি হাদিস ১৬৬৬, ১৬৬৭ আবূ দাউদ ১২৯৫, ১৩২৬, ১৪২১ ইবনু মাজাহ ১১৭৪, ১১৭৫ আহমাদ ৪৫৫৭, ৪৮৩২, ৪৮৬৩ মুওয়াত্তা মালেক ২৬৯, ২৭৫ দারেমী ১৪৫৮। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৬০ এক রাত্রে বিতর নামাজকে বারংবার পড়া যাবেনা
৩৮৩ – ত্বলক বিন`আলী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন- রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]- এর নিকটে শুনিয়াছি এক রাতে দু’রার বিতর নামাজ নেই। – ইবনু হিব্বান একে সহিহ বলেছেন। {৪২৪}
{৪২৪} তিরমিজি ৪৭০, নাসায়ি হাদিস ১৬৭৯, আবূ দাউদ ১৪৩৯। নফল নামাজ পড়ার নিয়ম হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৬১ঃ বিতর নামাজে যা পড়তে হয়
৩৮৪ – উবাই বিন কা’ব [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিতর নামাজে– “সাব্বি হিসমা রাব্বিকাল আ’লা” ও “ক্বুল ইয়া-আইয়্যুহাল কাফিরূন” এবং “ক্বুল হু ওয়াল্লাহু আহাদ্” [সূরা তিনটি পাঠ করিতেন]। নাসায়ি হাদিস “কেবল শেষ রাক’আতেই সালাম ফিরাতেন” এ কথাটি বৃদ্ধি করিয়াছেন। {৪২৫}
{৪২৫} আবূ দাউদ ১৪২৩, নাসায়ি হাদিস ১৭২৯, ১৭৩০, ইবনু মাজাহ ১১৭১। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৩৮৫ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তাতে আছে, প্রত্যেক রাক’আতে ১টি করে সূরা পাঠ করিতেন। অবশেষে সূরা “কুল হু ওয়াল্লাহু আহাদ” ও মু’আব্বিযাতাইন বা সূরা “ফালাক্ব” ও “নাস” পাঠ করিতেন। {৪২৬}
{৪২৬} আবূ দাউদ ১৪২৩, ইবনু মাজাহ ১১৭৩, তিরমিজি ৪৬৩। হাদিসের তাহকীকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদ ১৬২ঃ ফজর নামাজের পর বিতর পড়া শরীয়তসম্মত নয়
৩৮৬ – আবূ সা’ঈদ খুদরী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন-সকাল [ফায্র] করার পূর্বেই তোমরা বিতর সালাত আদায় করো। {৪২৭}
{৪২৭} মুসলিম ৭৫৪। উক্ত হাদিসের বর্ণনাকারী হলেন, আবূ সাঈদ খুদরী [রাঃআঃ] আর তা সহিহ হাদিস। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৩৮৭ – বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু হিব্বানে রয়েছে- যে ব্যক্তি বিতর সালাত আদায় করিল না অথচ সকাল করে ফেলল, তার বিতর সালাত নাই। {৪২৮}
{৪২৮} ইবনু হিব্বান ২৪০৮। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৬৩ঃ বিতর সালাত ক্বাযা করার বিধান
৩৮৮ – আবু সাঈদ আল-খুদরি [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিতর না পড়িয়া ঘুমিয়ে গেলো বা তা পড়তে ভুলে গেলো, সে যেন ভোরবেলা অথবা যখন তার স্মরণ হয় তখন তা পড়ে নেয়। {৪২৯}
{৪২৯} আবূ দাউদ ১৪৩১, তিরমিজি ৪৬৫, ইবনু মাজাহ ১১৮৮, আহমাদ ১০৮৭১। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৬৪ঃ রাতের শেষ ভাগে বিতর পড়ার ফযিলত
৩৮৯ – জাবির [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] বলেছেন- যে ব্যক্তি শেষ রাতে জাগতে না পারার আশঙ্কা করিবে সে যেন রাতের প্রথমাংশেই বিতর সালাত আদায় করে নেয়। আর যে ব্যক্তি শেষ রাতে জাগ্রত হবার আস্থা রাখবে- সে শেষ রাতেই তা পড়বে । কেননা শেষ রাতের সালাত আল্লাহর দরবারে উপস্থাপিত হয়ে থাকে। এবং এটাই উত্তম। {৪৩০}
{৪৩০} মুসলিম ৭৫৫, তিরমিজি ৪৫৫, ইবনু মাজাহ ১১৮৭, আহমাদ ১৩৭২। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৬৫ঃ বিতর [সালাতের] শেষ সময়
৩৯০ – ইবনু`উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নাবী [সাঃআঃ] হতে বর্ণনা করেন। নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন- ফজর হয়ে গেলে রাতের রাতের সালাতের সময় শেষ হয়ে যায়। অতএব তোমরা ফজর উদিত হবার পূর্বেই বিতর সালাত আদায় করিবে। {৪৩১}
{৪৩১} তিরমিজি ৪৬৯,নাসায়ি হাদিস ১৬৬৬, ১৬৬৭, আবূ দাউদ ১২৯৫, ১৩২৬, ১৪২১, ইবনু মাজাহ ১১৭৪, ১১৭৫, আহমাদ ৪৫৫৭, ৪৮৩২, ৪৮৬৩, মুওয়াত্তা মালেক ২৬৯, ২৭৫, দারেমী ১৪৫৮, ইমাম বুখারি তাহাঁর ইলালুল কাবির [২৫৭] গ্রন্থে হাদিসটিকে মুনকার বলেছেন। আহমাদ শাকের ইবনু হাযামের আল মুহাল্লা গ্রন্থের তাহকীকে বলেন, এটি হচ্ছে ইবনু উমার কথা, যারা এটিকে রাসূলের বানী বানিয়েছেন তারা সন্দেহবশত অথবা ভুল করে এটি করিয়াছেন। ইবনুল কীসরানী তাহাঁর দাখীরূতুল হুফফায [১/৩৩৫৮] গ্রন্থে বলেন, এর সনদে সুলাইমান বিন মূসা রয়েছেন যার সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদিস মুনকার। শাইখ আলবানী যঈফুল জামে’ [৫৮৪] গ্রন্থে একে দুর্বল বলেছেন। তবে সহিহ তিরমিজি [৪৬৯] গ্রন্থে একে সহিহ বলেছেন। ইবনুল কাত্তান তাহাঁর আল ওয়াহাম ওয়াল ঈহাম [৪/৫৭৫] গ্রন্থে হাদিসটিকে হাসান বলেছেন। নফল নামাজ পড়ার নিয়ম হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৬৬ঃ দ্বিপ্রহরে চাশতের সালাত মুস্তাহাব
৩৯১ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] চাশতের সালাত ৪ রাকাত আদায় করিতেন এবং আল্লাহর ইচ্ছায় কিছু বেশিও আদায় করিতেন। {৪৩২}
{৪৩২} মুসলিম ৭১৯, ইবনু মাজাহ ১৩৮১, আহমাদ ২৩৯৩৫, ২৪১১৭। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৩৯২ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন- আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] কি যোহা বা চাশতের সালাত আদায় করিতেন? তিনি বলেন- না; তবে তিনি কোন সফর থেকে বাড়ি ফিরলে তা আদায় করিতেন। {৪৩৩}
{৪৩৩} মুসলিম ৭১৭, নাসায়ি হাদিস ২১৮৪, ২১৮৫, আবূ দাউদ ১২৯২। পুর্নাঙ্গ হাদিসটি হচ্ছে, যদি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কোন আমাল পরিত্যাগ করিতে চান অথচ তিনি তা করিতে পছন্দ করেন, তিনি এই আশংকায় তা পরিত্যাগ করেন যে, লোকেরা এই আমালটি করা শুরু করিবে অতঃপর তা তাদের উপর ফরয হয়ে যাবে। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৩৯৩ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে চাশতের সালাত আদায় করিতে দেখিনি। অবশ্য আমি তা পড়ে থাকি। {৪৩৪}
{৪৩৪} মুসলিম ৭১৮, বুখারী ১১২৮, আবূ দাউদ ১২৯৩, আহমাদ ২৩৫০৫, মালিক ৩৬০, দারিমী ১৪৫৫। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৬৭ঃ চাশতের সালাতের উত্তম সময়
৩৯৪ – যায়িদ বিন আরকাম [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন- আল্লাহ্র প্রতি আনুরাগী ব্যক্তিদের নফল নামাজ তখন [পড়া হয়] যখন উটের বাচ্চা পা গরম বালুতে দগ্ধ হয় অর্থাৎ মরুভুমিতে সূর্যের প্রখরতায় উটের বাচ্চা মাকে ছেড়ে যখন ছায়ায় চলে আসে। {৪৩৫}
{৪৩৫} মুসলিম ৭৪৮, আহমাদ ১৮৭৭৯,১৮৭৮৪, দারেমী ১৪৫৭। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৬৮ঃ রাক’আত সংখ্যা
৩৯৫ – আনাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন-যে ব্যক্তি বার রাক’আত চাশ্তের সালাত আদায় করিবে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাতে একখানা অট্টালিকা নির্মাণ করবেন। তিরমিজি হাদিসটিকে গরীব [একক সানাদ বিশিষ্ট] বলেছেন। {৪৩৬}
{৪৩৬} তিরমিজি ৪৭৩, ইবনু মাজাহ ১৩৮০, শাইখ আলবানী তাহাঁর জঈফ তারগীব [৪০৩], যঈফুল জামে’ [৫৬৫৮], জঈফ তিরমিজি [৪৭৩], জঈফ ইবনু মাজাহ [২৫৮] গ্রন্থে হাদিসটিকে দুর্বল বলেছেন। তিইনি তাখরিজ মিশকাতুল মাসাবীহ [১২৬৭] গ্রন্থে বলেন, এর সনদের ত্রুটি হচ্ছে, এতে মূসা বিন ফুলান বিন আনাস রয়েছেন, যিনি মাজহূল। ইমাম নববী তাহাঁর আল খুলাসা [১/৫৭১] গ্রন্থেও একে দুর্বল বলেছেন। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
৩৯৬ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার ঘরে প্রবেশ করে চাশ্তের ৮ রাক’আত নামাজ আদায় করেছিলেন। – ইবনু হিব্বান তাহাঁর সহীহ্ গ্রন্থে। {৪৩৭}
{৪৩৭} হাশীয়া বুলুগুল মারাম [২৭২] গ্রন্থে বিন বায বলেন, আর সনদে আবূ মুত্তালিব বিন আব্দুল্লাহ হান্তাব আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করিয়াছেন তবে তিনি আয়িশা [রাঃআঃ] হতে শ্রবণ করিয়াছেন কিনা এই বিষয়ে মতানৈক্য করা হয়েছে। এ ছাড়া অবশিষ্ট রাবীর মধ্যে কোন অসুবিধা নেই। নফল নামাজ পড়ার নিয়ম হাদিসের তাহকীকঃ অন্যান্য
Leave a Reply