দোআ পর্ব । মিশকাত শরীফ pdf Download
দোআ পর্ব । মিশকাত শরীফ pdf Download >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ৯, অধ্যায়ঃ দোআ
পরিচ্ছদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
২২২৩। আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক নবীকেই একটি [বিশেষ] কবূলযোগ্য দোআ করার অধিকার দেয়া রয়েছে। প্রত্যেক নবীই সেই দোআর ব্যাপারে [দুনিয়াতেই] তাড়াহুড়া করিয়াছেন। কিন্তু আমি আমার উম্মাতের শাফাআত হিসেবে আমার দোআ কিয়ামাত পর্যন্ত স্থগিত করে রেখেছি। ইনশা-আল্ল-হ! আমার উম্মাতের প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে আমার এ দোআ এমন উপকৃত হবে, যে আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শারীক না করে মৃত্যুবরণ করেছে। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৬৩০৪, মুসলিম ১৯৯, তিরমিজি ৩৬০২, ইবনি মাজাহ ৪৩০৭, আহমাদ ৭৭১৪, মুজামুল আওসাত ১৭২৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৫৮৩৭, শুআবুল ঈমান ৩০৮, সহীহ আল জামি ৫১৭৬। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২২২৪। {আবু হুরাইরাহ [রাদি.]] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে একটি ওয়াদা কামনা করছি, [আমার বিশ্বাস] সে ওয়াদাপানে কক্ষনো তুমি আমাকে বিমুখ করিবে না। আমি তো মানুষ মাত্র। তাই আমি কোন মুমিনকে কষ্ট দিয়েছি, গালি দিয়েছি, অভিশাপ দিয়েছি বা মেরেছি- আমার এ কাজকে তুমি তার জন্য কিয়ামাতের দিন রহমত, পবিত্রতা ও তোমার নৈকট্য লাভের উপায় বানিয়ে দাও।
[বোখারী, মুসলিম]{১}, {১} সহীহ : বোখারী ৬৩৬১, মুসলিম ২৩০১, ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯৫৪৮, আহমাদ ৯৮০২, দারিমী ২৮০৭, সহীহাহ্ ৩৯৯৯, সহীহ আল জামি ১২৭৩। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২২২৫. {আবু হুরাইরাহ [রাদি.]] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর কাছে দোআ করার সময় এ কথা না বলে যে, হে আল্লাহ! তোমার ইচ্ছা হলে আমাকে ক্ষমা করে দাও। তুমি যদি ইচ্ছা কর আমার প্রতি দয়া করো। তুমি যদি ইচ্ছা কর আমাকে রিযক দান করো। বরং সে দৃঢ়তার সাথে দোআ করিবে [চাইবে]। তিনি যা ইচ্ছা তা-ই প্রদান করেন। তাঁকে দিয়ে জোরপূর্বক কোন কিছু করাতে সক্ষম নয় বা তাকে বাধা দেয়ার কেউ নেই।
{১} সহীহ : বোখারী ৭৪৭৭, আবু দাউদ ১৪৮৩, তিরমিজি ৩৪৯৭, ইবনি মাজাহ ৩৮৫৪, মুয়াত্ত্বা মালিক ৭২২, ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯১৬৩, আহমাদ ৮২৩৭, মুজামুস্ সগীর লিত্ব ত্ববারানী ১৭০, সহীহ ইবনি হিববান ৯৭৭, সহীহ আল জামি ৭৭৬৩। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২২২৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.]] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন দোআ করে, সে যেন এটা না বলে, হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও যদি তুমি ইচ্ছা রাখো। বরং সে যেন দৃঢ়চিত্তে ও পূর্ণ আগ্রহের সাথে দোআ করে। কেননা কোন কিছু দান করিতে আল্লাহর অসাধ্য কোন কিছু নেই। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ২৬৭৯, আল আদাবুল মুফরাদ ৬০৭, সহীহ আল জামি ৫৩০। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২২২৭. {আবু হুরাইরাহ [রাদি.]] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দার [প্রতিটি] দোআ কবূল করা হয়, যে পর্যন্ত না সে গুনাহের কাজের জন্য অথবা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার জন্য এবং তাড়াহুড়া করে দোআ করে। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! তাড়াহুড়া কি? তিনি বললেন, [দোআ করে] এমনভাবে বলা যে, আমি [এই] দোআ করেছি। আমি [তার জন্য] দোআ করেছি। আমার দোআ তো কবূল হইতে দেখছি না। অতঃপর সে নিরাশ হয়ে পড়ে এবং দোআ করা ছেড়ে দেয়{১}
{১} সহীহ : মুসলিম ২৭৩৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪২৯, সহীহ ইবনি হিববান ৮৮১, আল আদাবুল মুফরাদ ৬৫৪, সহীহ আল জামি ৭৭০৫। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২২২৮. আবু দারদা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিম তার কোন মুসলিম ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে দোআ করলে ওই দোআ কবূল করা হয়। দোআকারীর মাথার পাশে একজন মালাক [ফেরেশতা] নিয়োজিত থাকেন। যখন সে তার ভাইয়ের জন্য [কল্যাণের] দোআ করে; সে নিযুক্ত মালাক সাথে সাথে বলেন আমীন এবং তোমার জন্যও অনুরূপ হোক। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ২৭৩৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪৩১, সহীহ আল জামি ৬২৩৫। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২২২৯. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের নিজেদের জন্য বদ্দুআ করো না। বদ্দুআ করো না তোমরা তোমাদের সন্তান-সন্ততির জন্য, বদ্দুআ করো না তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদের জন্য; আর বদ্দুআটি এমন এক সময়ের সাথে মিলিত হয়ে যায় যে সময় আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাওয়া হয়, আর আল্লাহ তখন তা কবূল করেন।
[মুসলিম; আর ইবনি আব্বাস-এর হাদীসে যাকাত পর্বে উল্লেখ করা হয়েছে মাযলূমের বদ্দুআ হইতে বেঁচে থাকো]{১}, {১} সহীহ : মুসলিম ৩০০৯, আবু দাউদ ১৫৩২, সহীহ আত তারগীব ১৬৫৪, সহীহ আল জামি ১৫০০। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২২৩০. নুমান ইবনি বাশীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দোআই [মূল] ইবাদাত। অতঃপর তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কুরআনের এ আয়াত তিলাওয়াত করিলেন, এবং তোমাদের রব বলেছেন, তোমরা আমার নিকট দোআ করো, আমি তোমাদের দোআ কবূল করব।হ]{১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৪৭৯, তিরমিজি ২৯৬৯, ইবনি মাজাহ ৩৮২৮, ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯১৬৭, আহমাদ ১৮৩৫২, মুজামুস্ সগীর লিত্ব ত্ববারানী ১০৪১, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৮০২, শুআবুল ঈমান ১০৭০, সহীহ ইবনি হিববান ৮৯০, আদাবুল মুফরাদ ৭১৪/৫৫৩, সহীহ আত তারগীব ১৬২৭, সহীহ আল জামি ৩৪০৭। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২২৩১. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দোআ হলো ইবাদাতের মগজ বা মূলবস্ত্ত।{১}
{১} জইফ : তিরমিজি ৩৩৭১, মুজামুল আওসাত ৩১৯৬, জইফ আত তারগীব ১০১৬, জইফ আল জামি ৩০০৩। কারণ এর সানাদে ইবনি লাহ্ইআহ্ একজন দুর্বল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
২২৩২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর নিকট দোআর চেয়ে কোন জিনিসের অধিক মর্যাদা [উত্তম] নেই। ১}
{১} হাসান : তিরমিজি ৩৩৭০, ইবনি মাজাহ ৩৭২৯, আহমাদ ৮৭৪৮, মুজামুল আওসাত ৩৭০৬, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৮০১, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৩, শুআবুল ঈমান ১০৭১, ইবনি হিববান ৮৭০, আল আদাবুল মুফরাদ ৭২২/৫৫২, সহীহ আত তারগীব ১৬২৯। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
২২৩৩. সালমান আল ফারিসী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দোআ ছাড়া অন্য কিছুই তাকদীদের লিখনকে পরিবর্তন করিতে পারে না এবং নেক আমাল ছাড়া অন্য কিছু বয়স বাড়াতে পারে না। ]{১}
{১} হাসান লিগায়রিহী : তিরমিজি ২১৩৯, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৬১২৮, সহীহাহ্ ১৫৪, সহীহ আত তারগীব ১৬৩৯, সহীহ আল জামি ৭৬৮৭। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান লিগাইরিহি
২২৩৪. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিঃসন্দেহে দোআ ঐ সব কিছুর জন্যই কল্যাণকামী যা সংঘটিত হয়েছে এবং যা এখনো সংঘটিত হয়নি । সুতরাং হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা দোআ করাকে নিজের প্রতি খুবই জরুরী মনে করিবে বা যত্নবান হবে।{১}
{১} হাসান লিগয়রিহী : তিরমিজি ৩৫৪৭, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৮১৫, সহীহ আত তারগীব ১৬৩৪, সহীহ আল জামি ৩৪০৯। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান লিগাইরিহি
২২৩৫. ঈমাম আহমদ [রাহিমাহুল্লাহ] মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
হইতে বর্ণনা করেন। ঈমাম তিরমিজি বলেন, হাদিসটি গরীব।{১}
{১} জইফ : আহমাদ ২২০৪৪, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ২০১, জইফ আত তারগীব ১০১৪, জইফ আল জামি ৪৭৮৫। কারণ এর সানাদে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। শাহর ইবনি হাওশাব মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.] হইতে বর্ণনা করেননি। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
২২৩৬. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোন দোআ করলে আল্লাহ তাআলা তার হয়ত সে দোআ কবূল করেন অথবা এরূপ কোন বিপদকে তার ওপর থেকে দূরে সরিয়ে দেন, যদি সে কোন গুনাহের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদের জন্য দোআ না করে। {১}
{১} হাসান : তিরমিজি ৩৩৮১, আহমাদ ১৪৮৭৯, মুজামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ৩৭৭২, সহীহ আল জামি ৫৬৭৮। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২২৩৭. আবদুল্লাহ ইবনি মাস্ঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর কাছে তাহাঁর অনুগ্রহ কামনা করো। কেননা আল্লাহ তাহাঁর কাছে প্রার্থনা করাকে পছন্দ করেন। আর ইবাদাতের [দোআর] সর্বোত্তম দিক হলো স্বচ্ছলতার অপেক্ষা করা।{১}
{১} খুবই দুর্বল : তিরমিজি ৩৫৭১, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১০০৮৮, শুআবুল ঈমান ১০৮৬, যঈফাহ্ ৪৯২, জইফ আত তারগীব ১০১৫, জইফ আল জামি ৩২৭৮। কারণ এর সানাদে হাম্মাদ বিন ওয়াকিদ মাহফূয রাবী নয়। এই হাদিসটির তাহকীকঃ খুবই দুর্বল
২২৩৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট কামনা [দোআ] করে না, আল্লাহ তার ওপর রাগান্বিত হন।১}
{১} সহীহ : তিরমিজি ৩৩৭৩, সহীহ আল জামি ২৪১৮, আহমাদ ৯৭০১, মুজামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ২৪৩১, সহীহাহ্ ২৬৫৪, সহীহ আল জামি ২৪১৮, শুআবুল ঈমান ১০৬৫। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২২৩৯. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যার জন্য দোআর দরজা খোলা, তার জন্য রহমতের দরজাও খোলা। আর আল্লাহর নিকট কুশল ও নিরাপত্তা কামনা করা ব্যতীত আর কোন কিছু কামনা করা এত প্রিয় নয়। {১}
{১} জইফ : তিরমিজি ৩৫৪৮, জইফ আত তারগীব ১০১৩, জইফ আল জামি ৫৭২০। কারণ এর সানাদে আবদুর রহমান ইবনি আবু বাকর আল কুরাশী স্মৃতিশক্তিগত ত্রুটির কারণে একজন দুর্বল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
২২৪০,. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি চায় বিপদাপদে আল্লাহ তার দোআ কবূল করুন। সে যেন তার সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের সময়েও আল্লাহর নিকট বেশি বেশি দোআ করে। {১}
{১} হাসান : তিরমিজি ৩৩৮২, সহীহাহ্ ৫৯৩, সহীহ আত তারগীব ১৬২৮, সহীহ আল জামি ৬২৯০। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
২২৪১. {আবু হুরাইরাহ [রাদি.]] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা দোআ কবূল হওয়ার দৃঢ়তা ও নিশ্চয়তা মনে রেখেই আল্লাহ তাআলার নিকট দোআ কর। জেনে রেখ, আল্লাহ তাআলা অবহেলাকারী আস্থাহীন মনের দোআ কবূল করেন না।]{১}
{১} হাসান লিগয়রিহী : তিরমিজি ৩৪৭৯, আল মুজামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ৫১০৯, মুসতারাক লিল হাকিম ১৮১৭, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৩৮২, সহীহ আত তারগীব ১৬৫৩, সহীহ আল জামি ২৪৫। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান লিগাইরিহি
২২৪২. মালিক ইবনি ইয়াসার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা যখন আল্লাহর কাছে দোআ করিবে, তখন হাতের ভিতরের [তালুর] দিক দিয়ে দোআ করিবে, হাতের উপরের দিক [পিছন দিক] দিয়ে দোআ করিবে না।{১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৪৮৬, ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯৪০৫, সহীহাহ্ ৫৯৫, সহীহ আল জামি ৫৯৩। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২২৪৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলার কাছে হাতের তালুর দিক দিয়ে দোআ করো, হাতের পিছনের দিক দিয়ে করো না। আর দোআ শেষ হবার পর হাতকে মুখম-লের সাথে মুছে নিবে। {১}
{১} জইফ : আবু দাউদ ১৪৮৫, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৩০৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৩১৫১, জইফ আল জামি ৩২৭৪। কারণ এর সবগুলো সানাদ খুবই দুর্বল। আর এর সানাদে আবদুল মালিক একজন দুর্বল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
২২৪৪. সালমান ফারসী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রতিপালক অত্যন্ত লজ্জাশীল ও দয়ালু। বান্দা যখন তাহাঁর কাছে কিছু চেয়ে হাত উঠায় তখন তার হাত [দোআ কবূল না করে] খালি ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন। {১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৪৮৮, তিরমিজি ৩৫৫৬, মুকামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৬১৪৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৩১৪৬, সহীহ ইবনি হিববান ৮৭৬, সহীহ আল জামি ১৭৫৭, সহীহ আত তারগীব ১৬৩৫। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২২৪৫. উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দোআর জন্য হাত উঠাতেন, [দোআ শেষে] হাত দিয়ে তিনি নিজের মুখমন্ডল মুছে নেয়া ছাড়া হাত নামাতেন না। {১}
{১} জইফ : তিরমিজি ৩৩৮৬, মুজামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ৭০৫৩, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৯৬৭, ইরওয়া ৪৩৩, জইফ আল জামি ৪৪১২। কারণ এর সানাদে হাম্মাদ ইবনি ঈসা আল জুহানী একজন দুর্বল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
২২৪৬. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিপূর্ণ [ব্যাপক অর্থবোধক দুনিয়া এবং আখিরাতকে শামিল করে] দোআ করাকে পছন্দ করিতেন এবং এছাড়া অন্য দোআ অধিকাংশ সময় পরিহার করিতেন।১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৪৮২, সহীহ আল জামি ৪৯৪৯, ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯১৬৫। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২২৪৭. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অনুপস্থিত লোকের জন্য অনুপস্থিত লোকের দোআ খুব তাড়াতাড়ি কবূল হয়।{১}
{১} খুবই দুর্বল : আবু দাউদ ১৫৩৫, তিরমিজি ১৯৮০, ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯১৫৯, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৭৪, জইফ আত তারগীব ১৮২৩, জইফ আল জামি ৮৪১। কারণ এর সানাদে আবদুর রহমান ইবনি যিয়াদ একজন দুর্বল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ খুবই দুর্বল
২২৪৮. উমার ইবনুল খাত্ত্বাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একবার আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে উমরাহ্ করার অনুমতি চাইলাম। তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আমাকে উমরার জন্য অনুমতি দিলেন এবং বললেন, হে আমার ছোট ভাই! তোমার দোআয় আমাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করো এবং আমাদেরকে ভুলে যেও না। উমার [রাদি.] বলেন, তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আমাকে এমন একটি কথা বললেন, যার বিনিময়ে আমাকে সারা দুনিয়া দিয়ে দেয়া হয়, তবুও আমি এত খুশি হতাম না। [আবু দাউদ, তিরমিজি; কিন্তু তিরমিজিতে আমাকে ভুলে যেও না পর্যন্ত বর্ণিত হয়েছে]{১}
{১} জইফ : আবু দাউদ ১৪৯৮, তিরমিজি ৩৫৬২, রিয়াযুস্ সলিহীন ৩৭৮। কারণ এর সানাদে আসিম ইবনি উবায়দুল্লাহ্ একজন দুর্বল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
২২৪৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন লোকের দোআ ফিরিয়ে দেয়া হয় না। [১] সায়িমের [রোযাদারের] দোআ- যখন সে ইফতার করে, [২] ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোআ এবং [৩] মাযলূমের বা অত্যাচারিতের দোআ। অত্যাচারিতের দোআকে আল্লাহ তাআলা মেঘমালার উপর উঠিয়ে নেন এবং তার জন্য আকাশের দরজা খুলে দেয়া হয়। আর আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার ইজ্জতের কসম! নিশ্চয়ই আমি তোমায় সাহায্য করব কিছু সময় দেরি হলেও। ১}
{১} জইফ : তিরমিজি ৩৫৯৮, আহমাদ ৮০৪৩, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৬৫০, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৩৯৩, ইবনি হিব্বান ৮৭৪, জইফ আত তারগীব ১৩১৬, জইফ আল জামি ২৫৯২। কিন্তু হাদিসের প্রথম অংশটুকু الإمام العادل-এর স্থলে المسافر দিয়ে সহীহ সূত্রে প্রমাণিত। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
২২৫০. {আবু হুরাইরাহ [রাদি.]] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিঃসন্দেহে তিন লোকের দোআ কবূল হয়। [১] পিতার দোআ, [২] মুসাফিরের দোআ এবং [৩] মাযলূমের [পীড়িতের] দোআ। {১}
{১} হাসান : আবু দাউদ ১৫৩৬, তিরমিজি ১৯০৫, ইবনি মাজাহ ৩৮৬২, ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯৮৩০, মুজামুল আওসাত ২৪, শুআবুল ঈমান ৩৩২৩, সহীহ ইবনি হিব্বান ২৬৯৯, সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ২৪/৩২, রিয়াযুস্ সলিহীন ৯৮৭, সহীহাহ্ ৫৯৬, সহীহ আত তারগীব ৩১৩২। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
২২৫১. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকেই যেন স্বীয় প্রতিপালকের কাছে তার সকল প্রয়োজনের ব্যাপারে প্রার্থনা করে। এমনকি যখন তার জুতার ফিতা ছিঁড়ে যায়, সে সময়ও যেন তাহাঁর কাছে চায়।{১}
{১} জইফ : তিরমিজি ৩৬০৪, শুআবুল ঈমান ১০৭৯, সহীহ ইবনি হিব্বান ৮৯৪, যঈফাহ্ ১৩৬২, জইফ আল জামি ৪৯৪৯। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
২২৫২. সাবিত আল বুনানী হইতে বর্ণীতঃ
এর এক মুরসাল বর্ণনায় এ অংশটুকু বেশি রয়েছে যে, তাহাঁর কাছে যেন লবণও প্রার্থনা করে, এমনকি নিজের জুতার ফিতা ছিঁড়ে গেলেও যেন তাহাঁর নিকট প্রার্থনা করে।{১}
{১} জইফ : তিরমিজি ৩৬০৪, যঈফাহ্ ১৩৬২। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২২৫৩. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] দুয়ার সময় নিজের হাত উঠাতেন এমনকি তখন তাহাঁর বগলের উজ্জ্বলতা প্রকাশ পেত। {১}
{১} সহীহ, মুসলিম ৮৯৫, ইবনি আবী শায়বাহ ২৯৬৭৮. এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২২৫৪. সাহল ইবনি সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাতের আঙ্গুল কাঁধ সমান উঠিয়ে দোআ করিতেন।{১}
{১} হাসান : আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৩১১। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
২২৫৫. সায়িব ইবনি ইয়াযীদ হইতে বর্ণীতঃ
তিনি তাহাঁর পিতা হইতে বর্ণনা করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত উঠিয়ে দোআ করার সময় হাত দিয়ে মুখমন্ডলে মাসাহ করিতেন।
উপরোল্লিখিত তিনটি হাদিস ঈমাম বায়হাক্বী [রাহিমাহুল্লাহ] তাহাঁর দাওয়াতুল কাবীর-এ বর্ণনা করিয়াছেন।{১}
{১} জইফ : আবু দাউদ ১৪৯২, আহমাদ ১৭৯৪৩, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৬৩১, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৩১০, জইফ আল জামি ৪৩৯৯। কারণ এর সানাদে হাফস্ ইবনি হাশিম একজন মাজহূল রাবী। আর ইবনি লাহ্ইআহ্ একজন দুর্বল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
২২৫৬. ইকরিমাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেন, আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়ার নিয়ম হলো, নিজের হাত দুটি কাঁধ পর্যন্ত অথবা কাঁধের কাছাকাছি পর্যন্ত উঠাবে। আর আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার বা ক্ষমা চাওয়ার নিয়ম হলো, নিজের [শাহাদাত] আঙ্গুল উঠিয়ে ইশারা করিবে এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার নিয়ম হলো, তোমার পুরো হাত প্রসারিত করিবে। অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছেন, প্রার্থনা করিবে এভাবে- এরপর তিনি নিজের দুহাত উপরের দিকে উঠিয়ে ধরলেন এবং হাতের তালুর দিক নিজের মুখমন্ডলে মাসাহ করিলেন। ]{১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৪৮৯, ১৪৯০, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৩১৩, সহীহ আল জামি ৬৬৯৪। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২২৫৭. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, [দোআর সময়] তোমাদের হাত বেশি উপরে উঠিয়ে ধরা বিদআত [বিদাত]। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কক্ষনো সিনা থেকে বেশি উপরে হাত উঠাতেন না। {১}
{১} জইফ : আহমাদ ৫২৬৪। কারণ এর সানাদে বিশ্র ইবনি হার্ব একজন দুর্বল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
২২৫৮. উবাই ইবনি কাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারো জন্য দোআ করার সময় প্রথমে নিজের জন্য দোআ করিতেন। [তিরমিজি; তিনি বলেন, হাদিসটি হাসান গরীব ও সহীহ]{১}
{১} সহীহ : তিরমিজি ৩৩৮৫, সহীহ আল জামি ৪৭২৩। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২২৫৯. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিম দোআ করার সময় কোন গুনাহের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের দোআ না করলে অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তাকে এ তিনটির একটি দান করেন। [১] হয়তো তাকে তার কাঙ্ক্ষিত সুপারিশ দুনিয়ায় দান করেন, [২] অথবা তা তার পরকালের জন্য জমা রাখেন এবং [৩] অথবা তার মতো কোন অকল্যাণ বা বিপদাপদকে তার থেকে দূরে করে দেন। সাহাবীগণ বললেন, তবে তো আমরা অনেক বেশি লাভ করব। তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, আল্লাহ এর চেয়েও বেশি দেন।{১}
{১} সহীহ : ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯১৭০, সহীহ আদাবুল মুফরাদ ৫৫০/৭১০, সহীহ আত তারগীব ১৬৩৩, আহমাদ ১১১৩৩, শুআবুল ঈমান ১০৯০। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২২৬০. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ পাঁচ লোকের দোআ কবূল করা হয়। [১] মাযলূম বা অত্যাচারিতের দোআ- যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিশোধ গ্রহণ করা না হয়, [২] হজ সমাপনকারীর দোআ- বাড়ী ফিরে না আসা পর্যন্ত, [৩] মুজাহিদের দোআ- যতক্ষণ না বসে পড়ে, [৪] রোগীর দোআ- যতক্ষণ না সে সুস্থতা লাভ করে এবং [৫] এক মুসলিম ভাইয়ের দোআ অপর মুসলিম ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে। এরপর তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেন, এ সব দোআর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত কবূল হয় এক [মুসলিম] ভাইয়ের দোআ তার আর এক ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে। [বায়হাক্বী- দাওয়াতুল কাবীর]{১}
{১} মাওযূ : আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৬৭১, শুআবুল ঈমান ১০৮৭, যঈফাহ্ ১৩৬৪, জইফ আল জামি ২৮৫০। কারণ এর সানাদে আবদুর রহীম একজন মিথ্যুক রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ জাল হাদিস
Leave a Reply