দাসত্ব থেকে মুক্তি Abu Daud Sharif Bangla pdf Download

দাসত্ব থেকে মুক্তি Abu Daud Sharif Bangla pdf Download

দাসত্ব থেকে মুক্তি Abu Daud Sharif Bangla pdf Download , এই অধ্যায়ে হাদীস ৪৩ টি (৩৯২৬ – ৩৯৬৮) >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

অধ্যায় – ৩১ঃ দাসত্বমুক্তি, অনুচ্ছেদঃ ১-১৫=১৫টি, হাদীসঃ (৩৯২৬-৩৯৬৮)=৪৩টি

অনুচ্ছেদ–১ঃ চুক্তিবদ্ধ গোলাম কৃত শর্তের কিছু পরিশোধের পর অপারগ হলে বা মারা গেলে
অনুচ্ছেদ-২ঃ মুকাতাব [চুক্তিবদ্ধ গোলাম]-এর চুক্তি ভঙ্গ হলে তাহাকে বিক্রি করা
অনুচ্ছেদ-৩ঃ শর্তসাপেক্ষে দাসত্বমুক্তি
অনুচ্ছেদ-৪ঃ কেউ শরীকানা গোলামের নিজ অংশ মুক্ত করলে
অনুচ্ছেদ-৫ঃ গোলামকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে কাজ করানো
অনুচ্ছেদ-৬ঃ যারা বলেন, গোলামকে কাজে লাগানো যাবে না
অনুচ্ছেদ-৭ঃ কেউ রক্ত সম্পর্কীয় মুহাররাম গোলামের মালিক হলে
অনুচ্ছেদ-৮ঃ উম্মু ওয়ালাদ আযাদ হওয়া
অনুচ্ছেদ-৯ঃ মুদাব্বার গোলাম বিক্রি করা
অনুচ্ছেদ-১০ঃ যিনি সম্পদের এক–তৃতীয়াংশের কমে গোলাম আযাদ করেন
অনুচ্ছেদ-১১ঃ কেউ সম্পদশালী গোলাম আযাদ করলে
অনুচ্ছেদ-১২ঃ জারজ সন্তান মুক্ত করা
অনুচ্ছেদ-১৩ঃ গোলাম আযাদ করার সওয়াব সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-১৪ঃ কোন ধরনের গোলাম আযাদ করা অধিক উত্তম
অনুচ্ছেদ-১৫ঃ সুস্থ অবস্থায় গোলাম আযাদ করার মর্যাদা

অনুচ্ছেদ–১ঃ চুক্তিবদ্ধ গোলাম কৃত শর্তের কিছু পরিশোধের পর অপারগ হলে বা মারা গেলে

৩৯২৬. আমর ইবনি শুআইব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদা হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ মুকতাব গোলাম আযাদ হওয়ার জন্য যে পরিমাণ মুদ্রা দেয়ার শর্ত আরোপ করে, তা হইতে এক দিরহাম অবশিষ্ট থাকলেও সে গোলামই থেকে যাবে। {৩৯২৬}

{৩৯২৬} বায়হাক্বী। দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩৯২৭. আমর ইবনি শুআইব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদা হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যে গোলাম তার মনিবকে একশো উকিয়া দিয়ে আযাদ হওয়ার চুক্তি করে নব্বই উকিয়া দিয়েছে সে গোলামই রয়ে গেলো। আর যে গোলাম একশো দীনার চুক্তি করে নব্বই দীনার আদায় করেছে, সেও গোলাম রয়ে গেলো। {৩৯২৭}

{৩৯২৭} তিরমিজি, ইবনি মাজাহ, আহমাদ। ঈমাম তিরমিজি বলেনঃ এই হাদিসটি গরীব। দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩৯২৮. উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের বলিয়াছেনঃ তোমাদের কারো যদি মুকাতাব গোলাম থাকে এবং সে চুক্তিতে আরোপিত মূল্য প্রদানের যোগ্যতা রাখে, তবে তোমরা তার থেকে পর্দা করো। {৩৯২৮}

{৩৯২৮} তিরমিজি, ইবনি মাজাহ, আহমাদ। ঈমাম তিরমিজি বলেনঃ এই হাদিসটি হাসান সহিহ। কিন্তু সনদের নাহবান সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল। দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-২ঃ মুকাতাব [চুক্তিবদ্ধ গোলাম]-এর চুক্তি ভঙ্গ হলে তাহাকে বিক্রি করা

৩৯২৯. উরওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আয়িশাহ [রাদি.] তাহাকে বলেন, একদা বারীরাহ নাম্নী নামক এক মুকাতাবা দাসী চুক্তিকৃত মূল্য পরিশোধে সাহায্য চাইতে তাহাঁর নিকট এলো। সে তখন পর্যন্ত চুক্তিপত্রের কিছুই শোধ করেনি। আয়িশাহ [রাদি.] তাহাকে বলেন, তুমি মনিব পরিবারে গিয়ে বলো, তারা চাইলে আমি তোমার চুক্তির সমস্ত মূল্যই পরিশোধ করবো এবং আমি তোমার উত্তরাধিকারী হবো। বারীরাহ তাই করলো। কিন্তু মনিব পরিবার রাজি না হয়ে বললো, তিনি ইচ্ছা করলে নেকীর আশায় তোমার এ উপকার করিতে পারেন; কিন্তু আমরাই তোমার উত্তরাধিকারী থাকবো। একথা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট বলা হলে তিনি তাহাকে বলিলেনঃ তুমি ওকে কিনে মুক্ত করে দাও। বস্তুত যে আযাদ করে, উত্তরাধিকার স্বত্ব তারই প্রাপ্য। অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দাঁড়িয়ে বলিলেনঃ লোকেদের কি হলো? এরা এমন শর্ত আরোপ করে যা আল্লাহর কিতাবে নেই। আর আল্লাহর কিতাবে নেই এরূপ শর্ত একশো বার করলেও সে তার হকদার নয়। আল্লাহর শর্তই সত্য ও সবচেয়ে মজবুত।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৩০. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, বারীরাহ তার চুক্তি মোতাবেক মূল্য পরিশোধে সাহায্য চাইতে এসে বললো, আমি আমার মনিব পরিবারের সাথে প্রতি বছর এক উকিয়া করে নয় উকিয়া দেয়ার চুক্তিতে দলীল করেছি। কাজেই আপনি আমাকে সাহায্য করুন। তিনি বলেন, তোমার মনিব পরিবার সম্মত হলে চুক্তির পুরো মূল্য একসঙ্গে আদায় করে তোমাকে মুক্ত করবো। আর আমি হবো তোমার উত্তরাধিকারী। এ প্রস্তাব নিয়ে বাঁদী তার মনিবের নিকট গেলো। অতঃপর যুহরীর বর্ণিত হাদিসের অনুরূপ। তবে যুহরীর বর্ণনার শেষ দিকে নাবী [সাঃআঃ] এর এ কথাটুকু রয়েছেঃ মানুষের কী হলো যে, তাহাদের কেউ বলে, হে অমুক! তুমি আযাদ করে দাও, কিন্ত উত্তরাধিকার স্বত্ব আমার। অথচ নিঃসন্দেহে উত্তরাধিকার স্বত্ব আযাদকারীর জন্যই নির্ধারিত।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৩১. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, বনী মুস্তালিক যুদ্ধে জুয়ায়রিয়াহ বিনতুল হারিস ইবনিল মুস্‌তালিক বন্দিনী হয়ে সাবিত ইবনি ক্বায়িস ইবনি শাম্মাস [রাদি.] বা তার চাচাত ভাইয়ের ভাগে পড়েন। অতঃপর তিনি নিজেকে আযাদ করার চুক্তি করেন। তিনি খুবই সুন্দরী নারী ছিলেন, নজর কাড়া রূপ ছিল তার। আয়িশাহ [রাদি.] বলেন, তিনি চুক্তির অর্থ চাইতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এলেন। তিনি দরজায় এসে দাঁড়াতেই আমি তাহাকে দেখে অসন্তুষ্ট হলাম। আমি ভাবলাম, যে রূপ-লাবন্যে তাহাকে দেখেছি, শিঘ্রই রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-ও তাহাকে এভাবে দেখবেন। অতঃপর তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি জুয়ায়রিয়াহ বিনতুল হারিস, আমার সামাজিক অবস্থান অবশ্যই আপনার নিকট স্পষ্ট। আমি সাবিত ইবনি ক্বায়িস ইবনি শাম্মাসের ভাগে পড়েছি। আমি মুক্ত হওয়ার চুক্তিপত্র করেছি, চুক্তির নির্ধারিত অর্থ আদায়ে সাহায্য চাইতে আপনার কাছে এসেছি। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, এর চেয়ে ভালো প্রস্তাবে তুমি রাজি আছো কি? তিনি বলিলেন, কী প্রস্তাব, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বলিলেনঃ আমি চুক্তির সমস্ত পাওনা শোধ করে তোমাকে বিয়ে করিতে চাই। তিনি বলিলেন, হাঁ, আমি আপনার প্রস্তাবে রাজি আছি। আয়িশাহ [রাদি.] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জুয়ায়রিয়াহকে বিয়ে করেছেন, একথা সবার মাঝে জানাজানি হয়ে গেলো। তারা তাহাদের আওতাধীন সমস্ত বন্দীকে আযাদ করে ছাড়তে লাগলেন আর বলিতে লাগলেন, এরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর শ্বশুর বংশের লোক। আয়িশাহ [রাদি.] বলেন, নিজের গোত্রের কল্যাণের জন্য তার চাইতে বরকতময়ী মহিলা আমি আর কাউকে দেখিনি। শুধু তার মাধ্যমে বনী মুস্তালিকের একশো পরিবার আযাদ হয়েছে। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মুসলিম শাসক  বিয়ে করিতে পারেন।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

অনুচ্ছেদ-৩ঃ শর্তসাপেক্ষে দাসত্বমুক্তি

৩৯৩২. সাফীনাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি উম্মু সালামাহ্‌র [রাদি.] কৃতদাস ছিলাম। তিনি বলিলেন, আমি তোমাকে আযাদ করবো এ শর্তে যে, যতো দিন তুমি জীবিত থাকিবে, রাসূলুল্লাহ্‌র [সাঃআঃ] খেদমত করিবে। আমি বলিলাম, আপনি যদি এ শর্ত আরোপ নাও করিতেন, তবুও আমি আমার জীবদ্দশা পর্যন্ত রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গ ত্যাগ করতাম না। অতঃপর তিনি আমাকে উক্ত শর্তে আযাদ করিলেন।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

অনুচ্ছেদ-৪ঃ কেউ শরীকানা গোলামের নিজ অংশ মুক্ত করলে

৩৯৩৩.আবুল ওয়ালীদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ

এক ব্যক্তি যৌথ মালিকানাধীন কৃতদাসে তার অংশ মুক্ত করলো। অতঃপর এ সংবাদ নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট পৌছলে তিনি বলেনঃ আল্লাহর কোন শরীক নেই। ইবনি কাসীরের [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণনায় আরো রয়েছেঃ অতঃপর নাবী [সাঃআঃ] তাহাকে মুক্ত করার অনুমতি দিলেন।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৩৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক ব্যক্তি যৌথ মালিকানাভুক্ত কৃতদাসের তার অংশ আযাদ করে দিলো। নাবী [সাঃআঃ] দাসত্বমুক্তির অনুমতি দিয়ে তাহাকে তার অবশিষ্ট অংশের মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা করিতে বলিলেন।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৩৫. ক্বাতাদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি যৌথ মালিকানাধীন দাস হইতে তার অংশ আযাদ করে দেয়, তার কর্তব্য হলো তাহাকে পূর্ণভাবে আযাদের ব্যবস্থা করা।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৩৬. ক্বাতাদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার নিজ সনদ হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যৌথ মালিকানাধীন দাস থেকে যে ব্যক্তি তার নিজের অংশ আযাদ করিবে, সে যদি সম্পদশালী হলে তার সম্পদ খরচ করে বাকী অংশও যেন আযাদ করে দেয়।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৫ঃ গোলামকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে কাজ করানো

৩৯৩৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি যৌথ মালিকানাভুক্ত কৃতদাসের নিজের অংশ আযাদ করে সে মালদার হলে সম্পূর্ণ আযাদ করার ব্যবস্থা করা উচিত। সম্পদশালী না হলে কঠিন পরিশ্রমে না ফেলে দাসকে দিয়ে কাজ করাতে পারে।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৩৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি যৌথ মালিকানাভুক্ত কৃতদাসের নিজের অংশ আযাদ করে, সে সম্পদশালী হলে তার কর্তব্য হলো তাহাকে পূর্ণভাবে আযাদ করার ব্যবস্থা করা। আর সে সম্পদশালী না হলে গোলামটির সঠিক মূল্য নিরূপণ করার পর গোলামের দ্বারা সাধ্য মোতাবেক কাজ করাবে। অতঃপর তার পারিশ্রমিকের অর্থ দ্বারা মূল্য আদায় করিবে। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, উভয় বর্ণনাকারীর বক্তব্য হলো ঃ তাহাকে দিয়ে সহজসাধ্য পরিশ্রম করাবে।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৩৯. সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার সানাদে অনুরূপ অর্থের হাদিস বর্ণিত। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, কোন বর্ণনায় শব্দটি উল্লেখ আছে এবং কোন বর্ণনায় নেই। {৩৯৩৯}

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

অনুচ্ছেদ-৬ঃ যারা বলেন, গোলামকে কাজে লাগানো যাবে না

৩৯৪০. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ কোন ব্যক্তি যৌথ মালিকানাভুক্ত কৃতদাসের নিজের অংশ মুক্ত করলে তার সঠিক মূল্য নিরূপণ করিতে হইবে। অতঃপর সে অন্য শরীকদের অংশও পরিশোধ করিবে এবং এর বিনিময়ে গোলামটি আযাদ হইবে। অন্যথায় তাহাকে যতটুকু আযাদ করা হয়েছে সে ততটুকুই আযাদ হইবে।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৪১. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ]-এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদিসের অর্থানুরূপ বর্ণিত। বর্ণনাকারী বলেন, নাফি কখনো অর্থাৎ “যা আযাদ করলো তা করলোই” এরূপ বলিয়াছেন, আবার কখনো তা বলেননি। {৩৯৪১}

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৪২. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ]-এর সূত্রে উপরোক্ত হাদিস বর্ণিত। আইয়ূব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি অবহিত নই, হাদিসের “যা আযাদ করলো তা করলোই” কথাটুকু নাবী [সাঃআঃ]-এর নাকি নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর নিজস্ব বক্তব্য। {৩৯৪২}

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৪৩. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি শরীকানা গোলামের নিজের অংশ আযাদ করে দেয়, তার নিকট যদি এ গোলামের সম্পূর্ণ মূল্য পরিমাণ মাল থাকে, তবে তার উচিত তাহাকে পূর্ণভাবে আযাদ করা। আর যদি এ পরিমাণ সম্পদ না থাকে, তবে সে তার অংশ পরিমাণই আযাদ হইবে।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৪৪. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ]-এর সূত্রে ইবরাহীম ইবনি মূসা বর্ণিত হাদিসের সমার্থক হাদিস বর্ণিত। {৩৯৪৪}

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৩৯৪৫. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ]-এর সূত্রে মালিক বর্ণিত হাদিসের সমার্থক হাদিস বর্ণিত। তবে এতে “সে তার অংশ পরিমাণই আযাদ হইবে” কথাটুকু উল্লেখ নেই। তার বর্ণিত হাদিস {…আরবী…} একথায় গিয়ে সমাপ্ত হয়েছে। {৩৯৪৫}

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৪৬. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ কেউ শরীকানা গোলামের নিজের অংশ আযাদ করলে তার নিকট এ গোলামের পুরো মূল্য পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার উচিত, অবশিষ্ট অর্থ দিয়ে তাহাকে আযাদ করার ব্যবস্থা করা।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৪৭. সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ

সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত এবং এ সূত্র নাবী [সাঃআঃ] পর্যন্ত পৌছে। তিনি বলেনঃ দুই মনিবের মালিকানাধীন একটি কৃতদাসকে এক মনিব তার অংশ আযাদ করলো। আযাদকারী মনিব যদি সম্পদশালী হয়, তবে তার উচিত হলো গোলামটির যথার্থ মূল্য না কমিয়ে না বাড়িয়ে ধার্য করে তাহাকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করা।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৪৮. ইবনিত তালিব্বা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ

এক ব্যক্তি শরীকানা গোলামের নিজের অংশ মুক্ত করলো। নাবী [সাঃআঃ] তাহাকে অবশিষ্ট অংশ মুক্ত করিতে বাধ্য করেননি। {৩৯৪৮}

{৩৯৪৮} নাসায়ী, বায়হাক্বী। সনদের ইবনিত তালিব্বি সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাসতুর। ইবনি হাযম বলেনঃ মাজহুল। দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-৭ঃ কেউ রক্ত সম্পর্কীয় মুহাররাম গোলামের মালিক হলে

৩৯৪৯. সামুরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ কারো মালিকানায় কোন নিকটাত্মীয় মুহাররাম দাস হয়ে আসলে সে আযাদ।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৫০. ক্বাতাদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

উমার ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] বলেন, কারো মালিকানায় যদি নিকটাত্মীয় মুহাররাম ব্যক্তি গোলাম থাকে তবে সে  আযাদ। {৩৯৫০}

{৩৯৫০} বায়হাক্বী । এর সনদ মুরসাল। ক্বাতাদাহ হাদিসটি উমার থেকে শুনেননি। দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল মাকতু

৩৯৫১. ক্বাতাদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

হাসান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, কোন ব্যক্তি নিকট আত্মীয়ের মনিব হলে, সে  মুক্ত। {৩৯৫১}

{৩৯৫১} নাসায়ী দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ মাকতু

৩৯৫২. ক্বাতাবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

জাবির ইবনি যায়িদ এবং হাসানের সূত্রে অনুরূপ হাদিস বর্ণিত। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন হাম্মাদের তুলনায় সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] অধিক স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন। {৩৯৫২}

{৩৯৫২} নাসায়ী দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ মাকতু

অনুচ্ছেদ-৮ঃ উম্মু ওয়ালাদ আযাদ হওয়া

৩৯৫৩. খারিজাহ ক্বায়িস আইলান গোত্রের সালামাহ বিনতু মাক্বিল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, জাহিলী যুগে আমার চাচা আমাকে মদীনায় এনে আবুল ইয়াসার ইবনি আমরের ভাই হুবাব ইবনি আমরের নিকট বিক্রি করেন। অতঃপর আমি হুবারের পুত্র আবদুর রহমানকে প্রসব করি। পরবর্তীতে হুবার মারা গেলে তার স্ত্রী বলেন, আল্লাহর কসম! এখন তুমি তার ঋণের জন্য বিক্রি হইবে। একথা শুনে আমি রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] নিকট এসে বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমি খারিজাহ ক্বায়িস আইলান গোত্রের মহিলা। জাহিলী যুগে আমার চাচা আমাকে নিয়ে মাদীনাহ্‌তে আসেন এবং আবুল ইয়াসার ইবনি আমরের ভাই হুবার ইবনি আমরের নিকট আমাকে বিক্রি করেন। অতঃপর আমার গর্ভে আবদুর রহমান ইবনি হুবার জন্মগ্রহণ করে। তার স্ত্রী বলেন, আল্লাহর কসম! এখন তুমি তার ঋণের জন্য বিক্রি হইবে। একথা শুনে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ হুবারের অভিভাবক কে? বলা হয়, তার ভাই আবুল ইয়াসার ইবনি আমর। অতঃপর তিনি তার নিকট বলে পাঠালেন, মেয়েটিকে তোমরা মুক্ত করে দাও। আর যখনই শুনবে, আমার নিকট কোন গোলাম এসেছে, তখনই তোমরা আসবে এবং আমি এর বিনিময়ে তাহাকে তোমাদেরকে প্রদান করবো। মহিলাটি বলেন, তারা আমাকে মুক্ত করে দিলো। পরে রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] নিকট একটি গোলাম এলে তিনি তাহাকে আমার বিনিময়ে তাহাদের দিয়ে দিলেন। {৩৯৫৩}

{৩৯৫৩} আহমাদ। সানাদে মুহাম্মাদ ইবনি ইসহাক্ব একজন মুদাল্লিস এবং তিনি এটি আন্‌ আন্‌ শব্দে বর্ণনা করেছেন। দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩৯৫৪. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ও আবু বাক্‌রের যুগে উম্মু ওয়ালাদ বাঁদীদেরকে বিক্রি করেছি। পরবর্তীতে উমারের [রাদি.] যুগে তিনি আমাদের বারণ করায় আমরা বিরত হই।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৯ঃ মুদাব্বার গোলাম বিক্রি করা

৩৯৫৫. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক লোক তার কৃতদাসকে এরূপ শর্ত দিয়ে রাখলো যে, সে মারা গেলে সে আযাদ। অথচ গোলাম ব্যতীত তার কোন সম্পদ ছিলো না। নাবী [সাঃআঃ] তাহাকে এ গোলাম বিক্রি করার আদেশ দিলেন। অতঃপর তাহাকে সাতশো অথবা নয়শো আরবী মুদ্রায় বিক্রি করা হয়।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৫৬. আত্বা ইবনি আবু রাবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] আমার নিকট উল্লেখিত হাদিস বর্ণনা করেছেন। তবে তাতে রয়েছেঃ তিনি অর্থাৎ নাবী [সাঃআঃ] বলিলেনঃ তুমিই মুদাব্বার গোলামের মূল্যের পাওনাদার, আর আল্লাহ তা হইতে মুখাপেক্ষীহীন।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৫৭. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আবু মাযকূর নামক জনৈক আনসারীর ইয়াকূব নামে একটি কৃতদাস ছিল। সে ঘোষণা করে যে, সে মনিব মারা গেলে কৃতদাস আযাদ। অথচ এ কৃতদাস ছাড়া তার অন্য কোন সম্পদ ছিলো না। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাকে ডেকে আনলেন এবং সাহাবীদের বলেনঃ কে একে কিনবে। নুআইম ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি নাহ্‌হাম গোলামটিকে আটশো দিরহামে কিনে নিলো। তিনি [সাঃআঃ] এর অর্থ আনসারীকে দিয়ে বলেনঃ তোমাদের মাঝে কেউ দরিদ্র থাকলে সে প্রথমে নিজের জন্য ব্যয় করিবে। তারপর প্রয়োজনের অতিরিক্ত থাকলে তা নিকট আত্মীয়দের জন্য ব্যয় করিবে, এরপরও অবশিষ্ঠ থাকলে আল্লাহর পথে নেককাজে ব্যয় করিবে।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১০ঃ যিনি সম্পদের এক–তৃতীয়াংশের কমে গোলাম আযাদ করেন

৩৯৫৮. ইমরান ইবনি হুসাইন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একজন মুমূর্ষু ব্যক্তি তার ছয়টি গোলামকে আযাদ করে দিলো। এগুলো ছাড়া তার অন্য কোন সম্পদ ছিলো না। এ খবর নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট পৌছলে তিনি সেই ব্যক্তিকে কঠোর ভাষায় ধমকালেন। অতঃপর গোলামদের ডেকে এনে তিন ভাগে ভাগ করে তাহাদের মাঝে লটারী দিলেন। লটারীর ভিত্তিতে দুজনকে আযাদ করে দিলেন এবং চারজনকে গোলাম হিসেবে রেখে দিলেন।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৫৯. আবু ক্বিবলাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আবু ক্বিবলাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে সনদসহ উপরোক্ত হাদিসের সমার্থক হাদিস বর্ণিত। তবে তিনি “তাহাকে কঠোর ভাষায় ধমকালেন” এ বাক্য উল্লেখ করেননি।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৬০. আবু যায়িদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

জনৈক আনসারী সম্পর্কিত হাদিসের সমার্থক হাদিস বর্ণিত। নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ আমি যদি তার দাফনের পূর্বে উপস্থিত হতাম, তাহলে তাহাকে মুসলিমদের কবরস্থানে দাফন করা হতো না। {৩৯৬০}

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৬১. ইমরান ইবনি হুসাইন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

মুমূর্ষ অবস্থায় এক ব্যক্তি তার ছয়টি কৃতদাসকে আযাদ করে দিলো। অথচ এগুলো ছাড়া তার অন্য কোন সম্পদ ছিলো না। এ সংবাদ নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট পৌঁছলে তিনি তাহাদের মাঝে লটারী করে দুজনকে আযাদ করেন এবং চারজনকে দাস হিসেবে রেখে দেন।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১১ঃ কেউ সম্পদশালী গোলাম আযাদ করলে

৩৯৬২. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ কেউ সম্পদশালী দাস আযাদ করলে, সে তার সম্পদ পাবে, যদি না মনিব এমন শর্ত করে যে, সম্পদ তারই থাকিবে।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১২ঃ জারজ সন্তান মুক্ত করা

৩৯৬৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ জারজ সন্তান তিনটি মন্দের অন্যতম। আবু হুরায়রা [রাদি.] বলেন, আল্লাহর পথে চাবুক দ্বারা উপকৃত হওয়া আমার নিকট জারজ সন্তান আযাদ করার চে্য়ে বেশি প্রিয়।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১৩ঃ গোলাম আযাদ করার সওয়াব সম্পর্কে

৩৯৬৪. আল-গারীফ ইবনিদ দায়লামী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা ওয়াসিলাহ ইবনিল আসকার [রাদি.] নিকট এসে তাহাকে বলি, আমাদের নিকট এমন একটি হাদিস বর্ণনা করুন, যাতে না বাড়তি কিছু আছে, না কমতি কিছু। একথা শুনে তিনি অসন্তষ্ট হয়ে বলিলেন, নিশ্চয়ই তোমাদের মাঝে এমন ব্যক্তি আছে, যে ঘরে তার কিতাব [আল-কুরআন] হইতে বাড়িয়ে-কমিয়ে পাঠ করে? আমরা বলিলাম, আমরা তো এরূপ হাদিসের আশা করেছি, যা আপনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট শুনেছেন। তিনি বলেন, আমরা নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে আমাদের এক মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে বলিলাম, হত্যার দায়ে যার উপর জাহান্নামের আগুন অবধারিত হয়েছে। তিনি বলেনঃ তার পক্ষ হইতে তোমরা দাস মুক্ত করো, আল্লাহ দাসের প্রতিটি অঙ্গের পরিবর্তে মৃত ব্যক্তির প্রতিটি অঙ্গকে জাহান্নামের আগুন হইতে মুক্তি দিবেন।

{৩৯৬৪} আহমাদ, বায়হাক্বী। সনদের গীফ ইবনি দায়রামীকে ইবনি হিব্বান ছাড়া কেউ সিক্বাহ বলেননি। ইবনি হাযম বলেনঃ তিনি মাজহুল। দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-১৪ঃ কোন ধরনের গোলাম আযাদ করা অধিক উত্তম

৩৯৬৫. আবু নাজীহ আস-সুলামী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] সাথে তায়েফ দুর্গ অবরোধ করেছি। মুআয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি আমার পিতাহাকে বলিতে শুনিয়াছি, তায়েফ প্রাসাদ বা তায়েফ দুর্গ। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে তীর নিক্ষেপ করেছে, তার জন্য একটি মর্তবা রয়েছে। এ হাদিস এভাবে অগ্রসর হয়েছে। আর আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ যে কোন মুসলিম পুরুষ তার মুসলিম দাসকে মুক্ত করিবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্বিয়ামাতের দিন এ কৃতদাসের প্রতিটি হাড়ের বিনিময়ে মুক্তিদাতার প্রতিটি হাড়কে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন। আর যে কোন মুসলিম নারী তার মুসলিম কৃতদাসীকে মুক্ত করিবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ এ দাসীর প্রতিটি হাড়ের বিনিময়ে ক্বিয়ামাতের দিন মুক্তিদাত্রীর প্রতিটি হাড়কে জাহান্নামের আগুন হইতে রক্ষা করবেন।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৬৬.শুরাহ্‌বীল ইবনিস সিম্‌ত [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

একদা তিনি আমর ইবনি আবাসাহ [রাদি.]-কে বলেন, আপনি আমাদের নিকট এমন একটি হাদিস বর্ণনা করুন, যা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট শুনেছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কৃতদাসীকে মুক্ত করিবে, সে জাহান্নামের আগুন হইতে মুক্তি পাবে।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯৬৭. শুরাহ্‌বীল ইবনিস সিম্‌ত [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

একদা তিনি কাব ইবনি মুররাহ বা মুররাহ ইবনি কাব [রাদি.]-কে বলেন, আপনি আমাদের নিকট এমন একটি হাদিস বর্ণনা করুন, যা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট শুনেছেন। অতঃপর তিনি মুআয বর্ণিত হাদিসের সমার্থক হাদিস এ পর্যন্ত বর্ণনা করেনঃ যে কোন ব্যাক্তি তার মুসলিম কৃতদাসকে মুক্ত করিবে এবং যে কোন মহিলা তার মুসলিম দাসীকে মুক্ত করিবে। বর্ণনাকারীর অপর বর্ণনায় রয়েছেঃ যে কোন পুরুষ দুজন মুসলিম দাসীকে মুক্ত করিবে, এগুলো তাহাকে জাহান্নামের আগুন হইতে রক্ষা করিবে। এ দুজন দাসীর দুটি হাড়ের পরিবর্তে মুক্তিদাতার একটি হাড়কে মুক্তি দেয়া হইবে। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, সাজিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] শুরাহ্‌বীল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে হাদিস শুনেননি। শুরাহ্‌বীল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সিফ্‌ফীন যুদ্ধে মারা গেছেন।

দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১৫ঃ সুস্থ অবস্থায় গোলাম আযাদ করার মর্যাদা

৩৯৬৮.আবু দারদা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ মুমূর্ষু অবস্থায় গোলাম আযাদকারীর দৃষ্টান্ত হলো, যে ব্যাক্তি পরিতৃপ্ত হওয়ার পর অন্যকে উপহার দেয়। {৩৯৬৮}

{৩৯৬৮} তিরমিজি, ঈমাম তিরমিজি বলেনঃ এই হাদিসটি হাসান সহিহ। নাসায়ী, আহমাদ, দারিমী। সনদের আবু হাবীবাহ ত্বায়ী সম্পর্কে হাফয বলেনঃ মাক্ববূল। ইবনি হিব্বান তাহাকে সিক্বাতে উল্লেখ করেছেন। দাসত্ব থেকে মুক্তি – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

Comments

One response to “দাসত্ব থেকে মুক্তি Abu Daud Sharif Bangla pdf Download”

Leave a Reply