জন্তুর ওলান ফুলিয়ে বিক্রি ও দালাল হয়ে বিক্রি করা হারাম
শহরবাসী লোকের জন্যে পল্লীবাসীর দালাল হয়ে বিক্রি করা হারাম >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৪. অধ্যায়ঃ কোন ভাইয়ের কেনা-বেচার সময় তার মূল্যের চেয়ে বেশী মূল্য বলা, কেউ কোন বস্তু কেনার জন্য দরাদরি করছে তার উপরে দরাদরি করা, ক্রয় করার ইচ্ছা ছাড়াই মূল্য বাড়ানোর উদ্দেশ্যে দাম বলা এবং বেশী দেখানোর জন্যে ওলানে দুধ জমা করা হারাম
৫. অধ্যায়ঃ পণ্যদ্রব্য [বাজারে নিয়ে আসার আগেই] এগিয়ে গিয়ে ক্রয় করা হারাম
৬. অধ্যায়ঃ শহরবাসী লোকের জন্যে পল্লীবাসীর দালাল হয়ে বিক্রি করা হারাম
৭. অধ্যায়ঃ কোন জন্তুর ওলান ফুলিয়ে বিক্রির হুকুম
৮. অধ্যায়ঃ ক্রয় করা জিনিস আপন আয়ত্বে নেয়ার পূর্বে বিক্রি করলে বাতিল হইবে
৪. অধ্যায়ঃ কোন ভাইয়ের কেনা-বেচার সময় তার মূল্যের চেয়ে বেশী মূল্য বলা , কেউ কোন বস্তু কেনার জন্য দরাদরি করছে তার উপরে দরাদরি করা, ক্রয় করার ইচ্ছা ছাড়াই মূল্য বাড়ানোর উদ্দেশ্যে দাম বলা এবং বেশী দেখানোর জন্যে ওলানে দুধ জমা করা হারাম
৩৭০৩. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: তোমাদের মধ্যে একে অপরের দামের উপর দাম বাড়িয়ে যেন কোন বস্তু ক্রয় না করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৬৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৬৯]
৩৭০৪. ইবনি উমর [রাদি.] সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ কোন লোক যেন তার ভাইয়ের ক্রয় করার সময় তার উপর বেশী মূল্য বলে ক্রয় না করে এবং কেউ যেন তার অপর ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপরে তার অনুমতি ছাড়া প্রস্তাব না পাঠায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭০]
৩৭০৫. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: “কোন মুসলিম যেন অন্য মুসলিমের মূল্যের উপর মূল্য না বলে।”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭১]
৩৭০৬. আহমদ ইবনি ইব্রাহীম দাওরাকী, মুহাম্মদ ইবনিল মুসান্না ও উবাইদুল্লাহ ইবনি মুআয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
কোন ভাইয়ের দরদাম করার সময় কেউ যেন ঐ জিনিসের দরদাম না করে। দাওরাকীর রিওয়ায়াতে [আরবী] এর স্থলে [আরবী] বলা হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭২ ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭২]
৩৭০৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কেনার উদ্দেশে কাফিলার সাথে আগেই গিয়ে সাক্ষাৎ করা যাবে না। তোমাদের কেউ যেন অপরের দাম বলার উপর দাম না বলে। কেনার উদ্দেশে ছাড়া মালের দাম বলে বৃদ্ধি করো না। শহরবাসী যেন পল্লীবাসী লোকের থেকে এগিয়ে গিয়ে দ্রব্য নিয়ে বিক্রি না করে। আর উট ও বকরীর ওলানে দুধ জমা করে না রাখে। এ অবস্থায় কেউ তা খরিদ করলে তার জন্য দুপথের এক পথ অবলম্বনের অনুমতি রয়েছে- হয় সে তা রেখে দিবে, না হয় সে তা ফেরত দিবে এক সা খেজুরসহ। {৯}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭৩]
{৯} এক সা খেজুরসহ ফেরত দেয়ার কারণ এই যে, যেহেতু ফেরত দেয়ার পূর্ব সময় পর্যন্ত ক্রেতা উক্ত জন্তুর দুধ দ্বারা উপকৃত হয়েছে।
৩৭০৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিষেধ করিয়াছেন- পণ্য দ্রব্য নিয়ে আগমনকারীদের দিকে সামনে অগ্রসর হয়ে খরিদ করার উদ্দেশে সাক্ষাৎ করিতে, শহুরে লোকদের এগিয়ে গিয়ে গ্রাম্য লোকদের থেকে পণ্য ক্রয় করিতে, কোন সতীনকে তার অপর সতীনকে তালাক দিতে [স্বামীর কাছে] বলিতে, মূল্য বৃদ্ধি করার উদ্দেশে দাম বলিতে, বিক্রয়ের পূর্বে দোহন না করে ওলানে দুধ জমা করে রাখতে এবং অপর ভাইয়ের দরদামের উপর দরদাম করিতে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭৪,ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭৪]
৩৭০৯. আবু বাকর ইবনি নাফি, মুহাম্মাদ ইবনিল মুসান্না ও আবদুল ওয়ারিস ইবনি আবদুস সামাদ শুবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে গুনদার ও ওয়াহব- এর হাদীসে আছে, “নিষেধ করা হয়েছে।” আর আবদুস সামাদের হাদীসে আছে-রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিষেধ করিয়াছেন। যেমনটি আছে শুবাহ থেকে মুআয বর্ণিত হাদীসে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭৫]
৩৭১০. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ক্রয় করার ইচ্ছা ছাড়া মূল্য বাড়ানোর উদ্দেশে মূল্য বলিতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বারণ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭৬]
৫. অধ্যায়ঃ পণ্যদ্রব্য [বাজারে নিয়ে আসার আগেই] এগিয়ে গিয়ে ক্রয় করা হারাম
৩৭১১. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
দ্রব্য বাজারে পৌঁছার আগেই এগিয়ে গিয়ে খরিদের জন্যে যেতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিষেধ করিয়াছেন। এ হলো ইবনি নুমায়রের বর্ণনা। আর অপর দুজন বলেছেনঃ নবী [সাঃআঃ] সামনে এগিয়ে গিয়ে পণ্য বহনকারী কাফিলার সাথে সাক্ষাৎ করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭৭]
৩৭১২. ইবনি উমর [রাদি.] সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি উমর [রাদি.] সূত্রে নবী [সাঃআঃ] থেকে উবাইদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে ইবনি নুমায়রের বর্ণনার অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭৮]
৩৭১৩. আবদুল্লাহ [রাদি.] এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি পণ্যদ্রব্য আসার পথে সম্মুখে অগ্রসর হয়ে ক্রয় করিতে বারণ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭৯]
৩৭১৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, পণ্য বহনকারীদের সাথে অগ্রগামী হয়ে সাক্ষাৎ করিতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিষেধ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৮০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৮০]
৩৭১৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা এগিয়ে গিয়ে পণ্যবাহী কাফিলার সাথে মিলিত হয়ো না। যদি কেউ এরূপ করে এবং তার থেকে কোন বস্তু ক্রয় করে নেয় তবে বিক্রেতা বাজারে পৌঁছার পর বিক্রয় বহাল রাখা বা বাতিল করার ব্যাপারে ইখতিয়ার পাবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৮১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৮১]
৬. অধ্যায়ঃ শহরবাসী লোকের জন্যে পল্লীবাসীর দালাল হয়ে বিক্রি করা হারাম
৩৭১৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ কোন শহরবাসী পল্লীবাসীর পক্ষ হয়ে বিক্রি করিবে না।
আর যুহায়র বলেন, নবী [সাঃআঃ] কোন শহরবাসীকে পল্লীবাসীর পক্ষে দালালী করে বিক্রি করিতে বারণ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৮২, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৮২]
৩৭১৭. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এগিয়ে গিয়ে পণ্যবহনকারী কাফিলার সাথে মিলিত হইতে এবং শহরবাসীকে পল্লীবাসীর পক্ষ হয়ে বিক্রি করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
বর্ণনাকারী [তাউস] বলেনঃ আমি ইবনি আব্বাসকে জিজ্ঞেস করলাম, শহরবাসী পলীবাসীর পক্ষ হয়ে বিক্রি করার মানে কী? তিনি বললেনঃ সে তার দালালী করিবে না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৮৩]
৩৭১৮. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ শহরের লোক গ্রামের লোকের পক্ষ হয়ে বিক্রয় করিতে পারবে না। লোকদের একজনের দ্বারা অপরজনের রিয্কের যে ব্যবস্থা আল্লাহ করে রেখেছেন সে ব্যবস্থা চালু থাকতে দাও।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৮৪]
৩৭১৯. জাবির [রাদি.]-এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
জাবির [রাদি.]-এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] থেকে এরূপ বর্ণনা করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৮৫]
৩৭২০. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ আমাদেরকে এমনটি নিষেধ করা হয়েছে, গ্রামের লোকের পক্ষ হয়ে শহরের লোকেরা যেন বিক্রয় না করে, সে ভাই বা পিতাই হোক না কেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৮৬,ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৮৬]
৩৭২১. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে যে, শহরের লোক যেন গ্রামের লোকের পক্ষ হয়ে বিক্রয় না করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৮৭]
৭. অধ্যায়ঃ কোন জন্তুর ওলান ফুলিয়ে বিক্রির হুকুম
৩৭২২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি দুধ দোহন না করে ফুলিয়ে রাখা ওলান বিশিষ্ট বকরী খরিদ করে, তবে বাড়ী নিয়ে দোহনের পরে সে ইচ্ছা করলে রাখতে পারে আবার ইচ্ছা করলে ফেরতও দিতে পারে। ফেরত দিতে চাইলে এক সা খেজুরও সাথে দিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৮৮]
৩৭২৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ওলান ফুলিয়ে রাখা বকরী ক্রয় করিবে, তিন দিন পর্যন্ত তার জন্যে ইচ্ছার স্বাধীনতা থাকিবে। ইচ্ছা করলে সেটি রাখতে পারে, আর যদি ফেরত দেয় তবে সে সাথে এক সা খেজুরও দিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৮৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৮৯]
৩৭২৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ওলান ফুলানো বকরী ক্রয় করিবে, তিন দিন পর্যন্ত তার জন্য ইচ্ছার স্বাধীনতা থাকিবে। সে যদি উক্ত বকরী ফেরত দেয় তবে তার সাথে এক সা খাদ্য বস্তুও দিবে। এজন্য উৎকৃষ্ট গম দিতে হইবে এমনটি নয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৯০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৯০]
৩৭২৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ওলানে দুধ ফুলান বকরী কিনবে তার জন্য ইচ্ছার স্বাধীনতা থাকিবে। ইচ্ছা করলে ক্রয় ঠিক রাখবে আর ইচ্ছা করলে এক সা খেজুরসহ ফেরত দিবে- এজন্য উত্তম গম দেয়া জরুরী নয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৯১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৯১]
৩৭২৬. ইবনি আবু উমর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উপরে উল্লিখিত হাদীসটি আবদুল ওয়াহ্ব থেকে উপরোক্ত সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ
অবশ্য আবদুল ওয়াহ্ব বর্ণনায় [আরবী] এর জায়গায় [আরবী] আছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৯২, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৯২]
৩৭২৭. হুমাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবু হুরায়রা্ [রাদি.] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর বেশ কিছু হাদীস আমাদের নিকট বর্ণনা করেন এবং বলেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যদি ওলান ফুলিয়ে রাখা উষ্ট্রী বা বকরী খরিদ করে তবে দুধ দোহনের পরে তার ইচ্ছা-স্বাধীনতা থাকিবে। হয় তা রেখে দিবে অথবা এক সা খুরমাসহ ফেরত দিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৯৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৯৩]
৮. অধ্যায়ঃ ক্রয় করা জিনিস আপন আয়ত্বে নেয়ার পূর্বে বিক্রি করলে বাতিল হইবে
৩৭২৮. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করিবে সে তা আয়ত্বে নেয়ার পূর্বে বিক্রি করিতে পারবে না।
ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলেন, আমি মনে করি সকল বস্তুর বেলায় এ একই নিয়ম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৯৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৯৪]
৩৭২৯. আমর ইবনি দীনার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আমর ইবনি দীনার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উক্ত সানাদে একই রকম হাদীস বর্ণনা করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৯৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৯৫]
৩৭৩০. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করিবে সে নিজ আয়ত্বে নেয়ার পূর্বে তা বিক্রি করিতে পারবে না।
ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলেন, আমার ধারণা খাদ্য দ্রব্যের যে বিধান, অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রেও এ একই বিধান প্রযোজ্য।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৯৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৯৬]
৩৭৩১. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্য বস্তু ক্রয় করিবে, সে তা মাপার আগে বিক্রি করিতে পারবে না।
বর্ণনাকারী {তাউস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]} বলেন, আমি ইবনি আব্বাসের নিকট জিজ্ঞেস করলাম, এর কারণ কী? তিনি বলিলেন, তুমি কি দেখনি যে, লোকজন স্বর্ণ ও খাদ্যদ্রব্য বাকীতে ক্রয় করে? আবু কুরায়ব বাকী শব্দটি উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৯৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৯৭]
৩৭৩২. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কেউ খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করলে তা পূর্ণ করায়ত্ব করার পূর্বে যেন বিক্রি না করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৯৮]
৩৭৩৩. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সময় দ্রব্য ক্রয় করতাম। তখন তিনি এ মর্মে আদেশ দিয়ে আমাদের নিকট লোক পাঠাতেন যে, এ মাল বিক্রি করার আগেই যেন ক্রয়ের জায়গা হইতে অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৯৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৯৯]
৩৭৩৪. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করিবে সে তা পরিপূর্ণ করায়ত্বে নেয়ার আগে বিক্রি করিতে পারবে না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৭০০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৭০০]
৩৭৩৫. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি আরো বলেনঃ আমরা কাফিলা থেকে দ্রব্য খরিদ করতাম। এরপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে তা স্থানান্তরিত করার পূর্বে বিক্রি করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৭০০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৭০০]
৩৭৩৬. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করিবে সে ততক্ষণ পর্যন্ত তা বিক্রি করিতে পারবে না, যতক্ষণ না হস্তগত করে ও তাতে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৭০১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৭০১]
৩৭৩৭. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে লোক খাদ্যদ্রব্য খরিদ করে সে তা হস্তগত করার পূর্বে বিক্রি করিতে পারবে না।
[ই.ফা.৩৭০২, ইসলামিক সেন্টার- ৩৭০২]
৩৭৩৮. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সময়ে আন্দাজ করে খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করে স্থান বদল করার পূর্বে বিক্রি করলে লোকদের শাস্তি দেয়া হত।
[ই.ফা.৩৭০৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩৭০৩]
৩৭৩৯. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি দেখেছি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর আমালে লোকেরা অনুমান করে খাদ্যদ্রব্য খরিদ করে নিজেদের জায়গায় না নিয়েই ক্রয় স্থলে তা বিক্রি করার কারণে তাদের শাস্তি দেয়া হত। ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উবাইদুল্লাহ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] থেকে বর্ণনা করেন যে, তাহাঁর পিতা অনুমান করে খাদ্য বস্তু ক্রয় করত। এরপর তা বাড়ী নিয়ে আসত।
[ই.ফা.৩৭০৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩৭০৪]
৩৭৪০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করিবে সে তা পরিমাপ করার আগে বিক্রি করিতে পারবে না।
[ই.ফা.৩৭০৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৭০৫]
আবু বাকরের বর্ণনায় [আরবী] এর স্থলে [আরবী] রয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৭০৫, ইসলামিক সেন্টার-৩৭০৫]
৩৭৪১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি একদা মারওয়ানকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি সূদী কেনাবেচা বৈধ করে দিয়েছেন? মারওয়ান বলিলেন, না, আমি তো তা করিনি। আবু হুরায়রা [রাদি.] পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি রেশন কার্ড বিক্রি বৈধ করে দেননি? {১০} অথচ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] খাদ্যদ্রব্য পুরোপুরি হস্তগত করার আগে বিক্রি করিতে নিষেধ করিয়াছেন। এরপর মারওয়ান এক বক্তৃতায় তা বিক্রি করিতে লোকদের নিষেধ করে দেন।
রাবী সুলাইমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেনঃ আমি দেখলাম যে, মানুষের কাছ থেকে সরকারী কর্মচারীগণ রেশন কার্ড ফিরিয়ে নিচ্ছে।
[ই.ফা.৩৭০৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩৭০৬]
{১০} গভর্ণর কর্তৃক প্রদত্ত খাদ্যদ্রব্য ইত্যাদির রেশন কার্ড বিক্রি করে দেয়া অবৈধ। কারণ মালিক খাদ্যদ্রব্য উত্তেলন না করেই এবং তা নিজের করজায় না নিয়েই বিক্রি করে দিল।
[সহীহ মুসলিম-শারহে নাবাবী, ২য় খন্ড, ৫-৬ পৃষ্ঠা]
৩৭৪২. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিতেনঃ তুমি যখন কোন খাদ্য বস্তু ক্রয় করো, তখন তা সম্পূর্ণরূপে বুঝে নেয়ার আগে বিক্রি করো না।
[ই.ফা.৩৭০৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩৭০৭]
Leave a Reply