উমরারূপে দান করা । স্বামীর বিনা অনুমতিতে স্ত্রীর দান

উমরারূপে দান করা

উমরারূপে দান করা । স্বামীর বিনা অনুমতিতে স্ত্রীর দান >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ৩৪, উমরারূপে দান করা, হাদীস (৩৭২০ – ৩৭৬০)

১.পরিচ্ছেদঃ উমরারূপে দান করা
২.পরিচ্ছেদঃ উমরার ব্যাপারে জাবির [রাঃআঃ]-এর রিওয়ায়াতে রাবীদের বর্ণনায় বিরোধ
৩.পরিচ্ছেদঃ এ বিষয়ে যুহরী হইতে বর্ণনাকারীদের বর্ণনায় বিরোধ
৪.পরিচ্ছেদঃ এ বিষয়ে আবু সালমা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]- এর হাদীসে ইয়াহ্‌য়া ইবনি আবু কাসীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও মুহাম্মাদ ইবনি আমর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনা বিরোধ
৫.পরিচ্ছেদঃ স্বামীর বিনা অনুমতিতে স্ত্রীর দান

১.পরিচ্ছেদঃ উমরারূপে দান করা

৩৭২০. যায়দ ইবনি সাবিত [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ উমরা ওয়ারিসদের জন্য।

{১} আমি তোমার জীবদ্দশা পর্যন্ত তোমাকে এই ঘর [বা অন্য কিছু] দান করলাম। তোমার মৃত্যুর পর এটা তোমার ওয়ারিসদের প্রাপ্য হইবে, এরূপ বললে তা হিবা বলে গণ্য হইবে। আর যদি বলেঃ আমার এই ঘর তোমার জন্য, তোমার মৃত্যু হলে এই ঘর আবার আমার হইবে। ঈমাম আবু হানীফার মতে এটা ছিল হিবা, তবে যে শর্ত করে, সে শর্ত অকার্যকর বলে গণ্য হইবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭২১. যায়দ ইবনি সাবিত [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ উমরা ওয়ারিসদের জন্য।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭২২. যায়দ ইবনি সাবিত[রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] ওয়ারিসদের জন্য উমরার ফয়সালা দিয়েছেন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭২৩. যায়দ ইবনি সাবিত [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন বস্তুর উমরা করে, তা ঐ ব্যক্তির হইয়া যাবে যাহার জন্য তা করা হয় …… তার হায়াত ও মওত সর্বাবস্থার জন্য। {রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]} বলেনঃ তোমরা রুক্‌বা করো না। আর যে ব্যক্তি কোন বস্তুতে রুক্‌বা করে, তবে তা তার বিধানমত চালু থাকিবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭২৪. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস[রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উমরারূপে দান বৈধ [চলমান থাকিবে]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭২৫. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উমরা করা বৈধ [কার্যকর]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭২৬. মাকহূল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাঊস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উম্‌রা এবং রুক্‌বাকে স্থায়ী [-রূপে কার্যকর] করিয়াছেন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

২.পরিচ্ছেদঃ উমরার ব্যাপারে জাবির [রাঃআঃ]-এর রিওয়ায়াতে রাবীদের বর্ণনায় বিরোধ

৩৭২৭. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাদেরকে খুতবা দিতে গিয়ে বলিলেনঃ উমরা বৈধ [কার্যকর]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭২৮. আতা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উমরা এবং রুক্‌বা করিতে নিষেধ করিয়াছেন। আমি বললামঃ রুক্‌বা কি? তিনি বলিলেনঃ কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে এই বলা যে, এই বস্তু তোমরা, যতদিন তুমি বেঁচে থাকিবে। তবে যদি তোমরা এরূপ কর, তবে তা বৈধ [কার্যকর হইবে]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

৩৭২৯. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উমরা বৈধ [কার্যকর]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৩০. আতা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যদি কোন ব্যক্তিকে তার জীবন শর্তে কোন কিছু দান করা হয়, তবে তা জীবনকালে ও মৃত্যুর পরে তারই হইয়া যাবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

৩৭৩১. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা রুক্‌বা করো না এবং উমরা করো না। আর যাকে উম্‌রা এবং রুক্‌বা হিসেবে কিছু দান করা হয়, তা তার ওয়ারিসদের জন্য হইবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৩২. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ উমরা এবং রুক্‌বা [করা উচিত] নয়। তবু যদি কাউকে উমরা অথবা রুক্‌বা হিসেবে কিছু দেয়া হয়, তবে তা ঐ ব্যক্তির হইয়া যাবে, তার জীবনকাল ও মৃত্যুর পরেও।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৩৩. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ উমরা এবং রুক্‌বা [করা উচিত] নয়। যাকে উমরা অথবা রুক্‌বা হিসেবে কিছু দেয়া হয়, তবে তা তারই হইবে-জীবিত অবস্থায় এবং মরণের পরেও। আতা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, তা দ্বিতীয় [দানকৃত] ব্যক্তির জন্য।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৩৪. হাবীব ইবনি আবু সাবিত [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বলিতে শুনিয়াছি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] রুক্‌বা করিতে নিষেধ করিয়াছেন। তিনি বলেছেনঃ যাকে কিছু রুক্‌বা হিসেবে দেয়া হয়, তা তারই হইয়া যাবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৩৫. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যাকে উমরা হিসেবে কিছু দান করা হয়, তা জীবনে ও মরণে ঐ ব্যক্তিরই হইয়া যায়।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৩৬. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ হে আনসারগণ ! তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদ নিজের কাছে রাখ, তা উমরা করো না। কেননা যে ব্যক্তি কাউকে কোন বস্তু উমরা হিসেবে দান করে, ঐ মাল ঐ ব্যক্তির হইয়া যাবে যাকে উমরারূপে দেয়া হইবে, তার জীবিতাবস্থায় এবং মরণান্তে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৩৭. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের সম্পদ তোমাদের নিজেদের নিকট রেখে দাও, তা উমরা করো না। কেননা যদি কাউকে তার হায়াতকালের জন্য উমরারূপে কিছু দান করা হয়, তবে তা ঐ ব্যক্তির জীবিতাবস্থায় এবং মরণান্তে তার হইয়া যাবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৩৮. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ যাহার জন্য রুক্‌বা করা হয়, [রুক্‌বা] তারই হইয়া যায়।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৩৯. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ উমরা [-র বস্তু] যাকে দেয়া হয়, তা তার জন্য বৈধ হইয়া যায়। আর রুক্‌বা যাকে দেয়া হয়, তা তার জন্য বৈধ হইয়া যায়।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩.পরিচ্ছেদঃ এ বিষয়ে যুহরী হইতে বর্ণনাকারীদের বর্ণনায় বিরোধ

৩৭৪০. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ যাকে উমরারূপে কিছু দেয়া হয়, তা তার এবং তার [পরে তার] উত্তরসূরীদের জন্য। তার উত্তরসূরীদের মধ্যে যারা তার ওয়ারিস হইবে, তারাই এর [উমরার] ওয়ারিস হইবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

৩৭৪১. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ যাহার জন্য উমরা করা হয়, উমরা [কৃত বস্তু] তারই হইবে। তার [পরে তার] উত্তরসূরীদের জন্য। তার উত্তরসূরীদের মধ্যে যারা তার ওয়ারিস হইবে, তারাই এর [উমরার] ওয়ারিস হইবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৪২. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ যাহার জন্য উমরা করা হইয়াছে, উমরা তারই। আর তার পরে যারা তার ওয়ারিস হইবে, তা তাহাদের জন্য।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৪৩. আবদুল্লাহ ইবনি যুবায়র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ যে কেউ [যদি] কাউকে উমরা হিসেবে কিছু দান করে এবং তার পরবর্তীদেরকে তাহলে ঐ বস্তু যাকে দেয়া হইয়াছে, তার হইয়া যাবে এবং তার উত্তরসূরীদের মধ্যে যারা তার ওয়ারিস হইবে তাহাদের জন্য মীরাসরূপে হইয়া যাবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৪৪. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি ঃ কেউ যদি কোন ব্যক্তিকে উমরা হিসেবে কিছু দান করে এবং তার ওয়ারিসদেরকে, তবে সে নিজের কথা দ্বারা নিজের অধিকার রহিত করিল। তার কথা দ্বারা ঐ মাল ঐ ব্যক্তির এবং তার উত্তরসূরীদের হইয়া যাবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৪৫. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ যে কোন ব্যক্তি উমরা হিসেবে কাউকে কিছু দান করে এবং তার ওয়ারিসদেরকে; তবে ঐ বস্তু যাকে দেয়া হইয়াছে তার হইয়া যাবে; যে দান করেছে তা তার নিকট ফিরে আসবে না। কেননা সে এমন একটি দান করেছে যাতে মীরাস- এর অধিকার প্রযুক্ত হইয়াছে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৪৬. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] সিদ্ধান্ত প্রদান করিয়াছেন যে, যে ব্যক্তি কাউকে কিছু উম্‌রা হিসেবে তাকে দান করে এবং তার উত্তরসূরীদের [দান করে] তবে তা অবশ্যই তার হইয়া যাবে যাকে তা দান করা হইয়াছে। যাকে দান করা হইয়াছে, সে মালিকের পক্ষে তা মীরাস সাব্যস্ত হইবে — আল্লাহ্ তাআলার মীরাসের বিধান ও অধিকার অনুসারে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৪৭. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] ফয়সালা প্রদান করিয়াছেন ; যে ব্যক্তি নিজের মাল অন্যের জন্য উমরা করে এবং তার ওয়ারিসদের জন্যও, তবে তা অখন্ডনীয়রূপে তার হইয়া যাবে। দাতার জন্য এতে কোন শর্ত করা এবং কিছু বাদ রাখাও বৈধ নয়। রাবী আবু সালামা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন; কেননা সে এমন দান করেছে যাতে [গ্রহীতার] ওয়ারিসদের মীরাস ধার্য হইয়া গেছে, মীরাসের বিধানদাতার শর্ত কর্তন [শেষ] করে দিয়েছে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৪৮. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ যে ব্যক্তি কোন ব্যক্তি এবং তার উত্তরসূরীদের জন্য উমরা করলো, এই বলে যে, আমি ইহা তোমাকে এবং তোমার উত্তরসূরীদেরকে দান করলাম – যতদিন তোমাদের কেউ বেঁচে থাকিবে। তবে যাদেরকে দান করা হইয়াছে, তা তাহাদের হইয়া যাবে। আর এটা দাতার দিকে ফিরে আসবে না। কেননা সে এমনভাবে দান করেছে, যাতে [গ্রহীতার] মীরাসের বিধান সাব্যস্ত হইয়া গেছে। {১}

{১} এরূপ শর্ত করা সঠিক নয়।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৪৯. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

যে, রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] উমরা সম্পর্কে এভাবে ফায়সালা দিয়েছেন ঃ যদি কেউ এই শর্তে কাউকে কোন কিছু দান করে এবং তার উত্তরসূরীদেরও যে, যদি তোমার উপর কোন বিপদ উপস্থিত হয়, তখন তা আমার এবং আমার উত্তরসূরীদের হইয়া যাবে। তিনি ফায়সালা দিয়েছেন যে, ঐ মাল যাকে দেয়া হইয়াছে তার এবং তার [গ্রহীতার এবং গ্রহীতার] ওয়ারিসদের হইয়া যাবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪.পরিচ্ছেদঃ এ বিষয়ে আবু সালমা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]- এর হাদীসে ইয়াহ্‌য়া ইবনি আবু কাসীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও মুহাম্মাদ ইবনি আমর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনা বিরোধ

৩৭৫০. আবু সালমা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জাবির [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ উমরা [-রূপে প্রদত্ত জিনিস] ঐ ব্যক্তির হইয়া যায়, যাহার জন্য উমরা করা হয়।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৫১. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন ঃ যাহার জন্য উমরা দান করা হয়, তা তারই হইয়া যায়।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৫২. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ উমরাকরা ঠিক নয়; তবে যদি কাউকে উমরা হিসেবে কিছু দান করা হয়, তবে তা তারই হইয়া যাবে।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৩৭৫৩. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন ঃ যাকে উমরা হিসেবে কিছু দেয়া হয়; তা তারই হইয়া যায়।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৩৭৫৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন ঃ উমরা [করা] বৈধ [কার্যকর]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৩৭৫৫. শুরায়হ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর নাবী [সাঃআঃ] ফায়সালা দিয়েছেন ঃ উমার [করা] বৈধ। কাতাদা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি বললাম, মুহাম্মাদ ইবনি নাযর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বাশীর ইবনি নাহিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণনা করিয়াছেন যে, আল্লাহর নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ উমরা জায়েয [কার্যকর]। কাতাদা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, হাসান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেছেন ঃ উমরা করা বৈধ। কাতাদা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেছেন ঃ উমরা করা তখন বৈধ হইবে যখন কোন ব্যক্তিকে এবং তার উত্তরসূরীদেরকে [ওয়ারিসদেরকে] উমরা করা হয়, [তখন ঐ উমরা করা বস্তু দাতার দিকে পুনঃ প্রত্যাবর্তন করিবে না]। তবে যদি ওয়ারিসদের জন্য উমরা না করে থাকে, তবে তা শর্ত মত হইবে, [অর্থাৎ দাতা ফেরত পাবে]। কাতাদা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, কোন ব্যক্তি আতা ইবনি আবু রাবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলিলেন, জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] আমার নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ উমরা করা বৈধ। কাতাদা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেছেন ঃ খলীফাগণ এর আদেশ করেন নি। আতা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন ঃ আবদুল মালিক ইবনি মারওয়ান এরূপ করার আদেশ দিতেন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৫.পরিচ্ছেদঃ স্বামীর বিনা অনুমতিতে স্ত্রীর দান

৩৭৫৬. আমর ইবনি শুআয়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ স্ত্রীর পক্ষে তার মাল হইতে দান করা বৈধ নয়, যখন তার স্বামী তার ইযযতের মালিক হইয়া যায়। {১}

{১} অর্থাৎ নৈতিকভাবে স্বামীকে না জানিয়ে স্ত্রীর দান করা অনুচিত। তবে তার মালিকানা স্বীকৃত হওয়ার কারণে আইনত অবৈধ নয়।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৩৭৫৭. আবদুল্লাহ্‌ ইবনি আমর ইবনি শুআয়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন ঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মক্কা বিজয়ের পর খুতবা দিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলিলেন ঃ স্বামীর অনুমতি ব্যতীত কোন স্ত্রীর জন্য কাউকে কিছু দান করা বৈধ নয়।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৩৭৫৮. আবদুর রহমান ইবনি আলকামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস

৩৭৫৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ আমি ইচ্ছা করেছিলাম, কারো হাদিয়া গ্রহণ করবো না; তবে কুরায়শী, আনসারী, সাকাফী এবং দাওসীদের হাদিয়া গ্রহন করবো।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৩৭৬০. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে গোশ্‌ত দেয়া হলে তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন ঃ এ কী [এই গোশত কোন্ ধরনের]? বলা হলো ঃ তা বারীরাহ্‌কে সাদ্‌কারূপে দেয়া হইয়াছে। তিনি বলিলেন ঃ তা তার জন্য তো সাদ্‌কা, কিন্তু আমাদের জন্য হাদিয়া।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস


Posted

in

by

Comments

One response to “উমরারূপে দান করা । স্বামীর বিনা অনুমতিতে স্ত্রীর দান”

Leave a Reply