আল্লাহর পথে দানের ফযিলত ও মুজাহিদদের রমণীর পবিত্রতা

আল্লাহর পথে দানের ফযিলত ও তা বর্ধিত হওয়া

আল্লাহর পথে দানের ফযিলত ও তা বর্ধিত হওয়া >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

৩৭. অধ্যায়ঃ আল্লাহর পথে দানের ফযিলত ও তা বর্ধিত হওয়া
৩৮. অধ্যায়ঃ আল্লাহর রাহের মুজাহিদগনকে বাহন ও অন্য কিছু দিয়ে সাহায্য করা এবং তাদের পরিবারবর্গের দেখা-শুনা করার ফযিলত
৩৯. অধ্যায়ঃ মুজাহিদদের রমণীদের পবিত্রতা এবং তাতে খিয়ানাতকারীদের পাপ

৩৭. অধ্যায়ঃ আল্লাহর পথে দানের ফযিলত ও তা বর্ধিত হওয়া

৪৭৯১. আবু মাসউদ আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি একটি উটনী লাগামসহ নিয়ে এসে বলিল, এটা আল্লাহর পথে [দান করলাম]। তখন রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেনঃ এর বিনিময়ে কিয়ামাতের দিন তুমি সাতশ উটনী লাভ করিবে যার প্রত্যেকটি লাগামসহ হইবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৪৪, ইসলামিক সেন্টার- ৪৭৪৫]

৪৭৯২. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

উক্ত সানাদে বর্ণনা করেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৪৫, ইসলামিক সেন্টার- ৪৭৪৬]

৩৮. অধ্যায়ঃ আল্লাহর রাহের মুজাহিদগন কে বাহন ও অন্য কিছু দিয়ে সাহায্য করা এবং তাদের পরিবারবর্গের দেখা-শুনা করার ফযিলত

৪৭৯৩. আবু মাসঊদ আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা এক লোক নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর কাছে উপস্থিত হয়ে বলিলেন, “আমার বাহন হালাক হয়ে গেছে, আপনি আমাকে একটি বাহন দিন।” তিনি বললেনঃ আমার কাছে তো তা নেই। সে সময় এক ব্যক্তি বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আমি এমন এক ব্যক্তির সন্ধান তাকে দিচ্ছি, যে তাকে বাহন দিতে পারে। রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেনঃ যে ব্যক্তি কোন ভাল আমালের পথ প্রদর্শন করে, তার জন্যে আমালকারীর সমান সাওয়াব রয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৪৬, ইসলামিক সেন্টার- ৪৭৪৭]

৪৭৯৪. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

উক্ত সানাদে বর্ণনা করেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৪৭, ইসলামিক সেন্টার- ৪৭৪৮]

৪৭৯৫. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আসলাম গোত্রের জনৈক যুবক বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আমি যুদ্ধে যেতে চাই অথচ আমার কাছে যুদ্ধোপকরণ বলিতে কিছুই নেই। তখন তিনি বলিলেন, অমুকের কাছে যাও, সে যুদ্ধের জন্য সজ্জিত হয়েছিল; কিন্তু পরে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। তখন সে ব্যক্তি তার কাছে গেল এবং বলিল, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং বলেছেন, আপনি যেন সেসব যুদ্ধ সামগ্রী আমাকে দিয়ে দেন যার দ্বারা আপনি নিজে সজ্জিত হয়েছিলেন। তখন সে ব্যক্তি [সম্ভবত: তার স্ত্রীকে লক্ষ্য করে] বলিল, হে অমুক! আমি যে যুদ্ধের সাজে সজ্জিত হয়েছিলাম তা একে দিয়ে দাও এবং তার মধ্য থেকে কিছুই রেখে দিও না। আল্লাহর কসম! তার সামান্যতম অংশও যেন তুমি রেখে না দাও তাহলে আল্লাহ তাতে তোমাকে বারাকাত দান করবেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৪৮, ইসলামিক সেন্টার- ৪৭৪৯]

৪৭৯৬. যায়দ ইবনি খালিদ জুহানী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে কোন গাজীকে যুদ্ধসাজে সজ্জিত করে দিল, সেও জিহাদ করলো, যে ব্যক্তি কোন গাজীর অনুপস্থিতিতে তার পরিবারবর্গের দেখাশুনা করলো, সেও জিহাদই করলো। [অর্থাৎ, সেও জিহাদকারীর সমান সাওয়াব লাভ করিবে]।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৪৯, ইসলামিক সেন্টার- ৪৭৫০]

৪৭৯৭. যায়দ ইবনি খালিদ জুহানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাহে জিহাদকারী কোন গাজীকে যুদ্ধসাজে সজ্জিত করে দিল সেও জিহাদই করলো, আর যে ব্যক্তি কোন গাজীর অনুপস্থিতিতে তার পরিবার-পরিজনের পরিচর্যা করলো, সেও জিহাদই করলো।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৫০, ই,সে, ৪৭৫১]

৪৭৯৮. আবু সাঈদ কুদ্‌রী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হুয়ায়ল বংশের অন্তর্ভুক্ত বানূ লিহ্‌ইয়ান গোত্রের বিরুদ্ধে একটি বাহিনী পাঠান। তখন তিনি বলেন, প্রতি দুব্যক্তির একজন যেন বাহিনীতে যোগদান করে, তবে সাওয়াব তারা দুজনেই লাভ করিবে।

[ই,ফা, ৪৭৫১, ই,সে, ৪৭৫২]

৪৭৯৯. আবু সাঈদ খুদ্‌রী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি বাহিনী পাঠান। অবশিষ্ট হাদীস পূর্বরূপ।

[ই,ফা, ৪৭৫২, ই,সে, ৪৭৫৩]

৪৮০০. ইয়াহ্ইয়া [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে এ সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ৪৭৫৪]

৪৮০১. আবু সাঈদ খুদ্‌রী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদা নবী [সাঃআঃ] লিহ্‌ইয়ান গোত্রের বিরুদ্ধে একটি বাহিনী পাঠান। তখন তিনি বলিলেন, প্রতি দুব্যক্তির মধ্যে একজনকে অবশ্যই যুদ্ধে বেরিয়ে যাওয়া উচিত, তারপর তিনি বাড়ীতে অবস্থানকারীদেরকে বলিলেন, তোমাদের মধ্যকার যে কেউ যুদ্ধে গমনকারীর পরিবার-পরিজন ও তার সহায়-সম্পদের দেখাশুনা করিবে সেও গমনকারীর অর্ধেক সাওয়াব লাভ করিবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ৪৭৫৫]

৩৯. অধ্যায়ঃ মুজাহিদদের রমণীদের পবিত্রতা এবং তাতে খিয়ানাতকারীদের পাপ

৪৮০২. বুরাইদাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, মুজাহিদদের রমণীদের ইজ্জত রক্ষা বাড়ীতে অবস্থাকারীদের জন্যে তাদের মাতাদের ইজ্জতের তুল্য। বাড়ীতে অবস্থানকারী যে ব্যক্তিই কোন মুজাহিদের পক্ষে তার পরিবার বর্গের দেখাশুনার দায়িত্বে থাকে এবং তাতে সে কোনরূপ খিয়ানত বা বিশ্বাস ভঙ্গ করে, কিয়ামাতের দিন সে মুজাহিদকে তার সম্মুখে দাঁড় করানো হইবে এবং সে তার খিয়ানতকারীর নেক আমল থেকে যে পরিমাণ ইচ্ছা নিয়ে যাবে। তোমাদের ধারণা কী? [অর্থাৎ, সে কি আর কম নেবে? সমুদয় সাওয়াবই সে কেড়ে নিয়ে যাবে।]

[ই,ফা, ৪৭৫৫, ই,সে, ৪৭৫৬]

৪৮০৩. বুরাইদাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ বাকী অংশ, সাওরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর অনুরূপ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৫৬, ইসলামিক সেন্টার-৪৭৫৭]

৪৮০৪. আলকামাহ্ ইবনি মারসাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে এ সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

তিনি আরও রিওয়ায়াত করেন যে, মুজাহিদকে বলা হইবে তুমি তার নেক আমল থেকে যে পরিমাণ ইচ্ছা নিয়ে নাও। এ কথাটি বলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের দিকে তাকালেন এবং বলিলেন, তোমাদের কী ধারণা? [মুজাহিদ কি তখন তার কোন সাওয়াব আর বাকী রাখবে?]

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৫৭, ইসলামিক সেন্টার- ৪৭৫৮]

Comments

Leave a Reply