মাক্কা, মাদীনা ও কুবা মাসজিদে নামাজের ফজিলত

তিন মসজিদ ব্যতীত সফরের প্রস্তুতি নেয়া যায় না

তিন মসজিদ ব্যতীত সফরের প্রস্তুতি নেয়া যায় না  >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

৯৪. অধ্যায়ঃ মাক্কাহ্ ও মাদীনার মাসজিদদ্বয়ে নামাজ আদায়ের ফযিলত
৯৫. অধ্যায়ঃ তিন মাসজিদ ব্যতীত সফরের প্রস্তুতি নেয়া যায় না
৯৬. অধ্যায়ঃ যে মসজিদের ভিত্তি তাকওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত তার বর্ননা এবং তা হল মদীনায় মাসজিদে নাবাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]
৯৭. অধ্যায়ঃ কুবা মাসজিদের ফযিলত এবং তাতে নামাজ আদায় ও তা যিয়ারাতের ফযিলত

৯৪. অধ্যায়ঃ মাক্কাহ্ ও মদীনার মসজিদ দ্বয়ে নামাজ আদায়ের ফযিলত

৩২৬৫. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেন, আমার এ মসজিদে [মসজিদে নাবাবীতে] এক [রাকআত] নামাজ মাসজিদুল হারাম ব্যতীত অন্য কোন মসজিদে এক হাজার [রাকআত] নামাজের চেয়েও উত্তম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৪০, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৩৭]

৩২৬৬. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার এ মসজিদে এক [রাকআত] নামাজ মাসজিদুল হারাম ব্যতীত অন্য সকল মসজিদে আদায়কৃত এক হাজার [রাকআত নামাজের তুলনায় অধিক ফযিলতপূর্ণ]।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৪১, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৩৮]

৩২৬৭. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.]-এর শাগরিদ আবু সালামাহ্ ইবনি আবদুর রহমান ও আবু আবদুল্লাহ আগার [জুহায়নাহ্ গোত্রের মুক্তদাস] হইতে বর্ণীতঃ

তাঁরা উভয়ে আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মসজিদে এক [রাকআত] নামাজ আদায় মাসজিদুল হারাম ব্যতীত অন্য যে কোন মসজিদে হাজার [রাকআত] নামাজের তুলনায় অধিক ফযিলতপূর্ণ। কেননা, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নবীগণের সমাপ্তি [সর্বশেষ নবী] এবং তাহাঁর মসজিদ [নবী-রসূলগণ কর্তৃক নির্মিত মসজিদসমূহের মধ্যে] সর্বশেষ মসজিদ।

আবু সালামাহ্ ও আবু আবদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, নিঃসন্দেহে আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] যে সব কথা বলেছেন, তা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর হাদীস থেকেই বলেছেন। এজন্য আমরা তাহাঁর ইন্তিকালের পূর্ব পর্যন্ত তাহাঁর নিকট থেকে এ হাদীস সত্যায়িত করে নেয়ার প্রয়োজনবোধ করিনি। আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.]-এর ইন্তিকালের পর তাহাঁর নিকট থেকে এ হাদীসের সত্যায়ন সম্পর্কে আমরা পরস্পর আলোচনা করি এবং একে অপরকে দোষারোপ করি যে, কেন আমরা এ হাদীস সম্পর্কে আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করিনি যে, তিনি তা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট থেকে শুনে বর্ণনা করিয়াছেন কিনা। এ অবস্থায় একদা আমরা আবদুল্লাহ ইবনি ইব্রাহীম ইবনি ক্বারিয-এর কাছে বসলাম এবং এ হাদীস ও তা আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] কর্তৃক রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট হইতে বর্ণীত হওয়া সম্পর্কে আলোচনা উত্থাপন করলাম। তখন আবদুল্লাহ ইবনি ইব্রাহীম ইবনি ক্বারিয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আমাদের বলিলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চিত আমি আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ “অতএব অবশ্যই আমি নবীগণের সমাপ্তি এবং আমার মসজিদ সর্বশেষ মসজিদ।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৪২, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৩৯]

৩২৬৮. আবদুল্লাহ ইবনি ইব্রাহীম ইবনি ক্বারিয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.]-কে বর্ণনা করিতে শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ আমার এ মসজিদে এক [রাকআত] নামাজ অন্য সকল মসজিদে এক হাজার [রাকআত] নামাজের চেয়ে উত্তম অথবা এ মসজিদ ছাড়া অ্ন্য যে কোন মসজিদে এক হাজার [রাকআত] নামাজের সমতুল্য কিন্তু মাসজিদুল হারামের কথা স্বতন্ত্র।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৪৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৪০]

৩২৬৯. ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৪৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৪১]

৩২৭০. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেন, আমার এ মসজিদে এক [রাকআত] নামাজ মাসজিদুল হারাম ব্যতীত অন্য যে কোন মসজিদে এক হাজার [রাকআত] নামাজের চেয়ে অধিক ফযিলতপূর্ণ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৪৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৪২]

৩২৭১. উবায়দুল্লাহ্ ইবনি সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৪৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৪৩]

৩২৭২. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি………… উক্ত হাদীসের অনুরূপ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৪৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৪৪]

৩২৭৩. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এ সূত্রে নবী [সাঃআঃ] এর অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৪৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৪৫]

৩২৭৪. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক স্ত্রীলোক রোগাক্রান্ত হওয়ার পর বলিল, আল্লাহ আমাকে রোগমুক্তি দান করলে আমি গিয়ে বায়তুল মুকাদ্দাসে অবশ্যই নামাজ আদায় করব। অতঃপর সে আরোগ্য লাভ করিল এবং [বায়তুল মুকাদ্দাস] যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিল এবং সে নবী [সাঃআঃ] এর স্ত্রী মায়মুনাহ্ [রাদি.]-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে সালাম দিয়ে এ সম্পর্কে অবহিত করিল। তিনি বলিলেন, তুমি এখানে থাক, যা কিছু পাথেয় নিয়েছো তা খাও এবং রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মসজিদে নামাজ আদায় কর, কারণ আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ “এ মসজিদে এক [রাকআত] নামাজ আদায় মাসজিদুল হারাম ব্যতীত অন্য যেকোন মসজিদে এক হাজার [রাকআত] নামাজ আদায়ের চেয়েও বেশী ফযিলতপূর্ণ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৪৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৪৬]

৯৫. অধ্যায়ঃ তিন মসজিদ ব্যতীত সফরের প্রস্তুতি নেয়া যায় না

৩২৭৫. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেন, উটের পিঠে হাওদা আটাঁ যাবে না [সফর করা যাবে না] তিনটি মসজিদ ব্যতীতঃ এ মসজিদ, মাসজিদুল হারাম ও মাসজিদুল আক্বসা।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৫০, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৪৭]

৩২৭৬. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এ সূত্রে নবী [সাঃআঃ]-এর কথা এভাবে শুরু হয়েছেঃ “তিনটি মসজিদের উদ্দেশ্যে সফর করা যাবে।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৫১, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৪৮]

৩২৭৭. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কেবলমাত্র তিনটি মসজিদের উদ্দেশ্যে সফর করা যাবেঃ কাবাহ মসজিদ, আমার এ মসজিদ এবং ঈলিয়ার মসজিদ [বায়তুল মুকাদ্দাস]

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৫২, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৪৯]

৯৬. অধ্যায়ঃ যে মসজিদের ভিত্তি তাকওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত তার বর্ননা এবং তা হল মদীনায় মসজিদে নববী

৩২৭৮. আবু সালামাহ্ ইবনি আব্দুর রহমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.]-এর পুত্র আব্দুর রহমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আমার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে মসজিদের ভিত্তি তাক্বওয়ার উপর স্থাপিত হয়েছে” সে মসজিদ সম্পর্কে আপনার পিতাকে আপনি কিরূপ বলিতে শুনেছেন? তিনি বলেন, আমার পিতা আমাকে বলেছেন, তার কোন এক স্ত্রীর ঘরে আমি রাসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হলাম। আমি বললাম হে আল্লাহর রসুল! সে মসজিদ কোনটি যার ভিত্তি তাক্বওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? রাবী [আবু সাঈদ] বলেন, তিনি একমুষ্টি কাঁকর তুলে তা জমিনের বুকে নিক্ষেপ করিলেন, অতঃপর বলিলেন, “তা তোমাদের এ মসজিদ মদীনার মসজিদ।” রাবী [আবু সালামাহ্] বলেন, এখন আমি বললাম, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চিত আমিও আপনার পিতাকে এভাবেই ঐ মসজিদের উল্লেখ করিতে শুনেছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৫০]

৩২৭৯. আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আবু সাঈদ [রাদি.] থেকে এ সানাদে উক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্নীত হয়েছে। কিন্তু এ সানাদের মধ্যে আব্দুর রহমান ইবনি আবু সাঈদের নাম উল্লেখিত হয়নি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৫১]

৯৭. অধ্যায়ঃ কুবা মসজিদের ফযিলত এবং তাতে নামাজ আদায় ও তা যিয়ারাতের ফযিলত

৩২৮০. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পদব্রজে অথবা বাহনে চড়ে মসজিদে যিয়ারাতের জন্য যেতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৫৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৫২]

৩২৮১. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পদব্রজে অথবা বাহনে চড়ে কুবা মসজিদে আসতেন। অতঃপর তিনি সেখানে দু রাকাআত নামাজ আদায় করিতেন। {৪৩}

অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু বাকর [রাদি.] বলেছেন, ইবনি নুমায়র [রাদি.] বলেন, অতঃপর তিনি সেখানে দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৫৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৫৩]

{৪৩} রাসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] মাক্কাহ থেকে হিজরত করে মাদিনায় প্রবেশের পুর্বে নুবুওয়াতের চতুর্দশ বছরের ৮ রবিউল আউওয়াল অর্থাৎ ১লা হিজরী মোতাবেক ২৩ সেপ্টেম্বর ৬২২ইং সালের সোমবার কুবা পল্লীতে অবতরণ করে। এটা মদীনার উপকন্ঠে অবস্থিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশনায় এখানে একটি মসজিদ নির্মিত হয়। ইসলামের ইতিহাসে তা মসজিদে কুবাহ নামে পরিচিত। রসুল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কখনো পায়ে হেঁটে আবার কখনো বাহনে চড়ে প্রায়ই এখানে এসে বিশ্রাম নিতেন এবং দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। এতে বুঝা যায় মসজিদের যিয়ারাত হল তথায় দু রাকআত নামাজ আদায় করা। মসজিদের কারুকার্য দেখা বা দরজা জানালা ইত্যাদি গণনা করার নাম মসজিদ যিয়ারাত করা নয়। বরং এটা তামাশা যা নবীদের অনুসারীগণের কাজ নয়।

৩২৮২. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পদব্রজে বা বাহনে চড়ে কুবায় আসতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৫৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৫৪]

৩২৮৩. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৫৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৫৫]

৩২৮৪. আব্দুল্লাহ ইবনি দীনার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি আব্দুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বাহনে চড়ে এবং পদব্রজে কুবায় আসতেন। {৪৪}

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৫৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৫৬]

{৪৪} ক্বাযী আয়ায [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, উসামাহ্ বলেন যে, “আপনি কি আপনার ঘরে অবতরণ করবেন? এ উদ্দেশ্য হল, যেখানে আপনি বসবাস করিতেন। কেননা সে ঘর আবু ত্বালিব এর ছিল এবং তিনি রসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর লালন-পালনের দায়িত্বে ছিলেন। ধারণা করা হয় যে, উকায়ল সব ঘর বিক্রি করে মালিকানা ত্যাগ করেছিলেন, যেমন আবু সুফ্ইয়ান ও অন্যান্য কাফিররা মুহাজিরদের সব ঘরবাড়ি বিক্রি করে দিয়েছিল আর এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, মুসলিম কাফিরের সম্পদের ওয়ারিস হইতে পারে না এ মত সকল আলিমের।

৩২৮৫. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বাহনে চড়ে ও পদব্রজে কুবায় আসতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৬০, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৫৭]

৩২৮৬. আবদুল্লাহ ইবনি দীনার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

ইবনি উমর [রাদি.] প্রতি শনিবার কুবায় আসতেন। তিনি বলিতেন, আমি রসূলু্ল্লাহ [সাঃআঃ]-কে প্রতি শনিবার এখানে আসতে দেখেছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৬১, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৫৮]

৩২৮৭. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলু্ল্লাহ [সাঃআঃ] প্রতি শনিবার কুবায় আসতেন। তিনি বাহনে চড়ে এবং পায়ে হেঁটে সেখানে আসতেন। ইবনি দীনার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, ইবনি উমর [রাদি.]ও অনুরূপ আমাল করিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৬২, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৫৯]

৩২৮৮. ইবনি দীনার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সানাদে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু এ সূত্রে “প্রতি শনিবার” কথাটুকু উল্লেখ নেই।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩২৬৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩২৬০]


Posted

in

by

Comments

One response to “মাক্কা, মাদীনা ও কুবা মাসজিদে নামাজের ফজিলত”

Leave a Reply