রাতে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার ফযীলত
রাতে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার ফযীলত >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
পরিচ্ছেদ – ২১২: রাতে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার ফযীলত
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ وَمِنَ ٱلَّيۡلِ فَتَهَجَّدۡ بِهِۦ نَافِلَةٗ لَّكَ عَسَىٰٓ أَن يَبۡعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامٗا مَّحۡمُودٗا ٧٩ ﴾ [الاسراء: ٧٩]
অর্থাৎ রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম কর; এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। [সূরা বানী ইসরাইল ৭৯ আয়াত]
তিনি আরও বলেছেন,
﴿ تَتَجَافَىٰ جُنُوبُهُمۡ عَنِ ٱلۡمَضَاجِعِ يَدۡعُونَ رَبَّهُمۡ خَوۡفٗا وَطَمَعٗا وَمِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ يُنفِقُونَ ١٦ ﴾ [السجدة: ١٦]
অর্থাৎ তারা শয্যা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশংকার সাথে তাহাদের প্রতিপালককে ডাকে এবং আমি তাহাদেরকে যে রুযী প্রদান করেছি, তা হইতে তারা দান করে। [সূরা সেজদা ১৬ আয়াত]
তিনি আরও বলেছেন, ﴿ كَانُواْ قَلِيلٗا مِّنَ ٱلَّيۡلِ مَا يَهۡجَعُونَ ١٧ ﴾ [الذاريات: ١٧]
অর্থাৎ তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করত। [সূরা যারিয়াত ১৭ আয়াত]
1/1167. وَعَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُومُ مِنَ اللَّيْلِ حَتَّى تَتَفَطَّرَ قَدَمَاهُ، فَقُلْتُ لَهُ: لِمَ تَصْنَعُ هَذَا، يَا رَسُولَ اللهِ، وَقَدْ غُفِرَ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأخَّرَ ؟ قَالَ: «أَفَلاَ أَكُونُ عَبْداً شَكُوراً؟» متفقٌ عَلَيْهِ .
১/১১৬৭। হাদিসের রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাঃআঃ রাত্রির একাংশে [নামাযে] এত দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করিতেন যে, তাহাঁর পা ফুলে ফাটার উপক্রম হয়ে পড়ত। একদা আমি তাঁকে বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আপনি এত কষ্ট সহ্য করছেন কেন? অথচ আপনার তো পূর্ব ও পরের গুনাহসমূহকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলিলেন, “আমি কি শুকরগুযার বান্দা হব না?” [বুখারী ও মুসলিম][1]
2/1168 وَعَن المُغِيرَةِ بن شُعبة رضي الله عنه نَحْوهُ متفقٌ عَلَيْهِ
২/১১৬৮। মুগীরা ইবনি শু‘বা হইতেও অনুরূপ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। [বুখারী ও মুসলিম]
3/1169 وَعَنْ عَليٍّ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ لَيْلاً، فَقَالَ: «أَلاَ تُصَلِّيَانِ ؟» متفقٌ عَلَيْهِ
৩/১১৬৯। আলী রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, একদা নবী সাঃআঃ তাহাঁর ও ফাতেমার নিকট রাত্রি বেলায় আগমন করিলেন এবং বলিলেন, “তোমরা [স্বামী-স্ত্রী] কি [তাহাজ্জুদের] নামায পড় না?” [বুখারী ও মুসলিম][2]
4/1170 وَعَنْ سَالِمِ بنِ عَبدِ الله بنِ عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ رضي الله عنهما، عَن أَبيِهِ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «نِعْمَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللهِ، لَوْ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيلِ». قَالَ سالِم: فَكَانَ عَبدُ اللهِ بَعْدَ ذَلِكَ لاَ يَنامُ مِنَ اللَّيلِ إِلاَّ قَلِيلاً . متفقٌ عَلَيْهِ
৪/১১৭০। সালেম ইবনি আব্দুল্লাহ ইবনি উমার ইবনি খাত্তাব রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ [একবার] বলিলেন, “আব্দুল্লাহ ইবনি উমার কতই না ভাল মানুষ হত, যদি সে রাতে [তাহাজ্জুদের] নামায পড়ত।” সালেম বলেন, ‘তারপর থেকে [আমার আব্বা] আব্দুল্লাহ রাতে অল্পক্ষণই ঘুমাতেন।’ [বুখারী ও মুসলিম] [3]
5/1171 وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم :«يَا عَبدَ اللهِ، لاَ تَكُنْ مِثْلَ فُلاَنٍ ؛ كَانَ يَقُومُ اللَّيلَ فَتَرَكَ قِيَامَ اللَّيلِ». متفقٌ عَلَيْهِ
৫/১১৭১। আব্দুল্লাহ ইবনি আমর ইবনি আস রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেন, “হে আব্দুল্লাহ! তুমি অমুক ব্যক্তির মত হইয়ো না। সে রাতে উঠে নামায পড়ত, তারপর রাতে উঠা ছেড়ে দিল।” [বুখারী ও মুসলিম][4]
6/1172 وَعَنِ ابنِ مَسعُود رضي الله عنه، قَالَ: ذُكِرَ عِنْدَ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ نَامَ لَيْلَةً حَتَّى أَصْبَحَ، قَالَ: «ذَاكَ رَجُلٌ بَالَ الشَّيطَانُ في أُذُنَيْهِ – أَوْ قَالَ: فِي أُذُنِهِ». متفقٌ عَلَيْهِ
৬/১১৭২। আব্দুল্লাহ ইবনি মাসঊদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এমন একটি লোকের কথা নবী সাঃআঃ-এর নিকট উল্লেখ করা হল, যে সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়ে রাত্রি যাপন করে। তিনি বলিলেন, “এ এমন এক মানুষ, যার দু’কানে শয়তান প্রস্রাব করে দিয়েছে।” অথবা বলিলেন, “যার কানে প্রস্রাব করে দিয়েছে।” [বুখারী ও মুসলিম][5]
7/1173 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «يَعْقِدُ الشَّيطَانُ عَلَى قَافِيَةِ رَأسِ أَحَدِكُمْ، إِذَا هُوَ نَامَ، ثَلاَثَ عُقَدٍ، يَضْرِبُ عَلَى كُلِّ عُقْدَةٍ: عَلَيْكَ لَيْلٌ طَوِيلٌ فَارْقُدْ، فَإِنِ اسْتَيقَظَ، فَذَكَرَ اللهَ تَعَالَى انحَلَّتْ عُقْدَةٌ، فَإِنْ تَوَضَّأَ، انْحَلّتْ عُقدَةٌ، فَإِنْ صَلَّى، انْحَلَّتْ عُقَدُهُ كُلُّهَا، فَأَصْبَحَ نَشِيطاً طَيِّبَ النَّفْسِ، وَإِلاَّ أَصْبحَ خَبِيثَ النَّفْسِ كَسْلاَنَ». متفقٌ عَلَيْهِ
৭/১১৭৩। আবূ হুরায়রা রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ নিদ্রা যায় তখন] তার গ্রীবাদেশে শয়তান তিনটি করে গাঁট বেঁধে দেয়; প্রত্যেক গাঁটে সে এই বলে মন্ত্র পড়ে যে, ‘তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত, অতএব তুমি ঘুমাও।’ অতঃপর যদি সে জেগে উঠে আল্লাহর যিকির করে, তাহলে একটি গাঁট খুলে যায়। তারপর যদি ওযু করে, তবে তার আর একটি গাঁট খুলে যায়। তারপর যদি নামায পড়ে, তাহলে সমস্ত গাঁট খুলে যায়। আর তার প্রভাত হয় স্ফূর্তি ও ভালো মনে। নচেৎ সে সকালে ওঠে কলুষিত মনে ও অলসতা নিয়ে।” [বুখারী ও মুসলিম][6]
8/1174 وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ سَلاَمٍ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «أَيُّهَا النَّاسُ: أَفْشُوا السَّلاَمَ، وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ، وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ، تَدْخُلُوا الجَنَّةَ بِسَلاَمٍ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
৮/১১৭৪। আব্দুল্লাহ ইবনি সালাম রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, নবী সাঃআঃ বলেছেন, “হে লোক সকল! তোমরা ব্যাপকভাবে সালাম প্রচার কর, [ক্ষুধার্তকে] অন্ন দাও এবং লোকে যখন রাতে ঘুমিয়ে থাকিবে তখন নামায পড়। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করিবে।” [তিরমিযী হাসান সহীহ][7]
9/1175 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم:«أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ: شَهْرُ اللهِ المُحَرَّمُ، وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الفَرِيضَةِ: صَلاَةُ اللَّيْلِ». رواه مسلم
৯/১১৭৫। আবূ হুরায়রা রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, “রমযান মাসের রোযার পর সর্বোত্তম রোযা হচ্ছে আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা। আর ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায হচ্ছে রাতের [তাহাজ্জুদের] নামায।” [মুসলিম] [8]
10/1176 وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «صَلاَةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى، فَإِذَا خِفْتَ الصُّبْحَ فَأَوْتِرْ بِوَاحِدَةٍ». متفقٌ عَلَيْهِ
১০/১১৭৬। আব্দুল্লাহ ইবনি উমার রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, নবী সাঃআঃ বলেছেন, “রাতের নামায দু’ দু’ রাকআত করে। অতঃপর যখন ফজর হওয়ার আশংকা করিবে, তখন এক রাকআত বিতির পড়ে নেবে।” [বুখারী ও মুসলিম] [9]
11/1177 وَعَنْه، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى، وَيُوتِرُ بِرَكْعَةٍ .متفقٌ عَلَيْهِ
১১/১১৭৭। উক্ত রাবী রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রসুলুল্লাহ সাঃআঃ রাতের বেলায় দু’ দু’ রাকআত করে নামায পড়তেন এবং এক রাকআত বিতির পড়তেন।’ [বুখারী ও মুসলিম][10]
12/1178 وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُفْطِرُ مِنَ الشَّهْرِ حَتَّى نَظُنَّ أَنْ لاَ يَصُومَ مِنْهُ، وَيَصُومُ حَتَّى نَظُنَّ أَنْ لاَ يُفْطِرَ مِنْهُ شَيْئاً، وَكَانَ لاَ تَشَاءُ أَنْ تَرَاهُ مِنَ اللَّيلِ مُصَلِّياً إِلاَّ رَأيْتَهُ، وَلاَ نَائِماً إِلاَّ رَأيْتَهُ . رواه البخاري
১২/১১৭৮। আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘কোন কোন মাসে রসুলুল্লাহ সাঃআঃ এমনভাবে রোযা ত্যাগ করিতেন যে, মনে হত তিনি সাঃআঃ উক্ত মাসে আর রোযাই রাখবেন না। অনুরূপভাবে কোন মাসে এমনভাবে [একাদিক্রমে] রোযা রাখতেন যে, মনে হত তিনি ঐ মাসে আর রোযা ত্যাগই করবেন না। [তাহাঁর অবস্থা এরূপ ছিল যে,] যদি তুমি তাঁকে রাত্রিতে নামায পড়া অবস্থায় দেখিতে না চাইতে, তবু বাস্তবে তাঁকে নামায পড়া অবস্থায় দেখিতে পেতে। আর তুমি যদি চাইতে যে, তাঁকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখবে না, কিন্তু বাস্তবে তুমি তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখিতে পেতে।’ [বুখারী] [11]
13/1179 وَعَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً ـ تَعْنِي فِي اللَّيلِ ـ يَسْجُدُ السَّجْدَةَ مِنْ ذَلِكَ قَدْرَ مَا يَقْرَأُ أَحَدُكُمْ خَمْسِينَ آيَةً قَبْلَ أَنْ يَرْفَعَ رَأسَهُ، وَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الفَجْرِ، ثُمَّ يَضْطَجِعُ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ حَتَّى يَأتِيَهُ المُنَادِي للصَلاَةِ. رواه البخاري
১৩/১১৭৯। হাদিসের রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিত, ‘রসুলুল্লাহ সাঃআঃ এগার রাকআত নামায পড়তেন, অর্থাৎ রাতে। তিনি মাথা তোলার পূর্বে এত দীর্ঘ সেজদা করিতেন যে, ততক্ষণে তোমাদের কেউ পঞ্চাশ আয়াত পড়তে পারবে। আর ফরয নামাযের পূর্বে দু’ রাকআত সুন্নত নামায পড়ে ডান পাশে শুয়ে আরাম করিতেন। শেষ পর্যন্ত তাহাঁর নিকট নামাযের ঘোষণাকারী এসে হাযির হত।’ [বুখারী][12]
14/1180 وَعَنْها، قَالَتْ: مَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَزيدُ – فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ – عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً: يُصَلِّي أَرْبَعاً فَلاَ تَسْألْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعاً فَلاَ تَسْألْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي ثَلاثاً. فَقُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوتِرَ؟ فَقَالَ:«يَا عَائِشَة، إِنَّ عَيْنَيَّ تَنَامَانِ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي». متفقٌ عَلَيْهِ
১৪/১১৮০। উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রসুলুল্লাহ সাঃআঃ রমযান ও অন্যান্য মাসে [তাহাজ্জুদ তথা তারাবীহ] ১১ রাকআতের বেশী পড়তেন না। প্রথমে চার রাকআত পড়তেন। সুতরাং তার সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্য সম্পর্কে প্রশ্নই করো না। তারপর [আবার] চার রাকআত পড়তেন। সুতরাং তার সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্য সম্বন্ধে প্রশ্নই করো না। অতঃপর তিন রাকআত [বিতির] পড়তেন। [একদা তিনি বিতির পড়ার আগেই শুয়ে গেলেন।] আমি বললাম, “হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি বিতির পড়ার পূর্বেই ঘুমাবেন?” তিনি বলিলেন, “হাদিসের! আমার চক্ষুদ্বয় ঘুমায়; কিন্তু অন্তর জেগে থাকে।” [বুখারী ও মুসলিম] [13]
15/1181 وَعَنْها: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنَامُ أَوَّلَ اللَّيلِ، وَيَقُومُ آخِرَهُ فَيُصَلِّي . متفقٌ عَلَيْهِ
১৫/১১৮১। উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, নবী সাঃআঃ রাতের প্রথম দিকে ঘুমাতেন ও শেষের দিকে উঠে নামায পড়তেন। [বুখারী ও মুসলিম][14]
[অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি এরূপ করিতেন নচেৎ এর ব্যতিক্রমও করিতেন।]
16/1182 وَعَنِ ابنِ مَسعُود رضي الله عنه، قَالَ: صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً، فَلَمْ يَزَلْ قَائِماً حَتَّى هَمَمْتُ بِأَمْرِ سُوءٍ ! قِيلَ: مَا هَمَمْتَ ؟ قَالَ: هَمَمْتُ أَنْ أَجِلْسَ وَأَدَعَهُ . متفقٌ عَلَيْهِ
১৬/১১৮২। ইবনি মাসঊদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি নবী সাঃআঃ-এর সঙ্গে এক রাতে নামায পড়েছি। তিনি এত দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে রইলেন যে, শেষ পর্যন্ত আমি একটা মন্দ কাজের ইচ্ছা করে ফেলেছিলাম।’ ইবনি মাসঊদ রাঃআঃ-কে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘সে ইচ্ছাটা কি করেছিলেন?’ তিনি বলিলেন, ‘আমার ইচ্ছা হয়েছিল যে, তাঁকে ছেড়ে দিয়ে বসে পড়ি।’ [বুখারী ও মুসলিম] [15]
17/1183 وَعَنْ حُذَيفَةَ رضي الله عنه، قَالَ: صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ فَافْتَتَحَ البَقَرَةَ، فَقُلْتُ: يَرْكَعُ عِنْدَ المئَةِ، ثُمَّ مَضَى، فَقُلتُ: يُصَلِّي بِهَا فِي رَكْعَةٍ فَمَضَى، فَقُلتُ: يَرْكَعُ بِهَا، ثُمَّ افْتَتَحَ النِّسَاءَ فَقَرَأَهَا، ثُمَّ افْتَتَحَ آلَ عِمْرَانَ فَقَرَأَهَا، يَقرَأُ مُتَرَسِّلاً: إِذَا مَرَّ بِآيَةٍ فِيهَا تَسبِيحٌ سَبَّحَ، وَإِذَا مَرَّ بِسُؤَالٍ سَأَلَ، وَإِذَا مَرَّ بِتَعَوُّذٍ تَعَوَّذَ، ثُمَّ رَكَعَ، فَجَعَلَ يَقُوْلُ: «سُبْحَانَ رَبِّيَ العَظِيمِ» فَكَانَ رُكُوعُهُ نَحْواً مِنْ قِيَامِهِ، ثُمَّ قَالَ: «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، رَبَّنَا لَكَ الحَمْدُ» ثُمَّ قَامَ طَوِيلاً قَرِيباً مِمَّا رَكَعَ، ثُمَّ سَجَدَ، فَقَالَ: «سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى» فَكَانَ سجُودُهُ قَريباً مِنْ قِيَامِهِ. رواه مسلم.
১৭/১১৮৩। হুযাইফা রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাঃআঃ-এর সঙ্গে এক রাতে নামায পড়লাম। তিনি সূরা বাকারাহ আরম্ভ করিলেন। আমি [মনে মনে] বললাম, ‘একশত আয়াতের মাথায় তিনি রুকু করবেন।’ [কিন্তু] তিনি তারপরও কিরাত চালু রাখলেন। আমি [মনে মনে] বললাম, ‘তিনি এরই দ্বারা [সূরা শেষ করে] রুকু করবেন।’ কিন্তু তিনি সূরা নিসা পড়তে আরম্ভ করিলেন এবং সম্পূর্ণ পড়লেন। তারপর তিনি সূরা আলে ইমরান আরম্ভ করিলেন এবং সম্পূর্ণ করিলেন। তিনি স্পষ্ট ও ধীরে ধীরে তেলাওয়াত করিতেন। যখন এমন আয়াত আসত, যাতে তাসবীহ পাঠ করার উল্লেখ আছে, তখন [আল্লাহর] তাসবীহ পাঠ করিতেন। যখন কোন প্রার্থনা সম্বলিত আয়াত অতিক্রম করিতেন, তখন তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করিতেন। যখন কোন আশ্রয় প্রার্থনার আয়াত অতিক্রম করিতেন, তখন তিনি আশ্রয় প্রার্থনা করিতেন। [অতঃপর] তিনি সাঃআঃ রুকু করিলেন। সুতরাং তিনি রুকুতে ‘সুবহানা রাবিবয়াল আযীম’ পড়তে আরম্ভ করিলেন। আর তাহাঁর রুকু ও কিয়াম [দাঁড়িয়ে কিরাত পড়া অবস্থা] এক সমান ছিল। তারপর তিনি রুকু থেকে মাথা তুলে ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ, রাববানা অলাকাল হামদ’ [অর্থাৎ আল্লাহ সেই ব্যক্তির প্রশংসা শুনলেন, যে তা তাহাঁর জন্য করিল। হে আমাদের পালনকর্তা তোমার সমস্ত প্রশংসা] পড়লেন। অতঃপর বেশ কিছুক্ষণ [কওমায়] দাঁড়িয়ে থাকলেন রুকুর কাছাকাছি সময় জুড়ে। তারপর সেজদা করিলেন এবং তাতে তিনি পড়লেন, ‘সুবহানাল্লা রাবিবয়াল আ‘লা’ [অর্থাৎ আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি]। আর তাহাঁর সেজদা দীর্ঘ ছিল তার কিয়াম [দাঁড়িয়ে কিরাত পড়া অবস্থা]র কাছাকাছি। [মুসলিম] [16]
18/1184 وَعَنْ جَابِرٍ رضي الله عنه قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيُّ الصَّلاَةِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: «طُوْلُ القُنُوْتِ». رواه مسلم
১৮/১১৮৪। জাবের রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে সর্বোত্তম নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল, তিনি বলিলেন, “দীর্ঘ কিয়াম-যুক্ত নামায।” [মুসলিম] [17]
19/1185 وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «أَحَبُّ الصَّلاةِ إِلَى اللهِ صَلاةُ دَاوُدَ، وَأَحَبُّ الصِّيَامِ إِلَى اللهِ صِيَامُ دَاوُدَ، كَانَ يَنَامُ نِصْفَ اللَّيلِ وَيَقُومُ ثُلُثَهُ وَيَنَامُ سُدُسَهُ وَيَصُومُ يَوماً وَيُفْطِرُ يَوْماً». متفقٌ عَلَيْهِ
১৯/১১৮৫। ‘আব্দুল্লাহ ইবনি ‘আমর ইবনি ‘আস রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, “আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম নামায, দাউদ عليه السلام -এর নামায এবং আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম রোযা, দাউদ عليه السلام -এর রোযা; তিনি অর্ধরাত নিদ্রা যেতেন এবং রাতের তৃতীয় ভাগে ইবাদত করার জন্য উঠতেন। অতঃপর রাতের ষষ্ঠাংশে আবার নিদ্রা যেতেন। [অনুরূপভাবে] তিনি একদিন রোযা রাখতেন ও একদিন রোযা ত্যাগ করিতেন।” [বুখারী ও মুসলিম] [18]
20/1186 وَعَنْ جَابِرٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، يَقُوْلُ: «إِنَّ فِي اللَّيْلِ لَسَاعَةً، لاَ يُوَافِقُهَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ يَسْألُ اللهَ تَعَالَى خَيْراً مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، إِلاَّ أعْطَاهُ إيَّاهُ، وَذَلِكَ كُلَّ لَيْلَةٍ». رواه مسلم
২০/১১৮৬। জাবের রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলিলেন, আমি নবী সাঃআঃ-কে এ কথা বলিতে শুনিয়াছি যে, “রাত্রিকালে এমন একটি সময় আছে, কোন মুসলিম ব্যক্তি তা পেয়েই দুনিয়া ও আখিরাত বিষয়ক যে কোন উত্তম জিনিস প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই তাকে তা দিয়ে থাকেন। ঐ সময়টি প্রত্যেক রাতে থাকে।” [মুসলিম] [19]
21/1187 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنَ اللَّيْلِ فَلْيَفْتَتِحِ الصَّلاَةَ بِرَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ». رواه مسلم
২১/১১৮৭। আবূ হুরায়রা রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, নবী সাঃআঃ বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ রাতে নামায পড়ার জন্য উঠবে, সে যেন হাল্কা-ভাবে দু’ রাকআত পড়ার মাধ্যমে নামায শুরু করে।” [মুসলিম][20]
22/1188 وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ افْتَتَحَ صَلاَتَهُ بِرَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ . رواه مسلم
২২/১১৮৮। হাদিসের রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রসূল সাঃআঃ যখন রাতে [তাহাজ্জুদের] জন্য উঠতেন, তখন দু’ রাকআত সংক্ষিপ্ত নামায পড়ার মাধ্যমে আরম্ভ করিতেন।’ [মুসলিম][21]
23/1189 وَعَنْها رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا فَاتَتْهُ الصَّلاةُ مِن اللَّيْلِ مِنْ وَجَعٍ أَوْ غَيْرِهِ، صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَيْ عَشرَةَ ركْعَةً . رواه مسلم
২৩/১১৮৯। উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘দৈহিক ব্যথা-বেদনা বা অন্য কোন অসুবিধার কারণে যদি রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-এর রাতের নামায ছুটে যেত, তাহলে তিনি দিনের বেলায় ১২ রাকআত নামায পড়তেন।” [মুসলিম] [22]
24/1190 وَعَنْ عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «مَنْ نَامَ عَنْ حِزْبِهِ، أَوْ عَنْ شَيْءٍ مِنْهُ، فَقَرَأَهُ فِيمَا بَيْنَ صَلاَةِ الفَجْرِ وَصَلاَةِ الظُّهْرِ، كُتِبَ لَهُ كَأنَّمَا قَرَأَهُ مِنَ اللَّيْلِ». رواه مسلم
২৪/১১৯০। উমার ইবনি খাত্তাব রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, “যে ব্যক্তি স্বীয় অযীফা [দৈনিক যথা নিয়মে তাহাজ্জুদের নামায] অথবা তার কিছু অংশ না পড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, অতঃপর যদি সে ফজর ও যোহরের মধ্যবর্তী সময়ে তা পড়ে নেয়, তাহলে তার জন্য তা এমনভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়, যেন সে তা রাতেই পড়েছে।” [মুসলিম][23]
25/1191 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «رَحِمَ اللهُ رَجُلاً قَامَ مِنَ اللَّيْلِ، فَصَلَّى وَأَيْقَظَ امْرَأَتَهُ، فَإِنْ أَبَتْ نَضَحَ فِي وَجْهِهَا المَاءَ، رَحِمَ اللهُ امْرَأَةً قَامَتْ مِنَ اللَّيْلِ، فَصَلَّتْ وَأَيْقَظَتْ زَوْجَهَا، فَإِنْ أَبَى نَضَحَتْ فِي وَجْهِهِ المَاءَ». رواه أَبُو داود بإسناد صحيح
২৫/১১৯১। আবূ হুরায়রা রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, “আল্লাহ সেই ব্যক্তির প্রতি দয়া করুন, যে রাতে উঠে নামায পড়ে এবং নিজ স্ত্রীকেও জাগায়। অতঃপর যদি সে [জাগতে] অস্বীকার করে, তাহলে তার মুখে পানির ছিটা মারে। অনুরূপ আল্লাহ সেই মহিলার প্রতি দয়া করুন, যে রাতে উঠে নামায পড়ে এবং নিজ স্বামীকেও জাগায়। অতঃপর যদি সে [জাগতে] অস্বীকার করে, তাহলে সে তার মুখে পানির ছিটা মারে।” [আবু দাউদ, বিশুদ্ধ সূত্রে][24]
26/1192 وَعَنْه وَعَنْ أَبي سَعِيدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالاَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «إِذَا أَيْقَظَ الرَّجُلُ أهْلَهُ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّيَا – أَوْ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ جَمِيعاً، كُتِبَا فِي الذَّاكِرِينَ وَالذَّاكِرَاتِ». رواه أَبُو داود بإسناد صحيح
২৬/১১৯২। উক্ত রাবী রাঃআঃ ও আবূ সাঈদ রাঃআঃ উভয় হইতে বর্ণিত, তাঁরা বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, “যখন কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীকে রাতে জাগিয়ে উভয়ে নামায পড়ে অথবা তারা উভয়ে দু’ রাকআত করে নামায আদায় করে, তবে তাহাদেরকে [অতীব] যিকিরকারী ও যিকিরকারিনীদের দলে লিপিবদ্ধ করা হয়।” [আবূ দাউদ বিশুদ্ধ সূত্রে] [25]
27/1193 وَعَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «إِذَا نَعَسَ أحَدُكُمْ في الصَّلاَةِ، فَلْيَرْقُدْ حَتَّى يَذْهَبَ عَنْهُ النَّوْمُ، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا صَلَّى وَهُوَ نَاعِسٌ، لَعَلَّهُ يَذْهَبُ يَسْتَغْفِرُ فَيَسُبَّ نَفْسَهُ». متفقٌ عَلَيْهِ
২৭/১১৯৩। হাদিসের রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিত, নবী সাঃআঃ বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ নামাযের মধ্যে তন্দ্রাভিভূত হইবে, তখন সে যেন নিদ্রা যায়, যতক্ষণ না তার নিদ্রার চাপ দূর হয়ে যায়। কারণ, যখন কেউ তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে নামায পড়বে, তখন সে খুব সম্ভবত: ক্ষমা প্রার্থনা করিতে গিয়ে নিজেকে গালি দিতে লাগবে।” [বুখারী ও মুসলিম] [26]
28/1194 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنَ اللَّيْلِ، فَاسْتَعْجَمَ القُرْآنَ عَلَى لِسَانِهِ، فَلَمْ يَدْرِ مَا يَقُوْلُ، فَلْيَضْطَجِع». رواه مسلم ২৮/১১৯৪। আবূ হুরায়রা রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ রাতে উঠবে ও [ঘুমের চাপের কারণে] জিহ্বায় কুরআন পড়তে এমন অসুবিধা বোধ করিবে যে, সে কি বলছে তা বুঝতে পারবে না, তখন সে যেন শুয়ে পড়ে।” [মুসলিম] [27]
[1] সহীহুল বুখারী ৪৮৩৭, ১১১৮, ১১১৯, ১১৪৮, ১১৬১, ১১৬২, ১১৬৮, মুসলিম ৭৩১, ২৮২০, তিরমিযী ৪১৮, নাসায়ী ১৬৪৮-১৬৫০, আবূ দাউদ ১২৬২, ১২৬৩, ইবনু মাজাহ ১২২৬, ১২২৭
[2] সহীহুল বুখারী ১১২৭, ৪৭২৪, ৭৩৪৭, ৭৪৬৫, মুসলিম ৭৭৫, নাসায়ী ১৬১১, ১৬১২, আহমাদ ৫৭২, ৭০৭, ৯০২
[3] সহীহুল বুখারী ৪৪০, ১১২২, ১১৫৮, ৩৭৩৯, ৩৭৪১, ৭০১৬, ৭০২৯, ৭০৩১, মুসলিম ২৪৭৮, ২৪৭৯, তিরমিযী ৩২১, নাসায়ী ৭২২, ইবনু মাজাহ ৭৫১, ৩৯১৯ আহমাদ ৪৪৮০, ৪৫৯৩, ৪৫৮৫, ৬২৯৪, দারেমী ১৪০০, ২১৫২
[4] সহীহুল বুখারী ১১৩১, ১১৫২, ১১৫৩, ১৯৭৪-১৯৮০, ২৪১৮-২৪২৩, ৫০৫২-৫০৫৪, ৫১৯৯, ৬২৭৭, মুসলিম ১১৫৯, তিরমিযী ৭৭০, নাসায়ী ১৬৩০, ২৩৪৪, ২৩৮৮-২৩৯৪, ২৩৯৬, ২৩৯৭, ২৩৯৯-২৪০৩, আবূ দাউদ ১৩৮৮-১৩৯১, ২৪২৭, ২৪৪৮, ইবনু মাজাহ ১৩৪৬, ১৭১২, আহমাদ ৬৪৪১, ৬৪৫৫, ৬৪৮০, ৬৪৯১, ৬৭২১, ৬৭২৫, ৬৭৫০, দারেমী ১৭৫২, ৩৪৮৬
[5] সহীহুল বুখারী ১১৪৪, ৩২৭০, মুসলিম ৭৭৪, নাসায়ী ১৬০৮, ১৬০৯, ইবনু মাজাহ ১৩৩০, আহমাদ ৩৫৪৭, ৪০৪৯
[6] সহীহুল বুখারী ১১৪২, ৩২৬৯, মুসলিম ৭৭৬, নাসায়ী ১৬০৭, আবূ দাউদ ১৩০৬, ইবনু মাজাহ ১৩২৯, আহমাদ ৭২৬৬, ৭৩৯২, ১০০৭৫, মুওয়াত্তা মালিক ৪২৬
[7] তিরমিযী ২৪৮৫, ইবনু মাজাহ ১৩৩৪, ৩২৫১, দারেমী ১৪৬০
[8] মুসলিম ১১৬৩, তিরমিযী ৪৩৮, ৭৪০, আবূ দাউদ ২৪২৯, ইবনু মাজাহ ১৭৪২, আহমাদ ৭৯৬৬, ৮১৮৫, ৮৩০২, ৮৩২৯, ১০৫৩২, দারেমী ১৭৫৭, ১৭৫৮
[9] সহীহুল বুখারী ৪৭২, ৪৭৩, ৯৯১, ৯৯৩, ৯৯৫, ৯৯৮, ১১৩৭, মুসলিম ৭৪৯, তিরমিযী ৪৩৭, ৬৪১, ১৬৬৬, ১৬৬৭, ১৬৬৮, ১৬৬৯, ১৬৭০, ১৬৭১, ১৬৭২, ১৬৭৩, ১৬৭৪, ১৬৮২, ১৬৯২, ১৬৯৪, আবূ দাউদ ১৪২১, ১৪৩৮, ইবনু মাজাহ ১১৭৪, ১১৭৫, ১১৭৬, ১৩২২, আহমাদ ৪৪৭৮, ৪৫৪৫, ৪৬৯৬, ৪৭৭৬, ৪৮৩২, ৪৮৪৫, ৪৯৫১, ৫০১২, ৫০৬৬, ৫১০১, ৫১৯৫, ৫৩৭৬, ৪৫৩১, ৪৫৪৭, ৪৫৬৬, ৫৫১২, মুওয়াত্তা মালিক ২৬১, ২৬৯, ২৭৫, ২৭৬, দারেমী ১৪৫৮
[10] ঐ
[11] সহীহুল বুখারী ১১৪১, ১৯৭২, ১৯৭৩, মুসলিম ১১৫৮, তিরমিযী ৭৬৯, ২০১৫, নাসায়ী ১৬২৭, আগ ১১৬০১, ১১৭১৯, ১২২১৩, ১২৪২১, ১২৪৭১, ১২৬৫৪, ১২৭৬২, ১২৯৬০, ১২৯৯০, ১৩০৬১, ১৩২৩৮, ১৩৩০৪, ১৩৩৭০, ১৩৮৬, ১৩৪০৬
[12] সহীহুল বুখারী ৬২৬, ৯৯৪, ১১২৩, ১১৩৯, ১১৪০, ১১৬০, ১১৬৫, ৬৩১০, মুসলিম ৭২৪, ৭৩৬, ৭৩৭, ৭৩৮, তিরমিযী ৪৩৯, ৪৪০, নাসায়ী ৬৮৫, ১৬৯৬, ১৭৪৯, ১৭৬২, আবূ দাউদ ১২৫৪, ১২৫৫, ১২৬২, ১৩৩৪, ১৩৩৮, ১৩৩৯, ১৩৪০, ইবনু মাজাহ ১১৯৮, ১৩৫৮, আহমাদ ২৩৫৩৭, ২৩৫৫৩, ২৩৫৯৬, ২৩৬৬৮, ২৩৬৯৭, ২৩৭০৫, ২৩৯২৫, ২৩৯৪০, ২৪০১৬, ২৪০২৪, ২৪০৫৬, ২৪২১১, ২৪৩৩৯, ২৪৩৭৯, ২৪৪৮৬, ২৪৫৮১, ২৪৭৪৫, ২৪৮১৬, ২৪৯০৭, ২৪৯৫৮, ২৫৫২০, মুওয়াত্তা মালিক ২৪৩, ২৬৪, দারেমী ১৪৪৭, ১৪৭৩, ১৪৭৫, ১৪৮৫
[13] সহীহুল বুখারী ১১৪৭, ২০১৩, ৩৫৬৯, মুসলিম ৭৩৮, তিরমিযী ৪৩৯, নাসায়ী ১৬৯৭, আবূ দাউদ ১৩৪১, আহমাদ ২৩৫৫৩, ২৩৫৯৬, ২৩৭৪৮, ২৩৯২৫, ২৩৯৪০, ২৪০১৬, ২৪০৫৬, ২৪১৯৪, ২৪২১১, ২৫২৭৭, ২৫৭৫৬, ২৫৮২৬, মুওয়াত্তা মালিক ২৬৫
[14] সহীহুল বুখারী ১১৪৬, মুসলিম ৭৩৯, নাসায়ী ১৬৪০, ১৬৮০, ইবনু মাজাহ ১৩৬৫, আহমাদ ২৩৮১৯, ২৪১৮৫, ২৪৫৪, ২৫৬২৪
[15] সহীহুল বুখারী ১১৩৫, মুসলিম ৭৭৩, ইবনু মাজাহ ১৪১৮, আহমাদ ৩৬৩৮, ৩৭৫৭, ৩৯২৭, ৪১৮৭
[16] মুসলিম ৭৭২, তিরমিযী ২৬২, নাসায়ী ১০০৮, ১০০৯, ১০৪৬, ১০৬৯, ১১৩৩, ১১৪৫, ১৬৬৪, ১৬৬৫, আবূ দাউদ ৮৭১, ৮৭৪, ইবনু মাজাহ ৮৮৮, ৮৯৭, ১৩৫১, আহমাদ ২২৯৭৯, ২২৭৫০, ২২৭৮৯, ২২৮০০, ২২৮৩৩, ২২৮৫৪, ২২৮৫৮, ২২৫৬৬, ২২৮৯০, ২২৯০২, দারেমী ১৩০৬
[17] মুসলিম ৭৫৬, তিরমিযী ৩৮৭, ইবনু মাজাহ ১৪২১, আহমাদ ১৩৮২১, ১৪৭৮৮
[18] সহীহুল বুখারী ১১৩১, ১১৫২, ১১৫৩, ১৯৭৪ থেকে ১৯৮০, ৩৪১৮, ৩৪১৯, ৩৪২০, ৫০৫২, ৫০৫৩, ৫০৫৪, ৫১৯৯, ৬১৩৪, ৬২৭৭, মুসলিম ১১৫০৯, তিরমিযী ৭৭০, নাসায়ী ১৬৩০, ২৩৪৪, ২৩৮৮ থেকে ২৩৯৪, ২৩৯৬, ২৩৯৭, ২৩৯৯ থেকে ২৪০৩, আবূ দাউদ ১৩৮৮ থেকে ১৩৯১, ২৪২৭, ২৪৪৮, ইবনু মাজাহ ১৩৪৬, ১৭১২, আহমাদ ৬৪৪১, ৬৪৫৫, ৬৪৮০, ৬৪৯১, ৬৭২১, ৬৭২৫, ৬৭৫০, ৬৭৯৩, ৬৮০২, ৬০৮২৩, ৬৮২৪, ৬৮৩৪, ৬৮৩৭, ৬৮৭৫, ৬৮৮২, ৬৯৮৪, ৭০৫৮, দারেমী ১৭৫২, ৩৪৮৬
[19] মুসলিম ৭৫৭, আহমাদ ১৩৯৪৫, ১৪৩৩৬, ২৭৫৬৩
[20] মুসলিম ৭৬৮, আবূ দাউদ ১৩২৩, আহমাদ ৭১৩৬, ৭৬৯০, ৮৯৩১
[21] মুসলিম ৭৬৭, আহমাদ ২৩৪৯৭, ২৫১৪৯
[22] মুসলিম ৭৪৬, তিরমিযী ৪৪৫, নাসায়ী ১৭২২, ১৭২৩, ১৭২৪, ১৭২৫, ১৭৮৯, আবূ দাউদ ১৩৪২, ১৩৪৬, ১৩৫০, ২৪৩৪, ইবনু মাজাহ ১১৯১, আহমাদ ২৩৭৪৮, ২৫৬৮৭, দারেমী ১৪৭৫
[23] মুসলিম ৭৪৭, তিরমিযী ৪০৮, নাসায়ী ১৭৯০ থেকে ১৭৯২, আবূ দাউদ ১৩১৩, ১৩৪৩, ২২০, ৩৭৯, মুওয়াত্তা মালিক ৪৭০, দারেমী ১৪৭৭
[24] আবূ দাউদ ১৩০৮, নাসায়ী ১৬১০, ইবনু মাজাহ ১৩৩৬, আহমাদ ৭৩৬২
[25] আবূ দাউদ ১৩০৯, ইবনু মাজাহ ১৩৩৫
[26] সহীহুল বুখারী ২১২, মুসলিম ৭৮৬, তিরমিযী ৩৫৫, নাসায়ী ১৬২, আবূ দাউদ ১৩১০, ইবনু মাজাহ ১৩৭০, আহমাদ ২৩৭৬৬, ২৫১৩৩, ২৫১৭১, ২৫৬৯৯, ২৫৭৭৭, মুওয়াত্তা মালিক ২৫৯, দারেমী ১৩৮৩
[27] মুসলিম ৭৮৭, আবূ দাউদ ১৩১১, ইবনু মাজাহ ১৩৭২, আহমাদ ২৭৪৫০
Leave a Reply