তাসাহুদ পড়া কি ওয়াজিব । তাশাহহুদের পর যে দুআটি বেছে নেয়া হয়
তাসাহুদ পড়া কি ওয়াজিব । তাশাহহুদের পর যে দুআটি বেছে নেয়া হয় >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ১০, আযান, অধ্যায়ঃ (১৪৬-১৫১)=৬টি
১০/১৪৫. অধ্যায়ঃ তাশাহুদে বসার নিয়ম ।
১০/১৪৬. অধ্যায়ঃ যারা প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ ওয়াজিব নয় বলে মনে করেন ।
১০/১৪৭. অধ্যায়ঃ প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ পড়া ।
১০/১৪৮. অধ্যায়ঃ শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়া ।
১০/১৪৯. অধ্যায়ঃ সালামের আগে দুআ ।
১০/১৫০. অধ্যায়ঃ তাশাহহুদের পর যে দুআটি বেছে নেয়া হয়, অথচ তা আবশ্যক নয় ।
১০/১৫১. অধ্যায়ঃ সালাত সমাপ্ত হওয়া অবধি যিনি কপাল ও নাকের ধূলাবালি মোছেননি ।
১০/১৪৫. অধ্যায়ঃ তাশাহুদে বসার নিয়ম ।
উম্মু দারদা (রাদি.) তাহাঁর সালাতে পুরুষের মত বসতেন, তিনি ছিলেন দ্বীন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞানী ।
৮২৭. আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.)-কে সালাতে আসন পিঁড়ি করে বসতে দেখেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) বলেন, আমি সে সময় অল্প বয়স্ক ছিলাম। আমিও এমন করলাম। আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) আমাকে নিষেধ করিলেন এবং তিনি বলিলেন, সালাতে (বসার) সুন্নাত তরীকা হল তুমি ডান পা খাড়া রাখবে এবং বাঁ পা বিছিয়ে রাখবে। তখন আমি বললাম, আপনি এমন করেন? তিনি বলিলেন, আমার দুপা আমার ভার বহন করিতে পারে না।
৮২৮. মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু আত্বা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি নাবী (সাঃআঃ)-এর একদল সাহাবীর সঙ্গে বসা ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা নাবী (সাঃআঃ)-এর সালাত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তখন আবু হুমাইদ সাঈদী (রাদি.) বলেন, আমিই তোমাদের মধ্যে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর সালাত সম্পর্কে অধিক স্মরণ রেখেছি। আমি তাঁকে দেখেছি (সালাত শুরু করার সময়) তিনি তাকবীর বলে দুহাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন। আর যখন রুকূ করিতেন তখন দুহাত দিয়ে হাঁটু শক্ত করে ধরতেন এবং পিঠ সমান করে রাখতেন। অতঃপর রুকূ হইতে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতেন যাতে মেরুদন্ডের হাড়গুলো স্ব-স্ব স্থানে ফিরে আসতো। অতঃপর যখন সিজদা করিতেন তখন দুহাত সম্পূর্ণভাবে মাটির উপর বিছিয়ে দিতেন না, আবার গুটিয়েও রাখতেন না। এবং তাহাঁর উভয় পায়ের আঙ্গুলির মাথা ক্বিবলামুখী করে দিতেন। যখন দুরাকআতের পর বসতেন তখন বাম পা-এর উপর বসতেন আর ডান পা খাড়া করে দিতেন এবং যখন শেষ রাকআতে বসতেন তখন বাঁ পা এগিয়ে দিয়ে ডান পা খাড়া করে নিতম্বের উপর বসতেন।
লায়স (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) …… ইবনু আত্বা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে হাদীসটি শুনেছেন। আবু সালিহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) লায়স (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে كُلُّ فَقاَرٍ مَكاَنَهُ বলেছেন। আর ইবন মুবারক (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)…….মুহাম্মদ ইবনে আমর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে শুধু كُلُّ فَقاَرٍ বর্ণনা করিয়াছেন।
১০/১৪৬. অধ্যায়ঃ যারা প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ওয়াজিব নয় বলে মনে করেন ।
কেননা, নাবী (সাঃআঃ) দুরাকআত শেষে (তাশাহুদ না পড়ে) দাঁড়ালেন এবং আর (বসার জন্য) ফেরেননি ।
৮২৯. বানূ আবদুল মুত্তালিবের আযাদকৃত দাস এবং রাবী কোন সময়ে বলেছেন রাবীয়া ইবনু হারিসের আযাদকৃত দাস, আবদুর রহমান ইবনু হুরমুয (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
বনূ আবদ মানাফের বন্ধু গোত্র আয্দ শানআর লোক আবদুল্লাহ ইবনু বুহাইনাহ (রাদি.) যিনি নাবী (সাঃআঃ)-এর সাহাবীগণের অন্যতম। তিনি বলেছেন, নাবী (সাঃআঃ) তাঁদের নিয়ে যুহরের সালাত আদায় করিলেন। তিনি প্রথমে দুরাকআত পড়ার পর না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন। মুক্তাদীগণ তাহাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে গেলেন। এভাবে সালাতের শেষভাবে মুক্তাদীগণ সালামের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু নাবী (সাঃআঃ) বসাবস্থায় তাকবীর বলিলেন এবং সালাম ফিরানোর পূর্বে দুবার সিজদা করিলেন, এরপর সালাম ফিরালেন।
১০/১৪৭. অধ্যায়ঃ প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ পড়া ।
৮৩০. আবদুল্লাহ ইবনু মালিক (রাদি.) যিনি ইবনু বুহাইনা হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) আমাদের নিয়ে যুহরের সালাত আদায় করিলেন। দু রাকআত পড়ার পর দাঁড়িয়ে গেলেন অথচ তাহাঁর বসা জরুরী ছিল। অতঃপর সালাতের শেষভাগে বসে তিনি দুটো সিজদা করিলেন।
১০/১৪৮. অধ্যায়ঃ শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়া ।
৮৩১. শাকীক ইবনু সালামা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ (ইবনু মাসউদ) (রাদি.) বলেন, আমরা যখন নাবী (সাঃআঃ)-এর পিছনে সালাত আদায় করতাম, তখন আমরা বলতাম,
السَّلاَمُ عَلَى جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ، السَّلاَمُ عَلَى فُلاَنٍ وَفُلاَنٍ
“আস্সালামু আলা জিবরীল ওয়া মিকাইল এবং আস্সালামু আলা ফুলান ওয়া ফুলান।” তখন আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ আল্লাহ নিজেই তো সালাম, তাই তখন তোমরা কেউ সালাত আদায় করিবে, তখন সে যেন বলে-
التَّحِيّاتُ للَّهِ وَالصَّلَواتُ وَالطَيِّباتُ السَّلامُ عَلَيكَ إِيُّهاَ النَّبِيُّ وَرَحمَةُ اللهِ وَبَرَكاتُهُ السَّلامُ علَيناَ وَعَلَى عِبادِ اللهِ الصالِحينَ
আত্তাহিয়্যাতু লিল্লা-হি ওয়াস সালাওয়া-তু ওয়াত তইয়িবা-তু, আসসালা-মু আলায়কা আইয়ুহান্ নাবিয়ু, ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকাতুহ। আসসালা-মু আলায়না- ওয়া আলা ইবাদিল্লা-হিস্ সলিহীন, “সকল মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নাবী! আপনার উপর আল্লাহর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের ও আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক।”
وَالصَّلَواتُ | للَّهِ | التَّحِيّاتُ |
দৈহিক | আল্লাহর জন্য | সকল মৌখিক |
عَلَيكَ | السَّلامُ | وَالطَيِّباتُ |
আপনার উপর | সালাম | আর্থিক ইবাদত |
وَرَحمَةُ | النَّبِيُّ | إِيُّهاَ |
রহমত | হে নাবী | |
السَّلامُ | وَبَرَكاتُهُ | اللهِ |
আল্লাহর সালাম | বরকত | আল্লাহর |
عِبادِ | وَعَلَى | علَيناَ |
আমাদের | ||
الصالِحينَ | اللهِ | |
নেক বান্দাদের | আল্লাহর |
কেননা, যখন তোমরা এ বলবে তখন আসমান ও যমীনের আল্লাহর সকল নেক বান্দার নিকট পৌছে যাবে। এর সঙ্গে
أَشهَدُ أَن لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ واَشهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً عَبدُهُ وَرَسولُهُ
আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসূলুহ” (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন মাবূদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (সাঃআঃ) তাহাঁর বান্দা ও রাসুল)-ও পড়বে।
لاَ | أَن | أَشهَدُ |
নেই | যে | আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি |
واَشهَدُ | اللهُ | إِلَهَ |
আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি | আল্লাহ ব্যতীত | মাবূদ |
عَبدُهُ | مُحَمَّداً | أَنَّ |
তাহাঁর বান্দা | নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ | যে |
وَرَسولُهُ | ||
ও রাসুল |
১০/১৪৯. অধ্যায়ঃ সালামের আগে দুআ ।
৮৩২. উরওয়াহ ইবনু যুবাইর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ)-এর স্ত্রী আয়েশা (রাদি.) তাঁকে বলেছেন যে, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) সালাতে এ বলে দুআ করিতেন:
اللَّهُمَّ إِنّي أَعوُذُبِكَ مِن عَذابِ القَبرِ واعوُذُبِكَ مِن فِتنَةِ المَسيِحِ الدَجّاَلِ واعوُذُبِكَ مِن فِتنَةِ المَحياَ وَفِتنَةِ المَماتِ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিন আজাবিল কবর, ওয়া আউযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাসিহিজ দাজ্জাল, ওয়া আউযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়া ফিতনাতিল মামাত, “কবরের আযাব হইতে, মাসীহে দাজ্জালের ফিতনা হইতে এবং জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা হইতে ইয়া আল্লাহ! আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! গুনাহ ও ঋণগ্রস্থতা হইতে আপনার নিকট আশ্রয় চাই।”
তখন এক ব্যক্তি তাঁকে বলিল, আপনি কতই না ঋণগ্রস্থতা হইতে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। তিনি (আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)) বললেনঃ যখন কোন ব্যক্তি ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ে তখন বলার সময় মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে।
মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ (র.) বলেন, খালফ ইবন আমির (র.)-কে বলিতে আমি শুনিয়াছি যে, مَسيح ও مَسيح এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। উভয় শব্দই সমার্থবোধক তবে একজন হলেন ঈসা (আ.) এবং অপর ব্যক্তি হলো দাজ্জাল।
৮৩৩. উরওয়াহ ইবনু যুবায়র (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
আয়েশা (রাদি.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তাহাঁর সালাতে দাজ্জালের ফিতনা হইতে আশ্রয় প্রার্থনা করিতেন।
৮৩৪. আবু বকর সিদ্দীক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
একদা তিনি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর নিকট আরয করিলেন, আমাকে সালাতে পাঠ করার জন্য একটি দুআ শিখেয়ে দেন। তিনি বলিলেন, এ দুআটি বলবে
اللَّهُمَّ إِنّيِ ظَلَمتُ نَفسيِ ظُلماً كَثِراً وَّلاَ يَغفِرُ الذُّنوبَ إِلاَّ أَنتَ فاَغفِرليِ مَغفِرَةً مِن عِندِكَ وَارحَمنيِ إِنَّكَ أَنتَ الغَفورُ الرَحيمُ
আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসি জুলমান কাসিরা । ওয়ালা ইয়াগ ফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা। ফাগফির লি, মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা; ওয়ার হামনি, ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম। “হে আল্লাহ! আমি নিজের উপর অধিক যুলম করেছি। আপনি ছাড়া সে অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। আপনার পক্ষ হইতে আমাকে তা ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর রহমত বর্ষন করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।”
১০/১৫০. অধ্যায়ঃ তাশাহুদের পর যে দুআটি বেছে নেয়া হয়, অথচ তা আবশ্যক নয় ।
৮৩৫. আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের অবস্থা এ ছিল যে, যখন আমরা নাবী (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে সালাতে থাকতাম, তখন আমরা বলতাম, বান্দার পক্ষ হইতে আল্লাহর প্রতি সালাম। সালাম অমুকের প্রতি, সালাম অমুকের প্রতি। এতে নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ আল্লাহর প্রতি সালাম, তোমরা এরূপ বল না। কারণ আল্লাহ নিজেই সালাম। বরং তোমরা বল-
التَّحِيّاتُ للَّهِ وَالصَّلَواتُ وَالطَيِّباتُ السَّلامُ عَلَيكَ إِيُّهاَ النَّبِيُّ وَرَحمَةُ اللهِ وَبَرَكاتُهُ السَّلامُ علَيناَ وَعَلَى عِبادِ اللهِ الصالِحينَ
আত্তাহিয়্যাতু লিল্লা-হি ওয়াস সালাওয়া-তু ওয়াত তইয়িবা-তু, আসসালা-মু আলায়কা আইয়ুহান্ নাবিয়ু, ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকাতুহ। আসসালা-মু আলায়না- ওয়া আলা ইবাদিল্লা-হিস্ সলিহীন, “সমস্ত মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নাবী! আপনার উপর প্রতি সালাম এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর নেক বান্দাগণের প্রতি।” তোমরা যখন তা বলবে তখন আসমান বা আসমান ও যমীনের মধ্যে আল্লাহর প্রত্যেক বান্দার নিকট তা পৌছে যাবে। (এরপর বলবে)
أَشهَدُ أَن لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ واَشهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً عَبدُهُ وَرَسولُهُ
আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসূলুহ” “আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন মাবূদ নাই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মদ (সাঃআঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।” তারপর যে দুআ তার পছন্দ হয় তা সে বেছে নিবে এবং পড়বে।
১০/১৫১. অধ্যায়ঃ সালাত সমাপ্ত হওয়া অবধি যিনি কপাল ও নাকের ধূলাবালি মোছেননি ।
আবু আবদুল্লাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমি হুমাইদী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-কে দেখেছি যে, সালাত শেষ হবার পূর্বে কপাল না মুছার ব্যাপারে এ হাদীস দিয়ে দলিল পেশ করিতেন ।
৮৩৬. আবু সালামা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবু সাঈদ খুদরী (রাদি.)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-কে পানি ও কাদার মধ্যে সিজদা করিতে দেখেছি। এমন কি তাহাঁর কপালে কাদামাটির চিহ্ন লেগে থাকতে দেখেছি।
Leave a Reply