তাশাহুদের দোয়া
তাশাহুদের দোয়া >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ৪, অধ্যায়ঃ ১৭
- অধ্যায়ঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ
- অধ্যায়ঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
- অধ্যায়ঃ ১৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ
অধ্যায়ঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ
৯৩৯. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সলাতের মধ্যে [সালাম ফিরাবার আগে] দুআ করিতেন। বলিতেন,
اللّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَفِتْنَةِ الْمَمَاتِ اللّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ
“আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন আযাবিল ক্ববরি, ওয়া আউযু্বিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জালি। ওয়া আউযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া- ওয়া ফিতনাতিল মামাতি। আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল মাসামি ওয়াল মাগরামি”। [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট পানাহ চাচ্ছি ক্ববরের আযাব থেকে। আমি তোমার নিকট পানাহ চাচ্ছি দাজ্জালের পরীক্ষা হইতে। আমি তোমার নিকট পানাহ চাচ্ছি জীবন ও মৃত্যুর পরীক্ষা হইতে। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি গুনাহ ও দেনার বোঝা হইতে]। এক ব্যক্তি বলিল, নবী! আপনি দেনার বোঝা হইতে বড় বেশী পানাহ চেয়ে থাকেন। নবী [সাঃআঃ] বললেনঃ কেউ যখন দেনাদার হয় তখন কথা বলে, মিথ্যা বলে এবং অঙ্গীকার করে তা ভঙ্গ করে। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৮৩৩, মুসলিম ৫৮৯, আবু দাউদ ৮৮০, নাসায়ী ১৩০৯, আহমাদ ২৪৫৭৮। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৯৪০.আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ সলাতের শেষে শেষ তাশাহহুদ পড়ে অবসর হয়ে যেন আল্লাহর কাছে চারটি জিনিস হইতে পানাহ চায়। [১] জাহান্নামের আযাব। [২] কবরের আযাব। [৩] জীবন ও মৃত্যুর ফিতনাহ। [৪] মাসীহুদ দাজ্জালের অনিষ্ট। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ৫৮৮, আবু দাউদ ৯৮৩, নাসায়ী ১৩১০, ইবনি মাজাহ ৯০৯, আহমাদ ৭২৩৭, দারিমি ১৩৮৩, সহীহ আল জামি ৬৯৯। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৯৪১. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] তাদেরকে এই দুআ শিক্ষা দিতেন যেমন তাদেরকে কুরআনের সূরাহ শিক্ষা দিতেন। তিনি বলিতেন, তোমরা বলো,
اللّهُمَّ اِنِّـىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ
“আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন আযাবি জাহান্নাম, ওয়া আউযুবিকা মিন আযাবিল ক্ববরি, ওয়া আউযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জাল ওয়া আউযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া- ওয়াল মামাতি”। [অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই জাহান্নামের শাস্তি হইতে। তোমার কাছে আশ্রয় চাই ক্ববরের শাস্তি হইতে। তোমার নিকট আশ্রয় চাই দাজ্জালের পরীক্ষা হইতে। তোমার কাছে আশ্রয় চাই জীবন ও মৃত্যুর পরীক্ষা হইতে] ।{১}
{১} সহীহ : মুসলিম ৫৯০, আবু দাউদ ১৫৪২, নাসায়ী ২০৬৩, তিরমিজি ৩৪৯৪, আহমাদ ২১৬৮, সহীহ আত তারগীব ৩৬৫১। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৯৪২. [১ম খলীফাহ] আবু বাকর সিদ্দীক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট নিবেদন জানালাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন একটি দুআ বলে দিন যা আমি সলাতে [তাশাহহুদের পর] পড়ব। উত্তরে নবী [সাঃআঃ] বললেনঃ এ দুআ পড়বে,
اَللّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيرًا وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا أَنْتَ فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّك أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
“আল্লাহুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাসীরা। ওয়ালা- ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা- আনতা। ফাগফিরলী মাগফিরাতম মিন ইনদিকা ওয়ারহামনী। ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর রাহীম”। [অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আমার নাফসের উপর অনেক যুলুম করেছি। তুমি ছাড়া গুনাহ মাফ করার কেউ নেই। অতএব আমাকে তোমার পক্ষ থেকে মাফ করে দাও। আমার উপর রহম কর। তুমিই ক্ষমাকারী ও রহমতকারী]। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৭৩৮৮, মুসলিম ২৭০৫, নাসায়ী ১৩০২, তিরমিজি ৩৫৩১, ইবনি মাজাহ ৩৮৩৫, আহমাদ ৮। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৯৪৩. আমির ইবনি সাদ তাবিঈ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি তার পিতা সাদ ইবনি আবু ওয়াক্কাস [রাদি.] হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি বলেন, আমি দেখেছি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর ডান দিকে ও বাম দিকে এভাবে সালাম ফিরাতেন যে, আমি তাহাঁর গালের শুভ্রতা দেখিতে পেয়েছি। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ৫৮২, নাসায়ী ১৩১৭, ইবনি মাজাহ ৯১৫, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৯৯২, ইরওয়া ৩৬৮। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৯৪৪. সামুরাহ্ ইবনি জুনদুর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সলাত পড়া শেষ করে আমাদের দিক মুখ ফিরিয়ে বসতেন। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৮৪৫, মুসলিম ২২৭৫, তিরমিজি ২২৯৪, আহমাদ ২০১৬৫। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৯৪৫.আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সলাত আদায় শেষে ডান দিক মুখ ফিরিয়ে বসতেন। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ৭০৮, নাসায়ী ১৩৫৯, আহমাদ ১২৮৪৬, দারিমি ১৩৯১। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৯৪৬.আবদুল্লাহ ইবনি মাস্ঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যেন শায়ত্বনের জন্য নিজেদের সলাতের কোন অংশ নির্দিষ্ট না করে একথা ভেবে যে, শুধু ডান দিকে ঘুরে বসাই তার জন্য নির্দিষ্ট। আমি নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে অনেকবার বাম দিকেও ঘুরে বসতে দেখেছি। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৮৫২, মুসলিম ৭০৭, দারিমি ১৩৯০, ইবনি মাজাহ ৯৩০, আহমাদ ৩৬৩১। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৯৪৭. বারা ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর পিছনে সলাত আদায় করার সময় তাহাঁর ডান পাশে থাকতে পছন্দ করতাম। তিনি যেন সালাম ফিরাবার পর সর্বপ্রথম আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসেন। বারা [রাদি.] বলেন, একদিন আমি শুনলাম নবী [সাঃআঃ] বলেছেন,
رَبِّ قِنِيْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ أَوْ تَجْمَعُ عِبَادَكَ
“রাব্বি কিনী আযা বাকা ইয়াও মা তাবআসু আও তাজমাউ ইবাদাকা”। অর্থাৎ “হে আমার রব! তুমি আমাকে তোমার আযাব হইতে বাঁচাও। যেদিন তুমি তোমার বান্দাদের হাশরের ময়দানে উঠাবে অথবা একত্র করিবে”।{১}
{১} সহীহ : মুসলিম ৭০৯, তিরমিজি ৩৩৯৯। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৯৪৮. উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সময় মহিলারা জামাআতে সলাত আদায় করলে সালাম ফিরাবার সাথে সাথে উঠে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যেতেন। আর রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ও তাহাঁর সাথে যে সকল পুরুষ সালাতে শারীক হইতেন, যতটুকু সময় আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য মঞ্জুর করিতেন বসে থাকতেন। তারপর নবী [সাঃআঃ] যখন দাঁড়াতেন সব পুরুষগণও দাঁড়িয়ে চলে যেতেন। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৮৬৬, নাসায়ী ১৩৩৩, আহমাদ ২৬৬৮৮, সহীহ ইবনি হিব্বান ২২৩৩। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
অধ্যায়ঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৯৪৯. মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার হাত ধরে বললেন, হে মুআয! আমি তোমাকে ভালবাসি। আমিও সবিনয়ে নিবেদন করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমিও আপনাকে ভালবাসি। নবী [সাঃআঃ] বললেন, তাহলে তুমি প্রত্যেক সলাতের পর এ দুআ পাঠ করিতে ভুল করো না:
رَبِّ أَعِنِّيْ عَلـى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ
“রাব্বি আইন্নি আলা-যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবা-দাতিকা”। [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার যিকর, শুকরিয়া ও উত্তমরূপে ইবাদাত করিতে সাহায্য কর।] {১} কিন্তু আবু দাউদ, “ক্বালা মুআজুন ওয়া আনা- উহিব্বুকা” বাক্য বর্ণনা করেননি।
1] সহীহ : আবু দাউদ ১৫২২, নাসায়ী ১৩০৩, সহীহ আত তারগীব ১৫৯৬, আহমাদ ৫/২৪৪, ২৪৫, ২৪৭। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৯৫০. আবদুল্লাহ ইবনি মাস্ঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সলাতে সালাম ফিরাবার সময়
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ
“আসসালামু আলায়কুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে ডান দিকে মুখ ফিরাতেন, এমনকি তাহাঁর চেহারার ডান পাশের উজ্জলতা নজরে পড়ত। আবার তিনি বাম দিকেও
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ
“আসসালামু আলায়কুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে মুখ ফিরাতেন, এমনকি তাহাঁর চেহারার বাম পাশের উজ্জলতা দৃষ্টিতে পড়ত। {১} ঈমাম তিরমিজি তাহাঁর বর্ণনায়, “এমন কি তাহাঁর চেহারার উজ্জলতা দেখা যেত” এ বাক্য নকল করেননি।
{১} সহীহ : আবু দাউদ ৬৬৯, তিরমিজি, নাসায়ী ১৩২৫। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৯৫১. বনু মাজাহ হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি মাজাহ এ হাদিস আম্মার ইবনি ইয়াসির [রাদি.] এর সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। {১}
{১} সহীহ : ইবনি মাজাহ ৯১৬। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৯৫২. আবদুল্লাহ ইবনি মাস্ঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সলাত আদায়ের পর অধিকাংশ সময় তাহাঁর বাম দিকে নিজের হুজরার দিকে মোড় ঘুরতেন। {১}
{১} আহমাদ ৪৩৮৩, শারহুস সুন্নাহ্। শায়খ আলবানী [রাহিমাহুল্লাহ] বলেনঃ আমি এর সানাদটি পাইনি। তবে ইবনি মাস্ঊদ [রাদি.] হইতে এরূপ হাদিস বোখারী মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
৯৫৩. আত্বা আল খুরাসানী [রাহিমাহুল্লাহ] মুগীরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
মুগীরাহ বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ঈমাম যে স্থানে ফারয সলাত আদায় করেছে সে স্থানে যেন অন্য সলাত আদায় না করে, যে পর্যন্ত না স্থান পরিবর্তন করে।
এই হাদিসটির তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
৯৫৪. ] আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] সলাতের প্রতি তাদের উদ্দীপনা যোগাতেন। আর সলাত শেষে রসূল [সাঃআঃ] এর বাইরে গমনের আগে তাদেরকে বের হইতে নিষেধ করিয়াছেন। {১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ৬২৪। যদিও আবু দাউদ-এর সানাদে মাজহূল বা অপরিচিত রাবী রয়েছে কিন্তু আহমাদ হাদিসটি অন্য সানাদে আরো পূর্ণাঙ্গভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। আর তার সানাদটি মুসলিমের শর্তানুপাতে সহীহ। আবু আওয়ানাত তার সহীহ কিতাবে হাদিসটি পূর্ণভাবে বর্ণনা করিয়াছেন।তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
অধ্যায়ঃ ১৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৯৫৫. শাদ্দাদ ইবনি আওস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সালাতে এ দুআ পাঠ করিতেন,
اللّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الثَّبَاتَ فِي الْأَمْرِ وَالْعَزِيْمَةَ عَلَـى الرُّشْدِ وَأَسْأَلُكَ شُكْرَ نِعْمَتِكَ وَحُسْنَ عِبَادَتِكَ وَأَسْأَلُكَ قَلْبًا سَلِيْمًا وَلِسَانًا صَادِقًا وَأَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا تَعْلَمُ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا تَعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا تَعْلَمُ
“আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাস সাবা-তা ফিল আমরি ওয়াল আযীমাতা আলার রুশদি, ওয়া আসআলুকা শুক্-রা নিমাতিকা ওয়া হুসনা ইবা-দাতিকা, ওয়া আসআলুকা ক্বালবান সালীমান ওয়ালিসা-নান স-দিক্বান ওয়া আসআলুকা মিন খায়রি মা- তালামু, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররি মা- তালামু, ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা- তালামু”- [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট কাজের স্থায়িত্ব ও সৎপথে দৃঢ় থাকার আবেদন জানাচ্ছি। তোমার নিআমাতের শুকর ও তোমার ইবাদাত উত্তমভাবে করার শক্তির জন্যও আমি তোমার কাছে দুআ করছি। সরল মন ও সত্য কথা বলার জন্যও আমি প্রার্থণা জানাচ্ছি। আমি তোমার কাছে প্রার্থণা করি তুমি যা ভাল বলে জান। আমি তোমার কাছে ঐ সব হইতে পানাহ চাই যা তুমি আমার জন্য মন্দ বলে জান। সর্বশেষ আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই আমার সে সকল অপরাধের জন্য যা তুমি জান। {১}
আহমাদও অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।{১} জইফ : নাসায়ী ১৩০৪, তামামুল মিন্নাহ ২২৫ পৃঃ। নাসায়ী হাদিসটি শাদ্দাদ থেকে আবুল আলা-এর সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন আর এ সানাদটি মুনক্বত্বি [বিচ্ছিন্ন] যা আহমাদ বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি [আহমাদ] হাদিসটি শাদ্দাদ থেকে হানযালী তার থেকে আবুল আলা এর সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। আলবানী [রাহিমাহুল্লাহ] বলেনঃ হানযালীকে আমি চিনি না। হাফিয ইবনি হাজার [রাহিমাহুল্লাহ] তাকে ঐ সকল রাবীদের অন্তর্ভুক্ত করিয়াছেন যাদের নাম জানা যায় না তবে বংশ পরিচিতি জানা যায়। তার ব্যাপারে তিনি কোন প্রশংসা বা ত্রুটি বর্ণনা করেননি। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
৯৫৬. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সলাতের মধ্যে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করার পর বলিতেন,
أَحْسَنُ الْكَلَامِ كَلَامُ اللهِ وَأَحْسَنُ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ ﷺ
“আহসানুল কালা-মি কালামুল্ল-হি ওয়া আহসানুল হাদয়ি হাদয়ু মুহাম্মাদিন [সাঃআঃ] ”- [অর্থাৎ- আল্লাহর কালামই সর্বোত্তম কালাম। আর রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হিদায়াতই সর্বোত্তম হিদায়াত।] {১}
{১} সানাদটি সহীহ : নাসায়ী ১৩১১। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৯৫৭. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সলাতের ভিতর এক সালাম ফিরাতেন সামনের দিকে। এরপর ডান দিকে একটু মোড় নিতেন। {১}
{১} সহীহ : তিরমিজি ২৯৬। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৯৫৮. সামুরাহ্ ইবনি জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে ইমামের সালামের উত্তর দিতে, একে অন্যকে ভালবাসতে ও পরস্পর সালাম বিনিময় করিতে হুকুম দিয়েছেন। {১}
{১} জইফ : আবু দাউদ ১০০১, ইরওয়া ৩৬৯। এর দুটি কারণ রয়েছে, প্রথমত এর সানাদে সাঈদ ইবনি বাশীর নামে একজন দুর্বল রাবী রয়েছে, যেমনটি তাক্বরীবে বর্ণিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত এটি সামুরাহ্ থেকে হাসান বসরীর বর্ণনা। আর তিনি মুদাল্লিস রাবী সামুরাহ্ থেকে হাদিসটি শ্রবণ করার বিষয়টি স্পষ্ট করে বর্ণনা করেননি। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
Leave a Reply