তালাক এর হাদিস
তালাক এর হাদিস >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৬৮, তালাক, অধ্যায়ঃ (১-৫৩)=৫৩টি
৬৮/১. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “হে নাবী! তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে চাও তখন তাদেরকে তালাক দাও তাদের ইদ্দাতের প্রতি লক্ষ্য রেখে, আর ইদ্দাতের হিসাব সঠিকভাবে গণনা করিবে।” (সুরা আত-ত্বলাক ৬৫/১)
৬৮/২. অধ্যায়ঃ হায়েয অবস্থায় ত্বলাক্ব দিলে তা ত্বলাক্ব বলে গন্য হইবে।
৬৮/৩. অধ্যায়ঃ ত্বলাক্ব দেয়ার সময় স্বামী কি তার স্ত্রীর সম্মুখে ত্বলাক্ব দেবে?
৬৮/৪. অধ্যায়ঃ যারা তিন ত্বলাক্বকে জায়েয মনে করেন। যেমন মহান আল্লাহর বাণীঃ
৬৮/৫. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি তার স্ত্রীদেরকে (পার্থিব সুখ কিংবা পরকালীন সুখ বেছে নেয়ার) ইখ্তিয়ার দিল।
৬৮/৬. অধ্যায়ঃ যে (তার স্ত্রীকে) বলিল- আমি তোমাকে পৃথক করলাম, বা আমি তোমাকে বিদায় দিলাম, বা তুমি মুক্ত বা বন্ধনহীন অথবা এমন কোন বাক্য উচ্চারণ করিল যা দ্বারা ত্বলাক্ব উদ্দেশ্য হয়। তবে তা তার নিয়্যাতের উপর নির্ভর করিবে।
৬৮/৭. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলিল- “তুমি আমার জন্য হারাম।”
৬৮/৮. অধ্যায়ঃ (মহান আল্লাহর বাণী): হে নাবী ! আল্লাহ যা তোমার জন্য হালাল করিয়াছেন তা তুমি কেন হারাম করছ? (সুরা আত-তাহরীম ৬৬/১)
৬৮/৯. অধ্যায়ঃ বিয়ের আগে ত্বলাক্ব নেই।
৬৮/১০. অধ্যায়ঃ শেষ কারণে যদি কেউ স্বীয় স্ত্রীকে বোন বলে পরিচয় দেয়, তাতে কিছু হইবে না।
৬৮/১১. অধ্যায়ঃ বাধ্য হয়ে, মাতাল ও পাগল অবস্থায় ত্বলাক্ব দেয়া আর এ দুয়ের বিধান সম্বন্ধে। ভূলবশতঃ ত্বলাক্ব দেয়া এবং শির্ক ইত্যাদি সম্বন্ধে। (এসব নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল)।
৬৮/১২. অধ্যায়ঃ খুলার [২৭] বর্ণনা এবং ত্বলাক্ব হওয়ার নিয়ম।
৬৮/১৩. অধ্যায়ঃ স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব হলে (অথবা প্রয়োজনের তাগিদে) ক্ষতির আশঙ্কায় খুলার প্রতি ইশারা করিতে পারে কি?
৬৮/১৪. অধ্যায়ঃ দাসীকে বিক্রয় করা ত্বলাক্ব হিসাবে গণ্য হয় না।
৬৮/১৫. অধ্যায়ঃ দাসী স্ত্রী আযাদ হয়ে গেলে গোলাম স্বামীর সঙ্গে থাকা বা না থাকার ইখ্তিয়ার।
৬৮/১৬. অধ্যায়ঃ বারীরার স্বামীর ব্যাপারে নাবী (সাঃআঃ)- এর সুপারিশ।
৬৮/১৭. অধ্যায়ঃ
৬৮/১৮. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ
৬৮/১৯. অধ্যায়ঃ মুশরিক নারী মুসলমান হলে তার বিবাহ ও ইদ্দাত।
৬৮/২০. অধ্যায়ঃ যিম্মি বা হারবীর কোন মুশরিক বা খৃষ্টান স্ত্রী যদি ইসলাম গ্রহণ করে।
৬৮/২১. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “যারা নিজেদের স্ত্রীদের নিকট না যাওয়ার জন্য শপথ গ্রহণ করে, তাদের জন্য চার মাসের অবকাশ আছে। যদি তারা উক্ত সময়ের মধ্যে ফিরে আসে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। এবং তারা যদি তালাক দেয়ার সংকল্প করে, তবে আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।” (সুরা আল -বাক্বারা ২/২২৬-২২৭)
৬৮/২২. অধ্যায়ঃ নিরুদ্দিষ্ট ব্যক্তির পরিবার ও তার সম্পদের বিধান।
তালাক, যিহার, লিআন করা ও লিআনকারীণীর মোহর
৬৮/২৩. অধ্যায়ঃ যিহার [২৮]
৬৮/২৪. অধ্যায়ঃ ইশারার মাধ্যমে ত্বলাক্ব ও অন্যান্য কাজ।
৬৮/২৫. অধ্যায়ঃ লিআন [২৯] (অভিসম্পাত সহকারে শপথ)।
৬৮/২৬. অধ্যায়ঃ ইঙ্গিতে সন্তান অস্বীকার করা।
৬৮/২৭. অধ্যায়ঃ লিআনকারীকে শপথ করানো।
৬৮/২৮. অধ্যায়ঃ পুরুষকে প্রথমে লিআন করানো হইবে।
৬৮/২৯. অধ্যায়ঃ লিআন এবং লিআনের পর ত্বলাক্ব দেয়া।
৬৮/৩০. অধ্যায়ঃ মসজিদে লিআন করা।
৬৮/৩১. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ)- এর উক্তি আমি যদি সুস্পষ্ট প্রমাণ ব্যতীত রজম করতাম।
৬৮/৩২. অধ্যায়ঃ লিআনকারীণীর মোহর।
৬৮/৩৩. অধ্যায়ঃ লিআনকারীদ্বয়কে ইমামের এ কথা বলা যে, নিশ্চয় তোমাদের কোন একজন মিথ্যাচারী, তাই তোমাদের কে তাওবা করিতে প্রস্তুত আছ ?
৬৮/৩৪. অধ্যায়ঃ লিআনকারীদ্বয়কে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া।
৬৮/৩৫. অধ্যায়ঃ লিআনকারিণীকে সন্তান অর্পণ করা হইবে।
৬৮/৩৬. অধ্যায়ঃ ইমামের উক্তিঃ হে আল্লাহ! সত্য প্রকাশ করে দিন।
৬৮/৩৭. অধ্যায়ঃ যদি মহিলাকে তিন তালাক দেয় অতঃপর ইদ্দাত শেষে সে অন্য স্বামীর কাছে বিয়ে বসে, কিন্তু সে তাঁকে স্পর্শ (সঙ্গম) করিল না।
৬৮/৩৮. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের হায়িয বন্ধ হয়ে গেছে………. যদি তোমাদের সন্দেহ দেখা দেয় তাদের ইদ্দাত তিন মাস এবং তাদেরও যাদের এখনও হায়িয আসা আরম্ভ হয়নি।” (সুরা আত্-ত্বলাকঃ ৪)
৬৮/৩৯. অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ “গর্ভবতী মহিলাদের ইদ্দত কাল সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত।” (সুরা আত-ত্বলাকঃ ৪)
৬৮/৪০. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ ত্বলাক্বপ্রাপ্তা মহিলারা তিন কুরূ পর্যন্ত অপেক্ষা করিবে। (সুরা আল-বাক্বারা ২/২২৮)
৬৮/৪১. অধ্যায়ঃ ফাতিমা বিনত কায়সের ঘটনা
৬৮/৪২. অধ্যায়ঃ স্বামীর গৃহে অবস্থান করলে যদি ত্বলাক্বপ্রাপ্তা নারী তার স্বামীর পরিবারের লোকজনের গালমন্দ দেয়ার বা তার ঘরে চোর ইত্যাদির প্রবেশ করার ভয় করে।
৬৮/৪৩. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “তাদের জন্য গোপন করা বৈধ হইবে না যা আল্লাহ তাদের জরায়ুতে সৃষ্টি করিয়াছেন” (সুরা আল-বাক্বরাহ ২:২২৮) হায়িয বা গর্ভসঞ্চার
৬৮/৪৪. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “ত্বলাক্বপ্রাপ্তাদের স্বামীরা (ইদ্দাতের মধ্যে) তাদের ফিরিয়ে আনার অগ্রাধিকার রাখে।” (সুরা আল-বাক্বারাহঃ ২২৮)
৬৮/৪৫. অধ্যায়ঃ ঋতুবতীকে ফিরিয়ে নেয়া।
বিধবা নারীর শোক পালনের পদ্ধতি – চার মাস দশ দিন বিরত রাখবে
৬৮/৪৬. অধ্যায়ঃ বিধবা (যার স্বামী মারা গেছে) মহিলা চার মাস দশ দিন শোক পালন করিবে।
৬৮/৪৭. অধ্যায়ঃ শোক পালনকারিণীর জন্য সুরমা ব্যবহার করা।
৬৮/৪৮. অধ্যায়ঃ তুহুর অর্থাৎ পবিত্রতার সময় শোক পালনকারিণীর জন্য চন্দন কাঠের সুগন্ধি ব্যবহার।
৬৮/৪৯. অধ্যায়ঃ শোক পালনকারিণী হালকা রং-এর সুতার কাপড় ব্যবহার করিতে পারে।
৬৮/৫০. অধ্যায়ঃ (মহান আল্লাহর বাণী): তোমাদের মধ্য হইতে যারা স্ত্রীদেরকে রেখে মারা যাবে সে অবস্থায় স্ত্রীরা নিজেদেরকে চার মাস দশ দিন বিরত রাখবে। তারপর যখন তাদের ইদ্দৎকাল পূর্ণ হইবে, তখন তোমাদের নিজেদের সম্বন্ধে বৈধভাবে যা কিছু করিবে তাতে তোমাদের কোন গুনাহ নেই। বস্তুতঃ তোমরা যা কিছু করছ, আল্লাহ সে বিষয়ে পরিজ্ঞাত। (সুরা আল-বাক্বারা ২/২৩৪)
৬৮/৫১. অধ্যায়ঃ বেশ্যার উপার্জন ও অবৈধ বিয়ে।
৬৮/৫২. অধ্যায়ঃ নিভৃতেবাস করার পরে মাহরের পরিমাণ, অথবা নির্জনবাস ও স্পর্শ করার পূর্বে ত্বলাক্ব দিলে স্ত্রীর মাহর এবং কিভাবে নির্জনবাস প্রমাণিত হইবে সে প্রসঙ্গে
৬৮/৫৩. অধ্যায়ঃ তালাকপ্রাপ্তা নারীর যদি মোহর নির্ণিত না হয় তাহলে সে মুতআ পাবে।
Leave a Reply