বিধবা ও অন্যান্য তালাকপ্রাপ্তা মহিলার সন্তান প্রসবের সাথে ..

বিধবা ও অন্যান্য তালাকপ্রাপ্তা মহিলার সন্তান প্রসবের সাথে

বিধবা ও অন্যান্য তালাকপ্রাপ্তা মহিলার সন্তান প্রসবের সাথে  >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

৮. অধ্যায়ঃ বিধবা ও অন্যান্য তালাকপ্রাপ্তা মহিলার সন্তান প্রসবের সাথে সাথে ইদ্দাত পূর্ণ হওয়া

৩৬১৪. উবায়দুল্লাহ্ ইবনি আবদুল্লাহ হইতে বর্ণীতঃ

ইবনি আরক্বাম যুহরীকে নির্দেশ দিয়ে লিখলেন যে, তিনি যেন সুবায়আহ্ বিনতু হারিস আসলামীর কাছে চলে যান। এরপর তাকে তার হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। যখন তিনি রসুলু্ল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে ফাতাওয়া চাইছিলেন এবং তিনি তাকে যা বলেছিলেন তখন উমর ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি উত্বাকে লিখে পাঠালেন যে, সুবায়আহ্ তাকে জানিয়েছেন- তিনি বানূ আমির ইবনি লুঈ গোত্রের সাদ ইবনি খাওলার স্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন বদরী সহাবী এবং বিদায় হাজ্জের সময় ওফাত পান। সে সময়ে তিনি গর্ভবতী ছিলেন। তার স্বামীর ইন্তিকালের অব্যবহিত পরেই তিনি সন্তান প্রসব করেন। এরপর যখন তিনি নিফাস থেকে পবিত্র হলেন, তখন বিবাহের পয়গামদাতার জন্য সাজসজ্জা করিতে লাগলেন। তখন বানূ আবদুদ্ দার গোত্রের আবু সানাবিল ইবনি বাকাক নামক এক ব্যক্তি তাহাঁর কাছে এলেন। তখন তিনি তাঁকে বলিলেন, মতলব কী? আমি তোমাকে সাজসজ্জা করিতে দেখিতে পাচ্ছি! সম্ভবত তুমি বিবাহ প্রত্যাশী? আল্লাহর কসম! চার মাস দশদিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তুমি বিয়ে করিতে পারবে না। সুবায়আহ্ বলিলেন, যখন লোকটি আমাকে এ কথা বলিল, তখন কাপড়-চোপড় পরিধান করে সন্ধ্যাবেলা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে চলে এলাম। এরপর আমি তাঁকে সে বিষয়ে জানিয়ে দিলাম। তিনি আমাকে জানিয়ে দিলেন যে, সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার সাথে সাথেই আমার ইদ্দাত পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তিনি আমাকে আরও নির্দেশ দিলেন যে, আমি ইচ্ছা করলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইতে পারি।

ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পরপরই প্রসূতির জন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াকে আমি দূষনীয় মনে করি না, যদিও সে তখন নিফাসের ইদ্দাত পালনরত থাকে। তবে নিফাস থেকে পবিত্র হওয়ার পূর্বে স্বামী যেন স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম না করে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৮৪]

৩৬১৫. সুলায়মান ইবনি ইয়াসার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আবু সালামাহ্‌ ইবনি আবদুর রহমান [রাদি.] ও ইবনি আব্বাস [রাদি.] আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.]-এর কাছে সমবেত হলেন। তাঁরা এমন একজন মহিলার কথা আলোচনা করছিলেনি যিনি তাহাঁর স্বামীর ইনতিকালের কয়েক দিন পরেই সন্তান প্রসব করিয়াছেন। তখন ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলিলেন, তার ইদ্দাত হইবে দুটির মধ্যে দীর্ঘতরটি। আবু সালামাহ্‌ [রাদি.] বলিলেন, তার ইদ্দাত পূর্ণ হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা দুজনে বিতর্ক শুরূ করে দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আবু হুরায়রাহ্‌ [রাদি.] বলিলেন, আমি আমার ভাতিজা আবু সালামার পক্ষে। এরপর তারা সবাই ইবনি আব্বাসের মুক্তদাস কুরায়বকে উম্মু সালামাহ্‌ [রাদি.]-এর কাছে উক্ত বিষয়ে জিজ্ঞেস করার জন্য পাঠালেন। সে তাদের কাছে এসে বলিল যে, উম্মু সালামাহ্‌ [রাদি.] বলেছেন, সুবায়আহ্‌ আসলামিয়্যাহ্‌ তার স্বামীর ইনতিকালের কয়েক রাত পরই সন্তান প্রসব করেন এবং সে বিষয়টি রসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট উপস্থাপন করেন। তখন তিনি তাকে বিবাহ করার অনুমতি দেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৮৫]

৩৬১৬. ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে উক্ত সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে লায়স [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ আছে, “তারা সবাই উম্মু সালামার কাছে সংবাদ পাঠালেন” এবং তিনি [লায়স] কুরায়বের নাম উল্লেখ করেনেনি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫৮৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫৮৬]


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply