তালহা ও যুবায়র [রাদি.]-এর ফযীলাত
তালহা ও যুবায়র [রাদি.]-এর ফযীলাত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৬. অধ্যায়ঃ তালহা ও যুবায়র [রাদি.]-এর ফযীলাত
৬১৩৬. আবু উসমান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
যখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন, তখন কোন কোন দিন তালহা এবং সাদ [রাদি.] ছাড়া আর কেউই রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর সাথে ছিল না। এটি তাদের দুজনের বর্ণিত হাদীস।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৬২]
৬১৩৭. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধের দিবসে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] লোকদের জিহাদের অনুপ্রেরণা দিলেন। যুবায়র [রাদি.]-এই আহ্বানে সাড়া দিলেন। আবার রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ডাকলেন; তখনও যুবায়র [রাদি.] সাড়া দিলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পুনরায় ডাকলেন, তখনও যুবায়রই সাড়া দিলেন। তখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃপ্রত্যেক নবীরই একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী থাকে, আর আমার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হলো যুবায়র।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৬৩]
৬১৩৮. জাবির [রাদি.]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত। হাদীসটি তিনি ইবনি উয়াইনার হুবহু রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৬৪]
৬১৩৯. আবদুল্লাহ ইবনি যুবায়র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, খন্দকের দিবসে আমি এবং উমর ইবনি আবু সালামাহ্, হাসান [ইবনি সাবিত]-এর কিল্লায় নারীদের সঙ্গে ছিলাম। আমি দেখতাম কখনো তিনি আমার দিকে ঝুঁকে পড়তেন আর কোন সময় আমি ঝুঁকে পড়তাম তিনি দেখিতেন। আমার বাবাকে আমি চিনে ফেলতাম, যখন তিনি যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় ঘোড়ায় চড়ে বানূ কুরাইযার দিকে যেতেন।
অপর সূত্রে আবদুল্লাহ ইবনি যুবায়র [রাদি.] বলেন, তারপর আমি বাবাকে এ কথা বর্ণনা করলাম। তিনি বলিলেন, পুত্র! তুমি আমায় দেখেছিলে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলিলেন, আল্লাহর কসম! সেদিন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমার জন্য তাহাঁর পিতা-মাতা উভয়কে একত্রে উৎসর্গ করিয়াছেন এবং বলেছেন: তোমার উপর আমার বাবা-মা কুরবান হোক।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৬৫]
৬১৪০. আবদুল্লাহ ইবনি যুবায়র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, খন্দকের দিবসে আমি এবং উমর ইবনি আবু সালামাহ্ [রাদি.] ঐ কিল্লায় ছিলাম, সেখানে মহিলারা ছিলেন অর্থাৎ- নবী সহধর্মিণীগণ। এ সূত্রেই ইবনি মুসহির-এর হাদীসের হুবহু হাদীস রিওয়ায়াত করেন। তবে আবদুল্লাহ ইবনি উরওয়ার বর্ণনা হাদীসে হয়নি। কিন্তু হিশাম তাহাঁর বাবার সূত্রে ইবনি যুবায়র হইতে বর্ণিত হাদীসে এ কাহিনীটি উল্লেখ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৬৬]
৬১৪১. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] হেরা পাহাড়ের উপর ছিলেন। তাহাঁর সঙ্গে ছিলেন আবু বকর, উমর, আলী, উসমান, তাল্হাহ্ ও যুবায়র [রাদি.]। সে সময় পাথরটি কেঁপে উঠল। রসূলল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃথাম্! তোর উপর নবী, সিদ্দীক বা শহীদ ব্যতীত আর কেউ নয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৬৭]
৬১৪২.আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] হেরা পাহাড়ের উপর ছিলেন, পাহাড় নড়ে উঠলে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃশান্ত হও, হেরা! তোমার উপর নবী সিদ্দীক বা শহীদ ব্যতীত আর কেউ নয়। তখন এর উপর নবী [সাঃআঃ] আবু বকর, উমর, উসমান, আলী, তাল্হাহ্, যুবায়র ও সাদ ইবনি আবু ওয়াক্কাস [রাদি.] ছিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩০, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৬৮]
৬১৪৩. হিশাম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আয়িশা [রাদি.] আমাকে বলিলেন, আল্লাহর কসম! তোমার পিতা-মাতা ঐ সকল ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন যাঁদের কথা এ আয়াতে বর্ণিত রয়েছে-
আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পর যারা আল্লাহ ও রসূলের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন- [সূরা আ-লি ইমরান ৩:১৭২]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩১, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৬৯]
৬১৪৪. হিশাম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একই সূত্রে এ হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন। তবে তিনি অর্থাৎ- আবু বকর এবং যুবায়র কথাটি অতিরিক্ত বলেছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩২, ইসলামিক সেন্টার- নেই]
৬১৪৫. উরওয়াহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আয়িশা [রাদি.] আমাকে বলেছেন, আল্লাহ ও রসূল [সাঃআঃ]-এর আহ্বানে যারা সাড়া দিয়েছেন আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তারা দুই পূর্ব পুরুষ তাঁদেরই অন্তর্ভুক্ত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৭০]
Leave a Reply