তায়াম্মুমের হাদিস – মুকীম, অপবিত্র ও আহত ব্যক্তির জন্য
তায়াম্মুমের হাদিস – মুকীম, অপবিত্র ও আহত ব্যক্তির জন্য >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
অধ্যায়ঃ ১, অনুচ্ছেদঃ ১২৫-১২৯ =৫টি
অনুচ্ছেদ- ১২৪ঃ তায়াম্মুমের বর্ণনা
অনুচ্ছেদ- ১২৫ঃ মুকীম অবস্থায় তায়াম্মুম করা
অনুচ্ছেদ- ১২৬ঃ অপবিত্র ব্যক্তির তায়াম্মুম করা
অনুচ্ছেদ- ১২৭ঃ ঠাণ্ডা লাগার আশঙ্কা হলে অপবিত্র ব্যক্তি তায়াম্মুম করিতে পারবে কি?
অনুচ্ছেদ- ১২৮ঃ আহত ব্যক্তির তায়াম্মুম করা
অনুচ্ছেদ- ১২৯ঃ কোন ব্যক্তি তায়াম্মুম করে সলাত আদায় করার পর ওয়াক্ত থাকতেই পানি পেয়ে গেলো
অনুচ্ছেদ- ১২৪ঃ তায়াম্মুমের বর্ণনা
৩১৭. আয়িশাহ্ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] আয়িশা [রাঃআ:] -এর হারানো হার অনুসন্ধানের জন্য উসাইদ ইবনি হুদাইর এবং তার সাথে আরো কয়েকজনকে পাঠালেন। পথিমধ্যে সলাতের ওয়াক্ত হলে লোকেরা বিনা উযুতেই সলাত আদায় করেন। অতঃপর নবি [সাঃআ:] -এর নিকট এসে তাঁরা বিষয়টি তাঁকে জানান। তখনই তায়াম্মুমের আয়াত নাযিল হয়। নুফাইলের বর্ণনায় আরো রয়েছেঃ উসাইদ ইবনি হুদাইর [রাঃআ:] আয়িশা [রাঃআ:] -কে বলিলেন, আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন। আপনার নিকট অপছন্দনীয় একটি বিষয়ের উপলক্ষেই আল্লাহ মুসলমানদের জন্য এবং আপনার জন্য সহজ একটি বিধান নাযিল করিয়াছেন।
সহীহঃ বোখারী ও মুসলিম। তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩১৮. আম্মার ইবনি ইয়াসির [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বর্ণনা করেন, তাঁরা রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] -এর সাথে ফার্য সলাতের জন্য পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করার সময় মাটির উপর হাত মেরে প্রথমে মুখমণ্ডল একবার মাসাহ্ করিলেন। দ্বিতীয়বার মাটিতে হাত মেরে বগল পর্যন্ত পুরো হাত মাসাহ্ করিলেন।
তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩১৯. ইবনি ওয়াহ্হাব হইতে বর্ণিতঃ
ইবনি ওয়াহ্হাব থেকে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তাতে আরো রয়েছেঃ মুসলিমরা দাঁড়ানো অবস্থায় মাটিতে হাত মারলেন এবং হাতে মাটি নিলেন না। তারপর একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু তিনি কাঁধ ও বগলের কথা উল্লেখ করেননি। ইবনি লাইস বলেন, সাহাবীগণ কনুইয়ের উপর পর্যন্ত মাসাহ্ করিয়াছেন।
তাহকিকঃ গবেষণা অসম্পূর্ণ। {৩১৮} এটি গত হয়েছে [৩১৮নং]-এ। হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি
৩২০.আম্মার ইবনি ইয়াসির [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] [বনু মুস্তালিকের যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তনকালে মাক্কাহ ও মদীনার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত] উলাতুল জায়িশ নামক জায়গায় রাতের শেষ প্রহরে বিশ্রামের উদ্দেশে অবতরণ করেন। তখন তাহাঁর সাথে ছিলেন আয়িশা [রাঃআ:]। এ স্থানে আয়িশার যেফারী আকিকের হারটি হারিয়ে যায়। ফলে হারটি অনুসন্ধানের জন্য লোকজন ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। এমনকি সেখানে ভোর হয়ে যায়। তাহাদের সাথে তখন [উযু করার মত] পানিও ছিল না। আবু বকর [রাঃআ:] আয়িশা [রাঃআ:] -এর উপর অসন্তুষ্ট হলেন। বলিলেন, তুমিই লোকদের আটকে রেখেছো। অথচ তাহাদের সাথে পানি নেই। এ সময় মহাল আল্লাহ রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] -এর উপর পবিত্র মাটি দ্বারা পবিত্রতা অর্জনের বিধান সম্বলিত আয়াত অবতীর্ণ করেন। রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] -এর সাথে সকল মুসলিম উঠে দাঁড়ালেন। সবাই তাহাদের হাত জমিনে মারলেন। তারপর হাত উঠিয়ে নিলেন। কোন মাটি তুললেন না। তাঁরা মুখমুণ্ডল ও দু হাত কাঁধ পর্যন্ত এবং হাতের নিচে বগল পর্যন্ত মাসাহ্ করিলেন। ইবনি ইয়াহ্ইয়ার বর্ণনায় আরো রয়েছেঃ ইবনি শিহাব বলেছেন, আলিমগণের নিকট এ হাদীস গুরুত্বহীন ও অগ্রহণযোগ্য। {৩১৯}
সহিহ। ইমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এরূপই বর্ণনা করিয়াছেন ইবনি ইসহাক্ব। তাতে তিনি ইবনি আব্বাস [রাঃআ:] সূত্রে মাটিতে দুবার হাত মারার কথা উল্লেখ করিয়াছেন। আর ইবনি উয়াইনাহ এতে সন্দেহে পতিত হয়েছেন। তিনি একবার বলেছেন উবাইদুল্লাহ হতে তার পিতার সূত্রে অথবা উবাইদুল্লাহ হতে ইবনি আব্বাস সূত্রে। তিনি একবার বলেছেন তার পিতা সূত্রে আরেকবার বলেছেন ইবনি আব্বাস সূত্রে। সুতরাং ইবনি উয়াইনাহ এর সানাদে ইযতিরাব [উলটপালট] করিয়াছেন এবং যুহরী হতে তার শুনার বিষয়টিও ইযতিরায করিয়াছেন। আর আমি যাদের নাম উল্লেখ করেছি, তাহাদের কেউ এ হাদীসে দুবার হাত মারার কথা বলেননি। তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩২১. শাক্বীক হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ এবং আবু মুসা [রাঃআ:] -এর সামনে বসা ছিলাম। আবু মুসা [রাঃআ:] বলিলেন, হে আবু আবদুর রহমান! যদি কারো উপর গোসল ফার্য হয় এবং এক মাস পর্যন্ত পানি না পায়, তবে সে কি তায়াম্মুম করিবে? আবদুল্লাহ [রাঃআ:] বলিলেন, হ্যাঁ, যদিও সে এক মাস পর্যন্ত পানি না পায়। আবু মুসা [রাঃআ:] বলিলেন, তাহলে সূরাহ মায়িদার যে আয়াত রয়েছেঃ “তারপর তোমরা যদি পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করো”- এ ব্যাপারে কী বলবেন? আবদুল্লাহ [রাঃআ:] বলিলেন, লোকদের তায়াম্মুম করার সুযোগ দেয়া হলে তারা [অত্যধিক শীতের সময়] ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার না করে তায়াম্মুম করা শুরু করে দিবে। আবু মুসা [রাঃআ:] তাকে বলিলেন, এজন্যই তায়াম্মুম করা অপছন্দ করেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আবু মুসা [রাঃআ:] তাঁকে বলিলেন, আপনি কি উমার [রাঃআ:] -কে উদ্দেশ্য করে বলা আম্মার ইবনি ইয়াসির [রাঃআ:] বর্ণিত হাদীস শুনেননি? আম্মার [রাঃআ:] বলেছিলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] আমাকে কোন এক কাজে পাঠালেন। পথিমধ্যে আমি অপবিত্র হয়ে গেলাম, কিন্তু পানি পেলাম না। তাই আমি মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম যেরূপ চতুষ্পদ প্রাণী মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে থাকে। অতঃপর নবি [সাঃআ:] -এর কাছে এসে আমি তাঁকে বিষয়টি জানালাম। তিনি বললেনঃ তোমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট ছিল- এই বলে তিনি মাটিতে হাত মেরে তা ফুঁ দিয়ে ঝেড়ে ফেললেন। তারপর বাম হাত ডান হাতের উপর মারলেন। তারপর ডান হাত বাম হাতের উপর মারলেন- উভয় হাতের কব্জির উপর। তারপর মুখমণ্ডল মাসাহ্ করিলেন। আবদুল্লাহ [রাঃআ:] তাকে বললেনঃ আপনার কি জানা নেই যে, উমার [রাঃআ:] আম্মারের এ কথা গ্রহণ করেননি?
সহীহঃ বোখারী ও মুসলিম। তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩২২. আবদুর রহমান ইবনি আবযা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি উমার [রাঃআ:] -এর নিকট ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি তার নিকট এসে বলিল, আমরা কোন [পানিবিহীন] জায়গায় এক-দু মাস অবস্থান করে থাকি [সেখানে অপবিত্র হলে করণীয় কী?]। উমার [রাঃআ:] বলিলেন, আমি তো পানি না পাওয়া পর্যন্ত সলাত আদায় করব না। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আম্মার [রাঃআ:] বলিলেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আপনার কি ঐ ঘটনার কথা মনে নেই, যখন আমি ও আপনি উটের পালে ছিলাম। আমরা অপবিত্র হয়ে গেলাম এবং আমি মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম। আমরা নবি [সাঃআ:] -এর নিকট এসে বিষয়টি জানালে তিনি বলেলেনঃ তোমাদের জন্য শুধু এতটুকুই যথেষ্ট ছিল- এই বলে তিনি মাটিতে উভয় হাত মেরে হাতে ফুঁ দিলেন। তারপর হাত দিয়ে মুখমণ্ডল এবং উভয় হাতের অর্ধেক পর্যন্ত মুছলেন। উমার [রাঃআ:] বলিলেন, হে আম্মার! আল্লাহকে ভয় কর। তিনি বলিলেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আল্লাহর শপথ! আপনি চাইলে আমি আর কখনো তা বর্ণনা করব না। উমার [রাঃআ:] বলিলেন, আল্লাহর শপথ! আমার উদ্দেশ্য এরূপ নয়, বরং তুমি চাইলে অবশ্যই তোমার বক্তব্যের স্বাধীনতা তোমাকে দিব।
সহীহঃ তবে তার উভয় হাতের অর্ধেক পর্যন্ত- কথাটি বাদে। কেননা তা শায। তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩২৩. আম্মার ইবনি ইয়াসির [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
ইবনি আবযা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আম্মার ইবনি ইয়াসির [রাঃআ:] সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে রয়েছেঃ নবি [সাঃআ:] বলেছেন, হে আম্মার! তোমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট- এই বলে তিনি তাহাঁর উভয় হাত মাটিতে মারলেন, তারপর এক হাত অপর হাতের উপর মারলেন। তারপর নিজের চেহারা এবং হাতের অর্ধেক পর্যন্ত মাসাহ্ করিলেন। তবে মাটিতে একবার হাত মারায় হাতের কনুই পর্যন্ত মাসাহ্ করা যায়নি।
সহীহঃ উভয় হাত ও কনুইদ্বয় উল্লেখ বাদে। তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩২৪. আম্মার [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। তাতে রয়েছেঃ নবি [সাঃআ:] বলেছেনঃ তোমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট- এই বলে তিনি জমিনে হাত মেরে ফুঁ দিলেন। এরপর মুখমণ্ডল এবং উভয় হাত মাসাহ্ করিলেন। সালামাহ এতে সন্দেহ করিয়াছেন। তিনি বলেন, তিনি কনুই পর্যন্ত হাত মাসাহ্ করিয়াছেন নাকি কব্জি পর্যন্ত তা আমার জানা নেই।
সহীহঃ সন্দেহ করার কথাটি বাদে। মাহফূয হচ্ছে […..] শব্দে। যেমন সামনে আসছে। তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩২৫. শুবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তাতে রয়েছে, আম্মার [রাঃআ:] বলেন, তিনি তাতে ফুঁ দিলেন। তারপর মুখমণ্ডলের উপর এবং উভয় হাতের কব্জি হতে কনুই পর্যন্ত অথবা মধ্যাঙ্গুলির মাথা হতে কনুই পর্যন্ত মাসাহ্ করিলেন। শুবাহ বলেন, সালামাহ বলিতেন, উভয় হাতের কব্জি, মুখমণ্ডল এবং কনুই পর্যন্ত মাসাহ্ করিলেন। একদা মানসূর তাকে বলিলেন, যা বলছেন, বুঝে শুনে বলুন। আপনি ব্যতীত কেউ কিন্তু যিরাআইনতখা মধ্যাঙ্গুলির মাথা হতে কনুই পর্যন্তের কথা উল্লেখ করিতেন না।
সহীহঃ উভয় হাত ও কনুইদ্বয় উল্লেখ বাদে। যেমন পূর্বেই উল্লিখিত হয়েছে। তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩২৬. আম্মার [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
নবি [সাঃআ:] বলেছেনঃ তোমার জন্য শুধু এতটুকুই যথেষ্ট যে, জমিনে হাত মেরে তা দ্বারা মুখমণ্ডল এবং উভয় হাত মাসাহ্ করিবে। অতঃপর পুরো হাদীস বর্ণনা করেন।
সহীহঃ বোখারী ও মুসলিম। ইমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, উক্ত হাদীস শুবাহ, হুসাইন হতে আবু মালিক সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। তাতে তিনি ফুঁ দেননি কথাটি উল্লেখ আছে। হুসাইন ইবনি মুহম্মাদ থেকে শুবাহ হতে হাকাম সূত্রে বর্ণিত হাদীসে রয়েছেঃ নবি [সাঃআ:] জমিনে হাত মারার পর ফুঁ দিয়েছেন। তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩২৭. আম্মার ইবনি ইয়াসির [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবি [সাঃআ:] -কে তায়াম্মুম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে মুখমণ্ডল এবং উভয় হাতের জন্য [মাটিতে] একবার হাত মারার নির্দেশ দেন।
তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩২৮. আবান হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ক্বাতাদাহ [রাঃআ:] -কে সফররত অবস্থায় তায়াম্মুম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলিলেন, আমার কাছে একজন মুহাদ্দিস শাবী, আবদুর রহমান ইবনি আবযা ও আম্মার ইবনি ইয়াসির [রাঃআ:] সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] কনুই পর্যন্ত [মাসাহ্ করিতে] বলেছেন। {৩২৭}
{৩২৭} এর সানাদে অজ্ঞাত লোক রয়েছে। আল্লামা আইনী ইবনি হাযম সূত্রে উদ্ধৃত করে বলেন, এ খবরটি বর্জিত [সাক্বিত]। হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার
অনুচ্ছেদ- ১২৫ঃ মুকীম অবস্থায় তায়াম্মুম করা
৩২৯. ইবনি আব্বাস [রাঃআ:] -এর আযাদকৃত গোলাম উমাইর [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি এবং নবি [সাঃআ:] -এর স্ত্রী মায়মূনাহ [রাঃআ:] -এর আযাদকৃত গোলাম আবদুল্লাহ ইবনি ইয়াসার আবুল জুহায়িম ইবনিল হারিস ইবনিল সিম্মাহ আল-আনসারী [রাঃআ:] -এর নিকট গিয়ে পৌঁছলাম। আবুল জুহায়িম বলিলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] [মদীনার নিকটবর্তী] জামাল নামক একটি কূপের দিক থেকে আসছিলেন। পথে তাহাঁর সাথে এক ব্যক্তির সাক্ষাত হলে লোকটি তাঁকে সালাম দিল। রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] তার সালামের জবাব না দিয়ে একটি দেয়ালের নিকট গেলেন এবং তাহাঁর মুখমণ্ডল ও উভয় হাত মাসাহ্ করিলেন। অতঃপর তার সালামের জবাব দিলেন।
সহীহঃ বোখারী ও মুসলিম। অবশ্য মুসলিম এটি তালীক্বভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৩০. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনি উমার [রাঃআ:] -এর সাথে বিশেষ প্রয়োজনে ইবনি আব্বাস [রাঃআ:] -এর কাছে গেলাম। ইবনি উমার ইবনি আব্বাসের কাছে গিয়ে স্বীয় প্রয়োজন সমাধা করিলেন। ঐ দিন ইবনি উমার [রাঃআ:] এ হাদীস বর্ণনা করেন যে, একদা রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] পায়খানা অথাবা পেশাব করে বের হচ্ছিলেন এমন সময় এক ব্যক্তি একটি গলির ভিতর দিয়ে রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] -কে অতিক্রমকালে সালাম দিল। তিনি তার জবাব দিলেন না। লোকটি [অন্য] গলিতে ঢুকে যাওয়ার নিকটবর্তী হলে তিনি তাহাঁর উভয় হাত দেয়ালে মেরে মুখ মাসাহ্ করেন।
অতঃপর হাত মেরে উভয় হাত মাসাহ্ করে সালামের জবাব দিলেন এবং বললেনঃ আমি তখন পবিত্র ছিলাম না বলেই তোমার সালামের জবাব দেইনি। {৩২৯}
{৩২৯} দারাকুতনী [১/১৭৭] মুহাম্মাদ ইবনি সাবিত সূত্রে। মুহাম্মাদ ইবনি সাবিতকে ইমাম আবু হাতিম ও ইমাম নাসায়ী শিথিল বলেছেন। ইবনি আদী বলেছেন, তার কোন বর্ণনারই অনুসরণ করা যায় না। হাফিয আত-তাক্বরীর গ্রন্থে বলেছেন, মাক্ববূল। ইমাম খাত্তাবী মাআলিমুস সুনান গ্রন্থে বলেনঃ ইবনি উমারের হাদীসটি সহিহ নয়। কেননা সানাদে মুহাম্মাদ ইবনি সাবিত খুবই দুর্বল। তার হাদীস দলীলযোগ্য নয়। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৩১. ইবনি উমার [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] পায়খানা থেকে ফেরার পথে জামাল নামক কূপের নিকট এক ব্যক্তির সাথে তাহাঁর সাক্ষাত হয়। লোকটি তাঁকে সালাম দিল। কিন্তু রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] তার জবাব দিলেন না। তিনি একটি দেয়াল পর্যন্ত এসে দেয়ালে হাত রাখলেন, তারপর মুখমণ্ডল ও হাত মাসাহ্ করে লোকটির সালামের জবাব দিলেন।
এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ ১। পবিত্র অবস্থায় সালামের জবাব দেয়া ও অনুরূপ সকল প্রকার যিকর আযকার করা মুস্তাহাব। যদিও তা তায়াম্মুম করে হয়। ২। দেয়ালে হাত মেরে তায়াম্মুম করা জায়িয। তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ- ১২৬ঃ অপবিত্র ব্যক্তির তায়াম্মুম করা
৩৩২. আবু যার [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] -এর নিকট গণিমাতের সম্পদ [মেষপাল] জমা হলো। তিনি বলেলেনঃ হে আবু যার! এগুলো মাঠে নিয়ে যাও। আমি বকরীগুলো নিয়ে রাবযাহ [মদীনার নিকটবর্তী একটি গ্রাম] -এর দিকে গেলাম। সেখানে আমি অপবিত্র হলাম। আমি পাঁচ-ছদিন এরূপ অবস্থায় [গোসল ছাড়া] কাটালাম। অতঃপর আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] -এর নিকট ফিরে এসে [বিষয়টি জানালাম]। তিনি বললেনঃ আবু যার! আমি নিশ্চুপ রইলাম। তিনি বললেনঃ হে আবু যার! তোমার মা তোমার জন্য কাঁদুক! তোমার মার দুঃখ হোক! এই বলে তিনি একটি ক্রীতদাসীকে ডেকে একটি বড় পাত্র ভর্তি পানি আনালেন। সে আমাকে একটি বড় কাপড় দিয়ে একদিক পর্দা করে দিল। আর অপরদিক আমি উট দিয়ে পর্দা করলাম। অতঃপর গোসল করলাম। এতে আমার মনে হলো, আমার উপর থেকে যেন একটি পাহাড় সম বোঝা সরে গেল। রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] বলিলেন, পবিত্র মাটিই মুসলমানদের জন্য পবিত্রতা অর্জনের বাহন [পানির সমতুল্য], যদিও দশ বছরের জন্য [পানি দুষ্প্রাপ্য] হয়। অতঃপর যখন পানি পেয়ে যাবে তখন পানি ব্যবহার করিবে। কেননা পানি অধিকতর উত্তম।
সহিহ। মুসাদ্দাদ বলেন, ঐগুলো ছিল যাকাতের বকরী। ইমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমরের হাদীস পরিপূর্ণ। তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৩৩. আবু ক্বিলাবাহ হতে বনু আমির গোত্রের জনৈক ব্যক্তি হইতে বর্ণিতঃ
ব্যক্তিটি বলিল, আমি ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার পর দ্বীন সম্পর্কে [জ্ঞানার্জনে] আমার খুব আগ্রহ জাগে। ফলে আমি আবু যার [রাঃআ:] -এর নিকট আসলাম। আবু যার [রাঃআ:] বলিলেন, মাদীনাহয় যাওয়ার পর আমি রোগে আক্রান্ত হই। তাই রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] আমাকে উট-বকরীর পাল চরাতে বলিলেন এবং এর দুধ পানের নির্দেশ দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয়, তিনি এও বলেছেনঃ এর পেশাব পানের জন্যও আদেশ দিলেন। আবু যার [রাঃআ:] বলিলেন, আমি পানি থেকে দূরে অবস্থান করতাম। আমার সাথে আমার স্ত্রীও ছিল। অতএব আমি অপবিত্র হতাম এবং অপবিত্র অবস্থায় সলাত আদায় করতাম। অতঃপর আমি দ্বিপ্রহরে রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] -এর নিকট আসলাম। তখন তিনি মাসজিদের ছায়ায় কিছু সংখ্যক সহাবীদের সাথে বসা ছিলেন। তিনি বলিলেন, আবু যার নাকি! আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল! আমি তো ধ্বংস হয়ে গিয়েছি, তিনি বলিলেন, কিসে তোমাকে ধ্বংস করলো? আমি বললাম, আমি পানি থেকে দূরে অবস্থান করতাম। আমরা সাথে আমার স্ত্রীও ছিল। আমি অপবিত্র হতাম এবং অপবিত্র অবস্থায় সলাত আদায় করতাম। তিনি আমার জন্য পানি আনার নির্দেশ দিলেন। কালো এক ক্রীতাদাসী একটি বড় পাত্রে পানি আনল। পানিতে পরিপূর্ণ না থাকায় সেটি দুলছিল। আমি একটি উটকে আড়াল করে গোসল করি। অতঃপর রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] -এর নিকট আসি। রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] আমাকে বললেনঃ হে আবু যার! পবিত্র মাটিই পবিত্রকারী, যদিও দশ বছর পর্যন্ত পানি না পাওয়া যায়। যখন পানি পাওয়া যাবে তখন শরীর ধৌত করিবে।
সহিহ। ইমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, হাম্মাদ ইবনি যায়িদ হাদীসটি আইউব সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। এ বর্ণনায় পেশাব পানের কথা উল্লেখ নেই। এটা সহিহ নয়। শুধু আনাস [রাঃআ:] -এর হাদীসেই পেশাব পানের কথা উল্লেখ আছে, যা কেবল বাস্রার অধিবাসীরা এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। হাদীস থেকে শিক্ষাঃ ১। পানির বর্তমানে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়। ২। তায়াম্মুমের ব্যাপারে ছোট অপবিত্রতা ও জুনুবী ব্যক্তির বিধান একই। তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ- ১২৭ঃ ঠাণ্ডা লাগার আশঙ্কা হলে অপবিত্র ব্যক্তি তায়াম্মুম করিতে পারবে কি?
৩৩৪. আমর ইবনি আস [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যাতুস সালাসিল যুদ্ধের সময় খুব শীতের রাতে আমার স্বপ্নদোষ হয়। আমার ভয় হলো, আমি যদি গোসল করি তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। তাই আমি তায়াম্মুম করে লোকদের সলাত আদায় করালাম। পরে তারা বিষয়টি রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] -কে জানালো। রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] বললেনঃ হে আমর! তুমি নাকি অপবিত্র অবস্থায় তোমার সাথীদের সঙ্গে সলাত আদায় করেছ! আমি গোসল না করার কারণ সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করলাম এবং বললাম, আমি আল্লাহর এ বাণীও শুনেছিঃ
وَلاَ تَقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
“তোমরা নিজেরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি বড়ই দয়াবান”- [সূরাহ আন-নিসা, ২৯]। একথা শুনে রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] হেসে দিলেন এবং কিছুই বলিলেন না।
সহীহঃ আর বোখারী একে তালীক্বভাবে, তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৩৫. আমর ইবনিল আস [রাঃআ:] এর আযাদকৃত গোলাম আবু ক্বায়িস [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমর ইবনিল আস [রাঃআ:] একটি বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন। অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করে বলেনঃ তারপর তিনি তার শরীরের ময়লা জমা হবার স্থান [রানের দু পার্শ্ব] ধুয়ে ফেলেন এবং সলাতের জন্য উযু করে সলাত আদায় করান। তারপর পূর্বানুরূপ বর্ণনা করেন, কিন্তু তাতে তায়াম্মুমের কথা উল্লেখ নেই।
সহীহঃ ইমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এ ঘটনা আওযাঈ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হতে হাস্সান ইবনি আত্বিয়্যাহ সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। তাতে তায়াম্মুমের কথা উল্লেখ আছে। হাদীস থেকে শিক্ষাঃ ১। নবি [সাঃআ:]-এর যুগে ইজতিহাদ হয়েছে। ২। নবি [সাঃআ:]-এর নীরবতা সম্মতি বুঝায়। তাই তা হুকুমের ক্ষেত্রে দলীলযোগ্য। ৩। পানি ব্যবহারে অপারগ বা ক্ষতির আশংকা হলে তায়াম্মুম করা বৈধ। তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ- ১২৮ঃ আহত ব্যক্তির তায়াম্মুম করা
৩৩৬. জাবির [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা কোন এক সফরে বের হলে আমাদের মধ্যকার একজনের মাথা পাথরের আঘাতে ফেটে যায়। ঐ অবস্থায় তার স্বপ্নদোষ হলে সে সাথীদের জিজ্ঞেস করিল, তোমরা কি আমার জন্য তায়াম্মুমের সুযোগ গ্রহণের অনুমতি পাও? তারা বলিল, যেহেতু তুমি পানি ব্যবহার করিতে সক্ষম, তাই তোমাকে তায়াম্মুম করার সুযোগ দেয়া যায় না। অতএব সে গোসল করিল। ফলে সে মৃত্যুবরণ করিল। আমরা নবি [সাঃআ:] -এর নিকট আসলে তাঁকে বিষয়টি জানানো হলো। তিনি বললেনঃ এরা অন্যায়ভাবে তাকে হত্যা করেছে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন। তাহাদের যখন [সমাধান] জানা ছিল না, তারা কেন জিজ্ঞেস করে তা জেনে নিল না। কারণ অজ্ঞতার প্রতিষেধক হচ্ছে জিজ্ঞেস করা। ঐ লোকটির জন্য তায়াম্মুম করাই যথেষ্টে ছিল। আর যখমের স্থানে ব্যান্ডেজ করে তার উপর মাসাহ্ করে শরীরের অন্যান্য স্থান ধুয়ে ফেললেই যথেষ্ট হত।
হাসানঃ তবে তার এ কথাটি বাদেঃ ঐ লোকটির জন্য যথেষ্ট ছিল ……। {৩৩৫} হাদীস থেকে শিক্ষাঃ হাদীসটি প্রমাণ করে যে, ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ্ করা জায়িয [তবে তা পবিত্রাবস্থায় পরতে হইবে]। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৩৩৭. আত্বা ইবনি আবু রাবাহ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাঃআ:] -কে বলিতে শুনেছেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] -এর যুগে এক ব্যক্তি আহত হয়। ঐ অবস্থায় তার স্বপ্নদোষ হলে তাকে গোসল করার নির্দেশ দেয়া হয়। অতঃপর সে গোসল করলে তার মৃত্যু হয়। এ সংবাদ রসুলুল্লাহ [সাঃআ:]-এর নিকট পৌঁছলে তিনি বলেন: এরা লোকটিকে হত্যা করেছে। আল্লাহ যেন এদের ধ্বংস করেন! অজ্ঞতার প্রতিষেধক জিজ্ঞেস করা নয় কি?
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ- ১২৯ঃ কোন ব্যক্তি তায়াম্মুম করে সলাত আদায় করার পর ওয়াক্ত থাকতেই পানি পেয়ে গেলো
৩৩৮. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, দুব্যক্তি সফরে বের হলো। পথিমধ্যে সলাতের ওয়াক্ত হয়ে গেলো কিন্তু তাহাদের সাথে পানি না থাকায় তারা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে সলাত আদায় করিল। অতঃপর তারা সলাতের ওয়াক্ত অবশিষ্ট থাকাবস্থায় পানি পেল। তখন একজন উযু করে পুনরায় সলাত আদায় করিল। আর অপরজন পুনরায় সলাত আদায় করিল না। অতঃপর উভয়ে রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] -এর নিকট এসে বিষয়টি অবহিত করিল। যে ব্যক্তি পুনরায় সলাত আদায় করেনি, তাকে রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] বললেনঃ তুমি সুন্নাতের উপর আমল করেছ এবং সেটাই [প্রথম সলাতই] তোমার জন্য যথেষ্ট। আর যে ব্যক্তি উযু করে পুনরায় সলাত আদায় করেছে, তাকে বললেনঃ তুমি দ্বিগুণ সাওয়াব পেয়েছে।
সহিহ, ইমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, হাদীসটি আত্বা ইবনি ইয়াসার হতে নবি [সাঃআ:] -এর সু্ত্রে বর্ণিত আছে। ইমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আরো বলেন, এ হাদীসে আবু সাঈদ [রাঃআ:] -এর নাম উল্লেখ করা সঠিক নয়। মূলত এটি মুরসাল হাদীস। তায়াম্মুমের হাদিস -এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৩৯. আত্বা ইবনি ইয়াসার [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] -এর সহাবীদের মধ্যে দুজন [সফরে যান]… উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
তাহকিকঃ গবেষণা অসম্পূর্ণ। {৩৩৮} নাসায়ী [অধ্যায় : পবিত্রতা, অনুঃ সলাতের পর কেউ পানি না পেলে তায়াম্মুম করা, হাঃ ৪৩২] বাকর ইবনি সাওয়াদাহ সূ্রেত আত্বা ইবনি ইয়ামার হতে। এ হাদীসটি মুরসাল। হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি
Leave a Reply